নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই বোকা মেয়েগুলো তোমাদেরকেই বলছি......

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৯



ইদানিং লক্ষ করেছি দেশের এড, পত্রিকার ছবি বা বিলবোর্ডের মেয়েগুলোর পোষাক আষাক সহ অঙ্গভঙ্গী অনেকটাই বদলে গেছে। অর্ধনগ্ন খোলা ছবিতে ভরে গেছে চারপাশ। কেমন যেন মনে হয় যত বেশি কাপড় খোলা দরকার তারচেয়েও বেশী খুলে ক্যামেরার সামনে দাড়াচ্ছে। আসলে আমরা যারা দেশে থাকি তারা বিদেশের বিভিন্ন এড, ছবি বা ক্যালেন্ডারে অর্ধ নগ্ন, সর্ট ড্রেস বা পায়ের উরু দেখানোকে ভাবি স্মার্টনেস। কোন স্মার্ট ছেলের কোমড়ে জড়িয়ে ধরে ছবি তোলাকে ভাবি আহ্ জীবনের সব প্রাপ্তিই মনে হয় ওরকম একটা ছবিতে। আসলে আমাদের মন মানসিকতা দিন দিন ছবি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে আর সে ছবি যেন তেন প্রকারের নয় ... প্রায় অর্ধনগ্ন হতে হবে। তবেই হবো আমরা দারুন স্মার্ট।

তার উপর আমাদের পত্র পত্রিকা, সিনোম, নাটক, টিভি চ্যানেল আমাদের মেয়েদেরকে বারবার বোঝানোর চেস্টা করে কাপড় খোল, কাপড় খোল, কাপড় খোল....। দর্শক তোমার কাপড়কে নয় তোমারে দেহ দেখতে চায়, তোমার উরু দেখতে চায়, তোমার বুকের অনেকটুকুই দেখতে চায়..... ৩৪/৩২/৩৪...... ওটাই সৈান্দর্য্য, ওটাই স্মার্টনেস।। তাই মেয়েগুলো প্রতিযোগীতা শুরু করেছে কতভাবে কিভাবে কাপড় খোলা যায় ।

সাবানের বিজ্ঞাপন! স্বল্পবসনা সুন্দরী
হাড়ি পাতিলের বিজ্ঞাপন! স্বল্পবসনা সুন্দরী
ছেলেদের সেভিং ব্লেডের বিজ্ঞাপন! স্বল্পবসনা সুন্দরী
টুথপেস্ট, লুঙ্গী, নুডলস!! স্বল্পবসনা সুন্দরী..........। চলছেই চলছে।


তারপর ওইসব ছোট ছোট বাচ্চামেয়েগুলোকে শেখানো হয় কাপড় খোলাটা স্মর্টনেস, অর্ধনগ্ন থাকাটা দারুন ব্যাপার, কারো সাথে শোয়ার নাম স্বাধীনতা কারন দেহ তোমার তা নিয়ে যা খুশি তুমি করতে পারো........ বাহ বাহ বাহ!!! এ সুযোগে ভোগ করো যত পারো। তারপর ছুড়ে ফেলো তাদের যখন তোমার প্রয়োজন শেষ হয়ে যায়।

আর বোকা মেয়েগুলো ঝাপিঁয়ে পড়ছে আরো স্মার্ট হবার আশায়। সুন্দরী প্রতিযোগীতার নামে, অমুক প্রতিযোগীতার নামে, তমুক প্রতিযোগীতার নামে এক একটা মেয়েগুলোকে বের করে আনছে ঘর থেকে। তারপর নারীলোভী হায়েনাগুলো একের পর এক ভোগ করে ছুড়েঁ ফেলছে তাদের।

আর বোকা মেয়েগুলো??? ততদিনে রেভলন বা ম্যাকের মেকআপ এ অভ্যস্থ হয়ে যায়, ভিক্টোরিয়া সিক্রেটের অন্তর্বাস ছাড়া রুচিতে বাধেঁ, শ্যানেলের পারফিউম ছাড়া ঘুম আসে না, ব্রান্ডের ড্রেস ছাড়া চলতেই নিজের প্রতি নিজের ঘৃনা ধরে। ...... ওদের ফিরে যাবার কোন উপায় থাকে না, স্বাভাবিক জীবন থেকে ওরা হয়ে পরে বিচ্ছিন্ন। তাদের জীবন হয়ে পরে ফেইসবুক কেন্দ্রিক, মধ্যরাতের ডিজে পার্টি কেন্দ্রিক কিংবা অন্ধকারের উন্মোত্ত রাত কেন্দ্রিক।

কেউ কি বলতে পারবে এই মেয়েগুলোর কতজন সাক্সেস হয় জীবনে এইসব লাক্স বা ভিট প্রতিযোগীতার পর? কতজন ঘরে ফিরে যায় ও স্বাভাবিক জীবন গড়ে তুলে? আর কতজন হারিয়ে যায় আধুনিক জীবনে আধুনিকতার ভীড়ে???

না কেউই বলতে পারবে না, কারন ওদের খবর কেউই রাখে না। যারা সাক্সেস তাদের খবর হয়তো জানি কিন্তু সেটাতো একজন বা দুইজন! আর #metoo আন্দোলনের পর ওইসব সাক্সেসদেরও খবর সবার সামনে অনেকটা। আর বাকিরা কোথায় কেউই জানে না।

না পারে না এ মেয়েগুলো, ফিরে যেতে পারে না আপন নীরে, আপন ভালোলাগায়। তাদের মধ্যবিত্ত ঘরের বাবা-মা বা স্বামীর হাজার টাকার লিপিস্টিক কেনার সামর্থ্য থাকে না আর নিজের যোগ্যতায় কাজ জুটালে তা দিয়ে ওই লিপিস্টিক এর পয়সা হয় না। তাই পারে না ফিরে যেতে কিংবা ফিরে গেলেও পারে না স্বাভাবিক জীবন পেতে। কারন ততদিনে তারা জানে না নিজের জন্য বাঁচতে, তারা বেচেঁ থাকে অন্যের জন্য....... অন্য কারো সেবাদাসী হবার জন্য।


এই বোকা মেয়েগুলো তোমাদেরকেই বলছি, যে ছবি তোমরা দেখো বিদেশী ফেইসবুকে, বিলবোর্ডে বা বিজ্ঞাপনে সেটা শুধুই একটা ক্লিক। ওর পিছনের নিষ্ঠুর নির্মমতা সত্যটা তোমরা জানো না। তোমরা ছবিটাই শুধু দেখো ছবির পিছনের অন্ধকারটুকু দেখো না যতক্ষন না সেখানে তোমার পা পড়ছে। কারন তোমাকে সেটা শোনানো হয় না, তোমাকে ইউজ করবে বলে বলা হয় না, তোমাকে ভোগ করবে বলে জানানো হয় না.......... তোমরা কি বুঝো না? এবার একটু চোখ মেলো, দেখো বাস্তবতা। অন্যের শয্যাসঙ্গী হবার জন্য বেচেঁ থাকবে নাকি নিজের জন্য বাচঁবে?? আবারো ভেবে দেখো।



আপনাদের চোখের শান্তির জন্য উপ্রের ছবিগুলা দিলাম।

মন্তব্য ১৫৬ টি রেটিং +৪২/-০

মন্তব্য (১৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: পরে পড়বো আপাতত উপস্থিতি জানান দিলাম।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৪

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা......... চা টা কিছু লাগবে?? লাগলে বইলেন!!!

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




সেলফোনে পর্ণ দেখার জন্য বাংগালীরা কত নম্বরের আছেন?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৫

সোহানী বলেছেন: বলতে পারবো না। এ নিয়ে কিছু পড়তেও রুচিতে বাধেঁ।

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: বাব্বাহ এক নিশ্বাসে পড়লাম, গুলিটা একেবারে কানের গোড়া দিয়ে বেরিয়ে গেল।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬

সোহানী বলেছেন: আরে কেন কেন!!! গুলিটা এরকম লক্ষ্য ভেদ করলো কি বুইঝা :#)

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন সোহানীপু।তবে যাদের জন্য লিখেছেন তারা হয়তো কেউ এই লেখাটি পড়বে না?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭

সোহানী বলেছেন: জানি রে ভাই, তারপরও লিখি নিজের বিবেকের তাড়নায়।

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৭

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: এসব বলতে যাবেন না ভাইজান । আপনি কাঠমৌলানা হয়ে যাবেন ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০২

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা........ খারাপর বলেন নাই!!!!

৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ যে ভয়ংকর নেশা আপু; ফিরে যাবার উপায় থাকে না।
স্মার্টনেস যে মনন ও মগজে সে বোঝার ক্ষমতা ও হারিয়ে ফেলছে দিন কে দিন চটকদার বিজ্ঞাপনে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৪

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই! এ এক নেশার জগত। সব জানে সব বুঝে ও ঝাপিয়ে পড়ে। আর চটকদার বিজ্ঞাপনগুলো মেয়েগুলোর স্বাভাবিক বিচারবোধ লোপ করতে সাহায্য করে।

৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৫

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: সোহানী আপু, সুন্দর একটা টপিক নিয়ে আসছেন সবার সামনে। ____________যদিও তথাকথিত মডেলিংরা এইসব উউচ্চমার্গীয় কথাগুলো শুনতে নারাজ। কারণ তাদের মনে বিঁধে গেছে সেলিব্রিটি হওয়ার উচ্চবাসনা। কিংবা অবাধ স্বাধীনতার নামে নিজকে ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে তা তোয়াক্কা না করে তাদের মনোবাসনাটাকে জয় করা। (যে যার ইচ্ছে এগোবে তবে যেন বিপদে পতিত না হয়) যেহেতু তাদের একটা লক্ষ্যই তাকে যে আমাকে বিদেশির ওদের মত হতে হতেই হবে।

আর আমি এখানে শক্তভাবে দোষ দিব ডিরেক্টরদের। যাদের জন্য মেয়েগুলোদের বাদ্য হতে হচ্ছে যে এভাবেই খোলামেলা করতে হবে। তা না হলে দর্শক খাবে নাতো। তবে দর্শকদের মাথায় শালীনতা ঢুকে দিলে তারা তো ঐসব খোলামেলা ছবির প্রতি আর আসক্ত হয়ে পড়বেনা।

তাই, আমি মনে করি কি মেয়েদের নই। ডিরেক্টরদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। তবে মেয়েদের থেকেও এই বাসনা ঝেড়ে পেলতে হবে যে খোলামেলা ছাড়াই সেলিব্রিটি হওয়া যায়। কিংবা দর্শকদের মন জয় করা যায়।

আপু অনেক কিছু বলে ফেলছি। যদি ভুল বলে থাকলে, দুঃখিত আগেভাগেই। _____ !:#P

অনিঃশেষ শুভকামনা আপু ________ :-0

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৯

সোহানী বলেছেন: স্রাঞ্জি, মোটেও বেশী বলেননি। যা বলেছেন তা আমাদের অনেকদিন ধরে জমে থাকা দু:খ।

আমার কষ্ট মেয়েগুলো কি বোঝে না? তাদের পরিবার কি বোঝে না? তারা ইউজ হচ্ছে সেটা কি বোঝে না? তবে যদি সে জেনে শুনে যায় সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু যে ফাঁদগুলো পাতা হচ্ছে তা নিয়েই আমার কথা।

আর দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সবারই কমবেশী বদলাতে হবে। সেটা ডিরেক্টর, আমি, তুমি বা না বোঝা মেয়েগুলো।

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৭

বাংলার মেলা বলেছেন: আপনি একজন মেয়ে হয়ে মেয়েদের পোশাকের ব্যাপারে পোস্ট দিলেন? যেখানে ছেলেরা পর্যন্ত মেয়েদের খোলামেলা পোশাকের ব্যাপারে, স্বাধীন চলাফেরার দাবীতে রীতিমত আন্দোলন করছে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা হলগুলোর সূর্যাস্ত আইন ছাত্রীরা নয়, ছাত্ররাই আন্দোলন করে রদ করেছিল - এ ইতিহাস আপনার বোধ হয় জানা নেই। মেয়েরা কি পরবে - সেটা তাদের বা তাদের বিএফ দেরকেই ঠিক করতে দিন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৪

