নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/bicharmani

বিচার মানি তালগাছ আমার

বিচার মানি তালগাছ আমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাহলে কর্নেল তাহেরকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে জিয়াউর রহমান ভুল করেননি....

১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০০

১. মালয়েশিয়ার মাহাতির মোহাম্মদ খুব ভালো রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। আমার কাছে তাঁর সময়কালের একটাই কলঙ্ক মনে হয় 'আনোয়ার ইব্রাহিম' ইস্যু। কারণ এটা নিয়ে দুই পক্ষ ভিন্নমত দিয়েছে। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত সেরা রাষ্ট্রনায়ক। আমার কাছে তাঁর সময়কালের একটাই কলঙ্ক মনে হয় ' কর্নেল তাহের' ইস্যু। যে ব্যক্তি তাঁকে মুক্ত করলেন, সেই ব্যক্তিকেই ফাঁসি দেয়া(হোক সেটা আদালতের মাধ্যমে)।

২. শেখ হাসিনার সময়কালে মহামান্য আদালত জিয়াউর রহমানকে ঠান্ডা মাথার খুনী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কর্নেল তাহের হত্যাকান্ডের ব্যপারে।

৩. ওরা বড় রকমের একটা ভুল করেছে। শেখ মুজিবকে কবর দিতে অ্যালাও করা ঠিক হয়নি। এখন তো সেখানে মাজার হবে। উচিত ছিল লাশটা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া”--- কর্নেল তাহের

- মহিউদ্দিন আহমেদের বই “জাসদের উত্থান-পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি” থেকে

৪. স্বাধীনতাবিরোধীরা কখনও বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত হানতে পারত না, যদি এই গণবাহিনী, জাসদ বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করে বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করে, মানুষ হত্যা করে, এমপি মেরে পরিবেশ সৃষ্টি না করত। সুতরাং বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল রহস্য বের করতে হবে, কারা কারা জড়িত ছিল। জাসদই বঙ্গবন্ধুর হত্যার পথ পরিষ্কার করে দিয়েছিল। এর জন্য জাসদই দায়ী। এই হত্যাকাণ্ডে তারা জড়িত ছিল।
বঙ্গবন্ধু যেদিন মারা যান, সেদিন কর্নেল তাহেরও রেডিও স্টেশনে যায়। জাসদের গণবাহিনীর প্রধান ছিল সে। একটা সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে তিনি গণবাহিনী করেছিলেন। যাকে বঙ্গবন্ধু সহানুভূতিশীল হয়ে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান বানাইছিল, সেও ওই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল। পরবর্তী সময়ে তো দেখেছিলেন ক্ষমতার ভাগাভাগিতে তাহেরের কী হয়েছিল? - শেখ সেলিম

৫. মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের একটি অংশ। কিন্তু জাসদের নেতা-কর্মীরা এই সফল মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছিল। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার আগেই দেশকে ছিন্নভিন্ন করার চেষ্টা করেছিল।
তারা যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সমস্ত পরিবেশ সৃষ্টি না করত, তবে বাংলাদেশ একটি ভিন্ন বাংলাদেশ হত। - সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

৬. অতএব, জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসি দিয়ে ভুল করেননি।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৯

শেয়াল বলেছেন: চোরে চোরে হালি
এক চোরে বিয়ে করে আরেক চোরের শালি

২| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: আপনি সবসময় এই সব সুযোগ খুঁজে বের করেন। আপনি একটি অপরাধ দিয়ে আরেকটি অপরাধ ঢাকতে চেয়েছেন।

জিয়াউর রহমান ভুল করেছিলেন কিনা তা সময়ই বলে দিবে।

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোর্ট তো সময়ের অপেক্ষা করেনি। বলে দিয়েছে..

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: হিউদ্দীন আহমেদ কোন দলের সমর্থক ছিলেন জানতে চাই। কতজন যে কত কথা বলছেন, আউলাইয়া যাই

ভালোই হইছে তাহের, খালেদ মোশাররফ মারা গেছেন। বাইচা থাকলে তারাও হইতেন কালপ্রিট।

খালেদ কিভাবে কার অনুগতদের হাতে মারা গেলেন? তাহেরেরই তো, তাই না? তাহের কে যেই কারণে মায়া দেখানো হয়, তাহের নিজেই সেই পথে ছিলেন না। খালেদ মোশাররফকে নিয়ে কেউ কিছু বলে না, সবাই ভালোই বলে। বলবেই, উনি আসলেই জাতীয় বীর। কিন্তু বেঁচে থাকলে এরা তারাই বলতো, খালেদ কেন বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর পরই তীব্র একশনে গেলেন না? কেন তার তিন মাস টাইম লাগলো পালটা ক্যু করতে। কেন উনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পালিয়ে যাবার সুযোগ দিয়েছিলেন।

