নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখির ক্ষেত্রে আমার অলসতা প্রবাদতুল্য।
মূর্তিমান হয়ে বিস্ফোরিত চোখে ধুঁয়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে হা করে তাকিয়ে আছে মাংসল রোহিত সড়কের দিকে। যান্ত্রিক যানের নির্মম গতির তবুও কোন শ্রান্তি নাই। কিছুক্ষণ আগে তার প্রতিবন্ধ গা ঘেঁষেই ব্যস্ত সড়কে নেমে পড়েছিল যষ্টি বিহীন ক্লিষ্ট পান্থ, দিন রাত্রি হয় না যার ক্ষান্ত।
উদাসী ভ্রান্তির বিনাশী ক্রান্তিতে, তার সাজানো বাগান এখন ঝকমারি কুণ্ডলীতে ঘূর্ণায়মান রক্তমাখা বিভীষিকা।
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১১
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: শেষ লাইনে প্রথম প্যারার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিণতির কথা বলা হয়েছে। প্রথম প্যারাটা বুঝলে শেষ লাইনটা ধরা সহজ হবে। ধন্যবাদ বটবৃক্ষ~।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:২৫
উদাস কিশোর বলেছেন: বেশ ! বেশ !
কঠিন বাক্য রচনা
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১৩
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অণুগল্প সচরাচর একটু কঠিনই হয়। সেই তুলনায় মনে হয় আমি কিছু পরিচিত শব্দের মাধ্যম্যেই লিখেছি। ধন্যবাদ উদাস কিশোর।
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১৬
উদাস কিশোর বলেছেন: প্রথম পড়াতেই ধরতে পেরেছি ।
অনেকদিন এত কঠিন শব্দ চয়ন দেখি না বা পড়িনি । তাই বলে ফেল্লাম ।
ভাল থাকুন ।
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আবারও কষ্ট করে পোস্ট ঘুরে গেছেন বলে অনেক ধন্যবাদ উদাস কিশোর। আপনি এতো সুন্দর অনুবাদ করেন, তাই আপনারও শব্দ ভাণ্ডার বেশ সমৃদ্ধই হবে।
৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ঘাস হঠৎ বিদ্রোহ করে বসল কেনো বুঝলাম না।
২৪ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ঘাস না পাইলে বিদ্রোহ করবো নাতো কী করবো?
৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: এটা কবিতা, মুক্তগল্পও বলা চলে । অল্প কিছু শব্দে সুন্দর একেছেন বীভিষিকার চিত্র ।
রাস্তায় সাবধানতা একান্ত প্রয়োজন ।
২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৬
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: গল্পটা ছোট্ট কিন্তু এর ভিতর ধারণ করা আছে বিরাট বড় একটা কাহিনী। আপনার জন্য নিচে কিছুটা তুলে ধরলাম। ধন্যবাদ মামুন।
একজন বেখেয়ালি পথিক ফুটপাতে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিল আর ধুঁয়ার কুণ্ডলী পাকাচ্ছিল। এমন সময় একজন অন্ধ ঐ ফুটপাত ধরে আগাচ্ছিল। কিন্তু পথিকটি রাস্তাটা অবরোধ করে রেখেছিল বলে অন্ধ লোকটি ব্যস্ত সড়কে নেমে পরে। তার হাতে কোন লাঠি ছিল না। ফলে সে ব্যস্ত সড়কের অনেকটা ভেতরে ঢুকে পরে এবং কোন চলন্ত গাড়ি এসে তাকে চাপা দিয়ে যায়। কিন্তু তারপরও কোন গাড়ির গতি কমে নাই। গাড়িগুলো যেভাবে চলছিল, সেভাবেই চলতে থাকে। তখন উক্ত পথিকটি সেটি খেয়াল করে এবং কিছু করতে পারে নাই বলে হা করে তাকিয়ে থাকে অন্ধ লোকটির থেঁৎলে যাওয়া রক্তাক্ত শরীর দেখতে থাকে, যা সড়কের গায়ে লেগেছিল আর সড়কটিকে রক্তে রঙে রঙিন করে তুলেছিল।
