নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিপ স্টেট : রাষ্ট্রের ভেতরে রাষ্ট্র

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

ডিপ স্টেট’ কে বাংলায় ‘ছায়া রাষ্ট্র’ বা ‘গুপ্তরাষ্ট্র’ বলা যেতে পারে।

ডিপ স্টেট কী?
রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি সমান্তরাল রাষ্ট্র, সমসাময়িক রাজনীতি বিজ্ঞানে একে “deep state” নামে অভিহিত করা হয়। এ ধরনের রাষ্ট্রে পর্দার অন্তরালে একগুচ্ছ রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি সক্রিয় থাকে যারা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সাধারণভাবে বোঝানো হয়, এটা হলো দৃশ্যমান সরকারের বাইরের বা পেছনের সরকার। এই অদৃশ্য সরকার নির্বাচিত প্রতিনিধি সরকারের প্রদত্ত হুকুম, পরামর্শ বা বক্তব্য শোনে। কিন্তু বাস্তবায়ন করে নিজেদের হিসাব অনুসারে।

উইকিতে ডিপ স্টেট’ কে ছায়া সরকার (ষড়যন্ত্র) বলে অনুবাদ করা হয়েছে।


ছায়া সরকার হচ্ছে এক গুচ্ছ ষড়যন্ত্র তত্ত্ব যা এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয় যে, বাস্তব ও প্রকৃত রাজনৈতিক ক্ষমতা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধির দ্বারা গঠিত হয় না (যেমন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেস), বরং বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা গঠিত হয় যারা পর্দার আড়ালে থেকে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নজরের বাইরে থেকে ক্ষমতার চর্চা করেন। এই বিশ্বাস অনুসারে, আনুষ্ঠানিক নির্বাচিত সরকার এই ছায়া সরকারের অনুগত হয় যেখানে এই ছায়া সরকার সকল নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হয়।

ছায়া সরকার তত্ত্ব প্রায়ই প্রস্তাব করে যে, সরকারকে গুপ্তভাবে বৈদেশিক সত্ত্বা (যেমন এলিয়েন, দ্য ভ্যাটিকান এবং জেস্যুটস), আভ্যন্তরীন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় (যেমন ইহুদি, করপোরেট সমাজ ও সেন্ট্রাল ব্যাংক বা ফ্রিম্যাসোন) বা কোন বৈশ্বিক অভিজাত ও রাষ্ট্রাতিগ প্রতিষ্ঠান (নিও ওয়ার্ল্ড অর্ডার ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনুসারে সুপ্রান্যাশনাল অরগানাইজেশন) দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয় যারা রাষ্ট্রের নীতিতে হস্তক্ষেপ করতে চায় বা বিশ্বকে জয় করতে চায়।

এর পেছনের কারন বা সম্ভাব্য সুত্র, বিষয় বা নিয়ামক হিসেবে যে সব শব্দ, নাম বা তত্ত্ব বেশি আলোচিত তেমনি কিছু বিষয় হল
• পঞ্চম বাহিনী, নব্য বিশ্ব ব্যবস্থা (রাজনীতি), সিংহাসনের পেছনে ক্ষমতা, পুতুল রাষ্ট্র, স্মোক-ফিলড রুম, হলি সি, জেসুইট
ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, দ্য প্রোটকল অব দ্য এল্ডারস অব জায়ন,
• করপোরেটতন্ত্র, • ম্যাসোনিক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, • নব্য বিশ্ব ব্যবস্থা (ষড়যন্ত্র তত্ত্ব), • বিশ্ব কর্তৃত্ব

ছায়ারাষ্ট্রের আধুনিক স্থপতি ডেভিড রকফেলার ১৯৭৩ সালে ৮৭ জন ধনী, ক্ষমতাবান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নিয়ে ট্রাইলেটারাল কমিশন তৈরি করেছিলেন। নতুন বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এরা কাজ শুরু করেন। এরা ইউরোপ-আমেরিকার বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং এই কমিশনের সদস্যদের কেউ-না-কেউ আমেরিকা-ইউরোপে ক্ষমতায় গেছেন। যেমন জিবনিউ ব্রেজিনস্কি, যিনি প্রেসিডেন্ট ওবামার শিক্ষক ছিলেন। ব্রেজিনস্কি ট্রাইলেটারাল কমিশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা। এই কমিশনের সদস্য লুকাস পাপাডোমস এবং মারিও মন্টি যথাক্রমে গ্রিস ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এই কমিশনের সদস্যরা বিশ্বব্যাংকে প্রেসিডেন্টদের বেশির ভাগ। বুশ, ক্লিনটন, ডিক চেনি, আল গোরও এই কমিশনের সদস্য হিসেবে বিশ্বঅর্থনীতি এবং রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন; এখনো করছেন।


ইতিহাস
ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত রচনাগুলো একটি গুপ্ত সরকারের অস্তিত্বকে ধরে নেয়া হয় যা আপাত সরকারের পেছনে আসল ক্ষমতার অধিকারী। এরকম রচনার মধ্যে ড্যান স্মুট, উইলিয়াম গাই কার, জিম মারস, ক্যারল কুইংলি, গ্যারি অ্যালেন, অ্যালেক্স জোনস, ডেস গ্রিগিন, জি. এডোয়ার্ড গ্রিফিন, ডেভিড আইক এবং দ্বিতীয় মাইকেল এ. হফম্যান এর রচনা রয়েছে। এই লেখকদের মধ্যে কেউ কেউ বিশ্বাস করতেন, এই গুপ্ত সরকারের সদস্যরা কাউনসিল অব ফরেইন রিলেশনস, রয়াল ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ারস, দ্য ট্রাইলেটারেল কমিশন, দ্য বিল্ডারবার্গ গ্রুপ, সিআইএ এবং এমআই৬ এর প্রতিনিধিত্ব করতে পারে বা এদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে। এক্ষেত্রে এরা আন্তর্জাতিক ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান যেমন বিশ্ব ব্যাংক এবং ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট এর সহায়তা নিতে পারে। এই ধারণাটি যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় টেলিভিশন শো দ্য এক্স-ফাইলস দ্বারা জনপ্রিয় হয়।

মিল্টন উইলিয়াম কুপার দাবী করেন, ছায়া সরকার বহির্বিশ্বের এলিয়েনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। ১৯৯১ সালে তার প্রকাশিত গ্রন্থ বিহাইন্ড এ পেল হর্স "ইউএফও এবং মিলিশিয়া সারকেলে" প্রভাবশালী ছিল। বইটিতে "গুপ্ত বিশ্বের সরকারের কার্যাবলি" এবং "যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের উপর ইলুমিনেটির যুদ্ধের ঘোষণা সংক্রান্ত বিভিন্ন গুপ্ত কার্যাবলি" সম্পর্কে বর্ণনা দেয়া হয়। কুপার দাবী করেন তিনি যখন নেভিতে কাজ করেন তখন একটি গুপ্ত নথি দেখেন যেখানে এলিয়েনদের সাথে সরকারের বিভিন্ন চুক্তির বিষয়ে বর্ণনা ছিল। কুপার ইলুমিনেটির ধারণাকে তার বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত করেন এবং দাবী করেন, বহির্বিশ্বের এলিয়েনরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাথে গুপ্তভাবে জড়িত। তিনি ১৯৫৪ সালে ডিউইট ডি. আইজেনহাওয়ারকে এলিয়েনদের সাথে মধ্যস্থতা করা, ইলুমিনেটির একটি অভ্যন্তরীন চক্র প্রতিষ্ঠা করে তাদের সাথে সম্পর্কের ব্যবস্থাপনা এবং জনগণের কাছ থেকে এসব গোপন রাখার জন্য অভিযুক্ত করেন। কুপার বিশ্বাস করতেন, এলিয়েনরা বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠন, ধর্ম, জাদু, উইচক্রাফট এবং কাল্টের দ্বারা মানবজাতিকে শাসন ও প্ররোচিত করে। এমনকি ইলুমিনেটিও নিজেদের অজান্তেই এলিয়েনদের দ্বারা প্রভাবিত হয়।


কুপার ইলুমিনেটিকে গুপ্ত আন্তর্জাতিক সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করেন, যাকে দ্য বিল্ডারবার্গ গ্রুপ দ্বারা ন্নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এটি নাইটস অব কলম্বাস, মেসনস, স্কাল এবড বোন্স এবং অন্যান্য সংগঠনের সাথে মিলে ষড়যন্ত্র করে। তার কথায় এর চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে, নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বা নব্য বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। কুপারের মতে, ইলুমিনেটি ষড়যন্ত্রকারীরা কেবল তাদের নিজেদের স্বার্থ অর্জনের জন্যই এলিয়েন হুমকি আবিষ্কার করে নি, বরং বিশ্বকে দখল করতে সক্রিয়ভাবে এলিয়েনদের সাথে মিলে (বা এলিয়েন দের নামের আড়ালে নিজেদের বিশ্ব ক্ষমতার গোপন লিপ্সাকে লুকানোর) ষড়যন্ত্রে জড়িত। কুপার বিশ্বাস করতেন জেমস ফরেস্টালের বেথেসডা হাসপাতালের ষোল তলার জানালা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি ম্যাজেস্টিক-১২ নামের একটি গুপ্ত কমিটির কারসাজি ছিল এবং জেসন এডভাইজরি গ্রুপের বিজ্ঞনীরা ট্রাইটেরিয়াল কমিশন এবং কাউন্সিল অব ফরেইন রিলেশন এর নির্বাহী কমিটি মেম্বারদেরকে সবসময় রিপোর্ট করে যারা ইলুমিনেটির উচ্চপদস্থ সদস্য।

