নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোথায় ছিল শ্রাবস্তী নগর?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩০





রুপসী বাংলার কবি লিখেছেন:



চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,

মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য;



ইংরেজিতে এ দুটি লাইনের সার্থক অনুবাদ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের বিদগ্ধ অধ্যাপক ফকরুল আলম -



Her hair was full of the darkness of a distant Vidisha night,

Her face was filigreed with Sravasti’s artwork.



আমরা প্রায় প্রত্যেকেই জানি যে ওই লাইন দুটি বনলতা সেন সম্বন্ধে বলা হয়েছে। জীবনানন্দের মনে হয়েছে বনলতা সেন এর মুখোশ্রীতে প্রতিভাত হত শ্রাবস্তীর কারুকার্য; কিন্তু শ্রাবস্তীর কারুকার্য বলতে কবি ঠিক কি বোঝাতে চেয়েছেন? প্রাচীন ভারতে শ্রাবস্তী নামে এক নগর ছিল বলে আমরা জানতে পারি। কিন্তু শ্রাবস্তীর কারুকার্য বলতে ঠিক কি বোঝায়? মনে হয় শ্রাবস্তীর কারুকার্য বলতে কবি বুঝিয়েছেন এক ধরনের তাম্রবর্ণের প্রাচীনতা যা নাটরের বনলতা সেন এর মুখে ভেসে উঠত, যা ইতিহাস-সচেতন কবির আবেগের উদ্রেক ঘটিয়েছিল; কিংবা বনলতা সেন এর মুখটি সেই তাম্রবর্ণের প্রাচীন সময়ের প্রতীক, যে প্রতীকের সঙ্কেত উদঘাটনে কবি মগ্ন । প্রাচীন ভারত, তার নগর-জনপদ, তার বিচিত্র জনমানুষ, তাদের আশ্চর্য উত্থানপতনের ক্রমিক ইতিহাস -এসবই বনলতা সেন এর মুখে যেন শিলালিপির মতন খোদিত ছিল এবং সেই সাদাকালো এবং ধূসর জগৎই ছিল শতাব্দীর পরিব্রাজক যুগবিহারী বাংলার শুদ্ধতম কবিটির অন্যতম মোক্ষ।





এ কালের শিল্পীর আঁকা বনলতা সেন। বনলতা সেন এর এই মুখটি যেন এক তাম্রবর্ণের প্রাচীন সময়ের প্রতীক, যে প্রতীকের সঙ্কেত উদঘাটনে কবি জীবনভর মগ্ন ছিলেন। যে প্রতীকের সঙ্কেত উদঘাটনে আমাদেরও প্ররোচিত করেছেন।



কিন্তু কোথায় ছিল শ্রাবস্তী নগর?







প্রাচীন ভারতের মানচিত্র। খিষ্টপূর্ব ৬ষ্ট শতকের দিকে এখানেই গড়ে উঠেছিল ষোলটি স্থানীয় রাজ্য। গঙ্গার উত্তরে কোশল রাজ্যটি দেখা যাচ্ছে। এই রাজ্যেরই এক সমৃদ্ধশালী নগর ছিল শ্রাবস্তী।



প্রাচীন ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের শুরু খিষ্টপূর্ব ৬ষ্ট শতকে। এর আগেও যে প্রাচীন ভারতে রাজনৈতিক ইতিহাস ছিল না,তা নয়, তবে সেই ইতিবৃত্তটি আজও তেমন স্পস্ট নয়। রাম শরণ শর্মা, দামোদর ধর্মানন্দ কোসাম্বী প্রমূখ ঐতিহাসিক খিষ্টপূর্ব ৬ষ্ট শতক থেকেই রাজনৈতিক ইতিহাস আলোচনা করেছেন। খিষ্টপূর্ব ৬ষ্ট শতকের দিকে প্রাচীন ভারতে ষোলটি স্থানীয় রাজ্য গড়ে উঠেছিল। বৌদ্ধগ্রন্থ অঙ্গুত্তর নিকয় তে এই রাজ্যগুলির নাম পাওয়া যায়। বৌদ্ধসাহিত্যে এই রাজ্যগুলির ষোড়শ মহাজনপদ বলে অবহিত করা হয়েছে। মজুমদার, রায়চৌধুরী ও দত্ত ‘অ্যাডভান্স হিষ্ট্রি অভ ইন্ডিয়া’ গ্রন্থে লিখেছেন,"In an early Buddhist text we have a list of sixteen great nations that occupied the territory from the Kabul valley to the banks of the Godavari shortly before the rise of Buddhism.” (page, 54)

