নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার নিকটতম প্রতিবেশীরা - পর্ব-২

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

আমার বৃদ্ধা প্রতিবেশী:


এখানে কুকুরদেরকে পরিবারের সদস্য হিসেবে দেখে অথবা বলে মাই ফ্রেন্ড। তো ওই ফ্রেন্ডদের প্রাকৃতিক কর্ম সাধনের জন্য বেছে নেন বাসার আশে পাশের খোলা মাঠ ময়দান। এবং মালিক ফ্রেন্ডরা হাতে রাখেন পলিথিন ব্যাগ, যেখানে সেখানে পু করার পর তা হাত দিয়ে উঠিয়ে গার্বেজ করেন তা দিয়ে। তবে সাধারন কালচার সবাই তা করেন তবে কেউ যদি তা পরিস্কার না করে তার জন্য কোন জেল জরিমানা নেই..... তাই যখন ওই হাগু পাড়ায়ে চলতে হয় তখন কেমন লাগে তা আর বলতে চাচ্ছি না!!!!!! আর প্রতিদিন বিকেলে হাগু + এক্সারসাইজ করানো জন্য ওনাদের বের করানো হয়। সে কারনে আমার হয়েছে মরন !!! বিকেলে পারতপক্ষে লিফটে উঠি না.... ৩/৪ টা যাওয়ার পর কনফার্ম হই যে আশে পাশে কোন কুকুর ভ্রাতা নেই .... ছোট খাটো হলে মাইন্ড করি না কিন্তু দু:খের বিষয় বেশীরভাগেরই সাইজ সিংহ মার্কা। এদেরকে প্রায় আমার নেকড়ে বলে ভুল হয় !!!!! তাই এ নেকড়ে সাইজের কুকুরের সাথে একই লিফটে উঠা কি যে কঠিনতম কাজ.... তা বলে বোঝানো যাবে না। প্রানটা প্রায় যায় যায়... পারলে লিফটের হাতলে পা ঝুলিয়ে রাখি। আমার এ দূরাবস্থা দেখে ওদের মালিকরা প্রায় আমাকে অভয় দেয়, দে আর ফ্রেন্ডলি... ডোন্ট বি স্কেয়ার্ড। কিন্তু আমার আত্মা কি আর এ অভয় বাণীতে ভরসা পায়!!!!!

বৃদ্ধার বয়স কম করে হলেও ৭৫ এর কাছাকাছি হবে। তাঁর আছে ঠিক নেকড়ে সাইজের ৩ কুকুর, প্রথমতো ভেবেছিলাম সত্যিই বোধ হয় নেকড়ে.... আমার ছেলে আমাকে অভয় দিল যে ওগুলা আসলে কুকুর । ভরসা, আমার ছেলে আবার আমার থেকে সাহসী। যাহোক মহিলা খেয়াল করেছে আমি তাঁকে দেখলে লিফটে উঠি না ...... তাই একদিন বললো, তুমি আমার বাসায় এসো, দেখবে ওরা কতটা ফ্রেন্ডলি। তো একদিন কুকুর ছাড়া লিফটে দেখা তার সাথে, দেখি চোখ লাল ও মুখে স্ক্রেচ। জিঙ্গাসা করতেই বললো যে তার কুকুর ফ্রেন্ডরা একটু দুস্টুমি করেছে ...মানে একটু আচড়ে দিয়েছে চোখে মুখে। বুঝলাম কেমন ফ্রেন্ডলি তার ফ্রেন্ডরা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যাইহোক, কদিন ধরে তাঁর সাথে দেখা হয় না, তাঁর হাজবেন্ড দেখি কুকুর নিয়ে বের হয়।

একদিন দেখি লিফটের সামনে নোটিশ, সে বৃদ্ধার ছবি, জেনি মারা গেছে দু'দিন, তাঁর অন্তষ্তক্রিয়া বিকেলে গির্জায়। থতমত খেয়ে গেলাম, কেউই জানে না যে সে লাস্ট পনেরদিন হসপিটালে মৃত্যুর সাথে লড়ছিল.... কোন খবর নেই....কোন শোকতাপ নেই, নেই কোন আত্মীয়- অনাআত্মীয়র মাতম, কেউই তাঁকে দেখতে যায়নি.... কেউই তাঁকে মাথায় হাত বুলিয়ে অভয় দেয়নি, '' মা, আমি আছি, চিন্তা করো না''। এ রোবটিক জীবনে কারোই সময় নেই সময় দেবার.... হাজবেন্ড তাঁকে সময় দিলে কুকুরগুলো কে দেখবে..... একটি মেয়ে আছে সে অন্য স্টেট এ থাকে, তার ও সময় নেই নিজের কাজ, সংসার ছেড়ে সময় দেবার ...... এরা ১৮ বছর বয়স থেকে শিখে একা সার্ভাইব করার, মা-বাবা থেকে আলাদা থাকার, কাজ, কাজ আর কাজ... ........ এ রোবটিক আধুনিক জীবন থেকে আমাদের এ আধাপেট খেয়ে মা-বাবা-ভাই-বোন নিয়ে থাকাটাই যে অর্থপূর্ণ, কতটা আনন্দের তা কি প্রথম বিস্ব জানে !!!!!!!!!!... চাই না এ আধুনিক জীবন, চাই না এ নি:শব্দ মৃত্যু..... চাই আমার মৃত্যুতে প্রিয়জনের শোক, চাই আমার লাশে আপনজনের ছোয়া, চাই আমার মৃত্যু পথে চারপাশে সবার উদ্বিগ্ন মুখ, চাই হসপিটালে আত্মীয়- অনাআত্মীয়র ভীড়, চাই অঝঢ় ধারার বৃষ্টির কান্না, চাই না এ নি:শব্দ মৃত্যু.... চাই না.....চাই না।


সে মেয়েটি:


ছেলেকে নিয়ে বের হয়েছি লাইব্রেরীতে যাবো বলে....বন্ধের দিন, শনিবারে বাস ৩০ মিনিট পরপর। স্টপেজ এ এসে দেখি বেঞ্চ এ একটা মেয়ে একটা পলিথিন হাতে সমানে বমি করছে আর চিৎকার দিয়ে কাঁদছে, বয়স বড়জোর ২৫ হবে । পাশে যেয়ে কাঁধে হাত রাখলাম, ডু ইউ নিড এনি হ্যাল্প?
সে বললো, নো থ্যাংস্ আ'ম ওকে..... ।
কিন্তু তোমার অবস্থাতো ভালো মনে হচ্ছে না, আমি কি ৯১১ এ কল দিব ?
সে বললো, না ধন্যবাদ, লাগবে না। আমি একাই সামলে নিতে পারবো।
অর মে আই কল সামওয়ান টু এ্যাটেন্ড ইউ।
সে বললো, আই ডোন্ট হ্যাব এ্যানি ওয়ান।
মানে কি ??? ইন্টারভিউ নিতে লাগলাম... কারন বাস আসতে অনেকক্ষন, তারউপর কম করে ২টা বাস চেইন্জ সাথে সাবওয়েতে যেয়ে তবেই হসপিটাল, যা ওর পক্ষে এ অবস্থায় যাওয়া কঠিন।

