নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি বিজ্ঞান বক্স, শিশু শিক্ষার সেতুবন্ধন- স্বদেশ এবং বিদেশ

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৫



আমার ছেলে তখন ক্লাস থ্রিতে পড়তো দেশের একটা নামকরা স্কুলে। সঙ্গত কারনে নাম বল্লাম না। যাহোক বছরের শুরুতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ বিশাল এক বইয়ের লিষ্ট ধরিয়ে দিল। গুনে গুনে দেখলাম টোটাল ১৮টা বই। এবং প্রায় ১০টি বিষয়। বাংলা ইংরেজী অংক ধর্ম ছাড়াও বিজ্ঞানের বই প্রায় ৪টা। মা হিসেবে যারপরনাই আনন্দিত কারন ১৮টা বই পড়ে নির্ঘাৎ আমার পুত্রধন আইনাস্টাইন না হয়ে যাইবে কই। এবং তার প্রাথমিক ধাপ বুয়েটে ঢোকা। তাই আমার মা সহ যাবতীয় বুয়েট পড়ুয়া কিংবা পাশকৃত মায়েদের ইর্ন্টাভিউ নিতে লাগলাম। এবং এই কনক্লুশানে আসলাম যে ওস্তাদের মাইর প্রথম রাইতে। অর্থ্যাৎ ছোট বয়স থেকেই দৈাড়ের উপ্রে রাখতে হবে। তাই বইয়ের লিষ্ট পাওয়া মাত্রই তা কিনে টিনে বিশাল বইয়ের স্তুপ বাসায় নিয়ে আসলাম।

যাহোক, ক্লাস শুরু হলো এবং দেখা গেল আমার ছেলের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা সেই বইগুলোর অর্ধেকই খুলে দেখলেন না। বরং প্রতিদিন বিশাল সাইজের নোট দিতে লাগলেন ক্লাসে হোম ওয়ার্ক হিসেবে এবং যথারীতি সেই সব নোট থেকে পরদিন মুখস্থ পড়া ধরতে লাগলেন। "পৃথিবী সূর্য্যের চারররররপাপাপাপাপশে ঘোরে কিংবা পৃথিবী কমলা লেলেলেবুবুবুবু ওওও র মতো চ্যাপ্তা"......... কিংবা কবিতার দশ লাইন মুখস্থ করো সেখানে দাড়ি কমা এমন কি এক লাইন আগে পিছে লিখা বইতে, তা ও মুখস্থ করতে হতো হুবুহ একই রকমভাবে। হেন বিদ্যা নেই যেখানে মুখস্থ ছাড়া গতি নাই..... বাংলা ইংরেজী বিজ্ঞান ধর্ম ইতিহাস ভূগোল.........। ইয়া মাবুদ, আমার পুত্রধন মুখস্থ করতে করতে দিশাহারা হয়ে গেল। যথারীতি সে এক সময় বিদ্রোহ করে বসলো এবং পড়াশুনায় ক্ষান্ত দিয়ে ভিডিও গেইম বা কার্টুন নিয়ে বেশী মনোযোগী হয়ে গেল। অতপর: আতংকিত মা আমি আমি খেলনা, বাই, বার্গার, চকলেট সহ বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে এমন কি ক্রেন দিয়ে টেনেও ছেলেকে পড়ামুখো করতে পারলাম না। ওওওওওও বলে রাখি আমি আবার পিটানো মা না, পিটাপিটি আমার স্বভাবের মধ্যে নেই। যারা বলে বাচ্চারা মানুষ হয় লাঠির উপ্রে তাদের থেকে একশ হাত দূরে...............।

এইভাবে টানাহ্যাচরার এক সময় কানাডায় আসলাম। প্রথমদিন স্কুলে ভর্তির জন্য হোম স্কুলে গেলাম। প্রতিটি পরীক্ষায় গড়ে ৯৫% পেয়ে প্রথম হওয়া পুত্র আমার সাথে আর্টে জয়নুল আবেদিন, কারাতে অরেন্জ বেল্ট, গানে মোহাম্মদ রফি, সাতারে ব্রজেন দাস........পুত্র গর্ভে গর্বিত মা সাথে নিয়ে গেলাম তার যাবতীয় সনদ পত্র। স্কুলে ঢুকতেই চমৎকার সুন্দরী একটি মেয়ে এসে হাত বাড়িয়ে বসতে দিল। কি কারনে আসা শুনার পর বললো ওর হেল্থ কার্ডটা দাও। আকাশ থেইকা পড়লাম, মনে মনে ভাবলাম আমি কি পোলারে হসপিটালে ভর্তি করতে আসছি নাকি স্কুলে??? হেল্থ কার্ডটা নিয়ে বললো, ওর ক্লাস টিচারকে কল দিচ্ছি ও এসে ওর পরীক্ষা নিবে? এবাই সত্যিই ভয় পেয়ে গেলাম কারন দেশের ভর্তি পরীক্ষার কথা মনে পড়ে ঘাম ছুটে গেল। ইয়া মাবুদ....আমার ছেলে কি ওরা ডিমোশোন দিবে শেষে??? আমি আমতা আমতা করে বললাম, ও তো প্রস্তুতি নিয়ে আসে নাই। আমি শুধু এডমিশান ফর্ম নিতে আসছি। রিসেপশানের মেয়েটি আমাকে কিছু না বলে ইন্টারকমে ওর ক্লাস টিচারকে ডাকলো।

ছোটখাট চাইনীজ একটি সুন্দরী মহিলা আসলো, এসেই হাত বাড়িয়ে হেন্ডশেক করলো আমাদের সাথে। বললো, আমার নাম লুসি চ্যাং। আমি তোমার সাথে এ বছরটা কাটাবো। আশা করি দারুন কিছু শিখতে পারবো। এভাবে কিছুক্ষন ইংরেজিতে কথা বলার পর বললো, তুমি যদি চাও এখনি আমার সাথে ক্লাস করতে পারো তাহলে আমি তোমাকে সব ক্লাসমেট ও টিচারদের সাথে পরিচয় করাতে পারবো কারন এখন রিসেস (টিফিন পিরিয়ড) শেষ। এর মধ্যেই আমি বলে উঠলাম, তুমি ওর এডমিশান টেস্ট নিবে না? ও বললো, সেতো আমি নিয়ে ফেলেছি। আমি আকাশ থেকে পড়লাম, কেমনে? ও হেসে বললো, টেস্ট মানে ও ইংরেজী বুঝে এবং বলতে পারে কিনা। ও চমৎকার বলে ও বুঝে। আর যদি না ও পারতো তাহলে ও কোন সমস্যা নেই। ওর জন্য এক্সট্রা ক্লাস নিতাম। যাক মাটিতে পড়তে পড়তে বেচেঁ গেলাম। এরপর জানতে চাইলাম বইয়ের লিষ্ট কিভাবে পাবো। আমার কথা শুনে এবার টিচারতো আকাশ থেকে পড়লো, বললো গ্রেড ফাইভ পর্যন্ততো নির্দিষ্ট কোন বই ই পড়ানো হয় না। মানে কি??? কইলাম মানে কি আমার পুত্র তাইলে কি পড়বে, বাসায় আমি কি পড়াবো? মনে মনে ভাবলাম.. এ নির্ঘা্ত ষড়যন্ত্র। পুত্রকে আইনাস্টাইন বানানোর জন্য এখান পর্যন্ত আসলাম শেষমেষ আইনাস্টাইন না তার ল্যাবের ঝাড়ৃুদার বানানোর পায়তারা করছে এরা..........সব ষড়যন্ত্র। টিচার বললেন সেটা তোমার চিন্তার বিষয় না ,সেটা আমার চিন্তার বিষয় আর সরকারের চিন্তার বিষয়। এই বলে পুত্রকে নিয়ে ক্লাসে চলে গেল। জীবনভর ফাইল করে রাখা রেজাল্ট বা যাবতীয় কিছুই দেখতে চাইলো না। আমি মুখস্থ বিদ্যার মা যারপরনাই সংকিত হ্রদয়ে বাসায় ফিরে আসলাম।

তারপরের ঘটনা খুব দ্রুতই ঘটতে লাগলো। আমার ছেলে সারাদিন ল্যাপটপ নিয়ে পড়ে থাকে কিন্তু ভুলে ও কার্টুন দেখে না এমন কি গেইম ও খেলে না। হাতি দিয়ে টেনে ও ছেলেকে সেখান থেকে উঠাতে পারি না। বললেই বলে হোমওয়ার্ক করছি। সারাদিন ক্লাসের পড়ার বিষয় আর বিজ্ঞান বিষয়ক আর্টিকেল নিয়ে পড়ে থাকে। আর দুদিন পর পর স্কুলের এ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান এর নতুন নতুন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করে। এ কাজ করার জন্য টিচাররা তাদেরকে ছোট ছোট বিজ্ঞান কিট ধরিয়ে দেয়। এবং তা তারা হাতে কলমে করে প্রজেক্ট জমা দেয়। টিচার শুধু গাইড করে। এছাড়া ও টিচাররা প্রায় তাদের বিভিন্ন সাইন্স ল্যাবরেটারিতে নিয়ে যায়। ওরা নিজেরাই রিসার্সারদেরকে প্রশ্ন করে জেনে নেয় তাদের মনের যত প্রশ্ন এবং রিসার্সাররা খুব আগ্রহ ভরে তাদের সে কৈাতুহলী সাধারন প্রশ্নে উত্তর দিয়ে যায় ধৈর্য্য নিয়ে, মজা করে। প্রয়োজনে হাতে কলমে ও দেখিয়ে দেয়। এমন কি বিভিন্ন বড় বড় ইউনিভার্সিগুলো বছরে কয়েকবার বাচ্চাদের জন্য ওদের ল্যাবগুলো কিভাবে কাজ করে তা দেখার আমন্ত্রন জানায়। ৬ মাসের মধ্যেই আমার ছেলে ইউনিভার্সিসিটি অব টরেন্টো, রাইসন ইউনিভার্সিসিটির সহ অনেকগুলো ল্যাবরেটারিতে কাজ দেখার সুযোগ পায় শুধুমাত্র তার আগ্রহের কারনে। বিদ্যুত কিভাবে উৎপন্ন হয় তা বইতে না ল্যাবেই দেখে আসে তারা, সৈার সিস্টেম বা ভর শূন্যবা বা মধ্যাকর্ষন কিভাবে কাজ করে তা তারা দেখতে গেল সাইন্স মিউজিয়ামে। এছাড়াও শুধুমাত্র সহজলভ্য বিজ্ঞান কিটের সাহায্যে তারা নিজেরাই তৈরী করলো বিভিন্ন মডেল। মাত্র ক্লাস সেভেনই আমার ছেলে ও তার দল রোবট সোফিয়ার ছোট ভাই বানিয়ে ফেললো ও জাতীয় রোবোটিক প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে পুরো কানাডায় মধ্যে ৭ম স্থান অর্জন করলো যেখানে তার গ্রুপের টোটাল নাম্বার ছিল ১০০ তে ৮৮। যারা প্রথম হয়েছে তারা পেয়েছে ৯৯.৯৯.....এবার বুঝেন বাকিগুলা কি জিনিয়াস।


