নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর শিরোনামের কিছু নাই। সুন্দর মানুষের সুন্দর শিরোনাম থাকে। আমারে আমি একটা কুকুরের থেকে বেশী কিছু ভাবি না। যেদিন মানুষ বলে ভাববো নিজেকে সেদিন বরুণাকে নিয়ে কিছু লিখবো।

ঠেলাগাড়ির পাইলট

অশ্বডিম্ব

ঠেলাগাড়ির পাইলট › বিস্তারিত পোস্টঃ

The Hitman\'s Bodyguard (মুভি রিভিও)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

মুভি : The Hitman's Bodyguard
রিলিজ ডেট: 18 August 2017


যদি হলিউড মুভির হেটার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার কাছে মুভিটা লাগবে বাংলা মুভির কাহিনীর মত। যেখানে একজন ভিলেইন থাকে । যার বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ স্বাক্ষী দিতে চায় না। কিন্তু একজন সৎ মানুষ ভিলেইনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিতে যায় । সেই সময় ভিলেইনের অনুসারিরা এসে সেই সৎ মানুষ এবং তার পরিবারের সবাইকে হত্যা করে। :p
যাই হোক আসল কাহিনীতে আসি।

মুভিটা শুরু হয় মুলত মাইকেল ব্রাসকে দিয়ে যিনি কিনা একজন বডিগার্ড। বিশাল এমাউন্ট ফি নিয়ে তার মক্কেলদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।
একটা দুর্ঘটনার ফলে মাইকেল ব্রাসের এক মক্কেল নিহত হন। যার ফলে মাইকেল ব্রাস তার এলিট স্ট্যাটাস হারায়।

তারপর দেখা যায় বেলারুশের স্বৈরশাসক "ভ্লাদিস্লাব দুখোভিচকে"। সারা দেশে গণহত্যা চালানো,তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই তাকে শাস্তি প্রদান ইত্যাদি ইত্যাদি। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হয়।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে কেউ স্বাক্ষ্য দিতে আসলেই সে নিহত হয়ে যায়। ইন্টারপোল এই ব্যাপারে কিছুই করতে পারছে না।

তারপর দেখা যাবে "দারিয়ুস কিনকেইড" নামের এক হিটম্যানকে । যে কিনা আড়াইশ খুন করে গর্ববোধ করে । তার ভাষ্যমতে সে কোন ভালো মানুষকে হত্যা করেনি। :3

দারিয়ুস কিনকেইড দুখোভিচের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিতে রাজী হয় তার স্ত্রী "সোনিয়া কিনকেইড" কে ইন্টারপোল নিঃশর্তে মুক্তি দিবে এজন্য।
ইন্টারপোল থেকে একদল এলিট ফোর্স দারিয়ুসকে নিরাপত্তে দিয়ে আমস্টারডম এ আদালতে নিয়ে যাবে। যাওয়ার পথে সেখানে হামলা চালানো হয়। অথচ এই ঘটনাটা কারোরই জানার কথা না। সেই এলিট ফোর্সের প্রধান ক্যাপ্টেন এ্যামেলিয়া বেচে যায় শুধু আর সাথে দারিয়ুস।
দুয়ে দুয়ে চার মেলাতে সময় লাগে না। অর্থ্যাত সর্ষের মধ্যেই ভুত। স্বয়ং ইন্টারপোলের মধ্যেই আছে দুখোভিচের গুপ্তচর।
তাই এ্যামেলিয়া কাওকে কিছু না বলে দারিয়ুসকে নিরাপদে আমস্টারডমে পৌছে দেবার দায়িত্ব দেয় মাইকেল ব্রাসকে। যিনি কিনা তার হারানো এলিট স্ট্যাটাস দিরে পেতে মরিয়া।

মাইকেল ব্রাস এবং দারিয়ুস যাত্রা করেন আমস্টারডমের উদ্দেশ্যে। তাদের পিছনে রয়েছে দুখোভিচের সন্ত্রাসীরা। আরো রয়েছে ইন্টারপোলের পুলিশেরা যারা কিনা জানে দারিয়ুস পালিয়েছে।

এদিকে নির্দিস্ট সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক আদালতে দুখোভিচের বিরুদ্ধে দারিয়ুস স্বাক্ষী না দিলে দুখোভিচ আবার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আত্বপ্রকাশ করবে।

তারা দুজন কি পারবে নিরাপদে আমস্টারডমে আন্তর্জাতিক আদালতে পৌছুতে???

ব্যাক্তিগত পর্যালোচনাঃ পুরো মুভিটা হিউমারের ছড়াছড়ি। একের পর এক হিউমার সমৃদ্ধ ডায়লগ। মাইকেল ব্রাস চরিত্রে আমাদের "ডেডপুল" রায়ান রেনোল্ডস। দারিয়ুসের স্ত্রী সোনিয়া ক্লিনক্লেইড চরিত্রে সালমা হায়েকের হিংস্র অভিনয়। যদিও তা অল্প সময়ের জন্য। দুখোভিচ ক্যারেক্টারে লিজেন্ডারি অভিনেতা আমাদের প্রিয় গ্যারি ওল্ডমেন।
এবং যার কথা না বললেই নয়। এবং যিনি কিনা এই মুভিতে আমার ব্যাক্তিগত মতে সবচেয়ে সেরা অভিনয় করেছে। দারিয়ুস ক্যারেক্টারে আমাদের "নিক ফিউরি" স্যামুয়েল এল জ্যাকসন। যার প্রতিটা ডায়লগই ছিলো অসাধারণ এবং হিউমারসম্পন্ন। বিশেষ করে মুভির শেষের দিকে যখন সে দুখোভিচের গণহত্যার প্রমাণ দিতে গিয়ে বলেঃ
Samuel L Jackson: Go To FTP site Raven 257
clerk: we have confirmed. password?
Samuel L Jackson: Dukhovich Is a DI*K,all capital letters . Except "di*k"

এই ডায়লগ আর স্যামুয়েল সাহেবের বলার ভংগিতে হো হো করে হেসেছি।

পুরো মুভিতে স্যামুয়েল সাহেব অসাধারণ অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে "মাদা*ফা*র" ডায়লগটাকে উনি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। :v :v
একশান,কমেডি ঘরানার এই মুভিটা দেখতে পারেন। সময় নষ্ট হবে না বলে গ্যারান্টি দিচ্ছি। কাহিনী এতো আহামরি না হলেও হিউমার এর জন্য দেখতে পারেন।


IMDB Link




IMDB Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.