জিয়া ছিল কুল হেডের, ধুর্ত, সুযোগের সদব্যবহার করতে ভুলেন নাই। আবার জানতেন যে তাহের ক্ষমতাশালী হয়ে উঠলে নিজের পরিনতিও হয়তো সুখের হবে না। জিয়া কালসাপ রাখেন নাই। আমরা সবাই ভুলে যাই জাসদ বা তাহের কি চাইতো। জাসদের ক্ষমতা থাকলে আওয়ামীলীগার একটাও আস্ত থাকতো না। দেশের অরাজকতার একটা বড় কারণ জাসদও ছিল। নিজ দলের চামচা আর নিজের দলের একটা অংশ ছেড়ে যাওয়া নেতাকর্মী নিয়ে গঠিত এই জাসদই বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। তাহেরের দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নাই, কিন্তু উনার পথটা ছিল ভুল। ওই সময়ে কে যে সঠিক ছিল কে বলবে। গা বাঁচিয়ে চলা শফিউল্লাহই হয়তো ঠিক ছিলেন, এই কারণেই উনি বেঁচে আছেন। কিংবা কে জান উনার হয়তো কিছু করবার আসলেও কোনো ক্ষমতা ছিল না।

সবই রাজনীতি। রাজনীতি বোঝা বড় দায়। দ্যা মোর ইউ সি, দ্যা লেস ইউ উইল গ্রো ইন দিস কান্ট্রি

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হুমমম। সবই রাজনীতি। আমরা খালি আলোচনাই করতে পারি....

৪| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৪৭

বিপরীত বাক বলেছেন: কর্ণেল তাহের একটা সুশৃঙ্খল বাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। তবে তা দেশের জন্যে মঙ্গলই এনেছিল। তবে সমস্যা হলো উনি তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নি। যার ফলশ্রুতিতে বহু নিরপরাধ অফিসার শুধুমাত্র অফিসার হওয়ার কারণে মারা গিয়েছিল। এটাই তাকে ফাসি দেয়ার জন্যে যথেষ্ট ছিল। অাপনি খেয়াল করে দেখেন যে সব অভ্যুত্থানে টার্গেট অফিসার বা ব্যাটেলি=য়ন ই অাক্রমণের শিকার হয়। কিন্তু তাহেরের অভ্রুত্থানে সাধারণ নিরপেক্ষ অফিসাররাও মারা গিয়েছিল অফিসার হওয়ার কারণে। এজন্যে তৎকালীন বেশির ভাগ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা তাহেরের ফাসির পক্ষে ছিল।

ধরেন, একটা এলাকায় যারা সুদের ব্যবসা করে তারা প্রচন্ড অত্যাচারী। তাদের ক্ষমতার দাপটে কেউ তাদের কিছু বলতেো পারে না। এখন অাপনি অামাকে দায়িত্ব দিলেন যে একটা গণবিক্ষোভ ঘটিয়ে সুদব্যবসায়ী গুলোকে মেরে ফেলতে্। অামি কাজ শুরু করলাম। লোকজনদের উস্কে দিলাম। তাদেরকে দিয়ে রাস্তায় মিছিল করিয়ে বড়লোক ব্যবসায়ীদের বাড়ী ভাঙচুর করাইলাম। কিন্তু দেখা গেল পরিস্থিতি এমন হলো যে ক্ষিপ্ত জনগণ শুধু সুদব্যবসায়ী না বরং ব্যবসায়ী মানেই খারাপ এই প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে এলাকার চাল ব্যবসায়ী মনিহারি ব্যবসায়ী পরিবহন ব্যবসায়ী এরকম অনেককে মেরে ফেললো। তথন অাপনি অামারে পুরস্কার দিবেন নাকি শাস্তি দিবেন?

কর্ণেল তাহেরের বিপ্লবে ঠিক এই ঘটনা ঘটেছিল। জিয়ার বিরুদ্ধে াফিসার নিধন বলে বলে যারা মুখে ফেনা তোলে তারা কিন্তু একবারও ৭ই নভেম্বরের অফিসার নিধন নিয়ে কোন কথা বলে না।

ে৩. ওরা বড় রকমের একটা ভুল করেছে। শেখ মুজিবকে কবর দিতে অ্যালাও করা ঠিক হয়নি। এখন তো সেখানে মাজার হবে। উচিত ছিল লাশটা বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া”--- কর্নেল তাহের

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৫৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: লীগাররা এটা বুঝতে চায় না। আসল কারণ এটাই। ঐ সময় তাহের চেয়েছিল নিজে ক্ষমতায় যেতে । জিয়ার ঘনিষ্টজনেরা সতর্ক করাতে জিয়াও তাহের থেকে দূরে সরে যান অভ্যূত্থানের পর...

৫| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:০০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বঙ্গবন্ধু যেদিন মারা যান,
মারা যান মানে? তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
প্যাচাল ছাড়া আর কিছু করতে পারেন না?

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:১১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শেখ সেলিমের কথা এভাবে এসেছে মিডিয়ায়। আমি শুধু কপি পেস্ট করেছি তার ব্ক্তব্য...