প্রতিযোগীতার একটা পিক শেয়ার করলাম।

যাক অনেক বকবক করলাম, এবার আসল কথায় আসি। এই যে মুখস্থ বিদ্যার ধাক্কায় আমার ছেলেকে কার্টুন আর ভিডিও গেইম মুখীহলো ঠিক একই ছেলে শুধুমাত্র পড়ানোর স্টাইলে আর কিছু সহজলব্ধ উপকরনের ধাক্কায় ছোট আইনাস্টাইন হয়ে উঠলো। আমাদের দেশে যেহেতু এ মুখস্থ বিদ্যার শিক্ষা ব্যবস্থা পাল্টানোর ক্ষমতা আমার আপনার নেই কিন্তু এ সন্তানটিকে সত্যিকারের পড়া শেখাতে বিজ্ঞান বক্সের মতো এ ধরনের সহজলভ্য উপকরনগুলোর বড় বেশী প্রয়োজন। বইয়ের পড়াগুলোকে শুধুমাত্র কল্পনার রাজ্যে নয় হাতে কলমে যদি দেখে তাহলে তারা যেমন দ্রুত শিখবে তেমনি একবার যা শিখবে তা কখনই ভুলবে না। ভেবে দেখেন মুখস্থ বিদ্যা বা ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পড়ে হয়তোবা ভালো রেজাল্ট করতে পারবে তারা কিন্তু একজন গবেষক তারা কি হতে পারবে?



বিজ্ঞান বাক্স এর ছবি নেটে খুঁজতে যেয়ে হামা ভাইয়ের ছবিটা দেখে আনন্দিত হয়ে উঠলাম তাই শেয়ার করলাম।

আশা করি বিজ্ঞান বাক্স বা এর মতো হাতে কলমে শিক্ষার উপকরনগুলোর প্রয়োজনীয়তা সবাই বুঝবে ও বাচ্চাদের গিফট্ দিতে হলে এটিই খেলনার পরিবর্তে বেছে নিবে। স্কুলে বা অন্যান্য প্রতিযোগীতায় থালা বাটি নয় একটি বই বা বিজ্ঞান বাক্স ই তুলে দিক কর্তৃপক্ষ পুরস্কার হিসেবে। আমার বিশ্বাস আগামী মাসের বইমেলায় বিজ্ঞান বাক্স এর একটি স্টল যদি দেয়া হয় তাহলে শিশুরা হামলে পড়বে সেটা নেবার জন্য। কারন তারা ও ফেডআপ এ মুখস্থ বিদ্যার দৈাড়ে।

সবাই ভালো থাকুন। নীচে কিছু বিজ্ঞান বাক্স এর লিংক দিলাম।

বিজ্ঞান বাক্স
বিজ্ঞান বক্স
বিজ্ঞান বক্স

মন্তব্য ৯৩ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৯৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

আল ইফরান বলেছেন: ভালো লিখেছেন, আপু। আমাদের দেশের শিশুরা অতি অল্প বয়সেই পড়াশুনার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে যাওয়ার একটা প্রধান কারনকে খুব সুন্দরভাবে তুলে এনেছেন। এখন আবার শুরু হয়েছে কচি-কাচাদের পাবলিক এক্সাম (পিএসসি, জেএসসি) যা আগ্রহের জায়গাটাকে ভয়াবহভাবে নস্ট করে ফেলবে।
আপনার সন্তানের অনাগত ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা রইলো।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

সোহানী বলেছেন: সাত্যই তাই। বিদেশে গ্রেড নাইনের আগে ক্লাসেই কোন পরীক্ষা নেই, ক্লাস পরীক্ষা বা বার্ষিক.............. অদ্ভুত আমরা। পিএসসি, জেএসসি তো আছেই ক্লাস ওয়ান এর ভর্তি এক্সাম দেখলে মেজাজ খারাপ হয় সবচেয়ে বেশী।

ভালো থাকেন ইফরান।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২২

প্রামানিক বলেছেন: আসলে শিশুরা ক্রিয়েটিভ কাজ খুব পছন্দ করে, তাদেরকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়গুলি হাতে কলমে করতে দিলে তাদের একদিকে যেমন মেধার বিকাশ হবে তেমনি বাজে চিন্তা করার সুযোগ পাবে না।
ধন্যবাদ চমৎকার একটি লেখা উপহার দেয়ার জন্য।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

সোহানী বলেছেন: সত্য প্রামানিক ভাই। শিশুরা ক্রিয়েটিভ কাজ খুব পছন্দ করে কিন্তু মুখস্থ শিক্ষার ধাক্কায় বইয়ের বাইরে কিছুই শিকতে পারে না।

অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকুন সবসময়।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আমাদের দেশের মায়েরা পড়ালিখার ব্যাপারে বাচ্চাদের মাইরের উপর রাখাটাকে প্রথম প্রায়রিটি দেয়। আপনি সেরকম মা নন জেনে ভাল লাগলো ।
শিক্ষাটা হতে হবে আনন্দের মাধ্যমে। সেরকম ই এক আনন্দময় মাধ্যম বিজ্ঞান বক্স।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সোহানী বলেছেন: শুধু মা না লিটন ভাই..... বাবা, ভাই, টিচার সবাই ই মাইরকে প্রধান উপকরন মনে করে পড়ানোর।

হাঁ সত্যিই বিজ্ঞান বক্স একটি সম্ভাবনার দ্বার..............

ভালো থাকেন লিটন ভাই।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: বেশ মনোযোগ দিয়ে পড়লাম লেখাটা।ভালো লাগলো।
দেশে শিক্ষা বাজেট অপ্রতুল।টানা হ্যাচরা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো চলছে।তার উপর দুর্নীতি।৯৮% প্রতিষ্ঠানে ল্যাব নেই।কেমন করে বিজ্ঞান শিখবে ছাত্ররা।
আমাদের দেশে বিজ্ঞানের ছাত্ররা বিজ্ঞান পরে ব্যাংকার হচ্ছে।
চিন্তা করে দেখুন বিষয়টা।
তবে এ ধরনের বিজ্ঞান বাক্স দিয়ে ছাত্ররা বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হবে বলে আশা করা যায়।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৪

সোহানী বলেছেন: আসলে সমস্যাটা বাজেটের না, সমস্যাটা নীতি নির্ধারনের। যেমন বলি, কিভাবে বা কোন সিলেবাস পড়বে তার জন্য দরকার মাথাওয়ালা নির্ধারক, পলিটিকেল না। আমরা দেশের স্বার্থে এক হতে পারি না বলে এখনো পিছিয়ে আছি।

আর দুর্নীতির কথা তো কোনভাবেই মুক্তি পাবেন না। তবে কোচিং, প্রশ্ন ফাঁস, গাইড বই এ ধনরনের ধ্বংস্বাত্বক কাজ এগুলো বাচ্চাদের ভবিষ্যত একেবারে বসিয়ে দিচ্ছে।

ভালো থাকেন কাফি ভাই।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

বিজন রয় বলেছেন: দেশে শিশুদের জন্য কিছুই করা হচ্ছে না।
এটা বড় দুঃখজনক।

তাদের জন্য আসলেই কিছু করা দরকার। নাহলে দেশে বর্তমান যে সামাজিক অবক্ষয় তা দুর হবে না।

ভাল পোস্ট।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৬

সোহানী বলেছেন: কিছুতো করছে না উল্টো ওদেরকে ধ্বংস করছে।

ধন্যবাদ বিজন।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩

মনির হোসেন মমি বলেছেন: দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থামুলক পোষ্টটি ভাল লাগল।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:০৭

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ মমি।

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১২

শামচুল হক বলেছেন: দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা যদি কানাডার মত হতো তাহলে অনেক বাচ্চা আর ভুল পথে যেতো না।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১০

সোহানী বলেছেন: না ঠিক না। মঙ্গলগ্রহের শিক্ষা আনলে ও আমরা ভুল পথে যাবো যতক্ষন না নিজেরা ঠিক হই। কানাডার বা আমেরিকার শিক্ষা ব্যাবস্থা একদিনে তৈরী হয়নি। আর এখানে সব কিছুর উর্ধে শিশু ও তাদের ভালো...... অন্য কিছু না।

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার এতো সুন্দর লেখাটা পরেও মন খারাপ হলো | অনেক বছর আমেরিকায় থেকে এগুলি দেখছি | বইয়ের ভারে ছেলেমেয়েরা গড়িয়ে পরে যাচ্ছে না | থিয়োরীর সাথে প্রাকটিকাল এপ্লিকেশনগুলো এরা ছোট বেলা থেকেই শেখাচ্ছে আর তাতেই ছোট বাচ্চারা আগ্রহ পাচ্ছে পড়াশোনায় অনেক বেশি | আমার ছোট মেয়েটাও মিশরের ফ্যারাও রামেসিসের প্রধান স্থপতির মতো বিরাট পিরামিড বানায় (ক্লাস প্রজেক্ট হিসেবে হার্ডবোর্ড দিয়ে যদিও) আর আমি দেশে প্লে গ্রূপ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পরেও কাগজের প্লেন বানানো ছাড়া কিছু কখনো স্কুলে বানানো শিখিনি !! বিজ্ঞানের ব্যাপারে বাচ্চাদের আমরা আগ্রহী করবো কেমন করে ?এদের পড়া শোনা শেখাবার সিস্টেমটাই বিজ্ঞান বাক্সের মত আকর্ষণ করছে বাচ্চাদের | আর আমাদের স্কুল পড়াশোনা শেখার ব্যাপারটা খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা |

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ মলাসইলমুইনা।

এখানে না আসলে পার্থক্যটা বুঝতে পারতাম না। আমার ও ধারনা ছিল বাসার সবাই ডাক্তার ইন্জিনিয়ার তাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক আছে। কিন্তু না সেটা ভুল, আমরা যা শিখি তা একান্ত পারিবারিক চেস্টা। আর সেটা না থাকলে গদবাধাঁ শিক্ষা। এই যে থিয়োরীর সাথে প্রাকটিকাল এপ্লিকেশনগুলোর শিক্ষা তা কিভাবে আমাদের শিক্ষকদেরকে বোঝাবো। আসলে তাদের একার দোষ না, কোটি কোটি লোকের দেশে নাম দস্তক্ষত করতে পারলেই শিক্ষিত ধরা হয় তাদের আবার প্রাকটিকাল শিক্ষা কিভাবে দেয়া সম্ভব।

যাই হোক দু:খ শুধু বলে যাই, এর সমাধান কখনো হবে কিনা জানি না..........

৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
পূর্বে হয়ত একদিন বলেছিলাম যে গত ৫ বছর ধরে University of Waterloo এর Let's Talk Science এর স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে গত ৫ বছর ধরে কিন্ডারগার্টেন থেকে গ্রেড ১২ এর ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে-কলমে বিজ্ঞান শেখাচ্ছি। ১২ ডজন বিজ্ঞান মেলায় বিচারক হিসাবে কাজ করেছি। অনেক দিন থেকে চেষ্টা করছি কানাডার বিজ্ঞান শিক্ষা নিয়ে ব্লগে একটা সিরিজ লিখবো। তবে পরিবেশ নিয়ে লিখতেই সময় শেষ =p~ অন্য বিষয়ে যাওয়ার সময় করেই উঠতে পারতেছি না। মাঝে-মাঝে মনে হয় বাচ্চাদের জন্য একটা বিজ্ঞান শিক্ষার বই লেখা শুরু করি। কোনটার জন্যই সময় বের করতে পারতেছি না।

আপু, আপনি কানাডায় বাচ্চাদের বিজ্ঞান শিক্ষা নিয়ে আজকে সূচনাটা করে দিলেন। এই জন্য ধন্যবাদ। আর একটু বিস্তারিত লিখেন অন্য একটা পোষ্টে। আমি শেষ করবো কথা দিলাম।

হামা ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ বাচ্চাদের জন্য হাতে-কলমে বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্হা করার জন্য।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৯

সোহানী বলেছেন: হাঁ তুমি বলেছিলা আগেও। জানি কি কঠিন সময়ের মাঝে ব্লগে সময় দাও। তারপর অনুরোধ কিছু একটা শুরু করলে দেখবা চলে যাচ্ছে। তোমরা যদি না লেখ তাহলে আমাদের এ অভাগা শিশুদের কি হবে। কারন ওদের ভাগ্যের নিয়ন্ত্রক তো ওরা না।

পরিবেশ নিয়ে লিখো ইমার্জেন্সিতে তাই বিজ্ঞান নিয়ে লিখবা অবসর এ। এই যে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে-কলমে বিজ্ঞান শেখাচ্ছ, তার এক্সপেরিয়েন্স লিখবা এখানকার বাচ্চারা বুঝতে পারবে।

আমি দেশে দেখেছি অল্প ক'জন লেখক ছাড়া কেউই বই বের করে না বিজ্ঞান নিয়ে। তোমরা যদি না লিখ তাহলে কিভাবে পাবে ওরা।

আমি সূচনা করেছি কিন্তু এর বেশী লিখতে পারি না কারন এটি আমার বিষয় না। ছেলে বড় হলে ওকে দিয়ে লিখাবো...হাহাহাহা এখন তোমরা লিখা শুরু করো।

হামা ভাইদের উদ্যোগটা সত্যিই প্রশংসনীয়।

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আপনার ছেলে আসলেই জিনিয়াস নাম্বার ওয়ান

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

সোহানী বলেছেন: হায় হায় কেমনে !!!!!!!!!!!!!

১১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: একটি শিশু বিকাশের জন্য যাবতীয় বিবেচ্য বিষয়ের প্রতি নজর দেওয়ার সরকারের প্রয়োজন সে বিষয়গুরো উন্নত দেশগুলো করে থাকনে। কিন্তু আমাদের দেশে এমনটি কখন হবে কে জানে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

সোহানী বলেছেন: আমরা গদি নিয়ে মারামারি করতেই বিজি থাকি, এসব নিয়ে ভাবার সময় কই!!!!!!!!

১২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

কালীদাস বলেছেন: বাইরে পড়তে আসার পর কিন্ডারগার্টেন লেভেলে বাচ্চাদের কিভাবে পড়তে দেখছি অনেক দূর থেকে, সেটার উপর অনেক লেখা যাবে। এরা পড়াশোনা বা দৈনন্দিন জীবনে কতটা প্রাকটিকাল সেদিকে যাচ্ছি না আপাতত, অনর্থক উন্নত দেশের সাথে কম্পেয়ার করার মানে হয় না। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা যখন পড়তাম প্রাইমারি লেভেলে, তখনও কি বইয়ের বোঝার ভার খুব কম ছিল? বা হাইস্কুলে? হোমওয়ার্ক কি আমরা কারও চেয়ে কম করেছি? বছরে কি দুইটা ব্যাগ আমাদেরও কিনতে হয়নি বইয়ের ভারে ব্যাগ ছিড়ে যাওয়ায়? না, আমি সেকেন্ড ওয়াল্ড ওয়ার বা সত্তরের দশকের সময়কার কথা বলছি না; আমার স্কুল জীবনও নব্বইয়ের দশকেই পার করা। তাহলে এখন এত কমপ্ল্যান আসছে কেন?

আমার নিজের কাজিনরা বিভিন্ন লেভেলে পড়ে, তাদের কাছে মাঝে মাঝে শুনি প্রেশারের কথা। পরিবর্তন যেটুকু হয়েছে, সেটা কেবলই সৃজনশীল নামে এক এক্সপেরিমেন্ট যোগ করা (যেটা এর উদ্ভাবকরা ছাড়া কারও কাছেই পরিষ্কার না, এমনকি শিক্ষকদের কাছেও না) এবং গ্রেডিং সিসটেম সম্পূর্ণরুপে ধ্বংস করে ফেলা। এই বইয়ের পাহাড় কাঁধে নিয়েও কতটুকু শিখছে এরা? খুব সহজ একটা যাচাইয়ের কথা বলি। এরা ভেতরে অন্তঃসারশূণ্য হচ্ছে এই এক্সপেরিমেন্টের। পাবলিক ভার্সিটিগুলোর ভর্তি পরীক্ষায় ফেলের পরিমাণ সেটার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ।

আমাদের সময় যে দুনিয়া উল্টানো পড়াশোনা করতাম, মোটেও তা না। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে এরকম ভয়াবহ ফেলের সংখ্যা কখনই দেখা যেত না। ১০% পাস? কয়েকজনকে দেখি আদৌ না জেনে ভার্সিটিগুলোর সমালোচনা করতে যে প্রশ্ন অতি হাই স্ট্যান্ডার্ডের করা হয়েছে। বুলশিট। প্রশ্নপত্র বানানোর কমিটিতে থেকেছি কয়েকবারর, মোটেও স্ট্যান্ডার্ড বাড়ানো হয়নি ডিফিকাল্টির। বারো বছর তাহলে কি এক্সপেরিমেন্ট চালানো হচ্ছে শিশুদের উপর? সেকেন্ড, আদব কায়দা লাটে উঠছে কেন? বড়দের সাথে কথা বলতে হয় কিভাবে সেটা বেশিরভাগই জানে না: স্কুলগুলোতে কি শেখানি হচ্ছে তাহলে? কি ঘোড়ার ডিমটা এডাপ্ট করা হচ্ছে যে কোচিং সেন্টারের উপর নির্ভরশীলতা আরও বাড়ে আর কিছুই শেখা হয়না??

এই জিনিষ চলতে থাকলে: আর দশ বছর পর বাংলাদেশি স্টুডেন্ট আর বাইরে পড়তে আসতে পারবেনা। লিখে রাখেন কালীদাস নিকের মালিক বলেছিল। সবার খালি গোল্ডেন জিপিএ যোগ হচ্ছে স্কোরকার্ডে, যেটার কোন ইমপ্লিকেশন কোথাও নেই উল্টা আদব কায়দাও ভুলে যাচ্ছে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৩

সোহানী বলেছেন: এই প্রথম মনে হয় আমার লিখায় আপনাকে দেখলাম, ধন্যবাদ প্রথমেই।

হাঁ আপনি অসম্ভব গুড়ুত্বপূর্ন কয়েকটি বিষয় নিয়ে এসেছেন। একটি একটি করে আসছি...

প্রাইমারি বা হাইস্কুল লেভেলে বইয়ের বোঝা ও হোমওয়ার্ক এবং বর্তমান শিক্ষা: আসলে কমপ্লেইন করে বাচ্চারা ও তাদের অভিবাবক। কারন সময়ের অভাব। অাপনি মনে করে দেখেন আশির দশকে যখন আমরা পড়তাম আমাদের হাতে এক বিটিভি ছাড়া কিছু ছিলনা। ফেইসবুক, ইউটিউব বা ভিডিও গেইম বা লেটেস্ট এনিমেটেড মুভি এসবের জন্য কোন সময় দিতে হতো না। এখনকার অবস্থা সম্পূর্ন বিপরীত। এ সবরে ধাক্কায় সময় নেই পড়ার। তাই সর্টকাট খোঁজে ওরা এবং ওদের অভিবাবকরা।

সৃজনশীল এবং গ্রেডিং সিসটেম : সমস্যা ছিল দেশে হঠাৎ নোট বইয়ের দিকে ঝুকেঁ গেল সবাই। যা প্র্ন আসে তা গড়ে নোট বই দেখে মুখস্থ করে পরীক্ষায় উগড়ে দেয়। এরকম অবস্থায় অবশ্যই কিছু বুদ্ধিমান মস্তিস্ক এর থেকে পরিত্রানের উপায় বের করার চেস্টা করেছিল। এখন আমাদের সমস্যা হলো একটা সমাধানের দিকে পৈাছাতে যে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করতে হয়ে, তথ্য উপাথ্য লাগে, পরীক্ষা লাগে তা বাকি মাথা মোটারা মনে হয় জানে না। তাই বৈপ্লবিক একটা সমাধান রাতারাতি নিয়ে আসে। এতে সব কিছু লেজেগোবড়ে হয়ে যায়, ভালো কিছুর ও পরিনতি খারাপ হয়ে যায়। যার ফলাফল এ সৃজনশীল এবং গ্রেডিং সিসটেম। টিচাররা বুঝে উঠার আগেই তাদের চাপিয়ে দিয়েছে, তাই তারা শিখাবে কিভাবে???

ভর্তি পরীক্ষাগুলো: হাঁ, নকল করে আর ফাঁস প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষার ছেলে-মেয়েদের কাছেতো কঠিনই মনে হবে। এ প্রশ্নতো একই ধারায় অাছে কিন্তু অল্প পড়ুয়াদের জন্য এটাইতো পাহাড়।

আদব কায়দা লাটে উঠছে: এ ব্যাপারে আমি কোটিবার সহমত। আগে স্কুলে নীতি বাক্য শেখানো হতো, সন্মান শেখানো হতো সেটা পরিবারে বা বাইরে। এখন কেন এমন হচ্ছে?? মনে পড়ে, আমি যখন স্কুলে পড়ি নাইনে সে খানকার বাংলা টিচারের নাম শুনে বাবা বলেছিল মনে হয় ইনি আমার টিচার ছিলেন এক সময়। আমি সে টিচারকে জাস্ট একবার বাবার নামটা বললাম, সাথে সাথে উনি বাবার চৈাদ্দগোষ্ঠির ঠিকানা বলে দিলেন। এবং স্কুল শেষে শুধু বাবাকে দেখতে বাসায় চলে এলেন। বাবা উনার পা জড়িয়ে ধরলেন। কি আবেগ ভালোবাসা................ ।

এই জিনিষ চলতে থাকলে: আর দশ বছর পর বাংলাদেশি স্টুডেন্ট আর বাইরে পড়তে আসতে পারবেনা। লিখে রাখেন কালীদাস নিকের মালিক বলেছিল...: যা অবস্থা দেখা দিচ্ছে দেশের আসবে কিভাবে!!! তাইতো পয়সা হলেই সবাই বিদেশ পাঠায় বাচ্চাদের। দেশের টাকা লুটপাট করে আর সেটা দিয়ে বিদেশে বাচ্চাদের পড়ায় আর সেকেন্ড হোম বানায়..........