সোহানী বলেছেন: একটু সংশোধন করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা হলগুলোর সূর্যাস্ত আইন কারা করেছিল তা সম্পর্কে আরেকটু জানবেন। কারন দু:খের সহিত জানাচ্ছি যে সে আন্দোলনে আমি প্রথম সারির একজন ছিলাম। এবং বিবিসি সহ সকল পত্রিকার যে সাক্ষাৎকার ও সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছিল সেটাতে আমিও ছিলাম। পুরোনো পত্রিকাগুলো ঘাটলে আমার ছবিসহ নাম পাবেন......।

আর মেয়েরা কি পরবে - সেটা তারাই ঠিক করবে অন্য কেউই নয়।

৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

রাফা বলেছেন: এক হাতে তালি বাজেনা।সর্টকার্টে শিখরে পৌছানোর জন্য ব্যার্থ প্রচেষ্টা। সাময়িক কিছু অর্থপ্রাপ্তী ঘটলেও।আখেরে যারা বুঝে শুনে শালিনতার সাথে কাজ করে তারাই টিকে থাকে।নায়লা নাইম বা পরীরা বি গ্রেডেই নিপতিত হয়।

উপদেশমূলক লেখা ভালোই হইছে।ধন্যবাদ,সোহানী।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৬

সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্য এক হাতে তালি বাজেনা। তাই তো তাদেরকে এ সাবধান বানী। সর্টকার্টে শিখরে পৌছানোর জন্য এ প্রচেষ্টাই তাদের জীবনকে ধ্বংস করে।

১০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩০

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপু যেটা লিখেছেন ভালো লেগেছে। কিন্তু ঐসব মেয়েগুলোকে এইসব করাতে বার্ধ্য করে কিছু মানুষ। তাই আজকে ওরাও যে নিরুপায়। তবু আমি আপনার মতো বলবো ওরা খুব বোকা। ইচ্ছে করলে ওরা ঐসব মানুষদের মুখে চুন-কালি দিয়ে ফিরে আসতে পারে। বা নিজের মতো করে প্রতিবাদ করে তারপর ওরা এই সব থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। কিন্তু তা ওরা করছেনা ওরা দিনে দিনে আরো বেপোয়ারা হয়ে যাচ্ছে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:১০

সোহানী বলেছেন: সহমত কলি। অনেক কিছুই পারি কিন্তু করি না, অনেক কিছুই ভাবি কিন্তু সাহস করে উঠিনা।

কারন আমাদেরকে জন্ম থেকেই সাবমিসিব ওয়েতে জীবন চালাতে শেখানো হয়। আর সে সুযোগ নিচ্ছে ওইসব স্বার্থপররা এবং বোকা মেয়েগুলো ওই কর্পোরেট বেনিয়াদের হাতের পুতুল হয়ে নাচে দিনের পর দিন।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপি দু:খজনক হলেও সত্যি। শুধু ক্যামেরার বা ছবি নয়
বাস্তবেও এমন দৃশ্য দেখে মন খুব খারাপ হয়ে যায়... মেয়েরা এত নিলর্জ্জ হয়েছে
ছেলেরা তাকাতেও বুঝি লজ্জা পায়। এ নিয়ে প্রায়ই লিখি

কেউ কেউ দেখতে পারে না আমারে । আল্লাহ এদের হেদায়েত দিন

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:২২

সোহানী বলেছেন: এ কঅমরার ছবি দেখেইতো বাস্তবের মেয়েগুলো জীবনকে অবাস্তবের দিকে ঝুকেঁ পড়ে। যে ছবিগুলো টিভি খুললেই দেখে, রাস্তার পোস্টারে দেখে নিজের অবচেতন মনে তাই হবার চেস্টা করে। তাই এতে লজ্জা আছে কি নেই তার ধার ধারে না তারা। কারন সে বোধই তাদের গড়ে উঠে না।

১২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬

মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ আপা চমৎকার লেখাটির জন্য। এ বিষয়ে সকলের সচেতন হওয়া প্রয়োজন । আর সচেতনটাই পারে অধ্য নগ্নের প্রতিকার হতে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:২২

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই মামুন ভাই।

১৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সারি সারি মুখ আসে আর যায়
নেশাতুর চোখ টিভি পর্দায়
পোকামাকড়ের আগুনের সাথে সন্ধি !

সুন্দর একটা টপিকে চমৎকার বলেছেন।নানা তাল বাহানায় নারীদের পণ্য বানানো হচ্ছে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪২

সোহানী বলেছেন: সেটাই কথা। এই যে হাজার হাজার মেয়েগুলো আসছে ওরা কোথায় যায়???

আর কর্পোরেট বেনিয়ার পণ্য বানানো চলবেই, এটাকে কিছুতেই থামানো যাবে না। শুধু দরকার মেয়েগুলো যাচ্ছেতাই ভাবে ইউজ বন্ধ করা।

১৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:১২

অগ্নিবেশ বলেছেন: কে যে বোকা সেটাই বোঝা দায়, দেহজ আনন্দ দু পক্ষেরই তবুও পুরুষদেরই কড়ি খসে। তারা রাতভর আনন্দকরে কাড়ি কাড়ি টাকা কামায়, তারপর তারাই বোকা থেকে যায়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৪

সোহানী বলেছেন: মেয়েগুলো বোকা কোনটা ভালো কোনটা মন্দ সেটা না বোঝার জন্য। আর ছেলেগুলো বোকা তারা কিসে সুখ সেটা না বোঝার জন্য।

১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বোকা মেয়ে গুলো আর চালাক হলো না।

কেবল স্বল্প বসনা হতেই শিখে আর যখন ওদের ছুঁড়ে ফেলে দেয় তখন বুঝে আসলে জীবন ও পৃথিবী কত নিষ্ঠুর।

সময় তাকতে হুশিয়ার হও।

খবই সময় উপযোগী পোস্ট+++++

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫

সোহানী বলেছেন: সেটা শুধু মেয়েগুলোই নয় তাদের পরিবারও অনেকাংশে দায়ী। তারপরতো আছেই অনেক লোভের হাতছানি...........

১৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:




এর পরিবর্তন হবে কি না জানি না । কারণ আপনি যখন শালীন হয়ে চলার সুপরামর্শ দেবেন তখন কিছু গ্রুপ বলবে নারীদের অগ্রগতি চাচ্ছেন না, তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছেন !

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫২

সোহানী বলেছেন: ভাই কথা, আমি আমার দীর্ঘ প্রফেশনাল জীবনে বেশীর ভাগ সময়ই কাটিয়েছি মেয়েদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। খুব কাছ থেকেই দেখেছি মেয়েদের দূর্দশা।

১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০০

আখ্যাত বলেছেন: আপনি মৌলবাদী নিশ্চিত

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫২

সোহানী বলেছেন: জ্বী ঠিক বলছেন!

১৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪

আরাফআহনাফ বলেছেন: সুন্দর ভাবনা, সু-লেখনী কিন্তু অচেতনের চেতন ফিরবে কী?

আপানার লেখার শেষাংশে ছবি দিয়ে তাদের আবারো টেনে আনার প্রয়োজন ছিলো না -
চোখ কখনো শান্তি পাবে না মনের "আরো চাই, আরেকটু চাই" স্বভাবের কারনে !

ভালো থাকুন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫

সোহানী বলেছেন: আমি বেছে বেছে শালীন ছবিই এড করার চেস্টা করেছি। এবং বিষয়ের প্রয়োজনে ও লিখার আকর্ষনে ছবি খুবই প্রয়োজন।

১৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আপনিও দেহি মৌলবাদী হইয়া গেলেন !! এই জন্যই তো জাতির উন্নতি হইলো না !! :P

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৬

সোহানী বলেছেন: হ ভাই কি কমু কন, সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎ..........:P:P:P:P:P

২০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

মুক্তা নীল বলেছেন: আপা, এতো সুন্দর করে লিখেছেন, এটুকু সুনিশ্চিত করে বলতে পারি এই পোস্ট সময়ের দাবি রাখে। ক্যারিয়ার সাকসেসফুলি করার জন্য অনেকেই (সবাই বলবো না) এতটাই নিচে নামে, নামতে বাধ্য হয় এবং শয্যাসঙ্গী হতে দিধাবোদ করে না।
বিভিন্ন রকম পরিবার থেকে এসে এরা কেমন করে যেন এক হয়ে যায়। শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল্যায়ন আর কই রাখে?
মিডিয়ার মেয়েদের ড্রেসআপ দেখলে মনে হয়,আমাদের দেশ কতই না এগিয়েছে!!! ওভার স্মার্টনেসের নামে নগ্নতা।
ধন্যবাদ রইলো এতো একটা বিষয় তুলে ধরার জন্য।


২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৯

সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্য মুক্তা। সামান্য লোভের কাছে এরা অনেকটাই নীচে নামতে পারে তার অনেক উদাহরন যেমন আছে তেমনি ওদের সহজ সরলতাকে পুঁজি করে ওদেরকে নীচে নামায় তার উদাহরন অনেক অনেক আছে।

২১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

গরল বলেছেন: সানি লিওন যখন প্রধানমণ্ত্রী মোদির সম্বর্ধনা পায় তাহলে মেয়েদেরই বা দোষ কি। বিনা পরিশ্রমে ও বিনা পুঁজিতে, শুধুমাত্র জন্মসুত্রে প্রাপ্ত নেচারাল রিসোর্স কাজে লাগিয়ে অতি অল্প সময়ে ধনসম্পদ ও খ্যাতি অর্জন করার মত এমন আর কোন উপায় দুনিয়াতে আছে কিনা আমার জানা নাই। Survival of the fittest, এটাই আসলে স্রোত এর দিক ঠিক করে দেয়।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০১

সোহানী বলেছেন: সবাই কি পারে ধনসম্পদ ও খ্যাতি অর্জন করতে??? না পারে না। বেশীরভাগেই শ্যাওলার মতো ভেসে বেড়ায়।

২২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: ছবি দেখিয়া শান্তি পাইলাম B:-/

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০২

সোহানী বলেছেন: জ্বী ভাই, হের লাইগাই ছবি দিলাম B:-/ B:-/ B:-/ B:-/ B:-/

২৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২০

সুমন কর বলেছেন: সময়োপযোগী লেখা। আপনার লেখা পড়ে একটা কথা মনে পড়ল, আজকাল জামা কাপরের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে দেহ প্রদর্শন করাটাই ফ্যাশন হয়ে গেছে। X((

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৩

সোহানী বলেছেন: সেই জন্যইতো এতো কথারে ভাই.........

২৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

কানিজ রিনা বলেছেন: আচ্ছা সোহানী এদের মা কি পতিতালয়ের
নারী ছিল যাদের বাবার পরিচয় নাই।
ওদের মাকে হয়ত ধোকা দিয়ে পতিতালয়ে
বেচে দেওয়া হয়েছিল। নয়ত ওরা কোনও
উচ্ছৃংখল বাবা মায়ের সন্তান, নয়ত অভাবী
ঘর থেকে এসে এমন নগ্ন ছবি দিয়ে টাকা
পায় বাবা মার পেট ভরে বা নিজেও সাচ্ছন্দে
থাকবে বলে। তবে এটাও সত্য কোনও সুস্ত
পরিবারের মেয়েগুল এত নিম্ন মানের পোশাক
পড়ে মডেল হতে পারেনা। নয়ত কোনও
বাবা মায়ের অবাধ্য মেয়ে নিজের স্বাধীন
জীবনে এমন অধ্যায় বেছে নেয়। নয়ত
কোনও অসহায় সুন্দরী স্বামী পরিত্যাক্ত
হয়ে এমনটি করে। কি বলব আমরা মা
বাবারা আজ পয়সার জোড়ে কিশোরী
মেয়ের হাতে স্মার্ট ফোন দিয়ে স্মার্টনেচ
দেখাই। অনলাইনে কি নাই, সেই রঙিন
দুনিয়ায় আমাদের সমাজের কিশোর কিশোরী
যুবক যুবতীরা উম্মাদ হয়ে এসব নগ্ন জীবন
বেছে নেয়। আর শেষে এসে রাস্তার কুকুর
কুকুরী জীবনে পর্দাপন করে।

কি বলব সোহানী আমার যে ধারনা তা
হোল এরা সব বাবা মায়ের পরিবেশ
থেকেই এইসব নগ্নতা শিখে এসেছে।
সব শেষে বলব সুচ্ছৃংল পরিবার থেকে
সুচ্ছৃংখল সমাজ, সুচ্ছৃংল রাস্ট্র।
তাই এর সমাধানে পরিবারের দায় দায়ীত্ব
নেওয়া ছাড়া এসব নগ্ন ব্যবসা নগ্ন নারী
বন্ধ হবেনা। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১২

সোহানী বলেছেন: রিনা আপু, আসলে এর সাথে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। এক তরফা বাবা-মাকে আমি দোষ দিতে নারাজ। সেখানে আমি তুমি রাস্ট্র শিক্ষক সমাজ প্রতিবেশী সবাই কম বেশী দায়ী। সেটা নিয়ে লিখবো একদিন। কিন্তু এভাবেতো চলতে পারে না। মেয়েগুলোকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি আমরা দিনের পর দিন।

আর সত্যিই সুশৃংখল পরিবার ও একটি সুশৃংখল রাষ্ট্রই পারে এরকম নারী ব্যবসা বন্ধ করতে।

২৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: বোন দারুন একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
আসলে ধর্ম যতই মেয়েদের উপরে তুলতে চায়-- মেয়েরা ততই নিচে নামে। আসলে এগুলো বলে কয়ে লাভ নেই।
সহজ সরল সত্য কথা হলো- যে পর্যন্ত রুপ যৌবন থাকবে সে পর্যন্ত তারা এমন করেই বেড়ানে। শেষ বয়সে গিয়ে নামাজ রোজা ধরবে। হজ করবে। হাতে তজবি নিবে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৪

সোহানী বলেছেন: ধর্ম পরিবার সব শিক্ষা থেকে আমরা দিন দিন সরে যাচ্ছি।

হাহাহাহাহা..... যে পর্যন্ত রুপ যৌবন থাকবে সে পর্যন্ত তারা এমন করেই বেড়ানে। শেষ বয়সে গিয়ে নামাজ রোজা ধরবে। হজ করবে। হাতে তজবি নিবে।..... সহমত!

২৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

বলেছেন: আধুনিকতার নামে এই বেহায়াপনা নারী স্বাধীনতার চেয়ে অন্ধকার যুগ ঢের ভালো ছিলো --


বাস্তবতা ওরা জানে না আর জানলেও বড় খাপছাড়া মনে হয় --


দার্শনিক লেখায় ভালোলাগা যত!!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৮

সোহানী বলেছেন: না অন্ধকার যুগ মোটেও ভালো ছিল না। অনেক কষ্টের পর সে যুগকে অতিক্রম করেছে মেয়েরা।

২৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২২

অলিভিয়া আভা বলেছেন: কথাগুলো খুব সুন্দর লিখেছেন। যথাযথ লিখেছেন। কিছু মেয়ে না বুঝেই নগ্ন হয়ে যায়, নগ্ন হতে আপত্তি নেই তবে অবশ্যই সেটা জেনেবুঝে। শিল্পে নগ্নতা বলতে কিছু নেই। পুরোটাই আর্ট। তবে অবশ্যই বুঝতে হবে কোনটা শিল্পকলা আর কোনটা কাচকলা।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহ....... অবশ্যই বুঝতে হবে কোনটা শিল্পকলা আর কোনটা কাচকলা। খুব ভালো বলেছেন।

২৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপি :)

তবে তুমি কি পোশাক পরো B:-)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২১

সোহানী বলেছেন: আমি কি পোশাক পরি সেটা কি খুব প্রাসঙ্গিক!!!

২৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
স্বল্পবসনা সুন্দরী!
আমাদের দেশের বিজ্ঞাপনে কোথায় দেখেছেন বিকিনি পরা স্বল্পবসনা?
আমাদের দেশে বিকিনি তো দুরের কথা সাধারন সর্টসই তো পরা দেখা যায় না।
সাধারন জিন্সপ্যান্ট-টিশার্টকে বলছেন স্বল্পবসনা অর্ধনগ্ন? আবার লিপিস্টিকেও দেখা যাচ্ছে আপনার সমস্যা।
মাথায় বারোহাত কাপড়ের বাধাকপি বানানো হিজাবধারিদের ডাবানো লিপিস্টিকে তো সমস্য দেখেন না।
পৃথিবীর কোন দেশে দেখেছেন বিজ্ঞাপনে নারী নেই? কথিত স্বল্পবসনা সুন্দরী নেই?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২২

সোহানী বলেছেন: আপনি হয় লিখাটা পড়েননি নতুবা পড়লেও বুঝেননি।

৩০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯

রায়হান চৌঃ বলেছেন: এ সবে এখন আর আশ্চার্য হওয়ার কিছু দেখিনা,
টিভি দেখা ছেড়ে দিয়েছি, যখন থেকে ভারতীয় ডাবিং করা টিভি চ্যনেলে পরিপুর্ণ হয় আমার দেশ। আচ্ছা বলতে পারেন ? "দুবাই কি করে বা কাদের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্ছের বেশ্যা পাড়ায় পরিণত হয়?”
তা না হলে এক জিবি ইন্টারনেট বেচার জন্য কেন মে-মানুষের কাতুকুতু মার্কা এড দেয়া লাগবে ?

পরিশেষে বলব- আমার মা এক জন নারী। আমার বোন, আমার বউ, আমার মেয়ে নারী বলেই নয় আমার সবচেয়ে দামি সম্পদ বলেই লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করি যাতে খবিশের ছোখ না পড়ে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৮

সোহানী বলেছেন: ব্যবসা, ডলার, টাকা......... সব কিছুর মূল উৎসই নারী। কিন্তু বোকা নারীগুলো জানে না তাদেরকে কিভাবে ইউজ করছে এরা। তাই না বুঝেই পা দিচ্ছে এ চাকচিক্যময় অন্ধকার জগতে।

৩১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

নীল আকাশ বলেছেন: সোহানী আপু,
দেরীতে মন্তব্য করার জন্য লজ্জিত। সমস্যা হচ্ছে আমি কোন কিছু পড়লে, সেটা বেশ সময় নিয়ে খুব ভালো ভাবে পড়ি।

বর্তমানে আমরা কেবল পোশাকে আধুনিক হচ্ছি, মানসিকতায় না। মেয়েদের স্লিভলেস পরা, সর্ট ড্রেস পরা বা স্কুটি চালানোই কেবল যদি আধুনিকতা হয় তবে সেটা ভুল, অবশ্যই ভূল। আমরা অনুকরণ করেই দ্রুত বড় হতে চাই, একবারে গাছের মগডালে ওঠার স্বপ্নের মতো, সিড়ি বাদ দিয়ে লিফটে উঠার মতো! এদিকে যে পাছার কাপড় খুলে কখন সবার অজান্তেই পড়ে গেছে সেদিকে কোন খবর নাই। হায়রে মানসিকতা!

আধুনিক হতে চায় সমস্যা নেই, আধুনিক হউক কিন্তু বেঁচে থাকতে হলে আধুনিক হতেই হবে এটা এদেরকে কে বলল? এই অদ্ভুত ধ্যানধারনা নিয়ে আধুনিক না হয়ে এরা দিন দিন আদিম হয়ে যাচ্ছে। পাশ্চাত্যের ন্যাংটো সংস্কৃতি আমাদের এত সুন্দর সংস্কৃতির সাথে মিশিয়ে এটাকে এরা নিজেদের নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দিয়ে আরও ন্যাংটো করে দিচ্ছে!

শরীর বিক্রি করে আর কয়দিন? সব কিছুরই তো এক্সপায়ার ডেট থাকে তারপর ছুড়ে ফেলা হয় ডাস্টবিনে। এই সব মেয়েদের পরিনতি কি হয় এটা সবার জানা......।

এদের কাপড় খুলা নিয়ে কথা বলতে গেলে আমি হব হয় ক্ষ্যাত না হয় জংগী না হয় অশিক্ষিত! কেন কাপড় খুলবে এই প্রশ্ন করলে মনে করে পাগল, পাবনা থেকে এসেছি। স্মার্টনেস হল শর্ট কিংবা ওপেন ড্রেস। যত শো-অফ ততই হিট! যতই খুল্লাম খুল্লা ততই দাম বাড়বে প্রতি কলে!!!!!!!!!

সেদিন পড়লাম, নাম বলব না, এক মডেল বলেছে: নিজের শরীরের ওপর আমার অগাধ বিশ্বাস ছিল, আছে এবং থাকবে। আমার শরীরের মালিকানা আমার। দোকান সাজিয়ে বসেছি। বেচতে লজ্জা কীসের। আমার শরীরের বাবু আর দালাল আমি নিজেই। যাঁরা আমার শরীর দেখে লজ্জা পান, উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তাঁরা হোন। কিন্তু এই যে প্রতিনিয়ত তাঁদের আদিম সত্তাকে ‘ট্রিগার’ করি, এটাই আমার ‘কানেকশন উইথ মাই অডিয়েন্স’। তোমার কি, তাতে কিছুই যায় আসে না আমার কারন আমি মনে করি এটা হল ‘বোল্ডনেস’!

বলুন এখন এদের কে আপনি কি বুঝাবেন? এদের কাপড় খুলা দেখতে চায় অনেকেই, তাইতো এদের সমর্থনে লোকজনের ও অভাব হয় না.........

এদের কর্মকান্ড নিয়ে ত্যাক্ত হয়ে লিখেছিলাম "কবিতা - সুন্দরী আমি, হার্টথ্রব মডেল হতে চাই!" Click This Link

চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন রইল! একটা কাজের কাজ করেছেন।
মন থেকে শুভ কামনা রইল!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫২

সোহানী বলেছেন: নীল আকাশ, যা বলেছেন এখানে বা কবিতার ভাষায় তা নিয়ে দ্বিমত নেই।

তবে প্রাশ্চাত্যের প্রসঙ্গ যখন তুলেছেন তখন বলি.... ওদের ধর্ম, সমাজ, চিন্তা, আচার, পরিবার সম্পূর্ন ভিন্ন। আমরা কিছু বুঝে আর বেশীর ভাগই না বুঝে ওদেরকে ফলো করি তবে খারাপটা, ভালোটা নয় কিন্তু। কিন্তু মজার ব্যাপার ওরা এখন নিজেদের খারাপগুলো ছুড়ে ফেলে আমাদের ভালোটুকু নিচ্ছে। আর আমরা কতটা বোকা নিজের ভালোটুকুই বিসর্জন দিচ্ছি।

মোটেও দেরী হয়নি, মাত্রই তো পোস্ট করলাম।

৩২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আহ হা আপনিতো ব্লগে আগুন ধরায় দিলেন =p~ =p~

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩১

সোহানী বলেছেন: আগুনে পুড়ে বারবিকিউ খেতেই সবচেয়ে বেশী মজা =p~ =p~ =p~ =p~

৩৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আপনার পূর্ব ঘোষিত পোস্টটা পড়লাম। সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন।

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি নারীদেরকে সঠিক বুঝ দেওয়ার জন্য নারীদেরকেই হাতে কলম ধরা উচিত, পুরুষদের তুলনায় সেটা বেশি কার্যকরী হবে

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

সোহানী বলেছেন: এখন কিন্তু নারীরা চমৎকার সব লিখা নিয়ে আসছে। কিন্তু বিশাল কর্পোরেট বেনিয়াদের সাথে কখনই কেউই পারবে না।

৩৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০১

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: বাহ। খুব সুন্দর লিখেছেন।

আসকেই এই মেয়েগুলো বোকা, ভীষণ বোকা।

নাহকে নিজের জিবনকে স্বল্প স্বল্প আনদ আর বিলাসিতায় মগ্ন রেখে নিয়ে যায় অদূর অন্ধকার স্থায়ী ভবিষতে।

আল্লাহ সবাইকে সহীস বুঝ দান করুক...