বাংলাদেশ হলেতো কথা ছিল না, কোন পথচারী বা যেকোন রিক্সাওয়ালা বা সিএনজি ভাইয়েরা ঢাকা মেডিকেলের বারান্দা পর্যন্ত দিয়ে আসতো কিন্তু এখানে ব্যাক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের বাইরে যাওয়া যায় না... যতক্ষন পর্যন্ত আপনার সাহায্য সে এক্সেপ্ট না করবে ততক্ষন কিছুই করতে পারবেন না।

তোমাকে কিভাবে হ্যাল্প করবো?
নো নিড ডিয়ার, আ উইল টেক কেয়ার মাইসেল্ফ।
মে আই রিচ ইউর প্যারেন্টস্ অর এ্যানি ফ্রেন্ডস্?
আই হ্যাব বয় ফেন্ড বাট হি ইজ বিজি...।
আমি কি এ্যাম্বুলেন্স ডাকতে পারি....?
নো, আই ডোন্ট নিড সো।
আমি কি ট্যাক্সি ডাকতে পারি....? কারন পরের বাস আসতে এখনো ২০ মিনিট লাগবে ততক্ষন তোমার কষ্ট হবে।
আ ডোন্ট হ্যাব মানি টু পে।
মানে কি ১৫/২০ টাকা নেই!! .... এরা সারা সপ্তাহ যা আয় করে শুক্রবার আর শনিবার রাতে সারারাতে তা শেষ করে, সপ্তাহে পেমেন্টের এক জ্বালা......

বুঝতে পারছিলাম না কি করবো, ট্যাক্সি ডেকে ভাড়া দিয়ে উঠিয়ে দিব নাকি নিজে নিয়ে যাবো, ৯১১ কল দিব, এ্যাম্বুলেন্স ডাকবো, নাকি কাউকে ডাকবো সাহায্যের জন্য....... নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল।

এমন সময় এক ব্যাক্তি এলো বাসস্টান্ডে, এ অবস্থা দেখে আমাকে জিগ্ঞেস করলো কি হয়েছে, আমি ওর পরিচিত কিনা কারন মেয়েটি ততক্ষন কথা ও বলতে পারছিল না..... ভদ্রলোক মেয়েটির পাশে এসে ওর হাত ধরলো, বললো, তোমার যে অবস্থা তুমি হসপিটাল যেতে পারবে না তাই তুমি অনুমতি দাও আমি ৯১১ এ কল দেই। মেয়েটি তার কথায় শেষ পর্যন্ত রাজি হলো .....

জাস্ট ২ মিনিট... ভদ্রলোক ৯১১ এ কল দিল, এড্রেস বললো, কল এর কারন বললো.. এখানে সব ফোনের সাথে ৯১১ ট্রেক করা থাকে. সাথে সাথে হাজির হলো মেডিকেল এ্যাটেনডেন্ট ও একজন নার্স সহ এ্যাম্বুলেন্স.... কি পরম যত্নে স্ট্রেচারে করে মেয়েটিকে নিয়ে গেল। মেয়েটির বমি ও পরিস্কার করে দিয়ে গেল........ যাবার সময় আমাদের সাহায্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ দিয়ে মেডিকেল এ্যাটেনডেন্ট চলে গেল যেন নিজের কাছের কাউকে নিয়ে যাচ্ছে........ একটা দীর্ঘ নি:স্বাস বুক থেকে বেরিয়ে এলো, কবে আমাদের দেশে এমন ব্যবস্থা হবে। রিক্সাওয়ালা বা সিএনজি ভাইয়েরা না, সরকারী এ্যাম্বুলেন্স এসে নিয়ে যাবে পথে পড়ে থাকা লোকটিকে.... রাস্তায়/জলে মরে পড়ে আছে আর দুই থানার ওসি যুদ্ধ করছে ওদের সীমানায় পড়েনি বলে, ততক্ষনে লাশ পচেঁ গেছে........... হায়রে দেশে কেউ কি নেই একটু তাকানোর। শুধু তাকিয়ে আছি ভবিষ্যতের দিকে... যদি কেউ আসে.............

আগের পর্ব-
আমার নিকটতম প্রতিবেশীরা............

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: ওদের আপনজন নেই তবে আপনার চেয়েও আপন যে জন আছে।

আপন চেয়ে পর ভালো যে, হাসন রাজার গানের মত সেই আপনজনেরা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২২

সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্য, ওদের আপনজন নেই বলেইতো সরকারী আপনজন আছে তবে আমি যে সরকারী আপনজন চাই না, সত্যিকারের আপনজন চাই সবসময়............ ধন্যবাদ স্পর্শিয়া ।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

জুন বলেছেন: সোহানী প্রথম ঘটনাটির জন্য দেশের কথা ভাবলেন দ্বিতীয় ঘটনাটির জন্যও দেশের কথা ভাবলেন। তবে ভানবনা দুটো সম্পুর্ন বিপরীতা।
হিন্দী রুদালী সিনেমেটি দেখেছিলেন? আপনি হয়তো জানেন মৃতের জন্য ভাড়াটিয়া কান্নার লোকদের হিন্দীতে রুদালী বলে । আমরাও সেই রুদালীর প্রতীক্ষায় কারন আমাদের দেশের সমাজও বদলে যাচ্ছে দ্রুত।
অনেক ভালোলাগলো।
+

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

সোহানী বলেছেন: প্রিয় জুন আপু, সবসময় দেশের কথা ভাবি আর তুলনা করি... সাথে মনে মনে দেশকে সেরকম করে সাজাই...... আমার ভাবনা কল্পনা সত্যি হবে হয়তো একদিন......

আমি রুদালী দেখিনি কিন্তু মৃতের জন্য ভাড়াটিয়া কান্নার কথা জানি.... এখানেতো সে রুদালী ও নেই.... কারন কেউ কাদেঁ না আশ্চর্য্য.............

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ------- " ১৮ বছর বয়স থেকে শিখে একা সার্ভাইব করার, মা-বাবা থেকে আলাদা থাকার, কাজ, কাজ আর কাজ... ........ এ রোবটিক আধুনিক জীবন থেকে আমাদের এ আধাপেট খেয়ে মা-বাবা-ভাই-বোন নিয়ে থাকাটাই যে অর্থপূর্ণ, কতটা আনন্দের তা কি প্রথম বিস্ব জানে !!!!!!!!!!... চাই না এ আধুনিক জীবন, চাই না এ নি:শব্দ মৃত্যু..... চাই আমার মৃত্যুতে প্রিয়জনের শোক, চাই আমার লাশে আপনজনের ছোয়া, চাই আমার মৃত্যু পথে চারপাশে সবার উদ্বিগ্ন মুখ, চাই হসপিটালে আত্মীয়- অনাআত্মীয়র ভীড়, চাই অঝঢ় ধারার বৃষ্টির কান্না, চাই না এ নি:শব্দ মৃত্যু.... চাই না.....চাই না।

সহমত।

++++

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু .... আমি জুন আপুর কথা মতো রুদালী চাই আমার মৃত্যুতে যদি আপনজন না থাকে.....

