নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেন্ডার ও আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট (সতর্কীকরন বিজ্ঞপ্তি : ইহা একটি জ্ঞানী পোস্ট, একমাত্র যাদের জ্ঞান বাড়াইতে চাহেন তারাই ঢুইকেন, অন্যরা ঢুইকা অযথা ক্যাচাল বাড়াইড়েন না)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

জেন্ডার ও আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট

লিখার শিরোনামটা যতটা খটখটে বিষয়টি কিন্তু ততটা খটখটে নয়। কারন "জেন্ডার" শব্দটা শুনলেই সবাই যেন কেমন কটমট চোখে তাকায়। যেন মনে করে এই বুঝি নারী অধিকার নিয়ে আন্দোলনরত কিছু উগ্র মহিলা স্বামী সংসার ছেড়ে রুগ্ন কিছু মহিলাকে ব্যানারের সামনে দাঁড় করিয়ে নতুন কোন ফন্দি আটছে। ভাই-বোনেরা একটু দম নেন। আসুন জেনে নেই জেন্ডার বিষয়ক কিছু বেসিক টার্ম।

জেন্ডার কি এবং কেন?

"Gender refers to the socio-cultural definition of man and woman; the way societies distinguish men and women and assign them social roles". সহজভাবে বলা যায়, জেন্ডার হচ্ছে সামাজিকভাবে গডে ওঠা নারী-পুরুষের পরিচয়, সামাজিকভাবে নির্ধারিত নারী-পুরুষের মধ্যকার সম্পর্ক, সমাজ কর্তৃক নির্ধারিত নারী-পুরুষের ভূমিকা, যা পরিবর্তনশীল এবং সমাজ, সংস্কৃতি, স্থান ও কাল ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। অর্থ্যাৎ জেন্ডার মানেই কিন্তু নারী অধিকার নিয়ে চিৎকার নয়। সমাজে যাতে চির-বিপরীত দু'টি চরিত্র সহঅবস্থানে, সুন্দরভাবে, সন্মানীতভাবে বাস করতে পারে তার ধারনা দেয় মাত্র।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এ পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবস্থান যেহেতু অনেক অনেক দূরে তাই জেন্ডার শব্দটার কিছুটা সুবিধাভোগী কিন্তু মেয়েরা। তাই বলে পুরুষের দু:খ পাওয়ার ও আবশ্যকতা নেই কারন জেন্ডার রাতারাতি মাতৃতান্ত্রিক সমাজকে ও স্বীকৃতি দেয় না। শুধুমাত্র সহঅবস্থানে, সুন্দরভাবে পরিবেশের প্রতি জোর দেয়।


বাস্তবতা ও আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট !

৫০ ভাগ নারী শিশুর এ হতদরিদ্র দেশে যেখানে অর্ধেক পরিবারেরই প্রধান সংগ্রাম দৈনিক খাদ্য জোগাড় সেখানে জেন্ডার শব্দটা সত্যিই বিলাসিতা। তারপরও এ বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা আছে কারন শিক্ষিত অশিক্ষিত সবার মাঝে যখন এটি ছড়িয়ে পড়বে তখন নিজের অজান্তেই একটা সচেতনতা বাড়বে সমাজে। আর এ সচেতনতাটাই পারবে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে, মেয়ে শিশুদের সত্যিকারের শৈশব গড়তে।

আর সত্যিকারের এ সচেতনটা কিন্তু তৈরী হতে হবে পরিবার থেকেই। তারপর তা ছড়িয়ে পড়বে সমাজে। যেমন, আমার পরিবারে যখন দেখবো আমার মা'কে সন্মান করছে আমার বাবা সহ পুরো পরিবার, পরিবারের যেকোন বিষয়ে সমানভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে, তাঁর মতামতকে প্রাধান্য দিচ্ছে। তাহলে সন্তানরা ও সেভাবে মা'কে সন্মান করতে শিখবে, মা'কে সমানভাবে গুরুত্ব দিবে। একটা সামাজিক ভারসাম্য তৈরী হবে, পরবর্তীতে সে সন্তানরা তাদের সন্তানদেরও একই শিক্ষা দিবে। পরিবারের কন্যা সদস্যদের সন্মান না করে বা মূল্যায়ন না করে কি কোন পরিবার ভালো থাকেতে পারবে? না পারবে না, পারতে পারে না।


মেয়ে শিশু ও জেন্ডার বৈষম্য:

সত্যিকারে এখন সামাজিক পেক্ষাপটে মেয়ে শিশুরা একটা ভালো অবস্থানে আছে। কারন রাস্ট্র যেমন তাদের ফ্রি শিক্ষার সুযোগ দিয়ে সমাজে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরীতে সাহায্য করেছে তেমনি অনেক এনজিও সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু এর বিপরীত চিত্র ও সমাজে আছে। এখনো সমাজে মেয়েরা অবহেলা বা বৈষম্যর স্বীকার প্রতিটি ক্ষেত্রে, কি পরিবারে, কি রাস্তা-ঘাটে, কি স্কুল আদালতে, কি অফিসে। প্রতিদিনের দৈনিক প্রত্রিকা খুললেই অসংখ্য নারী নির্যাতনের খবর চোখে পড়ে।

