নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঘাস ফুল

মানুষের বিচার্য হোক মনুষ্যত্ব ও মানবতা; কোন ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ কিংবা লিঙ্গ নয়

বিদ্রোহী বাঙালি

লেখালেখির ক্ষেত্রে আমার অলসতা প্রবাদতুল্য।

বিদ্রোহী বাঙালি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতাঃ মায়াবী মুখ

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৫





তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা

পাগলের পাগলামির মতো

ভালো হয়ে ভুলে যায় বিগত জীবনের কথা

কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রের সিপাহীর মতো

বাসর রাতে নববধূ রেখে

অস্ত্র কাঁধে যুদ্ধে যাওয়া।

কিন্তু ওটাতো তুমি, ভিঞ্চি’র মোনালিসা

পটুয়ার তুলিতে আঁকা অমর শিল্প।



তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা

দৃষ্টি ফিরে পাওয়া অন্ধের মতো

আনন্দে ভুলে যায় অন্ধ জীবনের ব্যাথা

কিংবা হিটলারের মতো

মনুষ্যত্বকে গলা টিপে হত্যা করে

খুনের নেশায় মত্ত হওয়া।

কিন্তু ওটাতো তুমি, নাইটিঙ্গেলের ল্যাম্প

যার আলোতে মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর

চোখে, বাঁচার স্বপ্ন জাগে।



তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা

মায়ের প্রসব ব্যাথার মতো

সন্তানের মুখ চেয়ে ভুলে যায়

যন্ত্রণার ছটফটানির কথা

কিংবা পাক সেনাদের যুদ্ধনীতির মতো

রণাঙ্গন ছেড়ে

বাঙ্গালী নারীর দেহ ভোগে

হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পরা।

কিন্তু ওটাতো তুমি, রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলী

যুগ যুগ ধরে বয়ে বেড়ানো

মানুষের জীবনের মর্মবাণী।



তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা

রাজনীতিবিদের প্রতিশ্রুতির মতো

নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে

বেমালুম ভুলে যায় ওয়াদার কথা

কিংবা নদীর মতো, মোহনায় মিশে

ভুলে যায় পিছনের দীর্ঘ পথ চলার ক্লান্তি।

কিন্তু ওটাতো তুমি, আমার হৃৎপিণ্ড

শিরা উপশিরা বয়ে বেড়ায় যার

রক্তের স্রোত ধারা।



জীবন সায়াহ্নের

নিষ্ঠুর সীমা রেখায় দাঁড়িয়ে,

দেয়ালে টাঙানো

শিল্পীর তুলিতে ভেসে উঠা

তোমার মায়াবী মুখ,

ফ্রেমে গাঁথা আমার

বর্ণালি কুঁড়িটি বছর,

ভুলে যাওয়ার নানা কৌশলে

বাস্তবতার প্যাঁচানো গলিতে

নিজেকে হারিয়ে শুধু তোমাকেই খুঁজে গেলাম।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: চমৎকার। আপনি কবিতাও লিখেন? বেশ তো..সব জানা।

কিন্তু ওটাতো তুমি, রবি ঠাকুরের গীতাঞ্জলী
যুগ যুগ ধরে বয়ে বেড়ানো
মানুষের জীবনের মর্মবাণী।

বেশ লাগল এই অংশের বোধ।

১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: বেশ কিছু কবিতা আছে, কিন্তু ব্লগে আরে দেয়া হয় না। আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো সাদিয়া। ধন্যবাদ।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সত্যই মায়াবি মুখ...
কবিতাও সুন্দর :)

১২ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: এই মুখটা আফনারে গিফটো করলাম।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:০৪

সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: কবিতার প্রতিটি মেটাফরএর ব্যাবহার সার্থক ছিল।
হর্ষপাঠ্য কবিতা।
সোনাম কাপুরের ছবিটা যদিও মনোযোগে আঘাত হেনেছে বাড় বাড়! =p~

