নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পথের মাঝেই পথ হারানো এক ক্লান্ত পথিক আমি, জীবনপথের ঠিকানা হারিয়ে ছুটে বেড়াই দিক-বিদিক, ছুটতে ছুটতে আজ বড্ড ক্লান্ত !!!

বেঙ্গল রিপন

পথের মাঝেই পথ হারানো এক ক্লান্ত পথিক আমি জীবনপথের ঠিকানা হারিয়ে ছুটে বেড়াই দিক-বিদিক, ছুটতে ছুটতে আজ বড্ড ক্লান্ত !!!

বেঙ্গল রিপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধার গল্প

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

নাম তার শরিফুজ্জামান খান স্বপন। এলাকার সবাই চেনে "মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভাই" নামে।
তেজগাঁও ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল স্কুল/কলেজ (বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান কলেজ) এ অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। যুদ্ধ থেকে ফেরার পর আর পড়ালেখা করা হয়নি। বিভিন্ন পেশায় জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছেন, কোনটাতেই থিতু হতে পারেন নাই। এর মধ্যে ব্রংকাইটিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেটা শেষ পর্যন্ত টিবি'তে রুপ নেয়। টিবি থেকে মুক্ত হলেও তার একদিকের ফুসফুসের কার্যকারিতা অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এরমধ্যে আবার হার্ণিয়া হয়েছে। কিন্তু তার শারিরীক অবস্থা বিবেচনায় ডাক্তাররা অপারেশনও করতে পারছেন না।
বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাস, কচুক্ষেত এলাকায় পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ছোট্ট একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী এবং একমাত্র কন্যাকে নিয়ে থাকেন। বাসার কাছেই ছোট একটি দোকান ভাড়া নিয়ে করেছিলেন - জননী ফুড কর্ণার। এর সামান্য আয় দিয়েই কোন রকমে চলছিলো "মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভাই"য়ের সংসার। আগে একজন কর্মচারী ছিলো, এখন কর্মচারীও নেই সেই দোকানও নেই। উনি এখন অন্যের দোকানে একটু জায়গা নিয়ে নিজেই চা/পান সিংগারা বানিয়ে বিক্রি করছেন। একদিন দোকানদারী করতে পারলেও ২দিন বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় অসুস্থতা-জনিত কারনে।
এই মুক্তিযোদ্ধা স্বপনের নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোথাও নেই। একেতো ছিলেন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা, তারপর সেরকম পড়াশোনা নেই। কয়েকবার মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম উঠানোর জন্য কাগজপত্র জমা দিয়ে সাক্ষাতকার দিলেও তার নাম আর তালিকায় উঠেনি। কাদেরিয়া বাহিনীতে ছিলেন এটাই কি "মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভাই"এর অযোগ্যতা !?!
এই বয়েসে এসে শুধূমাত্র একটু সম্মানের জন্য আর একমাত্র মেয়ে'র পড়ালেখা নিশ্চিত করার জন্য নিজের নামটি তুলতে চান মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়। মেয়েটি এখন এইচএসসি পরিক্ষার্থী শাহিন কলেজে।
আর্থিক কারনে এখন "মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভাই" এর মেয়েটির পড়াশুনাও বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে।
এরকম হাজারো মুক্তিযোদ্ধা হয়তো দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন। মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। টাকার অভাবে হয়তো চিকিৎসা হচ্ছে না ঠিকমতো। আমি জানি না এদের ব্যাপারে রাষ্ট্র কি করবে বা কিভাবে করবে। সরকার আবার মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হয়তো নতুন নতুন আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধের নাম উঠবে তালিকায়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভাইয়ের নাম কি উঠবে ? তা আমাদের জানা নেই।

আমরা মনে করি একজন মুক্তিযোদ্ধাকে করুনা করার মত ধৃষ্টতা আমরা
কেউ দেখাতে পারি না, তবে একজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধার প্রতি তার
প্রাপ্য সন্মানটুকুতো আমার দেখাতে পারি।
আমরাতো পারি একজন মহান মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমাদে নুন্যতম দ্বায়িত্বটুকু পালন করতে।

আপনারা কেউ যদি এই অসহায় মুক্তিযোদ্ধার পাশে দাড়াতে চান অথবা মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকায় "মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভাই" এর নামটা তুলে দিতে সহায়তা করতে চান তাহলে সরাসরি উনার সাথে কথা বলতে পারেন।

"মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভাই"এর মোবাইল নাম্বার: +880192-6217803

যখন মুক্তিযোদ্ধা স্বপনভাইয়ের দোকান ছিলো তখন সাধারন ক্যামেরায় ধারন করা একটি সাক্ষাতকার।
(এখন দোকানটি নেই)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.