এই ষোড়শ মহাজনপদগুলি হল: কাশী কোসল অঙ্গ মগধ বজ্জি মল্ল চেদি বৎস কুরু পাঞ্চাল মৎস সুরসেনা অস্মক অবন্তী গান্ধার এবং কম্বোজ।

আমাদের আলোচ্য কোশল।

অধ্যাপক সুনীল চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন। “কোশল একটি বৃহৎ রাজ্য ছিল। এতে অযোধ্যা সাকেত ও শ্রাবস্তী এই তিনটি প্রধান নগর ছিল। অযোধ্যা ছিল সরযূ নদীর তীরবর্তী একটি নগর। অযোধ্যা এবং সাকেত -কে অনেক সময় অভিন্ন মনে করা হয়। কিন্তু রিস ডেভিস উল্লেখ করেছেন যে গৌতম বুদ্ধের সময়ে দুইটি শহরের স্বতন্ত্র অস্তিত্বের কথা জানা যায়। শ্রাবস্তীর বর্তমান নাম সাহেত-মাহেত। এর অবস্থান ছিল রাপ্তী নদীর দক্ষিণ তীরে। (প্রাচীন ভারতের ইতিহাস। প্রথম খন্ড। পৃষ্ঠা,১১২) রাপ্তী নদীর প্রাচীন নাম অচিরাবতী।









প্রাচীন অযোধ্যা নগরীর একটি প্রাসাদ।



ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণ-এর সূত্রপাত কোশল রাজ্যের অযোধ্যা নগরীটি থেকেই। বাল্মীকি একবার প্রশ্ন করেছিলেন: স¤প্রতি পৃথিবীতে যথার্থ গুণবান কে আছেন বলুন তো? প্রত্যুত্তরে দেবর্ষি নারদ বললেন, মর্ত্যে সর্বগুণের আধার একজনকেই আমি জানি। তিনি ইক্ষাকুবংশজাত রাম নামে এক রাজা। ...স্রোতস্বতী সরযূ নদীর তীরে ধনধান্যসমৃদ্ধ, আনন্দকলরোলমুখরিত কোশল নামে এক জনপদ আছে। ত্রিভুবনখ্যাত অযোধ্যা তার নগরী। রাম এর জন্ম সেই অযোধ্যা নগরীতে হয়েছিল। (দ্র.জ্যোতিভূষণ চাকী সম্পাদিত গদ্যে বাল্মীকি রামায়ণ। পৃষ্ঠা, ৩-৭) রাম এর দুই পুত্রের একজনের নাম লভ। তার জন্যই একটি নতুন নগর নির্মাণ করা হয়েছিল; সে নগরের নাম ছিল শ্রাবস্তী। রাম কোশল রাজ্যটি দু-ভাগে ভাগ করে দিয়েছিলেন। লভ পেয়েছিলেন শ্রাবস্তী নগর এবং কুশ কুশবতী নগর। কুশবতী কোশল রাজ্যের অন্য একটি নগর। মহাভারতের তথ্য অনুযায়ী: শ্রাবস্তী নগরের গোড়াপত্তন করেছিলেন কিংবদন্তীতূল্য সম্রাট শ্রাবস্ত । পালি ভাষায় শ্রাবস্তী হল সাবত্থি। বৌদ্ধ ঐতিহ্য বলে সাবত্থি নগরে সাধু সাবত্থা বাস করতেন বলেই ঐ নাম। শ্রাবস্তী নগরের নামসংক্রান্ত আরও এক মজার কাহিনী আছে। যেখানে শ্রাবস্তী নগর গড়ে উঠেছিল সেখানেই এককালে একটি অতিথিশালা ছিল। অতিথিশালায় নানা রাজ্যের বণিকেরা সমবেত হত। বণিকেরা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করত কী আছে সঙ্গে? (কিম বানডাম আত্থি?) উত্তরে বলা হত: আমাদের সব আছে। (সাবাম আত্তি) ...এই সাবাম আত্তি শব্দ দুটো থেকেই নাকি নগরের নাম সাবত্থি বা শ্রাবস্তী হয়েছে।



চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,

মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য;





বনলতা সেন। মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; ...বনলতা সেন-এর এই মুখে রামায়ন-মহাভারত, সম্রাট শ্রাবস্ত, সাধু সাবত্থা থেকে শুরু করে কোশল রাজ্যের এক অতিথিশালার কিঞ্চিৎ বিস্ময়কর ইতিবৃত্ত মিশে রয়েছে। যে ইতিহাসের একনিষ্ট আবিস্কারক-পাঠক জীবনানন্দ দাশ ...





জীবনানন্দ দাশ ...



আগেও একবার উল্লেখ করেছিলাম। প্রাচীন ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের শুরুটা হয়েছিল খিষ্টপূর্ব ৬ষ্ট শতকের দিকে। শুধু রামায়ন-মহাভারতের যুগেই নয়- ঐতিহাসিক যুগেও কোশল তার প্রভাব প্রতিপত্তি অক্ষুন্ন রেখেছিল। Buddhist India গ্রন্থে T .W.Rhys Davids কোশল রাজ্যের পরিচয় জানাতে গিয়ে লিখেছেন, “To the north-west there was the kingdom of Kosala-the northern Kosala-with its capital at Savatthi, ruled over at first by King Pasenadi and afterwards by his son Vidudabha. “(page 3)







ভারতবর্ষের মানচিত্রে কোশল রাজ্যের অবস্থান



তার আগে কাশীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিল কোশল। খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ট শতকের সময় কোশলরাজ মহাকোশলের সময় কাশী কোশলরাজ্যের অর্ন্তভূক্ত হয়। মহাকোশলের এক মেয়েকে বিবাহ করেছিলেন মগধের রাজা বিম্বিসার। আবারও জীবনানন্দ:



হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,

সিংহল সমুদ্র থেকে আরো দূর অন্ধকারে মালয় সাগরে

অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে

সেখানে ছিলাম আমি;



কেবল বিম্বিসার নয়- গৌতম বুদ্ধের সঙ্গে শ্রাবস্তী নগরীর সম্পর্ক ছিল নিবিড়। সেও এক আশ্চর্য ইতিহাস। সুদত্ত ছিলেন শ্রাবস্তী নগরের একজন ধনী শ্রেষ্ঠী। সে কালের শ্রেষ্ঠীকে এ কালের ব্যাংকার বলা যায়। সুদত্ত ব্যবসায়ের কাজে মগধের রাজধানী রাজগৃহ নগরে গিয়েছিলেন। ওই রাজগৃহে নগরেই সুদত্ত প্রথম বুদ্ধকে দেখেছিলেন । বুদ্ধের সঙ্গে কথা বলে সুদত্ত বুদ্ধের এক পরম ভক্তে পরিনত হয়। বুদ্ধকে একবার শ্রাবস্তী যাওয়ার অনুরোধ করেন সুদত্ত। বুদ্ধ রাজী হন। কিছুকাল পরের কথা। বুদ্ধ শ্রাবস্তী আসছেন; সঙ্গে কয়েক হাজার শিষ্য। এত লোককে কোথায় থাকবার আয়োজন করা যায়। সুদত্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেন। শ্রাবস্তী নগরের বাইরে যুবরাজ জেত-এর বিশাল একটি বাগান ছিল। সুদত্ত বাগানটি কিনতে চাইলে জেত প্রথমে রাজী হননি। পরে অবশ্য শর্তসাপেক্ষে রাজী হলেন। কি সেই শর্ত? স্বর্ণমুদ্রায় বাগান ঢেকে দিতে হবে। তাই হবে। সদুত্ত সম্মত হলেন। সুদত্ত গো-শকট করে স্বর্ণমুদ্রা এনে বাগান ঢেকে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন । সুদত্তর পরম বুদ্ধভক্তি দেখে জেত অভিভূত হয়ে পড়েন। তিনি সুদত্তকে বাগানখানি দান করলেন। কৃতজ্ঞতাসরূপ সুদত্ত জেত এর নামে বাগানে নাম রাখেন জেতবন। আজ সারা পৃথিবী থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ শ্রাবস্তীর জেতবন দেখতে যায়। রাজকুমার জেত অসম্ভব ধনাঢ্য ছিলেন; তিনি বুদ্ধকে ১৮ কোটি স্বর্ণ মুদ্রা দান করেন।