কিছুদিন আগে টিভি জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব আব্দুর নুর তুষার তাঁর এক লিখায় এক ষাটোর্ধ রোগীর গল্প বলছিলেন যেখানে রোগীটি ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধরত। তাঁকে ডাক্তার এক পর্যায়ে জিঙ্গাসা করছিল কিছু খেতে মন চায় কিনা। উত্তরে রোগীটি বলেছিল, "বাবা, দুঙ্গা ভাত মুরগীর ঝোল দিয়ে খাইতে চাই, সেই ছোডকালে খা্ইছিলাম মা'য়ের কাছে আর খাইনি এতো বছরে"। কৈাতুহলী ডাক্তার জানতে চাইলো কেন স্বামীর বাড়িতে খাননি? বৃদ্ধার উত্তর, "না বাবা, বাড়ির ছেলেরা খাওনের পর তো আমাগো বউ ঝিদের কিছুই ঝুটতো না"।

হাঁ, আমাদের এ অভাগা দেশে সমাজ মেয়েদের সবচেয়ে অবহেলিত প্রাণিই মনে করে। আর বিপরীতে বাড়ির বউ ঝিরা দিনের পর দিন অর্ধ পেটে অভুক্ত থেকে পরিবারের ছেলেদের খাইয়ে গেছেন। এতে মেয়েরা দু:খিত? উত্তরটা হলো, "না", মেয়েরা পরিবারের ছেলেদের খাইয়েই খুশি। তাহলে পরিবারের ছেলে সদস্যারা কি একবার ও ভেবেছে আজ ভালো খাবারটা আমি না খেয়ে আমার মা কিংবা বউ খেয়ে নিক। না ভাবেনি কারন তারা ভেবে নিয়েছে এটাই তাদের প্রাপ্য, এটাই নিয়ম। কিন্তু নিয়মটা কে বানিয়েছে? উত্তর মেয়েরা, কারন মেয়েরা ভালোবাসা থেকে এ নিয়ম বানিয়েছে আর তার বিনিময়ে কি কিছু পেয়েছে। না পায়নি, কারন সমাজ তাকে বলেছে পরিবারের সেক্রিফাইসটা মেয়েরাই করে, সন্তান পালন মেয়েরাই করবে, আয় বা সম্পদ সবই হবে পুরুষদের করায়ত্ব, পরিবারে যেকোন সিদ্ধান্ত নেয়ার কাজটি একমাত্র পুরুষ সদস্যদের, কষ্ঠ মেয়েরাই ভোগ করে, মেয়েদের চাকরী করা বা ছাড়ার সিদ্দান্তটি ও একান্তই পুরুষ সদস্যের। তাইতো জেন্ডার শব্দটি এসেছে, মেয়েদের ও যে কিছু পাওয়ার আছে তাই, মেয়েদের প্রতি বৈষম্যকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্য, মেয়েদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।


রাষ্ট্র ও জেন্ডার !

১৯৭৯ সালের ৮ই ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে গৃহীত হয় নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণ বিষয়ক সনদ বা কনভেনশন। ইংরেজীতে একে বলে, "CEDAW (Convention of the Elimination of All Forms of Discrimination Against Women)"। বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালের ৬ই নভেম্বর সিডও কে অনুমোদন করে স্বাক্ষর করে। যা একটি মাইলফলক এবং এরপর থেকে মূলত নারীর প্রতি বৈষম্য বিষয়টি সামনে আসে ও প্রতিকার নিয়ে রাষ্ট্র ও এগিয়ে আসে। পরবর্তীতে দাতা ও বিভিন্ন সংস্থা, উইমেন্স ও জেন্ডার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে যা।


আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট কিছু করণীয় !

বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটে নারী বিষয়ে অনেক বেশী সচেতন পরিবার তথা সমাজ। বিশেষ করে শিক্ষিত সমাজ এখন মেয়ে সন্তানকে আশীর্বাদ হিসেবেই দেখে। কিন্তু সমাজের রুটে বা একেবারে সমাজের মূল স্রোতে এখনো এ সমস্যা রয়ে গেছে যার কারনে ইভ টিজিং, পারিবারিক ভায়োলেন্স বা চাকরী ক্ষেত্রে বৈষ্যম্য দেখা যায়।

এ সমস্যা কোনক্রমেই রাতারাতি বদলানো সম্ভব নয়। আগেই বলেছি পরিবারই সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে; যেমন আমার ছেলে সন্তানটি যখন কোন মেয়েকে টিজ করবে তখন প্রথম শাসনটা আমার কাছ থেকেই আসতে হবে এবং তারপর সমাজ বা রাস্ট্র তার ভার নিবে। আর আমি যদি অন্ধের মতো এক পাক্ষিক হই তাহলে নারীর প্রতি সহিংসতা শুধু বাড়তেই থাকবে।