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

রিকি বলেছেন: বিপরীতধর্মী একে অপরের থেকে।

চাই না এ আধুনিক জীবন, চাই না এ নি:শব্দ মৃত্যু..... চাই আমার মৃত্যুতে প্রিয়জনের শোক, চাই আমার লাশে আপনজনের ছোয়া, চাই আমার মৃত্যু পথে চারপাশে সবার উদ্বিগ্ন মুখ, চাই হসপিটালে আত্মীয়- অনাআত্মীয়র ভীড়, চাই অঝঢ় ধারার বৃষ্টির কান্না, চাই না এ নি:শব্দ মৃত্যু.... চাই না.....চাই না।

এদিক দিকে অবশ্যই অনেক ভালো আছি আমরা। অ্যাটাচমেন্টের অবশ্যই দরকার আছে...অনেক ক্ষেত্রে এই যান্ত্রিক জীবন পেইনফুল লাগে না কি?? 'আমার কেউ নাই'---ভাবটা কতদিন পর্যন্ত সহ্য করা সম্ভব?? কিছু কিছু ক্ষেত্রে যান্ত্রিক জীবনের পজিটিভ দিক যদি ১ টা থাকে, নেগেটিভ থাকে ৪ টা---একাকীত্ব ঠিক তাই হয়ত।

একটা দীর্ঘ নি:স্বাস বুক থেকে বেরিয়ে এলো, কবে আমাদের দেশে এমন ব্যবস্থা হবে। রিক্সাওয়ালা বা সিএনজি ভাইয়েরা না, সরকারী এ্যাম্বুলেন্স এসে নিয়ে যাবে পথে পড়ে থাকা লোকটিকে.... রাস্তায়/জলে মরে পড়ে আছে আর দুই থানার ওসি যুদ্ধ করছে ওদের সীমানায় পড়েনি বলে, ততক্ষনে লাশ পচেঁ গেছে........... হায়রে দেশে কেউ কি নেই একটু তাকানোর। শুধু তাকিয়ে আছি ভবিষ্যতের দিকে... যদি কেউ আসে.............

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ?
মুখে হাসি, বুকে বল তেজে ভরা মন
"মানুষ হইতে হবে" --- এই তার পণ,
বিপদ আসিলে কাছে হও আগুয়ান,
নাই কি শরীরে তব রক্ত মাংস প্রাণ ?


এটা কথাগুলো যেদিন বাস্তব হবে !!!!

পোস্টে অনেক অনেক ভালো লাগা রইল আপু। :) :) :) :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩২

সোহানী বলেছেন: একাকিত্ব কি জিনিস তা বিদেশে আসলে টের পাওয়া যায়..... উন্নত বিশ্ব প্রাইভেসী প্রাইভেসী করে জীবনাটাই শূণ্য করে দিচ্ছে তা মনে হয় তারা জানে না....

আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে ?.......

অপেক্ষায় আছি সে দিনের..........

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার মত আমিও আমার প্রতিবেশীদের খুব কাছে থেকে দেখে থাকি। পাশের বাড়ীর স্বামী লইয়ার ...ওয়াশিংটন ডিসিতে সরকারী মন্ত্রনালয়ে উচু পদে চাকরী....আর স্ত্রী ডাক্তার -জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটিতে ...দুই ছেলে - একজন জর্জ টাউন ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ করে একটা স্টার্ট আপ কোম্পানী ত জয়েন করেছে আর ছোট ছেলে হাই স্কুলে যায়। আরেক প্রতিবেশী যার ছেলে -মেয়ের সাথে আমাদের বাচ্চারা সময় কাটায়, উনি এসেছেন আলজেরিয়া থেকে ফ্রেন্চ ভাষাবিধ, স্ত্রী ও পিএইচডি করা টেলিযোগাযোগে - কাজ করেন একটা প্রাইভেট স্যাটেলাইট ভিত্তিক কোম্পানীতে। এক মেয়ে ইউনিভার্সিটি অফ ম্যারিল্যান্ড থেকে নিউরোসাইন্সে আন্ডার-গ্রাজুয়েট ডিগ্রী করে এখন চাকরী করছে...... অন্য বাচ্চারা এখন ও ছোট...।আশেপাশে প্রায় সবাই কে ই দেখি ভীষন ভাবে প্রতিস্টিত.....উচ্চ শিক্ষিত... প্রচন্ড ভাবে ব্যক্তি-স্বাধীনতা কেন্দ্রিক.....ভীষনভাবে মার্জিত... সবাইকে সাহায্য করার জন্য মুখিয়ে থাকে......তাদের জীবনে নিঃসংজ্ঞতা আছে বলে মনে হয় না ।

ছেলে মেয়েরা বাবা-মায়ের সাথে ভীষন ভাবে মিলে মিশে থাকে। প্রায়ই দেখা যায় যে এক সাথে কোথাও না কোথাও বেড়াতে যাচ্ছে.... প্রায় সবাইকে দেখি জীবন টাকে ভীষন ভাবে উপভোগ করছে..... দুঃখ-কস্ট আছে বলে মনে হয় না এসব আমেরিকান দের দেখলে।

কোন প্লাস্টিকের ব্যাগে বমি করা রত মেয়ে কে দেখাই যায় না...অবশ্য আশে পাশে কোন বাস স্টেশন নাই....

আমেরিকাতে আপনি ছবি পেইন্ট করার চেস্টা করলেন তাতো পুরা সমাজের ছবি না.....এসব বলে হয়ত অনেকে মনে মনে সুখ পাবেন যে আমরা ভাল আছি কিন্তু ভাল থাকা টা আপেক্ষিক.......

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০২

সোহানী বলেছেন: ভাই কলাবাগান, কেনরে আমার পোস্টে আইসা আপনার পিএইচডি পাড়া-প্রতিবেশীদের গল্প শোনানোর চেস্টা করেন !!!! আমিতো ভাই খুবই গরীব মানুষ তাই আমার পাড়া-প্রতিবেশীরা প্লাস্টিকের ব্যাগে বমি করে আর আমার মতো বাসের জন্য লাইনে দাড়াঁয়ে থাকে!!! আপনার মতো যখন উচ্চ পাড়ায় যাবো তখন জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি -প্রতিবেশীদের গল্প সল্প করুম.... ততদিন পর্যন্ত আমার পোস্টে ঢুইকেন ভাই দয়া করে............

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৪

সোহানী বলেছেন: সরি পোস্টে ঢুইকেন না হবে............. :P :P

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৭

কলাবাগান১ বলেছেন: আমি আমেরিকার পজিটিভ দিকটা কে দেখাতে চেস্টা করেছি। আপনাকে সব সময় দেখা যায় যে আমেরিকার নেগেটিভ দিকটা কে হাইলাইট করতে কিন্তু আমি বার বার বলার চেস্টা করছি যে আপনি যাদের কথা বলছেন, তারা সমাজের খুবই সামান্য একটা অংশ....এটা সব দেশেই আছে.....।এরা ভীষন ভাবে অবেহেলিত....।

কিন্তু আমেরিকার জনগন সব সময় সমাজের অবহেলিত দের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে থাকে......

এটা ই শেষ কমেন্ট

খোদা হাফেজ

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৫

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রথমত আমি আমেরিকা থাকি না। দ্বিতীয়ত: আমি সব সময় নেগেটিভ দিকটা হাইলাইট করেছি... আপনি আবার লেখাটা পড়েন- দেখেন কি বলতে চেয়েছি। যাহোক.... ধন্যবাদ শেষ কমেন্ট এর জন্য আর আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি, আপার ক্লাস, মিডেল ক্লাস, লোয়ার ক্লাস (আপনার মতে) সব ক্লাসকেই আনার চেস্টা করবো এ লিখাতে...........

