নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গায়ে এখনও দেশী মাটির গন্ধ...কানাডাতে আসার সাথে এই ব্লগে লেখালিখি জড়িয়ে আছে। ২০০৭ এ আসি। সে সময় থেকেই লিখি। এখন ফেবুতে বেশি এক্টিভ। ফেবু: fb.com/bdidol9x/ পেজ: fb.com/bdidol5x

বিডি আইডল

ফেবু: facebook.com/bdidol3x ফেবু পেজ: facebook.com/bdidolx

বিডি আইডল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনকার কোভিড ভ্যাক্সিন বনাম ভারতের Covishield

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:২৪

কয়েক দিন আগে দেশে বাবার সাথে কথা হচ্ছিলো। জানতে চাচ্ছিলেন অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনকার কোভিড ভ্যাক্সিন বাদ দিয়ে বাংলাদেশ কেন ভারতের সিরাম ইনস্টিউটের ভ্যাক্সিন আনছে। বাংলাদেশের কোন মিডিয়া-পত্রিকাতে এই বিষয়টি নিয়ে কেউ লেখেনি। বিষয়টি নিয়ে ভ্রান্তি দূর করতে এই লেখা।

অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিন এর মূল ফর্মূলাটি উদ্ভোধন করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এস্ট্রাজেনকার সহায়তায়। এস্ট্রাজেনকা সিরাম ইনস্টিউটকে এই ভ্যাক্সিন তৈরি করার লাইসেন্স বিক্রি করেছে। ভ্যাক্সিন তৈরির মূল এই "সিড" (যেটা থেকে অনান্য ভ্যাক্সিনের মূল উপদান তৈরি করা হবে) সিরাম ইনস্টিউটকে দিয়েছে এস্ট্রাজেনকা। এই একই ভ্যাক্সিনের বিশ্বব্যাপী ফেজ ১-২-৩ এর ট্রায়াল করেছে এস্ট্রাজেনকা। ভারতে মাত্র ১৬০০ লোকের উপর এই ফেজ ৩ ট্রায়াল করে সিরাম ইনস্টিউট। ভারতের ট্রায়াল এবং ইউকে, ব্রাজিলের ট্রায়ালের ডাটার উপর নির্ভর করে গত সপ্তাহে সিরাম ইনস্টিউট এই টীকা জরুরী ব্যাবহারের অনুমতি চেয়েছে (Emergency Use Authorization)। এই জরুরী ব্যবহারের সময় টীকা কারা পাবে এটার বিশ্বব্যাপী একটা গাইডলাইন আছে। এই টিকা দু'টো ডোজ (শট) নিতে। প্রথমটি নেয়ার ১২ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বুষ্টার ডোজ। সিরাম ইনস্টিউট ভারত সরকারের জন্য প্রতি ডোজ ৩ ইউএসডলার করে ধরেছে। সুতরাং দুই ডোজ টীকার সরকারী দাম পড়বে ৬ ডলার (বাংলাদেশের ৫১০ টাকার মত)। যেহেতু বেক্সিমকো বাংলাদেশের সোল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে এই টীকা আনার চুক্তি করেছে, এরা বাংলাদেশ সরকারকে প্রতি ডোজ ৪২৫ টাকা করে বিক্রি করবে, দুই ডোজের দাম নিবে ৮৫০ টাকা।

এই টীকার ফেজ ৩ ট্রায়ালে কিছু গোলমাল করে ফেলা হয়েছে। নানান ভুলের কারণে এদের টীকার কার্যকরী ডোজ কতটুকু এটা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। এর কার্যকারীতা ৬২-৯০% এর মত বিশাল পরিধির মধ্যে পড়ে গেছে এবং এরা নিজেরাও পুরোপুরি নিশ্চিত নয় কোন ডোজে কার্যকারিতা বেশি হবে। এস্ট্রাজেনকা নতুন করে ট্রায়াল শুরু করবে এই মাসে, রাশিয়ার গামালয়া ইনস্টিউটের সাথে (রাশিয়ার স্পুতনিক -৫ টীকাও একই পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে)। এই ট্রায়ালের আগেই এখন ভারতে, এবং সামনের দিকে বাংলাদেশে এই টীকা দেয়া শুরু করা হবে। বাংলাদেশ সরকার যে আজগুবি টীকা দেয়ার তালিকা করেছে, সে তালিয়া ধরে বয়স্ক, বৃদ্ধ এদের বাদ দিয়ে টীকা পাবে সাংবাদিক, পুলিশ এরা। অল্প-বয়স্ক, যাদের ইমিউন সিস্টেম বেশি কার্যকর, তাদেরকে এই টীকা প্রথমে দিয়ে টীকা যেমন একদিকে নষ্ট হবে, এর কার্যকারিতা ইত্যাদি বিষয়ে কোন কিছুই ঠিকমত জানা যাবে না