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

সোহানী বলেছেন: সেটাই, নিজের জীবনকে স্বল্প স্বল্প আনন্দ আর বিলাসিতায় মগ্ন রেখে নিয়ে যায় অদূর অন্ধকার স্থায়ী ভবিষতে। কিন্তু এ বোকা মেয়েগুলো কিছুই বুঝে না।

৩৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩

হিংস্র ঈগল বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়ের উপর লিখেছেন। সত্যি কথা বলতে কি, মানুষের যখন অর্থ-লালসা চরমে পৌঁছে যায় তখন তার মধ্যে লাজ-লজ্জা নামক বস্তুটা আর থাকে না। এই জন্যই ভার্সিটির মেধাবী ছাত্র সরকারি আমলা হয়ে নির্লজ্জের মত ঘুষ খায়। মাদ্রাসা থেকে পাশ করা ছেলেটাও সুদী ব্যাঙ্কে চাকরির জন্য উতলা হয়ে ওঠে। এসব কিছুই করে শুধু টাকার জন্য। মিডিয়াতে যারা আছে তারাও এর ব্যাতিক্রম নয়। তবে এইসব মেয়েদের চেয়ে তথাকথিত প্রযজক-পরিচালকদের দোষ বেশি। তারা না চাইলে তো কোন মেয়ে এরকম দৃশ্যে অভিনয় করবে না। আগে এইসব মগজহীন প্রযজোক-পরিচালকদের(!!) লাইনে আনা জরুরি।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৩

সোহানী বলেছেন: প্রযোজক-পরিচালকদের থেকে শুরু করে সবারই কম বেশী দায় আছে। একটি রাস্ট্রের দায়বদ্ধতা আরো অনেক বেশী থাকা উচিত তরুন সমাজের প্রতি। কিন্তু কিছুই করছে না কেউই...

৩৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
ভোক্তাদের রুচি বদলে দেয়া হয়েছে!
ফলে চাহিদা বেড়েছে, চাহিদা অনুপাতিক যোগানও বাড়ছে
ভাইস ভার্সা : কে কাকে ছাড়বে?
সো কলড মিডিয়া মুঘলরা দেশ, ধর্ম এবং নূন্যতম সভ্যতার স্পন্সর করে না!
তাদের চাই আরো টাকা আরো আরটিপি
দুষ্ট লোকদের আছে অঢেল অর্থ- হাভাতে ডিরেক্টররা ছুটছে স্পন্সরের পিছনে!!!
স্পন্সরের মিডিয়া পেতেছে ফাঁদ- ডু অর ডাই

পাবলিক যাবে কই????
সংস্কৃতির নামে অপ: ঝেকে বসেছে! আরেক পক্ষ নাজায়েজ ফতোয়ায় মৌলিক আবেগের প্রকাশেও বাধ দিয়ে বসে আছে!
ফলে যা হবার তাই হচ্ছে! জ্ঞানের পথে মৌলিক বিকাশের দায় কারো নেই! ফাস্টফুড চেতনায়- আনপ‌্যাক করো, খাও, বিনে ফেলে দাও! ব্যাস! ছুটছে সময়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে!

পোষ্টে +++

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৩

সোহানী বলেছেন: বিগু, সব কিছুর দায় আমাদের, রাষ্ট্রের, সমাজের বা পরিবারের... সবার। কারন কি? কারন রাষ্ট্রের কোন দিক নির্দেশনা নেই কোথায় যাবে তরুন সমাজ, সমাজের কোন দায়বদ্ধতা নেই কোথায় কি করবে তরুন সমাজ, পরিবারে কোন নিয়ন্ত্রন নেই এ তরুন সমাজের। আর এ সুযোগে ঢুকে পড়েছে বেনিয়া গ্রুপ। তাদের মতো করে সেইপ করছে তরুন সমাজেকে। ইচ্ছেমত ইউজ করছে তাদের। কেউ বিক্রি করছে ইয়াবা, কেউ ঢুকছে আধুনিকতার নামে নব্য পতিতালয়।

তাই হাভাতে ডিরেক্টররাতো ছুটবেই বা না ছুটলে ওরাই হারিয়ে যাবে কালের স্রোতে..........।

৩৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপা, চমৎকারভাবে সত্যটি তুলে ধরেছেন B-)। নারী লাস্যময়ী, নারী হাস্যময়ী, নারী রহস্যময়ী। নারী মা, স্ত্রী,কন্যা, বোন, বান্ধবী আরো........... কত কি? তবে এসব পরিচয় ছাপিয়ে বর্তমান জগতে নারীর আর একটি পরিচয় গড়ে উঠেছে তা হলো নারী ‘পণ্য’। হ্যা, বিজ্ঞাপনের পণ্য, নিশিতের পণ্য, টয় আরো কত কি? আমরা এ ক্ষেত্রে দোষ দেই মিডিয়ার, দোষ দেই পুরুষের। আসলে কি দোষ শুধু তাদেরই? নারীদের কি কোনই দোষ নেই এ ক্ষেত্রে? তারা কি শুধুই ব্যবহৃত? আছে, তারাও এই দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যেতে পারবেন না।

একটি বিজ্ঞাপনে দেখলাম, এক ছেলে তার গায়ে পারফিউম মাখছে আর দূর-দূরান্ত থেকে এমন কি ভিনগ্রহ(!!!) থেকে দারুন সুন্দরী মেয়েরা তার শরীরের গন্ধ শুকতে শুকতে তার রুমে এসে উপস্থিত!! মানলাম এর অন্তর্নিহিত বার্তাটা খারাপ না যে-এই পারফিউম মেখে আপনি আপনার সঙ্গিনীর আকর্ষণ লাভ করবেন কিন্তু কথা হল তার প্রকাশটা এত অশ্লীল কেন হতে হবে? এসব বিজ্ঞাপনে নারীদের উপস্থিতি দিনদিন এতটাই অশ্লীল হয়ে পড়ছে যে পুরো পরিবারকে সাথে নিয়ে ক'দিন পর বিজ্ঞাপন দেখাটাও দুস্কর হয়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন ছাড়াও ফিল্ম,নাটক,মিউজিক ভিডিও তো আছেই। বর্তমানে আবার চালু হয়েছে নতুন একধারা “আইটেম সং”। এ ধারায় মুন্নি, শিলা, চিকনি চামেলিও নাচছে সাথে আমাদের সমাজও নাচছে। তোড়াতোড়া টাকার বিনিময়ে এসব মেয়েরা গানের তালে তালে শরীর দুলাচ্ছে আর শরীর লোভী দৃষ্টি তাদের গিলে খাচ্ছে। কি লাভ হচ্ছে তাদের? টাকা! হায়রে…মানুষ! টাকার তোদের এতই দরকার যে নিজের শরীরের আব্রু বেঁচে তোদের খেতে হবে!!! দুঃখজনক…

#মিটু একটা ফাইজলামী। এখানে মেয়েদের ইচ্ছেও থাকে নিজেকে বিকিয়ে আকাশ ছুয়ে দেখার। টাকা আর যশের জন্য নীচতলা বাড়া দিয়ে দ্বিতীয় তলায় ইতালীয়ান মার্বেল লাগাতেও ইদানিং দেশের সুন্দরীরা কার্পণ্য করছে না; শুধু কি তাই? রীতিমতো মিডিয়ায় আয়েজন করে বলে বেড়াচ্ছে!!

আপু, অনেক ভাল থাকুন আপনি।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩২

সোহানী বলেছেন: নারী বিজ্ঞাপনে ভিন্নমাত্রা আনে, মানছি। কারন অর্থনীতির চাকার চাবিটা পুরুষের হাতে। তাই তাদেরকে আকর্ষন করতে নারী ছাড়া বিকল্প নেই। কাজেই নারী পণ্য হিসেবে ব্যবহ্রত হয়েছিল, হচ্ছে এবং হবে। এ চাকা ব্যালেন্সড্ হবে যদি নারীরা সমান অধিকার এ আসে। কিন্তু কথা হলো নিজস্ব সংস্কৃতিকে ভুলে যেয়ে অন্য সংস্কৃতিতে অভ্যস্থ হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। আগে পিছু জানি না শুধু অনুকরন করে চলছিতো চলছিই।

আর ওই “আইটেম সং” এর মুন্নি, শিলা, চিকনি চামেলিরা আগেও ছিল। তবে তা নির্দিস্ট গন্ডীতে, অল্প কিছু বিপথগামীরা সেদিকে যেতো । আর এখন সকলেই নাচছে ছেলে বুড়ো, কোন লজ্জা নেই, কোন রাখঢাক নেই......।

তবে #মিটু নিয়ে দ্বিমত পোষন করছি। আমার লিখাটি পড়ার অনুরোধ থাকলো।

#MeToo...মেয়ে তুমি একা নও, আমি ও আছি

৩৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৩

নীলপরি বলেছেন: দারুণ ভাবে বিষয়টা তুলে ধরেছেন ।আর অনেকেই মন্তব্যে বিষয়টা ভালো ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০৬

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ নীলপরি.......

৩৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বুঝান।
যদি তারা বুঝে। তবে তারা বুঝবে বলে মনে হয় না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০৭

সোহানী বলেছেন: আসলে তাদেরকে বুঝতে দেয়া হয় না সাজ্জাদ ভাই।

৪০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

রাকু হাসান বলেছেন:


পোস্টটি সকালেই পড়েছিলাম । দারুণ টপিক নিয়ে লিখছেন । আমাদের রুচি দিন দিন অসভ্য হচ্ছে ।
কিছু বিজ্ঞাপন দেখলে বিশেষ উদ্দীপনা তৈরী করবে । বিজ্ঞাপনে অবশ্যই নিজ দেশের সংস্কৃতি রুচিবোধ তুলে ধরবে ,বা সেই আলোকেই নিমার্ণ হবে কিন্তু বর্তমানে কিছু বিজ্ঞাপন যথেষ্ট দৃষ্টিকটু । বেনামে বা নামে অনেক অভিনেত্রী,অভিনেতারা অভিনয়ও করে যা চ্ছে । অবাক হই । বাংলা নাটকের ব্যাপক সমালোচনা হওয়ার পরও ইমরাউল রাহাত অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে । নতুন কিছু নির্মাতা আসছে তারাও পদাঙ্ক অনুসরণ করছে । সস্তা বিনোদিত করতে গিয়ে নষ্ট করছে আমাদের রুচিবোধ । আবার এমন নাটক,গান,বিজ্ঞাপনের দর্শক চাহিদাও অনেক । জিটিভিতে হয়তো খেয়াল করেছেন ...আপনার ছবির মডেল গুলোই একটি ড্রামা সিরিজে অভিনয় করে । আমার বোধগম্য হয় না ,ওরা ,পরিচালক আমাদের কি বুঝাতে চাই ,ওদের গল্পের ম্যাসেজটাই বা কি ! পাই না আমি ,হাঁ আছে বিকৃতমনা মানুষরা ঠিকই গিলছে । বিনোদন দিতে গিয়ে অশ্লীলতা ছড়াতে হবে । এসব মডেলরা আদৌ কি যোগ্যতা রাখে অভিনয় করার জন্য ! অনেক প্রশ্ন এসে যায় । অনেক জ্ঞানীজনরা মূল্যবান মন্তব্য রেখেছেন । আপনার বারোটা বাজবে ;)
শুভ সন্ধ্যা ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৪

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা...... বারোটা বাজাতে আপত্তি নেই যদি না ভিন্ন মত প্রকাশের নামে নোংরা কথা বলে।

নিজ দেশের সংস্কৃতি রুচিবোধ তুলে ধরবে কিভাবে???? আমরা এখন স্টার জলসা আর জীবাংলা প্রমোট করি। আমাদের রুচি সংস্কৃতিতো এখন ঠেকেছে স্টার জলসা আর জীবাংলা কেন্দ্রিক। ওদের মতো হতে হবে, ওদের মতো ড্রেস চাই, ওদের মতো গল্প চাই, ওদের মতো পরিবারে কুটিলতা চাই......। আর দর্শক!!!!! গিলবে বা গিলতে বাধ্য হচ্ছে..................