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

অন্তু নীল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
আমাদের দেশের সেই অবস্থা হয়তো আমরা দেখে যেতে পারব না।

ভালোলাগা রইল।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৬

সোহানী বলেছেন: একদিন নিশ্চয়ই পারবো........... হোপ ফরদা বেস্ট........

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



নাগরিক সুবিধা ভোগের দিক দিয়ে আমরা এখনও এইসব সুবিধার কথা ভাবতে পারিনা। হয়ত একদিন অনেক কিছুই হবে আবার নাও হতে পারে।

সিরিজটা খুব ভাল লাগতেছে আপা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৮

সোহানী বলেছেন: সত্যই নাগরিক সুবিধা যে কি জিনিস তা পশ্চিমা বিশ্বে না এলে বোঝা যায় না......... দেশে কিছুই না পেতে পেতে আমরা এর কথা ভুলেই গেছি..........

ধন্যবাদ কান্ডারি............

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

আহলান বলেছেন: ভালো লাগলো ...

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৮

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আহলান .............

১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: পুরাই আলাদা দুইটা দিক
এদের সমাজে প্রথম দিক টা আছে বলেই বাই ল এরা এই ব্যবস্থা করে রেখেছে ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩২

সোহানী বলেছেন: একমাত্র আপনি আমার দু'টো ঘটনার কম্পেয়ারটা ধরতে পেরেছেন....ধন্যবাদ।

সত্যিই তাই, পরিবারের সে অভাবগুলো রাস্ট্রই পুরোনো করে রেখেছে..... সেটা এক কথায় অসাধারন.... বিশেষ করে বাচ্চাদের দিকগুলো। পরের পর্বে আসবো নিশ্চয় এগুলো নিয়ে..............

১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

আমি স্বর্নলতা বলেছেন: ভালো লেগেছে লেখাটা।

বাইরের দেশগুলোতে পরিবারের মানুষগুলোর মধ্য বন্ধন দেখা যায় না, আমাদের দেশে এখনো আমরা সুখে দুঃখে পরিবারের সবাই পাশে থাকি। পরিবারের বন্ধনগুলো অটুট থাক আজীবন।


আমাদের দেশে আমরা নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত । জানিনা আদৌ বাইরের দেশ গুলোর মত এমন সেবা আমরা পাব কিনা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৫

সোহানী বলেছেন: পরিবারের বন্ধন এখানে ও আছে তবে আমাদের মতো না.... আমরা সন্তানদের নিজেদের আত্মা ভাবি, ওদের সব কিছুতে ইন্টারফেয়ার করি অথচ এখানে তা করে না। প্রাইভেসি অনেক মূল্যবান।

আর নাগরিক সুযোগ সুবিধার কথা বললে শুধু লজ্জা পাই নিজের দেশের কথা ভেবে........

১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৪

আবু শাকিল বলেছেন: আপন হয় পর!! পর হয় আপন :) উন্নত দেশে এটা হয়।সবাই যে এরকম তা আমার মনে হয়নি।আলাদা থাকে ঠিকই।তবে পরিবারের প্রতি আত্নার বন্ধন আছে।সে সংখ্যা খুব কম।
আমাদের দেশে কিছু আবাল আছে, তারা তাদের বৃদ্ধ মা-বাবার খোজ-খবর নেয় না।আমাদের দেশেও সে সংখ্যা কম।
আমি এমন এক পরিবারকে চিনি জানি -ভদ্রমহিলার দুই মেয়ে কানাডা। দুই-তিনটা বাড়ির মালিকানা ছিলেন।দেশে ছেলে আছে।এত টাকা সত্তেও ভদ্র মহিলাকে হজ্বে যাওয়ার কেউ সুযোগ করে দেয়নি এবং বর্তমানে অসুস্থ।তার চিকিৎসা করা নিয়ে অনেকের আপত্তি।ভদ্র মহিলার দেশের সোনার ছেলে-মেয়েরা কতটুকু দায়িত্ব পালন করছেন।প্রশ্নবোধক হয়ে আছে!!!
উন্নত দেশের নাগরিক সুবিধা অনেক অনেক ভাল।
অন্তত আমাদের দেশের মত পিৎজা ডেলিভারি র আগে এম্বুলেন্স আসে না।
সে দিক থেকে তারা এগিয়ে আছে।
ধন্যবাদ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই.... পরিবারের প্রতি আত্নার বন্ধন এখানে ও আছে এবং আমাদের মতই ভালোবাসা সবখানে... কিন্তু মজার ব্যাপার ওরা এখন দিন দিন আমাদের মতো পরিবার বন্ধনের দিকে ঝুঁকছে আর আমরা বৃদ্ধা পিতা-মাতাকে ওল্ড হোমে রাখার দিকে ঝুঁকছি। ২০বছর আগে কয়টা ওল্ড হোম ছিল দেশে... আর এখন???

আর যে পরিবারের কথা বলছেন তা ধানমন্ডি আর গুলশান এরিয়ায় গেলে হাজার হাজার পাবেন। পরের পর্বে ঠিক তাই নিয়ে আসবো...

হাঁ, এ নাগরিক সুবিধা !!!! এটাতো দেশে স্বপ্নের ও অতীত.....

ভালো থাকেন শাকিল ভাই..........

১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯

ডি মুন বলেছেন:
আপনার পোস্ট পড়ে মন আর্দ্র হল।
উন্নত বিশ্বের মানুষদের মধ্যে পারস্পরিক আত্মীয়তার নজির একেবারে নেই বলেই মনে হচ্ছে আপনার লেখা পড়ে।
এমন রোবটিক নিঃসঙ্গ জীবন কখনই কাম্য নয়।
আবার দ্বিতীয় ঘটনাটিতে নাগরিকদের প্রতি সরকারের তাৎক্ষণিক সেবার দিকটি অবশ্যই অনুসরণযোগ্য।

+++

ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫১

সোহানী বলেছেন: ডিয়ার মুন, আমার লিখা উন্নত বিশ্বের প্রতিফলন নয় মোটেও... এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র। তবে দিন দিন তারা পরিবারের বন্ধনের দিকে ঝুঁকছে..... আর আমরা দূরে ঠেলে দিচ্ছি। তাই লিখাগুলোতে নেগেটিভ দিক নিয়ে আসি নিজেদের সাবধান করার জন্য। আমরা এ একাকিত্ব জীবনের দিকে দিন দিন ঝুঁকছি যা সত্যই ভয়ংকর.........

আর দেশের নাগরিক সেবার কথা কি বলবো বলেন............. বলতে ও লজ্জা করে।

১৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

সুচিন্তকবোধ বলেছেন: কলাবাগান, আপনার সাথে একমত পোষন করি।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৮

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ.... সাথে থাকুন সব দিক নিয়ে আসবো আশা করি.........

১৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

সুমন কর বলেছেন: কেউই জানে না যে সে লাস্ট পনেরদিন হসপিটালে মৃত্যুর সাথে লড়ছিল.... কোন খবর নেই....কোন শোকতাপ নেই, নেই কোন আত্মীয়- অনাআত্মীয়র মাতম, কেউই তাঁকে দেখতে যায়নি.... কেউই তাঁকে মাথায় হাত বুলিয়ে অভয় দেয়নি, '' মা, আমি আছি, চিন্তা করো না''। --- বড্ড কঠিন অনুভূতি !!