দীর্ঘ মন্তব্য উত্তর দিলাম। অনেক দিন থেকেই এটা নিয়ে ওপেন কথা বলতে চাচ্ছিলাম...................

ভালেঅ থাকুন। আপনার মিউজিকের লিষ্ট পাচ্ছি না অনেকদিন।

১৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

কালীদাস বলেছেন: স্যরি, বলতে ভুলে গিয়েছিলাম যে এরকম অন্ধকারের মাঝেও বিজ্ঞান বাক্সের আইডিয়াটা আশার আলো হয়ে উঠতে পারে। আমি আশাবাদী যে এটা আরও প্রসার পাবে এবং পলিসি মেকারদের টনক নড়বে কোন একদিন।

এবং হাসান ভাইয়ের পান্জাবীটা সুন্দর।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৪

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই........

হাহাহা হাসান ভাইয়ের পান্জাবীটা সুন্দর।

১৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

মাআইপা বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৮

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ মাআইপা .......

১৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

আশমএরশাদ বলেছেন: ভালো লাগলো কবি :)

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

সোহানী বলেছেন: আস্তাগফিরুল্লাহ্................ :((

১৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে শিশুদের লেখা পড়ার মান খুব বাজে।
দুঃখ হয়।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫০

সোহানী বলেছেন: সাংবাদিক ভাই, এভাবে বললেতো হবে না। আপনি কলম ধরেন.. আমরা আছি আপনার সাথে.................

১৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: বর্তমানে মুখস্থ বিদ্যা থেকে বাচ্ছাদের কে বিজ্ঞান বক্স কিছুটা হলে মুক্তি দিতে পারবে।।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫১

সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্য সত্যের ছায়া ভাই।

১৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

আটলান্টিক বলেছেন: আমি পরে বড়সড় মন্তব্য করবো।এখন শুধু আপনার লেখা পড়ছি আর টাশকি খাচ্ছি।দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কি এতো খারাপ???আমার নিজেকে আফ্রিকার উগান্ডার কোন রাখাল মনে হচ্ছে।কালীদাসের মন্তব্য গুলো পড়েও আতংক বোধ করছি।আর কয়েকদিন পরে নাকি কেউ বাইরে পড়তে যেতে পারবে না।মলাষইমুইনা ভাইয়ার কমেন্টটাও পড়েছি।আতংক বাড়ছে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

সোহানী বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম ফিরে আসার।

অাসলে সবাই কম দু:খে আতংকিত হচ্ছে না, অবস্থা দেখে আতংকিত হচ্ছে।

খাদ্যে ভেজাল, পড়ায় ভেজাল, আচরনে ভেজাল.............. কই যাবে শিশুরা...........!!!

১৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

করুণাধারা বলেছেন: দরকারি কথা খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন! দারুন লিখা সোহানী। আট বছর বয়সে আঠারোটা বই পড়ার হাত থেকে আপনার ছেলেমেয়েরা কেবল রেহাই পায়নি বরং শিক্ষার চমৎকার পরিবেশ পেয়েছে। শুভকামনা তাদের জন্য।

বিজ্ঞান বাক্স ভাল উদ্যোগ নিঃসন্দেহে, বাচ্চারা আনন্দের সাথে বিজ্ঞান শিখতে পারবে কিন্তু শুধু এটা দিয়ে অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। ক্লাস সিক্সে তেরটা বিষয় পড়তে হয়, শারীরিক শিক্ষায় বিভিন্ন খেলার কোর্টএর মাপ শতেক বার মুখস্থ করলেও গুলিয়ে যায়। কৃষি শিক্ষা বলে একটা বিষয় আছে যেখানে ভিন্ন ভিন্ন সব্জির সারের মিশ্রণের অনুপাত মুখস্থ করতে হয় সেই ছেলেকে যে তার ফ্ল্যাটের বারান্দার টব ছাড়া কথাও দেখেনি গাছ কিভাবে বড় হয়। মুখস্থ তো করতেই হবে, জিপিএ পাঁচ না পেলে তো চলবে না।

এই ভাল উদ্যোগটির সাফল্য কামনা করি।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০৫

সোহানী বলেছেন: হাঁ ঠিক তাই। একটি বিজ্ঞান বাক্স দিয়ে কোনভাবেই শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়। এটি একটি সূচনা মাত্র।

শারীরিক শিক্ষায় বিভিন্ন খেলার কোর্টএর মাপ শতেক বার মুখস্থ করাই শুধু না, কবিতার অর্থ বুঝে না কিন্তু প্রথম দশ লাইন মুখস্থ করে পরীক্ষা হলে যায়নি এমন বান্দা কম। এখানে এস প্রথম শিখেছি গান কবিতা মুখস্থর বিষয় না বোঝার বিষয়। ভিন্ন ভিন্ন সব্জির সারের মিশ্রণের অনুপাত মুখস্থ করার বিষয় নয় মাঠে যেয়ে দেখার বিষয়................ কিন্তু কে বুঝবে এগুলা।

কেউ ভালো কিছু উদ্যোগ নিলে চামচারা পিছন থেকে টেনে ধরে, ১২ ক্লাস পার হয়নি ওরা শিক্ষা ব্যবস্থার নীতি নির্ধারক। কেমনে কি হবে........... কোন দিক থেকে শুরু হবে বলতে পারেন????

এর উত্তর আমার জানা নেই। আমরা পারিনি, আমাদের সন্তানরা এক সময় সঠিক দিক নির্দেশনা হয়তো আনবে।

অনেক ভালো থাকুন।

২০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তথাকথিত সৃজনশিল প্রণেতারা আর বাস্তবায়নকারীরা কি জাতিগত ধ্বংসের কোন ষড়যন্ত্রে জড়িত!
দীর্ঘমেয়াদে জাতিকে মেধাহীন আর পঙ্গু বানানোর কোন দূরভী সন্ধি!!!!
কি জানি! খূবই হতাশ লাগে! কোথাও কেউ নেই যেন!!!
যে জাতি শিক্ষায় পিছিয়ে থাকবে তাকে শোষন করতে, শাসন করতে বেশি সুবিধা!

কারিকুলাম বদলানো খবুই জরুরি। প্রকৃত শিক্ষার জন্য উন্নত দেশ সমূহের ফ্রেমকে দেশিয় প্রেক্ষাপটে সাজানো সময়ের প্রয়োজন।
ব্রিটিশের অনুগত কেরানী প্রয়োজন ছিল! তারা তেমন সাজিয়েছে। আমাদের বিসিএস কয়জন সৃজনশীল মেধার বিকাশ ঘটাতে পেরেছে?
আমারও কি বৃটিশের অন্ধ অনুকরণেই সূখ খুঁজবো! এখনো?

বিজ্ঞান বাক্স দারুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। জ্ঞানের আগ্রহ জাগিয়ে তুলেছে। এটাইতো জ্ঞানের প্রাণ। আমি শিখতে চাই।

এগিয়ে যাক বিজ্ঞান বাক্স। এগিয়ে যাক আমাদের শিক্ষা নীতি বাস্তবতার হাত ধরে, সময়ের প্রয়োজনে বিশ্বজনিন মানে।


২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১০

সোহানী বলেছেন: তথাকথিত সৃজনশিল প্রণেতারা আর বাস্তবায়নকারীরা কি জাতিগত ধ্বংসের কোন ষড়যন্ত্রে জড়িত! দীর্ঘমেয়াদে জাতিকে মেধাহীন আর পঙ্গু বানানোর কোন দূরভী সন্ধি!!!!...................

ভাইরে কারে বলবেন কি................ কে ও কি বুঝে যে কি ধ্বংস করে যাচ্ছে দেশ জাতির? শিশুদের ধ্বংস মানে প্ররো দেশ ধ্বংস জাতি ধ্বংস ।................... কে ও কিছু বুঝে বলেতো মনে হয় না। জাফর স্যারের মতো দু'একজন চেস্টা করে অপমান অপদস্থ হয়েছে........ কে এগিয়ে আসবে??? অথচ সরকার চাইলে সারা বিশ্বের মাথাগুলো ছুটে আসবে দেশের সেবা দিতে, কিন্তু সে আহবান ৪৭ বছরে ও কেউ জানালো না।

২১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাচ্চারা শিখতে চায়, যদি তারা স্কুলে যাবার সুযোগ পায়; বাংলার ৭০ বাচ্চা ১৯৭২ সালে স্কুলে যায়নি, কারো মাথা ব্যথা ছিলো না; আজকে ১০ বছরের বাচ্চা রাস্তায় ঘুমায় কারো মাথা ব্যথা নেই।

যে রাস্তায় ঘুমায়, তাকেও একটা সায়েন্স কিট দেয়া হোক!

