নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন যেখানে যেমন................ এক টুকরো পথের জীবন

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫



খুব ছোটবেলায় দেখতাম ট্রেনে বা বাসে যেতে আসতে বাতের মলম বা দাঁতের মাজন যারা বিক্রি করে তারা দারুন সুরে প্রথমে গান গায়। তারপর গান শেষে পাবলিককে নিজের পণ্য বিক্রির চেষ্টা করে। বিক্রি বাট্টা ছাড়া শুধু গান গেয়ে বেড়ায় একমাত্র ভিক্ষুকরা। তাও আবার প্রায় সবাই ডিজএ্যাবলড অর্থ্যাৎ কেউ অন্ধ কেউবা পঙ্গু। এদেরকে দেখলেই মা যেভাবেই হোক পয়সা দিতো। এমনও হয়েছে ট্রেন হয়তো দূরে চলে গেছে কিন্তু মা অনেক জোরে সে পয়সা ছুড়ে প্লাটফর্মে ছুড়ে দিতো। তাই ছোটবেলা থেকেই এদের প্রতি এক ধরনের মায়া অনুভব করতাম।

প্রথম যখন ইউরোপের ট্রেনে এরকম বাদ্যযন্ত্র নিয়ে গান শুনানোর পর টুপি খুলে সাহায্য চাইলো তখন একটু অবাকই হলাম মনে মনে। এরকম স্যুটেড ব্যুটেড কাউকে ভিক্ষা করতে প্রথমই দেখলাম। তাও আবার চমৎকার গান শুনিয়ে ভিক্ষা। নিজের আগের অভিজ্ঞতার সাথে মেলাতে মেলাতেই তারা নেমে গেল একটা স্টপেজ এ। এরপর থেকে যেখানেই গেছি ইউরোপের বা আমেরিকার দেশে ওদেরকে পেয়েছি রাস্তা ঘাটে মাঠে ট্রেনে বাসে। পরে জেনেছি এভাবে গান গেয়ে বেড়ানোই তাদের নেশা ও পেশা।

কানাডার প্রায় প্রতিটি সাবওয়ে বা ট্রেন প্লাটফর্মে এদেরকে দেখা যায়। কি যে অসাধারন বাজায়। এরা প্রত্যেকেই লাইসেন্সধারী মিউজিশিয়ান। অনেকেরই একাধিক মিউজিক সিডি আছে মার্কেটে। অনেকেই উচ্চ শিক্ষিত। তারপরও ওরা এ প্লাটফর্মে বা ট্রেনে বাজায়ে ভিক্ষা করে। আমি যখনই এদেরকে দেখি খুব ব্যস্ততা না থাকলে দাড়িঁয়ে ওদের মিউজিক শুনি ও কিছু পয়সা দিয়ে গন্তব্যে রওনা দেই। অবশ্য এটাকে ভিক্ষা বলা যায় না পুরোপুরি এটাও একটি পেশা। গভ: লাইসেন্স ছাড়া এরা যেখানে সেখানে বসতে ও পারে না। লাইসেন্স নিয়ে তবে্ এরা পথে পথে গান গেয়ে বেড়ায়। যা পায় তা দিয়েই চলতে থাকে তাদের জীবন।

তবে আমি প্রায় ওদের ভিক্ষার ঝুলির দিকে তাকাই ও গোনার চেস্টা করি কেমন ইনকাম তারা করেছে। নিজে এ পেশার যাবার কোনরুপ কোন ইচ্ছে নয় জাস্ট কিউরিসিটি। কিন্তু কখনই তেমন কোন টাকা পয়সা সেখানে দেখিনি। খুব সামান্য কিছু খুচরা পয়সাই পড়ে থাকতে দেখি। ভাবতে খুব অবাক লাগে ইউরোপ বা আমেরিকার মতো দেশে এক দুই ঘন্টা কাজ করলে যে ইনকাম হয় তা দিয়ে সারাদিনের খাওয়ার পয়সা জোগাড় হয়ে যায়। তারপরও তারা তা না করে দিনের পর দিন এভাবে ভিক্ষা করে দিন কাটায়। দেশে ভিক্ষুকরা ভিক্ষা করে পেটের দায়ে আরে পশ্চিমা বিশ্বে এরা ভিক্ষা করে শখে।

আরেক শ্রেনীকে পেয়েছি বিশেষ করে জার্মান এর বার্লিনে বেশী দেখেছি তারা হলো জীবন্ত স্টাচু। অর্থ্যাৎ সারা গায়ে চুন বা কালি বা যেমন খুশি সাজোঁর মতো করে সেঁজে দাড়িঁয়ে থাকে একেবারে স্টাচুর মতো করে। কোনভাবেই আপনি বুঝতে পারবেন না এরা জীবিত নাকি স্টাচু। বিশেস করে ঠান্ডার মতো দেশে এরকম স্বল্প পোষাকে প্রবল বাতাসে কিভাবে তারা ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িঁয়ে থাকে দেখলে মায়াই লাগে। ওদের থালাতেও তেমন কিছু দেখিনি ইনকাম হিসেবে।

তবে বার্লিন এর জীবন্ত স্টাচু ওয়ালারা কিন্তু পুরোদমে কর্মাশিয়াল। কেউ হিটলার সেজেঁ, কেউ মুসোলিনি সেজেঁ কেউবা মিকি বা গ্যাস চেম্বারের মুখোশে আছে। পয়সা দিবেন আর পাশে দাড়িঁয়ে ছবি তুলবেন। কিন্তু যদি পয়সা না দেন আপনি কোনভাবেই ছবি তুলতে পারবেন না। মুখ ঘুরিয়ে নিবে সাথে সাথে।


ছবির মিউজিশিয়ানের সাথে আমার খুব সখ্যতা। প্রতিদিন অফিস থেকে ফেরার সময় দাড়িঁয়ে তার গান শুনি। সে আমাকে দেখলেই গানের মাঝেই একগাল হেসে মাথা নুইয়ে অভিবাদন জানায়।


একে দেখে কি মনে হচ্ছে চমৎকার স্টাচু... তাই নয় কি!!! কিন্তু আপনি পয়সা দেবার সাথে সাথে টুপি খুলে আপনাকে অভিবাদন জানাবে। জার্মানীরে ড্রেসডান শহরে তোলা।


একে দেখে আমার খুব মায়া হয়েছে। এতো ঠান্ডা ও প্রবল বাতাস ছিল কিন্তু এর মধ্যে নির্বিকারভাবে দাঁড়িয়ে ছিল। এটি জার্মানীর ড্রসলডাফ এ তোলা।






উপরের সবগুলো জার্মানীর বার্লিনে তোলা। সেখানে স্টাচু থেকে যেমন খুশি তেমন সাজের লোকজনই বেশী দেখা যায়। পয়সা দিবেন ছবি তুলবেন পাশে দাঁড়িয়ে এবং এর নির্দিষ্ট রেট ও আছে।


এটা বোনাস....