আর ২য় টার মতো অবস্থা আমাদের দেশে কবে হবে !!! কিংবা আদৌ হবে কিনা বলা যায় না !!

লেখা ভালো লেগেছে। +

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৫

সোহানী বলেছেন: হাঁ, একাকী মৃত্যু যে বড্ড কঠিন তাই চাই না এ মৃত্যু।

হাঁ, একদিন হয়তো হবে.... সে প্রত্যাশা।

ভালো থাকুন সুমন ভাই।

১৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সোহানী তার দৃষ্টিতে দেখা নিকটতম প্রতিবেশীদের কথা বললেন। মন্তব্যে কলাবাগান১ তার খুব কাছে থেকে প্রতিবেশীদের কথা জানালেন। হ্যাঁ! দুটোতেই আমেরিকার চিত্র ওঠে এসেছে। পৃথিবীর সকল সমাজ ব্যবস্থাতেই প্লাস-মাইনাস পয়েন্ট আছে। পুরো আমেরিকার চিত্রটি দেখতে হলে এ নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। থিসিস আছে। সমাজবিজ্ঞানীদের বই আছে।

সোহানী তার দেখা আশপাশের কথা ব্লগে আমাদের সাথে শেয়ার করছেন। তিনি জরিপকারী/সমাজবিজ্ঞানী নন। তিনি ব্লগের কোথাও বলেনও নি যে এটিই প্রকৃত আমেরিকা। আশাকরি আমাদের কলাবাগান১ ভাইটিও সত্যিকার অর্থেই পজিটিভ দিকটা হাইলাইট করতে চেয়েছেন। এখানে সংঘর্ষ হয় এমন কোনও মতও আমি দেখছিনে। দুজনের নিকট অনুরোধ, আপনারা লিখুন। আমরা তা থেকে বুঝার চেষ্টা করি- আমেরিকার কথা। :)

সোহানী, আপনাকে ধন্যবাদ। আসলে রোবটিক জীবনের পেরেশানি পেয়ে বসলে আমাদেরও হয়ত নি:শব্দ মৃত্যু মরতে হবে...

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

সোহানী বলেছেন: অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু ভাই। আমি কোনক্রমেই আমেরিকার সত্যিকারের চিত্র এখানে তুলে ধরিনি... শুধুমাত্র কিছু ঘটনা শেয়ার করেছি মাত্র। আমার মূল উদ্দেশ্য উনি ধরতে পারেননি, আমি আমার দেশের কম্পেয়ারটা আনছি কারন যাতে আমরা সাবধান হতে পারি।

আমি খুব মিশার চেস্টা করি আমার চারপাশে, জানতে চেস্টা করি ওদের ছোট ছোট দু:খগুলো, শেয়ার করি আমাদেরগুলো। ভালোগুলোতো আপনারা সবাই জানেন কিন্তু ছোট ছোট ফাকঁগুলোতো কেউই বলে না তাই না!!!!

অনেক অনেক ভালো থাকেন অন্ধবিন্দু .... আর আবারো ধন্যবাদ অসাধারন মন্তব্যের জন্য।

১৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এ রোবটিক আধুনিক জীবন থেকে আমাদের এ আধাপেট খেয়ে মা-বাবা-ভাই-বোন নিয়ে থাকাটাই যে অর্থপূর্ণ, কতটা আনন্দের তা কি প্রথম বিস্ব জানে !!!!!!!!!!...


খুব ভাল লাগলো কথাটা ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৪

সোহানী বলেছেন: বাট আমরাতো আধুনিক বিশ্বকে অনুকরন করতে যেয়ে সব লেজে গোবরে করে ফেলছি.... তাই নয় কি!!!!!!!

১৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪১

ধমনী বলেছেন: জীবনযাত্রার এর চেয়ে সহজীকরণের সমীকরণ তাদের গবেষণায় হয়তো আসেনি।
বস্তুগত সুখ আর আত্মিক সুখের মধ্যে ফারাক আছে বিস্তর। তবে দুটোর সমন্বয় সাধনটাই জরুরী।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

সোহানী বলেছেন: হাঁ ঠিক তাই.... ইয়ং বয়সে বস্তুগত সুখ নিয়ে এতোটাই ব্যাস্ত থাকে যে সব কিছুই ভুলে যায়। তারপর শেষ বয়সে সবকিছু এলােমেলোহেয়ে যায়..................... সে কারনেই তো বলি, আজ তুমি তোমার মা-বাবাকে ওল্ড হোমে পাঠাচ্ছো কাল সে ওল্ড হোমে যে তোমার জন্যই সিট বুক করবে তোমার ছেলে.. এ সত্যটা যে ইয়ং বয়সে বুঝি না।

ধন্যবাদ ধমনী।

১৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

দু'রকমের গল্প শোনলেন।

প্রথমটি পড়ে ভাবলাম দেশেই থাকবো... এভাবে একাকী জীবন নিয়ে মরতে চাই না।
দ্বিতীয়টি পড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হলো...

ভাবছি, পুলিস-অ্যাম্বুলেন্সের কী দরকার। আমাদের দেশের মানুষগুলোই তো যথেষ্ট। ওরা আমাকে হসপিটালে নেবেই।
অতএব... দেশই ভালো।


প্রবাসী জীবন সুখের হোক, প্রিয় ব্লগার। ছেলের মতো সাহস বাড়ান... :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা মইনুল ভাই.... ''পুলিস-অ্যাম্বুলেন্সের কী দরকার। আমাদের দেশের মানুষগুলোই তো যথেষ্ট। ওরা আমাকে হসপিটালে নেবেই।'' কিন্তু চিকিৎসা হবে না কারন ডাক্তার সাহেব গেছেন প্রাইভেট প্রাক্টিস এ। দালালদের ঘুষ দিলেই তবে বারান্দা থেকে বেডে যাবেন... আর ততক্ষন পর্যন্ত দফারফা সারা................

ভয় দিচ্ছি না.. সাহস দিচ্ছি।

ওরে ভাই ছেলে থেকে আমার ৪ বছরের মেয়ে বেশী সাহসী... কুকুর দেখলেই কিউট কিউট বলে আদর করা শুরু করে আর আমি আতংকে থাকি.....

২০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: ঘটনা পড়ে বিদেশ এবং দেশের মধ্যে পরিবেশ এবং পার্থক্য খুঁজছি। সুন্দর ঘটনাই তুলে ধরেছেন।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই.......... সত্যিই পার্থক্য চোখে পড়ার মতো... তাইতো এতো এতো দু:খ।

২১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০০

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ঘটনাদুটি পরস্পর বিপরীত। পড়ে দেশের দুটো ইমেজ ভেসে উঠলো চোখের সামনে। একটিতে সন্তুষ্টি আরেকটিতে অতৃপ্তি।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

সোহানী বলেছেন: না ঠিক সন্তুষ্টি না... অনেকটা সাবধান বানী।

ধন্যবাদ দিশে না হারা রাজপুত্র...........