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

সোহানী বলেছেন: সবাইকে পাশ কাটিয়ে আপনার উত্তরটা আগে দেবার প্রয়োজন বোধ করছি।

আপনার অনেক চিন্তার সাথে সমর্থন জানাই তবে আজকের বিষয়টি আপনি মনে হয় ধরতে পারেননি। কারন যারা স্কুলে যাবার সুযোগ পায়নি বা যে বাচ্চা রাস্তায় ঘুমায় কারো এ মাথা ব্যথা আছে কি নেই তা আমার লিখার বিষয় নয়। আমার বিষয় যেসকল বাচ্চা যারা স্কুলে যায়, লেখাপড়া করে, তাদের বাবা-মা তাদের পিছনে অর্থ, মেধা, শ্রম ঢালে।

গাজী ভাই, এ স্কুলে যাওয়া বাচ্চাগুলোই দেশের হাল ধরবে, রাস্তায় যে ঘুমায় সে না। রাস্তায় বাচ্চাগুলোর জন্য টোকাই ডিপার্টমেন্ট আছে, ওদেরকে কিভাবে হাইজ্যাক, চুরি, ড্রাগস নেয়া শেখানো যায় তার জন্য হাতে কলমে শিক্ষার ব্যবস্থা আছে। আমি আপনি চিন্তা না করলে চলবে। যারা দেশের হাল ধরবে তাদেরকে যদি চুরি শেখায় তাহলে সমস্যা পুরো দেশের জন্য।

আশা করি পার্থক্যটা ধরতে পারছেন।

ভালো থাকুন।

২২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বিজ্ঞানবক্স সম্পর্কে কিছুদিন আগে লিটন ভাইয়ের পোষ্টে পড়েছিলাম, সেদিন থেকেই ভাবছি, আমার ছেলেকে একটা কিনে দিতে পারি কিনা। আজ আপনার লেখাটা পড়ে মনে হচ্ছে কিনে দেয়াটা জরুরী হয়ে পড়েছে।
ছেলে আমার মাশাল্লাহ্ ইতিমধ্য অনেককিছু নষ্ট করে রেখেছে ঘরে, সবকিছু খুলে দেখা তার একটা আলাদা নেশা লক্ষ্য করেছি আমি।

এখন কন, কিসের দোকানে বিজ্ঞান বক্স কিনতে পারমু

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৩০

সোহানী বলেছেন: হাহাহা আপনার ছেলে নিউটন না হয়ে যাবে কই..........। অামার খুব শোপিসের শখ, বাসার একটা ও আস্ত ছিল না ছেলের অত্যাচারে। আসলে ওরা কিছু নিয়ে বিজি থাকতে চায়, সেররকম কিছু ওদের হাতে দিলে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।

এখন সমস্যা দেশে কোথায় কিনতে পারবেন সেটা আমি ঠিক জানি না তবে হামা ভাই এর উত্তর দিতে পারবে। দেখি হামা ভাইকে নক করে।

ধন্যবাদ নয়ন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

সোহানী বলেছেন: অন্যরকম বিজ্ঞানবাক্স

এটা দেখেন হামা ভাইয়ের দেয়া।

২৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৯

শায়মা বলেছেন: বিজ্ঞানবাক্সের খবর পাই প্রথমেই আমাদের স্কুলের লাইব্রেরীতে ( রিসোর্সেস বক্সে) এবং টয় কাবার্ডে। তারপর হামাভাইয়ার কাছে।
এই বিজ্ঞান বাক্স শিশুদের আনন্দময় শিক্ষাদানের এক অব্যার্থ উপকরণ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৩২

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই। শিশুদের জন্য দারুন কিছু। বিদেশে এসে দেখেছিলাম, দেশে হামা ভাইয়ের কাছে প্রথম শুনেছিলাম।

২৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাচ্চাদের বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৩৩

সোহানী বলেছেন: হাঁ ঠিক তাই কবি ভাই.............

২৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

পোস্টের বিষয়ে কিছুই বলার নেই। অনবদ্য এবং সময়োপযোগী। বিজ্ঞানবক্সের বিষয়টি আগে থেকেই বিভিন্ন পোস্ট থেকে কিছু কিছু জেনেছি। আজ সংশ্লিষ্ট দৃষ্টান্তসহ আরও বিশদভাবে জানলাম। এজন্য সহব্লগার সোহানীকে অনেক কৃতজ্ঞতা।

আমাদের দেশে এক্সপেরিমেন্টাল-, প্রজেক্ট- অথবা পর্যবেক্ষণ-ভিত্তিক শিক্ষা প্রায় নেই বললেই চলে। এমনকি মাস্টার্স ডিগ্রিও গবেষণা অথবা প্রজেক্ট ছাড়া অর্জন করা যায়। বিদ্যালয়ভিত্তিক শিক্ষা থেকেই যদি শিশুরা পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি বহির্জগৎ সম্পর্কে আগ্রহী না হয়, অথবা সেভাবে পরিচালিত না করা হয়, তবে সেটি পরবর্তি জীবনে আর স্বাভাবিকভাবে আসে না।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:০০

সোহানী বলেছেন: যথাযথ বলেছেন মইনুল ভাই। কি করবেন বলেন, দুই রুমের বাসায় একটা বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠে ।

যে প্রাথমিক শিক্ষা হতে হয় প্রথম ভিত সেখানে শিক্ষার মান বা শিক্ষকের মান দেখলে আতঁকে উঠতে হয়। যে শেখাবে সে কতটা জানে সেটা বড় বিষয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় এর কথা কি বলবো, একজন টিচার কামলা খাটে দ্বারে দ্বারে। তার দরকার ঘন্টা হিসেবে, কি শিখলো সেটা দেখার বিষয় না।

দেশের সব সমস্যা একটা আরেকটার সাথে এমনভাবে গিট্টু বেধেঁ আছে যে কোনটা থেকে শুরু করতে হবে কেউই জানে না। যাই হোক এরকম কিছু ছোট ছোট আশার আলোর দিকে তাকিয়ে থাকি আলো একদিন আসবেই।

২৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:০২

নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো পোষ্ট ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি...........

২৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
।কোথায় পাব এই সায়েন্স কিট? কিডসদের অনেক উৎসাহিত করবে কোন সন্দেহ নেই!

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

সোহানী বলেছেন: হামা ভাইয়ের দেয়া লিংক দেখেন নীচে, ডানা ভাই।

২৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:২১

সুমন কর বলেছেন: এতো মজা করে হয়তো আগে লিখেন নি। পড়তে দারুণ লেগেছে। +।

যা বলার, ব্লগার কালিদাস বলে দিয়েছে......

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

সোহানী বলেছেন: আরে ধ্যাৎ, আমার আবার লিখা। ভালোবাসের বলে ভালোলেগেছে...........

কালিদাস অসম্ভব গুড়ুত্বপূর্ন পয়েন্ট তুলে এনেছেন, আমার সাধ্যমত ব্যাখ্যা দেয়ার চেস্টা করেছি।

২৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৮

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এক ধরনের মজার সাথেই একটি সিরিয়াস লেখা পড়লাম।।
মুখস্ত বিদ্যা আর হাতে-কলমে শিক্ষার বিশাল তারতম্যটা ফুটে উঠেছে।। ফলাফলটাও বিশাল তারতম্যে।।
সৌভাগ্য আমার, এত বোঝা বইতে যেয়ে কাধে "কহর" পড়ে নি।।
আশা করছি এবছর বইমেলটা পাব।। যদি ষ্টলের সন্ধান পাই, তবে নাতি/নাতকুদের হাতে তুলে দেব এই আলাদীনের চেরাগটি।।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

সোহানী বলেছেন: কি করবো বলেন হ্যাপী ভাই, কম দু:খে লিখিনি। যা অবস্থা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার..........

নীচে হামা ভাই লিংক দিয়েছেন, আশা করি বইমেলায় উনারা স্টল দিবেন।

৩০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো ++++


২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ কবীর ভাই।

৩১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

ওমেরা বলেছেন: অনেক ভাল লাগল লিখা। আপু উন্নত বিশ্বের সাথে আমাদের দেশের যে কোন জিনিসেরই যদি আমরা তুলনা করি তবে আমাদের শুধু কষ্টই পেতে হবে । ধন্যবাদ আপু।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

সোহানী বলেছেন: আমি কোনভাবেই তুলনা করিনি। তুলনা করার সময় এখনো আসেনি, শুধু প্রথম স্টেপ বলার চেস্টা করছি ওমেরা।

অনেক ভালো থাকেন।

৩২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: পরিবর্তন আশু প্রয়োজন সোহানী। বিজ্ঞানবাক্স শুধু একটি পণ্য নয়, একটি মুভমেন্ট। সামুতে এই মুভমেন্টে চালু করতে পেরে, এবং ব্লগারদের আন্তরিক আগ্রহ দেখে ধন্য মনে করছি নিজেকে।

যারা বিজ্ঞানবাক্স কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন, তারা দয়া করে এই লিংকে ঢু মারুন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

সোহানী বলেছেন: আপনারা কি বইমেলায় কোন স্টল দেবার প্লান আছে? যদি থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। সবাই তাহলে সহজে খুঁজে পাবে। বাচ্চাদের আগ্রহ ও বেড়ে যাবে।

৩৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: খুবই গুরুত্বপুর্ণ সময়োপযোগী পোষ্ট । পাঠের সাথে সাথে প্রিয়তে গেল ।
বাচ্চাদের সৃজনশীলতা ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টভঙ্গী , চিন্তা চেতনা ও গবেষনার মননশীলতা তৈরীর জন্য বিজ্ঞান বক্স খুবই সহায়ক শিক্ষা সরঞ্জাম । এটা প্রাচ্য এবং পাশ্চাতের উন্নত ও উন্নয়নকামী সকল দেশেই এখন ক্রম বর্ধমান হারে ব্যবহৃত হচ্ছে । ইন্টারনেট সহজ লভ্য হওয়ার কারণে ইউটিউব হতেও অনেকে এখন বিজ্ঞান বক্সের কার্যকারীতা অবলোকন করতে পারছে । এ পোষ্টের সাথে সংযুক্ত আপনার দেয়া লিংক গুলি হতেও ইচ্ছুক অনেকেই এ বিষয়ে বেশ সহায়তা পাবেন ।

বিজ্ঞান বক্স এখন একদিকে যেমন বাচ্চাদের জন্য বিজ্ঞান চর্চায় সহায়ক সরঞ্জাম, অন্যদিকে তেমনি এটা একটি বেশ সফল বানিজ্যিক শিল্প কার্যক্রম হিসাবেও দ্রুত বিকাশ লাভ করছে । এর বাজার ও বিপনন প্রসার হচ্ছে অতি দ্রুত বেগে । এর এখন এখন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বাজার । পৃথিবীর বিভিন্ন নামকরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান প্রেমী পন্ডিত বর্গ সহ বহু মেধাবী তরুন সংঘবদ্ধ কিংবা ব্যক্তি পর্যায়ে বাচ্চাদের উপযোগী বিভিন্ন প্রকারের উন্নত মানের বিজ্ঞান বক্স উদ্ভাবনের কর্মে নিয়োজিত আছেন । কেমন করে বিজ্ঞান বক্সের রমরমা বিপনন চলছে তা নীচে দেখা যেতে পারে। বিষয়টি একটি মহতি উদ্যোগ তাতে কোন সন্দেহ নাই ।

এছাড়াও নীচের দৃশ্যটির মত অনেকেই বাচ্চাদের জন্য চমক প্রদ বিজ্ঞান বক্স নীজেরাই ঘরে তৈরী করে দিতে পারেন । এ জন্য তাঁরা এই LINK এ প্রদর্শিত দুটো খালী পানির বোতল ও জুসপানের নলের মত অতি সাধারণ গৃহস্থালী বর্জ বস্তু দিয়েই অনেক রকমের বৈজ্ঞানিক কাজ শেখাতে পারবেন । এছাড়াও বিজ্ঞান বক্স সহায়ক ইউটিউব দেখে সুন্দর সুন্দর চমকপ্রদ বাচ্চা বান্ধব বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞান বক্স নিয়মিত ঘরেই তৈরী করে দিতে পারেন, তাতে করে অনেক দাম দিয়ে বাজার হতে বিজ্ঞান বক্স ক্রয়ের জক্কি যামেলা পোহাতে হবেনা ।

