নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/bicharmani

বিচার মানি তালগাছ আমার

বিচার মানি তালগাছ আমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কীভাবে গরীব দেশ থাকি? - ৩ (পর্যটন)

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২


১. আমি অর্থনীতির ছাত্র নই। আমি সাদা চোখে বুঝতে পারি না আমরা কেন গরীব? আমাদের যে প্রাকৃতিক সম্পদ আছে তাও অনেক দেশের নেই। প্রাকৃতিক সম্পদ নাহয় নিজেরা ব্যবহার করলাম। অপ্রাকৃতিক এত খাত আছে আমাদের যে বাংলাদেশ গরীব হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। আমি এত তথ্য উপাত্ত দিতে পারবো না। শুধু সাধারণ একজন নাগরিক হিসেবে মতামত ব্যক্ত করব। গতকাল প্রথম আলো'তে এন আর বি ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক ইকবাল আহমেদের সাক্ষাৎকারের শেষ লাইনটা পড়েই এই পোস্টের কথা মাথায় আসলো। সবাই জানি আসলে বাংলাদেশের অধিক জনসংখ্যা এক দিক দিয়ে জনসম্পদও বটে। তবে আমাদের দেশ ছাত্রনেতাদের হাতে পড়ায়(সৌজন্যে - চাঁদগাজী) আমরা এর সুবিধাটা ঘরে তুলতে না পেরে আমাদের পিছিয়ে পড়ার জন্য অধিক জনসংখ্যাকেই দায়ী করি।

২. সময়ের পরিক্রমায় কয়েক লাখ বাংলাদেশী বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এদের উপার্জনের জন্যই এখনো বাংলাদেশ- সোমালিয়া, ইথিওপিয়া হয়নি। এদের মধ্যে অনেকেই আর ফেরত আসবে না। তবে তাদের শেকড় এই দেশে থেকে যাওয়ার কারণে তাদের সন্তানরা দেশের বাইরে কখনো যাওয়ার জন্য পিতৃভূমিকেই অগ্রাধিকার দেবে। কিন্তু আমরা কতদূর ব্যবস্থা রেখেছি তাদের জন্য?

৩. শুধু কক্সবাজার সী বিচ দেখার জন্য বাংলাদেশে আসবে না নতুন প্রজন্ম। সী বিচ অনেক দেশেই আছে। কিন্তু আমাদের দেশের মত প্রকৃতি আর নদ নদী কিংবা গ্রামীণ পরিবেশ অনেক দেশেরই নাই। কিন্তু সেসব জায়গায় কীভাবে যাবে প্রবাসীদের নতুন প্রজন্ম? এয়ারপোর্টে নামতেই চোখে ঝাপসা দেখা শুরু করবে কম লাইটিং-এর কারণে। মশাও থাকবে ইমিগ্রেশনে। এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকায় প্রবেশের জন্য একটা আধুনিক বাস সার্ভিস বা ট্যাক্সি সার্ভিস নেই। এয়ারপোর্ট থেকে বের হলেই শুরু হবে ধৈর্য্যের পরীক্ষা। কোটি টাকার বনসাই গাছ আর কতক্ষণ ধৈর্য্য ঠিক রাখবে! শুধু ঢাকা পার হওয়ার আগেই গ্রাম দেখার ইচ্ছে তাদের উবে যাবে।

৪. বিলাসবহুল হোটেলে রাত কাটানোর জন্য কেউ বিদেশ ভ্রমণ করে না। আমরা যে প্রবাসীদের নতুন প্রজন্ম বা আশে পাশের দেশগুলোর মানুষকে আমন্ত্রণ জানাবো কীসের ভিত্তিতে? আমাদের রাজধানী বিশ্বের সবচেয়ে অকার্যকর একটা শহরে পরিণত হচ্ছে। একটা দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে রাজধানী ও পুরো দেশের সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থা। এখনও আধুনিক রেল যোগাযোগ নেই আমাদের। লাক্সারিয়াস কোচ আছে কিন্তু তাও এই ভঙ্গুর রাস্তার জন্য আরামদায়ক নয়। এত কষ্ট করে পিতৃভূমি দেখার খায়েশ কয়জনের হবে?

