নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল গণতন্ত্রের অবরুদ্ধতা!!! একজন সম্পাদকের অবরুদ্ধ জীবনের মাসপূর্তি!!! আমরা কোথায় যাচ্ছি???

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৬

ডিসেম্বরের প্রথম দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারকের স্কাইপ সংলাপ তার পত্রিকায় ছাপা হয়। পরে তার নামে করা হয় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা। গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে তিনি কারওয়ান বাজারে তার পত্রিকার অফিসে অবস্থান করছেন। রোববার তার এ ‘অবরুদ্ধ জীবনের’ এক মাস হতে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে নতুন বার্তা ডটকমের মুখোমুখি হন মাহমুদুর রহমান। সংশ্লিষ্ট নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তিনি তার মত প্রকাশ করেন অত্যন্ত খোলামেলাভাবে। সাক্ষাত্কারটি নিয়েছেন হাসান সাঈদ।

নতুন বার্তা ডটকম : আপনার অবরুদ্ধ দিন-রাত কেমন কাটছে?

মাহমুদুর রহমান : ৩০ দিন ধরে এ অবস্থা। এক্ষেত্রে পজিটিভ দিকও আছে। সবসময় পত্রিকায় সময় দিতে পারছি। একেবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ থাকছে। প্রায় দিনই রাত দুটো বেজে যায়। পড়ন্ত বেলায় সংবাদপত্র-জগতে এসেছি। শেখার যতটুকু ফাঁক তো ছিল সেটা এখন পূরণ করতে পারছি। আর একটা বিষয় হলো, এখন নিরিবিলি লিখতে পারছি। সামনের বইমেলায় আমার লেখা দুটো বই আসছে। আর একটা আসছে আমার সম্পাদনার বই। সেটা সুশাসন ও দুর্নীতি বিষয়ে।

আর অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকার একটা কষ্ট তো আছেই। সবসময় নিজেকে আবদ্ধ মনে হয়। যতটা না শারীরিকভাবে, তার চেয়ে মানসিকভাবেই যেন বেশি অবরুদ্ধ। নিজেকে আর স্বাধীন নাগরিক মনে হয় না। পরিবার থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন। পরিবারে আমার মা ও স্ত্রী আছেন। মায়ের বয়স ৭৫। এ বয়সে তার একমাত্র সন্তানকে ছেড়ে তিনি আছেন। এটা ভেবে খুবই খারাপ লাগে।

নতুন বার্তা ডটকম : অনেকে বলছেন, আপনি বাইরে বের হলে গ্রেফতার বা গুম হয়ে যেতে পারেন।

মাহমুদুর রহমান : হ্যাঁ, সঠিক ও বাস্তবসম্মত আলোচনা হচ্ছে। বাইরে থেকে গ্রেফতার, আর অফিস থেকে গ্রেফতার-এক্ষেত্রে আদর্শগত একটা পার্থক্য আছে। লড়াই করছি পত্রিকার সম্মান বাঁচানোর জন্য। দেখুন, একটা সংবাদপত্রের রিপোর্টারের কাজ হলো রিপোর্ট জমা দেয়া। আর সম্পাদকের কাজ রিপোর্টটি প্রকাশ করা হবে কি না সেই সিদ্ধান্ত নেয়া। আপনারা জানেন, সম্প্রতি আমার দেশ পত্রিকায় একটা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, রিপোর্টটি প্রকাশ করা দরকার। তাই সেটি প্রকাশ করেছি। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু সরকার আমার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় দিয়েছে। এর আগে ২০১০’র মাঝামাঝি সময়ে আমাকে গ্রেফতার করা হয় একজন নাগরিকের জিডির ভিত্তিতে। কিন্তু এবারের সিচ্যুয়েশন ভিন্ন। এবার আমার নামে মামলা করেছেন একজন আইনজীবী। যে ধরনের মামলা করা হয়েছে, তাতে আসামি জামিন অযোগ্য। প্রয়োজন মনে করলে সরকার যে কোনো সময় আমাকে গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু সেটা করছে না। এখানেই রহস্য। যদি বাইরে বের হই, তাহলে হয়তো সরকারের কোনো লোক আমাকে গুম করতে পারে। গুম করে হয়তো বলতে পারে, ‘না, আমরা তো গ্রেফতার করিনি।’ সে হিসেবে অফিসই আমার জন্য নিরাপদ।

নতুন বার্তা ডটকম : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন আপনার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ মানবাধিকার সংগঠনই নীরব। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