শ্রাবস্তী নগরেরর বাইরে জেতবন। বুদ্ধ তাঁর জীবনের ৪৫টি বর্ষাকালের মধ্যে ১৯টিই এখানে অতিবাহিত করেছেন। বুদ্ধের মানবিক শিক্ষায় ধন্য জেতবন।







জেতবন।



সুদত্ত বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবেন। পন্ডিত ধর্মানন্দ কোসম্বী লিখেছেন, ‘ ইহার প্রকৃত নাম ছিল সুদত্ত। অনাথদিগকে তিনি অন্ন (পিন্ডক) দিতেন বলিয়া তাঁহাকে অনাথপিন্ডিক বলা হইত।’ (ভগবান বুদ্ধ। পৃষ্ঠা, ১৪।) অনাথপিন্ডিক নামটি বুদ্ধই দিয়েছিলেন। যা হোক। বুদ্ধ শ্রাবস্তী এলেন। ধ্যান করলেন। দান করলেন। শ্রাবস্তী নগরকে অমর করে রাখলেন। শ্রাবস্তী নগরকে অমর করে রাখলেন বাংলার এক কবি ...







গন্ধকুটির। ‘বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম এবং প্রাচীন বৌদ্ধ সমাজ’ গ্রন্থে শান্তিকুসুম দাশগুপ্ত লিখেছেন,‘বুদ্ধের ব্যবহারের জন্য সুদত্ত (অনাথ ) গন্ধবাহী কাষ্ঠ দিয়ে একটি কুটির নির্মাণ করলেন, যা বৌদ্ধ সাহিত্যে গন্ধকুটির নামে সুবিখ্যাত’। পৃষ্ঠা ৩৬)।





এ কালের এক মেয়ের ছবি। যাকে বিশাখা বলে ভ্রম হয়। পন্ডিত ধর্মানন্দ কোসম্বী লিখেছেন, ‘বিশাখা নামে শ্রাবস্তী নগরের এক উপাসিকাও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জন্য পূর্বারাম নামক একটি প্রকান্ড প্রাসাদ নির্মাণ করিয়া দিয়াছিলেন।’ শ্রাবস্তী নগরকে কেন্দ্র করে বিশাখা-র সময়কাল নিয়ে বাণী বসু লিখেছেন ৪৪১ পৃষ্ঠার উপন্যাস, ‘মৈত্রেয় জাতক।’ এমন একটা সময়-যে সময়ের প্রতিচ্ছবি পড়েছিল কুড়ি শতকের বনলতা সেন এর মুখোশ্রীতে।