৫. প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যখন ছাত্র নেতারা কাউ কাউ করছে তখন আমাদের রাস্তা পানির নীচে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ আমার দেশ, আবহমান বাংলাদেশের প্রতি বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখে এবারো আমাদের চোরেরা হাজীদের টাকা মেরে পালিয়ে গিয়েছে, অর্থমন্ত্রী ঋণখেলাপীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ব্যাংকগুলোর উপর অভিমান করছেন। আর দুইদিন পরেই তো জাতি সব ভুলে যাবে অস্ট্রেলিয়ার সাথে 'ঐতিহাসিক' টেস্ট খেলে! হে বাংলাদেশ, তোমার বয়স হলো কত?...
আমরা কীভাবে গরীব দেশ থাকি? - ২ (ভ্যাট)
আমরা কীভাবে গরীব দেশ থাকি? - ১ (বিমান)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিএনপি ও আও্য়ামী লীগ জাতিকে এমন ভয়ংকর অবস্হার মাঝে নিয়ে গেছে, এরা সঠিক পথে ফেরার পথই খুঁজে পাবে না অনেক বছর।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই অনেক বছরকেই আমাদের ভয় হয়। খুব কষ্ট লাগে নতুন প্রজন্ম বড় হয়ে কেমন দেশ পাবে এটা ভেবে...

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

রিফাত হোসেন বলেছেন: +

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মেধাবী ও পরিশ্রমী দেশপ্রেমিকের অভাব নেই। যদি চোর নেতাগুলোকে খেদানো যেত...

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ঘুরতে যে খরচ লাগে সে টাকায় এভারেস্ট থেকে ঘুরে আসা যায়। আমাদের ব্যবসায়ীরা বেশি টাকায় নিম্নমানের সেবা দেয়। এ কারণে পর্যটন ব্যবসা দাঁড়াতে পারবে না।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমাদের লোভ বেশী। আমাদের যে টাকায় বিদেশ লোক পাঠানো হয় সেই টাকা দিয়ে নেপালী, ইন্ডিয়ানরা ৫/৬ টা দেশের ভিসা বের করতে পারে। হজ্জ্ব-এ পাঠাতে গিয়ে যে দেশের লোকেরা টাকা মারে সে দেশের পর্যটন ব্যবসা কেমন হবে বোঝাই যায়...

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দেশ কে নিয়ে সুন্দর ভাবনা।

আমি বেশি দূর যেতে চাই না, আমাদের দেশে গরীব কোন কৃষক যদি একটি কলা গাছ রোপন করে তাহলে সে গাছে কলা ধরবে এবং সেটি বিক্রি করে কৃষক আর্থিক লাভবান হবে। কলা গাছের পাতা গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায় এবং কলা গাছ জৈব প্রক্রিয়ায়য় পঁচে সার হিসেবে মাটির উবর্তা বাড়ায়।
এই রকম প্রাকৃতিক ব্যবস্হা খুব কম দেশে আছে।

আমরা অনেক আগে স্বাবলম্বী হতে পারতাম কিন্তু এদেশের রাজনীতিবিদরা ভুল পথে চালিত হয়ে আনাদের গরীব করে রেখেছে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: জাপানের বিজ্ঞানীরা নাকি অনেক কষ্ট করে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের মাটিকে উর্বর করে। আর আমাদের দেশে আমের বারা ফেলে দিলেও গাছ উঠে যায়। এই জন্য নাকি জাপানীরা বলেছিল বাংলাদেশের মাটি হলো স্বর্গের মাটি!

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রাস্তা ঘাট ভাঙ্গা এটা কোন সমস্যা না, মানুষ পাহাড় টিলা দেখতেওতো যায় । বাংলাদেশের পর্জটনের প্রধান বাঁধা আইনশৃঙ্খলার অবনতি।
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিন্তু এয়ারপোর্টে মানুষ কী রকম অর্ভ্যত্থনা পায়? এরকম অসহনীয় জ্যাম কোন রাজধানীতে আছে কিনা আমার জানা নেই। এগুলোর তো সমাধান করতে হবে...

