নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ না, আমি সবাই।

অনিন্দ্য অবনী

আমি কেউ না,, আমি সবাই।।

অনিন্দ্য অবনী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইচ্ছে সুখ

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

"" বক্তিগতভাবে বলতে গেলে আমি যে সাধারনের ও সাধারন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না,,, আমার আশেপাশে যারা আছে তারাতো বটেই আমি কাউকে বলতে গেলে তাই বলতে হয়, নিতান্ত চালচুলাহীন নগন্য পথভ্রষ্ট প্রাণ। বেঁচে থাকতে হয় তাই বেঁচে থাকা, আলাদা করে কোন অভিপ্রায় নাই । পার্থিব সুখের প্রতি কোন তীব্র টান অনুভব করি না, আবার পেলেও যে নেহাৎ ছেড়ে দিবো এমনটাও নয়, ব্যাপারটা অনেকটা অদৃষ্টবাদীদের মত। এরপরেও এই এক জীবনে সৃষ্টিকর্তা আমাকে যে কতভাবে সুখী করেছে, কত সুখ কতরকমভাবেই না আস্বাদন করেছি, সময়ের পালাবদলে তারজন্য বৃথা ভেবেছি অনেক, কিন্তুু অনুশোচনা বা শুকরিয়া আদায় করার কথা মনে আসেনি কখনো। অনেকেই অনেক কিছু ভাবে, ভাবনাটা ব্যক্তির নিজস্ব চিন্তাভাবনার প্রতিবিম্ব মাত্র, তাছাড়া কারো ভাবনায় বা বাকস্বাধীনতা হরণ করার অধিকার আমার নেই , কারন আমি কখনো আমাকে পরিবর্তন করার কথা ভাবারই সময় পায়নি, অনেকাংশে এটাও সত্য যে আমিও নিজে থেকে কখনো এমনটা ভাবিনি। সারাজীবন ভেবে এসেছি মায়ার সংসারে যেহেতু আমার কিছুই নাই তবে কেন এই বৃথা আস্পালন। সত্যি বলতে একথা স্বীকার করতে দ্বিধাবোধ করি না যে, আমি আর সকলের মত অতটা নিরপেক্ষ নই, বলতে গেলে অনেকটাই পক্ষপাতদুষ্ট। সবাইকে একই সমান ভাবতে পারি না, আশেপাশের প্রত্যেকের মন ঘিরে একটা সৃষ্টিশীল বলয় রয়েছে,যাদের সম্পর্কের ভিত সবসময় স্বীয় কর্ম দ্বারা প্রবর্তিত হয় , আবার কখনো কখনো মনে হয় কিছু কিছু মানুষ অনেকটা অনিচ্ছায় রাঙ্গানো এ হৃদয়টাতে কিছু ক্ষত রেখে যায় সারাজীবনের মত, এমনটা হবে বা হতে পারে একথা আমি জানতাম না, তা কিন্তু নয়? কিন্তুু সবকিছুর বাইরে গিয়ে যদি বিচার করি তবে প্রায় সব মানুষই তার চিন্তা ক্ষমতাকে নিজস্ব গন্ডির ভেতরে দাঁড়িয়ে ভাবতে ভালবাসে, ক্ষনিকের জন্য হলেও ভুলে যায় চোখে দেখাও অনেক সময় ভূল , অন্যের কান শোনা কথারটা নাহয় বাদ। বরং সত্যিতো এটাই বক্তিজীবনে সবাই নিজেকে সুপারহিরো ভাবে, সে কর্পোরেট লেভেলের বস্ হোক আর ১০ টাকার রিকশাওয়ালা প্রত্যেকেরই তার নিজস্ব একটা অবস্থান থাকতে পারে, আছে, তবে নিজের অবস্থানটা ধরে রাখতে পারাটাই হচ্ছে মূলত মনুষ্যত্ব। অস্বীকার করার উপায় নেই ফেসবুক ইমোশনের এই যুগে আজকাল কার মানুষ অবশ্য নিখাঁদ ভালবাসা চায় না, অন্যের তোলাবাজি সমালোচনার তেলে কিছুটা ঘেমে নেয়ে নিতেও রাজি। তবে আমি বিষয়টাকে অতটা খারাপ ভাবি না, কারন মানব চরিত্রে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে অনেকটা অলস বিড়ি ফুঁকে সময় কাটানোর মতোই বাজে এসবের বাস্তব কোন ভিত্তি নেই। কারন সমালোচনাকারি তার ভূল ভেবে সময় নষ্ট করে না, স্বভাবতই সে নিজের কতৃত্ব জাহির করতে ব্যস্ত। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ঘঠনাবলির পুরো মানসিক চাপটা শ্রোতাকেই সামাল দিতে হয়, কাটিয়ে উঠতে হয় নিজে থেকে। কেউ কেউ কাটিয়ে উঠে নিজেকে সেরা প্রমান করে, কেউ অনিয়মিত সময়ে কালের গর্বে হারিয়ে যায় আবার কেউবা নিস্বঙ্গ দলছুট শংঙ্ক চিলের মত চৃপচাপ এবড়ো থেবড়ো হেঁঠে বেড়ায় পৃথিবির প্রান্তে । ""

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.