বাংলাদেশে মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর বাচ্চাদের শিক্ষা কারিকুলামকেও ঢেলে সাজাবার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে । এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বক্স গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে, তাতে কোন সন্দেহ নাই । তবে বিজ্ঞান বক্সের পাশাপাশি বাচ্চাদের জন্য হাতে কলমে শ্রেনী কক্ষে , বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এবং এ পোষ্টের বিবরণ অনুযায়ি বিজ্ঞান শিক্ষা সহায়ক বিভিন্ন বিজ্ঞান ল্যব ও বাচ্চা সহায়ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর স্থাপনা সমুহে সরজমীনে পরিদর্শনের ব্যবস্থাদি বাচ্চাদের শিক্ষা কর্মসুচীতে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের জন্য মস্তিস্ক শ্রম নির্ভর কঠোর মুখস্ত বিদ্যা অনুশীলন কর্মসুচীর ভার অনেকটাই লাগব করে দিতে পারেন । এতে করে বছরের শুরুতেই ঘটা করে বাচ্চাদেরকে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনামুল্যে পাঠ্য পুস্তক বিতরনের কর্মসুচী পালন করে রাস্ট্রিয়ভাবে মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর পুস্তক রচনা , মুদ্রন, প্রকাশ ও বিতরনের জন্য কার্যক্রম গ্রহনের প্রয়োজনীয়তা বহুলাংশে কমে যাবে ।

মস্তিস্ক শ্রমনির্ভর মুখস্ত বিদ্যা ও পঠন সহায়ক অনাবশ্যকীয় পুস্তকগুলি বাচ্চাদের জন্য বিনামুল্যো হলেও এর জন্য সমাজ ও দেশকে বহন করতে হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার দায়ভার , এ কথাটি ভুলে গেলে চলবেনা দেশ পরিচালক কতৃপক্ষের । পাঠ্য কার্যক্রমকে শুধু মাত্র মুখস্ত মুখী পুস্তক নির্ভর না করে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতার আলোকে ঢেলে সাজিয়ে অপ্রয়োজনীয় পুস্তকের সংখ্যা কমিয়ে শিশু বান্ধব বাস্তব সন্মত ব্যবহারিক দিকগুলি অন্তর্ভুক্ত করে, শ্লেণী কক্ষেই বাচ্চারা যেন কমপক্ষে নবম শ্রণী পর্যন্ত তাদের পাঠ কার্যক্রম সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পারে, তার ব্যবস্থা করা যেতে পারে । ব্যবস্থাটি মোটেও কঠীন সাধ্য কিছু নয় । প্রতি বছরই বিভিন্ন প্রকারের কারিগরী সহায়তা কর্মসুচীর আওতায় শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে সংস্লিস্ট সরকারী কর্মকর্তা ও শিক্ষকগন পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে বাচ্চাদের শিক্ষা কার্যক্রমের উপর শিক্ষা সফর ও প্রশিক্ষন গ্রহন করে থাকেন বলেই জানি । তাঁরা তাদের শিক্ষা সফর ও অর্জিত প্রশিক্ষন লব্ধ জ্ঞানের আলোকে বাংলাদেশে সেরকমের শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহনের জন্য যথোপযুক্ত পরিকল্পনা প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি । এই কাজের জন্য যে পরিমান অর্থের প্রয়োজন হবে তা আবশ্যকীয় পুস্তকের বাইরে অপ্রয়োজনীয় পুস্তক প্রনয়ণ , মুদ্রন ও বিতরণ কাজে ব্যয়িত অর্থ সাস্রয় করেই মিটানো যাবে বলেও মনে করি । এর জন্য প্রয়োজন শুধু দৃস্টি ভঙ্গী ও মন মানসিকতার পরিবর্তন , সাথে বাচ্চাদের শিক্ষকদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন কার্যক্রম গ্রহণ। দেশে বর্তমানে যে পরিমান প্রাইমারী টিচার্স প্রশিক্ষন ইন্সটিটিউট ও প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান আছে সেগুলিকে আরো একটু মান সন্মতভাবে পুর্ণগঠন করে সংস্লিষ্ট শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে ।

ধন্যবাদ জাতি গঠনমুলক মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

সোহানী বলেছেন: আপনার মন্তব্য উত্তর দেয়ার জন্য একদিন সময় নিলাম। সময় না নিয়ে উত্তর দেয়া অসম্ভব। আর আপনি যা লিখেছেন এবং যে সকল বিষয় বলেছেন তা একটি পূর্ণ লিখার সমান। আবারো অনুরোধ এ গুড়ুত্বপূর্ন বিষয়গুলো নিয়ে কিছু লিখেন।

প্রথমেই আসি বিজ্ঞান বক্স নিয়ে: দেখেন বিজ্ঞান বক্স এমন আহামরি কিছু না। খুব ছোট ছোট কিছু উপাদান যা দিয়ে নিরাপদ উপায়ে বাচ্চারা ক্লাসে যা বইয়ে পড়ে তার হাতে কলমে পরীক্ষা করে। শিশুদের মনে কৈাতুহল থাকবেই অার তা যদি আমরা দমন না করি তাহলে একদিকে যেমন তারা হতাশ হবে অন্যদিকে কিছুই বুঝতে পারবে না। এবং একসময় সব ভুলে যাবে। খুব ব্যাক্তিগত উদাহরন দেই। আমার বোনের ছেলে গ্রেড ৫ এ পড়ে। ও আবার এসব যন্ত্রপাতি নিয়ে নাড়াচাড়া করা অসম্ভব পছন্দ করে। তাই ক্লাসে বইতে যাই পড়ে আসতো বাসায় তার পরীক্ষা করতো এবং মোটামুটি তার যন্ত্রনায় টিভি ফ্রিজ বেন্ডিং মেশিন টোস্টার সিডি প্লেয়ার কিছুই আস্ত ছিল না। সব কিছুর উপর তার পরীক্ষা চলতো। এমন কি কারেন্ট তার এ ব্লেড ঢুকিয়ে সে তা সুপরিবাহি কিনা তার পরীক্ষা করতে গিয়েছিল। বুঝেন কি অবস্থা..... আমার মায়ের বাসায় এক দুপুরেই সে একটা ওভেন, টোস্টার, ব্লেন্ডার শেষ করে দিল....হাহাহাহা। এই ছেলের হাতে যদি তখন এমন কিছু উপকরন দিতে পারতাম তাহলে বাকি জিনিস ওর হাত থেকে বেচেঁ যেত।

মস্তিস্ক শ্রমনির্ভর মুখস্ত বিদ্যা ও শিশু বান্ধব বাস্তব সন্মত ব্যবহারিক দিকগুলি অন্তর্ভুক্ত করন: এ নিয়ে যা বলেছেন তার দ্বিমত স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী ও করবে না। আলী ভাই, শিক্ষামন্ত্রনালয় নামে বিশাল মন্ত্রনালয় আছে। হাজার হাজার কর্মচারী সেখানে কাজ করে, কয়েক ডজন সচীব আছেন, হাফ বা ফুল মন্ত্রী ও আছেন। তারা কি একটু ও বাস্তবতা দেখেন না?? তারা কি বছরে কয়েকবার বিদেশ ভ্রমণ করে জ্ঞান অর্জন করেন না?? আমারতো কয়েকবার বিদেশ সফরে কম করে হাফ ডজন সরকারী কর্মকর্তা সাথে নিয়েছিলাম। তাহলে এতো কিছু শিখে কিছুতো দিতে হবে, তাই না!

আদার ব্যাপারীর জাহাজের খোঁজ নিয়ে লাভ কি? ইয়া নাফসী..... হাহাহা মানে কি বুঝেছেন?

ভালো থাকেন। শরীর কেমন? শীততো কমেছে, এবারতো লিখার আঙ্গুলগুলো নিশ্চয় চলা শুরু করবে তাই না?????

৩৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সোহানী আপু,একটু মজা করে লিখলেও লেখাটিতে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার করুন দৃশ্য ফুটে উঠেছে।
এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন দরকার খুব দ্রুতই।কিন্তু যারা এই শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করবেন তাদেরই তো কোন মাথা ব্যথা নেই।
উপরে অনেকের কমেন্টই ভাল লেগেছে।
শিক্ষাটা যেন শিক্ষার্থীদের জন্য বোঝা না হয় সে দিকটা বিবেচনা করেই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো দরকার বলেই আমি মনে করি।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:১৬

সোহানী বলেছেন: যারা এই শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করবেন তাদেরই তো কোন মাথা ব্যথা নেই।.............. সেটাই আসল কথা সোহেল ভাই। কিন্তু কেন নেই... আমি জানি এর অনেক কারন আছে। তারপর ও সে কারনগুলোকে পাশ কাটিয়ে স্বদিচ্ছা থাকলে কোন উপায় বের করতে পারেন। কিন্তু করেন না বা অদূর ভবিষ্যতে করবেন কিনা তা আমরা জানি না। এমন কি নির্বাচন মেনুফেস্টে এ নিয়ে কোন ক্লস আছে কিনা তা এ পর্যন্ত শুনিনি.............. এতো চিন্তা করে দেশ জাতির কোন উপকারই হবে না নিজের হার্টের অসুখ ছাড়া।

অনেক ভালো থাকেন সোহেল ভাই।

৩৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: দারুণ লিঙ্ক দিয়েছেন আপু, একেবারে দাম এক্সেপেরিমেন্ট সহ অনেকগুলো আইটেম একসাথে দেখে আসলাম। দেখি, আপাতত একটা বাক্স কিনার চিন্তা করে ফেলেছি।
হামা ভাইয়ের লিঙ্কটি দেয়ার জন্য অনেক অনেক ভালো লাগা ও কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা আপনার জন্য

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:২৩

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন। আপনাদের মতো উৎসাহী বাবা-মা থাকলে বাচ্চারা না শিখে যাবে কই।

আর শুনেন, বাচ্চা যা করতে চাইবে বাধাঁ দিলে ওরা শিখবে কি করে। আমার ছেলে বাসার কাচের কিছু আস্ত রাখেনি। এমন কি ড্রেসিং টেবিল, শোকেস, প্লেট, গ্লাস আর শোপিসতো আগেই বলেছিলাম। শেষে বাধ্য হয়ে মেলামাইন এর বাসন কোসন কিনেছিলাম বাসায় এবং তা দিয়েই মেহমানদারী করতাম..............হাহাহাহা তবে সেটার ও শেষ রক্ষা হয়নি। এখন আমার ছেলের মতো এতো ঠান্ডা ছেলে খুব কমই আছে.................