তারপর এগিয়ে আসতে হবে সমাজকে। একটি মেয়েকে সন্মান দিলে সমাজপতির সন্মান বাড়বে বৈ কমবে না এ সত্যটা উপলব্ধি করতে হবে, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আবারো উদাহরন দেই, পত্র-পত্রিকায় দেখা যায় গ্রামে প্রায় সালিশের ঘটনা ঘটে কিন্তু সে বিচার হয় এক পাক্ষিক। সেখানে মেয়েদের কিছুই বলতে দেয়া হয় না্। এতে দিন দিন সামাজিক অস্থিরতা বাড়ে। সঠিক বিচার না হবার কারনে যে অপরাধী সে ছোট থেকে বড় আপরাধে জড়িয়ে পড়ে আর সমাজ হয়ে পড়ে ভারসাম্যহীন।

সবার শেষে বলবো রাস্ট্র এগিয়ে আসতে হবে সর্বোতভাবে। কারন রাস্ট্রের পৃষ্ঠপোসকতা ছাড়া কোন বৈষম্যই দূরীকরণ সম্ভব নয়। উপযুক্ত আইন, কঠোর তার প্রয়োগ ও ব্যাপক প্রচারই পারে নারীর প্রতি বৈষম্য, সর্বোপরি সহিংসতা কমাতে। একটি কথা মনে করিয়ে দিতে চাই মেয়েরা তার প্রাপ্য সন্মান পেলে তার সুবিধা মেয়েটি একলা ভোগ করবে না এ সুবিধা ভোগ করবে পুরো সমাজ বা জাতি।

তাই আসুন, সবাই নারীর প্রতি বৈষম্য বন্ধে এক হই, তাহলেই এ সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা কমবে ও জেন্ডার সাম্যতা আসবে এবং সমাজ হবে সুন্দর, রাস্ট্র হবে সার্থক।


সোহানী
এপ্রিল, ২০১৫
http://www.somewhereinblog.net/blog/belablog


সূত্র সমূহ:

১) সিডও এবং বাংলাদেশ- বেলা নবী ও শাহীন রহমান (প্রকাশক: স্টেপস্ টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট, প্রকাশ:১৯৯৬)
২) Understanding Gender by Kamla Bhasin (Publisher: Pauls Press, 2000)
৩) জেন্ডার পলিসি- কেয়ার বাংলাদেশ
৪) জেন্ডার ও সমতার অভিমুখে- আইসিডিডিআরবি
৫)নারীবাদ বিষয়ে কিছু প্রশ্ন এবং দক্ষিন এশিয়ায় এর প্রাসঙ্গিকতা - কমলা ভাসিন ও নিঘাত সাঈদ খান (প্রকাশক: প্রশিকা, প্রকাশ:২০০২)

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

আরজু পনি বলেছেন:
:)
ভালো লাগা রইল ।
অনেক ধন্যবাদ, সোহানী ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আরজুপনি . অনেকদিন পর আপনার দেখা পেলাম !!!

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় লেখা।

অনটপিকঃ বোকা মানুষ বলে জ্ঞান বাড়াতে পোস্টে ঢুঁকে পড়লাম। ইয়ে, ক্যাচাল করার সিস্টেম নিয়ে কোন পোস্ট নাই। থাকলে ক্যাচাল শিখে এই পোস্টে ক্যাচাল করতাম। =p~ =p~ =p~

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৭

সোহানী বলেছেন: ক্যাচালতো আমি অলরেডি লাগায়ে এসেছি আপনার পোস্টে !!!! হিহিহিহিহিহি..........

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪২

জটায়ু. বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন সুহাসী আপু। +++++ দিয়ে গেলাম।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জটায়ু......... সত্যজিত আবার মনে করিয়ে দিলেন.............

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: ভাললাগা রেখে গেলাম । আর একটু সট হইলে ভাল হইতো। শুভকামণা রইল।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

সোহানী বলেছেন: ঠিক বলেছেন ফেসবুক ভাই। লিখাটা আসলে সামুর জন্য না, ডি ইউ এর এ্যালাইমনাই এ লিখেছিলাম। ইদানিং লিখার সময় পাই না তাই ফাকিঁবাজি করি....... আগের লিখা পোস্ট করি.......... এইজন্যই জ্ঞানীপোস্ট বললাম..........

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

রিকি বলেছেন: আপু কেমন আছেন। পোস্ট অনেক অনেক ভাল লেগেছে :) :) :) :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

সোহানী বলেছেন: ভাইরে ১৮০ মাইল স্পিডে দৈাড়াচ্ছি........ মাঝে মাঝে সামুতে এসে দম নেই আর কি...............