প্রশ্ন আসতে পারে এস্ট্রাজেনকার ভ্যাক্সিন কেন সরাসরি বাংলাদেশ আনছে না। কারণ হচ্ছে ওরা যে ভ্যাক্সিন এখন বানাচ্ছে সেগুলো ইউকে সহ অনান্য দেশ আগেই কিনে নিয়েছে। কোভ্যাক্স এবং গ্যাভি এলায়েন্স (গরীব দেশগুলোতে ভ্যাক্সিন দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ) এরা এস্ট্রাজেনকা থেকে বিপুল পরিমাণে ভ্যাক্সিন কিনবে (সেটা সিরাম ইনস্টিউটেও তৈরি হতে পারে, অনান্য দেশেও)। সেখান থেকে ভ্যাক্সিন পেতে অনেক সময় লাগবে বাংলাদেশের।

এই বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ ৫ কোটির মত লোককে ভ্যাক্সিন দিতে পারবে (যদি না বাংলাদেশ এর মধ্যে চীন বা রাশিয়া থেকে আরো ভ্যাক্সিন কিনতে পারে)। এর সবটাই হবে এস্ট্রাজেনকার ভ্যাক্সিন (বা ভারতে তৈরি হওয়া কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন)। বাংলাদেশের প্রায় ১৫ কোটি প্রাপ্তবয়স্কের সবাইকে টীকা দিতে দিতে ২০২৩ সাল শেষ হয়ে যেতে পারে। সুতরাং সবাই সর্তক থাকুন, মাস্ক পরুন, এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় চলুন।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫০

পাকাচুল বলেছেন: আমজনতাকে কি এই টিকা কিনতে হবে নাকি বিনামূল্যে পাবে?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫২

বিডি আইডল বলেছেন: তিন কোটি ডোজ বিনামূল্যে দিবে-সে হিসেবে দেড় কোটি লোক পাবে বিনামূল্যে। এরপর সবাইকে কিনে দিতে হবে।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫৫

বিডি আইডল বলেছেন: পর্যায়-১ (এ) তে টীকা দেয়া হবে ৫২ লাখ লোককে
পর্যায়-১ (বি) তে দেয়া হবে ১ কোটি ২০ লাখ
পর্যায়-২ তে দেয়া হবে ১ কোটি ৭২ লাখ।

এ বছরের শেষ নাগাদ পর্যায় ২ শেষ করতে পারার সম্ভাবনা আছে।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫৬

বিডি আইডল বলেছেন: পর্যায়-১ (এ)
একেবারে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৫২ লাখ (মোট জনসংখ্যার ৩ শতাংশ) মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন সব সরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসাসেবায় সরাসরি জড়িত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা (অ্যাম্বুলেন্সচালক, পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ স্বাস্থ্যসেবায় জড়িত সব ধরনের স্বাস্থ্যকর্মী)। হিসাবমতে, এই সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। এরপর আছেন সব বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে (এনজিওসহ) সরাসরি কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় জড়িত সব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, যার সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। এরপর অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকবেন যেসব সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে নন-কোভিড সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী (স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও প্রশাসনিক কর্মী, লন্ড্রি ও কিচেন কর্মী, অফিস সহায়ক, চালক ও অন্যরা), যার সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার।

