নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন ও বাস্তবতাকে পাশাপাশি নিয়ে চলা নিতান্তই সাধারন একজন মানুষ।

ফাহাদ জুয়েল

ফাহাদ জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বইকথা ।। মানিক বন্দোপাধ্যায়ের "দিবারাত্রির কাব্য"

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০


বইঃ দিবারাত্রির কাব্য
লেখকঃ মানিক বন্দোপাধ্যায়


গল্পটা হেরম্বের।হেরম্ব আত্মকেন্দ্রিক,খেয়ালি একজন মানুষ।কেমন যেন জীবন সংসারের প্রতি টানহীন একজন মানুষ সে।
প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক মানিক বন্দোপাধ্যায়ের এই উপন্যাসটি মূলত তিনটি ভাগে বিভক্ত- প্রথম ভাগঃ দিনের কবিতা, দ্বিতীয় ভাগঃ রাতের কবিতা, তৃতীয় ভাগঃ দিবা রাত্রির কাব্য।

প্রথম ভাগে দেখা মেলে সুপ্রিয়ার।হেরম্বকে ভালোবাসতো সুপ্রিয়া এবং আজও ভালোবাসে।হেরম্বের অনুরোধেই বিয়ের পিড়িতে বসেছিল সে।বিয়ে হয়েছে এক পুলিশ অফিসারের সাথে।বিয়ের দীর্ঘ ছয় বছর পর সুপ্রিয়ার সাথে দেখা করতে যায় হেরম্ব।এ নিয়ে প্রস্তুতির যেন শেষ নেই সুপ্রিয়ার।সে যে আজও হেরম্বের প্রতি অনুরক্ত।এ কথা প্রকাশও করে সে।কিন্তু এবারও যে হেরম্ব নির্লিপ্ত।সুপ্রিয়ার অবাধ প্রেমের ইশারায় সায় না দিয়ে ছয় মাসের সময় নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে সে।

উপন্যাসের দ্বিতীয় ভাগে মনোজটিলতার আরেকটি রূপ যেন দেখতে পাই আমরা।দীর্ঘ সময় পর পথিমধ্যে অনাথ বাবুর সাথে দেখা হয় হেরম্বের। অনাথ বাবুর বাড়িতে যায় সে।সেখানেই আনন্দ'র সাথে দেখা হয় তার।নানা সংস্কারের মধ্যে থেকেও প্রকৃতিমুখর,সৃজনউন্মুখ এক চরিত্র আনন্দ।সেও যেন ভালোবাসার এক অবাধ জমিন বিছিয়ে রেখেছে।আর এ ভালোবাসায় যেন হেরম্ব নিজেকে নতুন ভাবে আবিস্কার করে।ভালোবাসা বিমুখ হেরম্ব হয়ে উঠে ভালোবাসার কাঙাল!

উপন্যাসের তৃতীয় ভাগে- মানসিক দ্বন্দ্বের এক চমৎকার আবহের দেখা মেলে।হেরম্বের সঙ্গে একই সাথে সুপ্রিয়া ও আনন্দ'র প্রেমের এক অন্য রূপ দেখা যায়।হেরম্বকে তখন দেখা যায় অনেকটাই দ্বিধাগ্রস্ত। হেরম্ব যেন কাউকেই অস্বীকার করতে পারেনা।এক মানসিক দ্বন্দের মুখোমুখি হয় সে।একদিকে সুপ্রিয়ার আকুলতা,অন্যদিকে আনন্দ'র আবেদন।

শেষ পর্যন্ত এই মানসিক দ্বন্দ্বে জয়ী হয় কে?

মানিক বন্দোপাধ্যায় কে বলা হয় জীবন ঘনিষ্ঠ লেখক।বাংলা সাহিত্যে এক নবধারার স্রষ্টা সে।তার প্রতিটি উপন্যাসেই শব্দ শিল্পের এক নিখুত কারুকার্যের সাথে পরিচিত হয় পাঠক।মাত্র একুশ বছর বয়সে লেখা এ উপন্যাসেও তেমনি জীবন বাস্তবতার ভিন্ন এক রূপের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন তিনি।কিন্তু তারপরও বিভিন্ন কারনেই উপন্যাসটি আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগেনি।তবে অনেকের কাছেই হয়তো ভালো লেগেছে,কিংবা ভালো লাগতে পারে।আসলে ভালো লাগা ব্যাপারটাই তো আপেক্ষিক।তাই না?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.