মাহমুদুর রহমান : এক্ষেত্রে আমার জবাব দেয়া কঠিন। জবাব ওই মানবাধিকার সংগঠনগুলোই ভালো দিতে পারবে। তবে আমার বক্তব্য হলো, এই সংগঠনগুলোতেও রাজনীতিকীকরণ হয়েছে। দেখা যায়, কোনো এক সরকারের সময়ে কোনো কোনো মানবাধিকার সংগঠন খুব তত্পর, আবার অন্য কোনো সরকারের সময় তাদের সেই তত্পরতা দেখা যায় না।

দিল্লির ঘটনাই ধরুন। সেখানে এক তরুণী যৌন নির্যাতনের শিকার হলো। এ ঘটনার পর বাংলাদেশেও এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু আমাদের দেশের নারীবাদী সংগঠন ‘জাতীয় মহিলা পরিষদ’ এক্ষেত্রে নীরব। তাদের কোনো অবস্থান এখানে নেই। নব্বইয়ের দশকে ইয়াসমিন লাঞ্ছনার ঘটনার কথাই ধরুন। সেসময় এ ব্যাপারে তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগ আন্দোলনে নামে। জাতীয় মহিলা পরিষদও ছিল ব্যাপক সক্রিয়। সেই মহিলা পরিষদ কিন্তু এবার নীরব। ......



পুরো সাক্ষাৎকার....

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিজেকে আর স্বাধীন নাগরিক মনে হয় না। পরিবার থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন। পরিবারে আমার মা ও স্ত্রী আছেন। মায়ের বয়স ৭৫। এ বয়সে তার একমাত্র সন্তানকে ছেড়ে তিনি আছেন। এটা ভেবে খুবই খারাপ লাগে। ......

সত্যকে এভাবে অবরুদ্ধ করলেই কি সত্য মিথ্যা হয়ে যাবে?????

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কিন্তু দুঃকজনক হল- ক্ষমতার অন্ধ চোখে কেউ এই সত্য গুলো দেখতে চায় না!

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

এমদাদুল কদির বলেছেন: সত্যকে এভাবে অবরুদ্ধ করলেই কি সত্য মিথ্যা হয়ে যাবে?????

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কে বোঝাবে কারে?

সময়ের কষ্টি পাথরে ঘষে নিরেট সত্যটাই শুধু টিকে থাকে।

অহমিকা, দম্ভ কখনো জয়ী হয়নি হবেও না।

গণতন্ত্র মুক্তি পাক- এই দুর্বিষহ অবস্থা থেকে

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নির্ভীক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানরা ঘরে ঘরে জন্মায় না ।
লং লিভ মাহমুদুর রহমান ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।

কিন্তু এই অবরুদ্ধ গণতন্ত্র আর কতদিন!!!!!

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

এম . এম ওবায়দুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ রইল

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবরুদ্ধ সময়ের অবরুদ্ধ ধন্যবাদ :)

ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধংশ হোক জালিমদের সাম্রাজ্য বাদি আগ্রাসন
মুক্তি পাক জনতার বাংলা
আর কত দুঃশাসনে এদেশের মাটি ও মানুস
হবে পুড়ে কয়লা

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: Thanks...
পরিবেশ বন্ধু ।

ধংশ হোক জালিমদের সাম্রাজ্য বাদি আগ্রাসন
মুক্তি পাক জনতার বাংলা
আর কত দুঃশাসনে এদেশের মাটি ও মানুস
হবে পুড়ে কয়লা

৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধংশ হোক জালিমদের সাম্রাজ্য বাদি আগ্রাসন
মুক্তি পাক জনতার বাংলা
আর কত দুঃশাসনে এদেশের মাটি ও মানুস
হবে পুড়ে কয়লা

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ।

নিশ্চয়ই এই দিন শেষ হবে। মানুষ মুক্তি পাবে অবরুদ্ধতা থেকে।

শুধু একজন সম্পাদক নন। মুক্তি পাবে সারা দেশ।

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২০

রহমান মাহমুদুর বলেছেন: আজ নতুন প্রজন্ম এক দল ভন্ডদের খপ্পরে, জালিমের পাজয় হবেই হবে, জালিম সরকার নিপাত জাক জয় বাংলা মুক্তিপাক।

৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩১

বল্টু মিয়া বলেছেন: আমার দেশ! তুই রাজাকার!! তুই রাজাকার!! X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.