নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনন্ত বস্তুহীনতায় অবস্তু বাস্তু সত্যে

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৯

ভাবতে ভাবতেই
ভাবনাটা এলো সহসা ।
বলোনা ফাকি দিতে বানিয়ে বলছি সত্যি
একটা সত্য সামনে আনতে চাই-

জানা-অজানা সত্য। অনুভবে যে কত পৌন:পুনিক মাত্রা!

আচ্ছা ধরো তোমায় যদি বলি –
ঈশ্বর তোমার সামনে এল!
যদি দেখো সেও খুবই আটপৌড়ে
তোমারই অবয়ব- তুমিময়!

কি চমকে গেলে খুব!!!

দূরে আছে বলেই আরাধনায় শান্তি আর তৃপ্তি!
তাকেই যদি কোলে পিঠে বসাও
একসময় শ্রদ্ধা করবে যেমন, ভালবাসবে; তেমনি -
আরেক সময় দুম করে পিঠে কিল বসিয়ে দেবে-নয়?

তখন ঈশ্বরত্ব বুঝি মানবিকতায় গুলিয়ে যাবে!

বিশ্বাস না হলে নামিয়ে দেখো ধরায়!
হাল কল্পনা করেও হাসি চেপে রাখা দায়!!!
আর যদি মনে করো তারই বিধান মতে
কোন ভাবে চার-স্ত্রী ধরিয়ে দেয়া যায়---

ভব ছেড়ে পালানোর আকুলি বিকুলি সে হবে ইতিহাস।

এইবার বলো: কি দূরে রাখবে?
না ধরার ধূলায় কোলে বসাবে আপ-স্বরুপে!

অথবা খুঁজবে প্রকৃত সত্য
ত্রিমাত্রিকতার সীমা পেরিয়ে অ-পদার্থ হয়ে
অনন্ত বস্তুহীনতায় অবস্তু বাস্তু সত্যে
পরম সময় গতি শক্তি আর সৃষ্টির মূলাধারে।


মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

জাহিদ অনিক বলেছেন:



ঈশ্বরকে নামাতে পারলে জিজ্ঞেস করতাম, অনন্ত বস্তুহীনতায় অবস্তু বাস্তু সত্যে এই নামের অর্থ কি !

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বস্তুবাদী চেতনায় অবস্তু ইশ্বর কল্পনা সীমিত। বস্তুগত সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ! তাই প্রকৃত ইশ্বর সন্ধানে অনন্ত বস্তুহীনতায় বিলিন হয়ে অবস্তুর অনুভূত সত্যকে অনুভব করা ;)
ত্রি মাত্রায় বসে নবম মাত্রার কল্পনা যেমন কেবলই কল্পনা ;)

অনেক অনেক ধন্যবাদ কবি :)

শুভকামনা

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

জাহিদ অনিক বলেছেন:

ইদানীং খুব আধ্যাত্মিক লেখা পাচ্ছি আপনার থেকে, কোথাও ডুব দিলে আমাকে সাথে নিয়েন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: :)

ডুব দিলেেতা আর ভাসতে চাইবেন না ভায়া! সে এমনই দারুন সত্য! আগে দায়মুক্তি ঘটান! পরে না হয় ডুবব ভাসব একসাথে :)

শুভকামনা অন্তহীণ

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কাব্যে সূফীবাদের প্রতিফলন। বেশ ভাল হয়েছে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লিটন ভায়া!
কেমন আছেন?

হুম। পরম গুরুর কৃপা অনুভবের সামান্য চেষ্টায় আছি :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৯

ইস টু ফিড বলেছেন: বাহ

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ

অনুপ্রাণ হয়ে রইল হৃদয়ে :)

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৬

এফ.কে আশিক বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাইয়ার মন্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি। খুব ভালো লেখেছে ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভায়া:)

অনেক অনেক বেশি ভাবনায় কাতর ছিলাম পোষ্টের আগে! আপনাদের মন্তব্যে বল ফিরে পাচ্ছি :)

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অন্তহীন

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩১

জাহিদ অনিক বলেছেন:
দায়মুক্তি থেকে সামন্যই পিছিয়ে আছি। হয়ে গেলেই ডুব। আর ভাসব না ।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওয়াহ! তবেতো মুক্তি মহাসোপানের খুব কাছেই আছেন :)

অভিনন্দন

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ঈশ্বরকে চার স্ত্রী সাধা? ইয়ে মাবুদ!