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশেও দেখার মতো অনেক জায়গা আছে। আছে অনেক ঐতিহ্য। তাই বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পকে আর অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। একথা এখন দিবালোকের মতো সত্য যে, বর্তমান বিশ্বে পর্যটন একটি অতি বড় মাপের শিল্প। আমাদের দেশে শিল্প বলতে এক সময় পাট শিল্পকে এবং বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্পকে বোঝানো হচ্ছে। পর্যটনও যে একটি বড় মাপের শিল্প হতে পারে তা আমাদের দেশের জনসাধারণ এখনো হয়তো জানেই না। বাংলাদেশে পর্যটনও হতে পারে জাতীয় আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। আমাদের রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ। যার যথাযথ ব্যবহার আমাদেরকে পৌছে দিতে পারে সাফল্যের দ্বারে। এজন্য দরকার সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা । বাংলাদেশ যে একটি সুন্দর দেশ তা সবাইকে জানাতে হবে। পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে বাংলাদেশের দ্বার।

বাংলাদেশের অনেক মানুষ হয়তো জানেন না যে আমাদের কক্সবাজারের মতো বড় আর সুন্দর সি বিচ পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এটি বেশ ঢালু আর প্রশস্ত। প্রাকৃতিক এ বিচ বিধাতার অপার দান। বেশীর ভাগ দেশের সি বিচ হয় খাড়া আর সংকীর্ণ। কিন্তু তারা তাই সাজিয়ে গুছিয়ে এমন সুন্দর করে রেখেছে যে পর্যটকরা দলে দলে ছুটে যায় সেই সব সমুদ্র উপকূলে। দুহাতে তারা খরচ করে টাকা। আয় হয় সে সব দেশের। মানুষের কর্মসংস্থান হয়। অর্থনীতি হয় শক্তিশালী।

অথচ আমাদের দেশে কখনো এদিকে নজর দেয়া হয়নি। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত যে বিশাল প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত (সি বিচ) আছে তাকে সাজাতে পারলে ঝঁকে ঝাঁকে বিদেশী পর্যটক আমাদের দেশে আসবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। পৃথিবীতে লাখ লাখ ভ্রমন বিলাসী লোক রয়েছেন যারা সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়াতে ভালবাসেন। তাদেরকে বাংলাদেশে টেনে আনতে হবে। এটা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে করা যাবে না। নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা আর বৈচিত্র দিয়ে তাদেরকে আকর্ষণ করতে হবে। উন্নত বিশ্বের ভ্রমন বিলাসী মানুষ টাকা খরচ করার জন্য এক পায়ে খাড়া। তাদেরকে টাকা খরচ করার সুযোগ করে দিতে হবে। আমাদের সি বিচের মূল সমস্যা হচ্ছে এখানে পানি ছাড়া আর দেখার মতো কিছু নেই। হ্যা, সমুদ্রের পানি অবশ্যই দেখবে। তবে তার সাথে আরো বহুবিধ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। কক্সবাজারে সব ধরনের হোটেল বানাতে হবে। যাতে ধনী, গরীব সবার থাকার মতো জায়গা থাকে। ফাইভ স্টার হোটেল থাকতে হবে। ভাল বিমান চলাচলের সুযোগ থাকতে হবে। ঢাকা থেকে ট্রেনে যাবার সুযোগ থাকতে হবে। সব পর্যটক যে বিমানে যাবে তা তো আর নয । নাইট ক্লাব, ক্যাসিনো, বার , পাব সহ বিনোদনের সবধরনের সুযোগ থাকতে হবে। যদি দেশের কারো আপত্তি থাকে এই সব এলাকায় কেবল মাত্র বিদেশী ছাড়া আর কেউ যেতে পারবে না এমন বিধান করা যেতে পারে। পর্যটকদেরকে টাকা খরচের সুযোগ করে দিতে হবে। কক্স বাজারে সমুদ্রে বোট চড়ার সুযোগ নেই। নৌবিহারের সুযোগ থাকতে হবে। সমুদ্রের সব ধরনের সামুদ্রিক খেলার ব্যবস্থা থাকতে হবে। সাগরে যেখানে সম্ভব মাছ দেখানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। মোট কথা সুযোগ সুবিধার কোন প্রকার ঘাটতি রাখা যাবে না। মানুষকে টাকা খরচ করার জায়গা করে দিতে হবে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত এক ফুট জায়গাও ফাঁকা না রেখে আধুনিক সুবিধাদি দিয়ে সাজিয়ে তুলতে হবে যাতে ঝাঁকে ঝাঁকে পর্যটক আসে।