অনেক অনেক ধন্যবাদ...............

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


১৮০ মাইল স্পিডে দৈাড়ানোর পরেও যে কিছুটা দম নিয়ে এত ভাল একটা পোষ্ট দিয়েছেন এইজন্য খুব ভাল লাগছে।

তবে আপা এখন কিন্তু সময় বদলেছে। এখন অনেক কিছু থেকে বরং পুরুষরাই পিছিয়ে। :(

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৩

সোহানী বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ দিয়ে নেই তারপর না হয় তর্কে আসি.....

সময় বদলেছে এবং পুরুষরা ও অনেক কিছুতে পিছিয়ে তা ও ঠিক। তারপরও সামগ্রিক বৈষম্যে মেয়েদের জন্য যে আরো সমতা দরকার... সেটি শুধু তৃতীয় বিশ্বে নয় প্রথম বিশ্বের জন্য ও প্রযোজ্য।

৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//তাঁকে ডাক্তার এক পর্যায়ে জিঙ্গাসা করছিল কিছু খেতে মন চায় কিনা। উত্তরে রোগীটি বলেছিল, "বাবা, দুঙ্গা ভাত মুরগীর ঝোল দিয়ে খাইতে চাই, সেই ছোডকালে খা্ইছিলাম মা'য়ের কাছে আর খাইনি এতো বছরে"। কৈাতুহলী ডাক্তার জানতে চাইলো কেন স্বামীর বাড়িতে খাননি? বৃদ্ধার উত্তর, "না বাবা, বাড়ির ছেলেরা খাওনের পর তো আমাগো বউ ঝিদের কিছুই ঝুটতো না"।//

হাউ টাচিং!! :(
এই হলো আমাদের দেশে জেন্ডার পরিস্থিতি। পৃথিবীর অর্ধেক মানুষকে অভুক্ত আর অধিকারবিহীন রেখে উন্নয়ন হয় না, রাজনীতিও হয় না।

বাংলাদেশে সিডও চুক্তিকে রেটিফাই করলেও... এখনও অনেক বাকি।

চমৎকার একটি পোস্টের জন্য, সোহানী, আপনাকে অভিনন্দন!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৬

সোহানী বলেছেন: মইনুল ভাই সিডও চুক্তি বলেন বা জেন্ডার মেইনস্ট্রিম ল বলেন... সবই আছে বাট বাস্তবটা বরই নির্মম.... স্বার্থটা সবার আগে যে....... পৃথিবীর সব বৈষম্যই স্বার্থের টানে.... সব অবিচা্রই যে স্বার্থের মাপকাঠিতে নির্ধারিত হয়..............

৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাল জ্ঞানী পোস্ট কিন্তু লেখায় পরস্পর বিপরীতধর্মী কিছু স্টেটমেন্ট রয়েছে, কখনো দেশকে হতদরিদ্র হিসেবে চিহ্নিত করে জেন্ডার শব্দটিকে বিলাসিতা বলছেন আবার একই সাথে বলছেন এখন সামাজিক প্রেক্ষাপটে মেয়ে শিশুরা একটা ভালো অবস্থানে আছে। আমি জানিনা ঠিক কিসের উপর ভিত্তি করে আপনি 'হত দরিদ্র' টার্মটা ব্যাবহার করেছেন। একজন 'এক্সট্রিম পোভার্টি' গবেষক হিসেবে এই জায়গাটায় দ্বিমত পোষন করছি।
আমার যদ্দুর জানাজানি, জেন্ডার বিষয়টাকে আমি এত সহজ করে, এভাবে জেনারেলাইজ করে কখনোই দেখতে পারেন না। আমার মনে হয় এটি ভিন্ন ভিন্ন শ্রেনী ব্যবস্থায় ভিন্ন ভিন্ন অবস্থায় থাকে। মার্ক্সিস্ট এপ্রোচ দিয়ে বোঝাই শ্রেয়।
যাই হোক, ভাল উদ্দ্যেগ কিন্তু মাইনাস।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অগ্নি সারথি আমার এ ক্ষুদ্র লিখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য।

সত্যিই তাই আমি জেন্ডার শব্দটিকে বিলাসিতা বলছি কারন আগেতো বেসিক নিড দেন জেন্ডার্ । আর যেখানে বেসিক নিড ফুলফিল হয়নি সেখানে এ শব্দটির প্রয়োজনতো বিলাসিতা.... তাই নয় কি? তারপর ও এর দরকার আছে যেন কখনই বৈষম্য তৈরী না হয়...................................

'হত দরিদ্র' টার্মটা ব্যবহার করেছি কারন আমরা কি আমাদের বেসিক নিড শতভাগ পূরন করতে পেরেছি বা কতভাগের তা পূরন করতে পেরেছি?

আপনার মাইনাস মাথা পেতে নিলাম কারন আমি আরো গভীরভাবে ভাবার সুযোগ পাবো.......