৪১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বোকা মেয়েরা চালাক হোক, অন্তত নিজের ভাল বুঝুক, তাঁদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৫

সোহানী বলেছেন: হবে না, হবে না লিটন ভাই। তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় যাতে না হয় সেই চেস্টাই চলে দিনের পর দিন।

৪২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

নাহিদ০৯ বলেছেন: একদিন আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখতে হবে, টানটানে চামড়াগুলো ঝুলে গেছে! কালো চুলগুলোর মাঝে সাদা চুল জায়গা করে নিয়েছে! দাতগুলো আর চকচক করছে না! আজকের এই সৌন্দর্য সেদিন দুনিয়ার সব সম্পদ দিয়েও পাওয়া যাবে না।

পুরুষের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা নারী। আর নারীর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা নিজের সৌন্দর্যের প্রশংসা! এই দুই দুর্বলতা নারী পুরুষ উভয়ের জন্য এই দুনিয়ার পরীক্ষার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। এই দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে না পারলে তা মানুষকে এমন নিচু স্তরে নামাতে পারে যেখানে পশুরাও হয়তো লজ্জায় পড়ে যাবে- মানুষ এমন ও হতে পারে!

একটা নারী শুধুমাত্র তার সৌন্দর্যের প্রশংসা পাবার জন্য যে কতটা নিচে নামতে পারে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সুন্দরী প্রতিযোগিতাগুলো!

মানুষ তাকে সুন্দর বলে এ জন্য না যে সে আচার ব্যবহার চরিত্র গুণে সুন্দর, বরং তার ঐ শরীরটাকে একটাবার ভোগ করতে চাওয়ার অধরা আকাঙ্ক্ষা থেকে, যেখানে মানুষ হিসেবে তার কোন মূল্যায়ন থাকে না, স্রেফ এক দলা মাংস!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৭

সোহানী বলেছেন: সুন্দরী প্রতিযোগিতাগুলো বিদেশে চললেও তার কিছুটা নিয়ম কানুন কন্ট্রোল থাকে। আর আমরা কি করছি??? দু'একটা প্রতিযোগিতাগুলো ইনভেস্টিগেশান করলে দেখতে পাবেন কত মেয়ের চোখের জ্বল সেখানে আছে।

৪৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। যাদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন তারা বুঝলেই চলবে না পুরো সমাজও পরিবার পরিজনদেরও শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৮

সোহানী বলেছেন: শুভ বুদ্ধির উদয় হোলে তো ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে........হাহাহাহাহা। তাই কখনো তাই হবে না।

৪৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: ভাল বলেছেন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৮

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৪৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এত এত মন্তব্যের ভিড়ে আমার এই যৎসামান্য মন্তব্য চোখে পড়বে কি না জানি না। আমি শুধু এটুকুই বলতে চাই যে, এইসব মেয়েরা অসুস্থ সামাজিক অবস্থার শিকার।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:২০

সোহানী বলেছেন: প্রিয় হেনা ভাই, আপনার মন্তব্য মানে বাড়তি কিছু সবসময়ই।

এইসব মেয়েরা অসুস্থ সামাজিক অবস্থার শিকার....... হা সেটাই বলতে চেয়েছি। আর অসুস্থ সমাজ তৈরী যারা করেছে বা করছে তারা অনেক ভেবে চিন্তেই করছে।

৪৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




লেখার উপস্থাপনা যেমনই হোক, মূল বক্তব্যটি কিন্তু প্রচন্ড ভাবনার খোরাক হতে পারে।
যারা নিজের জন্য বাঁচতে জানেনা, যারা শুধু বেচেঁ থাকে অন্যের জন্য, তারা কেন যে অমনটা হয় তা ভেবে দেখার মতোই। তাদের আর্থ-সামাজিক দুরবস্থা, স্বল্প ও অকার্যকর জ্ঞান, একাডেমিক শিক্ষা ছাড়া পরিবার ও সমাজের কাছ থেকে সত্যিকারের শিক্ষা না পাওয়া, ব্যবসায়িক কর্পোরেট জগতের রঙিন হাতছানির নেশা, নিজেকে যেন-তেন উপায়ে মানুষের নজরে নিয়ে আসার স্বপ্ন ইত্যাদির কার্য্যকরণ এইসবই আপনার বক্তব্যকে ঘিরে উঠে আসবে।
যে সমাজবিদ, অর্থনীতিবিদদের এসব নিয়ে ভাবার কথা তারাও কিন্তু ঐ রকমই নামের মোহে পড়ে আছেন। তারা তাদের বিষয়ে গালভরা বক্তব্য দিয়ে "সেলিব্রিটি" হয়ে উঠেছেন বটে কিন্তু নিজেদের চিন্তা-চেতনাকে তারা সমাজের এই শ্রেনীটার কাছে "সেল" করতে পুরোপুরি ব্যর্থ।
তবুও কথা থেকে যায়, যুগ এবং হুজুগ বলে কথা। এ যুগ এবং হুজুগের নেশার খপ্পর থেকে এদের ফেরাবেন কি করে! এ নেশা যে সর্বনাশী!
আপনার কথাতেই বলি- এরা শুধু ছবিটাই দেখে ছবির পিছনের অন্ধকারটুকু দেখে না।
এরা কি বলতে পারবে, এদের কতজন সফল হয়েছে জীবনে এইসব লাক্স,ভিট প্রতিযোগীতার পর কিম্বা অন্যত্র খোলামেলা হয়ে ?
কতজন তাদের হতভাগা সংসারটাকে হারিয়ে ফেলেছে আধুনিকতা নামের ভন্ডামীর ভীড়ে?

এই শ্রেনীটার আত্মজিজ্ঞাসার সময় হবে কবে ?


৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৬

সোহানী বলেছেন: "আর্থ-সামাজিক দুরবস্থা, স্বল্প ও অকার্যকর জ্ঞান, একাডেমিক শিক্ষা ছাড়া পরিবার ও সমাজের কাছ থেকে সত্যিকারের শিক্ষা না পাওয়া, ব্যবসায়িক কর্পোরেট জগতের রঙিন হাতছানির নেশা, নিজেকে যেন-তেন উপায়ে মানুষের নজরে নিয়ে আসার স্বপ্ন"..... হাঁ এটাই বড় কারন।

কারন তারা দেখেছে একজন ডাক্তার ইন্জিনিয়ার বেতন পায় ২০ হাজার। স্বপ্নও দেখতে কষ্ট বিদেশ সফরের আর সামান্য শরীর দেখিয়ে যদি রাতারাতি সেলিব্রেটি হয়ে আলাদিনের চেরাগটা পায় তাতে ক্ষতি কি?

আর যে পরিচালক ওদেরকে এ পথে নামিয়েছে সেও চায় চেরাগটা দ্রুতই চলে আসুক হাতের মুঠোয়। চলছে একটা চক্রাকার খেলা। কে কাকে কতভাবে ইউজ করবে তার খেলা।

আর ওইসব "সেলিব্রিটি" দের কথা বলছেন??? ওরাতো টকশোতে টুপাইস কামানো নিয়েই বিজি এইসব গালভরা বুলি বিক্রি করে। ওরাও একপ্রকার নগ্ন ব্যবসায়ী। তাহলে কি দাড়াঁলো??? এ চক্রাকার খেলা চলতেই থাকবে, চলতেই থাকবে, চলতেই থাকবে।

৪৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: যৌবন শেষে নামাজি কালামি হবে।

ব্যর্থ মডেলিংদের পেছনে তাকালেও তারা অনেক কিছু শিখতে পারে।


ভালো টপিক নিয়ে লিখছেন, পোষ্টে ++

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৭

সোহানী বলেছেন: হাঁ ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

৪৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা গো আপু, এখন এমন অবস্থায় এসে গেছে দুনিয়ার মানুষজন যে খোলামেলা পোষাকআষাকেই স্মার্ট সম্ভ্রান্ত পরিবারের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে!! আমি অনেক বাবাকে দেখেছি ঢাকা শহরে নিজের যুবতি মেয়েকে গেঞ্জি আর শর্টপ্যান্ট পড়া অবস্থায় একসাথে রাস্তায় হাটছে। এদের দেখে বুঝারও উপায় থাকেনা আসলে বাবা মেয়ে নাকি কথিত গার্লফ্রেন্ড, যদিনা পিছে পিছে কিছুক্ষণ হেটে তাদের কথাবার্তা না শুনা হয়!!

আর মডেল সুন্দরীদের কথা বললে তো শেষ হবারই নয়, তাদের মধ্যে একরকম প্রতিযোগিতা চলে বলেই আমার মনে হয়!

সুন্দর আলোচনা করেছেন পোস্টে, ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৮

সোহানী বলেছেন: কি করবা বলো, আমরা এখন স্টার জলসা আর জীবাংলা যুগের আধুনিক মানুষ। এটাতো চলবেই............

৪৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:০২

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট! এই বিষয়টা নিয়ে আমিও ভেবেছি, কিন্তু ভাবনার প্রকাশ এত সুন্দরভাবে করতে পারছিলাম না।

এই পোস্টটা পড়লে অনেক মেয়ে হয়তো পড়ে যাওয়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারত, অথবা পড়ে যাবার পর ঘুরে দাঁড়াতে পারত। কিন্তু দুঃখের কথা এই যে, এই মেয়েদের কেউ এই লেখা পড়বে না। পড়লেই কি বুঝতে পারত!!! মনে পড়ছে, একবার গাড়ির প্রদর্শনীতে গিয়ে দেখি, প্রতিটা নতুন গাড়ির পাশে একজন করে স্বল্পবসনা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে হাসিমুখে! গাড়ি সম্পর্কে কিছু এরা জানে না; গাড়ির প্রদর্শনীতে এসেছে নিজের দেহ প্রদর্শনী করতে! এতে নিজেকে কতটুকু অসম্মানিত করছে সেটা নিজেরাই বুঝতে পারছে না। আমি কটমট করে তাদের চোখে তাকিয়ে থাকলাম, কিন্তু তাদের চোখে বিন্দুমাত্র গ্লানি দেখতে পাইনি..........

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৫২

সোহানী বলেছেন: আরে না না আপনার প্রকাশভঙ্গী অসাধারন। আমিতো রীতিমত আপনার ফ্যান।

আর হাঁ, ওই গাড়ি বাড়ি জুতা সেন্ডেল সেভিং ব্লেড...... সবখানেই ওদেরকে দাঁড় করিয়ে রাখে। আর গাড়ির মডেলদেরকে দেখলে হাসি পায় কেন যেন মনে হয় গাড়ি কিনলে নারী ফ্রি ;) ;) ;) ;) ;)

আর আপনি কিভাবে চোখ গ্লানি খুঁজবেন, ওটাইতো ওদের পেশা। যত স্বল্পবসনা তত বিক্রি ............

৫০| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১১

জাহিদ অনিক বলেছেন: সত্যিই মেয়েগুলো বোকা----------
এভাবে ওদেরকে ইউজ করা হচ্ছে ওরা সেটা জেনেবুঝেও সেই পথেই যায়। ওরা আসলে বোকা না, ওরা আসলে আপনভোলা, ওরা আসলে নতুন জোয়ারের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে নতুন মাছের মতন। নদী থেকে গিয়ে পড়ছে সমুদ্রে, নিজের খেই হারিয়ে ফেলছে।

ভালো টপিক নিয়ে লিখেছেন সোহানী আপু। শুভেচ্ছা ভালো থাকবেন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৫৪

সোহানী বলেছেন: ওরা আসলেই নতুন জোয়ারের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে নতুন মাছের মতন। নদী থেকে গিয়ে পড়ছে সমুদ্রে, নিজের খেই হারিয়ে ফেলছে। কারন ওদেরকে সেই সমুদ্র দেখানো হয় না, তাই ওরা জানেই না কোথায় পা দিচ্ছে।

৫১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৪

নষ্টজীবন® বলেছেন: দারুণ বলেছেন আপা, এরা বোকা না খুবই চালাক, মানুষের মন বুঝে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০৫

সোহানী বলেছেন: না রে ভাই এরা পরিস্থিতির স্বীকার।

৫২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গাজীসাব তার স্বভাবসুলভ
প্রশ্ন তুলে লেখাটিতে দুর্গন্ধ
ছড়িয়ে গেলেন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:২৭

সোহানী বলেছেন: :( :( :( :(

৫৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বার মূখী মেয়েদের ঘরমূথী করতে
লেখাটি স্টিকি করা আবশ্যক ছিলো।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:২৭

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় নূরু ভাই।

৫৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১২

প্রামানিক বলেছেন: বাস্তব সত্য তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আসলেই নারীরা বিজ্ঞাপণের নামে যা করছে তা অনেক সময় ভদ্রতার পর্যায়ে পড়ে না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৫

সোহানী বলেছেন: কি করবো বলেন ভাই দিন দিন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। ছেলে-মেয়েরা আরো বেপরোয়া হচ্ছে দিন দিন।

৫৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:২০

Ashfi Tuhin বলেছেন: সহমত

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৫

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৫৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কী বুদ্ধিমান মেয়ে!
লেখার লাইন লেংথ ঠিক আছে। পোস্টে সহমত। কিন্তু সমস্যা হল ওভার স্মার্ট মেয়েগুলো তো এসব লেখা পড়বে না, পড়লেও বুঝবে না। এসব নিয়ে ওরা ভাববে কবে? ওরা কি বোকাই রয়ে যাবে??