৩৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৭

জুন বলেছেন: সোহানী আপনার লেখাটি প্রকাশের সাথে সাথেই পড়েছি কিন্ত নেট সমস্যায় মন্তব্য করতে পারছিলাম না । আপনার ছেলে, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা ও বিজ্ঞান বাক্সের ব্যাপারে যা বলেছেন তা যথার্থ ।
আমার মনে আছে আমার ছেলেকে ঢাকার একটি নামকরা স্কুলে একদম প্রথম ক্লাশে ভর্তির জন্য একটি গাইড বই কিনে এনেছিলাম। উল্লেখ্য যে তখন তার বয়স ছিল চার । আর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সে সব কিছুই স্কুল থেকে শিখবে। এ কারনে আমরা তাকে কিছুই শিখাইনি। সেই গাইড বইতে লেখাছিল অনেক প্রশ্ন তার মাঝে ছিল দশটি সাদা ফুলের নাম লিখো , দশটি ওমুক জিনিসের নাম লিখো। সবচেয়ে টপ ছিল বাংলাদেশের স্থল পথের দৈর্ঘ্য কত ? জল পথের দৈর্ঘ্য । আমার হাসবেন্ড বইটি ঘরের একদিকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে বল্লো "আমি কি ছেলেকে বিসিএস পরীক্ষা দিবে নাকি" X((
তারপর একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করা হলো । আমরা ভুলেও তার পড়ার খবর নেই না । ঐ এক নীতি আমার শাশুড়ীর ভাষায় বিড়ালের গলায় শুটকির ছালা ঝুলাবো না । ওমা স্কুল থেকে কমপ্লেন আসতে লাগলো সে এটা পারে না ওটা পারে না । আমাদের দুজনের খুব রাগ হলো । পারবেই যদি তবে স্কুলে ভর্তি করিয়েছি কি করতে ! যাই হোক এরপর নড়ে চড়ে বসলাম ।
আমরাও ভাবতাম টিচাররাই আস্তে আস্তে গড়ে পিটে নিবে।
সে স্কুলে ক্লাশ ফাইভে একবার সাইন্স ফেয়ারে যোগ দিল । পাঁচ জনের গ্রুপ। ছেলে এসে বল্লো "আম্মু আমরা ডাইনোসোর ওয়ার্ল্ড বানাবো তুমি কিছু ডাইনোসর কিনে দাও"। অনেক খুজে নিউ মার্কেট থেকে দুই সেট প্লাস্টিকের ডাইনোসর কেনা হলো, গাছ পালাও নাকি লাগবে । তাও কেনা হলো । পিচ বোর্ড ও লাগবে প্রমান সাইজের । সেটাও কিনে দিলাম । পরদিন স্কুল থেকে ঢাকনা ছাড়া সদ্য কেনা বিদেশী পানির ফ্লাক্স ঝুলাতে ঝুলাতে ঘরে ঢুকলো। কি হয়েছে ? বল্লো "প্লাস্টিক পেইন্ট কিনে ওটার মধ্যে গুলে ডাইনোসরের ওয়ার্ল্ড রঙ করেছি, রঙ লেগে আছে, ধুলেও উঠছে না তাই ফেলে দিয়েছি। তাড়াতাড়ি খেতে দাও তুমি যা টাকা দিয়েছিলে ওটা দিয়ে রঙ কিনতে হয়েছে"।
আমি হতভম্ব হয়ে প্রশ্ন করলাম 'তো বাকি ছেলেগুলো কি কন্ট্রিবিউট করলো! ওরা কি কিছুই কিনেনি'! ছেলে আমার ছোটোলোকামীতে রাগ রাগ হয়ে বল্লো, "কেন আনবে না ! ওরা মাটি এনেছে মাটি। ওরা চারজন এক বালতি ভরে মাটি এনেছে, যেটার উপর ডাইনোসর গুলো সাজানো থাকবে"। সাইন্স ফেয়ার শেষে কিছুই বাসায় আনে নি । বুয়া নাকি রুম পরিস্কারের সময় ফেলে দিয়েছে :( এই সব ফেয়ারে গিয়েছি কয়েকবার । বাচ্চাদের প্রচুর উৎসাহ তবে বেশিরভাগ টিচারদের উৎসাহের অভাব চোখে পড়লো । তাদের চিন্তা এখান থেকে কখন দৌড় দিবে কোচিং সেন্টারে যেখানে সকল জ্ঞ্যান বিতরন করা হবে। মাঠ ঘাট ছাড়া কবুতরের খোপের মত স্কুল ঘরে ক্লাশ শেষে শেষে ক্লান্ত শ্রান্ত বিদ্ধস্ত ছেলে পুলেদের কোচিং সেন্টারে এক সাথে এত কিছু গিলিয়ে দেয়া হয় যে রাত্রে ফিরে এসে বিছানায় ঢলে পরা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না বাচ্চাদের। মায়া হয় তাদের দেখলে।
যাই হোক অপ্রাসংগিক ভাবে অনেক কিছুই বললাম । তবে বিজ্ঞান বাক্স আমাদের দেশের বাচ্চাদের বিজ্ঞান মনস্ক করে তুলুক, একটু আনন্দ দিক এটাই প্রার্থনা। আপনার লেখায় যথারীতি প্লাস ।
+

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪০

সোহানী বলেছেন: আপু, আমি কিন্তু আপনার মতো এতো ভালো মা না। সাদা রং এর ফূল বা আরো কিছুই শিখিয়েছিলাম। তবে আমার শেখানোর পদ্ধতি একটু ভিন্ন, আমার বাবার স্টাইল। যেমন ও আমার কোলে বসেই, উঠতে, বসতে, খেলতে খেলতে পড়াতাম .... অনেকটা খেলার ছলে। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত সে কোলের উপর শুয়েই পড়তো।

বিজ্ঞান মেলা বাচ্চাদের জন্যই সত্যিই দারুন কিছু। মনে পড়ে ছোট বেলায় প্রতি বছর বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিতাম। আপনার ছেলের কথা শুনে মনে পড়ে গেল। কত কিছু যে বাবা কিনে দিতেন।

বাচ্চাদের প্রচুর উৎসাহ তবে বেশিরভাগ টিচারদের উৎসাহের অভাব ........... ঘন্টায় আয়, এসব ফেলে টিচারদের সময় কোথায়?? আগের সেই আদর্শ কি আছে এখনো? ......... থাকলেতো পরিমল বা পান্না মাস্টার তৈরী হতো না!!!!

আর মাঠ ঘাট ছাড়া কবুতরের খোপের মত স্কুল ঘরে ক্লাশ......... এর চেয়ে সত্য কথা মনে হয় কিছু নেই ঢাকার কোন স্কুলের জন্য। কি করবো শিক্ষা এখন সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা, হবেই না কেন!!!!

ভালো থাকেন সবসময়...............

৩৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,




যে লঘুচালে দুলেদুলে একটি গুরুভার বিষয়ের ভেতরটা দেখিয়ে দিলেন তা অনন্য ।

বেশ কিছু মন্তব্যকারী বিষয়টি নিয়ে আমাদের দেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার করুন দশা তুলে ধরেছেন ।
মলাসইলমুইনা যা বলেছেন তা প্রকারন্তরে আমাদের দেশের শিক্ষার পদ্ধতি যে কতো নাজুক আর হঠকারী , তা তুলে ধরে আপনার বক্তব্যকেই জোরালো করেছেন ।
বিদ্রোহী ভৃগুও যথার্থভাবে আমাদের দেশের শিক্ষা পদ্ধতির অসংগতি আর তার চাহিদার কথা তুলে ধরেছেন ।
মাঈনউদ্দিন মইনুল এর মন্তব্যের শেষাংশ প্রনিধান যোগ্য ।
ডঃ এম এ আলী মন্তব্যের শেষ প্যারায় যা বলেছেন তা, কাকে কোথায় চোখ রাখতে হবে ; কার দায়িত্বটা কি তারই সিনোপসিস ।
জুন তার মন্তব্যে যা শোনালেন এর পরে আমাদের দেশের শিক্ষার পদ্ধতি আর শেখানোর ধরন নিয়ে আশাবাদী আলোচনা না করাই ভালো । প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় এহেন হেলাফেলা ও সঠিক নির্দেশনার অমন হালচাল, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের মনকে শিক্ষার প্রতি যে বিষিয়ে দেবে তাতে সন্দেহ করার কিছু আছে কি ? মনে হয়, না !

মোস্তফা কামাল পলাশ আগ্রহ দেখিয়েছেন শিশুদের জন্যে বিজ্ঞান বিষয়ক কিছু লিখবেন বলে । এটা আশা জাগানীয়া ।

কালীদাস বলেছেন, “ আমরা যখন পড়তাম প্রাইমারি লেভেলে, তখনও কি বইয়ের বোঝার ভার খুব কম ছিল?” তেমন কম হয়তো ছিলোনা কিন্তু বস্তুগত ওজনের চেয়ে সে সময় ভাব ও শেখার ও শেখানোর প্রক্রিয়া আর পদ্ধতিগত ওজন এখনকার পড়ুয়াদের মাথায় চাপানো টনকে টন ওজনের মতো ছিলোনা । যে কারনে “বইয়ের পাহাড় কাঁধে নিয়েও কতটুকু শিখছে এরা” এটা কালীদাসেরই কথা ।

এসব মন্তব্যের জবাব আপনি যে নিপুনতার সাথে দিয়েছেন তাকে প্রশংসা না করে থাকা ঠিক নয় , করতেই হয় ।
ব্লগই মনে হয় সফল একটি মিথষ্ক্রিয়ার জায়গা যেখানে এরকম করে আলোচনা সম্ভব । আপনার লেখার মূল বিষয়টি আরো আলোচনাকে টেনে আনুক । যাদের কানে পানি ঢোকার কথা তাদের কানে পানি না ঢুকলেও আমরাতো পানির তেষ্টা থেকে খানিকটা রেহাই পাই ।

আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমি নিজেও প্রচন্ড হতাশ, আতঙ্কিত, উদ্বিগ্ন, উৎকন্ঠিত ।
প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝেও আজ এই গুরুভারের বিষয়টিতে তাই খানিকটা হাজিরা দিয়ে গেলুম নইলে নিজের কাছে খারাপ লাগতো , সময়কালে এমন একটি লেখায় অংশগ্রহন করতে পারিনি বলে ।
তাই অন্যদের মন্তব্য নিয়ে কিছুটা চিহ্ণ রেখে গেছি, সময় করে নিজের বলাটা নিয়ে আসবো বলে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জী ভাই। আপনার অংশগ্রহন ছাড়া কোন আলোচনায়ই পূর্ন হয় না। যেভাবে সব কিছু গভীরভাবে পড়েন যা লিখার স্বার্থকতা এনে দেয়। এই কারনেই ব্লগ পছন্দ করি, সব কিছুই আলোচনা করতে পারি। বাস্তবে যাই কিছু করতে পারি না কেন অন্তত সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজের উৎকন্ঠাটুকু শেয়ার করতে পারি।