এর চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের সাবেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মাইকেল লোফগ্রেন তার ‘দি ডিপ স্টেট : দি ফল অব দি কনস্টিটিউশন অ্যান্ড দি রাইজ অব শ্যাডো গভর্নমেন্ট’ এ তিনি বলেছেন, "এই ছায়ারাষ্ট্রের সদস্যরাই নির্বাচনে সাহায্য করে; নির্বাচিতদের তথ্য দিয়ে তাদের নীতি ও কর্মপন্থা এমনভাবে নির্মাণ করিয়ে নেয় যেন অবশেষে তারাই এর ভোক্তা হতে পারে। অর্থাৎ এরা শাসন-শোষণ-নির্বাচন করে থাকেন নিজেদের জন্য, তবে অপরের নামে।
এরা কিন্তু পেছনের দরজা দিয়ে আসেননি। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সরকার তৈরি করে আইন প্রণয়ন করে এই গোষ্ঠীর সৃষ্টি করেছেন। এরা প্রতিষ্ঠান বা এসটাবলিশমেন্ট বলে পরিচিত, যার ওপর ভর করে থাকতে হয় সবাইকে।

লেখক জর্জ ফ্রিডম্যান এই স্টেটের ইতিহাস বর্ণনা করে বলেছেন, এর জন্ম সরকার এবং ক্ষমতা ব্যবস্থার উদ্ভবের সাথে সাথে। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতরা তাদের বশংবদদের দিয়ে যে প্রশাসনব্যবস্থা নির্মাণ করে, তারাই ছায়ারাষ্ট্র।

এই প্রশাসন ব্যবস্থা গঠন করার প্রস্তাব দেন জার্মান অর্থনীতিবিদ-আইনজ্ঞ কার্ল সুজ। তিনি বলেন, সরকার পরিচালনার জন্য অরাজনৈতিক কর্মীবাহিনীর প্রশাসন থাকা উচিত। এরা রাজনৈতিক নির্দেশে চলবে। তবে তাদের মেধাবী হতে হবে। পরে পরীক্ষার মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসের আবির্ভাব ঘটে এবং ধাপে ধাপে তাদের অবস্থানকে সংহত-সুদৃঢ় করে। ফলে ইচ্ছে করলেই এদের সরানো সহজ নয়। দৃশ্যত সিভিল সার্ভিস রাজনৈতিক ইচ্ছার অনুগত হলেও তারা নিজেদের এজেন্ডাই বাস্তবায়ন করে থাকে। এ জন্য এখন প্রায়ই দেখা যায়, প্রাক্তন সিভিল সার্ভিসের সদস্যরা রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন এবং ক্ষমতাসীন দলসহ সব রাজনৈতিক দল তাদের সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। এর প্রধান কারণ, এদের মাধ্যমে ডিপ স্টেটকে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

এই এসট্যাবলিশমেন্ট সরকারি-বেসরকারি এবং অন্য সব সংস্থার সর্বস্তরে অবস্থিত। এসব প্রতিষ্ঠানের নীতি, কর্মপন্থা বা কর্মকাণ্ড প্রস্তুত এবং বাস্তবায়ন তারাই করে থাকেন; যদিও এগুলো প্রচারিত হয়ে থাকে জনপ্রতিনিধি বা জনগণের সেবকদের নামে। এ জন্য দেখা যায়, কোনো এক সময়ে এসব কর্মকাণ্ডের দায়ভাগ নিতে হয় জনপ্রতিনিধিদের। ফলাফল বিরূপ হলে দায়ভার পুরোটাই প্রতিনিধিদের ওপর চাপানো হয়।

এই ছায়ারাষ্ট্রই নির্ধারণ করে কোন রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠী ক্ষমতায় যাবে। এই নির্ধারণের মূল মাপকাঠি হলো কতটুকু সুবিধা বা সুযোগ এই ক্ষমতা প্রত্যাশি দল ক্ষমতায় গিয়ে তাদের দিতে পারবে। অতীতে এই প্রশ্নটি ছিল সরাসরি শক্তির । শক্তিমানেরা ক্ষমতা সরাসরি দখল করে অস্ত্রের সাহায্যে তা রক্ষা করত। প্রতিপক্ষ তাদের চেয়ে শক্তিশালী হলে তারা ক্ষমতাচ্যুত হতো বলপ্রয়োগের মাধ্যমে। এখন এটা হয় বুদ্ধিচর্চার মাধ্যমে। যার নাম কখনো নির্বাচন।, কখনো সংস্কার, কখনো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। আবার স্বার্থ যখন রক্ষিত হয় তখন রাজতন্ত্রেও তাদের আপত্তি থাকেনা। যেমন সৌদি আরব!

এই ছায়া রাষ্ট্র নিজেদের প্রয়োজনীয় তথ্য-সূত্র সুবিধাগুলো আহরণ বা নির্মাণ করে রাষ্ট্রের অর্থ, উপযোগিতা ও সেবা ব্যবহার করেই। কখনো কখনো এই সেবা ব্যবহারের আকার বিস্ময়কর। সেজন্য এসব ব্যবহারের প্রয়োজনও তারা তৈরি করে। এসব উদ্দেশ্যে তারা নানা অভাবিত ঘটনা পেছন থেকে ঘটিয়ে থাকে। যেমন, নাইন ইলেভেন, লিবিয়ার গাদ্দাফি, ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের পতন। ঘটনাগুলো ঘটানো হয় তখন, যখন ঋণগ্রস্ত মার্কিন সরকার প্রায় অচল হয়ে পড়ে; বা সরকার ভীষন রকম অজনপ্রিয় হয়ে পড়ে। বা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে; তখন জনগণের অসন্তোষকে, দৃষ্টিকে অন্য পথে চালানোর জন্য এ ধরনের আক্রমণ চালানো হয়, ঘটনা ঘটানো হয়।

তারা মনে করলো তাদের স্বার্থ সংরক্ষনের জন্য প্রয়োজন সারা বিশ্বের তথ্য সংগ্রহ করা, তারা জনগণকে বোঝাল, বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সবার তথ্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এ জন্য ১৭০ কোটি ডলার খরচ করে ইউটাহতে ১৭টি ফুটবল মাঠের সমান একটি দালান নির্মাণ করেছে ২০০৭ সালে। এই ভবনে যে কম্পিউটার আছে তাতে এক ইওটাবাইট তথ্য আছে। অর্থাৎ ৫০০ কোটি লাখ পাতায় যে তথ্য থাকে, তার সমান। অন্য কথায়, এখানে বিশ্বের প্রতিটি মানুষের তথ্য পাওয়া যাবে। এই ছায়ারাষ্ট্র ওয়াশিংটনে ৩৩টি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে। এক কোটি ৭০ লাখ বর্গফুটে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৮,৫৪,০০০ বেসরকারি গোয়েন্দা কাজ করে যাচ্ছে। তারা দেশের এবং বিশ্বের প্রয়োজনীয় সব প্রতিষ্ঠান ও মানুষের তথ্য অনুসরণ করে।



এই ছায়া সরকার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে অত্যন্ত প্রাধান্য দেয়। মনোবিজ্ঞানী ড. আয়ারভিং এল জানিস বলেছেন, এই কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে গিরগিটির রঙ পাল্টানোর মতো প্রার্থিত জনগোষ্ঠীকে এক কাতারে আনা যায়। এর নাম দিয়েছেন ‘গ্রুপ থিংক’। তখন এদের যা বলা হয়, তাই মেনে নেয়। তাই দেখা যায়, এই কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে সরকার এবং বিভিন্ন গোষ্ঠী নানা দিন পালন করে, অনেক স্মৃতিসভা করে, অযথাই মিছিল, আনন্দের আয়োজন করে। ড. আয়ারভিং বলেছেন, এসব ভড়ং এক দিকে জনগণের চিন্তা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে, অপর দিকে এক বিরাটসংখ্যক অনুসারী সৃষ্টি করা এবং খুশি করা সম্ভব।

এই ডিপ স্টেট কিন্তু পুরো সরকার নয়। লোফগ্রেন দেখিয়েছেন, এরা মূলত জাতীয় প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা সংস্থা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিচার বিভাগ এবং অর্থ বিভাগের একাংশের সমন্বয়ে গঠিত। এরা বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিজেদের মাঝে গোপন ও স্বতঃস্ফূর্ত যোগাযোগ রক্ষা করে। বৈদেশিক মন্ত্রণালয়কে হাতের পাঁচ আঙুলের মতো ব্যবহার করা হয়। যদি কোনো রাজনীতিবিদ ভুলে যান তার লাইনটি, এ সংস্থাগুলো তড়িৎগতিতে তা স্মরণ করিয়ে দিতে ভোলে না।

লোফগ্র্রেনের একটি তথ্য অত্যন্ত মূল্যবান। ডিপ স্টেট দু’টি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। তা হলো অপরিহার্য জাতীয় নিরাপত্তা এবং বাণিজ্যিক সংস্থার আধিপত্য।

জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে ডিপ স্টেট জনগণের সাধারণ অধিকারটুকুও ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের একটি ভীতির রাজ্যে নীত করে। নিরাপত্তার নাম বলে তারা রাষ্ট্রকে নানা সঙ্ঘাতে জড়িয়ে ফেলে আর্থিক সুবিধা লুটে নেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট এই ডিপ স্টেট সম্পর্কে এক প্রণিধানযোগ্য মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রকাশ্য সরকারের পেছনে সিংহাসনে আসীন থাকে এক অদৃশ্য সরকার যার জনগণের প্রতি কোনো দায়িত্ব নেই ও আনুগত্যও নেই।’

অ্যাটর্নি ও লেখক জন ডাবলু হোয়াইটহেড তার ‘ব্যাটলফিল্ড আমেরিকা : দি ওয়্যার অন আমেরিকান পিপল’ বইতে দেখিয়েছেন এই ডিপ স্টেটের সদস্যরা- মিলিটারি, পুলিশ, সংগঠিত অপরাধী সংস্থা, সরকারি কর্মচারীরা ক্ষমতাবান হচ্ছেন এবং ধনসম্পদের মালিক হচ্ছেন। সংবিধানে বিধৃত জনগণের ‘উই দি পিপল’ বলে অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ডিপ স্টেট আসলে পুলিশি রাষ্ট্র বলতে যা বোঝা যায়, সত্যিকারভাবে তাই সৃষ্টি করেছে। অধিকারহীন জনগণ অসহায় এবং প্রায় অনুপস্থিত। তিনি বলেছেন, ‘এ অবস্থা বিরাজ করছে বিশ্বের সব দেশে এবং এটা অপরিবর্তনীয়।’

এটা অপরিবর্তনীয় এ জন্য যে, বিশ্বে এখন ‘নির্বাচিত’ সরকারের পরিবর্তনের সময় একটি স্বল্পকালীন সরকার থাকে। তারা এই স্টেট। এরাই নির্বাচন পরিচালনা করে এবং দৃশ্যত ক্ষমতা বদল করে। আসলে আড়াল থেকে এরাই সব কলকাঠি নাড়ছে। হোয়াইটহেড বলেছেন, ‘অবস্থা অপরিবর্তনীয় হওয়ার আর একটি কারণ এই স্টেটের শাসনে ধনী আরো ধনী হয়, গরিব হয় আরো গরিব, মিলিটারি আরো যুদ্ধবাজ হতে পারে। অশান্তি জিইয়ে রেখে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারে।’


ডিপ স্টেট নিজেদের আরাম-আয়েশ-নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। হোয়াইটহেড তথ্য দিয়েছেন, ‘যদি আণবিক যুদ্ধ হয় তার ফলাফল থেকে প্রেসিডেন্সিকে বাঁচানোর জন্য ব্লুমন্টের কাছে মাউন্ট ওয়েদারে মাটির নিচে এক বিশাল শহর তৈরি রাখা হয়েছে। বিপদের সময় ডিপ স্টেটের অধিবাসীরাই সেখানে থাকবে, জনগণ নয়।


ডিপ স্টেটের প্রধান অঙ্গ হলো গোয়েন্দা বাহিনী। এর বিস্তৃত ও বিশাল বর্ণনা পাওয়া যায় ট্রেভর আরনসনের বই ‘দি টেরর ফ্যাক্টর’। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ডের চমৎকার বর্ণনা রয়েছে এ বইটিতে। বিশেষ করে এফবিআই এবং সিআইএ’র কর্মপন্থার একাংশের বর্ণনা। সংস্থাদ্বয়ের আছে বিশাল বাজেট ও লোকবল এবং এদের কর্মপরিধি বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের সব দেশের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বা সাথে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। বইটিতে ‘ম্যানুফ্যাকচারিং টেররিস্ট’ আলোচনায় ট্রেভর দেখিয়েছেন, কাউন্টার টেরোরিজমের নামে অবিশ্বাস্য কর্মকাণ্ড করা হয়ে থাকে।

আরনসন অনুসন্ধানে পান ‘এফবিআই সন্ত্রাস দমন বা প্রতিরোধের পরিবর্তে প্রান্তিক, হতাশাগ্রস্ত, বেপরোয়া, মানসিক অসুস্থ বা অপরিপক্বদের মাঝ থেকে মানুষ সংগ্রহ করে সন্ত্রাসী বানায়। অন্য কথায় এফবিআই যে শত্রু দমনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত, তারা বরং সেই শত্রু নির্মাণে পটু।’ দেখা গেছে, তাদের চিহ্নিত সাজাপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীরা তাদেরই একসময়ের কর্মী। এবং এই কর্মকাণ্ড নিরবচ্ছিন্নভাবে সারা বিশ্বে, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে চলছে।

ডিপ স্টেটের একটি প্রিয় কর্মকাণ্ড হচ্ছে যুদ্ধ। তারা নানা বিষয়ের উদ্ভাবন করে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মাঝে যুদ্ধ, অভ্যন্তরীণ সঙ্ঘাত, সামাজিক অশান্তি উসকে দেয় এবং এর ফলের জন্য অপেক্ষা করে। ফল হলো, তাদের অর্থ ও ক্ষমতা লাভ। হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আর জে রুমেল তার ‘ডেথ বাই গভর্নমেন্ট’ বইতে আধুনিক কালের বিভিন্ন সঙ্ঘাত-যুদ্ধে ১৯০০ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে ১৬ কোটি লোক নিহত হয়েছে বলে এক অনুসন্ধানী তথ্য প্রকাশ করেন। এদের মাঝে সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহত হয় চীনে, এরপর রাশিয়ায় এবং জার্মানিতে। চীনে মৃতেরে সংখ্যা উল্লেখ করেছেন সাত কোটি ৭০ লাখ, রাশিয়ায় ছয় কোটি ১৯ লাখ, জার্মানিতে দুই কোটি ৯ লাখ। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন- ধর্মীয় বিবাদ, জাতিগত বৈষম্য, অর্থনৈতিক টানাপড়েন, শিক্ষাগত অসুবিধার কারণে এ মৃত্যুগুলো ঘটেনি।

হোয়াইটহেডের বক্তব্য, অনির্বাচিত ছায়া সরকার থাকবেই এবং লোফগ্রেনের মতে- এ রাষ্ট্র আড়িপাতা, অস্ত্রশক্তি, অর্থ এবং স্বার্থবাদীদের সহায়তায় এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত যে, এর কোনো পতন সম্ভব নয়। জনগণকে এর ভার সইতেই হবে এবং এর কর্মকাণ্ডেও কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। আর সুযোগসন্ধানী, ক্ষমতালোভীদের অভাব কখনো হবে না। জনগণ কখনো জানতে পারবে না- তাদের অজান্তে তাদের সব অধিকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে এবং তাদের শাসন-শোষণ করছে এক ক্ষুদ্র গোষ্ঠী, যারা সরকারের মধ্যে লুকিয়ে থাকে।


ডিপ স্টেট নিয়ে কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি উল্লেখ করে শেষ করছি -

"আমাদের রিপাবলিকের ভীতি হচ্ছে অদৃশ্য সরকার, যা একটি বিশালাকার অক্টোপাস এবং আমাদের শহর, রাজ্যসমূহ ও জাতির উপরে তার পাগুলো নাচাচ্ছে।" - জন হাইলান, নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র, ১৯২২
"প্রকাশ্য সরকারের পেছনে একটি অদৃশ্য সরকার আছে যার জনগণের প্রতি কোন আনুগত্য ও দায়বধ্যতা নেই" -রাষ্ট্রপতি থিওডোর রুজভেল্টের প্রোগ্রেসিভ ("বুল মুজ") পার্টির প্লাটফর্ম থেকে।[১০]
"গণতান্ত্রিক সমাজে জনগণের থেকে আসা সংগঠিত মতামতের একটি সচেতন ও বুদ্ধিদীপ্ত হস্তক্ষেপ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যারা সমাজের এই অদৃশ্য কৌশলকে হস্তক্ষেপ করে তারা অদৃশ্য সরকার, যারা দেশের প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী। আমরা সকার, আমাদেরকে শাসন করা হয়, আমাদের মনকে গঠন করা হয়, স্বাদকে তৈরি করা হয়, আমাদের ধারণা হচ্ছে নির্দেশিত, আর এগুলোর বেশিরভাগই তাদের দ্বারা হয় যাদের সম্পর্কে আমরা কখনও শুনিই নি।" - এডওয়ার্ড বারনেস, দ্য "ফাদার অব পাবলিক রিলেশনস", তার ১৯২৮ সালের প্রভাবশালী বই প্রোপাগান্ডা -তে এটা লেখেন।[১১]
"কিন্তু অকপটে বলতে গেলে একটি বাইরের সূত্র আছে যাকে আমরা "ডিপ স্টেট" বা "ছায়া সরকার" বলি। জনগণ এদে দ্বারা খুবই প্রভাবিত হয়, যারা আমাদের সরকার, আমাদের রাষ্ট্রপতির চেয়েও বেশি ক্ষমতাশালী।" - রন পল, প্রাক্তন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি, নভেম্বর ২০১৬ তে বলেন (ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয়ী হবার পর)।[১২]

এ বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে তৃতীয় বিশ্বের অবস্থা সহজেই অনুমেয়!