স্বাস্থ্যকর্মীদের পরপর একই ধাপে টিকা পাবেন ২ লাখ ১০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা, যাঁরা বয়োবৃদ্ধ বলে অধিক মৃত্যুঝুঁকিতে আছেন এবং তাঁরা এই দেশের গর্ব। জাতি হিসেবে তাঁদের সুরক্ষা সর্বাগ্রে নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পর অগ্রগণ্য তালিকায় রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের পরেই গুরুত্বপূর্ণ সব সম্মুখসারির কর্মীরা। বিশেষ করে যাঁরা ভিড়ের মধ্যে থেকে হাজারো মানুষের সংস্পর্শে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা হলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, আনসার, ভিডিপি। তাদের আনুমানিক সংখ্যা ৫,৪৬,৬১৯), সামরিক, আধা সামরিক ও প্রতিরক্ষা বাহিনী (আর্মি, নেভি, এয়ারফোর্স, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট। তাদের আনুমানিক সংখ্যা ৩,৬০,৯১৩)।

এরপরে অগ্রগণ্য তালিকায় আছেন প্রজাতন্ত্রের ৫ হাজার গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা (মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, জেলা প্রশাসক, ইউএনও)। এরপর পাচ্ছেন ৫০ হাজার সম্মুখসারির সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী। তালিকায় এরপরে আছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৯৮ জন জনপ্রতিনিধি (সাংসদ, মেয়র, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, কাউন্সিলর ইত্যাদি) এবং এরপরই আছেন সিটি করপোরেশনের প্রায় দেড় লাখ কর্মী, যাঁরা সরাসরি মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

পরের তালিকায় আছেন ৫ লাখ ৮৬ হাজার ধর্মীয় পেশাজীবী (ইমাম, মুয়াজ্জিন, চার্চ, মন্দির, বৌদ্ধমন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়ের ধর্মীয় পেশাজীবী)। এরপর ৭৫ হাজার দাফন ও সৎকারে যুক্ত কর্মী; গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, পয়োনিষ্কাশন, ফায়ার সার্ভিস ও পরিবহনব্যবস্থায় জড়িত কর্মী, যাঁদের সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। এরপর আছেন প্রায় দেড় লাখ বন্দরকর্মী, ১ লাখ ২০ হাজার প্রবাসী শ্রমিক, যাঁরা কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট দেশে ফিরে যাবেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরাসরি মানুষের সংস্পর্শে এসে কাজ করতে হয়, এমন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা (৪ লাখ) এবং ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬২১ জন ব্যাংক কর্মী। এ ছাড়া এই তালিকায় আরও আছেন ৬ লাখ ২৫ হাজার, যাঁদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম বা ইমিউনোকম্প্রোমাইজড রোগী (যেমন এইচআইভি, যক্ষ্মা, ক্যানসার ইত্যাদিতে আক্রান্ত), যাঁরা বিশেষ ঝুঁকিসম্পন্ন। এ ছাড়া বাফার রিজার্ভ হিসেবে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য জমা রাখা হবে প্রায় ৭৮ হাজার জনকে দেওয়ার মতো টিকা।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫৬

বিডি আইডল বলেছেন: পর্যায়-১ (বি)
প্রথম পর্যায়ের বি ধাপে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পর্যায়ে অগ্রগণ্য হবেন ৬০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সীরা। কারণ, এই বয়সীদের করোনাজনিত মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫৬

বিডি আইডল বলেছেন: পর্যায়-২
দ্বিতীয় পর্যায়ে ১ কোটি ৭২ লাখ মানুষকে (জনসংখ্যার ১১-২০ শতাংশ) টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত হবেন ৫৫ বছর বা তদূর্ধ্ব ব্যক্তি, যাঁরা আগের ধাপগুলোতে টিকা পাননি (৫৫,৬৬,৭৫৭ জন), বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্ত আরও ৩০ লাখ ২১ হাজার ৯৩৬ জন, সংক্রমণ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী (১৭,৮৮,০৫৩ জন), পূর্ববর্তী ধাপে অন্তর্ভুক্ত না হওয়া অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মী (৫০,০০০ জন), দুর্গম অঞ্চলগুলোর বাসিন্দা (১০,১১,২২৮ জন), ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী (১২ লাখ), গণপরিবহন কর্মী (৫ লাখ), হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ফার্মেসিতে কর্মরত ব্যক্তি (২,৪২,৯৬৪) এবং ৩৬ লাখ পোশাককর্মী। এর বাইরেও জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ৩ লাখ টিকা।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫৭

বিডি আইডল বলেছেন: পর্যায়-৩
তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় আসবেন আরও প্রায় ৩ কোটি ৪৫ লাখ মানুষ (জনসংখ্যার ২১-৪০ শতাংশ)। এই ধাপে অগ্রগণ্য হবেন শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, যাঁরা আগের ধাপে টিকা পাননি (৬,৬৭,২০৪ জন), অন্তঃসত্ত্বা নারী (যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিরাপদ ঘোষিত হয়), অন্যান্য সরকারি কর্মচারী, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, অন্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কর্মী, অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী, রপ্তানি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মী, কয়েদি ও জেলকর্মী, শহরের বস্তিবাসী বা ভাসমান জনগোষ্ঠী, কৃষি ও খাদ্য সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মী, বিভিন্ন ডরমিটরি নিবাসী, গৃহহীন জনগোষ্ঠী, অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মী; অন্যান্য গণপরিবহনের কর্মী, যাঁরা আগের ধাপে অন্তর্ভুক্ত হননি, ৫০-৫৪ বছর বয়সী ব্যক্তি, যাঁরা আগের ধাপে অন্তর্ভুক্ত হননি।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:৫৮

বিডি আইডল বলেছেন: পর্যায়-৪
চতুর্থ ও শেষ পর্যায়ে জনসংখ্যার বাকি ৪১-৮০ শতাংশকে অন্তর্ভুক্ত করতে আরও ৬ কোটি ৯১ লাখ ২৩ হাজার ৭৫৪ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এ ধাপে শিশু, কিশোর, স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী ও অন্যদের টিকার আওতায় আনা হবে।

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " তিন কোটি ডোজ বিনামূল্যে দিবে-সে হিসেবে দেড় কোটি লোক পাবে বিনামূল্যে। এরপর সবাইকে কিনে দিতে হবে। "

-বিনামুল্যে দেওয়া মানে কি? একটু ব্যাখ্যা করেন তো দেখি।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০২

বিডি আইডল বলেছেন: যারা টিকা নিবে, এদের থেকে সরকার কোন টাকা নিবে না। উপরের তালিকা ১ (এ) এবং (বি) দ্রষ্টব্য

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলাদেশের বাকি জনগন আগামী ইলেকশানে ভোট দেবে না এমন স্বিধান্তে আসা উচিত। ভোট ও দেব অত্যাচারিত ও হবো এটা মানা যায় না।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৯

বিডি আইডল বলেছেন: ৫% এর বেশি লোক তো ভোট কেন্দ্রে যায় না, বা যেতে পারে না। ৭০-৮০% যেখানে জাল ভোট পড়ছে গত ১০ বছর ধরে, যেখানে মানুষের ভোটাধিকার সম্পূর্ণ হরণ করা হয়েছে, সেখানে সামাজিক আন্দোলন না হলে মানুষ তার ভোটের অধিকার আর ফিরে পাবে না।

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আজ না কাল সরকার টিকা কিনার জন্য টাকা পাঠাবে ভারতে

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৪

বিডি আইডল বলেছেন: ভারত চায় টিকা পাঠানোর আগেই বাংলাদেশ তার অনুমোদন এবং আগাম দাম পরিশোধ করুক। সে হিসেবে এই সপ্তাহে দেড় কোটি ডোজের টিকার আগাম দাম পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম চালানে বাংলাদেশ ৫০ লাখ ডোজ পাবে (২৫ লক্ষ লোকের জন্য)। বাকী আড়াই কোটি টিকা আসবে ধাপে-ধাপে এবং কতদিন লাগতে পারবে সেটা কেউই জানে না।

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৬

সপ্তম৮৪ বলেছেন: আপনার এইসব তথ্যের সোর্স কি ?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৮