৬| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:০৩

সম্রাট৯০ বলেছেন: হাদিসের মতই বাংলাদেশের রাজনীতির হাজার ধারা উপধারা আছে, হুজুরদের মত তারাও যে যার উপকারী ধারা পকেটে নিয়ে ঘুরে,কিছু কথা বুক (বই)থেকে, কিছু মুখ থেকে। তবে মনে রাখা ভালো যাহা মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে তা থাকবেই,সেটা এই বাংলার বাতাসে বাজবেই।

১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হ্যাঁ। যে যার মতবাদকে সঠিক মনে করে। সত্য উপলব্দি করা উচিত সবার...

৭| ১৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন:

মহিউদ্দিন আহমদ জাসদের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন ।

জাসদের উত্থান-পতন বইটা পড়েছি । জাসদ সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিলো সিপাহী সিপাহী ভাই ভাই অফিসারের ফাঁসি চাই শ্লোগানে; ৭-৮ নভেম্বরে বহু অফিসারকে হত্যা করা হয়, কয়েকজন মুক্তিযুদ্ধের থিঙ্ক টেঙ্কও ছিলেন যেমন খালেদ, হুদা, হায়দার প্রমুখ । জিয়ার মদদ ছিলো এসব হত্যাকান্ডে । অবশ্য তিনি সুযোগ নিয়েছিলেন । সেলিম ও আশরাফ এর বক্তব্য যথার্থ ।
তাহের ওয়াজ অ্যা ট্রেইটর, অলদো হি ওয়াজ অ্যা সেক্টর কমান্ডার; হি হেড কারেজাস কন্ট্রিবিউশন টু আওয়ার কান্ট্রি! বঙ্গবন্ধু গেভ হিম অ্যা জব হোয়েন হি রিজাইন্ড ফ্রম আর্মি । হি ওয়াজ ট্রায়িং টু ডেস্টয় মুজিব গভর্নমেন্ট! হি ওয়াজ রং নট অনলি ইন থিংকিং, বাট অলসো সিলেক্টিং রাইট পার্সন । জিয়া ওয়াজ নট ফেমেলিয়ার উইথ জাসদ । তাহের সিলেক্ট হিম রংলি!
জিয়া হেনগড থাউজেন্টস ফ্রিডম ফাইটার, গেভ রাজাকার দ্যা অপরচুনিটি টু ডু পলিটিক্স!
হাজারো স্ববিরোধী কাজকর্ম তার । তার পরও তিনি কীভাবে বেস্ট প্রেসিডেন্ট, আই ডোন্ট নো! হি ইজ অলসো দ্যা বেস্ট পপুলার প্রেসিডেন্ট! হি ব্রট ক্যাপিটালিজম । এ লট অব রং একটিভিটিজ হি ডিড!

১৫ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবই রাজনীতির হিসাব নিকাশ। সেদিন যদি তাহের জিয়াকে চালিত করতো, তাহলে জিয়া এত উপরে যেতে পারতো না। আবার খালেদ মোশাররফ বেঁচে থাকলে তাহের, জিয়াদেরও পাত্তা থাকতো না্! জিয়া সময়ের সদ্ব্যবহারকারী বিচক্ষণ ব্যক্তি। তাই তিনি বেস্ট প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাষ্ট্র চালনায় তাঁর কর্ম ও দক্ষতার কারণেই তাঁকে সেরা ও জনপ্রিয় বলা হয়...

৮| ১৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




জাসদ, মাসদ ইত্যাদি ছিল ছাত্রলীগ; উহারা জানতো না যে, উহারা কি করছে।

শেখ সাহেব ছিল সিআইএর টার্গেট; সিআইএ'এর নিজস্ব পদ্ধতি আছে, যা বাগগালী মাথায় সহজে প্রসেস হয় না।

১৯ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জটিল তৃতীয় বিশ্বের রাজনীতি...

৯| ১৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



কর্ণেল তাহের সমাজতণ্ত্র সম্পর্কে হালকা ধারণা রাখতেন; যেহেতু সৈনিকদের মাঝে সবাই দরিদ্র শ্রেণীর, উনি ওদের সাথে আলাপ করে কিছু সমর্থন পেয়েছিলেন; জেনারেল জিয়াকে নিশ্চয় বলা হয়েছিল যে, এই লোক পরে মিলিটারীকে ভাগ করে ফেলতে পারে, জেনারেল জিয়া ভয়েই তাহেরকে ঝুলায়ে দিয়েছে।

২০ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: তখনকার তাহেরের প্রভাব আঁচ করতে পেরে ৭ নভেম্বর মীর শওকত, জিয়াকে রেডিও স্টেশনে যেতে দেননি। তাহের অপেক্ষা করছিল জিয়াকে নিয়ে রেডিও স্টেশনে ভাষণ দেয়ার জন্য। জিয়া বুদ্ধিমান কিংবা চতুর যাই বলা হোক না কেন তাহেরের মত বিষকে প্রথম সুযোগেই শেষ করে দিয়েছিলেন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.