উৎসর্গ : ভ্রমরের ডানা
সংকলনে কৃতজ্ঞতা :
ভ্রমরের ডানা: উনার কবিতা থেকেই লেখার অনুপ্রেরণ
ব্যবচ্ছেদ- ২৬- ডিপ ষ্টেট
উইকি
ডিপ স্টেটের শাসন: আলমগীর মহিউদ্দিন
বিভিন্ন অনলাইন জার্নাল
ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগল

মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪২

নীলপরি বলেছেন: এই সম্পর্কে এতো ধারণা ছিল নাহ । আপনার পোষ্ট থেকে অনেক কিছু জানলাম ।
++
ধন্যবাদ

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমারো! ডানা ভাইয়ের একটা কবিতাই এই পোষ্টের অনুপ্রেরণা :)

অন্তহীণ শুভেচ্ছা আর শুভকামনা

২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,




এসব আমাদেরই অসচেতনতায় , আমাদেরই অজ্ঞতায় , আমাদেরই অচেতনতায় তৈরী হওয়া এক একটি ফ্রাংকেনষ্টাইন ।

ভালো লিখেছেন । তথ্যমূলক ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একদম মৌলিক পয়েন্টটাই উল্লেখ করেছেন।

আমজনতার আলাভোলা বেঁচে থাকাতেই সন্তুষ্ঠির অবসরে তারা নিজেদের ফ্রাংকেনষ্টাইন হিসেবে তৈরী করেছে।
প্রকাশ্যে যদি ঘোষনা দিয়ে তারা আসে- বোধকরি খুব বেশীদিন টিকতেই পারবেনা।
তাদের ভিত্তি হলো মিথ্যা, লুকোচুরি, প্রতারণা, মোনাফেকি, ।
যাকে তারা এক কথায় এক সুশীল আবরণ দিয়েছে -কূটনীতি!
অবশ্য এই শব্দের ভেতরেই সেই সত্য গুলোই লুকানে , দেখূন

কূট - (১) [বিশেষণ পদ] কুটিল (কূটযোদ্ধা); জটিল দুর্বোধ্য (কূটপ্রশ্ন); কপট, জাল, মিথ্যা (কূটসাক্ষী, কূটভাষী); শঠ; রাজনৈতিক কৌশল (কূটনীতি)। ;)

৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। প্রিয়তে নিলাম।
এ সম্পর্কে প্রথম জেনেছিলাম, জেসব বর্ন সিরিজের মুভিগুলো দেখে। তারপর সার্চটার্চ করে। এরা আমরা কী পরবো, কী খাবো সেটাও নির্ধারণ করতে পারে। সরাসরি নয়। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।
অবশ্য অনেকে আপনার এই ডিপ স্টেটকে কন্সপাইরেসি থিওরি বলে। কথায় আছে, যা কিছু রটে, তার কিছু না কিছু তো ঘটে। যা লিখেছেন তার সিকিভাগ সত্য হলে, ব্যাপারটা ভয়াবহ হবে

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

আমি প্রথম জেনেছিলমা সামুতেই। প্রয়াত বিখ্যাত ইমন জুবায়ের ভাইয়ের সিরিজ পোষ্টে!
উনি ইলুমিনাতি এবং ফ্রিম্যাসনারীদের নিয়ে দারুন এক সিরিজ লিখেছিলেন। তথ্যভিত্তি এবং প্রামাণ্য
সূত্র, ছবি সহকারে।

যা বলেছেন সেটাই সত্য । এর সিকিভাগ সত্য হলে ব্যাপারটা ভয়াবহ।
সেই ভয়াবহতা কিন্তু প্রত্যক্ষ করছে বিশ্ব! নির্মোহ চোখে দেখলেই অনুভব করা যায়।

অনুপ্রানীত করা মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

সনেট কবি বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সনেট কবি :)

শুভেচ্ছা অফুরান

৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভৃগুভাই,

খুব সুন্দর তথ্যপূর্ণ পোস্ট। পরিশ্রম সহজেই অনুমেয় । বিষয়টি নিয়ে ভ্রমরভায়ের কবিতায় প্রথম পরিচিত হই। আজ আপনার পোস্ট থেকে বিস্তারিত পেলাম। খুবই উদ্বেগের বিষয়,।


শুভেচ্ছা নিয়েন ।





৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শ্রদ্ধেয় দাদা ভাই,
ভ্রমর ভাইয়ের কবিতা থেকেই মূলত আগ্রহটা জন্ম নেয়। পরে নিজে পড়তে পড়তে মনে হয় সংকলন করে এক সাথে লিখলে বিষয়টা দারুন হবে। তাই এ সামান্য চেষ্টা।

প্রয়াত ইমন জুবায়ের ভাইয়ের ব্লগে গেলে পাবেন ফ্রিম্যাসন এবং ইলুমিনাতিদের কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত পোষ্ট!
আসলেই ভয়াবহ এক গোপন খেলায় তারা বিশ্বকে টালমাটাল করে রাখছে!

শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল।

৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

আর্ফ জামান সুজন বলেছেন: সত্যিই বেশ তথ্যবহুল লেখনী।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া :)

শুভেচ্ছা রইল

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমেরিকার জন্য এটা সবেচেয় বেশি প্রযোজ্য। ক্ষমতায় ট্রাম্প আসুক বা ওবামা, সকল নীতি নির্ধারিত হয় ডীপ স্টেট দ্বারা।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। আমেরিকায় এর জন্ম চর্চা হলেও বাকী বিশ্বও এর বাইরে নয়।
তাদের ওয়ান ওয়ার্ল্ড অর্ডারের আওতায় বাকী পুরো বিশ্ব!

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা ভায়া।


৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

রাকু হাসান বলেছেন:

একটি মান সম্মত পোস্ট । শুনেছিলাম এ ব্যাপারে অল্প জানতাম । এখন বিষয় টা পরিষ্কার হলো । আপনি খুব সুন্দর করে লেখেছেন । বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ডিপ স্টেট রাষ্ট্রের সম্ভবনা আছে কি ? নাকি এটা শুরু হয়ে গিয়েছে ? এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি ! প্রিয়তে নিলাম । ++

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধণ্যবাদ রাকু হাসান :)

ওয়ান ওয়ার্ল্ড অর্ডারের আওতায় বাকী পুরো বিশ্ব! আমরা আর বাইরে থাকি কি করে?
হয়তো গুরুত্বে কমবেশি হবে-এই আরকি!

অনুপ্রাণীত মন্তব্য, প্রিয়তে এবং প্লাসে
একরাশ ধন্যবাদ ও অশেষ কৃতজ্ঞতা ।


৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ষাট বছরের শিং হীন ষাঢ় কই পাওয়া যাবে?

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ????

আপনি সুস্থ আছেন তো?

১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



দারুন পরিশ্রমী পোস্ট ভৃগু ভাই; কিছুটা পড়লাম, তবে বিস্তারিত পড়ার জন্য প্রিয়তে রাখলাম৷++++++++++++++++++++++++++++; ভাল লাগার মতো লেখা৷

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রিয় কাওসার চৌধুরী,
অনেক অনেক ধণ্যবাদ ও শুভেচ্ছা

প্রিয়তে রাখায় আর এত্তগুলো প্লাসে অনেক অনেক অনুপ্রানীত হলাম :)
অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল

১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যা রটে তার কিছুটা তো বটে। এ কারণে তাদের দেশের ছবিগুলোতেই এসব কন্সপাইরেসি থিউরি, এক্স ফাইল, এলিয়েন, সিআইএ নিয়ে বেশী কাহিনী থাকে...

৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। অনকে সত্যকে আড়াল করতে অনেক মিথ্যা আর বানোয়াট গল্প চাই।
সম সাময়িকতার সাথে সমন্বিত এমনই চটকদার খেলাএলিয়েন!
এরিয়া ৫১ আরেক রহস্যময় মঞ্চ যেখান থেকে এমন অনেক চমকের জন্ম হয়!

অনেক অনেক ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যে :)

১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ তথ্যবহুল পোস্ট। দীর্ঘ হলেও, আশাকরি এটা বহুল পঠিত হবে এবং আপনার শ্রম সার্থক হবে।
গণতান্ত্রিক নেতা বা রাষ্ট্রনায়ক বলতে এখন আসলে কিছু নেই। বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে গোয়েন্দাদের দ্বারা। এদের রাডারের বাইরে কেউ নেই, কিছু নেই।
পোস্টে ভাল লাগা + +

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সিনিয়র :)

গণতান্ত্রিক নেতা বা রাষ্ট্রনায়ক বলতে এখন আসলে কিছু নেই। বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে গোয়েন্দাদের দ্বারা। এদের রাডারের বাইরে কেউ নেই, কিছু নেই।
দু লাইনেই পুরো সত্যকে পুরে দিলেন। বিজ্ঞতায় ইশারাই কাফি :)

ভাললাগা এবং প্লাসে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ফিচার এমনিতেই কম পড়ে, তায় একটু বেশিই বড়!
দু'পর্ব করলে আবার পাঠের কন্টিনিউয়েশনটা থাকেনা! রস্বাসদনে অন্তরায়তো বটেই কিছূটা।
তাই একবারেই সেরে নিলাম :)
আপনাদের অনুপ্রেরণা দায়ক মন্তব্যেই যথেষ্ট। শ্রম সার্থক। :)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল।

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ছায়া সরকারের কথা কিছু ধারনায় ছিল।। তবে তা এই লেখার মত তথ্যবহুল ছিল না।।
আগে শুধু শূনতে পেলেও, এখন কিন্তু বেশ প্রকাশ্য!!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যি ভ্রমরের ডানা ভাইয়ের ব্যবচ্ছেদ সিরিজের এই কবিতাটাই আমাকে ভীষন নাড়া দেয়।

ব্যবচ্ছেদ- ২৬- ডিপ ষ্টেট

প্রচন্ড আগ্রহ থেকেই নিজে জানলাম, এবং এ সংকলনে সহজ উপস্থাপনার প্রেরণা পেলাম।
অল ক্রেডিট গোজ টু ডানা ভায়া :)

আম জনতা আসলেই নাচের পুতুল -যেমনে নাচায় তেমনি নাচি!
তারা সাপুড়ের ভূমিকায় !

১৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ডিপস্টেট, কন্সপাইরেসি থিউরি, এক্স ফাইল, ইলুমিনিটি, এলিয়েন, মোসাদ, সিআইএ এসব নিয়ে বহু কাহিনী চলে,
এসব নিয়ে বই লেখা, মুভি সিরিয়াল হয়, হচ্ছে, আরো হবে।

কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বুদ্ধিমানরা এসবে বিশ্বাস করে না।

এক সময়ে কারো কাছে একটা ম্যাপ পেলে সে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে গ্রেফতার হত।
এখনতো সবই ওপেন।
ইন্টারনেট ছিল মার্কিন সামরিক বাহিনির নিজস্য। GPS নেভিগেশন সিস্টেম ও স্যাটেলাইট ফোন ছিল আমেরিকার নেভির নিজস্য, গোপনীয়।
পরে আস্তে আস্তে এই নেভিগেশন প্রথমে আমেরিকান মার্চেন্ট মেরিন কে দেয়া হতে থাকে, পরে নামমাত্র মুল্যে পৃথিবীর সকল কমার্শিয়াল জাহাজ চলাচলে দিয়ে দেয়।
৯০ এর পর ঠান্ডাযুদ্ধ শেষ হলে পৃথিবীর সবাই ব্যক্তিগত ভাবে বিনা মুল্যে GPS সুবিধা পাচ্ছে।
ডিপস্টেট বাস্তবতা হলে এসব জিনিস বাইরে ছাড়ার চিন্তাও করত না।

২য় বিশ্বযুদ্ধের পর শত উষ্কানির পরও বড় শক্তিগুলো নিজেরা কোন যুদ্ধে জড়ায় নি। পারমানবিক বোমা আর ব্যবহৃত হয়নি।
একজিস্টিং পারমানবিক ক্ষেপনাস্ত্র ও বোমার মোজুদ দিন দিন কমিয়ে ফেলছে সব পক্ষ
অস্ত্রব্যবসা এজাবতকালের ভেতর সবচেয়ে মন্দা। (বেকুব আরবদের ইয়ামেন, ইরান জুজু দেখিয়ে কোনমতে টিকে আছে অস্ত্র কম্পানীগুলো)
দোকলান এলাকায় চীনা রাস্তা তৈরিতে বাধা। সীমান্তে দুই পারমানবিক শক্তিধর ট্যাঙ্ক কামান নিয়ে মুখোমুখি হয়েও পরে ফিরে যায়। কারন এটা জানা হয়ে গেছে যে যুদ্ধে কোন ফলাফল আসে না।
রাষ্ট্রযন্ত্রের থাবাও এখন ধিরে ধিরে ছোট হয়ে আসছে।
সিআইএর আগের সেই ক্ষমতা থাকলে ২০১৩ তে হাসিনা কে ফোন না করে বুলেট পাঠাতো।

পৃথিবীর সবদেশেই ব্যক্তিস্বাধীনতা বাড়ছে। সেটা কিউবা, মরক্কো বা ফিলিপিনস সবদেশেই বাড়ছে।
মাঝে মাঝে বাধা আসলেও গ্লোবালি মানুষের মুক্ত চলাচল ও ব্যক্তিফ্রীডম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। দিন দিন বাড়ছে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৮:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অণেক ধন্যবাদ।

আপনার বিশ্বাস এবং মতামতকে সম্মান করেই বলছি- যা রটে কিচূতো বটেই।

আর যে দৃষ্টিকোনে আপনি বলছেন মার্কিন সামরিক বাহিনির নিজস্য GPS পাবলিক করে দিতো না যদি ডিপষ্টেট সত্যি হতো!
এবার রিভার্স ভাবুন- পাবলিক করে দিয়ে আরো বেশি সহজেই সকলের অবস্থান সনাক্ত করার মাধ্যমে তাদের নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম কত সহজ হয়ে গেছে!
যে সহজায় ইয়াসিন রামাদানকে ফজরের নামজা পড়ে ফেরার পথে নিশ্চিন্তে পাখির মতো সহজ নিশানায় গুলি করে মারতে পারে।
সেখানেও কিন্তু জিপিএস ট্রাকিং সিস্টেমই ব্যবহৃত হয়েছে। শুধু এই একজন নয় পুরো বিশ্ব ব্যবস্থায় যে কোন ব্যক্তি বা লোকেশন তাদের মাউসের ক্লিকে! এটা কি স্বাধীনতা? না আরো ব্যাপক মাত্রায় নিরপাত্তাহীনতা, পরাধীনতা- এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা, প্রবন্ধ নিবন্ধ লেখা হতেই পারে।

২য় বিশ্বযুদ্ধের পর শত উষ্কানির পরও বড় শক্তিগুলো নিজেরা কোন যুদ্ধে জড়ায় নি।
<< যুদ্ধ তো হয় চ্যালেঞ্জিং দুই অপনেন্টের সাথে!
এখন যখন আগ্রাসনের মাধ্যমেই দেশ দখল করা যাচ্ছে বিনা বাঁধায় - আন্তর্জাতিক, জাতিসংঘ বা জোটের
তখন আর যুদ্ধের কি প্রয়োজন! ইরাক, লিবিয়া, আফগানিস্তান কত সহজেই দখল হয়ে যায়! টু শব্দটি নেই!
তখন আর যুদ্ধের প্রয়োজন থাকে কি?

ফিলিস্তিনের, কাশ্মীরের দাবী অর্ধ শতাব্দি উপেক্ষিত হয়, পূর্ব তিমুর চোখের পলকে স্বাধীনতা পেয়ে যায়!
অংকগুলো দেখতে যত সহজ আসলে তত সহজ নয়। জ্ঞান, বিবেক বিবেচনায় বুঝতে চাইলে , মানতে চাইলে।
ইসরেলের আগ্রাসন উপেক্ষিত হয় আতরক্ষার অধিকারের নামে!
সেই একই অধিকার কি ফিলিস্তিনের নেই????

ভিন্নমতেই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য! যদিও আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা তা নির্মুলেই রত ;)
আপনার ভিন্নমতে স্বাগতম। চলুক আলোচনা ।

শুভেচ্ছা অফুরান।


১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৫৯

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, আমি বোঝাতে পারবো না আপনার এই পোস্ট আমার কতখানি ভালো লেগেছে। ড্যান ব্রাউন তাঁর 'দ্য লস্ট সিম্বল' বইতে ইলুমিনেটি গ্রুপ এবং তাদের কাজ সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত লিখেছেন। এছাড়াও মেসনিক গ্রুপ এবং আরও বিভিন্ন গোপন ভ্রাতৃ সংঘের কথা লিখেছেন। যেখানে আমেরিকার বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানসহ বহু বিখ্যাত ব্যাক্তিদের কথা বলা হয়েছে যারা যুগে যুগে এসব গোপন সংঘের সদস্য ছিলেন। তবে সেগুলো মূলত প্রচলিত ধর্মের বিপরীত ধর্ম, কালো শক্তি এবং ক্ষমতা দখল ও টিকে থাকার জন্য চর্চার কথা বলা হয়েছে। ছায়া সরকারের মত এত ব্যাপকতর অর্থের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। অবশ্য ইঙ্গিত বিশ্লেষণ করলে অর্থটা সেদিকেই যায়। বোধহয় লেখক সচেতনভাবেই এড়িয়ে গেছেন। আলোচ্য পোস্টে মিল্টন উইলিয়াম কুপারকে পেলাম এই বিষয়ে বলতে তাই আমার এই বইটা স্মরণে এলো :)