সব ছবিই আমার তোলা এবং যথাযথ পার্মিশন নিয়েই তুলেছি

লিখার অনুপ্রেরণা: ব্লগার খায়রুল আহসান ভাই।

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওদের ভিক্ষাবৃত্তি আমাদের দেশের মতো নয়। কেননা, ওরা পয়সার বিনিময়ে দর্শকদের গান বাজনা ও অন্যান্য ক্যারিকেচার করে আনন্দ দেয়, যা আমাদের দেশেও কিছু কিছু দেখা যায়। তবে আমাদের দেশে মূল উদ্দেশ্য থাকে ভিক্ষা পাওয়া, ওদের ক্ষেত্রে মনে হয় এরকম নয়। তা' ছাড়া ওদের এই ভিক্ষাবৃত্তি মনে হয় ওদের সমাজে আমাদের মতো ঘৃণার চোখে দেখা হয় না। আপনি যেহেতু ওদেরকে বাস্তবে দেখেছেন, তাই আপনি ভালো বলতে পারবেন।

ভালো লিখেছেন। সাথে ছবিগুলো পোস্টকে সমৃদ্ধ করেছে। ধন্যবাদ বোন সোহানী।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সোহানী বলেছেন: হাঁ কিছুটা সত্য প্রিয় হেনা ভাই। যারা এ ধরনের গান গেয়ে ভিক্ষা করে তাদের প্রতি সবারই সন্মান। এদেরকে কোনভাবেই ভিক্ষুক বলা যায় না। এরা স্ট্রিট মিউজিশিয়ান। আমি ভিক্ষুক শব্দটা পজিটিভ অর্থে এনেছি। কিন্তু আমাদের দেশে পরিস্থিতি সম্পূর্ন ভিন্ন। এখানে মূলত ভিক্ষাই পেশা। কেউ কেউ গান গায় ঠিকই কিন্তু সেটা ভিক্ষা সংক্রান্ত গান। আর আমাদের দেশের মতো এ ধরনের ভিক্ষুকও আছে এখানে। এদেরকে তেমন কেউই পছন্দ করে না।

অনেক অনেক ভালো থাকেন।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৩

করুণাধারা বলেছেন: পোস্ট পড়ে মুগ্ধতা জানাবার বেলায় দ্বিতীয় হলেও, মন্তব্য করতে আশা করি প্রথম হয়েছি।

এভাবে স্ট্যাচু হয়ে থাকে, এটা জানতাম না আগে। প্রথম দুই স্ট্যাচুর জন্য মায়াই লাগল। ওই ছোট টুলের উপর দাঁড়িয়ে থাকা!! একটু যে পা বদল করে আরাম করবে, তারও কোন জো নেই। এত কষ্ট করে সারাদিনে কত রোজগার করে কে জানে! কত অদ্ভুত খেয়াল যে থাকে মানুষের........

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১০

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা সেখানে ও দ্বিতীয় আপু । প্রথম বা দ্বিতীয় তাতে কি, প্রিয় মানুষদের দেখলেই মনটা আনন্দে ভরে যায়।

সত্যিই তাই, আমারও মনটা খারাপ হয়েছিল কারন তখন ছিল বেশ ঠান্ডা। আমরা উইন্টার ড্রেস পরেই বের হয়েছিলাম। কিন্তু দেখুন ওদের পড়নে তেমন কোন গরম কাপড় নেই। আসলে আমার কাছে মনে হয়েছে অদ্ভুত খেয়াল থেকেও পেটের তাড়না ও বিশাল ফ্যাক্টর।

অনেক অনেক ভালো থাকুন প্রিয় করুণাধারা আপু।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৪

মা.হাসান বলেছেন: বার্লিনে রিকশা আছে জানা ছিল না।
জীবনের মানে একেক জায়গায় একেক রকম। কোথাও রিকশা চড়ে টাকা দিতে হয় কোথাও রিকশা চালিয়ে টাকা দিতে হয়।
ছোট বেলায় স্কোলের খুব কাছেই জেলা জজ ও দায়রা আদালত ভবন ছিল। এর সামনে প্রতিদিনই সাপের খেলা, তাবিজ বিক্রি, দাঁতের মাজন বিক্রি, শ্রিপুরের ট্যাবলেট বিক্রি ইত্যাদির জন্য ক্যানভাসাররা আসতো। টিফিন পিরিয়ডে আমার রুটিন হয়ে গিয়েছিল ওখানে যাওয়া আর লেকচার শোনা। নূরুল ইসলাম নামের একজন তাবিজ বিক্রি করতো, এমন সুন্দর ছিল তার বলার কৌশল, কয়েক যুগ পরেও তার নাম বা তাবিজের গুনাগুন ভুলি নি। ট্রেনে কেউ কেউ ট্যাবলেট বা কবিরাজি বড়ি বিক্রি করতো, ফ্রি স্যামপল অফারও করতো। এরা কথা শুরু করলেই আমি হা করে শুনতাম- এই আশায় যদি আমাকেও স্যামপল অফার করে, কিন্তু কেউ করেনি, বরং আমার সাথে থাকা মামা একবার ধমক দিয়ে বলেছিলেন- হা করে আছিস কেন?
ওয়েস্ট ইউরোপ বা নর্থ আমেরিকায় এরা পেটের দায়ে এসব করে না, অনেকটা প্যাশন থেকেই করে। এর চেয়ে রেস্তোরার টেবিল মুছেও বেশি আয় করা সম্ভব। জীবন সম্পর্কে আমাদের আর ওদের অনুভূতি আলাদা।
যেমন বলেছেন, ছবি অনুমতি নিয়ে তোলাই মনে হয় শোভন, যদিও খুব বেশি লোক এর তোয়াক্কা করে না।
আপনার লেখা অনেক পুরানো স্মৃতি মনে করিয়ে দিল কিছু সময়ের জন্য।
অনেক শুভকামনা। +++

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩২

সোহানী বলেছেন: বার্লিনে রিক্সা নেই। ওল্ড অটো ডিসপ্লেতে দেখি রিক্সা ও রেখেছে তাই সুযোগ বুঝে ছবি তুলেছি। তবে দেশে থাকতে কিছু মাস একটা জার্মান ডোনার এজেন্সিতে কাজ করেছিলাম। সেখানের জার্মান কলিগরা খুব রিক্সা পন্দ করতো।