বাংলাদেশে পর্যটক এলে কত ধরনের লাভ যে হবে তা বলে শেষ করা যাবেনা। প্রথমত, আমাদের জাতীয় বিমান সংস্থার সুনাম বৃদ্ধি করতে পারলে বিদেশীরা বাংলাদেশ বিমানেই আসবে । ফলে বিমানের লাভ হবে লাখ লাখ টাকা। এর জন্য বিমানের সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। অবশ্য বিমানের বর্তমান যা অবস্থা তাতে প্রবাসী বাংলাদেশীরাই তাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে আসার সময় বাংলাদেশ বিমানে চড়েনা। কিন্তু বিমান ভাল হলে তা যে কেবল পরিবহন হিসাবে কাজ করবে তাই নয় তা হবে একটি বিজ্ঞাপন। বাংলাদেশ বিমান প্রচার করবে পর্যটন স্পটগুলো। নানাধরনের ভ্রমন প্যাকেজ দিয়ে বিমান পর্যটক ধরে নিয়ে আসবে বাংলাদেশে।

অবশ্য চেষ্টা করলে বিমানের অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব। একটি বাজেটে বিমানের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রেখে বিমানের সংস্কার করা প্রয়োজন। নতুন নতুন উন্নত মানের এয়ার বাস সংযোগ করতে হবে। দূর্নীতি দূর করতে হবে। সময়-নিষ্ঠ হতে হবে। বাংলাদেশ বিমানের সব চেয়ে বড় দোষ তার সময় জ্ঞান খুবই টনটনে। নয়টার ট্রেন কয়টায় ছাড়বে এটি এখন কেবল বাংলাদেশের ট্রেনের ক্ষেত্রে নয় বিমানের ক্ষেত্রে আরো বেশী করে সত্য ও প্রযোজ্য। যান্ত্রিক ত্রুটিও বাংলাদেশ বিমানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাই বিমানের উন্নয়নে মনোনিবেশ করা জরুরী। এর কোন বিকল্প নেই।

পর্যটনের দ্বিতীয় লাভ, বিদেশীরা বাংলাদেশে এসে দু’হাতে খরচ করবে। তাতে দেশের অর্থনীতি হবে মজবুত। তারা আসার সময় যে ভিসা নিয়ে আসবে তাতেও বাংলাদেশের লাভ হতে পারে। এদেশে এসে তারা যে সব তিন তারকা, চার তারকা, পাঁচ তারকা হোটেলে থাকবে তাতে লাভবান হবে দেশ। হোটেলে কর্মসংস্থান হবে অনেক মানুষের। তারা এদেশে এসে কেনাকাটা করবে । তাতে বিকশিত হবে এদেশের শিল্প। তারা এখানে এসে এদেশের রিক্সায় চড়বে। ক্যাব ব্যবহার করবে। এতে এদেশের মানুষের লাভ ছাড়া ক্ষতি হবার কোন সম্ভাবনা নেই। তাদেরকে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে টাকা খরচ করার পথ বাতলে দিতে হবে আমাদেরকে।