মাইকেল লোফগ্যার্ন, কার্ল সুজ, হোয়াইটহেড সহ আরও অনেকের অনেক বইয়ের দারুণ রেফারেন্স দিয়ে বিষয়টা তুলে ধরেছেন। এই বিষয়গুলো নিয়ে আসলে অনেক আগেই কার্ল মার্কস লিখে গেছেন। ঠিক এইভাবেই সব বর্ণনা, বিষয়টা যে সরকার গঠন ও ক্ষমতা উদ্ভব হওয়ার সাথে সাথেই তৈরি হয়ে গেছে এবং কিভাবে কতটা গোপনীয়তার সাথে তারা জনগণের চোখে ঠুলী পরিয়ে
প্রতিষ্ঠান গঠনের মাধ্যমে এটা টিকিয়ে রেখেছে, কার্যত যাদের কাউকেই চেনা যায় না, পুলিশ ও মিলিটারি বাহিনীর গঠন এবং গঠনের উদ্দেশ্য, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা এই সবকিছু নিয়েই ঠিক এই কথাগুলোই তিনি লিখে গেছেন বিভিন্ন আলাদা আলাদা বইতে। কিন্তু কমিউনিজম নিয়েও তাদেরই তৈরি করা মিথ্যা প্রোপাগান্ডায় বিশ্বের বৃহত্তর মানুষ ভুল ধারণা নির্দেশিত হয়ে আছে। উপরের লেখকরা তো সবাই বলে গেছেন এটার পতন সম্ভব না, কিন্তু কার্ল মার্কস দেখিয়েছেন কিভাবে পতন সম্ভব। কিন্তু আসলে পতন হয়েও যেন পতন হবে না। যাক এই বিষয়টা এখানে আলোচনার নয়। কিছুদিন আগে ব্লগার গেছো দাদা, আমরা সবাই বা এই পৃথিবীর সবাই দাস প্রায় এইরকম একটা শিরোনামে একটা লেখা লিখেছিলেন। সেখানে তিনি কোন রেফারেন্স টানেননি কিন্তু নিজের মত করে বিশ্লেষণ করে বুঝিয়েছিলেন আমরা কেউই যে প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন নই। কিভাবে আমরা নিজেদের অবচেতনেই দাস হয়ে আছি এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। লেখাটি ভালো লেগেছিলো। আমি কিছুদিন আগে ভাবনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি লেখা লিখেছিলাম ফেবুতে। কিন্তু সেটা ব্লগে প্রকাশ করিনি। আমারটা অবশ্য আপনার মত এত রেফারেন্স দিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ নয়, নিজস্ব বিশ্লেষণমূলক। এখন আপনার লেখা দেখে আমি সেই লেখাটি পোস্ট করার অনেক প্রেরণা পেলাম। পোস্টটি প্রিয়তে নিয়েছি। আর এত পরিশ্রমী ও সেরা ধরণের পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিলে অনেক কম হবে। অন্তর থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। লেখাটির বহুল পঠিত হওয়ার আশা করি। সেজন্য স্টিকি করার দাবী জানাই। অফুরন্ত শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞা।
আপনার দারুন উচ্ছ্সিত মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
সামান্য পরিশ্রম সার্থক মনে হল। আসলে ভ্রমরের ডানা ভাইয়ের কাছে সবচে বেশী ঋণ।
উনার কবিতা ব্যবচ্ছেদ সিরিজের ২৬ নং কবিতাটিতে এই বিসয় নিয়ে কাব্য প্রকাশ করেছেন।
তা পাঠ করেই ভিষ উসখুস শুরু হলো মনে। ইলুমানাতি এবং ফ্রিম্যাসন বা গুপ্ত সংগঠন নিয়ে আমাদের
প্রয়াত বিখ্যাত আইকন ব্লগার ইমন জুবায়ের ভাইয়ের তথ্যভিত্তিক পোষ্ট গুলোতে প্রথম বিস্তারিত জানতে পারি।

তারপর এ বিষয়ে যতই পড়ি বিস্মিত হই। কি ভয়ংকর! কি গোপনীয়তা তারা তাদের মিশনকে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে!
গোছো দাদার পোষ্টটা পড়তে হবে। আর আপনার দারুন পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।
আর আপনার আন্তরিক পুন ধন্যবাদে লজ্বা পাচ্ছি কিন্তু। আমিতো সংকলক মাত্র। অন্তর্জাল থেকে খুঁজে খুঁজে
আপনাদের সকলের জণ্য এবং নিজের জন্যেতো বটেই; সাজিয়েছি মাত্র।
আপনার মূল্যবান লেখার অপেক্ষায় রইলাম। :)

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা আপনার জন্যেও।

১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

ঋতো আহমেদ বলেছেন: ঘুম থেকে উঠেই এতো লম্বা পোস্ট মোবাইল স্ক্রিনে পড়তে পারছি না। প্রিয়তে নিলাম। পরে সময় করে ডেস্ক টপে বসে পড়বো।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা! :)

অপেক্ষায় রইলাম ঋদ্ধ মন্তব্য/মতামতের :)
অনেক অনেক শুভেচ্ছা

১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ লেখা। ভালো লাগলো।
তবে আমরা হলুম গিয়ে আদার ব্যাপারী, জাহাজের খবর নিয়ে কি লাভ? আমাদেরকে তো কেউ গনাতেই ধরে না! :(

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্রবাদ ভায়া :)

হুম। কথা ঠিক।
এ এমন এক আগ্রাসন যার কথা মানুষ ভাবতেও পারছে না।
তারাও জানে গণমানুষকে জানিয়ে তারা পারবেনা! তাই এত লুকোচুরি! গোপন আগ্রাসনঅ

জানিনা বলেই গনায় ধরে না। জানলে পরেনা বিপরীত কার্যক্রসের প্রশ্ন আসবে।
প্রতিবাদ প্রতিরোধের বিকল্প পথের ভাবনা ভাবা যাবে।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা।

১৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

মায়াবী ঘাতক বলেছেন: বেশ তথ্যবহুল লেখনী। পড়ে ভালো লাগলো। পোস্টে+++

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া :)

এত্ত কম পোষ্ট কেনু ভায়া , ১৪, ১৫, ১৬ মাত্র ১টা করে!!!!!! :-/
আর এবছর ৩ টা!!

আশাকরি এখন থেকে নিয়মিত পাবো :)
শুভেচ্ছা অফুরান।

১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টটি "প্রিয়"তে নিলাম।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অভিবাদন প্রিয় সিনিয়র :)
:)
কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা অন্তহীন।

২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৬

অন্তরন্তর বলেছেন: পোস্টটিতে মন্তব্য করার জন্য লগ ইন করলাম। বেশ গুছিয়ে লিখেছেন। আপনার লিখার কিছু সত্যতা আছে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমার বেশ পরিচিত এক ভদ্রলোক যিনি পেশায় চার্টার্ড একাউনটেনট। তিনি ওয়েস্ট অফ ইংল্যান্ড জোনের চিফ ফ্রি মেসনের। তিনি আমাকে অনেক হেল্প করেছেন বা কাজ করে দিয়েছেন। অনেক ঋণী আমি তার কাছে। এক পার্টিতে আমি দেখেছি তাদের সদস্য পৃথিবীর প্রায় সব দেশের, সব ধর্মের। বলা হয়ে থাকে ব্রিটিশ রাজ পরিবার ফ্রি মেসন( যদিও তা কেও জানে না)। আমি অনেক কিছু জানি ফ্রি মেসন সম্পর্কে। আপনার পোস্টের কিছুটা সত্যতা আছে।
আপনার কাছে আমার ২ টা প্রশ্ন। ১) পোস্টের কথা কিছুটা সত্য হলে কেন বাংলাদেশে ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন চেয়ে লাভ কি? সরকার কে হবে তাতো আগে থেকেই নির্ধারিত তাই না? ২) একজন সুফিবাদি মানুষ কিভাবে আমাদের দেশের দুই নিকৃষ্ট, জঘন্য দলের হয়ে কথা বলে। আমাদের দেশের এই দুই দলের যে কোন একটির সমর্থক কিভাবে হলেন?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অন্তরন্তর :)
আপনার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞার কথার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার অনেক কিছু জানা থেকে আমাদের শেয়ার করার জন্য বিনীত অনুরোধ রইলো।

১ম প্রশ্নে আমার মনে হয় - ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন মৌলিক ভাবে আমজনতার চাওয়া। যেটাকে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ক্ষমতারোহনের পথে আপেক্ষিকতায় ব্যবহার করে যার যার দৃষ্টিকোন থেকে। আমজনতার স্বপ্ন অধরাই রয়ে যায়।
সব রাজনৈকতিক ব্যক্তি বা দল যে জেনে শুনে তাদের পারপাস সার্ভ করে তা নয়। অনেক সময়, লোভ, অজ্ঞতা, বা ক্ষমতার মোহ থেকেও তাদের গুটিতে পরিণত হয় নিজেদের অজান্তেই। তারা যে দেশে যেটা মাস ডিমান্ড তার সর্বোত্তম ব্যবহারে অতিশয় পারঙ্গম। সব ক্ষেত্র তারা যে শতভাগ নিয়ন্ত্রন করে তা নয়। অনেক সময় বিজয়ী মাথায় টোপর দিয়েও স্বার্থ হাসিল করে নেয়।
যেহেতু মানুষের স্বপ্ন অসীম তাই সে আশা করতেই পারে- যদিও জানেনা তার তাদের আশাও নিয়ন্ত্রিত হয় পঞ্চম পক্ষ দ্বারা।

২য় প্রশ্নটা খুবই গভীর। সুফিবাদের কতটুকু গভীরতা আপনার অনুভবে আছে আমার জানা নেই।
বাহ্যত যা খুবি দৃষ্টিকটু তার প্রতিও তাদের সমর্থন বা মৌন থেকে অনুমোদনে আমারো খুব রাগ হতো একসময়।
একটা ছোট কাহিনী বলতেই হয় -
বৃটিশদের বাঙলা আক্রমনের সময় এক দরবারে বৃটিশরা গমন করে এবং দোয়া চায়। এবং ঐ দরবারের হুজুর প্রাণ খুলে তাদের বিজয়ের দোয়া করে। তারা চলে গেলে ভক্তরা চেপে ধরে। এটা কি হল হুজুর।??
ভক্তদের আক্ষেপ, দু:খ ব্যাথায় হুজুর ভেদ খুলে বলেন- বাবারে আমি কি করব? আল্লাহর তরফ থেকে তাদের বিজয় মঞ্জুর হয়ে গেছে। খিজির আ: বিট্রিশ পতাকা হাতে ঘোড়ায় চড়ে আগে আগে যাচ্ছে। আমি অধম কি করতে পারি।!

