নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গায়ে এখনও দেশী মাটির গন্ধ...কানাডাতে আসার সাথে এই ব্লগে লেখালিখি জড়িয়ে আছে। ২০০৭ এ আসি। সে সময় থেকেই লিখি। এখন ফেবুতে বেশি এক্টিভ। ফেবু: fb.com/bdidol9x/ পেজ: fb.com/bdidol5x

বিডি আইডল

ফেবু: facebook.com/bdidol3x ফেবু পেজ: facebook.com/bdidolx

বিডি আইডল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোটিভেশনাল লেখা

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০২

হাসিব মিয়া প্রতিদিনই সাভার থেকে ৭০ কেজি দুধ এনে ধানমন্ডির বাসায় বাসায় দিয়ে যায়।
সে ৪০ টাকা করে দুধ কিনলেও ঢাকায় এনে ৮০ টাকায় বিক্রি করে!
দিনে ৩'শত টাকা খরচ বাদ দিলেও তার মাসে ৭৫ হাজার টাকার মত থাকে..
ক্যান ইউ ইম্যাজিন যে, একজন অশিক্ষিত লোক মাসে ৭৫ হাজার টাকা ইনকাম করছে??
তারেক সাহেব ১.৫ লক্ষ টাকা এ্যাডভান্স দিয়ে নিউ মার্কেটের দোতলায় একটি দোকানের সামনে বসার অনুমতি নিয়েছিলেন প্রায় ২১ বছর আগে।

মাসে ভাড়া দিতে হয় ১০ হাজার টাকা। তিনি সেখানে বসে প্যান্ট শার্ট ছোট করা সহ টুকটাক সেলাইয়ের কাজ করেন..|
এই ২১ বছর দর্জির কাজ করে সায়েদাবাদে একটি ৫ তলা বাড়ি, রায়েরবাগে ৩ তলা বাড়ি, মালিবাগ হোসাফ টাওয়ারে দুইটা দোকান কিনেছেন।

বাড়ি ভাড়া ও দোকান ভাড়া থেকে উনার মাসিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকা!
যখন জিজ্ঞেস করলাম, "দর্জির কাজ করে কত পান?"
উনি হেসে বললেন, "কখনো ৭০, কখনো ৮০, কখনো ৬০-ও হয়, তবে ৬০ হাজার খুব কমই হয়"
তিনি একজন দর্জি।

কিংবা মল চত্বরের ইগলুর আইসক্রিম বিক্রেতার কথাই ধরিনা কেনো....
আইসক্রিম খেতে গিয়ে জানলাম তার বাড়িও আমার জেলায়, আইসক্রিম বিক্রি করেই তিনি মোহাম্মদপুরে ছয় তলা বাড়ি করেছেন, মাসে লাখ দেড়েক টাকা ভাড়াও আসে।

এসব মানুষ তারা যাদেরকে উঠতে বসতে আমরা ঘৃণার চোখে দেখি, নিয়মিত ধমকও দেই।
কিন্তু, ২৫ বছর পড়াশুনা করেও তাদের সমান বেতনের চাকরি ম্যানেজ করতে পারিনা।

এসব লোক যেখানে পড়াশুনা না করেই উদ্যোক্তা হয়ে গেছে আমরা সেখানে পড়াশুনা করে অন্যের গোলামী করার সুযোগও পাইনা।
ট্রাডিশনাল বিজনেসকে ঘৃণা করে ইনোভেটিব কিছু করতে চেয়ে আমাদের অবস্থা এমন হয়েছে যে, আমরা কোন স্টার্টআপই দাঁড় করাতেই পারিনা।দিনশেষে আমাদের চাকরি খুঁজতে হয় আকিজ সাহেব কিংবা কাউছ মিয়ার জর্দার ফার্মে।

আমরা জর্দার ম্যানেজার হয়েই প্রাউড ফিল করি। অথচ এই স্টার্ট আপ গুলো যদি তরুণ শিক্ষিতরা শুরু করতো, তাহলে ??
হাসিব মিয়ার ক্ষমতা নাই ৭০ কেজির উপরে বিক্রি করার।কিন্তু আমরা পারতাম এমন একশ হাসিব দিয়ে বিজনেসটা বড় করতে।কিংবা একশত তারিককে ম্যানেজ করতে পারতাম, কারন আমাদের ম্যানেজারিয়াল অ্যাবিলিটি তাদের চেয়ে বেশি।
আমরা সেটা না করে মাল্টিন্যাশনালে জব করে গাধার মত খেটে হাজার পঞ্চাশেক টাকা পেয়েই খুশি।
আর মাস শেষে দর্জি তারেকের পাঁচতলার বাসা ভাড়া দেওয়ার টাকা নিয়ে ভাবি।
কিংবা, ছুটে বেড়াই দুধ/আইসক্রিম বিক্রেতার ছেলে/মেয়ের পেছনেই।