এই ঘটনা পরে তার মধ্যে অনেক অনুশোচনা সৃষ্টি করে এবং তার মধ্যে এক ধরণের মানসিক রোগ সৃষ্টি হয়। কারণ তার সামান্য ভুলে অন্ধ লোকটি মারা গেলো। সে যদি অন্ধ লোকটিকে রাস্তা ছেড়ে দিত, তাহলে সে হয়তো ফুটপাত ধরেই হেঁটে যেতো। পথিকটি তাই এখন সব কিছুর মধ্যে শুধু রক্তমাখা দেখে এবং দেখে আতংকিত হয়ে উঠে। সোজা কথা পথিকটির জীবন সম্পূর্ণ জীবনই পাল্টে যায়।
এখানে আপনি কতগুলো শব্দের দিকে দৃষ্টি দিলেই ঘটনাটি পরিষ্কার হয়ে উঠবে। যেমনঃ
ধুঁয়ার কুণ্ডলী – অনেকে সিগারেট খাওয়ার সময় ধুঁয়া দিয়ে কুণ্ডলী পাকায়। আর এই ধরণের মানুষগুলো অনেকটা উদাসীন হয়ে বা আবেশি ঢঙে সিগারেট খায়।
মাংসল- মাংস দিয়ে লেপটে আছে এমন
প্রতিবন্ধ গা- গা দিয়ে বাঁধা সৃষ্টি করা
যষ্টি বিহীন – লাঠি ছাড়া
দিন রাত্রি যার হয় না ক্ষান্ত- অন্ধ লোকের কাছে দিন রাত্রির শুরু এবং শেষ বলে কিছু নাই। কারণ তার কাছে দিন এবং রাত্রি একই
ঝকমারি – কোন অপরাধের জন্য অনুশোচনায় ভোগা
এইবার মিলিয়ে নিন। গল্পটার আরও সুন্দর ব্যাখ্যা করতে গেলে একটা সুন্দর গল্প দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু বেশী বড় হয়ে যাচ্ছে বলে এখানেই ক্ষান্ত দিলাম।
৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: খুব সুন্দর !
২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:১৭
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ অভি।
৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২০
মামুন রশিদ বলেছেন: পুরো গল্পটা বলার জন্য ধন্যবাদ বিদ্রোহী । হ্যাঁ, কিছুটা আঁচ পেয়েছিলাম বৈকি!
২৮ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৩৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আবারও কষ্ট করে পোস্ট ঘুরে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মামুন। অনেক ভালো লাগলো।
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:০৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: গত এক সপ্তাহ ধর অণুগল্প নিযে অনেক ভেবেছি, পড়ার চেষ্টা করেছি, আজকে আপনার কাছে শিখলাম অনেক কিছু, আপনার কাছে যেটা পেলাম সেটা সত্যিকার অর্থে কারো কাছে আমি পাইনি, সেটা হল ব্যাখ্যাটা, আপনি যেহেতু অনেক গভীর এর লেখক তাই অনেকেই আপনাকে ধরতে পারছিলনা, আপনি ব্যাখ্যা করে দিচ্ছেন অবলিলায়, এই গুণটা অনেক ভাল লেখক কিন্তু নেই, আপনাকে তাই সেলুট জানালাম, অন্তর থেকে বলছি, অণুগল্প আপনার হাতে স্বার্থক, খুবই ভাল থাকবেন, সেই কামনা করি
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২১
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার মন্তব্যে রীতিমত লজ্জায় পড়ে গেলাম বাকপ্রবাস। কিন্তু উৎসাহ পেলাম ভীষণ। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৫২
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: আমিও বলছি ভাই,
অণুগল্প আপনার হাতে সত্যিই স্বার্থকতা পেয়েছে,
একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে বলছি যদি মন্তব্যে ব্যাখ্যা না পেতাম একেবারে হিমশিম খেয়ে যেতাম ।।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:১৪
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনি যথেষ্ট ভালো পাঠক মনে হচ্ছে। কেউ কেউ তো পোস্টই ঠিক মতো পড়ে না। আপনি দেখা যায়, পোস্ট পড়ার পর, মন্তব্যও পড়ছেন। জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আমিই মিসিরআলি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:১৯
বটবৃক্ষ~ বলেছেন:
লাস্ট লাইনের মানে বুঝিনাই!!