নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গায়ে এখনও দেশী মাটির গন্ধ...কানাডাতে আসার সাথে এই ব্লগে লেখালিখি জড়িয়ে আছে। ২০০৭ এ আসি। সে সময় থেকেই লিখি। এখন ফেবুতে বেশি এক্টিভ। ফেবু: fb.com/bdidol9x/ পেজ: fb.com/bdidol5x

বিডি আইডল

ফেবু: facebook.com/bdidol3x ফেবু পেজ: facebook.com/bdidolx

বিডি আইডল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকে আওয়ামী লীগের পিতৃ সংগঠন আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম দিন

২৩ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৬:৪১





আজকে আওয়ামী লীগের পিতৃ সংগঠন আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্ম দিন। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের স্বার্থ রক্ষার্থে এই দিন জনাব শামসুল হকের উদ্দ্যেগে ১৯৪৯ সালের ২৩ শে জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে ৩০০ ডেলিগেটের উদ্দ্যেগে তৈরী হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলীম লীগ।



এর কর্মকর্তারা ছিলেন : সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাষানী , সহ সভাপতি : আতাউর রহমান খান , আবদুস সালাম খান , আলী আমজাদ খান , আলী আহমদ খান ও শাখাওয়াত হোসেন , সাধারণ সম্পাদক :শামসুল হক , যুগ্ম সম্পাদক : শেখ মুজিবুর রহমান ও খন্দকার মুশতাক আহমদ , সহ সম্পাদক : এ কে এম রফিকুল হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ ইয়ার মোহাম্মদ খান । উল্লেখ্য শেখ মুজিবুর রহমান তখন কারাগারে থাকায় তার পক্ষে এই উদ্যোগে সামিল হওয়া সম্ভবপর ছিল না । সদ্য কারামুক্ত এক ছাত্র নেতার প্রস্তাবক্রমেই তাকে কমিটিতে রাখা হয়।



দুর্ভাগ্যের বিষয়, পুনপৌনিক নির্যাতন ও নিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল আওয়ামীলীগের উদ্যোক্তা সিংহপুরুষ শামসুল হক ১৯৫২ সালে কারাগারে আটক অবস্থায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন । ফলে ১৯৫২ সালেই শেখ মুজিবকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হয় । ১৯৫৩ সালে অত্যন্ত অসুস্থ শরীর ও মানসিক ব্যাধি নিয়ে তিনি কারামুক্তি লাভ করেন। শামসুল হকের চিকিৎসায় আওয়ামী মুসলিম লীগ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বরং তাঁকে বহিষ্কার করে ১৯৫৩ সালের ৯ জুলাই ঢাকার মুকুল (পরবর্তীতে আজাদ) সিনেমা হলে আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমানকে পুর্নাঙ্গ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।



শামসুল হকের এভাবে পাগল হয়ে যাবার পেছনে অনেকে শেখ মুজিবের ক্ষমতা দখল করার জন্য সন্দেহের তীর নিক্ষেপ করেন। কিন্তু এব্যাপারে কোন অকাট্য প্রমান নাই। তবে একেবারে যে প্রমান নেই সে কথা বলা যাবে না এভিডেন্স অভ সারকুমষ্ট্যান্সে যেভাবে শামসুল হক কে ইতিহাস থেকে বিস্মৃত করা হয়েছে তাতে এ কথা পরিস্কার বোজা যায় শামসুল হক ছিল তৎকালীন রাজনীতিতে এক নিষিদ্ধ নাম। যেমন এখন আছে মাওলানা ভাষানী। মাওলানা ভাষানীর নাম এখন আওয়ামী ইতিহাস থেকে বিলীন অথচ এই ভাষানী শামসুল হকের হাত ধরে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা পায়।



মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে প্রায় ১০ বছর পথে পথে ঘুরে বেরিয়েছেন তিনি। ১৯৬৫ সালে শামসুল হক হঠাৎ নিখোঁজ হন।১৯৬৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে জোকারচর গ্রামের মহিউদ্দিন আনসারী (তৎকালীন নামকরা কংগ্রেস নেতা) কলকাতা থেকে সিরাজগঞ্জ হয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোনো এক স্থান থেকে শামসুল হককে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তখন শামসুল হক শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ অসুস্থ ছিলেন। সে সময় গ্রামের হাতেগোনা কয়েকজন সচেতন ও শিক্ষিত লোক ছাড়া শামসুল হককে কেউ চিনতেন না। অসুস্থ শামসুল হক মহিউদ্দিন আনসারীর বাড়িতে ৭ দিন থাকার পর তার হঠাৎ খুব জ্বর হয়। স্থানীয় হোমিও চিকিৎসক শুকলাল দাস শামসুল হকের চিকিৎসা করেন। প্রচণ্ড জ্বরে শামসুল হক কোন এক শনিবার (মাসের নাম অজানা) দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে মারা যান। সে দিন ছিল হাটের দিন। হাটে গইজা খলিফার দোকান থেকে ডা. আনসার আলী ও কংগ্রেস নেতা মহিউদ্দিন আনসারীর মেঝো ছেলে রইসউদ্দিন আনসারী কাফনের কাপড় কিনে আনেন। মহিউদ্দিন আনসারীর বাড়ির সামনের ছোট মাঠে (বর্তমানে পুকুর) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শামসুল হককে কদিমহামজানি কবরস্থানে দাফন করা হয়।



