নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অটোমান সাম্রাজ্য কিংবা এর সমরনায়কদের নিয়ে খুব কম মুভিই বানানো হয়েছে। এর কারন হিসেবে বলা যায় ইউরোপিয়ানদের নিজেদের পৃথিবী বিখ্যাত হিসেবে দেখানোর চিন্তাভাবনা। ইউরোপিয়ানরা কখনই চায় না প্রকাশ করতে যে তারা বিংশ শতাব্দীর আগে পৃথিবীর প্রায় সব জায়গাতেই মার খেতো বা হেরে যেতো।
আপনারা যারা কমবেশী বইপত্র পড়েন কিংবা ইতিহাস নিয়ে আগ্রহ আছে তারা প্রায় সবাই সুলতান মেহমুদের নাম জানেন।
মুভিটা মুলত সুলতান মেহমুদের কনস্টান্টিনোপল বিজয় নিয়ে নির্মিত। মাত্র একুশ বছর বয়সে উনি কনস্টান্টিনোপল জয় করেন। এর ফলে রোমান সাম্রাজ্যের পতন হয়।।
কনস্টান্টিনোপল জয়ের সময় উনি ছিলেন শুধু নিজের সৈন্য নিয়ে। অপরদিকে রোমানদের সাথে ছিলো ল্যাটিনরা এবং ভ্যাটিক্যানের পোপের সাপোর্টে সারা বিশ্ব থেকে আসা অসংখ্য খ্রিষ্টান।
কনস্টান্টিনোপল জয়ের পথে উনি যেসব সিদ্ধান্ত নেন তার ফলে তাকে এখনো বিশ্বের সবচেয়ে সেরা সমরঅধিনায়কদের একজন বলে মেনে নেয়া হয়।
তার সবচেয়ে অবাক করা কৌশল ছিলো,"রোমানদের গোল্ডেন হর্ন প্রণালী পার করতে গয়ে যখন তিনি বার বার ব্যার্থ হচ্ছিলেন তখন তিনি এক রাতে তার ৩২০ টি জাহাজ ( আমি নিজেও কনফিউশনে আছি তবে উইকি ঘেটে এই সংখ্যাটাই পেলাম । কেউ সঠিক সংখ্যা জানলে রেফারেন্স সহ জানাবেন ) পানি থেকে তীরে উঠিয়ে গোল্ডেন হর্ন প্রণালী পার করে রোমানদের সীমানায় নিয়ে যান"।
তারপর সুলতান মেহমুদ বিখ্যাত কামান শিল্পী "উরবান" কতৃক নির্মিত বিশাল কামান ধারা কনস্টান্টিনোপল এর প্রায় দুর্ভেধ্য দেয়াল ভেংগে ফেলেন । যা ছিলো প্রায় কয়েকশ বছর ধরে অজেয় এবং রোমানদের গর্বের প্রতীক।
অবশেষে সুলতান মেহমুদ মাত্র ২১ বছর বয়সে রোমানদের পতন ঘটান এবং অটোমান সাম্রাজ্য আরো বিস্তৃতি করেন।
সুলতান মেহমুদ কনস্টান্টিনোপল এ প্রবেশ করে অধীবাসিদের তাদের ধর্মই পালন করতে বলেন এবং তাদের সম্পদ তাদেরকেই ব্যাবহার করতে বলেন এবং কোন শাস্তি না দিয়ে মানবতার এক দুর্দান্ত উদাহরন সৃষ্টি করেন।
আসলে মুভি রিভিও না সুলতান মেহমুদ নিয়ে লিখছি বুঝতে পারছি না। তার কারন মুভিটাই সুলতান মেহমুদকে নিয়ে।
ব্যাক্তিগত ভাবে মুভিটা আমার খুবই ভালো লেগেছে।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে সুলতান মেহমুদ মুসলিমদের নিয়ম অনুসারে রাতে যুদ্ধ বন্ধ রাখতেন এবং যেদিন কনস্টান্টিনোপল জয় করলেন সেদিন সকল সৈন্য নিয়ে নিজে ইমামতি করে ফজরের নামাজ আদায় করলেন এই দৃশ্যটা দেখে আমার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো।
এবং সবচেয়ে কস্ট লাগলো হাসান এবং ইরার পরিণতি।
মুভি নামঃ Fetih 1453
দেশঃ তুরস্ক
দৈর্ঘ্যঃ দুই ঘন্টা ৪২ মিনিট।
রিলিজ ইয়ারঃ ২০১২
আই এমডিবি রেটিংঃ ৭.২/১০
ব্যাক্তিগত রেটিংঃ ৮/১০
টরেন্ট লিংকঃ https://goo.gl/dHt94n
( সত্যি বলতে এটা কোন মুভি রিভিও হলো না। তবে যাই হোক না কেনো যাদের ইতিহাসে আগ্রহ আছে তারা এই মুভিটা দেখলে সময় নস্ট হবে না বলে গ্যারান্টি দিতে পারি। )
যাদের সুলতান মেহমুদকে নিয়ে আগ্রহ আছে তারা এটা পড়তে পারেনঃ https://goo.gl/HgfazJ
২| ০৮ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:০৯
খরতাপ বলেছেন: রাসুল (সঃ) ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন যে কোন একজন নবীর নামে নাম - এরকম একজন বীরের হাতে কন্সটানটিনোপলের পতন হবে। তার সেই বাণীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে এর আগে উমাইয়া সেনাপতি মুসা এবং আব্বাসীয় সেনাপতি সুলাইমান অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হন। অবশেষে উসমানিয়া সুলতান মুহাম্মদ সফলতা লাভ করেন বিপুল ক্ষয় ক্ষতি স্বীকারের পর। তাকে এখানে মেহমুদ নামে চিহ্নিত করা আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইতিহাস এদেরকে পেছনের সারিতে নিয়ে গেছে; এখন কেনেডী, লিংকন, গান্ধী, মারকেলদের সময়