আপনি ও খেয়াল করেছেন প্রতিটি ব্লগার একইভাবে উৎকন্ঠিত এই বিষয় নিয়ে। আজকের এ শিশুদেরকে যদি সঠিক শিক্ষা দিতে না পারি তাহলে আমাদেরইতো ভবিষ্যত অন্ধকার। কালীদাস যেমন উৎকন্ঠিত দেশের বাইরে এডমিশান নিয়ে তেমনি আমার ও কথা। এভাবে চলতে থাকলে দেশের বাইরে যে সুনাম আছে সেটা কতটা ধরে রাখতে পারবো। যে পরিমান ভারত, চীন বা অন্যান্য এশিয়ান কান্ট্রি থেকে স্টুডেন্ট দখল করে নিচ্ছে আমেরিকা বা ইউরোপের বাজার সেখানে আমরা দিন দিন পিছিয়েই যাচ্ছি।

আমরা শুধু শিক্ষা না, খাদ্য, আবহাওয়া, পানি, নৈতিকতা, আচার আচরন .... সব কিছু থেকে শিশুদের ধ্বংস করছি। প্রতিবেশী রাস্ট্রের দস্যুতা, নৈতিকতাহীনতাকে মালা দিয়ে বরণ করে নিচ্ছি। ধিক আমাদের, নিজেদের ভালো ও আমরা বুঝি না। স্বল্পকালীন লাভের জন্য দীর্ঘকালীন বিষ গলে নিচ্ছি............. নিজের সামান্য স্বার্থের জন্য দেশকে বিকিয়ে দিচ্ছি।

প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝেও মন্তব্য চিহ্ণ রেখে গেছেন, অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আবারো আসার প্রতিক্ষায়।

৩৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




হা হা ! পুত্রধনকে নিয়ে আপনার ত্রাহি অবস্থার বর্ণনা বেশ রসাত্বক । মানে আপনি বেশ মজা করে লিখতে পারেন সিরিয়াস ইস্যু । অতঃপর আপনার টেনশান মুক্তি । এ এই তো হওয়া উচিত । শিক্ষাঙ্গনে পাঠানোর পরও যদি মা বাবা তার সন্তানের পড়াশোনা এবং ভবিষ্যত নিয়ে টেনশন করতে হয় তবে তাকে ঘরে রাখাই তো ভাল ! সন্তানের মানবিক এবং চারিত্রিক গুণাবলি গঠনে মা বাবা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে কিন্তু এর বাইরের পরিধি, সন্তান নিজের ভেতরের জিজ্ঞাসা, নিজেকে সম্পূর্ণরূপে মেলে ধরতে পারা এসব ব্যাপার তো শিক্ষাঙ্গনই তাকে শিখিয়ে দেবে ।

ক্রিয়েটিভ কিছু করা কিংবা তার প্রতি কৌতুহল বাচ্চাদের স্বভাবজাত অভ্যাস । কারণ তারা সবকিছু নতুন থেকে দেখে । তাই তাদেরকে সঠিক পথ ধরিয়ে দিলেই যথেষ্ট । এতে তারা যেমন উপভোগ করবে তেমনি শিখবে । আপনার লেখাটি তাই প্রমাণ করে । বিজ্ঞান বাক্স জ্ঞান বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক এবং অনেক খারাপ অভ্যাস থেকে বিরত রাখতে কার্যকরি ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন।

সন্তানের মানবিক এবং চারিত্রিক গুণাবলি গঠনে মা বাবা সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে কিন্তু এর বাইরের পরিধি, সন্তান নিজের ভেতরের জিজ্ঞাসা, নিজেকে সম্পূর্ণরূপে মেলে ধরতে পারা এসব ব্যাপার তো শিক্ষাঙ্গনই তাকে শিখিয়ে দেবে । ... এর চেয়ে সত্য কথা হতে পারে না। কিন্তু এসব শিক্ষাঙ্গন কি করছে বা কিভাবে শিশুদের শেখাচ্ছে তা নিয়ে কি কারো মাথা ব্যাথা আছে? দেশে কি কোন গাইড লাইন আছে শিক্ষাঙ্গন পরিচালনার? কিংবা কি শেখাবে তার কোন সিলেবাস?

শুধু অ আ বা এ বি সি পড়তে পারলেই হলো। এর মাঝে নৈতিকতা শেখানোর কোন চিন্তাই নেই। যেমন আমার মেয়ে প্লে তে পড়ে এখানে, আমি অবাক হয়ে দেখি ওরা স্কুল থেকে বাজার করতে যায়, ট্রেনের টিকেট কেটে দল বেধেঁ চলে যায়, বাস রাইড করে, আর্থ ডে তে রাস্তা পরিস্কার করতে নেমে পরে। পরিবেশ কিভাবে বাচাঁতে হবে, পোকাগুলোকে মারা যাবে না সবই ওরা জানে।

একবার পাহাড়ে ঘুরতে গেলাম, কিছু বনফুল দেখে ছিঁড়তে যেয়েই মেয়ের ধমক খেলাম। আমার ৫ বছরের মেয়ে বলে, তুমি এগুলো ছিঁড়লে কিভাবে মধু তৈরী হবে, গাছ এবং বি কষ্ট পাবে। অামি সত্যিই অবাক হলাম.... আমাদের এ বয়সে ও কেউ বলেনি বনফুল ধরো না.............

অনেক ভালো থাকেন।

৩৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

এম এম করিম বলেছেন: খুবই ভাল লাগল। আমাদের নীতিনির্ধারকরা যে কবে বুঝবেন যে প্রচলিত শিক্ষা ব্যাবস্থায় কত সম্ভবনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫০

সোহানী বলেছেন: বুঝবে না রে ভাই বুঝবে না। বুঝলেতো কিছু করার চেস্টা করতো। এতো দিনে ও তো দেখি নাই কিছু করতে........

৪০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

জাহিদ অনিক বলেছেন:


আপনার এই পোষ্ট যদি আমাদের দেশের মায়েরা পড়ত !
কি যে অত্যাচার করে শিক্ষক অভিভাবক মিলে ছাত্রদের উপর !


বিজ্ঞানবক্স উপকারী জিনিস; উৎসাহিত করে লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২১

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ কবি জাহিদ।

আপনিতো টিচার এবং এ দঙ্গল দুষ্ট ছেলে-পেলে আপনার ছাত্র....... ওদেরকে কি দৈাড়ের উপর রাখেন? .........হাহাহাহাহা

৪১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

মেটাফেজ বলেছেন: কুচিং শেল্টার ছারা অন্য জায়গায় পাঊয়া কুনু শিক্কাই সঠিক না। খ্যানাডার শিশুরা দুর্বল এজন্যই B-))

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২২

সোহানী বলেছেন: আপনার সমস্যার জন্য অতি সত্বর " ...... " ডাক্তার দেখান।

৪২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: দারুণ একটা পোস্ট।প্রিয়তে নিলাম।
শুভ কামনা আপু।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আলিফ।

৪৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

জাহিদ অনিক বলেছেন:



আপনিতো টিচার এবং এ দঙ্গল দুষ্ট ছেলে-পেলে আপনার ছাত্র....... ওদেরকে কি দৈাড়ের উপর রাখেন? .........হাহাহাহাহা
হা হা হা না আপু, উলটো ওড়াই আমাকে অল টাইম দৌড়ের উপর রাখে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৩

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা তাহলে হয়েছে..... তুমি ও আমার দলে যোগ দাও। পোলাপান আমাদের মতো কিছু আবুল পেলে ওদের মনের সুখ মিটিয়ে নিবে।

সত্যিই এখনো মাঝে মাঝে মনে হয় সব কিছু ছেড়ে বাচ্চাদের স্কুলে মাস্টারি করি। এরকম কর্পোরেট পলিটিক্স দেখতে দেখতে ক্লান্ত। তার চেয়ে কিন্ডার গার্ডেন এর বাচ্চাদের পড়ানো অনেক ভালো....... :(

৪৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনা।
আপনার এ লেখাটা পড়ার সময় আমাদের দৈন্য দশা এবং অসাধুতা চোখের সামনে প্রকট হয়ে ধরা দিচ্ছিল।
শিশুরা ক্রিয়েটিভ কাজ খুব পছন্দ করে, তাদেরকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়গুলি হাতে কলমে করতে দিলে তাদের একদিকে যেমন মেধার বিকাশ হবে তেমনি বাজে চিন্তা করার সুযোগ পাবে না - প্রামানিকের এ কথার সাথে (২ নং মন্তব্য) কোন দ্বিমত নেই।
মলাসইলমুইনা, মোস্তফা কামাল পলাশ, কালীদাস, করুণাধারা, মাঈনউদ্দিন মইনুল, ডঃ এম এ আলী, জুন, আহমেদ জী এস, কথাকথিকেথিকথন প্রমুখের মন্তব্যগুলো এবং তদুত্তরে দেয়া আপনার প্রতিমন্তব্য ভাল লেগেছে। + +
১০ এবং ১৫ নম্বরে ছোট্ট প্রতিমন্তব্যদুটো বেশ উপভোগ করেছি। :)
পোস্টে ভাল লাগা + +

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৭

সোহানী বলেছেন: উফ খায়রুল ভাই, আপনি খুজেঁ খুজেঁ আমার পোস্ট পড়েন তাই উত্তর দিতে দেরী হয়ে যায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ শুধু যে পড়েছেন তা নয় মনোযোগ সহকারে পড়েছেন।

সেটাই বলার চেস্টা করেছি। সব শিশুরই ব্রেনের কোষগুলো চমৎকারভাবে কাজ করে শুধুমাত্র দরকার আমাদের সাহায্য। কিন্তু আমরা তা না করে উল্টো তাদের মেধাকে ধ্বংস করি। তার উপর এখনতো পড়াই লাগে না। পরীক্ষার আগে উত্তর সহ প্রশ্ন পেয়ে যাই।

মলাসইলমুইনা, মোস্তফা কামাল পলাশ, কালীদাস, করুণাধারা, মাঈনউদ্দিন মইনুল, ডঃ এম এ আলী, জুন, আহমেদ জী এস, কথাকথিকেথিকথন...... এরা ব্লগের জিনিয়াসবৃন্দ আপনি সহ!

অনেক অনেক ভালো থাকেন প্রিয় ব্লগার!

৪৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লেখাটি পড়ে মনে হচ্ছিল, এটা কি বাস্তব ঘটনা? স্কুল জীবন পুরোটা মুখস্থের যন্ত্রণায় কি যে কষ্টে কেটেছে...

আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা হল সবচেয়ে বড় "গিনিপিগ"।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:২৬

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই......................

৪৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৭

ইসিয়াক বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট । মন্তব্যগুলিও কম যায়না ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.