অনাথপিন্ডিক-এর স্তুপ



প্রাচীন শ্রাবস্তীর নগরীর দেওয়াল এখনও দাঁড়িয়ে আছে। এদের মধ্যে তিনটি প্রাচীন স্থাপাত্য-কাঠামো দেখার জন্য আজও দেশবিদেশের পর্যটকেরা ভিড় করে। আঙ্গুলিমালা স্তুপ, অনাথপিন্ডিক স্তুপ আর একজন জৈন তীর্থঙ্করের উদ্দেশ্যে নিবেদিত প্রাচীন জৈন চৈত্যগৃহ। আর জেতবন তো আছেই। বুদ্ধের নিবাস গন্ধকুঠি। সেটিও দেখতে যায় লোকে। জেতবনে আনন্দবোধি বৃক্ষ রয়েছে। লোকে তাও দেখে।

আমরা অবশ্য এসবের বাইরেও আরও অন্য কিছু খুঁজতে নিতে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারি। শ্রাবস্তী নগরের বিশাখা কিংবা নাটোরের বনলতা সেন এর মুখে যেন এক ধূসর তাম্রবর্ণের প্রাচীন সময়ের প্রতীক অঙ্কিত হয়ে গেছে, যে প্রতীকের সঙ্কেত উদঘাটনে জীবনানন্দ জীবনভর মগ্ন ছিলেন। যে প্রতীকের সঙ্কেত উদঘাটনে আমাদেরও প্ররোচিত করেছেন কবি!







তথ্য নির্দেশ:



আবদুল মান্নান সৈয়দ সংকলিত ও সম্পাদিত প্রকাশিত-অপ্রকাশিত কবিতাসমগ্র জীবনানন্দ দাশ

অধ্যাপক সুনীল চট্টোপাধ্যায়; প্রাচীন ভারতের ইতিহাস। (প্রথম খন্ড)

জ্যোতিভূষণ চাকী সম্পাদিত গদ্যে বাল্মীকি রামায়ণ।

শান্তিকুসুম দাশগুপ্ত; ‘বুদ্ধ ও বৌদ্ধধর্ম এবং প্রাচীন বৌদ্ধ সমাজ’।

ধর্মানন্দ কোসম্বী; ভগবান বুদ্ধ।

Fakrul Alam; Jibanananda Das Selected Poems with an Introduction, Chronology, and Glossary

R.C.Majumdar, H.C. Raychaudhuri, Kalikinkar Datta ; An Advanced History of India.

T .W.Rhys Davids; Buddhist India.



মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৩০/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩৪

রাজসোহান বলেছেন: দারুন একটা ইতিহাস জানলাম দাদা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ+

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজসোহান।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩৮

পথিক মানিক বলেছেন: ভাল লাগা রেখে গেলাম।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল পথিক মানিক।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪১

প্রক্সিনিক বলেছেন: মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য---------------কাম সারছে---------------মুখে শ্রাবস্তীর কারুকার্য হইলে তো ডিফরমিটিস মেন হইবো।
হেই কুচকাইন্যা-মুচকাইন্যা মুখ দেখাইবো কেমনে ?
কী উদ্ভটরে বাবা।

কৈ জানি শুনছিলাম--তার কাঠাল পাতা চোখ ।

না , আমার মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্যটা ভিত্রে ঢুকল না

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: =p~

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪৬

প্রক্সিনিক বলেছেন: |-) |-)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :(

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪৮

শিরীষ বলেছেন: ইমন ভাই, অনেকদিনের পিপাসা মিটবে। অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে। পড়ার পরে জানাচ্ছি।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৫০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ওকে।

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৫৪

নীল ভোমরা বলেছেন:
জ্ঞানী পোস্ট! আমরা যারা সারা জীবন শুধু অংক কষে এসেছি, ইতিহাসের পাতা উল্টাইনি কখনও... তারাও ইতিহাসে আগ্রহ পাবে। ভাল লাগলো।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:০৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ভালো লাগলো বলে ভালো লাগছে।ধন্যবাদ।

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:০২

ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

রাতে আরো একবার পড়বো । ঘরে নিয়ে গেলাম ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১১

চতুষ্কোণ বলেছেন: ইমন ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এমন চমৎকার একটা পোষ্ট দেয়ার জন্য। শ্রাবস্তী ভারতের পুরোনো নগরী তা আগেই জানতাম। আজ জানলাম বিস্তারিত।

অনেক অনেক ভালো লাগলো আজ বিস্তারিত জেনে। আপনি অনেক পড়েন।:)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমি অনেক পড়ি। :P
তাই?

৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১৩

রাজর্ষী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। খুবই সুন্দর একটা পোস্ট।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ রাজর্ষী।

১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১৪

কালপুরুষ বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর পোস্ট। অনেককিছু জানলাম।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: কৃতজ্ঞতা।কবি।

১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:২৮

আহমেদ রাকিব বলেছেন: দারুন

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: তাই?

১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৪৫

অসামাজীক বলেছেন: সত্যিই দারুন, আপনার ঝুলিতে আর কি কি আছে দাদা? জলদি ছাড়েন...

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: তা আছে অনেক কিছু। বেশ ছাড়ব।

১৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:০৮

শিরীষ বলেছেন: আচ্ছা, এই শ্রাবস্তীর পেছনে যে এরকম কারুকাজময় ইতিহাস লুকিয়ে আছে - আছে বিম্বিসার, আছে সিদ্ধার্থের প্রেম-মানবতা, ঐ জেতবন আর তার পেছনের কাহিনী, সাবাম আত্তি... দারুচিনি দ্বীপের সব সৌন্দর্য নিয়ে বাংলার সবচেয়ে সবুজ কবিতাটি লেখার আগে জীবনানন্দ কি ঐ সৌবর্ণা ইতিহাস নদে স্নান সেরে এসেছিলেন ! নাহয় বনলতা সেনের রূপ এরকম সবুজাভ অপার্থিবতা পেল কি করে!



-------------
ইমন ভাই!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ। বাংলার সবচেয়ে সবুজ কবিতাটি লেখার আগে জীবনানন্দ কি ঐ সৌবর্ণা ইতিহাস নদে স্নান সেরে এসেছিলেন । দিনের পর দিন, রাতের পর রাত একান্ত নিজস্ব আগ্রহে ইতিহাসের বই পড়ে কাটিয়েছেন জীবনানন্দ। যেমন, R.C.Majumdar, H.C. Raychaudhuri, Kalikinkar Datta ; An Advanced History of India. এই বইটি আজও সারা ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। এটির প্রথম সংস্করণ ১৯৪৬ সালে।

১৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: সেই সময় শ্রাবস্তি অনেক বড় আর সমৃদ্ধ ও সুন্দর একটা নগরী ছিল।
জীবনানন্দ দাশের উপমা হিসেবে 'শ্রাবস্তি' কে ব্যবহার এটাও কি কারণ হতে পারে?


রাজা বিম্বিসার, বুদ্ধকে শ্রাবস্তিতে তার অলৌকিক শক্তি প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ করছেন।



বিম্বিসার অনুরোধে বুদ্ধ নিজেকে হাজার মূর্তিতে প্রকাশ করছেন (Dhammapada Atthakatha )

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ। সেই সময় শ্রাবস্তি অনেক বড় আর সমৃদ্ধ ও সুন্দর একটা নগরী ছিল বলেই জীবনানন্দ দাশ উপমা হিসেবে 'শ্রাবস্তি' কে ব্যবহার করেছেন।

১৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০১

সকাল রয় বলেছেন: দারুন একটা ইতিহাস জানলাম
আমি ইতিহাস প্রিয় মানুষ

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৬

ইমন জুবায়ের বলেছেন: তাই?

১৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:০৬

ভাঙ্গন বলেছেন:
ভেবে অবাক হই জীবনানন্দ এমন অসাধারণ একটা কবিতা লিখেছেন, যেখানে প্রেম এবং ইতিহাস একাকার হয়ে আছে। উপমা আর উপগাঁথা জড়িয়ে আছে।
আর সেই কবিতার রেশ ধরে আজকে শ্রাবস্তী এবং অন্যান্য বিষয়ে জানলাম।
অভিনন্দন!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৩৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ২৮ তারিখ রাত ১২টায় ...

১৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৪১

সহেলী বলেছেন: ওস্তাদ শ্রেনীর ব্লগার আপনি । আপনার লেখা পড়ে মন্তব্য করতে ইত:স্তত করি । শ্রাবস্তী নামটা দেখে এ পোষ্ট দুবার পড়েছি ।
শুভকামনা আপনার জন্য ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৪৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।

১৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৫৪

হেমায়েতপুরী বলেছেন: :) ;)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :-B !:#P =p~

১৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৪৮

পল্লী বাউল বলেছেন: অসাধারন এ পোস্টটির জন্য কোন ধন্যবাদই যথেষ্ট নয়।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:০৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা .............

২০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৩১

সর্বনাশা বলেছেন: একটা ব্যাপার, ষোড়শ মহাজনপদগুলোর একটি হবে 'মগধ', 'মগজ' নয়।

ধন্যবাদ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ছিঃ ছিঃ এ কী ভুল! এখুনি ঠিক করছি।
অনেক ধন্যবাদ।

২১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২৯

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: হেলী বলেছেন: ওস্তাদ শ্রেনীর ব্লগার আপনি । আপনার লেখা পড়ে মন্তব্য করতে ইত:স্তত করি ।

...............................................
এজন্য আমিও ভাবছি আজকাল এখানে আর কোন মন্তব্য করবো না।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: মন্তব্য করতেও আইলসামী? আর আমারে আইলসা বলেন? #:-S

২২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আপনার কমেন্টের উত্তর পড়ে হাসতে হাসতে আমি শেষ। আমি যে আইলসা.........বাড়ীর লোক ছাড়া আপনিই শুধু বুঝলেন। :) আপনাকে কেন আইলসা বলেছি সেটার শানে নুজুল বলতে গেলে বিরাট বয়ান করতে হবে, তাই অফ গেলাম।

জেতবন শব্দটা কোথায় যেন পড়লাম, .......... মনে হয় সিদ্ধার্থ বইটাতে, তাই না?
সিদ্ধার্থ পড়ে আমি পুরোপুরি সংশয়ে সংশয়ে ভরপুর হয়ে গেলাম........... আমার মাথাটা শেষ ইমন ভাই। এর মধ্যে আবার আপনার মধ্যযামিণীর গল্প এবং এই পোস্ট........সাড়ে সর্বনাশ।

২১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৩৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩| ১১ ই মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

অপু২৮৩৮ বলেছেন: ধন্যবাদ

২১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৩৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ

২৪| ২১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো তোমার এই লেখা।
বানী বসুর মৈত্রয় জাতক আমার প্রিয় বই'র
তালিকা এবং সংগ্রহে আছে।
অনেক শুভকামনা রইলো।

২১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৪০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:১০

হাফিজুর রহমান মাসুম বলেছেন: ইমন জুবায়ের...........আপনি এত সময় কিভাবে পান। আমি পড়ে শেষ করতে পারি না কত কিছু; অথচ আপনি স্বল্পতম সময়ে লিখে ফেলছেন সবকিছু!!!! অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা।

৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৩৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:০৪

নিঃসঙ্গ যোদ্ধা বলেছেন: অজানা একটা ইতিহাস জানতে পারলাম। ধন্যবাদ +++++

২৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:১১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:২০

সুবিদ্ বলেছেন: সারাজীবন শুধু পড়েই গেলাম, ভিতরে ঢোকা হলোনা...আপনার কল্যাণে জানা হলো অনেককিছু

ধন্যবাদ

২৪ শে আগস্ট, ২০১০ সকাল ৯:২২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ

২৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

শিশেন সাগর বলেছেন: অসাধারন এক লেখা। জানা হলো অনেক কিছু, ধন্যবাদ

২৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেছেন: বাহ্ বেশ ভালো লাগলো। অনেক অজানা উত্তর জানলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.