নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গায়ে এখনও দেশী মাটির গন্ধ...কানাডাতে আসার সাথে এই ব্লগে লেখালিখি জড়িয়ে আছে। ২০০৭ এ আসি। সে সময় থেকেই লিখি। এখন ফেবুতে বেশি এক্টিভ। ফেবু: fb.com/bdidol9x/ পেজ: fb.com/bdidol5x

বিডি আইডল

ফেবু: facebook.com/bdidol3x ফেবু পেজ: facebook.com/bdidolx

বিডি আইডল › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছে\', এই প্রশ্ন করার অধিকার নাস্তিকদের নাই..

০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২১

নাস্তিকদের স্ববিরোধীতা ও দ্বৈতনীতির একটা জ্বলজ্বলে উদাহরণ হচ্ছে এই প্রশ্নটা- "স্রষ্ট্রাকে কে সৃষ্টি করেছে?" কারণ, নাস্তিকতার প্রথম বিশ্বাস বা নাস্তিক্যবাদী ঈমানের মূল ভিত্তি হচ্ছে এই বিশ্বজগতের কোন সৃষ্টিকর্তা নাই, এগুলি নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। এতবড় বিশ্বজগৎ যদি কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়াই সৃষ্টি হয়ে যেতে পারে তাহলে "স্রষ্ট্রার এমনি এমনি সৃষ্টি হয়ে যাওয়া"-তে তাদের এত সমস্যা কোথায়? তাদের নিজেদের বেলায় এতকিছু সৃষ্টি হওয়ার জন্য কোন স্রষ্ট্রা লাগে না কিন্তু আস্তিকদের স্রষ্ট্রার অবশ্যই একজন স্রষ্ট্রা থাকতে হবে! স্ববিরোধীতার এরচাইতে ভাল উদাহরণ আর কী হতে পারে?


আস্তিকের দাবী অনুসারে এই বিশ্বজগৎ সৃষ্টির পেছনে অবশ্যই একজন স্রষ্ট্রা রয়েছেন এবং সেই স্রষ্ট্রার অস্তিত্ব যতটা না যুক্তির উপরে দাঁড়িয়ে তারচাইতে বেশি বিশ্বাসের উপরে। আর এই বিশ্বাসের নামই হচ্ছে ঈমান যেটাকে নাস্তিকরা অন্ধ বিশ্বাস বলে দাবী করে। তাদের এই দাবী দাঁড়িয়ে আছে যে যুক্তির উপরে সেই যুক্তিও কিন্তু বিশ্বজগৎ সৃষ্টির রহস্যের কোন জবাব দিতে সক্ষম নয়। যুক্তির কবর খুঁড়তে খুঁড়তে তারাও একসময় অসহায় হয়ে পড়েন, তাদের চিন্তার জগতের গোড়াও বিশ্বাসের উপরেই দাঁড়িয়ে কিন্তু তারা দাবী করেন অযৌক্তিক কিছু তারা করতে পারেন না। অথচ বিশ্বজগৎ সৃষ্টির রহস্যের জবাবে কোনরকম যুক্তির ধার না ধেরেই তারা বিশ্বাস করে বসে আছেন সবকিছু এমনি এমনি হয়ে গিয়েছে। যুক্তিবাজদের এহেন অযৌক্তিক আচরণ সত্যিই বিস্ময়কর!

স্ববিরোধী ও অযৌক্তিক বিশ্বাসের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা নাস্তিকদের সৃষ্টিকর্তার স্রষ্ট্রা খুঁজতে যাওয়া একধরনের স্ববিরোধীতাই বটে।


বিঃদ্রঃ সিস্টেমের ভেতরে বসে সিস্টেমের ক্রিয়েটরকে সিস্টেমের প‌্যারামিটার দিয়ে যাচাই করতে যাওয়া এক ধরনের অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিক কাজ। এই অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক কাজ যারা করেন তাদের (নাস্তিকদের) সাথে যুক্তি দেয়া অর্থহীন বিবেচনা করে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব ও সৃষ্টিকর্তার স্রষ্ট্রা বিষয়ক যুক্তি দিয়ে সময় নষ্ট করার পক্ষপাতী নই। তবুও কেউ ঐ বিষয়ে আলোচনায় যেতে চাইলে একটা লেখা পড়তে পারেন-
সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছেন? – এই প্রশ্নের সরল উত্তর

...................
সামু ব্লগের একসময়ের তুমুল আলোচিত-সমালোচিত ব্লগার ত্রিভুজ এর ২০১০ সালের একটি পোষ্ট। আবুজর গিফারী কলেজের এই টেকি ব্লগার ধর্ম ভাবনা নিয়ে পোষ্ট করতেন বলে ব্লগের প্রগতিশীল, নাস্তিক গ্রুপের প্রচুর আক্রমণের স্বীকার হতেন। তার নাম মক করে তাকে "ছাগাভুজ" ডাকতো তার বিরুদ্ধ গ্রুপের লোকজন।।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৩

রানার ব্লগ বলেছেন: আগে বলেন নাস্তিক কে এবং কাদের নাস্তিক বলে?