বাংলাদেশে বিদেশী পর্যটক আকর্ষণের জন্য সর্বপ্রথম যা করা প্রয়োজন তা হলো সুনাম। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের কমপক্ষে একটি আকর্ষণীয় জিনিসের সুনাম ছড়িয়ে দিতে হবে। যেমন ভারতের রয়েছে তাজমহল। আমাদেরও তেমনি রয়েছে বিশাল সাগর উপকুল। এতো বড় বেড়ানোর মতো উপকুল পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এই তথ্যটি আমার মনে হয় বিদেশী পর্যটকদের কাছে আজও পৌছেনি। এর জন্য দরকার সুনাম ও প্রচার। কথায় বলে, প্রচারেই প্রসার। বাংলাদেশের পর্যটন খাতের বিকাশে আমার প্রস্তাবগুলো হচ্ছেঃ

১। সাগর উপকূলকে পর্যটকদের বেড়ানোর উপযোগী করে সাজানো হোক। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে লুইআই কানের মতো ডিজাইনারদের দ্বারা উপকূল সাজানো হোক। এখানে নিরাপত্তার বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশে ছিনতাইকারী আর মাস্তানে ভরপুর। মানুষের নিরাপত্তা এদেশে প্রধান একটি সমস্যা। দেশে থেকে ছিনতাইকারী আর মাস্তান উৎখাত করা হোক। যেন সারা মানুষ নির্ভয়ে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারে। অন্ততপক্ষে পর্যটন এলাকা গুলোতে ভাল নিরাপত্তা দেয়া হোক। বিদেশী মেহমানরা যেন খারাপ ব্যবহার না পায়। তারা যেন বাংলাদেশ সম্পর্কে ভাল ধারনা নিয়ে যেতে পারে।

২। রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থার (বাংলাদেশ ) সংস্কার করা হোক। যেন মানুষের এক বাক্যে বলতে বাধ্য হয়, বাংলাদেশ বিমান খুব ভাল বিমান। বাংলাদেশ বিমানের মতো বিমান আর হয়না। আসুন, আমরা বাংলাদেশ বিমানে চড়ি।
৩। ভিসা পদ্ধতি আরো উন্নত করা হোক। বিদেশী পর্যটকরা যাতে সহজে বাংলাদেশে আসার ভিসা পেতে পারে তার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।
৪। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য প্রচারের ব্যবস্থা করা হোক। এর জন্য বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টিভিগুলোকে কাজে লাগোনো যেতে পারে। বিজ্ঞাপনগুলো যেন ইংরেজিতে হয়।
৫। পর্যটস স্পটগুলোর বিপনীবিতানগুলোতে বিক্রেতা যাতে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। তাদের ব্যবহার ভাল হতে হবে। এমনিতে বিদেশী মানুষ দেখলে দোকানীরা বেশী মাত্রায় লাভের চেষ্টা করে যা করা মোটেই উচিত নয়। বিপনী বিতানে সুন্দর পরিবশে থাকলে তারা কিনতে বেশী উতসাহ বোধ করবে।


বর্তমান বিশ্বে অনেক দেশে পর্যটন জাতীয় আয়ের প্রধান উৎস। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায় মালদ্বীপ, শ্রীলংকা প্রভৃতি দেশ পর্যটন খাতে অনেক আয় করছে। পর্যাপ্ত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কেন এখাতে পিছিয়ে থাকবে? বর্তমানে দেশে সকল ক্ষেত্রে চলছে সংস্কারের জোয়ার । বর্তমান সরকারের কাছে তাই আমার প্রত্যাশ্যা তারা পর্যটন খাতের দিকে নজর দেবেন।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অ‌নেক ধন্যবাদ...

৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, "বর্তমান সরকারের কাছে তাই আমার প্রত্যাশ্যা তারা পর্যটন খাতের দিকে নজর দেবেন। "

-সরকারের লোকেরা তাদের দক্ষতার বাহিরে সম্পদ কুক্ষিগত করেছে, বাকীদের জন্য সুযোগ নেই।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দুর্নী‌তির বিচার না হওয়ায় দুর্ন‌ী‌তিবাজরাই দীর্ঘ‌দিন এসব প‌দে ব‌সে আ‌ছেন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.