Mormon-রা অবশ্য বিশ্বাস করে যে ঈশ্বরের স্ত্রী আছে। তাও একাধিক। সেই বিশ্বাস থেকে তারাও একাধিক স্ত্রী রাখে।

ইংল্যান্ডে থাকতে তাদের পাল্লায় পড়েছিলাম একবার। যা সব স্মার্ট মেয়ে না!!! :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা- আসলে।
ইয়ে মাবুদ ;) রক্ষে কর

তা হয়ে যাক একদিন মর্মনদের স্মার্ট সব মেয়েদের কাহিনী ;)

অনেক অনেক ধণ্যবাদ ভ্রাতা
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯

প্রামানিক বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ঈশ্বরকে চার স্ত্রী সাধা? ইয়ে মাবুদ!

Mormon-রা অবশ্য বিশ্বাস করে যে ঈশ্বরের স্ত্রী আছে। তাও একাধিক। সেই বিশ্বাস থেকে তারাও একাধিক স্ত্রী রাখে।

ইংল্যান্ডে থাকতে তাদের পাল্লায় পড়েছিলাম একবার। যা সব স্মার্ট মেয়ে না!!!


ঈশ্বরের স্মার্ট স্ত্রীগুলো ইংল্যান্ডে থাকে। বিদ্রোহী ভৃগুর আধ্যাত্মিক কবিতায় সত্যপথিক শাইয়্যানের মন্তব্য পড়ে হাসি পেল।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

সে আর বলতে। হাসি যখন পেলই প্রাণখেুলে হাসুন।

অনেক অনেক ধণ্যবাদ ভ্রাতা :) শুভকামনা নিরন্তর

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: কবিতাটি কি আধ্যাত্মিক? ভালো লাগলো।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তবেতো কবি ষোলআনাই ব্যার্থ! পাঠক যদি ধরতেই না পারে কাব্য মর্মার্থ :)

গভীর গহন সত্যানুসন্ধানে ভাবনা চারিতা!

আমাদের বস্তুগত দেহ আর মন নিয়ে পরম ইশ্বরের কল্পনা কতটা অসাধ্য তাই অনুভবের চেষ্টা
পিপড়া যেমন তার অবস্থান থেকে একজন মানুষকে কল্পনা করতে পারেনা। আমরা ত্রিমাত্রার জীব !
তাই মাত্রা না পেরুলে আমরা্ও সত্যকে অনুভব করতে পারব না।

সেই অনন্ত বস্তুহীনতায় প্রকৃত সত্য সন্ধ্যানে যাত্রার আহবান

অনেক অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: সাবাস গুরু, আধ্যাত্মিক কবিতা !!! কবিতা ভাল লাগলো।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৪

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার কবিতা পড়ে জালালুদ্দিন রুমির একটি কথা মনে পড়ল, 'What a relief to be empty! Then God can live your life.'

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন সব সত্যকে দারুন নান্দনিকতায় বলে গেছেন মাওলানা রুমি :)

উনার চরনে শ্রদ্ধা।
অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা আপনার জন্য

১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আধ্যাত্মিক কবিতা !!! কবিতা ভাল লাগলো।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া :)

গহন গভীর অনুভব ছোঁয়ার ক্ষুদ্র চেষ্টা

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান

১৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমি শেষের দলে!!


অপদার্থ হয়েই ঈশ্বরকে খুঁজতে চাই!!:)


+

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন! অভিনন্দন :)

পদার্থের সসিম সীমায় বসে কল্পনাও দুঃসাধ্য ! তাই পদার্থকে ফানা বা বিলিন করেই সেই পরমের রুপরেখা যদি কিছুটা মেলে :)
আলো আর শক্তির সম্মিলিত মিনিং নূর! আগুন, মাটি, পানি, বাতাসের এই বস্তুগত দেহকে পরিশুদ্ধ করলেই তার সন্ধান মেলে।
তখনি ভিসা মেলে অসীম দর্শনের সন্ধানে পথ চলার :)

শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা সব সময়

১৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: মুখের কথার সাথে কর্ম অনেকদূরের পথ।
এমন “অপদার্থ” হওয়ার কথা শুনতে আর পাঠ করতেই ভালো লাগে ।
জীবনে প্রয়োগ করতে পারে কতজনে?

ফানাফিললাহ স্তর আপন অন্তরের গভীরেই নিহিত আছে। প্রতিনিয়ত তওবার মাধ্যমে অন্তর ভারমুক্ত হতে হবে সবার আগে ।

অপদার্থ — —অনেকদূরের পথ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুখের কথার সাথে কর্ম অনেকদূরের পথ - যেমন বাহ্য দেখা আর তৃতীয় নয়নে দেখা্য রয় যোজন ব্যবধান !

