নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর শিরোনামের কিছু নাই। সুন্দর মানুষের সুন্দর শিরোনাম থাকে। আমারে আমি একটা কুকুরের থেকে বেশী কিছু ভাবি না। যেদিন মানুষ বলে ভাববো নিজেকে সেদিন বরুণাকে নিয়ে কিছু লিখবো।

ঠেলাগাড়ির পাইলট

অশ্বডিম্ব

ঠেলাগাড়ির পাইলট › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছেলেটি-মেয়েটি

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

বাবা তুমি আজ যখন বাজারে যাবে তখন মনে করে গরুর মাংশ,পোলাওর চাল,জয়ফল নিয়ে আসবে মনে করে। বাকি সব ঘরেই আছে।
মেয়ে অনির মুখে কথাটা শুনে কিছুটা অবাক হয়েই সিদ্দিকুর সাহেব প্রশ্ন করলেন,”তুই এগুলো দিয়ে কি করবিরে অনি?”।
বিরিয়ানী রান্না করবো বাবা।
তুই বিরিয়ানি রান্না করবি?
হু।
তুই তো ভাত ও রান্না করতে পারিস না বিরিয়ানী রান্না করবি কিভাবে?
রেসিপি পেয়েছি। আর আম্মু তো সাথেই আছে। সে সাহায্য করবে। মনে করে এনো কিন্তু।
আচ্ছা বলে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন সিদ্দিকুর সাহেব। প্রফেসর মানুষ।
ওদিকে অনির বিরিয়ানী রান্না নিয়ে সে কি এক্সাইটেড। কিভাবে কি করবে।
মিসেস সিদ্দিকা বললেন আজ হঠাত বিরিয়ানী রান্না করবি।
এইতো আম্মু এক বন্ধুকে দাওয়াত দিয়েছি।
কাকে? মুনিরা?
না আম্মু। এক বন্ধু মেসে থাকে।
মেস! ছেলে না মেয়ে?
ছেলে আম্মু। নাম রেজা।
রেজা। তোর কি মাথা খারাপ? তোর বাবা কি করবে চিন্তা করেছিস? ছেলের বাবা কি করে?
ছোটখাটো এক দোকান আছে।
মানে দোকানদার এইতো?
হ্যা।
এখুনি ফোন দিয়ে না করে দে।
ওর তো মোবাইল নস্ট আম্মু।
দাওয়াত দিয়েছিস কিভাবে তবে?
ওর মেসে গিয়ে?
মেসে। তুই ওর মেসেও গিয়েছিস?
হ্যা আম্মু।
এক্ষুনি ওর মেসে গিয়ে না করে দিয়ে আয়।
এখন তো ও মেসে নেই। ও একটা চাকরি করে। চাকরি শেষে আজ আমাদের এখানে আসবে। আজ ওর জন্মদিন। বিরিয়ানী ওর সবচেয়ে প্রিয় খাবার। তাই বিরিয়ানী রান্না করতে চেয়েছি।
ফোপাতে ফোপাতে বললো অনি।
এতো কিছু বুঝি না। আসবার সময় হলে গেটে গিয়ে দাঁড়িয়ে না করে দিবি। তোর বাবা দেখলে কেয়ামত হয়ে যাবে।
আচ্ছা।


দুইটার দিকে হেলতে দুলতে আসতে লাগলো রেজা। রংচটা এক জিন্স আর তিন চার বছরের পুরনো এক লাল শার্ট গায়ে। তবুও কি সুন্দর দেখাচ্ছে ছেলেটাকে।
বিরিয়ানী রান্না কি হলো? খুব খুদা লেগেছে অনি। চলো খাবো। তোমার আব্বু আম্মু রাগ করবে নাকি?
অনি বললো । বাসায় আজ তোমাকে নেয়া যাবে না। বেতনের টাকা পেয়েছো?
হ্যা পেয়েছি। একটা শার্ট কিনো নতুন আর ভালোমন্দ কোন হোটেল থেকে কিছু খেয়ে নিও কেমন?
আচ্ছা। এই বলে মুখটা কালো করে হেটে চলে গেলো রেজা।
আর অনি বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে বসে কাদতে লাগলো চুপ করে।
আর রেজা!!
রেজা তখন মিরপুর দশ নাম্বার মোড়ে স্টেডিয়াম এর সামনে এক দোকানে বসে বাসি তেহারি খেতে লাগলো। আজ একটু ভালোমন্দ খাওয়া উচিত। আজ যে তার জন্মদিন।


বিঃদ্রঃ হুমায়ন স্যারের "আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ" ছোটগল্পটার আদলে লেখা। খুব ভালো লেগেছিলো গল্পটা।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫১

ঠেলাগাড়ির পাইলট বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: আজ দুপুরে তোমার আমন্ত্রণ গল্পটা অসাধারণ একটা গল্প। ব্যতিক্রমী! এমনভাবে কেউ আগে লিখেনি।

আপনার লেখাটায় অনেক চেষ্টা আছে কিন্তু কিছু কম। চালিয়ে যান। ভালই লেগেছে তবে আরো ভাল হবে আশা করেছিলাম। বিশেষ করে শুরুটা পড়ার পর।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৯

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: খুব ভাল লাগলো গল্পটা
আর সাথে একটু মন খারাপ ও হল আমাদের বিচারের মানদন্ডের জন্য :(

সত্যি বাস্তব জীবনে সবাই ছেলে মেয়েদের সম্পর্ক কে এই ভাবেই বিচার করে।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২২

বিপরীত বাক বলেছেন: বিরিয়ানি খেতে এসে যে শেরওয়ানী গায়ে তুলবে।। সেটাই বাস্তব।। আর সত্য আরও কঠিন।। ওই শেরওয়ানী র টাকা র চাহিদা মিটাতে মিটাতে বিরিয়ানি রাধুনী একসময় ছবিসহ পেপারে শিরোনাম হবে।। পত্রিকা খুললে এসব ঘটনা প্রচুর দেখা যায়।।

সবজায়গায় মায়া দেখাতে নেই।। তাহলে ছায়া হতে সময় লাগবে না।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.