সত্যিই তাই, ছোটবেলায় এরকম সাপের খেলা, তাবিজ বিক্রি, দাঁতের মাজন বিক্রি, শ্রিপুরের ট্যাবলেট বিক্রি এর ক্যানভাসারদেরকে দেখা যেত পথে পথে। বাসায় বাসায় মধ্য দুপুরে হানা দিতো ওরা। সেই সব দিন ছিল অন্যরকম।

আপনাকে স্যাম্পল না দেবার জন্য একরাশ দু:খ....হাহাহা ।

সত্যিই ওরা প্যাশন থেকেই করে। জীবন সম্পর্কে আমাদের আর ওদের অনুভূতি আলাদা। এটাকেই ওরা সন্মানের মনে করে। কারন ওরাতো ভিক্ষা করছে না, উপার্জন করছে।

আপনার সাথে আমিও পুরোন স্মৃতিতে ডুবে গেলাম। অনেক ভালো থাকেন হাসান ভাই।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৩

কানিজ রিনা বলেছেন: অসাধারন, দেশ বিদেশের ফকির নিয়ে
উপস্থপন করেছ। আন্তরিক অভিনন্দন ও
ভালবাসা রইল।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৪৯

সোহানী বলেছেন: রিনা আপু, ওদেরকে আসলে ফকির বলতে আমি রাজি না। ওটাই কিন্তু ওদের পেশা। আমাদের দেশের মতো ফকির মনে হয় কোথাও তেমন পাওয়া যায় না। নেক্সট লিখায় আসল ফকিরদেরকে নিয়ে আসবো।....

অনেক ভালো থাকেন আপু। আপনি আমার ফেইসবুক লিংক চেয়েছিলেন, আমি কিন্তু দিয়েছিলাম। অামাকে কি লিংক করতে পেরেছিলেন?

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পোস্টটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। মানুষের জীবনে কত ধরনের দুঃখ থাকে, অন্যে জানে না। কোন্‌ অবস্থায় পড়লে একজন মানুষ অন্যের কাছে হাত পাততে পারে, সেটা ভাবলে খুব খারাপ লাগে। এদের অবস্থাও নিশ্চয়ই ঐরকম কিছু হয়ে থাকবে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৫৫

সোহানী বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, আসলে ওরা ইচ্ছে করেই এমন করে। ওটাই ওদের নেশা ও পেশা। অথচ তারা যদি টাকা আয় করতে চাইতো তাহলে অনেক পথই কিন্তু খোলা অথচ সে পথে না যেয়ে এ কাজ করে বেড়ায়। আমার কাছে যেটা মনে হয় ওরা গভ: সাহায্যের উপরেই বেশী নির্ভর করে কারন এ সামান্য টাকা দিয়ে কিভাবে জীবন চালায়.... অসম্ভব।

অনেক ভালো থাকেন প্রিয় লেখক। আর জ্ঞান যখন ফিরে এসেছে তখন আমার মন্তব্যের উত্তর ও নিশ্চয় দিয়েছেন । :P

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮

জুন বলেছেন: সোহানী সত্যি আপনার মত আমিও ভাবি এত কম পয়সা এরা রোজগার করে সারাদিন ধরে । পরে শুনেছি এরা পকেটে তুলে রাখে অথবা তাদের সহযোগী কারো হাতে তুলে দেয় যাতে কেউ তা ছিনিয়ে নিতে না পারে । আমি প্রথম দেখি রোমের টারমিনিতে , ভেনিসের সান মার্কো প্লাজায় । সান মার্কোতে তো আমার পাশে রাখা কোকের ক্যানটা চোখের পলকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল এক মাদকাসক্ত কিশোর । ওরা এইসব অন্ধ ভিক্ষুকের পয়সাও ছিনিয়ে নেয় ।
থাইল্যান্ডেও এই টাইপের ভিক্ষুক দেখি , এরা বিশেষ করে মায়ানমার থেকে আসা ।
থাইদের ভাষায় এরা অলস কাজ করতে চায় না । তাই তারা খুব কম এদের সাহায্য করে ।
কিন্ত গায়ক বা অন্ধ ভিক্ষুকদের ওরা পানি, কোল্ড ড্রিংক্স বা খাবার কিনে দেয়, টাকা দেয় ।
ছবিগুলো খুব ভালোলাগলো সাথে সাবলীল বর্ননা ।
+

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:০৪

সোহানী বলেছেন: আপু, আপনার সাথে যা ঘটেছে এটা সত্যিকারের ভিক্ষুক বা ছেছড়া ছিনতাইকারীরাই করেছে। কিন্তু এরা আসলে ভিক্ষুক নয় মোটেও। তেমন অপরাধের সাথে জড়িত বলে শুনিনি। তবে খুব ব্যাস্ত সময় ও আমি ওদের পাশে যেয়ে দেখেছি তেমন কেউই কিছু দেয় না।

আর ভিক্ষুকের কথা কি বলবো.... নেক্সট লিখায় ওদের কথা বলবাে । মায়ানমার থেকে আসা ভিক্ষুকই নয় সব ভিক্ষুকই অলস। মাঝে মাঝে আমি যেচে ওদের সাথে কথা বলি। এখানেতো আমাদের দেশের মতো নয়, অনেক সরকারী সাহায্য। জানতে চাই কেন সরকারী সাহায্য থাকতে ওরা এমন করে। সে উত্তর নিয়েই আসবো পরের লিখায়।

অনেকে ভালো থাকেন আপু।

৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছবিগুলো চমৎকার, তবে কোন স্ট্যাচুটা কার জানালে ভালো লাগতো।
আপনি উকি দিলেও এদের আসল ইনকাম দেখতে পারবেন না। সামনে অল্পকিছু রাখে, বাকীটা পকেটে চলে যায়।

আমার রোমে তোলা নকল আখেনাটেন ( :P ) এর স্ট্যাচু, পিছনে নকল স্ফিংস।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১০

সোহানী বলেছেন: আপনার এ ছবিটা সত্যিই দারুন। এটাতো কোনভাবেই জীবন্ত মনে হচ্ছে না। তবে সত্যিই এদের আয় তেমন নেই, কাউকে তেমন কিছু দিতে দেখি না।

আপনার অসাধারন সব লিখাই কিন্তু পড়ি কিন্তু মন্তব্য করা হয় না কিছুতেই। যাক্ এখন কি অবস্থা সামু/সামিয়া নিয়ে এখনো কি সংসারে আগুন লেগে আছে!!!!!!!!!!

৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪১

ফেনা বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৯

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু খুব ভালো লাগলো আজকের পোস্টটি। বার্লিনের জীবন্ত স্ট্যাচু পড়ে দুটি কথা মনে পড়ল। আমাদের এখানে চৈত্রসংক্রান্তিতে গাজনের মেলা উপলক্ষে অনেকে বহুরূপী সাজে; গায়ে ছাই মেখে , ফলস চুল মাথায় দিয়ে এবং বাঘের চামড়া পড়ে চৈত্র মাসের শেষে নিজেদেরকে শিব ঠাকুর সাজে ভিক্ষা করা।
আর একবার বিশ্বভারতী সুপার ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে হাওড়ায় ফিরছিলাম। বোলপুর থেকে ট্রেন ছাড়ার পরই ট্রেনে উঠে একজন ভিখারিকে খালি গলায় একতারা বাজিয়ে যে বাউল গান পরিবেশন করতে শুনেছিলাম সেটি যেন আজও আমার কানে লেগে আছে। অসম্ভব মেলোডি লেগেছিল সেদিনের সেই গানটি। কয়েক বছর আগে সেই বাউল গানের টানে অজয়ের তীরে জয়দেবের মেলায় গিয়ে বাউল গান শুনেছিলাম কিন্তু ট্রেনের সেই বাউল গানের সুর জয়দেবের মেলায় খুঁজে পাইনি।
আপনার সুন্দর পোস্টে মুগ্ধতা ++

বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৭

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিক ভাই চমৎকার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

আমি প্রথম সত্যজিদের মুভিতে এ ধরনের সাজ দেখেছিলাম শিব, রাবন বা রাম সীতা সেজেঁ ভিক্ষা করতে। বাস্তবে অবশ্য দেখেনি এদের। তবে এ ধরনের ভিখিরির গান শুনেছিলাম পথে ঘাটে অনেকবার এবং আপনার মতো বলতেই হয় সে রকম দড়াজ গলা শুনিনি অনেকদিন। আসলে পরিবেশ একটা বড় ব্যাপার। একই গান স্টেজে বসে শুনলে যেমন ফিল করি ঠিক সেই গান পথে শুনলে সম্পূর্ন ভিন্ন মনে হয়।

আমাদের এখানেও কিন্তু বাউল মেলা হয় লালনের আখড়ায়। সেখানেও দারুন কিছু হয়।

অনেক ভালো থাকেন প্রিয় ব্লগার।

১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
বেশ উপভোগ্য।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৭

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব ভাই

১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: হয় ব্যবসা , নাহয় বোহেমিয়ান লাইফের আকর্ষণেই এমন করে বলে মনে হয়। আবার অনেকে সাংসারিক জীবনের ভয়ে এমন বাউলা সাজে । আমাদের দেশের বাউলরাও এমন ধরণের কিনা কে জানে।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২২

সোহানী বলেছেন: আমাদের দেশের বাউল কিন্তু একটা নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারী। তাদের নিজস্ব আচার আচরন আছে যা সম্পূর্ন ভিন্ন আমাদের থেকে। তবে এদের কথা বলতে পারি ব্যবসা , নাহয় বোহেমিয়ান লাইফের আকর্ষণেই এমন করে কারন এদের ভিক্ষাবৃত্তিই মূখ্য নয়। তবে এ বোহেমিয়ান লাইফে সাংসারিক জীবনের ভয়ে নাকি মাথায় ভুত চাপে বলে তা অবশ্য জানি না.............

১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: জীবন যেখানে যেমন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৩

সোহানী বলেছেন: সত্যিই জীবন যেখানে যেমন।

১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭

অন্তরা রহমান বলেছেন: ঐ দিন এইসব স্ট্যাচু-ম্যানদের কাজকারবার নিয়ে বানানো মজাদার ভিডিও দেখেছিলাম ফেসবুকে। আজকে আপনার পোস্টটা মন খারাপ করে দিল। আহারে জীবন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৫

সোহানী বলেছেন: জীবনটা সত্যিই ভিন্ন সেটা স্থান কাল ভেদে। তবে মন খারাপ করার কিছু নেই আপু এ জীবনকে ওরা আনন্দ ভরেই নিয়েছে। আমাদের দেশের মতো কিছুই চাপানো হয়না পশ্চিমা বিশ্বে অন্তত।

অনেক ভালো থাকেন।

১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আপুনি;
খুব চমৎকারভাবে ইউরোপ-আমেরিকার ভিক্ষাবৃত্তিকে উপস্থাপন করলেন। বাংলাদেশ থেকে এসব দেশে বেড়াতে গেলে সবারই প্রথম প্রথম এমনটা হয়। আর হবেই বা না কেন? আমরা তো ভিক্ষুক নাম শুনলেই ময়লা কাপড়, হাড় জিরজিরে চেহারা ভাঙা বাটি এগুলো কল্পনা করি। তাই বলে স্যুটেড বুটেড ভিক্ষু!! নো ওয়ে.............

হুম, আমিও লন্ডনের রাস্তায় এমন ভিক্ষাবৃত্তি দেখি চমকে গিয়েছিলাম। আসলে এসব দেশে ভিক্ষা করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। কারণ অতি দরিদ্র পরিবারের জন্য সরকার বিভিন্ন প্রটেকশনের ব্যবস্থা করে। থাকা, খাওয়ার পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা করা। বাচ্চাদের জন্য ফ্রি শিক্ষার ব্যবস্থা করে। তারপরও এই পেশাটার লোভ সামলাতে না পারায় ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে, অর্থা মানুষকে বিনোেদিত করে ভিক্ষা চায়। তবে অনেককে দেখেছি শুধু শখের বসে মানুষকে বিনোদন দিতে ফুটপাতে গান গায়।

লন্ডনের Covent Garden, Oxford Street, Regent Street, Marbel Arch, Picadilly Circus, Leicester Square, Soho, China Town, Tower Bridge, London Eye, Parliament Square, Stratford etc......... এজন্য বিখ্যাত। আমার সবচেয়ে ভাল লাগতো মধ্য আমেরিকান অর্থা মেক্সিকান/ কলম্বিয়ান/পেরু street music. এদের ড্রেসআপ, লম্বা বাঁশির সুর আর ডান্স আমার খুব প্রিয়। প্রতিদিন কাজে আসা যাওয়ার পথে শুনতাম। আর একটি পাউন্ড কয়েন গিফট করতাম।

আপু, পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:০৭

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই! প্রথমবার দেশের বাইরে বিশেষ করে ইউরোপ কান্ট্রিতে ভিজিটে গেলে অনেক কিছুতো ধাক্কা খেতে হয়। তারপর অবশ্য কিছুদিন পর নিজের দেশে এসে তুলনাকরে আবার ধাক্কা.........হাহাহাহা। প্রথমবার নতুন কিছু দেখার ধাক্কা আর পরেরবার দেশে সেসব কিছু না থাকার ধাক্কা।