কর্পোরেট বাস্তু চোখ যখন অর্থ দিয়ে সব মাপে তখন অ-পদার্থ সত্য দৃষ্টির আড়ালেই রয়ে যায়!
পোষাকী রুপে বাহ্য তৃপ্তি মিল্লেও সত্য দিল্লিদুরাস্ত!
অপোষাকি রূপ অপদার্থের মতোই- নিজে ঐ স্তরে না পৌছানো পর্যন্ত অদৃশ্যই রয় :)

হুম। ফকিরের কাছে চেয়ে খায় সাধু রহস্যের মতো দুরাস্ত দূর।

১৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৫

রাবেয়া রাহীম বলেছেন:
বলে কয়ে কেউ কি ঐ স্তরে পৌঁছতে পারে!!! ঐ স্তর পুরোটাই মানবের কর্মের উপর
নির্ভর করে! কেউ পারেও না অন্য কাউকে সেই স্তরে পৌছে দিতে।
যার যার ইয়া নাফসি এক্ষেত্রে কার্যকর

কর্পোরেট আর অর্থ এখানে অহেতুক কথা। অর্থের বাইরে কেউ না।
কখনোও সাধুরও অর্থের প্রয়োজন অনেক বেশী হয়। তাই এসব কথা বাহুল্য মাত্র ।

আল্লাহ বলেছেন — তিনি যাকে পছনদ করেন তাকেই সীমাহীন রিজিক
দান করে থাকেন।

ফকির তো সবাই , সাধু কেনো এর বাইরে হবে??

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ :)

সবার ভাবনা তার জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ! আর জ্ঞান এমন জিনিষ অর্জন করে নিতে হয় সাধনায়, গুরুর কৃপায়!
যার যার ইয়া নাফসি স্থুল সাধারন মানুষের চেতনা। যে নিজেকে জানেনা, চিনেনা।
যিনি মুর্শিদ, যিনি সম্যক গুরু তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই পৌছে দিতে পারেন সেই স্তরে।

আল্লাহ বলেছেন — তিনি যাকে পছন্দ করেন তাকেই সীমাহীন রিজিক দান করে থাকেন।
হা হা হা
বিষয়টা এত সহজ হলে তবেতো সকল দুর্নিতী বাজ, চোরাকারবারি ধনবান, সকল অবৈধ অর্থের মালিকেরা দায় মুক্ত!!!!
আসলেই কি তাই?

ফকিরি দুই অর্থে প্রচলিত।
সাধারনে ধনহীনতাকেই ফকিরি বলে, আর সধনায় সর্বোচ্চ স্তর হল ফকিরি
ফকিরি অর্জন সবচে কঠিন

শুভ কামনা অফুরান

১৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ আমাদের বস্তুগত দেহ আর মন নিয়ে পরম ইশ্বরের কল্পনা কতটা অসাধ্য তাই অনুভবের চেষ্টা
পিপড়া যেমন তার অবস্থান থেকে একজন মানুষকে কল্পনা করতে পারেনা। আমরা ত্রিমাত্রার জীব !
তাই মাত্রা না পেরুলে আমরা্ও সত্যকে অনুভব করতে পারব না।

সেই অনন্ত বস্তুহীনতায় প্রকৃত সত্য সন্ধ্যানে যাত্রার আহবান


ভাবনা উদ্রেক করিল....

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুণ !
নির্যাস টুকু সহজেই বিবৃত করলেনঃ) কৃতজ্ঞতা

ভাবনার উদ্রেক হয়েছে জেনে ভাল লাগল :)
সত্য সন্ধ্যানে যাত্রায় অগ্রিম অভিনন্দন :)

১৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: শেষের তিনটা লাইন অসাধারণ।

আপনে ইদানীং সুফিতত্বে সাঁতার কাটতাছেন নাকি?