কেন এমনটি হয়। কেন দু:সাশনেও আল্লাহর অনুমোদন হয়?
এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত প্রণিধান যোগ্য। যখন কোন দেশের জনগন গভির পাপে নিমজ্জিত হয়। তখন তাদের জন্য একজন দু:শাসক প্রেরণ করা হয়। যে পৃথিবীতে তাদের পাপের শাস্তি দিয়ে থাকে। যতক্ষন না তারা তাওবা করে নিজেদের শুদ্ধ পথে ফিরিয়ে আনে তাদের লাঞ্চনা চলতেই থাকে।
দুটো মন্দ থেকে একটি বেছে নেয়ার জাগতিক স্থুল প্রয়োজন অথবা শুদ্ধ তৃতীয়র অনুপস্থিতিতেই হয়তো আপাত সমর্থনে এক কে বেছে নিতে হয়। তবে তা কখনোই অন্ধ সমর্থন নয়। যে কোন ভুলে, অন্যায়ে, নীতিহীনতার প্রতিবাদে তা যে কোন সময় প্রত্যাহার যোগ্য ;)
কিন্তু আত্মা সমর্পিত সূফিজমের মৌলিক শুদ্ধতায়। এক শুদ্ধ সুন্দর দলের প্রত্যাশায় যারা প্রকৃত সৌন্দর্য, শুদ্ধতা, দেশপ্রেম, মানব প্রেমে নিবেদিত রবে।






২১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক আজানা জানা হল আপনার পোস্টের সুবাদে। তথ্যবহুল পোস্টে একগাদা ভাললাগা +++

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বোকা মানুষ বলতে চায় :)
ভাললাগা আর প্লাসে কৃতজ্ঞতা

অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা

২২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: বেশ পরিশ্রমী লেখা। এই ডিপ স্টেইট নিয়ে নানারকম বিভ্রান্তি রয়েছে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আখেনাটেন :)
অবিশ্বাস্য রকম বিস্ময়কর সত্য নিয়ে বিভ্রান্তি না থাকলেই বরং বিভ্রান্ত হতাম ;)
হা হা হা
দেশীয় রাজনীতিতেই কত ক্যামোফ্লাজ দেখতে হয়, সত্যের পেছনের সত্য কত অজানাই রয়ে যায়,
কমিশনারের মতো সবার মোবাইলতো অন থাকেনা! (আবার এই মোবাইল অন রাখার কিস্সাও শুনেছি
তা নাকি ইচ্ছাকৃত ছিল!
এইবার বুঝুন, তবে যারা পুরো বিশ্ব নিয়ন্ত্রনে মোড়ল গিরি করে, তাদের আরো কত কিকি করতে হয়!
কখনো এলিয়েন, কখনো টুইন টাওয়ার ধ্বংস, কখনো সার্বভোম দেশ দখল, আবার কখনো গণতন্ত্রের জন্য মায়া কান্না!
আবার রাজতন্ত্রের সাথে গলাগলি কোলাকুলি!!! কোনটা ছেড়ে কোনটা ভাববেন!!!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৯

অপ্‌সরা বলেছেন: ডিপ স্টেট নিয়ে এই জীবনে প্রথম জানলাম!

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: :)

তাই?
যাক জীবনে প্রথম কিছু নতুন জানানোর দুর্লভ আনন্দ তবে আমার হলো ;) হা হা হা

পাঠে ও মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা :)
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অন্তহীন্

২৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩২

অপ্‌সরা বলেছেন: সেই তো দেখছি!!!!!! B-)

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: :)

পুন: পদধূলিতে কৃতজ্ঞতা :)


B-)

২৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এমন শ্রুতি বহুল প্রচলিত আছে - এলিয়েনদের সাথে আমেরিকার গোপন কর্তাদের চুক্তি আছে, নিয়মিত বৈঠক হয়, ব্যাংক অব আমেরিকা-ডলার-স্বর্ন-মজুদ এটসেটরা! ডিপ স্টেট/ছায়া সরকার আমাদের দেশেও কি বিদ্যমান? সন্দেহ হচ্ছে কিন্তু।

তবে প্রচলিত এইসকল রিউমর যদি সত্য হয় তাহলে ডেভিল এর অস্তিত্ব অস্বিকার করা যাবে না। আপনার লেখায় যদিও সামান্যই ওঠে আসছে তবে একটা ৩৬০ ডিগ্রি ভিঊ করার মত একটা সুযোগ আছে বলে মনে করি। মানে দুর থেকে একটা ধারনা অর্জন করা।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হেই!! ঠিক ঠাক দেখছিতো?????
গেমু ভায়া !!!!!!!!!!!!
কত্তদিন পর!!!!???

তারা নিজেদেরই যে এলিয়েন শ্রেণী ভাবছেনা/ইন্ডকেট করছে কে বলতে পারে। পারষ্পারিক কোন গোপন পদ্ধতিকে হাইড করেছে এলিয়েনর আড়ালে!! নাথিং ইম্পসিবল ;)
আমাদের দেশতো আর বিশ্বের বাইরে নয় ;) হা হা হা

ইমন জুবায়ের ভাইয়ের লেখায় উঠে আসছিল বেশ বিস্তারিত! ফ্রি ম্যাসন, ইলুমিনাতি। তাদের কর্ম, পদ্ধতি, শয়তানের আরাধনা! উনার সিরিজ পোষ্টগুলো একদিন কাউকে দেখাব বলে খুঁজছিলাম! খুঁজে পেলাম না!!! সামুতেও কি হানা দিল নাকি ইলু ইলু গ্রুপ :P :-/ আরেকদিন সময় নিয়ে বসতে হবে। তথ্যসূত্র হিসেবে বেশ সমৃদ্ধ পোষ্ট গুলো।

হুম। তা ঠিক। আরো ব্যাপক ভিউ করার বিস্তর সুযোগ রয়েছেতো বটেই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ গেমু ভায়া :)
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান

২৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওহ, কমেন্ট হয়ে গেল, জিজ্ঞেস করা হল না, আছেন কেমন?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: :)

আপনাদের সকলের প্রার্থনা আর শুভকামনায় এইতো বেশ আছি।
আপনিও আশা করি ভাল আছেন। সামুতে পাবো কি ? আগের মতো না হোক নিয়মিত !

শুভকামনা জানালাম প্রত্যাশা রেখেই :)

২৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



ডিপ স্টেট নিয়ে তো রীতিমত গবেষনাধর্মী লেখা লিখেছেন। আপনি পারেনও বটে। অনেক কিছু জানার সুযোগ করে দেয়ায় কৃতজ্ঞতা অশেষ। আপনার যোগ্যতাকে আল্লাহ পাক আরও বহুগুনে বৃদ্ধি করু- প্রার্থনা সকাতর।

নতুন পোস্টটি আপনার শক্তিমান কলমের আঁচড় প্রত্যাশী। লিঙ্ক-

মাযহাব কি? মাযহাব কেন মানবো এবং কোনটি মানবো? -পর্ব-১

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভায়া :)

আসছি আপনার বাড়ী :)
আপনাদের হৃদয় উপচানো ভালবাসাই শক্তি :)
শুভেচ্ছা অন্তহীন

২৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: ভাই, আপনার লেখাগুলো আসলেই ডিপলি হয়ে থাকে; সেটা আবারো প্রমাণিত হল। ভালো লাগলো ও অনেক জানা হয়ে গেলো।

শুভকামনা আপনার জন্য

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় সৈয়দ ইসলাম
ভাবনাটাই যখন গভীর উপস্থাপনায় আর কি আছে বাহবার ;) হা হা হা

মন্তব্যে অনুপ্রানীত হলাম।। শুভেচ্ছা অফূরান :)

২৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ভোর ৫:৩৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: বিষয়টা যে এতো গভীর তা যেন কল্পনারো বাহিরে
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যিই তাই।
আমাদের মনে হচ্ছ কল্পনার বাহিরে। আর তারা গোপনে নিভৃতে সেই চর্চা করে যাচ্ছে দশকের পর দশক!
যুগের পর যুগ!
এক অসম একপাক্ষিক গুপ্ত যুদ্ধের (আগ্রাসন, গোপণ ষড়যন্ত্র, চ্রকান্তের) মূখে পৃথিবী!