@চন্দ্রগাজী,
বুইড়া খাটাশ। X(

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৬

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ। কিন্তু আমাদেরকেতো বোঝাতে হবে ওদের......

৫৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: আপা, আমার মনে হয় আর পাঁচটা পেশার মত বিজ্ঞাপনের মডেল, অভিনেত্রী, বার ড্যান্সার, পর্ন অভিনেত্রী, যৌনকর্মী এগুলোও পেশা। স্বেচ্ছায় যদি কেউ এই পেশা বেছে নেয় আর ভোক্তারা মূল্যের বিনিময়ে এসব সেবা নেয় তাহলে কার কি বলার থাকতে পারে? কেউ ত আর ভিক্ষা বা ধর্ষন করছে না। কিছু কিছু পেশায় সৌন্দর্যই শেষ কথা তাই যত দিন সৌন্দর্য্য থাকে তত দিন তারা এই পেশায় থাকতে পারবে। তাই আর পাঁচটা পেশার থেকে এদের শ্রমমূল্য বেশী, যাতে ভবিষ্যতের জন্য জমিয়ে রাখতে পারে, ভোগ করে ছুড়ে ফেলে দেবে এই সব কথা অর্থহীন। বিশ্বসুন্দরী, সফল অভিনেত্রী, সফল পর্ন অভিনেত্রী, সফল যৌনকর্মীদের সম্পদের পরিমাণ ত আপনার অজানা থাকার কথা নয়। আসলে পুরুষ অভিভাবক ছাড়া বাংলাদেশের নারীরা সিকিওর ফিল করে না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫

সোহানী বলেছেন: আমি কখনই বলিনি বিজ্ঞাপনের মডেল, অভিনেত্রী, বার ড্যান্সার, পর্ন অভিনেত্রী, যৌনকর্মী এগুলোও পেশা নয়। আর স্বেচ্ছায় যদি কেউ এই পেশা বেছে নেয় আর ভোক্তারা মূল্যের বিনিময়ে এসব সেবা নেয় তা নিয়েও আমি কথা বলিনি। আমি কি বলতে চেয়েছি তা বোঝার জন্য আবার পড়ুন।

৫৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:১৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তুমি কি বলো সেটাই দেখলাম B-))
তাই বলে রাগ করো না :)

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৫৮

সোহানী বলেছেন: X( X( X( X( X( X(

৫৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪

সূচরিতা সেন বলেছেন: পরিবারের সকলকে নিয়ে এক সঙ্গে বসে কোন অনুষ্ঠান দেখার উপায় নাই দিদি। দেহ দেখানোর ভিতরে কোনো স্বাধীনতা আছে বলে আমি মানতে রাজী না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫১

সোহানী বলেছেন: সেটাইতো সমস্যা... আমরা মেয়েদেরকে স্বাধীনতা বলতে কাপড় খোলাকে মিন করতে শেখাই তাদের.....

৬০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মেয়েদের শুভবুদ্ধির উদয় হো'ক। দেহ দেখানোর মধ্যে কোন সার্থকতা নেই আছে শুধুই বঞ্চনা।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫২

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই.....

৬১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: অগ্নিবেশ বলেছেন: কে যে বোকা সেটাই বোঝা দায়, দেহজ আনন্দ দু পক্ষেরই তবুও পুরুষদেরই কড়ি খসে। তারা রাতভর আনন্দকরে কাড়ি কাড়ি টাকা কামায়, তারপর তারাই বোকা থেকে যায়।


:P :P

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

সোহানী বলেছেন: B-) B-) B-) B-) B-) B-) B-) B-) B-)

৬২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সময়োপযোগী মুল্যবান একটি পোষ্ট দিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।
আপনার পোষ্টটি কিছু কিছু মেয়েদেরকে তাদের নগ্নতার করুন পরিনতির দিক সম্পর্কে ধারনা দিবে ও তাদের শালীনতাবোধকে জাগিয়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে মনে করি ।

সকলের মাঝে অনুভুতি জাগিয়ে তুলতে হবে যে শালীনতাবোধ নগ্নতাকে কোন মতেই সমর্থন করে না, যদিও স্থান ও কাল ভেদে শালীনতাবোধের ধারণা বিভিন্ন। কোনো কোনো নির্দিষ্ট সমাজব্যবস্থায়, চিত্রে, ভাস্কর্যে ও সাহিত্যে নগ্নতাকে নান্দনিকতার এক বিশেষ উপাদান বলেই মনে করা হয়। তবে নগ্নতা সর্বকালেই ছিল লজ্জা জনক । বাইবেলে বর্ণিত আদম ও ইভের উপাখ্যান অনুযায়ী, ঈশ্বর প্রথম নর ও নারীকে নগ্ন অবস্থায় সৃষ্টি করেছিলেন; এবং নগ্নতার জন্য তাঁদের মনে কোনো লজ্জা ছিল না। পরে শয়তান কর্তৃক প্ররোচিত হয়ে ঈশ্বরের আজ্ঞা লঙ্ঘন করে তাঁরা যখন জ্ঞানবৃক্ষের ফল ভক্ষণ করেন, তখন তাঁদের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত হয় এবং নিজেদের নগ্ন দেখে তাঁরা লজ্জিত হয়ে পড়েন। যতদুর জানা যায় আদিম মানুষ নগ্ন অবস্থায় থাকত । অনেক পরে ( সম্ভবত ৭০ থেকে ৮০ হাজার বছর আগে) যখন মানব সমাজে নগ্নতা নিবারণের জন্য পোষাকের ব্যবহার শুরু হয় তখন নিরাররন লজ্জা জনক হিসাবে গন্য হতে থাকে । অনেক প্রাচীন সভ্যতাতেও নগ্নতাকে অপমানকর বলে মনে করা হত। আদি বাইবেল থেকে জানা যায় "আসিরিয়ার সম্রাট মিশর ও সুদান থেকে বন্দীদের বিবস্ত্র অবস্থায় নিয়ে যাবে। যুবা-বৃদ্ধ সকলকেই নগ্ন পদে বিবস্ত্র অবস্থায় পথ চলতে হবে, তাদের অনাবৃত নিতম্ব মিশরের লজ্জার কারণ হবে। অপর দিকে প্রাচীন গ্রিক সভ্যতায় খেলাধুলা ও সংস্কৃতির জগতে পূর্ণবয়স্ক ও কিশোরদের নগ্নতা সৌন্দর্যের প্রতিক হিসাবে প্রশংসিত হত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বালক, নারী ও বালিকাদের নগ্নতাও প্রশংসা পেত। গ্রিকদের সৌন্দর্য চেতনায় প্রকৃতি, দর্শন ও শিল্পের পাশাপাশি মানবদেহেরও বিশেষ স্থান ছিল। কিন্তু সেযুগে অধিকাংশ নগররাষ্ট্রেই নারীদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ, এমনকি দর্শকাসনে উপস্থিত থাকার অনুমতিও ছিল না। যদিও স্পার্টা ছিল এর ব্যতিক্রম। রোমানরা গ্রিক সংস্কৃতির অনেক রীতিনীতি গ্রহণ করলেও, নগ্নতা সম্পর্কে তাদের মানসিকতা পৃথক ছিল। সাধারণ স্নানাগার বা সাধারণ শৌচাগার ছাড়া অন্য সব জায়গায় নগ্নতাকে অনুচিত আখ্যা দেওয়া হত।

খ্রিষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে খ্রিষ্টধর্ম রোমান সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষিত হলে প্রাপ্তবয়স্কদের নগ্নতা পাপের পর্যায়ে পর্যবসিত হয়। খ্রিষ্টধর্মের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি প্রথায় পরিণত হয়। এখানে উল্লেখ্য যে ডাইনি শিকারের সময় অভিযুক্ত ডাইনিদের নগ্ন করে তথাকথিত ডাইনি চিহ্নগুলি পরীক্ষা করা হত। এই সব চিহ্ন তাদের বিরুদ্ধে বিচারের প্রমাণ হিসেবে পেশ করা হত। জনসাধারণের সামনে কাউকে অপমান করার ক্ষেত্রেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে নগ্নতার শাস্তির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নাৎসিরা তাদের কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বন্দীদের জোর করে নগ্ন করে রাখত। ২০০৩ সালে ইরাকের আবু গারিব কারাগারে কুখ্যাত বন্দী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। মার্কিন সেনা কর্মচারীরা এখানে বন্দীদের নগ্ন করে, কখনও বেঁধে ও ভয় পাইয়ে দিয়ে তার ফটো তুলে রেখেছিল। তাইতো পরিস্থিতি ও পরিবেশের চাপে পরে বোকা না হয়ে চতুর হলেও নগ্নতার শিকার হওয়ার জন্য মেয়েরা অনেক সময় হয়ে পরে একান্তই অসহায় ।

দুনিয়ার সকল জায়গার ফটোগ্রাফারগন, সুন্দরী প্রতিযোগীতার স্পন্ছরগন, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ও বিজ্ঞাপনের জন্য করপোরেট সংস্থা গুলিউ কম দায়ী কিসে ? প্রথম যুগের ফটোগ্রাফাররা অনেক সময়ই নারীদের নগ্নতা ফটোগ্রাফিতে ফুটিয়ে তুলতেন। বিশ্বের নাম করা ফটোগ্রাফার যথা এডওয়ার্ড ওয়াটসন, রুথ বার্নহার্ড ও জেরি অ্যাভেনেইম প্রমুখ ফটোগ্রাফাররা শিল্পকর্ম হিসেবে দেহের রেখা প্রদর্শন করতে পছন্দ করতেন। স্পেনসার টিউনিক নির্মিত সারা বিশ্বের নানা প্রকাশ্য স্থানে এক দঙ্গল নগ্ন লোকের স্থিতিস্থাপক ফটোগ্রাফি উচ্চ মানের শিল্পমেধার জন্য নন্দিত। নগ্ন ক্যালেন্ডার প্রকাশের প্রথাও ইদানিং দ্রুত বিকাশলাভ করেছে। এগুলি বর্তমানে এক প্রকার বার্ষিক প্রথায় পরিণত হয়েছে। এ সমস্ত বিষয়গুলিই শিল্প সাহিত্য , নৃত্যকলা ও চলচ্চিত্রে ব্যপকভাবে প্রয়োগ থেকেই আজকের যুগে সমাজের বুকে নগ্নতার বিষবৃক্ষে পরিনত হয়েছে । তাই শুধু বোকা মেয়েদেরে দুষ দিয়ে কতটুকুই বা এর গতি করা যাবে , টান দিতে হবে মুল ধরে , টান দিতে হবে নগ্নতার সুতিকাগার হতে , তাহলেই এর বিস্তার রোধ হবে ।

এটাও লক্ষনীয় যে অল্পসময়ের জন্য আবশ্যকীয় নগ্নতাকে (যেমন সৈকতে পোষাক পরিবর্তন বা শিশুকে মায়ের দুগ্ধ পান করানো
যদিউ পাশ্চাত্য সমাজে নারীদের প্রকাশ্যে স্তন্যপান করানোয় অনেক ক্ষেত্রে বেশ বিতর্কেরো সৃষ্টি হয় ) অশালীন মনে করা হয় না।