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এতো অস্থিত্বের প্রশ্ন!
হিমোগ্লোবিন যেমন রক্ত থেকে পৃথক নয় - - সত্য সাধনা আর প্রকৃত আত্মার তেমনি ভিন্নতা থাকেনা!
আমি আত্মার সন্ধানে ব্যকুল ছুটছি

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান

১৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কবিতাটা পড়ে বোঝাই যাচ্ছে, আপনার ভাবনার স্তর এ আসরের সাধারণ কবি লেখকদের ভাবনার স্তরের চেয়ে অনেক ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। তাই অনেকেই হয়তো কবিতার মূল বক্তব্যের সাথে নিজের ভাবনাকে প্রয়োগ করতে পারছেন না।
ঈশ্বরত্ব এবং মনুষ্যত্ব সাধারণ চিন্তায় এক হতে পারেনা। মানুষ তার চিন্তা চেতনায় নিজেকে ঈশ্বরের মাঝে বিলীন করে দিতে পারলেই (ফানাফিল্লাহ) কি ঈশ্বর এসে তার দেহে প্রবেশ করে? কঠিন ভাবনা! ভাবতে গেলেও মাথা ঘুরে যায়।
আমার বাবাকে দেখেছিলাম, শেষ বয়সে এসে তিনি ইমাম গাজ্জালী'র বই পড়তে পড়তে কেমন যেন অস্থিরচিত্ত হয়ে যেতেন। ইমাম গাজ্জালী'র এহইয়া উলুমুদ্দীন, তাহাফাতুল ফালাসিফা, কিমিয়ায়ে সা'আদাত, হাকিকাতুর রুহু, দাকায়েকুল আখবার,.. প্রভৃতি বই তিনি যথেষ্ট প্রস্তুতি না নিয়ে পড়তে নিষেধ করেছিলেন।

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমিই হয়তো ব্যর্থ সরল ভাবে সরল সত্যটা তুলে ধরতে!
আমার কাছে জলবত তরলং হলেই তা সবার হবে তা তো নয়! কারন আমার জিগিষায় যুগান্ত সাধনায় জ্ঞান পাবার পরি মনে হয়- আরেহ এটাই তো সত্যি! এটাইতো খুজছিলাম! ইয়েস।। গট ইট!
কিন্তু সকলের তা হবে কেন? তাই ব্যর্থতাটুকুর দায় মাথা পেতে নিলাম।

ফানাফিল্লার দারুণ সত্য আর তৃপ্তির স্বাদ যদি পেত মানুষ আর সব ভুলে তার সন্ধানেই উদ্গ্রীব হতো। ;) খুবই লজিকাল আর দারুণ জ্ঞান্ময় এক জগত। নিমন্ত্রন রইল :)

আপনার দারুন অনুভবে প্রীত! আর আপনার বাবা ঠিকই বলেছেন! যথেষ্ট প্রস্তুতি না নিয়ে পড়াগদ উচিত! কারন পুরা সৃষ্টি সমন্বিত। বিচ্ছিন্ন জ্ঞানে তার সমন্বয় কঠিনি নয় অসম্ভব।


১৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪২

খায়রুল আহসান বলেছেন: আলো আর শক্তির সম্মিলিত মিনিং নূর! আগুন, মাটি, পানি, বাতাসের এই বস্তুগত দেহকে পরিশুদ্ধ করলেই তার সন্ধান মেলে। তখনি ভিসা মেলে অসীম দর্শনের সন্ধানে পথ চলার - বাহ, ভাবতেও ভাল লাগছে!
সময়, গতি আর শক্তি - এগুলো কি মানুষ তার নিজের আয়ত্তে আনতে পারে, ঈশ্বরের সাহায্য ছাড়া?
১১ নং মন্তব্যে মাওলানা জালালুদ্দিন রুমির কথা, 'What a relief to be empty! Then God can live your life.' উদ্ধৃত করার জন্য আখেনাটেন কে ধন্যবাদ। +
রাবেয়া রাহীম এর মন্তব্যদুটো এবং আপনার প্রতিমন্তব্য ভাল লেগেছে। +

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে প্রীত বোধ করছি :)

না ইশ্বরের সাহায্য ব্যতিরেকে নয়! কিন্তু তিনি কোরানে আহবান করেছেন- যদি আস্তে চাও এসো, আমার সাহায্যে এবং অনুমতিক্রমে!
তুমি আস্তে পারবে। সে এক বিস্ময়কর জগত!

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আর শুভকামনা দারুণ মুলায়্যনে, দারুণ আলোচনায় :)

২০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

জেন রসি বলেছেন: কসমিক ভালোবাসার অনুসন্ধান। তবে অ-পদার্থ হতে গিয়ে অপদার্থ হয়ে গেলে মুশকিল। ;)

ভালো লিখেছেন। প্লাস। :)

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

হাইফেন ছাড়াই যে সমাজ বোঝাই!!!! ;) তাইতো এত্ত সমস্যা!

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা :)

২১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৯

সুমন কর বলেছেন: গভীর গহন সত্যানুসন্ধানে ভাবনা চারিতা! -- পড়ে ভালো লাগল।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুমন দা'

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.