নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পথের মাঝেই পথ হারানো এক ক্লান্ত পথিক আমি, জীবনপথের ঠিকানা হারিয়ে ছুটে বেড়াই দিক-বিদিক, ছুটতে ছুটতে আজ বড্ড ক্লান্ত !!!

বেঙ্গল রিপন

পথের মাঝেই পথ হারানো এক ক্লান্ত পথিক আমি জীবনপথের ঠিকানা হারিয়ে ছুটে বেড়াই দিক-বিদিক, ছুটতে ছুটতে আজ বড্ড ক্লান্ত !!!

বেঙ্গল রিপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি হবে বিজয় দিবস দিয়ে!?

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫০


বছর ঘুরে আবার এলো বিজয় দিবস। ছোট বেলায় দেখতাম, পাড়ার মোড়ে দোকানে ছোট ছোট পতাকা ঝুলছে।
মাইকে বাজছে বিজয়ের গান। বড় ভাইয়েরা দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছে আর আমরা
এক কোনায় দাড়িয়ে শুনছি তারা কি বলে।
সিঙ্গারা সমুচা পাওয়া যাবে-দাড়িয়ে থাকার সেটাও একটি উদ্দেশ্য ছিলো।

আজ বড় হয়ে গেছি। এখনও বছর ঘুরে ঘুরে আসে বিজয় দিবস।
৪৫ বছর পর আবার এসেছে ১৬ ডিসেম্বার।
আবারো প্রধানমন্ত্রী আর রাষ্ট্রপতি পুষ্প অর্পণ করবেন স্মৃতিশৌধে...
আবারও শীতের সকালে কম্বলের নীচ থেকে বের হতে চাইবে না শরীর।
আবারও লেখা হবে ৫০০০ কবিতা আর ৮০০০ গদ্য।
শহীদের কান্না আর বিজয়ের আনন্দের অশ্রুতে গাওয়া হবে আরো ২০০ গান।
২ লক্ষ চেয়ার টেবিল ভাড়া করে মঞ্চায়ীত হবে আরো ৪০০ সেমিনার।
আবারো ৬৫ বছরের বৃদ্ধ বুদ্ধিজীবি আর ২২ বছেরর তরুনের সমন্বয়ে যাত্রা করবে কিছু র‌্যালি।
আর ফুলে ফুলে ভ'রে উঠবে স্মৃতিশৌধ। ঝকঝকে প্লাজমা টিভির স্ক্রিনে শুরু হবে নাটক আর টেলিফিল্ম।
জুই, কেয়া, আর বসুন্ধরা গ্রুপের সৌজন্যে আমরা দেখবো বিজয়ের নাটক।
ঠিক যেমনটি দেখেছি গত বছর। তার আগের বছর। তারো আগের বছর।

কিসের জন্য এই উৎসব? কোথায় সেই বিজয়?
আমার ভাইয়ের রক্তের উপর যে সবুজ ঘাস জন্মেছে সে জন্য এই উৎসব?
নাকি কোন মুক্তিযোদ্ধা আজ রক্ত কাঁশতে কাঁশতে রিকশা চালাচ্ছে সেই উল্লাসে?
আহা! বড় কষ্ট লাগে যখন দেখি দরিদ্র, পঙ্গু, নুয়ে পড়া মুক্তিযোদ্ধারা ময়লা কুচকানো পাঞ্জাবী পড়ে
সেমিনারের প্রথম সারিতে বসে আছেন,
আর রাজদরবারের মত দশফুট উচু অশ্লীল মঞ্চে বসে আছেন কোন একজন মন্ত্রী!
শুকরের মত চর্বিযুক্ত মন্ত্রী নামক মাংসপিন্ডটা যখন তার লোমশ হাতে কোন হত-দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধার হাতে ক্রেষ্টতুলে দেন,
আর সেই দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধা বোকার মত হাসতে হাসতে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকেন,
তখন বিজয় দিবস শব্দটা আমার কাছে পৃথিবীর অশ্লীলতম শব্দ মনে হয়।
বোধ করি বীর শহীদরা তখন অট্টহাসীতে ফেটে পড়েন, কারন তাদের এই অশ্লীল অনুষ্ঠানের ভেতর দিয়ে যেতে হয়নি।

কে না জানে এই অশ্লীলতার উৎস! কে না জানে ১৭ ডিসেম্বারে আবারো রাস্তায় ভিক্ষারত দেখা যাবে সেই মুক্তিযোদ্ধাকে
যে ১৬ তারিখ বসে ছিলেন কোন এক সেমিনারের প্রথম সারিতে।
কে না জানে যে মন্ত্রীর অশ্লীল হাত ক্রেষ্ট তুলে দিয়েছিলো সেই হাতে স্বাক্ষরিত হবে কোন দৃর্ণীতির চুক্তি।
যে চুক্তিতে ধর্ষিত হবে দেশ বছরের পর বছর।

কে না জানে আজ যে নপুংশক কবিরা ৫০০০ কবিতার জন্ম দিবেন কাল তারা ২০ টাকা ঘুষ দিয়ে ট্রেনের টিকিট কিনবেন!
আর শুকরের মত ঘোৎ ঘোৎ করে বলবেন "শালার দেশে ঘুষ ছাড়া কিছু হয় না!"
কে না জানে আমাদের কবিরা কদম ফুল কল্পনা করেন শুধু বর্ষার প্রথম দিনে।
শরতের মেঘের তুলা না ভাসলে কাঁশফুলও যে দোলে না তাদের মনে!
এই অশ্লীল কবিরা তিন মাস লেখে আদিরসের কবিতা, দুমাস লেখে বর্ষার কবিতা।
আর চারমাস ব্যস্ত থাকে হস্ত মৈথুনে! হায় মুক্তিযুদ্ধ! হায় মুক্তিযোদ্ধা, হায় অভাগা শহীদ!
তোমাদের জন্য কবিরা দয়া করে বরাদ্দ করেছেন একটি দিন! ১৬ ডিসেম্বার!
অশ্লীল ৫০০০ হাজার কবিতায় ভ'রে উঠবে, পত্রিকা, দেয়াল আর ব্লগ!