১৬ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: সোনম কাপুর মনোযোগে আঘাত হানার জন্য দুঃখিত। :(
অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্য। অনেক উৎসাহ পেলাম সাজিদ। ধন্যবাদ।

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

সকাল রয় বলেছেন:
আপনার কবিতা এর আগে মনে হয় পড়িনি কিন্তু আজ পড়লাম_ কবিতার ভেতরে আকুতিটা বেশ ভাববার মতো কিন্তু___

আপনাকে এখানে নিয়মিত পাওয়া যাবে তাতে বেশ ভালই লাগছে

১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: কবিতা ভালো বুঝিও না, আবার আপনাদের মতো সুন্দর করে লিখতেও পারি। মাঝে মাঝে একটু দুঃসাহস দেখাই আর কি। এটা সেই দুঃসাহসেরই একটা নমুনা। প্রতিদিন একবার করে ঢুঁ মেরে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আপনাকেই ঠিক মতো পাওয়া হয় না। আশা করছি আপনাকেও মাঝে মাঝে পাবো, তাতে বরং আমার সুবিধাই হবে। ধন্যবাদ সকাল দা।
কিন্তু এর পরে অনেক সমালোচনা আছে আমি জানি। তাই তো সাহস করি কবিতা লিখতে। :(

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

লিরিকস বলেছেন: ১ম পোস্টে আমি আছি :)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অনেক পড়ে হলেও সাথে পেয়েছি শুরু থেকেই, তাতেই ধন্য। আন্তরিক ধন্যবাদ লিরিকস।

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাললাগলো ।+

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ভালো লাগার মতো কোন কবিতা নয় এটা। ভালো লিখতে পারি না বলেই এমন ধারণা আমার। তারপরও আপনার ভালো লাগায় আপ্লুত হলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২২

ফারিয়া বলেছেন: প্রথম দিকের কবিতা, কিছু স্থানে ছন্দ কেটে কেটে যাচ্ছিল। তবে আশা করব এমন চেষ্টা আরো করবেন!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: যথার্থই বলেছেন। কিন্তু কোন ঘষামাজা করা হয় না, কারণ আমি যা লিখি তা কিছুটা শখের বসে। নিয়মিত লেখার কোন চিন্তা মাথায় নাই। তবে হ্যাঁ, পড়তে এবং মন্তব্য করতে বেশ ভালো লাগে। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ফারিয়া।

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৩

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: আমার এক আপা আছে, সালমান রুশদীর ছোটবোন। উনি আমার সবকিছু এডিট করতে বলতেন। পারফেকশন এর জন্য নাকি লেন্থ কম আর precise হইলে ভালো। কিন্তু সমস্যা হইলো একবার লিখলে কাটাকাটি করতে মায়া লাগে।

এই কবিতায় কাটাকাটি করা যায়।

তবে সুন্দর শুরু আর শেষ, continuation এ একটু খাপছাড়া লাগলো।

শুভকামনা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: //পারফেকশন এর জন্য নাকি লেন্থ কম আর precise হইলে ভালো। //
কথাটা আমারও খুব পছন্দ হল। কবিতার ক্ষেত্রে এমন হলে আরও ভালো। অণুগল্পেও এটা করা যায়।
আমার এই কবিতায় চাইলে অনেকেই সহজেই আঁচড় বসাতে পারবে। সৌখিন লেখক হলে যা হয়। তার উপর আমার অলসতার কথা আমার প্রোফাইলেই আছে। ভাবছি একদিন কিছু কাটাকাটি করবো। শুধু ভাবছি কিন্তু করা আর হচ্ছে না। আপনি চাইলে করতে পারেন। তবে অবশ্যই যুক্তিসঙ্গত হতে হবে, যা আমি মেনে নিতে বাধ্য হবো, অন্তত রচনাশৈলীর দৃষ্টিকোণ থেকে এবং সাহিত্য মান বিচারে। আমাকে কখনো লেখক হিসাবে বিবেচনা করবেন না। তাহলে ভুল হবে। নিরাশও হবেন। আমি পড়তে এবং মন্তব্য করতেই বেশী পছন্দ করি। ইতিমধ্যেই হয়তো খেয়াল করেছেন। তো শুরু করে দিন কাটাকাটি।
অনেক ধন্যবাদ আমি অথবা অন্য কেউ। আপনার সাথে মনে বেশ জমবে। আমি ব্লগিং উপভোগ করতে চাই। জানতে চাই, শিখতে চাই।

৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আমার কাছে চমৎকার লেগেছে।

কিন্তু ওটাতো তুমি, ভিঞ্চি’র মোনালিসা
পটুয়ার তুলিতে আঁকা অমর শিল্প।

আসলেই ভোলা যায় না। ভাল থাকবেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: মন্তব্যে দিশেহারা করে দিলেন রাজপুত্র। অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২৫

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: ILL DO IT. ONCE I HAD TO WRITE A SCIENCE FICTION AFTER MAKING A COMMENT. A SCI FI OF AROUND 50 Or 60 PAGES. THOSE WERE SOME FUN DAYS IN BLOG. SOME RELATION GREW BEYONG VIRTUAL AND EMOTIONAL BOUNDARIES. STAY FINE, ILL MAKE IT MINR BEFORE I QUIT. TC

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৫৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: চলে যাবার কথা ভাবছেন কেন আপনি? কী এমন হল যে আপনি চলে যেতে চাচ্ছেন? জীবনকে সহজ ভাবে নিন এবং ব্লগিংকে নিন আরও সহজ ভাবে এবং উপভোগ করুন। কে কী বলবো সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। আমার ব্লগিং জীবন দীর্ঘ নয়। তবুও অনেক কিছু শিখেছি অন্তত জীবন সম্বন্ধে। আমার লেখায় কাটাকাটির অপেক্ষায় রইলাম। আশা করবো আরও দীর্ঘ দিন আপনার সাথে ব্লগিং করার সৌভাগ্য হবে ভালো থাকবেন আমি অথবা অন্য কেউ। আর হ্যাঁ, যে সম্পর্কগুলো গড়ে উঠেছিল সেগুলোকে সম্মান করুন। এটা করা উচিৎ। সম্পর্কে বিশ্বাস থাকলে দীর্ঘ দিন টিকে থাকে বলেই আমি বিশ্বাস করি।

১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন:
তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা পাগলের পাগলামির মতো,
ভালো হয়ে ভুলে যাওয়া বিগত জীবনের কথা;
কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রের সিপাহীর মতো বাসর রাতে নববধূ রেখে অস্ত্র কাঁধে যুদ্ধে যাওয়া।
কিন্তু ওটাতো তুমি, ভিঞ্চি’র মোনালিসা,
পটুয়ার তুলিতে আঁকা অমর শিল্প...

তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা দৃষ্টি ফিরে পাওয়া অন্ধের মতো,
আনন্দে ভুলে যাওয়া অন্ধ জীবনের ব্যাথা;
কিংবা হিটলারের মতো মনুষ্যত্বকে গলা টিপে হত্যা করে খুনের নেশায় মত্ত হওয়া।
কিন্তু ওটাতো তুমি, নাইটিঙ্গেলের ল্যাম্প, অন্য কোন আলোতে মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর চোখ, নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন মাখা...

তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা সেইসব দিনের মত,
যখন নদী সব নদী ছিলো, সাগর তখনো সাগর,
চোখ ছিলো চোখের মত, আর আকাশ তখনো আকাশে...
সকল সুর্য্য সআকাশে...তখন আমাদের প্রতিবেশী ছিলো,
হাতে হাত রেখে কাটিয়েছি কতটা সময়, কে তার হিসেব রাখে??...

তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা রাজনীতিবিদের নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে
বেমালুম ভুলে যায় ওয়াদার মত,
কিংবা নদীর মতো, মোহনায় মিশে
ভুলে যাওয়া পিছনের দীর্ঘ পথ চলার ক্লান্তি;
কিন্তু ওটাতো তুমি, আমার হৃৎপিণ্ড,
শিরা উপশিরা বয়ে বেড়ায় যার রক্তের স্রোত ধারা।


শিল্পীর তুলিতে ভেসে ওঠে তোমার মায়াবী মুখ,
ভুলে যাওয়ার নানা কৌশলে ফ্রেমে গাঁথা আমার বর্ণালি কুঁড়িটি বছর,
এখন তাই হারাতে চাইলেও হারাতে পারিনা আমি...


প্রথম অপচেষ্টা ... ভার্সন ১.১

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৬

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অপচেষ্টা বলার কোন কারণ নাই। অবশ্যই ভালো চেষ্টা হয়েছে। যেহেতু প্রমা বলছেন, তাই ভাবছি আরও হয়তো চেষ্টা নিতে পারেন। সব চেষ্টা দেখে নেই আগে। অনেক ধন্যবাদ আমি অথবা অন্য কেউ।

১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন:
তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা পাগলের পাগলামির মতো,
ভালো হয়ে ভুলে যাওয়া বিগত জীবনের কথা;
কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রের সিপাহীর মতো বাসর রাতে নববধূ রেখে অস্ত্র কাঁধে যুদ্ধে যাওয়া।
কিন্তু ওটাতো তুমি, ভিঞ্চি’র মোনালিসা,
পটুয়ার তুলিতে আঁকা অমর শিল্প...

তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা দৃষ্টি ফিরে পাওয়া অন্ধের মতো,
আনন্দে ভুলে যাওয়া অন্ধ জীবনের ব্যাথা;
কিংবা হিটলারের মতো মনুষ্যত্বকে গলা টিপে হত্যা করে খুনের নেশায় মত্ত হওয়া।
কিন্তু ওটাতো তুমি, নাইটিঙ্গেলের ল্যাম্প, অন্য কোন আলোতে মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর চোখ, নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন মাখা...

অথবা,
তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা সেইসব দিনের মত,
যখন নদী সব নদী ছিলো, সাগর তখনো সাগর,
চোখ ছিলো চোখের মত, আর আকাশ তখনো আকাশে...
সকল সুর্য্য সকল তারা তখন আমাদের প্রতিবেশী ছিলো,
হাতে হাত রেখে কাটিয়েছি কতটা সময়, কে তার হিসেব রাখে??...

তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা রাজনীতিবিদের নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে
বেমালুম ভুলে যায় ওয়াদার মত,
কিংবা নদীর মতো, মোহনায় মিশে
ভুলে যাওয়া পিছনের দীর্ঘ পথ চলার ক্লান্তি;
কিন্তু ওটাতো তুমি, আমার হৃৎপিণ্ড,
শিরা উপশিরা বয়ে বেড়ায় যার রক্তের স্রোত ধারা।


ভেসে ওঠে তোমার মায়াবী মুখ শিল্পীর তুলিতে আকা,
ভুলে যাওয়ার নানা কৌশলে ফ্রেমে গাঁথা আমার বর্ণালি কুঁড়িটি বছর;
এখন তাই হারাতে চাইলেও হারাতে পারিনা আমি...

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আরও কোন ভার্সন আছে নাকি এটাই শেষ ভার্সন? শেষ হলে আমি সময় করে বসবো মূল লেখাটা গুছিয়ে নেয়ার জন্য। আবারও ধন্যবাদ।

১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

আমি অথবা অন্য কেউ বলেছেন: তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা পাগলের পাগলামির মতো,
ভালো হয়ে ভুলে যাওয়া বিগত জীবনের কথা;
কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রের সিপাহীর মতো বাসর রাতে নববধূ রেখে অস্ত্র কাঁধে যুদ্ধে যাওয়া।
কিন্তু ওটাতো তুমি, ভিঞ্চি’র মোনালিসা,
পটুয়ার তুলিতে আঁকা অমর শিল্প...

তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা দৃষ্টি ফিরে পাওয়া অন্ধের মতো,
আনন্দে ভুলে যাওয়া অন্ধ জীবনের ব্যাথা;
কিংবা হিটলারের মতো মনুষ্যত্বকে গলা টিপে হত্যা করে খুনের নেশায় মত্ত হওয়া।
কিন্তু ওটাতো তুমি, নাইটিঙ্গেলের ল্যাম্প, অন্য কোন আলোতে মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর চোখ, নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন মাখা...

অথবা,
তোমায় ভুলে যাওয়ার কথা সেইসব দিনের মত,
যখন নদী সব নদী ছিলো, সাগর তখনো সাগর,
চোখ ছিলো চোখের মত, আর আকাশ তখনো আকাশে...
সকল সুর্য্য সকল তারা তখন আমাদের প্রতিবেশী ছিলো,
হাতে হাত রেখে কাটিয়েছি কতটা সময়, কে তার হিসেব রাখে??...


ভেসে ওঠে তোমার মায়াবী মুখ শিল্পীর তুলিতে আকা,
ভুলে যাওয়ার নানা কৌশলে ফ্রেমে গাঁথা আমার বর্ণালি কুঁড়িটি বছর;
এখন তাই হারাতে চাইলেও হারাতে পারিনা আমি...


কবিতায় যতি চিনহের ব্যবহার খুব জরুরী পাঠকের নির্বিঘ্ন পাঠের জন্য, একেবারে বড় লাইন হলে বুঝতে আর ঠিক ছন্দ ধরতে সমস্যা হয়, এটা ব্যক্তিগত মত। পাক হানাদারের পার্টটা বাদ দিছি দেইখা মাইন্ড খাইয়েননা, পাকিস্তান নামে পাক পবিত্র কোন ব্যাপার নাই।

আপাতত এইখানেই থামি, আমি নিজেও কোবতে তোবতে ভালো বুঝিনা। ধন্যবাদ

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো। আমি সময় করে ঠিক করে নেয়ার চেষ্টা করবো। কষ্ট দিয়েছি এবং আপনি কষ্ট করেছেন। কষ্ট দেয়ার জন্য দুঃখিত আর কষ্ট করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আমি অথবা অন্য কেউ।

১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

এনামুল রেজা বলেছেন: জীবন সায়াহ্নের
নিষ্ঠুর সীমা রেখায় দাঁড়িয়ে,
দেয়ালে টাঙানো
শিল্পীর তুলিতে ভেসে উঠা
তোমার মায়াবী মুখ,
ফ্রেমে গাঁথা আমার
বর্ণালি কুঁড়িটি বছর,
ভুলে যাওয়ার নানা কৌশলে
বাস্তবতার প্যাঁচানো গলিতে
নিজেকে হারিয়ে শুধু তোমাকেই খুঁজে গেলাম।


চমৎকার কবিতা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: কবিতা আমার বিষয় নয় রেজা। তারপরও কয়েকটা লিখেছিলাম শখের বসে। তবে শখও এখন উবে গেছে। তোমার ভালো লাগায় আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে আবার। অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।

১৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬

এনামুল রেজা বলেছেন: লিখতে থাকুন। অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তি কবিতার।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: কবিতা আমাকে দিয়ে হবে না। তবুও চেষ্টা করবো। ইদানীং অণুগল্প নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি। সময় পেলে সেগুলোকে টেনে লম্বা করে ছোট গল্পের আকার দেয়ার ইচ্ছা আছে। তোমার মতো ভালো গল্পকার নই। তবে চেষ্টা করবো। ভালো থেকো রেজা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.