৩০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


লেখাটি অনেক আগেই পড়েছি! পারসোনাল কিছু কারনে ব্লগে ঢুকা হয়নি! আজ ঢুকে প্রথমেই প্রিয়তে নিলুম!! আপনি সুনিপুণ দক্ষতায় ডিপ স্টেটের আদ্যোপান্ত বর্ননা করেছেন। আমাকে লেখাটি উৎসর্গিত করে সন্মানিত করেছেন! আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন!!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যাক! অবশেষে আমি পাইলাম :) তাহাকে পাইলাম :)

আপনার ঐ কবিতাই হল সব কিস্স্যার মূলে!
তাই উৎসর্গটা আপনাকে না করলে অন্যায় হবে বলেই মনে হল!

অত:পর। সকলেই এলো গেলো
যার জন্যে অপেক্ষা তার নেই দেখা ;)

অবশেষে অপেক্ষার হলো অবসান
ধন্য হল উৎসর্গ পেল তার মান :)

৩১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একটা অফটপিক প্রশ্ন করি। আসলে কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না যে কোনো সদুত্তর পাবো।

যতদুর জানি আপনি বিএনপি করেন। খালেদা জিয়া এত জায়গা ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিত্সা চায় কেন? এপোলো, স্কয়ারসহ আরো অনেক ভালো হাসপাতাল আছে। এমনকি সেনাবাহিনীর হাসপাতালটাও ভালো, যতদূর জানি। ইউনাইটেড কেন?

কিছু মনে করবেন না, এটা কোনো কটাক্ষ না। আসলে কোনো কিছুর পিছের কারনটা না জানলে আমার পেটের ভাত হজম হয় না, যদিও ভাত খাই না ১০ মাস হতে চললো


আর পোস্ট সম্পর্কে যেটা বলবো বস্তুনিষ্ঠ তথ্যনির্ভর। এরকম লেখা ইদানীং কম দেখা যায়

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা

জটিল প্রশ্ন আর তারচে জটিল কারণ ;) হা হা হা
আহারে দশ মাস!!!
ভাই গরিবের বাড়ী দাওয়াত রইল ;) গরম ভাত আর ডিম ভাজি আলু ভর্তার!

না ভাইডি, সেরকম বিশেষ কিছু জানিনা। যতটুতু জানি ওখানকার ডাক্তাররা উনার রেগুলার ট্রটিটমেন্ট করতেন।
তাই তাদের সবকিছু বিশেষ ভাবে জানা। হয়তো সে কারণেই।
এই পোষ্টের অনুপাতেই বলি- আমরা ততটুকুই জানি যতটুকু জানানো হয়। বাকী সবই ছায়ার অন্তরালের গহীন সত্য!
যা জানলে মানুষ হয়তো চমকে উঠে, উঠবে। তা সরকারের কর্মকান্ড বা বিরোধীদলের সকলের জন্যই প্রযোজ্য!

আমজনতা আর কি চিলের পিছে ছুটি! জ্ঞানের, আত্মার জাগরনের দৈনতার কারণে। সাথে তাল যোগায়
কর্পোরেট স্বার্থান্ধ মিডিয়া! ব্যাস ছুটছে জাতি অজানা গন্তব্যে! গন্তব্যহীন।

আপনার মতামতে অনুপ্রাণীত হলাম্ কৃতজ্ঞতা।

৩২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৫

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আচ্ছা, তার মানে ওনার ব্যাক্তিগত ডাক্তার ঐখানকার। এইটা একটা ভালো যুক্তি। তবে উনি যে অসুস্থ এটা অস্বীকার না করে উপায় নেই।

ধন্যবাদ উত্তরটার জন্য। এখন ইউনাইটেড হাসপাতালের ওয়েবসাইট ঘাটবো। ঐ ডাক্তারদের নাম জানা দরকার। ছুটির দিন.... বেকার

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। শাস্ত্রেআ আছে- নাই কাজ তো খই ভাজ ;)
হা হা হা

কিছু পেলে জানাইয়েন! :)

তবে বলতেই হয় এবার স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে পুরাই ফ্লপ বিএনপি!
হাজার হাজার ইস্যুর তলেই যেন চাপা পড়ে গেছে!
অথচ উল্টোটা হলে- আওয়ামিলীগ শুধু বিডিআর্বা শেয়ার বাজার, হলমার্ক বা ব্যাংক লুট
যে কোন ইস্যুতে ৭২ ঘন্টার মধ্যে সরকারকে কাইত করে দিত!
বিএনপির রাজনীতি এখনো বহুত শেখার বাকী!!!!! তাদের ব্যার্থতায় ভুক্তভূগি আমজনতা!
বিপন্ন স্বাধীনতা, সার্বভোমত্ব! গণতন্ত্র!!
কি আর করা! জনগণ অন্তবিহীণ অপেক্ষায় দৈব মুক্তির আশায়!

৩৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০০

জাহিদ অনিক বলেছেন:



অনেকদিন আগে একটা নিউজের হেডলাইন পড়েছিলাম-- Trump accuses Justice Department of being part of ‘deep state’
তখন এই সম্পর্কে টুকটাক নেট ঘেটে জেনেছিলাম খবরটা বোঝার জন্য। এরপরে আজকে আপনার এই পোষ্ট পড়ে অনেককিছু জানলাম। বেশ সমৃদ্ধ পোষ্ট।
তা, ডিপ স্টেট থিম নিয়ে কিন্তু একটা আধো প্রেম আধো বিরহের কবিতাও লেখা যায়---- কি যায় না কবি ? ;)
অনেকদিন আপনার কবিতা পাই না।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ডিপ ষ্টেট নিয়ে ভ্রমরের ডানা ভাইয়ের কবিতা থেকেই কিন্তু এই লেখার অনুপ্রেরণা :)

পরে দেখুন ভায়ার কবিতাখানি
আধো প্রেম আধো বিরহ খূঁজে পাওয়া যায় নাকি ;)

অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হুম। অনেক গ্যাপ হয়ে গেল বুঝতে পারছি। হয়ে যাবে খন শীঘ্রই :)
কৃতজ্ঞতা আর শুভকামনা অফুরান

৩৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

সেজুতি_শিপু বলেছেন: অনেক সমৃদ্ধ একটি পোষ্ট। ডিপ ষ্টেট সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না । আপনার পোষ্ট থেকে অনেক কিছু জানলাম । অনেক ধন্যবাদ ।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:২০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবা ও কৃতজ্ঞতা!
পাঠে ও মন্তব্যে প্রীত হলাম।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা!
আপনার `প্রদর্শনী' তো অসাধারন হয়েছে। চিহ্ণ রেখে এসেছি :)

৩৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪২

কালীদাস বলেছেন: আমার মতে এটা গতবছরে আপনার লেখা সেরা পোস্ট। সম্ভবত পুরাই ব্লগের টপ ৫টা পোস্টের মধ্যে এটা থাকবে, আমি এডিটর হিসাবে লেখা বাছাই করলে।

লেখাটা পরিপূর্ণ বলব না, বলা সম্ভবও না কারণ এটা খুবই কন্ট্রোভার্সিয়াল টপিক। ইউএসের কথা ধরা যাক: রিপাবলিক/ডেমোক্রেট যেই পাওয়ারে থাকুক না কেন দেশের ইন্টার্নাল এবং ফরেন এফেয়ার্সের মেইন গোলে কোন পরিবর্তন আসে না। কেবল আমলারা এত পাওয়ারফুল? আমার মনে হয় না।

কোল্ডওয়ারের সময় এই ডীপ স্টেটের কনসেপ্টটা অনেক স্পষ্ট ছিল বরং এখনকার তুলনায়। দুই ব্লকের কে কাকে কিভাবে ইনফ্লুয়েন্স করে সহজেই বোঝা যেত। এখন ব্যাপারটা আরও জটিল। অন্তরঅন্তরের কমেন্টটা ভাল লেগেছে আমার, আমিও কাছাকাছি মনে করি (বাংলাদেশের ব্যাপারে নীরব থাকলাম ;))। তবে এটাও সত্যি, অনেক কিছুরই সরাসরি প্রমাণ নেই, জাস্ট গেসিং /:)

চমৎকার পোস্ট!! থ্যাংকস বিদ্রোহী ভাই, পুরান আমলের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল প্রায়।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা কালীদাস দা’ :)

খুবই ভাল বলছেন।
টুপি খোলা অভিবাদন ভায়া :)

অনুপ্রানীত হলাম। খাটা-খাটুনি স্বার্থক মনে হয় এমন মন্তব্য পেলে :)
আহা সেই উত্তাল মেধার সময়! কি অপেক্ষা! কি পর্যালোচনা!!

৩৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৩

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: কবি ভাই, আপনি প্রবন্ধে সেইরকম সাবলীল। বই বের করে ফেলুন প্লিজ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রায় এক বছররেও অধিক সময় পর আপনার এমন দারুন মন্তব্যে পুলকিত ভায়া :)

আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে নিশ্চয়ই চেষ্টা করবো।
:)

অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল

৩৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৫

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: লেখাটি আমি প্রায়ই পড়ি। ভাল লেগেছে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জেনে সত্যিই আপ্লুত হলাম।
যেদিন প্রথম প্রবন্ধের বই হবে, আপনার কথা অবশ্য উল্লেখ খাকবে :)

আপনার বাড়ী ঘুরে এলাম। :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ শুভেচ্ছা শুভকামনা আর কৃতজ্ঞতা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.