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নারীর প্রতি বৈষম্য বন্ধ হওয়া বা সেভাবে ভাবতে পারাটা অনেক দূরবর্তী প্রয়াস হিসেবে দেখতে হবে হয়তো :(

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪০

সোহানী বলেছেন: তারপরও তো চেস্টা করতে হবে, অপর্ণা... তাই নয় কি!

১০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

আবু শাকিল বলেছেন: পুরুষ রা পিছিয়ে যাচ্ছে।নারীরা এখন এগিয়ে যাচ্ছে।
৫০ বছর পর পুরুষ রা জেন্ডার বৈষম্য নিয়ে লেখালেখি শুরু করবে :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪১

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা.....শাকিল ভাই। সহঅবস্থান চাই.....পুরুষদের জেন্ডার বৈষম্য নিয়ে লেখালেখি চাই না অদূর ভবিষ্যতে..........

১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,




একটি ভালো বিষয়ের অবতারনা করেছেন । জেন্ডার সমতা নিয়ে লিখতে চাইলেও প্রায় সবটা জুড়ে নারীদের কথাই উঠে এসেছে ।
শিরোনামের কারনেই বলি ---- আপনার এ লেখায় খানিকটা প্রশংসাসূচক শব্দ দিয়েই মন্তব্য শেষ করা যেত ।
আসলেই মাঝারী ব্যপ্তি নিয়ে লেখা , এমন একটি সুন্দর বিষয়ে পাঠকদের উচিত হবে আলোচনার দ্বার খুলে বিষয়টিকে আরো খোলাসা এবং বোধগম্য করে তোলা ।
তবে আমার একটু খটকা লেগেছে এইখানে , লিখেছেন - জেন্ডার মানেই কিন্তু নারী অধিকার নিয়ে চিৎকার নয়। সমাজে যাতে চির-বিপরীত দু'টি চরিত্র সহঅবস্থানে, সুন্দরভাবে, সন্মানীতভাবে বাস করতে পারে তার ধারনা দেয় মাত্র।

আবার এখানে বলেছেন - তাইতো জেন্ডার শব্দটি এসেছে, মেয়েদের ও যে কিছু পাওয়ার আছে তাই, মেয়েদের প্রতি বৈষম্যকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবার জন্য, মেয়েদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
মেলাতে পারছিনে । মনে হয় আপনার আসল বক্তব্য প্রথমটি ।

তবে জেন্ডার সমতা আনতে পরিবার , সমাজ আর রাষ্ট্রকে আলাদা আলাদা ভাবে নয় হাত ধরে একত্রেই ,একই কদমে এগুতে হবে এটা ঠিক বলেছেন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ জী ভাই, আমার একটা লাইন ছিল,বাস্তব ''তা হচ্ছে এ পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর অবস্থান যেহেতু অনেক অনেক দূরে তাই জেন্ডার শব্দটার কিছুটা সুবিধাভোগী কিন্তু মেয়েরা''।

জেন্ডার মানে সমাজে যাতে চির-বিপরীত দু'টি চরিত্র সহঅবস্থানে, সুন্দরভাবে, সন্মানীতভাবে বাস করতে পারে তার ধারনা দেয়া। কিন্তু সমাজের প্রয়োজনে এর ব্যবহারিক টার্ম পাল্টে যায়। যেমন ধরেন যে সমাজ মাতৃতান্ত্রিক সেখানে জেন্ডার মানে পুরুষদের অধিকার আদায়, তাই নয় কি!!

আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ খটমটে বিষয়টি পড়ার জন্য ও আলোচনায় আসার জন্য। কারন ব্লগে কেউ কঠিন বিষয় পড়তে চায় না।

১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: সামনে পুরুষদের জেন্ডার বৈষম্য নিয়ে লেখালেখির দিন আসতেছে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:০৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা...... অপেক্ষায় আছি প্রামানিক ভাই...........

১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রবীন্দ্রনাথের "শেষের কবিতা" উপন্যাসে একটা কথা অাছে, অনেকটা এমনঃ নারীরা বাঁধে মায়ার জালে অার পুরুষেরা বাঁধে শৃঙ্খলে অর্থাৎ গায়ের শক্তিতে । পুরুষের মধ্যে কোন ছল থাকে না, নারীর অন্তরে থাকে অভিনব প্রতারণার কৌশল, যা খুবই ক্ষতিকর । একটা ব্যাপার নিশ্চয়ই লক্ষ্য করবেন, রবীন্দ্রনাথ নারী-পুরুষ সমঅধিকার নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করেননি । তিনি বোধহয় গভীর কিছু বুঝতে পেরেছিলেন । অাজকে পুরুষেরা সমাজ চালাচ্ছে, নারীদের হাতে যখন সমাজ যাবে; তখন অার চলতে হবেনা- বিগ্রহ বেঁধেই থাকবে । নর-নারী পরস্পর সহযোগী, প্রতিযোগী নয় ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১৩