বিডি আইডল বলেছেন: পড়াশোনা ও রিসার্চ। আমি কোভিড ও ভ্যাক্সিন নিয়ে গত ১০ মাস ধরে নিয়মিত রিসার্চ আর্টিকেল এবং বিজ্ঞানীদের লেখা পড়ছি। বিদেশী নিউজ মিডিয়াতেও খবর আসে, তবে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা সাধারণত: অশিক্ষিত, বেকুব বলে সেইসব খবর বাদ দিয়ে কোন অভিনেত্রী দুধ আর জুস খেয়ে সময় কাটাচ্ছেন সেসব হেডলাইন নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪০

আতিকুররহমান আতিক বলেছেন: থাক ভাই আমাদের আর বাঁচতে হবে না। ভবিষ্যতে শুধু টিকা প্রাপ্তরাই ভোট দেক। এদিকে আমি এখনো ঠিক মত ঘর থেকে বের হই না ভ্যাকসিনের আশায়। আমার মনে হয় ২০২৩ এর আগে আর বের হওয়া হবে না।
কারন আশেপাশে যারেই দেখি বেশীর ভাগই মাস্কটা খুলে কাশি দিয়ে থুথু ফেলে আবার মাস্ক লাগিয়ে চলে যায়

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৬

বিডি আইডল বলেছেন: ভ্যাকসিনের আশায় বসে থাকলে চলবে না। তাছাড়া ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার মেয়াদও কেউ বলতে পারছেন না। কোন এলাকার ৮০-৮৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত 'হার্ড ইমিউনিটি' পাওয়াও সম্ভব নয়। বাংলাদেশের মতো দেশে কবে সবাই ভ্যাকসিন পাবে তাও নিশ্চিত নয়। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে৷ মাস্ক পরার অভ্যাস করতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। হাত ধুতে হবে। সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেই সাথে টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। 'কেইস ইনভেস্টিগেশন' 'কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং' নিয়মিত করতে হবে।

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটি পোষ্ট দিয়েছেন। আমি আশাবাদী।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৮

বিডি আইডল বলেছেন: আশায় আজ আপাতত জল ঢেলে দিয়েছে ভারত

৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল।
মডারেটর আপনার পোস্টের এ্যাড দিয়েছেন গ্রুপ পেজে। সেটা দেখেই পড়তে আসলাম।
আপনার পোস্ট ভালো হয়েছে। প্রতি মন্তব্যগুলি আরো ভালো হয়েছে।
তবে এইধরণের লেখার জন্য তত্থ্যসূত্র লাগে বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য।
এই লেখা পড়ে মনে হচ্ছে বেশি কিছু লেখা থেকে ডাটা নিয়ে আপনি লিখেছেন। লেখা নীচে সেই সূত্রগুলি উল্লেখ করুন।
আমি ভারতীয় এই টিকার মান নিয়ে সন্দেহ পোষন করছি। কিছুদিন আগেই ভারতে একজন এর বিরুদ্ধে কেস করেছে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলার জন্য। প্রায় ৫ কোটি রুপির মামলা। এখানে এটা থাকলে ভালো হতো।
ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৯

বিডি আইডল বলেছেন: অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনকার টিকার বিশ্বব্যাপী ফেজ ৩ ট্রায়ালের সময় ২ জন লোকের এই নিউরিলজিক্যাল সমস্যা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী এর ট্রায়াল বন্ধ রাখা হয় বেশ কিছুদিন এ কারণে। আমেরিকার ঔষুধ প্রশাসন ফিডিএ পরবর্তীতে সব ডাটা পরীক্ষা করে ট্রায়াল পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়। ভারতের মামলা বিষয়টি আমি দেখেছি। ওই ২ জনের একজন এই লোক কিনা আমার জানা নেই। বড় আকারের ট্রায়ালের নানা ধরণের শারিরীক বিষয় আসতে পারে। দেখার মূখ্য বিষয় হচ্ছে বিষয়টার সাথে টিকার কোন সম্পর্ক আছে কিনা। এখন পর্যন্ত যেসব ডাটা দেখা যাচ্ছে, তাতে টিকার উপাদানে এই ঘটনা ঘটার মত কোন উপাদান নেই। এই টিকা তৈরি হয়েছে খুবই নীরিহ একটা ভাইরাস প্রোটিন থেকে। এই বিষয়ে বিস্তারিত পড়ার আগ্রহ থাকলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটা চমতকার আর্টিকেল আছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.