২২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমাদের দেশে সবই আছে, কিন্তু কি যেন নেই। সেই 'কি'টাকেই খুঁজে মরছি আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মতরে।

প্রথম ঘটনা এবং দ্বিতীয় ঘটনা দুটি কিন্তু একই সুরের প্রতিচ্ছবি। আত্মার আপন, এমন কারো অভাববোধ। ওরা অর্থনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নে শীর্ষে রয়েছে, কিন্তু সমাজ গঠনের যে প্রাগৈতিহাসিক মূলমন্ত্র, একটি সমাজ, একটি পরিবার, আত্মিক বন্ধন, তা থেকে যেন অনেক দূরে সরে গেছে। আমরাও ধীরে ধীরে দূরে সরছি, কিন্তু অর্থনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নে সেই স্তরে পৌঁছতে পারছি না, যেখানে আপনজনের অভাব পূরণ করবে একটা কুকুর, অথবা রাষ্ট্রীয় সেবাদানকারী সংস্থা।

আপনাকে একটা গিফট করতে চাই, নেকড়ে সাইজ কুত্তা! (কুকুর বললে কেমন পরপর মনে হয়, কুত্তা শব্দটা আপন আপন ঠেকে। যদিও হুমায়ুন আহমেদ বলে গেছে, 'কুকুরকে কুত্তা বলবেন না, মাইন্ড করে।' :P

ভালো থাকুন সুপ্রিয় দোস্ত ব্লগার, প্রবাস জীবন সুখের হোক। নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন, ভালো কাটুক প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৮

সোহানী বলেছেন: প্রিয় ব্লগার, হাঁ সঠিক কথাটিই বলেছেন। এ আত্মা থেকে যেন সরে না যাই আমরা তাই আমার এ সাবধান বানী। নিজের পরিবারের চেয়ে আপন কখনই একটি কুকুর বা রাস্ট্র হতে পারে না। প্রাইভেসী প্রাইভেসী বলে আমরা হাহাকার করছি, কিন্তু এর মূল্য কিভাবে দিতে হয় তা কি জানি? মাকে বৃদ্ধাশ্রামে পাঠাচ্ছি, একা ফ্লাটে থাকবো বলে সব ছেড়ে চলে যাচ্ছি.... কিন্তু সে আনন্দটুকু কয়দিনের জন্য তা আমরা হিসেব করছি না। পশ্চিমাদের অনুকরনে করতে যেয়ে নিজের ভালোটুকু হারাচ্ছি কিন্তু তারা যে বিকল্প ব্যবস্থা করে রেখেছে তা আমরা দেখি না।

হাহাহাহা নেকড়ে সাইজের কুত্তা মানে আমাকে ঘর ছাড়া করার বুদ্ধি..... তা হবে না.... তা হবে না.........

নতুন বছরে আরো ঘুরে বেড়ান আর আমাদের লোভ দেখান, সাথে অসংখ্য ব্লগ লেখেন এ প্রত্যাশায়।

২৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৪৭

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: আপা,

আমি কুত্তা গুলোরে খুব বেশি ভয় পাইনা যদি না সেগুলোর সাইজ ভালুকের সমান হয়। এমনিতে আমি তাদের কপালে বা মাথায় হাত বুলিয়ে দেই। এতে করে তারা খুবই ভাল আচরণ করে। তবে খুবই বিরক্তিকর লাগে শুক্রবারের দিন নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বেড় হয়ে যদি কোন কুকুর জিহবা দিয়ে প্যান্ট বা অন্য কোন অংশে চাটে। আবার বাসায় ফিরে কাপড় চেন্জ করে নামাজ পড়তে যেতে হয়।

"সারা সপ্তাহ যা আয় করে শুক্রবার আর শনিবার রাতে সারারাতে তা শেষ করে, সপ্তাহে পেমেন্টের এক জ্বালা......" =p~

২ বছর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্লাজার একটা ২৪ ঘন্টা কনভেনিয়েন্স শপে প্রতি সপ্তাহে শুক্র/শনি বার রাতের শিফটে কাজ করতাম। হাতের কাছে থাকত ৯১১ বাটন ও একটা বেস বল খেলার ব্যাট। বার থেকে বের হয়ে সোজা চলে আসবে দোকানে। একবার বাম একবার ডানে উল্টায় পড়ে দোকানের শেফল গুলোর উপরে। সবগুলা থাকে মাতাল; বক্স থেকে ক্যান্ডি ব্যাগের ঢুকানোর সময় অর্ধেকই ফ্লোরে ফেলে দিবে।

একটা কাস্টমার আছে যে প্রায়ই রাত ২-৪ টার দিকে সিগারেট কিনতে আসে। চালায় মার্সিডিজবেন্চ কার। মাঝে মাঝে সিংগেল সিগারেলা নামক এক প্রকার চুরুট কিতে আসে যার দাম ২ ডলার ২৫ সেন্স। ফি মাসে তার একবার ঐ টকাই শর্ট পরে। অনুনয় বিনয় করে আগামী সপ্তাহে আসলে ঐ ২৫ সেন্ট দিয়ে দিবে। তার আচরনে অনেক মাজা পাই। রাত ২ টায় মার্সিডিজবেন্চ কার চালিয়ে ২ ডলার ২৫ সেন্স সিগারেট কিনতে আসে তাও ২৫ সেন্ট শর্ট।

আপনার মতো আমিও দীর্ঘ শ্বাস ফেলি আর মনে করি কবে আমাদের দেশের ৯১১ সার্ভিস চালু হবে? কবে গাড়ি চালিয়ে যাওয়া মানুষটি গাড়ি থামিয়ে বলবে কোন সমস্যা? কোন সাহায্য লাগবে?

খুবই সুন্দর ভাবে প্রবাস জীবনের নিঃসংগতা তুলে ধরেছেন। সেই সাথে মহানভুবতা।


পোষ্টে পিলাচ +



০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

সোহানী বলেছেন: কুকুর জিহবা দিয়ে প্যান্ট বা অন্য কোন অংশে চাটে মানে আপনি ভালোই খাতির জমান তাদের সাথে। আমার ও তাে একই অবস্থা ভালুক সাইজ না হলেই হলো.. !!!!!!

একদিম ঠিক কথা, সপ্তাহের শেষ দিন ২৫ সেন্ট ও তাদের কাছে মারাত্বক দামী, তারপরও পরের সপ্তাহে একটু সাবধান হবে তা ও হয় না.......... অদ্ভুত এদের মানসিকতা। সেভিংস কি জিনিস এরা বুঝতে চায় না, বোঝাতে চাইলে বলে সরকারতো আছে আমার সমস্যা কি??? পেনশান, সোসাল, লোন, মেডিকেল, এডুকেশান সব কিছুর দায়িত্ব সরকারের... আমার সেভিংস এর দরকার কি??? জীবনে কোন সমস্যা না থাকার কারনে সহজে বুঝতে চায় না। আমার হাজবেন্ড বলে এদেরকে ধরে আমাদের কোন উত্তরবঙ্গের গ্রামে ছেড়ে দেয়া উচিত এক বছরের জন্য, তাহলে জীবন কি তা তারা নতুন করে শিখবে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ :`> :`> :`> :`> .... হেহেহেহে মহানুভব বানানোর জন্য........

২৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:১০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার লেখা খুব টাচি........
জানেন, সেই লেখাটি এখনো আমার মনে আছে। বৃদ্ধা ও একটি মেয়েকে নিয়ে। ঐটা পর্ব ১ এ ছিল। ঐ লেখাটি আহামরি কিছু না হলেও আমার নিউরনের স্তরে স্তরে ভালই জায়গা করে নিয়েছে।

বিশেষত এ পোস্টের প্রথমাংশে আমার হৃদয়ে একটা প্রবল দোলা দিয়ে গেল। এতো উন্নত হয়ে যদি মানবেতর মৃত্যুই বরণ করাটা স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায় তবে সেই উন্নতি যতই সুবিধাপূর্ণ হউক, যতই আকর্ষণীয় হোক দরকার নেই।
আমরা নাহয় ৩য় বিশ্বের মানুষই থাকলাম। জীবন মানে যে কেবল কাজ, বিলাস, টাকা সেটা নাহয় না-ই উপভোগ করলাম। কিন্তু মানবিক সুখটুকু তো আর হারালাম না।
অনেক বড় সন্ত্রাসী, অমানুষের, অসভ্যের কথাও শুনেছি, মা বাবার শেষবেলায় নিজের সবটুকু ভালবাসা উজার করে দিয়েছে। অথচ কথিত উন্নত বিশ্বের মানুষেরা নিজেদের মা বাবা ভাই বংশ সব চিন্তা থেকে উঠিয়ে দিয়ে নিজেই যাযাবর হয়ে গেছে। এই জীবনের কোন নান্দনিক পূর্ণতা নেই। ভালবাসা, মন এগুলো কৃত্রিম হয়ে গেছে এদের।
দরকার নাই আমাদের ওসব।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১০

সোহানী বলেছেন: গেম চেঞ্জার ভাই, অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের ভালোলাগাই আমার লিখার প্রেরণা।

সত্যি কথা বলতে কি, আমি খুব স্বার্থপর মানুষ, নিজের আপনজনকে সবসময় চারপাশে দেখতে চাই। তাই যখনই কারো ক্ষেত্রে তার অনুপস্থিতি দেখি তখনই নিজের ভীতরে হাহাকার করে উঠে, এই বুঝি আমি একা হয়ে গেলাম। আমি যখনই কোন বৃদ্ধকে দেখি একা কোন শপিং মলের বেঞ্চে বসে আছে নিজে যেয়ে কথা বলি। তাই সবসময় সবাইকে বোঝাতে চাই একা নয় পরিবার নিয়ে থাকাটাই সত্যিকারের স্বার্থকতা, মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রামে নয় নিজের কাছে রাখাই যে অনেক অনেক আনন্দের। বিদেশে বাসে ট্রেনে রাস্তায় স্পেশাল হুইলচেয়ার চলার রাস্তা থাকে কারন সারাদিন দেখবেন অসংখ্য বৃদ্ধ/বৃদ্ধা একা একা হুইলচেয়ারে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে কারন বাসায় একা থাকে, সময় কাটে না তাই ঘুরে বেড়ায়।

অনেক অনেক ভালো থাকেন...............

২৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৩৮

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: লেখাটা খুব ভালো লাগল।সে দেশের ব্যবস্হাটা কেমন পরস্পরবিরোধী একদিকে চমৎকার নাগরিক সুবিধা আর অপরদিকে মানুষে মানুষে বিচ্ছিন্নতা যান্ত্রিকতা বিদ্যমান।
এদিক থেকে আমাদের মাঝে ফ্যামিলি বন্ডিং এখনো দারুণ বলা যায়।কিন্তু ভাবলে খুব অসহায় লাগে দিনের পর দিন এই বন্ধনের অবনতিই ঘটছে বলা যায়।
আর আমাদের রাষ্ট্রপ্রদত্ত নাগরিক সুবিধা;এখানে সব নেতিবাচকতাই হলো নাগরিক সুবিধা।তারা ভাবে কিভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া যায়

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্য যে দিনের পর দিন এই বন্ধনের অবনতিই ঘটছে.... আমরা পশ্চিমা বিস্বকে না বুঝে অনুকরন করতে যেয়ে লেজে গোবরে করে ফেলছি......

আর দেশের রাষ্ট্রপ্রদত্ত নাগরিক সুবিধার কথাতো স্বপ্নেও ভাবতে ভুলেগেছি। ঘুষ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাস্তানী করে টাকা আয় করো আর বিদেশে পাচার করো..... আর এদিকে শ্রমিকভাইদের ঘামের রেমিটেন্স দিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করো......... সত্যিই খোদা স্বয়ং চালাচ্ছে দেশটা এ অসহায় মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে।

২৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৫

টোকাই রাজা বলেছেন: ভাবছিলাম দেশেত মুই টোকাই, বিদেশ গেলে মনে হয় ভালই হইত, কিন্তু আপনার লেখা পড়ে তো মনে হইতাছে- ভিনদেশে গিয়ে রাজা হওয়ার চাইতে দেশে টোকাই থাকা ভাল। কাঁচা হোক তবুও ভাই নিজেরও বাসা। যাই হোক প্রবাসী জীবন আপনার সুখের হোক।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

সোহানী বলেছেন: সমস্যা হলো, আমরা ভাবি বিদেশ মানেই আলাদিনের চেরাগ। যাহোক অনেক ভালো দিক আছে বিদেশে সত্যিই দেশের তুলনায় ... শুধু যদি একটু দূর্নীতি আর রাজনৈতিক ক্যাচালটা বন্ধ হতো, তাহলে অসাধারন কিছু হতে পারতাম আমরা।

২৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: দুটি গল্পেই একাকীত্ব অসহায়তা।সুন্দর জীবনবোধ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:৫৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ অতন্দ্র.... অনেকদিন আপনার লিখা পাচ্ছিনা!!!! বিজি????

২৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: চাই না এ আধুনিক জীবন, চাই না এ নি:শব্দ মৃত্যু..... চাই আমার মৃত্যুতে প্রিয়জনের শোক, চাই আমার লাশে আপনজনের ছোয়া, চাই আমার মৃত্যু পথে চারপাশে সবার উদ্বিগ্ন মুখ, চাই হসপিটালে আত্মীয়- অনাআত্মীয়র ভীড়, চাই অঝঢ় ধারার বৃষ্টির কান্না, চাই না এ নি:শব্দ মৃত্যু.... চাই না.....চাই না

:( :(

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

সোহানী বলেছেন: কি খবর .... অনেকদিন পর। একাকী মৃত্যু আমি খুবই ভয় পাই............. আমি কেন সবার বেলায়ই ইটি সত্য তাই নয় কি।

২৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

আহমাদ সালেহ বলেছেন: ভাই আপনার লেখাগুলো এত ভালো লাগে কেন ?

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪১

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আহমাদ সালেহ । আপনাদের অনুপ্রেরণায়ই আমার লিখার মূলমন্ত্র.............

৩০| ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০০

সায়ান তানভি বলেছেন: আমরা যারা এই দেশে আছি তারাই বুঝি কি এক জঘন্য জাহান্নামে আমাদের বসবাস। আপনার লেখাগুলো দারুন, বিদেশী কালচার জীবনযাপনের একটা সম্যক ধারনা তাতে পাওয়া যায়, ভাল লাগে, আর আপনার লেখনীও দারুন, একটা দারুন লেখক সত্ত্বা আছে আপনার, একটা অনুপম হৃদয়ও। তবে আমার আপত্তি একটাই পশ্চিমা দুনিয়ার সাথে তুলনাটা, অনেকটা কাটা ঘাঁয়ে নুনের ছিটার মতো।বাংলাদেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা নিছকই প্রগলভতা মনেহয় আমার। একটা নিকৃষ্ট সংস্কৃতি, অধপতিত সমাজ, অসৎ চেতনায় ভরা দেশ। অপরিবর্তনীয়। দিনে দিনে কেবল পতিতই হচ্ছে আরো গভীর খাদে। যাইহোক আপনার লেখনী দারুন পছন্দ হয়েছে, সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে একসময় জিয়াউল হক সহ আরো অনেকে এ ধরনের লেখা লিখতেন। গোগ্রাসে গিলতাম। ধন্যবাদ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সায়ান, অাপনাদের উৎসাহে লিখার সাহস করি। আসলে দেশের সাথে তুলনাটা নিজের অজান্তে চলে আসে, দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে অনেক ভালোবাসি।

আমিও সাপ্তাহিক যায়যায়দিনের মারাত্বক ভক্ত ছিলাম, সফিক রহমান ছেড়ে দেয়ার পর খুব মিস করতাম। অনেকদিন পর মনে করিয়ে দিলেন...