সোহানী বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ যে যুগে ছিলেন সে যুগে নারী-পুরুষ সমঅধিকার নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য কখনই ছিল না। তাই তিনি গভীরভাবে তা নিয়ে ভাবেননি। তবে তিনি সঠিক বলেছেন যে ''নারীরা বাঁধে ময়ার জালে অার পুরুষেরা বাঁধে শৃঙ্খলে অর্থাৎ গায়ের শক্তিতে''। কিন্তু পরের লাইনটা কি আপনার নিজস্ব, ''পুরুষের মধ্যে কোন ছল থাকে না, নারীর অন্তরে থাকে অভিনব প্রতারণার কৌশল, যা খুবই ক্ষতিকর''। ভাই প্লিজ এভাবে নিজস্ব মতামত দেয়ার আগে আরেকটু ভেবে দেখার ও চিন্তা করার অনুরোধ রইলো।

১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫

ক্যপ্রিসিয়াস বলেছেন: ইহা একটি জ্ঞানী পোস্ট, একমাত্র যাদের জ্ঞান বাড়াইতে চাহেন তারাই ঢুইকেন, অন্যরা ঢুইকা অযথা ক্যাচাল বাড়াইড়েন না

অনেক জ্ঞান পেলাম, এত জ্ঞানী পোস্ট জ্ঞান নেবার পরে ক্যাচাল করার সাহস কারো হবে বলে মনে হয় না। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা থাকল।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩

সোহানী বলেছেন: কি খবর ক্যপ্রিসিয়াস? যেভাবে বরফের ছবি পোস্ট করছেন তাতে শীততো খুশি হয়ে তাড়াতাড়ি চলে আসবে.... ওফ্ যন্ত্রনা.... বের হওয়া যায় না শান্তিতে...............

১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আপা আইজকা ঝগড়া না কইরা আমি এইখান থিকা যামু না।

শুনেন আপা খালি সমতা সমতা কইরা মমতা খুঁজলে কাজ হইব না। নারী যদি নিজেই সমতা কি সেইডা না বুঝে সমতা না চায় তাইলে আমরা কি করতে পারি।

নারী যদি এখনও নিজেরে পণ্য মনে করে তাইলে কি করার আছে। কে কইছে নারীরের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ক্যাট ওয়াক করতে।

এতই যদি সমতা তাইলে কেন বাসে আলাদা সিটে বসতে হইব।

এতই যদি সমতা আজ পর্যন্ত শুনছেন কোন নারী বিয়ার সময় পুরুষরে দেন মোহর দিছে। পুরুষ যৌতুক চাইতে পারবেনা। কিন্তু নারী দেনমোহর চাইবো এইডা কিমুন ? সমতা চাইলে যৌতুক দেন মোহর দুইটাই বাদ।

সমতা চাইলে পুরুষের গর্ভ ধারণ করা উচিৎ।

চাকরীতে নারীর অগ্রাধিকার, বাসের লাইনে নারীর অগ্রাধিকার, রিক্সায় নারীর অগ্রাধিকার, নারীর জইন্য ট্যাক্স কম, এইসব করতে করতে সব জায়গায় শুধু লেডিস ফার্স্ট।

বলি তাইলে পুরুষের জন্য কি থাকলো আর ?

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৬

সোহানী বলেছেন: ঝগড়া করার মুড নাই... মেজাজ খারাপ। একমাত্র মেজাজ ভালো থাকলে ঝগড়ার সময় যুক্তি আসে আর আপনার সাথে ঝগড়া করার কোন মানে ও নাই কারন আপনি আমার সব শর্ত/যুক্তি/তর্ক মেনে নিবেন নির্ধিধায়............... হাহাহাহাহাহা......... শত্রুর সাথে ঝগড়া করার মজা যততা, বন্ধুর সাথে ঝগড়া করা ততটা বোরিং। ভালোকথা, আপনার মেইল এ্যাকটিভ আছেতো... একটা মেইল দিচ্ছি।

১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


আর একটা কথা সামুর নোটিফিকেশনে সমস্যা আছে। রিপ্লাই দিছেন সেই কবে অথচ নোটফিকেশনে আসে নাই। এই রকম অনেক পোষ্ট খালি মিস করি। এই নোটিফিকেশন রাইখা তাইলে কি লাভ ?

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০

সোহানী বলেছেন: আরে ভালোকথা বলেছেন... কি সব ভার্সন দিসে মোটেও ইউজটু হতে পারছি না তারউপর এক হাই কনফিগারের ল্যাপটপ কিনছি যা চালাইতে মেজাজ আরো খারাপ হয়ে যায়.... কিবোর্ড যাচ্ছেতাই...... বহুত প্যারেশানির মইধ্যে আছি...........

১৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


কই আপা আপনার কোন মেইল পেলামনাতো ?
[email protected]

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

সোহানী বলেছেন: এই যা ভুলে গেলাম......... আচ্ছা দিচ্ছি....................

১৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:০১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: তাঁকে ডাক্তার এক পর্যায়ে জিঙ্গাসা করছিল কিছু খেতে মন
চায় কিনা। উত্তরে রোগীটি বলেছিল, "বাবা, দুঙ্গা ভাত মুরগীর
ঝোল দিয়ে খাইতে চাই, সেই ছোডকালে খা্ইছিলাম মা'য়ের
কাছে আর খাইনি এতো বছরে"। কৈাতুহলী ডাক্তার জানতে
চাইলো কেন স্বামীর বাড়িতে খাননি? বৃদ্ধার উত্তর, "না বাবা, বাড়ির
ছেলেরা খাওনের পর তো আমাগো বউ ঝিদের কিছুই ঝুটতো না"।

পূর্বের কমেন্টে অনেক আলোচনা হয়ে গেছে।আমি দারুণ ভালো লাগা রেখে গেলাম আপুনি।সত্যি বলছি খুব গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট
+++

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৬

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রুদ্র....... ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিও....... অনেক দিন পর মনে করিয়ে দিলেন রুদ্রের গানটা।

১৯| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৪১

সোহানী বলেছেন: আপনাকে ও নববর্ষের শুভেচ্ছা।

২০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২০

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: ভালো করেই পড়লাম।নারী অধিকার মানে একটা বাড়ীর অপেক্ষাকৃত কমবয়সী নববধুর অধিকারটাই আপনারা বুঝেন। মা জাতীর অধিকার নিশ্চিত করুন। ‘ইত্যাদি’অনষ্ঠানে প্রচারিত পরেশ কেন তার মাকে পরিবারের মধ্যমনিতে না বসিয়ে, ঝুড়িতে তুলে মাথায় নিয়ে ঘুরলেন তার কারণ অনুসন্ধান করুন।-সেখানে ঝাটার ভয়,নাকি লাঠির ভয়।দয়া করে আদর্শহীন নারী অধিকারের নামে শুধুমাত্র হাজার বছরের শ্রদ্ধা-ভক্তি,মায়া-মমতার ভরা বাঙলা পরিবারগুলো ভেঙ্গে ‘ঐশিমার্কা’ পরিবার গঠনের তথ্য ছড়াবেননা।বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিতার সংখ্যা দেখুন,বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে সন্তানদের কষ্টগুলো বুঝুন। আধুনিক জীবন মানে পিকনিক মার্কা জীবন গড়া নয়,সমাজ যেখানে বায়বীয় অলকি বস্তু। কেউ কষ্ট পেলে,ভুল হলে ক্ষমা করে মহত্ত্ব দেখানোর জন্য অনুরোধ রইল।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:১৯

সোহানী বলেছেন: তালুকদার ভাই, সম্ভবত আপনি আমার লিখার ভুল মানে বুঝেছেন। আমি কোথাও মাকে এ লিকায় আনিনি বা কম্পেয়ার করিনি। অথবা ‘ঐশিমার্কা’ পরিবার গঠনের তথ্য ছড়াইনি। যাহোক আবারো পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো........... ধন্যবাদ।

২১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৫৩

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: আপু,কম্পেয়ার করার দরকার ছিল।বর্তমানে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টা দেশের সার্বিক,নাকি আংশিক বিষয়টা মিন করে, এটা জানা দরকার। আমার অভিঙ্গতায় দেখেছি- নারী বৈষম্য,নারী নির্যাতণ,নারীর পারিবারিক সামাজীক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারী জাতীর মধ্যে তাদের বয়স ও অবস্থানগত শ্রেনীগত সংঘাতই মূল।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

সোহানী বলেছেন: না নারী বৈষম্য,নারী নির্যাতনের প্রধান কারন ক্ষমতার লড়াই। কারন পরিবারে নতুন বউ আসলেই মা মনে করে আমার ক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে, বাবা মনে করে আমার ভবিষ্যত অন্ধকার, বোন মনে করে সব কিছুইতো কেড়ে নিল... ঠিক যদি উল্টো হতো, একটি ছেলে নতুন বর হয়ে নতুন পরিবারে যেত তখন আজ মেয়েদের সাথে যা হচ্ছে তাই হতো.......... নারীর ক্ষমতায়ন দরকার কিন্তু তা সঠিকভাবে করতে না পেরে আমরা লেজে-গোবরে করে ফেলেছি... তা্ইতো দেশের এ হাল। যাহোক সেটা অনেক বড় বিষয়, এভাবে ব্লগে এক প্যারায় লিখে ব্যাখ্যা করা যায় না, দরকার সামনা-সামনি যুক্তি-তর্ক।

ভালো থাকুন। আবারো কথা হবে।

২২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫১

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: তর্ক নয়। বর্তমান দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেরও পারিবারিক সম্পৃতি এমনভাবে দুর হয়ে যাচ্ছে আপনারা স্বচক্ষে এই দৃশ্য আগে দেখে যান। তারপর তর্ক বা আলোচনা যা করার করুন এবং সবার জন্য যা মঙ্গল, এমন সিন্ধান্ত নিন।- দেশীয় ঢংয়ে তা বাস্তবায়ন করুন। যুক্তির তর্কে মানবতার উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ নতুন অধ্যায়!!!!!!