ব্রিটনে ভিক্ষা করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ!!! জানতাম না। এখানে অবশ্য অপরাধ নয় তবে কেউই ভালো চোখে দেখে না। তবে যারা এ ধরনের পেশায় আছে তাদের প্রতি খুব সন্মান। কালই ট্রেনে দু'টো ছেলে ইলেকট্রিক ভায়োলিন বাজাচ্ছিল। একবারে লিন্ডসের সেই মনকাড়া মিউজিক। ২/৩ মিনিট পরে যখন হাতপাতলো তখন দেখি এমন কেউই বাকি নেই যে সাহায্য করেনি।

আপনার লন্ডনের অভিজ্ঞতা খুব ভালো লাগলো। আর বাশিঁ বা নাচ অবশ্যই দারুন কিছু। এখানে ডেন্স এ পর্যন্ত দেখিনি। তবে লাস্টা এরকম একটা স্ট্রিট ফেস্টিভালে দেখেছিলাম। ছবি শেয়ার করবো বাসায় যেয়ে। ততক্ষন পর্যন্ত অপেক্ষা....

অনেক অনেক ভালো থাকেন প্রিয় লেখক।

১৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বলেছেন: মাস্টারপিস রাইটিং বাই মাস্টারমাইন্ড রাইটার্স...

ইউরোপে ভিক্ষা বৃওি আইনত নিষিদ্ধ বাংলাদেশেও নাকি ইদানীং তা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে কতটুকু সত্যি মিথ্যা তা জানি না।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৩৮

সোহানী বলেছেন: ল ভাই পুরোপুরি ভয় পেয়েছি।

ইউরোপে ভিক্ষা বৃওি আইনত নিষিদ্ধ কি না জানি না তবে দেশে কখনই এটি বন্ধ হবে না। বরং আরো বাড়বে বলেই ধারনা।

অনেক অনেক ভালো থাকেন ল ভাই।

১৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: এটা আসলে ভিক্ষাবৃত্তি নয় এটা হচ্ছে মানুষকে মনোরঞ্জনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন। গিটার বাজিয়ে গান গাইতে বেশীরভাগ সময় অন্ধদের দেখা যায়।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

সোহানী বলেছেন: হুম সেটাই। এটা ও একটি পেশা।

ভালো থাকুন ঢাবিয়ান।

১৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৬

সুমন কর বলেছেন: আর আমাদের দেশে ভিক্ষাবৃত্তি মানে ফাঁকি দেয়া। তারা এক রোডে কয়েকমাস বাসে বাসে (গাড়ি) একই কথা বলে আবার কিছুদিন পর রোড/জায়গা পরিবর্তন করে সেই একই কথা বলে দাপ্পাবাজি দেয়। আর ওদের তো বিশাল সিন্ডিকেট।

আপনার বর্ণনায় যাদের কথা উঠে এসেছে তাদের জন্য একটু হলেও খারাপ লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। গুড পোস্ট। +।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০১

সোহানী বলেছেন: দেশেতো ওদেরই রাজত্ব...। পথে ঘাটে বাস ট্রেন তাদেরই বাস শুধু। কি করবেন বলেন দেশের কোন কাজ নেই। আর যা কাজ আছে তাতে আয় নেই। এ ভিক্ষা পেশাই সবচেয়ে লাভজনক।

আর বিদেশে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সরকার ওদের পিছনে মিলিয়ন ডলার ব্যায় করে কিন্তু তারপরও এ পেশায় যাবে।

অনেক ভালো থাকেন সুমন ভাই।

১৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

আরোগ্য বলেছেন: শাহরুখ খানের জাব তাক হে জান ছবির কথা মনে পরে গেল।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০২

সোহানী বলেছেন: ছবিটাতো দেখেছিলাম কিন্তু এমন কি কোন সিন ছিল?

১৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:০৫

নাসির ইয়ামান বলেছেন: আমার মনে হয়,পেশাদারদের থালায় পয়সা বেশিই পড়ে,কিন্তু ওরা উঠিয়ে নিয়ে,ডিসপ্লে করে কেবল অল্প ক'টা পয়সা!

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৩

সোহানী বলেছেন: হলে হতে ও পারে। কিন্তু আমি যতক্ষন ছিলাম তেমন কিছু দেখিনি।

২০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০১

জুন বলেছেন: সোহানী সান মার্কো প্লাজার কিশোরকে আমি ভিক্ষুক বলিনি, বলেছি এমন মাদকাসক্ত ছিনতাইকারীর হাত থেকে রক্ষা পেতে গায়ক ভিক্ষুকরা হয়তো তাদের টাকা লুকিয়ে রাখে । কারন আমি দেখেছি বিশেষ করে যারা অন্ধ তাদের কাচ বা প্লাস্টিকের বাক্সগুলো ছোট বড় নোটে ভরা থাকে। হয়তো এমনও হতে পারে ওইসব গায়ক ভিক্ষুকদের মানুষ শারিরীকভাবে সামর্থবান মনে করে তেমন সাহায্য করে না।
আপনার আগামী লেখার অপেক্ষায় সোহানী। ভালো থাকুন অনেক অনেক সাথে সকালের শুভেচ্ছা :)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৫

সোহানী বলেছেন: ওওওওওও সরি পাখি মা জুনাপু উত্তরটা আংশিক হয়েছে। এমন তাড়াহুড়া করে উত্তর দেই যে ভাবতে ভাবতেই লিখা হয় না।

আপু, দেশের এসব নিউজ শুনে মনটা এতো ভারী হয়ে থাকে যে নিজের আনন্দের কিছু লিখতে ইচ্ছে করে না। কারন আমি আনন্দজনক কিছু ণিখতেই পছন্দ করি।

অনেক অনেক ভালো থাকেন।

২১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩১

আফসানা মারিয়া বলেছেন: ভিক্ষাবৃত্তি হয়তোবা সবজায়গায় ব্যাবসা।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৫

সোহানী বলেছেন: অবশ্যই এটা লাভজনক ব্যবসা..........