বাংলাদেশের মানুষের স্মৃতি থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া এই রাজনীতিবিদের কথা পাওয়া যায় আবু জাফর শামসুদ্দীনের ‘আত্মস্মৃতি : সংগ্রাম ও জয়' বইতে। আবু জাফর শামসুদ্দীন লিখেছেন,



“ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তাকে (শামসুল হককে) আটক করা হয়। তখন তিনি বিবাহিত, একটি কন্যা সন্তানের পিতা। স্ত্রী নরসিংদির সেকান্দার মাস্টার সাহেবের কন্যা আফিয়া খাতুন এম.এ কলেজের লেকচারার। জেলখানায় শামসুল হকের মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটে। নিজ পরিবারের প্রতি তাঁর মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। আফিয়া খাতুন তাঁকে ত্যাগ করেন। আফিয়া এখন পাকিস্তানে মিসেস আফিয়া দিল। শামসুল হক সম্পূর্ণ বিকৃতমসিত্মষ্ক অবস্থায় জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শামসুল হকের চিকিৎসায় আওয়ামী মুসলিম লীগ কোনো উদ্যোগ নিয়েছিল বলেও মনে পড়ে না। শামসুল হক ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন- কখনও বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে টাকা ধার চাইতেন, কেউ সমাদর করলে আহার করতেন। টাঙ্গাইলের ওয়ার্টারলু বিজয়ী শামসুল হকের মৃত্যু কোথায় কি অবস্থায় হলো তার কোনো বিবরণ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতে দেখিনি। শোকসভাও করেনি কোনো রাজনৈতিক দল বা অন্যরা। অথচ এই শামসুল হক একদিন ছিলেন বাংলার তরুণ মুসলিম ছাত্রসমাজের প্রিয় নেতা- ১৯৫২ সালেও ভাষাসংগ্রামী এবং আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।



অনেকেই হয়ত বাকা চোখে আমাকে জিজ্ঞাস করবেন জাতীয়তাবাদী হয়ে আমি কেন আওয়ামীলীগের ইতিহাস নিয়ে লিখছি? ভাই জাতীয়তাবাদ কোন দিন সত্যি অস্বীকার করে না। যার যা প্রাপ্য সন্মান তাকে তা দেয়ার নাম ই জাতীয়তাবাদ।



এই মহান দেশ প্রেমিক নিয়ে জানতে হলে পড়ুন

১। স্বাধীনতা যুদ্ধের অপর নায়কেরা // নুরুজ্জামান মানিক ,শুদ্ধস্বর ,একুশে বইমেলা ২০০৯।

২।আবুল মনসুর আহমদের 'আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর',

৩। আবুল কালাম শামসুদ্দিনের ‘আত্মস্মৃতি : সংগ্রাম ও জয়' ।



ছবিতে হাটুতে হাত রাখা মানুষ টিই শামসুল হক।



#ক্যাপ্টেন_নিমো।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৬:৫৭

বিডি আইডল বলেছেন: বালের ব্লগে ছবিও আপলোড হয় না..নীচের লিংকে পাবেন:

Click This Link

২| ২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শামসুলৈর হকের পরিণতি কষ্টের। তারচে বড় কষ্ট আওয়ামীলীগ তাকে রীতিমতো ব্লাক আউট করে ফেলেছে....তাদের ইতিহাস থেকে!!!!

যুগ্ম সম্পাদক সাহেব বড়ই উদাসিন ছিলেন মনে হয় তিনার সাধারণ সম্পাদকের ব্যপারে!!!!!!!!!!!

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

খাটাস বলেছেন: ভাল লিখেছেন। জেনে ভাল লাগল। শামসুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা। তবে শত্রুর শত্রু কে সম্মান দেয়া রাজনীতি। জাতীয়তাবাদ এই ধরণের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষ কে সম্মান দেয় ভাল ;)

কর সবে ডাডির জয় গান।
ডাডি, ডাডিল্যান্ডের ভগবান। ;)

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

খাটাস বলেছেন: ভাল লিখেছেন। জেনে ভাল লাগল। শামসুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা। তবে শত্রুর শত্রু কে সম্মান দেয়া রাজনীতি। জাতীয়তাবাদ এই ধরণের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষ কে সম্মান দেয় ভাল ;)

কর সবে ডাডির জয় গান।
ডাডি, ডাডিল্যান্ডের ভগবান। ;)

৫| ২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:১৯

খাটাস বলেছেন: ভাল লিখেছেন। জেনে ভাল লাগল। শামসুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা। তবে শত্রুর শত্রু কে সম্মান দেয়া রাজনীতি। জাতীয়তাবাদ এই ধরণের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষ কে সম্মান দেয় ভাল ;)

কর সবে ডাডির জয় গান।
ডাডি, ডাডিল্যান্ডের ভগবান। ;)

৬| ২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৯

হামিদ আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটির জন্য.......................

৭| ২৩ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

মদন বলেছেন: অজানা অধ্যায়....

৮| ২৩ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: কত সহজে অন্যের সমালোচনা করা যায়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.