খুব জানতে ইচ্ছে করে কলেজিয়েট স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্রটি বুকে গুলি খেয়ে মরে পড়েছিলো কোন জলাভূমিতে?
যে গুলিটি সে বুক দিয়ে ঠেকিয়েছে, মায়ের গায়ে লাগতে দেয়নি।
কেমন আছে সে! ভাই, তুমি কি দেখতে পাচ্ছো তোমাদের নিয়ে বিজয় দিবসে কতবড় নাটক মঞ্চায়িত হচ্ছে দেশে!
তোমাদের মা আজও ভাত খায় না কারন তুমি জেলে মৃত্যুর আগে ভাত খেতে চেয়েছিলে।
তোমাদের মা আজও মাটিতে শুযে ঘুমায়, কারন তুমি জেলে শক্ত মেঝেতে পড়েছিলে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত।
তোমার মা আজ ছেড়া স্যান্ডেল পড়ে সংয়ের মত বসে থাকে সেমিনারে। আর ভন্ডের দল বক্তৃতা দিয়ে যায়।

হায় মহান প্রভূ! আর কত অশ্লীল নাটক দেখতে হবে বিজয় দিবস নিয়ে! আর কত তামাশা!
কেন শুকরের মঞ্চ ভেঙ্গে পড়ে না! কেন নপুংসক কবিদের কবিতা ধুয়ে যায় না শহীদের রক্তে!
আর কত অশ্লীল নৃত্য দেখবো স্বাধীনতার ব্যবসায়ীদের?! ????

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০০

বিলুনী বলেছেন: বিজয় দিবস নিয়ে শুধু নাটক কেন হরেক পদের কবিতাও শুনানো হয় জোড় করে
দেখবেন বিবেচনা করে এই কবিতাটি আসলে কার কথা বলে স্বাধিনতা বিরোধিদের
পালে মনে হয় দেয় দোলা জোড় তালে । বেজায় খুশী হবে তারা এটা পাঠে
মনে তা ধরে ।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭

কলাবাগান১ বলেছেন: দেশ টা স্বাধীন হওয়াতে মনে এত জ্বালা....রাজাকার দের রক্ত গরম হয়ে যায় বাংগালীর বিজয় দিবস নিয়ে বাধ ভাংগা উচ্ছ্বাস দেখে তাই খুজে খুজে জীবন যুদ্ধে পরাজিত কয়েকজন কে সামনে এনে যদি কোনভাবে বিজয় দিবসকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় তারই অপপ্রয়াস এই পোস্ট। যখন জামাতি অফিসে মুক্তিযোদ্ধা র পিঠের উপর ফ্লাইং কিক মারা হয়েছিল তখন কোথায় ছিল এই ক্রোধ???? নাকি সেটা যায়েজ ছিল???

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

বেঙ্গল রিপন বলেছেন: ভাইজান আমার বাসায় চায়ের দাওয়াত রইলো।
এসে দেখে যান, আমি কে?
আমি ৫০বছরের এক অবোধ বালক...
যেকিনা ৯০এর আন্দোলনে "জয়বাংলা" শ্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করেছিলো।
যেকিনা তার সহদর ভাই একজন বীর মুক্তি-সেনাকে প্রতি ১৬ ডিসেম্বরে স্যালুট দিতো।
আমি সেই বালক- যে ধানমন্ডি ৩২নাম্বর রোডের একটি বিশেষ বাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াত করতো।
নিজের চোখে আরও কিছু দেখে যাবার জন্য আবারও চায়ের দাওয়াত দিচ্ছি আপনাকে আমাদের মিরপুরের বাড়ীতে।



৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

কলাবাগান১ বলেছেন: যে কয়টা মুক্তিযোদ্ধা এসেছে ওদের চলে যেতে বলেন..." এটা খালেদা জিয়া কথার অংশ। তখন ক্রোধ হয় না

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

বেঙ্গল রিপন বলেছেন: ক্রোধ হয় আপনাদের মত মাথা মোটা প্রতিবন্ধিদের কথায়। যারা না বুঝে ফাল পারেন....
আপনে এখানে জামাত বিএনপি টানেন ক্যান মিয়া !?
আমার বড় ভাই একজন পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা। আর আমি ৭১রে আমাদের মহল্লার পাকি সেনাদের কমান্ডারের দিকে আমার খেলনার কাঠের রাইফেল তাক করে "জয় বাংলা" বলে চিৎকার করে উঠেছিলাম বলে আমাকে পাকি সেনারা তাদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গুলি করে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো তখন আমার মা-বাবা অার মহল্লার মুরুব্বিদের অনুরোধে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিলো, তারমানে আমিও ছিলাম শিশু মুক্তিযোদ্ধা। আমি বিএনপি-জামাতের আমলেও এই ধরনের লিখা লিখেছি মিয়ভাই!
আর যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার চেয়ে যুবক বয়সে দেয়ালে অনেক চিকা মারছি।
আমার লেখার মুল ভাবার্থ না বুঝে হুদাই বান্দরের মত ফাল পাইরেন না।

আমার গতকালের লেখাটা এখানে ক্লিক করে পড়ুন

৪| ১২ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩১

স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া লেখা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.