২২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ছবিগুলো তুলতে আপনার বেশ কিছু পয়সা নিশ্চয় খরচ হয়ে গেল? তবে সুন্দর একটি বিষয় জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৪

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা....... এটা ভালো বলেছেন। তবেসেবারের ট্যুরে সাথে ছোটভাই ছিল যে ইর্ন্টান্যাশানাল জব করে সেখানে। তাই পকেট ফাঁকা হয়েছে তার.........। আর আমি আসলে গেছিলাম সরকারী ট্যুরে তাই বুঝেনইতো সরকারী টিএ ডিএ :P

২৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

ডার্ক ম্যান বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৪

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ডার্ক ম্যান ভাই।

২৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পাশ্চাত্তের সখের ভিক্ষাবৃত্তির সুন্দর একটি সচিত্র বর্ণনা দিয়েছেন । ভিক্ষা হতে এদের আয় কত তা সহজে বুঝা যায়না । কিছুদিন আগে ইউকের এক ভিক্ষুকের আয় সম্পর্কে ডেইলী টেলিগ্রাফে একটি নিউজ দেখেছিলাম । কৌতুহলের বশে সে তথ্যটি আমার ডাটা ব্যাংকে সংগ্রহ করে রেখেছিলাম । নীচ তুলে দিলাম । সেখান হতে দেখা যেতে পারে এদের কারো কারো আয়ের পরিমান কত হতে পারে ।
An illegal street beggar in one British city is earning up to £500 a day despite not being homeless, it has been disclosed.The unnamed man has been targeting shoppers and commuters in Wolverhampton, where he been making the equivalent of £2,500 a week, senior councillor discloses. His takings would amount to a pre-tax annual income of around £130,000 - only £12,000 less than Prime Minister David Cameron's yearly wage.
Source : The Daily Telegraph
l
দেশে দেশে ভিক্ষা করার কত যে রকম ফের রয়েছে তার কোন সীমা পরিসীমা নাই । কেও ভিক্ষা করে নিতান্তই পেটের দায়ে (বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে) কেও করে সখের বশে আর কেহবা করে পরের তরে যথা street fund raising , তবে এটা অবশ্য লিটারেলী ভিক্ষার পর্যাায়ে পরেনা । আর এধরনের রাস্তায় দাড়িয়ে পয়সা তুলার কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে স্কুল কলেজ ভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীগন হাতে বাকেট নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে থেকে কাওকে কোন রকম প্ররোচিত বা বিরক্ত না করে পয়সা সংগ্রহ করে ।
Bucket collecting for Plan International UK at Liverpool Street Station

অবশ্য এরকম street fund raising এর জন্য তাদেরকে অনেক কড়াকড়ি নিয়মের ভিতর থাকতে হয় । সংগৃহীত সকল অর্থই যে মহত উদ্দেশে তুলা হয়েছে সে কা্জেই ব্যয় হয় । তবে কথা হলো বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই তৃতীয় বিশ্বের কোন না কোন দেশের অবহেলিত জনগুষ্ঠিরি সাহায্য সহযোগীতার জন্য কোন না কোন দেশীয় এনজিও (NGO)এর কাছে সে অর্থ প্রেরিত হয়। সেখানে দেখা যায় এনজিওর কর্নধারেরা সে অর্থের সিংহ ভাগ দিয়ে দামী গাড়ী কিনে বেশ আরাম আয়েশের জীবন যাপন করে। বৃষ্টিতে ভিজে , হীম শীতল বরফ ঠান্ডায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে খেকে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের সংগৃহীত পয়সা অমনতরভাবে কারো কারো দ্বারা বিলাসী কাজে ব্যয় হতে দেখে সত্যিই প্রাণে বাজে ।

দেশে দেশে ভিক্ষাবৃত্তির আরো একটি বড় ধরণ রয়েছে । বড় বড় রবজনীতিবিদ ,এমনকি রাষ্ট্র নায়কেরা জনগনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কর যোরে হাত পেতে ভোট ভিক্ষা চায় । ভিক্ষা চাওয়া ভোট পfওয়ার পরে তা দিয়ে শত শত কোটি টাকা সম্পদের পাহার গড়ে । এখন বুজুন ভিক্ষা হতে আয় কত হতে পারে ।

ধন্যাবাদ ভাল একটি বিষয়ের উপর পোষ্ট দানের জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল



১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:০৪

সোহানী বলেছেন: হায় হায় এইটা কি বললেন!!! এতাে পড়াশুনা করে কি হবে জীবনে!!!!! এরচেয়ে যদি ভিক্ষুকই বেশী উপার্জন করে .. :P

আলীভাই, এমন কিছু রিপোর্ট দেখেছিলাম ভারতের যাদের মৃত্যুুর পর দেখা গেল লাখ লাখ টাকা বিছানার তলে। সেখানে ইউকে এর ভিক্ষুকতো পাউন্ডে পায় বেতন....হাহাহাহাহা

আমি কিন্তু এ ধরনের গায়কদের কিছুতেই ভিক্ষুক বলতে নাড়াজ। ওরা কিছু করার চেস্টা করে ভিক্ষায় চায় আমাদের মতো বা ভারতের মতো না। তবে এর ব্যাতিক্রম ও আছে এখানে। পুরোপুরি ভিক্ষুক, যাদেরকে প্রায় দেখা যায় সাবওয়েতে ঢুকতে। তবে ইদানিং কিছু এ্যারাবিয়ান মহিলাকে বোরকা পরিহিত দেখছি যাদেরকে আগে দেখিনি।

প্রিয় আলী ভাই, দেশে দীর্ঘদিন এনজিও সেক্টরে কাজ করেছি মাঠ পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায়ে। ভীতরের হাড়ির খবর সবই জানি। বিশ্বাস করেন এসব যদি এ সব কচি কচি বাচ্চাগুলো যারা রাস্তায় দাড়িঁয়ে শীত গ্রীষ্ম বরফ উপেক্ষা করে ফান্ড কালেকশান করে তারা জনতো তাহলে কি কষ্টটাই না পেত। অনেক কিছুই শেয়ার করতে ইচ্ছে করে কিন্তু সময়ের এতো অভাব যে পারি না লিখতে।

আর রাজনৈতিক ভিক্ষার কথা বললেতো শেষ হবে না। আসবো সেসব কিছু নিয়ে নিশ্চয়।

চমৎকার মন্তব্য ও নিজস্ব গতির ইনফরমেশান মানেই আলী ভাই ;)

আশা করি শরীর ভালো আছে এবং শীতও যাই যাই করছে আপনার এখানে তাই না!..........

২৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১৭

মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার সব ছবি আপু !!
অনেক কিছু ই জানলাম, যেখানে শিল্প আর ভিক্ষাবৃত্তি মিলেমিশে একাকার।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:০৬

সোহানী বলেছেন: ঠিক বলেছ মনিরা, শিল্প আর ভিক্ষাবৃত্তি এ চমৎকার মিলন সত্যিই ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা।

অনেক ভালো থাকো্।

২৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,



যুগে যুগে ভিক্ষাবৃত্তি পালটে পালটে গেছে। এদেশে বৌদ্ধ শ্রমন মনে হয় এখন দেখা যায় না। বোষ্টম-বোষ্টমীদের একতারার সুর আজকাল দূরায়ত। লঞ্চে-বাসে-ট্রেনে এখন আর গান গেয়ে পণ্য বিক্রি হয়না। হয়, ইনিয়ে বিনিয়ে আল্লাহর নাম ভাঙিয়ে ধর্মপ্রান মানুষদের পকেট ভাঙানো।
এটাই এখন এদেশের দস্তুর।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:১১

সোহানী বলেছেন: কারন ধর্মটা আগে ছিল বিশ্বাস আর এখন ব্যবসা।

আমার মনে আছে ছোটবেলায় নানু প্রতিদিন ভাত রান্নার সময় এক মুঠো চাল উঠিয়ে রাখতো। এবং সপ্তাহের শেষে এতিমখানা থেকে বাচ্চারা এসে নিয়ে যেত। কক্সবাজারে দেখেছিলাম বৈাদ্ধ ভিক্ষুরা দল বেধেঁ বাড়ি বাড়ি ঘুরতো। আর বোষ্টম-বোষ্টমীদের একতারার সুর ছিল পথে ঘাটে বা মেলায়। পণ্যের পসরা সাজিঁয়ে গান গেয়ে ক্রেতা আকৃষ্ট করতে মনে হয় ক'দিন আগেও দেখেছি...... আর এখন!!! সর্টকাট এ বড়লোক হবার ধান্ধায় ধর্ম কিংবা সন্ত্রাস.... একটা বেছে নিলেই হলো।

অনেক ভালো থাকেন প্রিয় লেখক।

২৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২৪

আখেনাটেন বলেছেন: কত বিচিত্র মানুষের জীবন!!!


আপনার এই ধরণের লেখাগুলো বেশ টাচি হয়। করুণরসটুকু বেশ উপভোগ্য।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:১২

সোহানী বলেছেন: আপনার লিখার আমি কঠিন ভক্ত। আমার লিখাতো যেমন তেমন।

অনেক ভালো থাকেন নাট ভাই।

২৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: গত ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ তারিখে প্রকাশিত আমার পথের পাঁচালি শীর্ষক পোস্ট পড়ে আপনি মন্তব্য করতে গিয়ে এক জায়গায় বলেছিলেন, "ওকে নেক্সট ওদের ছবি নিয়ে একটা পোস্ট দিবো আশা করি।" এ পোস্টটা মনে হয় সে ইচ্ছে থেকেই লেখা হয়েছে। পোস্টের ধারা বর্ণনা এবং ছবি- সবই ভাল হয়েছে। +
"যা পায় তাই দিয়েই চলতে থাকে ওদের জীবন" - আসলে ওরা মনে হয় খুব অল্পতেই তুষ্ট থাকে।
প্রথম তিনটে মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য ভাল লেগেছে। জুন এর মন্তব্যের মাধ্যমে দয়াময় থাইবাসীদের দান খয়রাতের কথা জেনে ভাল লাগলো। পদাতিক চৌধুরি এর ট্রেনে বাউল গান শোনার অভিজ্ঞতার কথা পড়ে আমাও নিজেরও অনুরূপ অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল। কাওসার চৌধুরী, ডঃ এম এ আলী, আহমেদ জীএস, প্রমুখের মন্তব্যও খুব ভাল লাগলো, সেই সাথে আপনার প্রতিমন্তব্যও। সবাইকে ধন্যবাদ ও বৈশাখী শুভেচ্ছা!!!!

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ২:২০

সোহানী বলেছেন: উপস!!! লিখায় এটি যোগ করতে একেবারেই ভুলে গেছি। সত্যিই আপনার লিখার অনুপ্রেরনায়ই আমার এ লিখা। আসলে একটা লিখা আমি বড়জোড় ১০ মিনিটে শেষ করি। আর ছবি যোগ করতে হলেতো আরো কম সময় দেই। কারন ওটা ফাকিঁবাজি পোস্ট। যাহোক এটা এড করছি...........

আমি যা দেখেছি, আমরা এশিয়ান লোকজনই বেশী সম্পদ, ভবিষ্যত এসব নিয়ে যত না মাথা ঘামায় পশ্চিমাদেরকে সে নিয়ে অতটা ভাবতে দেখিনি। ওরা শুধু ভেকেশান নিয়েই মেতে থাকে। জীবন উপভোগই ওদের কাছে প্রধান। তাই ওদের যা ভালোলাগে তা নিয়েই ছুটে।

যাদের কথা বললেন ওরা হলো ব্লগের প্রান। ওদের মন্তব্য যেকোন লিখার সম্পদ।

এ মূহুর্তে জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি। তাই ব্লগে ঢোকা হয় না। আজ অফিসে বসেই উকিঁ দিলাম। অনেক ভালো থাকেন প্রিয় লেখক।

২৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার পথের জীবনগাথা :)

তোমার বাবু কয়টা?

২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:২১

সোহানী বলেছেন: শত.............

ধন্যবাদ আর্কু........

৩০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: তাও ভাল এরা গান গায়, স্ট্যাচু সাজে... অন্তত কোনভাবে মানুষকে বিনোদন দেয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের দেশের ভিক্ষুকরাতো কিছু না করেই শুধু পয়সা খুজে যায়।

০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:১৯

সোহানী বলেছেন: সেটাইতো বলছি রে ভাই। দেশের ভিক্ষুকরা পেশাদার ভিক্ষুক, ওটাই তাদের পেশা নেশা। ওটা করার জন্য যত ধরনের খারাপ কিছু করা যায় তাই তারা করে।

৩১| ০২ রা মে, ২০১৯ রাত ৮:৩২

মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: অনেক দিন পরে ব্লগে আসতে পারলাম। বরাবরের মতই সুন্দর আপনার লেখা সোহানী

০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:২০

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। অাপনাদের অনুপ্রেরণায় আমার এ পথ চলা।

৩২| ২৫ শে মে, ২০১৯ রাত ২:৫২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমরা উইন্টার ড্রেস পরেই বের হয়েছিলাম। কিন্তু দেখুন ওদের পড়নে তেমন কোন গরম কাপড় নেই।
আসলে আমার কাছে মনে হয়েছে অদ্ভুত খেয়াল থেকেও পেটের তাড়না ও বিশাল ফ্যাক্টর।

..........................................................................................................................
আমার কাছে মনে হলো, এটাই তাদের যথাযথ ড্রেস এবং ম্যানার, কারন ঠান্ডার মধ্যেও তাদের এই কাজটি
কোন সমস্যা নয় ।শুধু ভিক্ষাবৃত্তি কোন দেশেই কাম্য নয়, তাই কিছু একটা কর্মের বিনিময়ে
অর্থ প্রাপ্তির চেষ্টা । লক্ষ্যনীয় যে , আমাদের দেশের মতো, শরীর ছুঁয়ে হাত পাতবে না বা চিৎকার
চেচাঁমেচি করে বিরক্তি ঘটাবে না । আমার যতদূর মনে পড়ে আমি সিঙ্গাপুরে কোন ভিক্ষাবৃত্তি দেখি নাই,
তবে ব্যাংককে একটু আধটু আছে ।ধন্যাবাদ ভাল একটি বিষয়ের উপর লেখার জন্য ।
.................................................................................................................................