তবে সৈকতে দীর্ঘক্ষণ নগ্ন অবস্থায় থাকাটা অশালীন বলে বিবেচিত হয়। যদিও নগ্ন সৈকতগুলিতে নগ্নতা গ্রহণযোগ্য। অনেক পাশ্চাত্য দেশে এবং সূর্যস্নানের মতো কয়েকটি ক্ষেত্রে মহিলাদের স্তন অনাবৃত রাখাকে অশালীন বলে মনে করা হয় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক রাজ্যে অবশ্য প্রকাশ্যে মহিলাদের স্তনবৃন্ত প্রদর্শন ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে এবং প্রকাশ্য স্থানে তা করার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যুক্তরাজ্যে পাবলিক অর্ডার অ্যাক্ট অফ ১৯৮৬ অনুসারে নগ্নতাকে "হয়রানি, সতর্কীকরণ বা যন্ত্রনা প্রদানের" জন্য ব্যবহার করা যায় না। এসব বিষয়ের প্রেক্ষিতে পাশ্চাত্য সমাজে "মুক্তস্তন সমতা" (টপফ্রি ইকুয়ালিটি) আন্দোলনের সূচনা হয়। এই আন্দোলনের মূল বক্তব্য ছিল পুরুষেরা যেমন কোমরের ঊর্ধ্বাংশ অনাবৃত রাখে, মহিলাদেরও তেমনই অধিকার পাওয়া উচিত। এই সূত্রে ইংরেজিতে "টপলেস" শব্দটির যৌন অনুষঙ্গ এড়াতে "টপফ্রি" শব্দটির প্রচলনও হয়। এর প্রভাবে nudism তথা নগ্নতাবাদ নামে একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন সর্বসমক্ষে ও প্রকাশ্যে নগ্নতাকে সমর্থন জানায় এবং তার সপক্ষে মতপ্রকাশ করে। শালীনতার যে প্রচলিত ধারাটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা সামাজিক নগ্নতার বিরোধী নগ্নতাবাদীরা তা প্রত্যাখ্যান করে থাকেন। পরিবর্তে তাঁরা এমন এক সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে চান যেখানে মানুষে নগ্ন মানুষের সাহচর্যে অথবা অন্যান্য নগ্নতাবাদী বা সাধারণ মানুষের সামনে নগ্ন হয়ে থাকতে অস্বস্তিবোধ করবে না। এর প্রভাবে দেখা যায় ইউরোপের অনেক দেশে বিশেষত জার্মানি, ফিনল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডে উভয় লিঙ্গের মানুষেরই দলবদ্ধ অবস্থায় নগ্ন হয়ে স্নান স্বীকৃতি পায় । জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন ও গ্রিসের সৈকত ও সুইমিং পুলগুলিতে নগ্ন হয়ে স্নান অনুমোদিত। ইত্যাকার বিষয়গুলি দেশে দেশে নগ্নতা ও অশালীনতাকে ক্রমেই বিস্তৃতি দিয়ে যাচ্ছে, পোশাক পরিছ্ছদে শালিনতা দুর হচ্ছে ।

বোকা মেয়েগুলি ( যদিউ আদতে মেয়েরা কোন ক্রমেই বোকা নয় ) ঝাক বেঁধে কেন ( শুধু মেয়ে কেন পুরুষেরাও) নগ্নতা ও অশালীন পোশাক পরিধানের দিকে ঝুকে পড়ছে তা নিয়ে বিস্তারিত গবেষনার প্রয়োজন আছে । শালিনতার দৃস্টিকোণ হতে দুটোই অনৈতিক ও অগ্রহনযোগ্য । শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ ঢেকে না রাখা অনৈতিক এবং অশালীন বলে বিবেচিত । পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই লোকসম্মুখে অশালীন পোশাক পরিধানকে এখন অভদ্র শরীর প্রদর্শন বলেই মনে করা হয় ।

তার পরেও কিছু স্পনসর ও মিডিয়া মাফিয়াদের দৌরাত্বে দেশে দেশে নগ্নতা ও অশালীন পোশাক পরিধানের বিস্তৃতি লাভ করে চলছেই জ্যমিতিক হারে । এদের হাত হতে স্বেচ্চায় বা অনিচ্ছায় জড়িয়ে পড়া বোকা ছেলে মেয়ে উভয়কেই শালিনতার জগতে ফিরিয়ে আনার জন্য তাই দেশে দেশে তথা পৃথিবীর সর্বত্রই নগ্নতাবাদের বিপক্ষে ও শালিনতার পক্ষে দুর্বার সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে । ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সকল দৃষ্টিকোন হতেই সালিনতা পালন মঙ্গল জনক এ বাণী ছড়িয়ে দিতে হবে সর্বত্র । এটা লক্ষনীয় যে সমাজের কিছু নারী পুরুষ নগ্নতার আবর্তে নিপতিত হলেও বিভিন্ন প্রতিকুলতা পারি দিয়ে লিঙ্গ বেদে সকল ধর্মাবলম্বিদের কাছেই শালিনতার দিকটি ইদানিং বেশ গুরুত্বও পাচ্ছে । যেমন বিভিন্ন প্রতিকুলতার মাঝেও প্রাচ্চ ও পাশ্চাত্তে মুসলিম মেয়েদের মধ্যে মস্তকাবরন পোশাক পরিধানের মাত্রা বাড়ছে বই কমছেনা ।

হিন্দুধর্মাবলম্বিদের মাঝেও শালিনতাবোধের বিস্তার লাভ করছে ( ধুম ধারাক্কা ফিল্ম ও সিরিয়ালে নগ্নতার প্রদর্শন ছাড়া )।
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সালিন পোশাকে মন্দিরগামী হিন্দু মেয়েরা ।


সবশেষে বলতে চাই নগ্নতা ও অশালীন পোশাক পরিধানে নিপতিত বোকা মেয়েদের বিপক্ষে আপনার আন্দোলন সফল হোক ।

নিরন্তন ভাল থাকার শুভেচ্ছা রইল


৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:১৯

সোহানী বলেছেন: সবসময়ই বলি আপনার লিখা মানে অনেক অজানাকে জানা, নতুন কোন জ্ঞান লাভ বা নিজের ভাবনায় নতুন কিছু সংযোজন। তাই এমন একজন জ্ঞানী লেখক কেন এখনো বই লিখায় হাত দিচ্ছে না সেটা আমার কাছে একরাশ দু:খ। আমার আগের মন্তব্যে বলেছি আপনার কোন অধিকার নেই আমাদের মত পাঠকদের ডিপ্রাইভ করা.....

এবার আসি বিষয়ে আলোচনা।

নগ্নতা বা তার প্রদর্শন নিয়ে ইতিহাস থেকে শুরু করে বর্তমান কালচার নিয়ে যা বলেছেন তা ছিল এবং থাকবে। পোষাক বা নগ্নতা সেটা সে সমসাময়িক বিষয়, ব্যাক্তি পছন্দ, ধর্ম, অর্থনৈতিক লেনদেন অনেক অনেক কিছুর উপর ডিপেন্ড করে। আমি কিন্তু তা বলতে চাইনি। আমার বিষয় এ বোকা মেয়েগুলো অনেকটা না বুঝে চাকচিক্যময় অন্ধকার জগতে পা দেয়। আর পশ্চিমা কালচারের অনুকরনে শরীর প্রদর্শনের একটা তীব্র প্রতিযোগীতার দিকে ঝুঁকছে, আদতে যার এডভানটেজ নিচ্ছে বেনিয়া গ্রুপ। মেয়েগুলো হাতের পুতুল হয়ে সুতোর নাটায়ে ঘুরছে।

আমি জানি বিশ্ব এখন প্রদর্শন বেইজড। তাই আকর্শনের মূল মন্ত্রই দেহ প্রদর্শন। আর তা না হলে কেউই দেখবে না তাকে। সাধারন ফেইসবুক এর কথাই বলেন, একটা হিজাব পরা মেয়ের ছবিতে যতটা ক্লিক পরে একটা অর্ধনগ্ন ড্রেস পরা মেয়ের ছবিতে তার কয়েকগুন। কারন এক পক্ষ চায় রাতারাতি জনপ্রিয় হতে তাই সর্টকাট পথ খুজেঁ বেড়ায়। তাই এমন সমস্যা যে এটাই এখন প্রথম পথই হয়ে যাচ্ছে দিন দিন।

আর বেনিয়া গ্রুপ ওদেরকে বোঝাচ্ছে এ্টাই স্মার্টনেস, এটাই পশ্চিমা কালচার........ তাই অন্ধের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ছে। ওরা কি জানে পশ্চিমারা এখন এগুলো অপছন্দ করে এ কালচার থেকে সরে আসছে।

পরবর্তী টপিকে আসবো তা নিয়ে।

আপনার শরীর কেমন? খুব ঠান্ডা কিন্তু এবার তাই অনেক সাবধানে থাকবেন।

৬৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সিরিয়াস পোস্ট আর সিরিয়াস মন্তব্য পড়লাম সবকয়টা। এরপর আর মন্তব্য কি লিখবো বুঝতেছি না।

আমার মতে, বর্তমানের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, বর্তমান সমাজের বেশীরভাগ তরুন-যুব সমাজের জীবনধারার মূলমন্ত্র হচ্ছে "ফেম সিকিং এইম অফ লাইফ" এবং "লিভ ফর এনজয়মেন্ট"; তার সাথে অতি অবশ্যই "শো-অফ"। এই সমস্যার একটা শাখা আপনার লেখায় উঠে এসেছে। বোকা (না চালাক এটা অতি অবশ্যই তর্কের সুযোগ রাখে) মেয়েগুলো তাদের জীবনধারার এইম এচিভ করার জন্যই যাচ্ছে বিপথে। আর একটা কথা হল, ব্যক্তিগত মূল্যবোধ, শিক্ষা, আদর্শ এসব ফ্যাক্টরও অনেক বড় কিছু। হালের টিকটক আর ফেসবুক ভিডিও দেখলে মাথা তালগাছে উঠে যায়। কেউ কাউকে কোন কাজ জোরপূর্বক করাতে পারে না, নিজের ইচ্ছেটাও তো থাকতে হয়। যার যার মানসিকতা তাকে নির্দ্দিষ্ট একটা দিকে পরিচালিত করে। আগে অনেকেই ছিল, "সুযোগের অভাবে সৎ/ভাল/আদর্শবান/রুচিবান। এখন সোশ্যাল মিডিয়া সহ নানান "সুযোগ" সহজলভ্য হওয়াতে ঝাঁপ দিতে আর বাঁধা থাকছে না।

বোকা মানুষ হয়ে অনেক চালাক চালাক কথা বলে ফেললাম যে... এখন আমার কি হপে? :P =p~

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৩

সোহানী বলেছেন: আরে দোস্ত ব্লগার... বহু বহু দিন পর আমার ব্লগে। তো কি খবর????? কই যে ঢুব মারেন আবার টুপ করে উঠেন.... আবার নিখোঁজ! ব্যাস্ততা কি কমেছে?

৬৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: যাদেরকে নিয়ে এ পোস্ট লিখেছেন, তাদের প্রতি একটা আন্তরিক দরদ থেকেই তা লিখেছেন, এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। পোস্টের বক্তব্যের গুণে আর বিদগ্ধ পাঠকজনের অনেক প্রাজ্ঞ মন্তব্যের কারণে পোস্টটি একটি অনবদ্য পোস্ট হিসেবে গণ্য হবে বলে আমি মনে করি।
পোস্টে ৩৩ তম প্লাস + +।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৪৪

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় লেখক। ভালোবাসেন বলে ভালোলাগে আমার অখাদ্য যত পোস্ট।.........

অনেক ভালো থাকুন।

৬৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫১

পবন সরকার বলেছেন: দেহ দেখানোর মধ্যে বঞ্চনা ছাড়া কোন সার্থকতা নেই।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪১

সোহানী বলেছেন: সহমত!