লেখাটি বেকার শিক্ষিত সবার জন্য কাজের উৎসাহ দেবার জন্য। পুরনো লেখা, ফেবুর সুত্রে। সবাই মোটিভেশনাল স্পিচ দেয়, আমি লেখাটা শেয়ার করলাম। সাথে ব্লগ দেখতে আসলাম।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩১

রবিন.হুড বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন।

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
বিডি দা, পোষ্টের লগে মটিভেশনাল স্পিকার শকুনের বিছানায় শুয়ে থাকা ছবি দিলে পোষ্ট পূর্ণতা পেত :) তবে পোষ্টের তথ্যগুলো অবশ্যই তাৎপর্যপুর্ন বলে মনে করি। কোন কাজ মন দিয়ে করলে ও লেগে থাকে সফলতা অর্জন করা যায় যা আপনার পোষ্টের তথ্য গুলো প্রমান দেয়।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫১

ঘনশ্যাম বলেছেন: সবাই উৎসাহ পাবে আশা করি। মোটিভেশনের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: মোটিভেশন দিয়া কোনো কাজ হয় না। এগুলো ফাজলামো।
শুধু মাত্র পরিশ্রম করলেই সফলতা আসে।

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৭

আমি সাজিদ বলেছেন: আমার মোটিভেশনের দরকার হলে আমাদের প্রানপ্রিয় বঙ্গবন্ধুর ভাষনগুলো শুনতাম। হাজার হাজার বছরের মোটিভেশন ভাষনগুলোতে লুকিয়ে আছে। মনোযোগ দিয়ে শুনতে হয় আর গবেষণা করতে হয় আরকি। তবে আপনিও কথাগুলো খারাপ বলেন নাই। অনেকদিন পর দেখলাম। ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন।

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৮

করুণাধারা বলেছেন: কয়েকদিন আগে একটা খবর পড়েছিলাম, আমেরিকা থেকে ১৩০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এরা প্রত্যেকে ২৫/৩০ লাখ টাকা খরচ করে অবৈধ ভাবে আমেরিকায় গিয়েছিল। এই টাকা দেশে খাটিয়ে তারা অনেক কিছু করতে পারত...

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৪২

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: পড়ালেখা মুলত সবাই না করাই ভাল, যারা মেধাবী তারাই করবে, তবে বি এ পাশের মত একটা মার্ক করে দেয়া যেতে পারে। এম এ পাশ দিলেই আর অনেক কিছু করার মত মন থাকে না!

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমন একটি প্রেষণাদায়ক পোস্ট লিখার জন্য ধন্যবাদ।
মাস্টার্স শেষ করেও যেন আমরা ছোটখাট একটি ম্যানেজারিয়াল পোস্টে, এমনকি ভাল কোন প্রতিষ্ঠানে ক্লারিকাল পোস্টে চাকুরী পেলেও মহা খুশী। সম্প্রতি বসনিয়ার জঙ্গলে ধরা পড়া বাংলাদেশীদের করুণ দশা দেখে এবং তাদের দেশে না ফেরার দৃঢ় ঘোষণার কথা শুনে আফসোসই হয়। করুণাধারা যেমনটি বলেছেন, ২৫/৩০ লাখ টাকা খরচ করে অবৈধ ভাবে বিদেশযাত্রা না করে বরং ঐ টাকা দিয়ে দেশেই কিছু একটা করার উদ্যোগ নিলে, কিংবা কয়েকজন বেকার মিলে সমবায়ের ভিত্তিতে কিছু ব্যবসা শুরু করলেই তা থেকে ধীরে ধীরে মূলধন বাড়িয়ে স্বচ্ছল হওয়াটা সম্ভব, এ কথাটা তরুণ যুবাদের বুঝাবে কে? আপনার এ পোস্ট পড়ে যদি একজন ব্যক্তিও এ লাইনে চিন্তা করেন, তবে আপনার এ পোস্ট লেখা সার্থক হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.