আসলে অনেক অনেক কিছু লিখতে চাই বিদেশ নিয়ে কিন্তু এখানকার জীবন এতো বেশী ছকে পূর্ণ যে এর বাইরে যাবার উপায় থাকে না... এখানে মানুষ দৈাড়ায় সেকেন্ড হিসেব করে। সময় বের করা কঠিন.... তার উপর দেশের মতো তো কাজের লোক বা মা-শাশুড়ী নেই যে সাহায্য করবে।

আপনার অনেক অনেক অনুপ্রেরণায় দায়িত্বটা বেড়ে গেলো..........

৩১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৮

সায়ান তানভি বলেছেন: ব্যস্ততা অস্বাভাবিক নয়, তবু প্রত্যাশা থাকবে কম হলেও যতটুকু সম্ভব সময় দিবেন লেখালেখিতে,এ ধরনের লেখাগুলো ভাল লাগে, জানতে সাহায্য করে। ভাল থাকবেন, শুভ কামনা।

২৭ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩২

সোহানী বলেছেন: বিদেশে এসে সবাই কম বেশী কালচারাল শক এ পড়ে, কেউ খুব তাড়াতাড়ি এডজাস্ট করতে পারে, কেউ অনেক সময় নেয়। আমার লিখাগুলো এ কালচারাল শক কাটিয়ে উঠানোর একটা চেস্টা মাত্র। ধন্যবাদ ফিরে আসবো খুব তাড়াতাড়ি....

৩২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: আমার লিখাগুলো এ কালচারাল শক কাটিয়ে উঠানোর একটা চেস্টা মাত্র। - তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু দুইটা দুই রকমের ঘটনা দেখে মনে হয়, একসাথে সবাই সুখী হতে পারে না। কিছু সংস্কৃতি মানুষকে একা ও স্বাবলম্বী করে তোলে, তেমনি কিছু ক্ষেত্রে আবার দলগতভাবে পরনির্ভরশীলতা বাড়ায়।
জেনী আন্টির জন্য খারাপ লাগলো।
ভাল থাকবেন।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

সোহানী বলেছেন: ঠিক তাই। বিদেশে এসে কি করবো, কিভাবে নিজেকে মানিয়ে নিব তা নিয়ে খুব শংকায় কাটে বেশীরভাগ আমাদের। কারন আমরা নিজেদের গন্ডীর বাইরে খুব কমই যাই। সাথে দেশের সাথে কম্পেয়ার করি যাতে সবাই ভালো বা খারাপটা ধরতে পারে...

ধন্যবাদ রকি।

৩৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

পুলহ বলেছেন: কাল রাতেই পড়েছিলাম এইটা, খুব অবাক লাগে মাঝে মাঝে- একই পৃথিবীর মানুষ আমরা, অথচ দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সংস্কৃতির, মূল্যবোধের কত বিশাল ফারাক!

চালিয়ে যান আপু আপনার সিরিজ। শুভকামনা !

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৯:২১

সোহানী বলেছেন: হুম ঠিক তাই।

সিরিজ চালানো আমার জন্য কঠিন কারন কিছুদিন পর আগ্রহ হারিয়ে ফেলি আর নতুন কিছুর দিকে ঝুঁকে পড়ি।

ভালো থাকুন পুলহ।

৩৪| ১৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: উন্নত দেশ বলেই কুকুরের প্রতি এত মায়া। আমাদের মতো দরিদ্র দেশে মানুষের জন্ম্য এত মায়া কারো নেই।

আপনি কি দূরদেশে একাকিত্বে ভূগেন?? আপনার চাকরি আছে, ক্লাশ আছে। বাসায় এসে আবার ঘরের কাজ। কাজেই মন খারাপ হওয়ার সময় কই আপনার?

আপনার লেখার মধ্যে খুব তাড়াহুড়ার একটা ব্যাপার আছে।

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: আমি কিন্তু কখনই একাকিত্বে ভুগি না। সবসময়ই দারুন হৈচৈ করে জীবন কাটাই। যেখানেই থাকি সবসময়ই ভালো থাকি।

হাঁ, মানবতা বা পশুপ্রীতি দেখে সত্যিই অবার হতে হয়। আর আমরা দিন দিন কেমন যেন হিংস্র হয়ে যাচ্ছি। ভালোবাসা, সহমর্মীতা কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছেভ

হাহাহাহাহা.... ঠিক ধরেছেন। আমরা এতাে বেশী দৈাড়াই যে সব কিছুতেই তাড়াহুড়া......। ধূীরস্থির হয়ে লিখার সময় কই???? রান্না করছি, পড়ছি, বাচ্চাদের টেক কেয়ার করছি আবার এর মধ্যেই লিখছি.............

৩৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম গল্পের শেষ অনুচ্ছেদটা খুব হৃদয়স্পর্শী হয়েছে। আমাদের সবার চাওয়াগুলো আপনাও কথায় প্রকাস পেয়েছে। নিঃশব্দ মৃত্যু কে চায়?

পরের গল্পটাতে যা বর্ণনা করেছেন, আমাদের দেশে ৯১১ এর এমন পরিসেবা পেতে হয়তো এ শতাব্দীটা পার হয়ে যাবে।

পোস্টে ১৯তম প্লাস। + +

অন্ধবিন্দু এবং মোস্তফা কামাল পলাশ এর মন্তব্যদুটো (যথাক্রমে ১৫ এবং ২২ নং) খুব ভালো লেগেছে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩৬

সোহানী বলেছেন: আপনি আমাকে ব্লগে আনতে বাধ্য করেন........হাহাহাহা

ক'দিন একটু টেনশানে কাটাচ্ছি বিশেষ কারনে। সেটা পরে জানাবো। কিন্তু এ টেনশান কাটাতে কোথাও যেয়ে শান্তি পাচ্ছি না। এমন কি ব্লগেও না। আজ ব্লগে ঢুকে আপনার কমেন্টস দেখে আবার ব্লগ নিয়ে বসলাম।

৯১১ এর এমন পরিসেবা কোনভাবেই সম্ভব নয় আমাদের দেশে। কারন যে পরিমান বাজেট লাগে আমাদের মতো গরীব দেশের জন্য স্বপ্ন। তারচেয়ে বড় কথা এখানে মানুষকে মানুষ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়, আমাদের দেশের মতো টাকার অংকে মানুষের বিচার করা হয় না বলেই সেবাটা পায় ধনী গরীব সমাবভাবে।

আবারো ধন্যবাদ নিজের লিখা পড়ার সুযোগ দেবার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.