৬৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৮

গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: মেয়েগুলো বোকা নয় লোভী ! পরকালের প্রাপি্ততে অধিকাংশেরই মুখে আস্থা থাকলেও অন্তরে আস্থা নেই। মানুষের স্বাধীনতারও সীমা আছে সেটা আধুনিক সমাজ প্রশয় দেয়না ...

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪৩

সোহানী বলেছেন: আসলে লোভ সবার মধ্যেই কম বেশী আছে। কিন্তু যারা মিথ্যে লোভ দেখিয়ে এদেরকে অন্ধকার জগতে নিয়ে আসে তারা অনেকাংশে দায়ী।

৬৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৯

অন্তরন্তর বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। মেয়েগুলো কি আসলে বোকা? আপনার আমার চেয়ে অনেক চালাক বা বুদ্ধিমান। আমি বা আপনি তাদের চোখে ক্ষেত। এদের কিছুতেই শোধরাতে পারবেন না। শুভ কামনা আপু।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪৪

সোহানী বলেছেন: জানি না ভাই... হয়তো তাই। তারপরেও আমাদেরকেই চেস্টা কবরতে হবে।

৬৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪৫

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ভাই।....... কবিতার বই কোথায়!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! সবাই ওই পথে হাটছে আর অঅপনি থেমে আছেন?????

৬৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮

সিগন্যাস বলেছেন: সোহানী আপু আমি যা ভাবি তাই বলছি। আমার মনে হয় আমাদের নিজেদের স্থানীয় এন্টারটেইনমেন্ট শিল্প খুবই দূর্বল। ফলে আমরা আনন্দের জন্য হলিউড বলিউড মুভির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। ছোটখাট পোশাক পড়া হচ্ছে এইসবের সাইড এফেক্ট। ইদানিং ফরেন কালচার দেশে ব্যাপক ভাবে প্রবেশ করছে। আমাদের সমাজও এটাকে নীরব সমর্থন দিচ্ছে। মোটকথা দূর্বল আর মৃত কালচারের জন্যই মনে হয় আজকাল এইসব অঘটন ঘটছে। আর আপু শীঘ্রই জীবন যেখানে যেমন সিরিজে হাত দেন। কোনদিন থেকে অপেক্ষা করে বসে আছি।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩২

সোহানী বলেছেন: সিগন্যাস ভাই, আপনার কথায় সহমত। আর আমরা নীরবে সমর্থন দিচ্ছি কারন আমরা মেরুদন্ডবীহিন প্রানী। এক ভারতীয় টিভি চ্যানেলকে না বলার মতো ক্ষমতা অর্জন করতে পারিনি। সেখানেতো সংস্কৃতি কালচার ধরে রাখাতো অনেক দূরের কথা। হলিউড বলিউড মুভিতে আপত্তি নেই কারন ওটা না দেখলে অনেক কিছুই মিস হবে। কিন্তু ওই যে ওদের মতো হতে হলে কাপড় খুলে শুরু করতে হবে এ বিশ্বাসটা ওদের মাথায় ঢুকিয়েইতো ঝামেলা তৈরী করছি।

জীবন যেখানে যেমন সিরিজে হাত দিবো। যতটুকু সময় পাই তা আপনার চমৎকার লিখা পড়েই সময় কাটাই।

৭০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

জুন বলেছেন: আপনার লেখাটি যদি এইসব বোকা মেয়েরা পড়তো সোহানী। আফসোস পড়লেও হয়তো তাদের চৈতন্যদয় হবে নে বলেই আমার ধারনা। উচ্চাকাঙ্ক্ষার শিখরে পৌছানোর কথা ভাবতে ভাবতে বেশিরভাগই পংকিলতার গভীরে ডুবে যায়। প্রত্যাশা রইলো আপনার আহবান যেন তাদের কানে পৌছায়।
সময়পোযোগি একটি লেখায় অনেক ভালোলাগা।
+

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: জুনাপু... ওরা শুনবে কি করে?? ওদের কানেতো পর্দা দিয়েই আমরা নামাই। চোখ কান খোলা থাকলেতো ওদেরকে নামানো মুশকিল, ওদেরকে ইউজ কঠিন!

৭১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ব্যস্ততা কমুক আর না কমুক, ব্লগ থেকে আর দূরে থাকা যাবে না। প্রতিটি মানুষের একটা মানসিক আশ্রয় থাকে, আমার ক্ষেত্রে বোধহয় এই সামুর আঙ্গিনাটাই সেই আশ্রয়। তাই এবার, যে কোন মূল্যে নিয়মিত থাকবো। :)

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৬

সোহানী বলেছেন: গুড জব........... । আরো নতুব ভ্রমণ কাহিনী পাবো আশা করি।

৭২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

আফসানা মারিয়া বলেছেন: 'media shapes the culture' এই কথাটা মিডিয়াই মানে না। মেয়েদেরকে বিজ্ঞাপনে ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখানো তাদের পুরনো সংস্কৃতি। আর এইটা যে একটা ফ্যান্টাসি এইটা মেয়েরা বুঝেনা।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪০

সোহানী বলেছেন: 'media shapes the culture' ....... হাঁ এটাই সত্য, এটাই বাস্তবতা। এ কারনে পাখী ড্রেসের জন্য মেয়েরা আত্মহত্যা করে। আর আমাদের নিজস্ব কালচার থেকে সরে যাই দিনের পর দিন।

৭৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৬

আফসানা মারিয়া বলেছেন: 'media shapes the culture' এই কথাটা মিডিয়াই মানে না। মেয়েদেরকে বিজ্ঞাপনে ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখানো তাদের পুরনো সংস্কৃতি। আর এইটা যে একটা ফ্যান্টাসি এইটা মেয়েরা বুঝেনা।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪২

সোহানী বলেছেন: বিজ্ঞাপনে ভোগ্যপণ্য !!!!!!!! তাতো অবশ্যই, আলু পটলের মতই ওদের মার্কেট ভ্যালু!!

৭৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪২

শিবলী আখঞ্জী বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে বোকা মেয়ে গুলির প্রতি খুব মায়া হলো,দোয়া করি ওদের করোটির নিচে যেন শুভবুদ্ধির উদয় হয়।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩১

সোহানী বলেছেন: ওদরে শুভবুদ্ধির উদয় না হবার জন্যইতো যত চেস্টা..............।

ভালো থাকেন শিবলী।

৭৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৯

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইল

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩২

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এ্যান্টনি।

৭৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: আপনাদের হিংসে দেখে বাঁচি নে বাপু! রূপের একটু ঝলক এদিক সেদিক রূপসীরা দেখিয়ে বেড়ালেও আপনাদের গা জ্বলে। X(


অতি নারীবাদীরা এখানে এসে হালুম দেয় নি নাকি এখনও! হাজারও হলেও উনাদের বাড়া ভাতে ছাই ঢালার এন্তেজাম করছেন। :P


যুগপোযুগী পোস্টের জন্য লাল সালাম।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:১০

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা............. .অতি নারীবাদী যাই বলুক এভাবে রূপের একটু ঝলক এদিক সেদিক দেখাক ক্ষেতি নেইক্কা কিন্তু দেখানো একটু বেশী হলেও ক্ষতি নেই। ঝামেলা হইলো এইটারে জায়েজ করা।

আমি জীবনভর নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করেছি। সে জন্যইতো যত ঝামেলা মনে হয এখন.............. যাকগা। মিশরের খবর কি, বাকি পর্ব কবে দিবেন।

৭৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

অর্ক বলেছেন: লেখার শিরোনাম ও ছবি দেখে কৌতূহলোদ্রেক হলো। এলাম পড়লাম। লেখার ব্যাপারে পরে আসছি। ছবির মেয়েটি মডেল অভিনেত্রী "মিম"। যে কোনও সূত্রেই হোক ওনার দুটো মোবাইল নাম্বারই সংগ্রহ করেছিলাম একসময়। নিজেই যারপরনাই অবাক হয়েছিলাম যে, দুটোই একটিভ! ভাবলাম যে, এই সুযোগে একটু শুভেচ্ছা বিনিময় করি। কিন্তু ভদ্রমহিলা সেই সুযোগ কিছুতেই দিলেন না! যখনই ফোন করি তিনি তাঁর মাকে দিয়ে রিসিভ করান। তাঁর মা’র আবার একটাই কথা, "এখন তো দেয়া যাবে না। ও তো এখন শটে আছে।" হা হা হা। যখনই ফোন করি, "এখন তো দেয়া যাবে না। ও তো এখন শটে আছে।" বিভিন্নসময় পাঁচ ছয়বারই বড়জোর, তারপর খুশিখুশি দুটো নাম্বারই ডিলিট করে দেই।

আপনার লেখার ব্যাপারে ঠিক কী বলবো! আমি আসলে এভাবে ভাবিনি। দশকে দশকে পৃথিবী বদলে যায়। খুব ছোটবেলায় জিন্স শার্ট বা ফতুয়া পরা মেয়েদের মনে হতো ভিনগ্রহের কেউ। আজ ডালভাত হয়ে গেছে। ওপার বাংলায় দেখলাম ওড়না বা দোপাট্টার প্রচলনই প্রায় উঠে গেছে ও ওয়েস্টার্ন পোষাকের জয়জয়কার। এক সময় ওখানেও তা কল্পনাতীত ছিলো। তাই আপনার কাছে যা অস্বাভাবিক বা অন্য কিছু মনে হচ্ছে তা আমার কাছে তা ধারাবাহিক পরিবর্তনেরই অংশ। আর বিশেষ একটা সমস্যার ব্যাপারে বলবো, পৃথিবীর সবখানেই এরকম হয়। আর শুধু নারীর ক্ষেত্রেই কেন পুরুষদেরকেও একইভাবে কম্প্রোমাইজ করতে হয়। ভারতের একাধিক পুরুষ মডেলকে এব্যাপারে বলতে দেখেছি।

গুলশান বনানী ধানমণ্ডি ইত্যাদি জায়গায় স্থানীয় অধিবাসীদের কাছে বাংলা আজ দ্বিতীয় ভাষা। বাংলা বাঙালি সংস্কৃতি তাদের কাছে তেমন গুরুত্ব বহন করে না। ঘুরেফিরে একই কথা আমরা সবাই পরিবর্তন বা আধুনিকায়নের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এর ভালোমন্দ নিয়ে মতভেদ থাকতেই পারে। আমি বরাবরই মানুষের পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে।

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা আপু। ঝরঝরে পরিষ্কার লেখা। খুব ভালো। আরও লিখুন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৮

সোহানী বলেছেন: হায় হায় আপনি মিমের পিছে আবার হাটতে গেলেন ক্যা!!! নিজের অর্থ, এ্যানার্জি, সময়ের অপচয়... ;) ;)

আমি আপনার সাথে সম্পূর্ন একমত। আমি সবসময়ই মানুষের পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে। তবে আমার বিষয় কিন্তু ভিন্ন। আমি কোনভাবেই এ পরিবর্তনের সাথে ভিন্নমত নই। আবার পড়ে দেখলে আমার টোনটা বুঝতে পারবেন।

আর ইংরেজীর ব্যবহার নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। শুধু দু:খ নিজের ভাষাকে বিকৃত করা।

ভালো থাকেন। আর অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগছে।

৭৮| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ৭:৩৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি মা-খালা সবাই সালওয়ার-কামিজেও বড় করে ওড়না পড়তেন। আজ-কালকার পিচ্চি পিচ্চি মেয়েগুলোর ড্রেসের সাথে কেন তাদের ওড়না দেখা যায় না সেটা আমার বোধগম্য নয়। এদের মা-বাবা বা অভিভাবকরা ঠিক কি করছেন আর কি করে তাদের মেয়েদের বড় করছেন কিছুই মাথায় ঢোকেনা। আমার কোনা কাজিন বোনকেও এই ধরনের ওড়না বিহীন জামা-কাপড় পড়তে দেখিনি আজও। ভীষণ বিরক্তিকর একটা ব্যাপার।

১২ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৪২

সোহানী বলেছেন: ওড়না পড়া বা না পড়া সেটা খুব বড় বিষয় নয় আমার কাছে। শালীনতাই বড় কথা। আর বোধটাই বেশী প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.