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

সোহানী বলেছেন: হাঁ ঠিক আছে তবে ভেবে দেখেছেন কি কারনে তা হচ্ছে? পারিবারিক বন্ধন কেন নষ্ট হচ্ছে, কেন পরিমলরা ঘরে ঘরে হায়েনা হয়ে উঠছে, যে বৃদ্ধাশ্রামের কথা ১৫ বছর অগে ও ভালোভাবে শুনিনি আর এখন মোড়ে মোড়ে দেখা য়ায়, কেন যৈাথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবারের সৃষ্টি হচ্ছে........ একটু ভেবে দেখুন...। আপনার মেয়ে বা বউ বা ছেলে বা ভাই বা মা সারাদিন কি দেখে টিভিতে। কিভাবে সময় কাটায়? হাঁ সারাদিন জি বা স্টার প্লাস দেখে, এবং এক সময় নিজেকে নায়ক বা নায়িকা ভাবতে শুরু করে। আর এ সিরিয়ালগুলো শুধু অশিক্ষিত পরিবারই নয় সব শিক্ষিত পরিবাররেই অংশ হয়ে গেছে। এ দেখে আমরা কি শিখছি, কুট-কৈাশল, ষড়যন্ত্র, পরকীয়া, লিভ-টুগেদার, অর্ধ নগ্ন ফ্যাশান....... কি নেই সেখানে। সমাজ /পরিবার/ মূল্যবোধ/পারিবারিক সম্প্রীতি সব ধুয়ে মুছে যাচ্ছে। আগে পরিবার ঠেকান, তারপর সমাজ - মানবতা - উন্নয়ন - নিয়ে চিন্তা করা যাবে।

ভালো থাকুন।

২৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৩

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: দু:খিত, অনধিকার প্রবেশের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আবার আমি খুবই দু:খ প্রকাশ করছি।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:০২

সোহানী বলেছেন: :( :( :( :( :( কেন দু:খিত হলেন সেটাইতো বুঝলাম না ???

২৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪১

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: অল্প জ্ঞানে বড় বিষয় নিয়ে কথা বলে লাল কার্ড বার্তা।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৮

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা.......... লাল কার্ড নারে ভাই, বহুত দু:খে কথাগুলি বলি............

২৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:২৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনি কি জেন্ডার স্টাডিজে পড়ালেখা করেছেন? বেসিকটা সুন্দর ধরেছেন



মনে পড়ে এই ব্লগে একজন আছেন উনি জেন্ডার স্টাডিজের ওপর বাংলায় বেশ কিছু বইও লিখেছেন যেখানে সে এসব সংজ্ঞা গুলো নিজেই বানিয়ে উদ্ভট পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন।

আপনার লেখার শুদ্ধতার সাথে চিন্তাভাবনার মিল পেয়ে ভালো লাগলো

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩১

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ উদাসী স্বপ্ন।

আমি অংকের মানুষ তবে জেন্ডার আমার আগ্রহর বিষয়। চারপাশে এতো বেশী মেয়েদের বঞ্চনা দেখতে দেখতে লিখতে শুরু করেছি। কারন আমার হাতে কলম ছাড়া অন্যকোন অস্র নেই।

যতবেশী লিখা হবে, তত বেশী অলোচনা হবে ও তত বেশী সচেতনতা গড়ে উঠবে।

২৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখার শুরুতেই 'জেন্ডার' শব্দটির একটি সুন্দর এবং সঠিক ব্যাখ্যা দিয়ে শুরু করেছেন, এ জন্য এ পোস্টটি সহজবোধ্য হয়েছে এবং পাঠকের গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।

অল্প কথায় অপর্ণা মম্ময় এর ছোট্ট মন্তব্যটা ভাল লেগেছে। +

খুবই গোছানো এবং পরিপাটি একটি পোস্ট। একাদশতম প্লাস। + +

২৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:৩৮

সোহানী বলেছেন: অনেকদিন পর নিজের খটমটে একটা লিখা পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য ধন্যবাদ।

লিখাটা সম্ভবত অফিসের জেন্ডার বিষয়ক ম্যাগাজিনে অথবা জেন্ডার পলিসি নিয়ে কাজ করতে যেয়ে লিখেছিলাম। তারপর সুযোগে এখানে পোস্ট করেছি। আমি এক সময়ে প্রচুর জেন্ডার নিয়ে লিখেছিলাম। তার বেশীর ভাগ লিখাই হারিয়ে গেছে।

জেন্ডার আমার প্রিয় বিষয় আর যার কারনে লড়াই করে গেছি বা যাচ্ছি..........হাহাহা

অনেক অনেক ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.