২৫ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:২৩

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল। আসলে দেশ কাল সমাজের ভিন্নতায় পেশায়ও আসে ভিন্নতা। আমাদের দেশে যা খুব সহজ অন্যখানে তা সম্ভব নয়। যেমন, আমার ইউনিভার্সিটি ক্লাসের ঠিক পাশে একটা ভিক্ষুক প্রতিদিন বসে থাকে। একদিন ক্লাস থেকে বের হয়ে দেখি আমার এক ক্লাসমেট তার সাথে বসে আরামসে কফি খাচ্ছে। আমি একটু ধাক্কার মতো খেলেও পরেই মনে হলো এটাতো ক্যানাডা........

ছবিটা কিন্তু অসাধারন........।

অনেক ভালো থাকেন।

৩৩| ২৬ শে জুন, ২০১৯ রাত ৩:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কানাডায় জীবন এখন কেমন চলছে?
শীত কেটে গরম হাওয়া এখন বইছে
ঘরের বাইরে ২৪ ডিগ্রী তাপমাত্রায়
বাগানে নিশচয়ই সুন্দর ফুল ফুটছে,
ফুল গুলিতো দেখানোর কথা ছিল ,
সেসব কি এ গরমে ঝড়েই গেল?
প্রায় তো বছর পার হল, নতুন পোষ্ট
কোথায় গেল , জীবনতো এমন
হওয়ার কথা নয়- নাকি যাচ্ছে
বিবিধ প্রকারের ব্যস্ত সময়?

শুভেচ্ছা রইল

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

সোহানী বলেছেন: প্রিয় আলী ভাই ই একমাত্র আমার খোঁজ নিয়েছেন। অনেকদিন পর সামুতে ঢুকে তারপর আপনার নোটিফিকেশান দেখে খুব ভালো লাগছে। আপনি কেমন আছেন? এখন শরীর কেমন?

এবারের সামার এমন আলসেভাবে আসছে যে বলার নয়। শীত কিছুতেই যেতে চাচ্ছে না। একটু সূর্যের দেখা মিললে আবার শুরু হয় বৃষ্টি। যাহোক এ সাপ্তাহ ভালো ওয়েদার। তাই যত সামারের প্লান প্রোগ্রাম তা শেষ করতে চাচ্ছি।

ব্যাক্তিগত বেশ ঝামেলার কারনে বাগানে মনোযোগ দিতে পারিনি। তারপরও কিছু গাছ লাগিয়েছি কিন্তু ওই যে ওয়েদার খুব খারাপ তাই ফল ফুল কিছুরেই দেখা নেই।

নতুন পোস্ট মাথায় সারাক্ষন ঘুরে কিন্তু সামু এই আছে এই নেই সাথে সময়ের টানাটানিতে দুটোর ম্যাচিং খুবই সমস্যা।

আপনার কি কোন ফেইসবুক এড্রেস আছে তাহলে Click This Link এতে যোগ দিবেন। সামুও ফেইসবুক গ্রুপ।

অনেক অনেক ভালো থাকেন। জীবনের খুব ইচ্ছে কখনো আপনাদের সাথে দেখা করবো।

৩৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৪৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আর.. সোহানী যে!!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

সোহানী বলেছেন: কেন কি হইছে!!!!!!!!!!!!!!!

৩৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৪৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আর.. হইবে :D

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯

সোহানী বলেছেন: কি হইবে? কেন হইবে?

৩৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৫০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ধুর !! আরে হইবে X((

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৪০

সোহানী বলেছেন: কেন কেন কেন??????????????

৩৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৪২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এতদিন পরে তোমাকে অনলাইনে দেখে প্রতিক্রিয়া :)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩১

সোহানী বলেছেন: অঅঅঅ…….. বহুত ঝামেলার মাঝে আছি। জীবন বাচাঁনো ফরজ কাজ তাই ব্লগে ঢুকা হয় না। জীবন বাঁচলে আবার শুরু করবো….।

৩৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: আপনার লেখার হাত তো ভীষন সাবলীল। কম লেখেন কেন? আপনার উল্লেখিত ভিক্ষাবৃত্তির রকমফের দেখার কিছু অভিজ্ঞতা আমারো হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়, তবে কি জানেন এগুলোর মানে আমার দেখা গুলো যতটা না ভিক্ষাবৃত্তি মনে হয়েছে তার থেকে অনেক বেশী মনে হয়েছে আর্ট।

ভালো থাকুন বোন।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১০

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শের ভাই।

ব্যাস্ততা। দেশে থাকতে এক ধরনের ব্যাস্ততা ছিল। তারপরও কিছু হলেও সময় বের করা যেত কিন্তু দেশের বাইরের ব্যাস্ততা অন্যরকম। প্রতি মিনিট গুনে ব্যাস্ততা। একটা কাজ মিস করলে আরেকটায় সময় টান পড়ে। তাই অফিসে যেদিন ড্রাইভ করে যাইনা ট্রেনে যাই সেদিন যেতে যেতে ব্লগ লিখি বা পড়ি।

হাঁ, পশ্চিমা বিশ্বে ভিক্ষাবৃত্তি সত্যিই একটি আর্ট। আপনার কোন গুন না থাকলে এ পেশায় যেতে পারবেন না। তবে আমার কাছে এদেরকে খুব বোকা মনে হতো এক সময়। তারপর একজনকে জিজ্ঞাসা করার পর সে চমৎকার উত্তর দিয়েছিল। বলেছিল, তুমি কখনই আমাদের ফিলিং বুঝবে না। আমরা নিজের মনের জন্য ঘুরে বেড়াই পয়সার জন্য নয়। অনেক কষ্ট হয় তারপরও যে শান্তি পাই সেটা অনেক কিছু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.