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সৃষ্টি তত্ত্বের মূল বিষয় হল যে কোন কিছুর একজন স্রষ্ঠা থাকতে হবে,সেই আলোকে কেউ প্রশ্ন করতেই পারে যে ভগবানের একজন সৃষ্টি কর্তা আছে।এটা যুক্তির কথা।
আপনার কাছে যদি প্রমান থাকে ভগবান এইভাবে সৃষ্টি হয়েছে তা হলেতো কোন প্রশ্নই আসে না।

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


পদার্থের রূপ-বদল নিয়ে মানুষের ধারণা সঠিক; পদার্থ ও অসীম মহাশুন্যের শুরু কিভাবে, এই বিষয়টা মানুষ হয়তো কখনো বের করতে পারবেন না।

সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে যত ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন পৃষ্ঠা লেখা হয়েছে, সবটাই মানুষ লিখেছেন, মানুষই সৃষ্টিকর্তার আসল সৃষ্টিকর্তা।

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


সৃষ্টিকর্তাকে কে সৃষ্টি করেছে?
মানুষই সৃষ্টিকর্তার আসল সৃষ্টিকর্তা।

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: প্রশ্ন করার অধিকার সকলেরই থাকা উচিত।
নাস্তিকদের প্রতি কঠোর হবেন না।

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঈশ্বরকে তৈরি করেছে মানুষ।
শুধু তৈরি না রক্ষা করে বাচিঁয়ে রেখেছে মানুষ।
ঈশ্বরের নিজস্ব শক্তি থাকলে বান্দাকে ঈশ্বর রক্ষায় সারাক্ষণ চাপাতি নিয়ে হাটাহাটি করা লাগতো না।

শৃষ্টির পর থেকে এযাবত হাজার হাজার ঈশ্বর বিলুপ্ত হয়ে গেছে বান্দার অবহেলায় বা পুজার অভাবে।

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: নাস্তিকদের সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো এরা নির্বোধ। এরা অন্ধকার জগতের মানুষ এদের মাথা কোনো বুদ্ধি-বিবেক বলতে কিছুই নাই। এরা চোখে সব সময় সরষে ফুল দেখে। এরা মনে করে নিজেরা খুব বেশি পন্ডিত। আসলে এরা কিছুই না। এরা হলো সমাজ দেশ এবং ধর্মের শত্রু। এরা মানুষের অধিকার হরণ করে। এরা সত্যিটা জানে কিন্তু জানার পরও সত্যিটা স্বীকার করে না। কারণ তারা নিজেদের বড় মনে করে তাই সত্যিটা যেনেও জানেনা বুঝেও বুঝেনা। তাই এদের বিষয় কথা না বলার ভালো। এদের ক্ষেপালে গরুর মতো তেড়ে আসে। আর এদের সংখ্যা বেশি না খুবই কম। স্বল্প সংখ্যাক নাস্তিকের প্রভাব পরে আছে পৃথিবীতে। তাই সৃষ্ট্রিকর্তা আছে কি নাই সেটা সেই দিনই এরা বুঝতে পারবে যেই দিন দেহ থেকে দমটা বের হয়ে যাবে।

আল্লাহতো বলেছেন-যে এদের সামনে যদি সৃষ্ট্রিকর্তা হাজিরও হোন তাহলেও এরা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করবে না। এটা তো বনি ইসরাইদের দিয়েই বুঝে গেছে তিনি। তারই সৃষ্টি তার সাথে কি করতে পারে। আল্লাহ এটাও বলেছেন-যে এধরনের মানুষেরা সৃষ্টিকর্তার ক্ষতি কখনোই করতে পারবে না, এরা নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করে। তাই ওদের আল্লাহই দেখে নিবেন কত ধানে কতটা চাল হয়।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২১

বিডি আইডল বলেছেন: পৃথিবীতে প্রচুর নাস্তিক আছে যাদের আইকিউ অত্যন্ত ভালো। এদের যুক্তি-বুদ্ধিবোধও অনেকেরই অনেক উচুঁতে। এদের মধ্যে যারা পড়াশোনা করেছে প্রচুর, এরা বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে প্রচুর জ্ঞাণও রাখে।

ধর্মের বিষয়টা মূলত: বিশ্বাসের বিষয়। বুদ্ধির বিষয় নয়। আপনি অমুক ধর্ম পালন করছেন, এটা ঘটেছে কাকতালীয় ভাবে, আপনি অমুক ধর্মের পিতা-মাতার ঘরে জন্মগ্রহণ করায়। যারা পড়ালেখা করা নাস্তিক (যেটা আমাদের দেশে প্রায় নেই বললেই চলে, এই ব্লগের হাত ধরে যেসব নাস্তিকের হাতেখড়ি, এদের সবাই এখন ইউরোপে এসাইলামে আছে) তারা জেনে বুঝেই নাস্তিক। আস্তিকদের তাদের কাছ থেকে জ্ঞাণ আহরণ করার সুযোগ আছে, এতে বিশ্বাসের ভিত মজবুত হয়।

৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর পোস্ট শেয়ারে ধন্যবাদ।

মানুষ কোননা কোনভাবে ধর্মের মধ্যে পড়ে যায়। অতএব নাস্তিকদের এহেন আচরণ মাতুলতা মাত্র।

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: ধর্ম বিদ্বেষী ও নাস্তিক এই দুই বিশেষণের পার্থক্য আগে বুঝুন। নিশ্চই ইলিশ মাছ আর রুই মাছ এর একই দর না।

১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নাস্তিকেরা বেশী বুঝে । তাই ওরা মরা উচিত নয় । :D

১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

এমেরিকা বলেছেন: কোন কিছুর সৃষ্টি হতে হলে তাকে একটা টাইম কমপ্লাই করতে হবে। যেখানে বলব শুরু বা সৃষ্টি, সেটা একটা সময়বিন্দু। এই সময় কিভাবে উৎপাদন হয়? পৃথিবী নিজ অক্ষের চারদিকে ঘুরে এক দিন উৎপাদন করে, সূর্যের চারপাশে ঘুরে এক বছর উৎপাদন করে। এভাবে সৃষ্টি জগতের প্রতিটি বস্তুই তার অবস্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে সময়ের জন্ম দেয়।

কিন্তু ঈশ্বর সম্পর্কে আমরা কি জানি? তিনি কি তার অবস্থান পরিবর্তন করেন? ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায়, করেন না। তাই এটা নিশ্চিত যে, স্রষ্টার জগতে সময় বলে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। তাই তার শুরু বা শেষ তথা সৃষ্টি বা ধ্বংস কোনটাই নেই। তিনি এমন এক অস্তিত্ব, যেখানে কোন কিছুই জগতের নিয়ম অনুযায়ী চলেনা।

তাই ঈশ্বরকে কে সৃষ্টি করেছেন - এই প্রশ্নটাই অমূলক। যদি উত্তর দেয়াও হয় যে স্রষ্টাকে অমুকে সৃষ্টি করেছে - আবারো এরকম প্রশ্ন তাহলে ঘুরে আসবে। বিষয়টা তাই যুক্তির নয়, তর্কের। অবাস্তব অমূলক ও অপ্রয়োজনীয় তর্কের, যার কোন সীমা নেই।

১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৮

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: তুমুল বিতর্কের সেই দিন আর নেই ব্লগে; মূল্য নেই সক্রেটীয় আলোচনার, ব্লগের প্রধান আলোচক এখন সক্রেটিসের বউ।

১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫৭

(লাইলাবানু) বলেছেন: সুন্দর আলোচনা।

১৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৩৬

নতুন বলেছেন: এই মহাবিশ্ব কিভাবে সৃস্টি হয়েছে সেটা বের করা খুবই কস্টসাধ্য ব্যাপার। তার চেয়ে একজন সৃস্টিকরেছে সেটা বিশ্বাস করা সহজ।

কিন্তু প্রচলিত ধর্মগুলি যেই সৃস্টিকতার কথা বলে সেটা মানুষেরই সৃস্টি বলেই মনে হয়। ধর্মগ্রন্হের কাহিনি গুলিকে প্রশ্ন করলে এই গল্পের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সবারই সন্দেহ জাগারই কথা।

আব্রাহামিক ধর্মের সৃস্টিকতা এই পযন্ত ২ জন মানুষের সাথে সরাসরি ইন্টারএক্ট করেছেন। মুসা আ: এবং মোহাম্মদ সা: এবং তারা কেউই কিন্তু সৃস্টিকতাকে নিজের চোখে দেখে নাই।

বাকিরা সৃস্টিকতার কাছ থেকে আওয়াজ শুনেছেন, স্বপ্ন দেখেছেন, অথবা দেব দূত এসেছিলো তাদের কাছে। এবং সৃস্টিকতার মানুষের কাছে শেষ দূত পাঠিয়েছেন ১৪০০ বছর আগে, এবং আর পাঠাবেন না তাও বলে দিয়েছেন।

পৃথিবি যে কোটি বছরের পুরানো এবং আরো কোটি বছর চলবে কিন্তু সৃস্টিকতা আর প্রতিনিধি পাঠাবেন না এবং দেব দূত পাঠাবেন না। মানুষ পৃথিবি ছাড়িয়ে ইন্টারস্ট্যালার ভ্রমনেও যাবে। তখন এতো দিনের সৃস্টিকতার কাহিনি কতটুকু বিশ্বাস যোগ্য থাকবে ভবিষ্যতের মানুষের কাছে???

এখন মানুষের ভাবনা অনেক উন্নত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.