নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুপেয় জল সুরক্ষায় একটি ধারনা পত্র

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

ইউজেস অব রিসাইকেলড ওয়াটার ইন ডমেস্টিক ফ্লাশ ইউজেস

ভূমিকা:
পানির অপর নাম জীবন। পানি থাকলেই জীবন থাকবে। পানি ছাড়া জীবনের অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায়না। পরিবেশের প্রধান চারটি উপাদানের মধ্য অন্যতম একটি উপাদান হচ্ছে পানি। পানির অধিকার মানে জীবনের অধিকার ।

পৃথিবীর মোট আয়তনের চার ভাগের তিন ভাগ পানি এবং এক ভাগ স্থল। পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশই জলাভূমি হলে ও পানযোগ্য পানির পরিমাণ নিতান্তই অল্প। পৃথিবীর মোট জলভাগের শতকরা ৯৭ ভাগ কঠিন বরফ, দুই ভাগ পানঅযোগ্য সামুদ্রিক লোনাপানি এবং অবশিষ্ট এক ভাগ মিষ্টিপানি। কিন্তু এর বেশিরভাগই ময়লা আবর্জনা জীবাণু দ্বারা পরিপূর্ণ ও পানের অযোগ্য।

তাই পানযোগ্য পানির সংকট ছিল সবসময়। সভ্যতার শুরু থেকেই মানুষ পানযোগ্য পানির জন্য নদীনালা, পুকুর, কুয়া বা অন্যান্য নিম্নস্থল যেখানে বৃষ্টির পানি জমা থাকত সে ধরনের উৎসের ওপর নির্ভরশীল ছিল। প্রাচীন সবকটি সভ্যতাই গড়ে উঠেছিল সুপেয় পানির উৎসের অনুকূলে। টাইগ্রিস-ইউফ্রেটিস নদীর অববাহিকায় মেসোপটেপিয়া সভ্যতা, হোয়াংহো নদীর তীরে চৈনিক সভ্যতা, সিন্ধু নদীর তীরে মহেঞ্জোদারো সভ্যতা, ইরাবতী নদীর তীরে হরপ্পা সভ্যতা, নীলনদের তীরে মিসরীয় সভ্যতা ইত্যাদি গড়ে উঠেছিল সুপেয় পানির পর্যাপ্ত জোগানের কারণেই।

যদিও পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৭০ ভাগ জুড়েই রয়েছে পানি। কিন্তু সব পানি ব্যবহার উপযোগী নয়। পৃথিবীর মোট জলভাগের প্রায় ৯৭.৩ ভাগ হচ্ছে লোনাপানি আর বাকি ২.৭ ভাগ হচ্ছে স্বাদু পানি। বিশ্বে স্বাদু পানির প্রায় ৬৯ ভাগ রয়েছে ভূগর্ভে আর প্রায় ৩০ ভাগ মেরু অঞ্চলে বরফের স্তুপ হিসেবে জমা আছে এবং মাত্র ১ ভাগ আছে নদী ও অন্যান্য উৎসে। পৃথিবীর মোট আয়তনের তিন ভাগের দুই ভাগ পানি হলেও পানযোগ্য পানির পরিমাণ নিতান্তই অপ্রতুল।

ছবি-১

তাই সুপেয় পানি প্রাপ্তির সুযোগ বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতিসংঘ পানি অধিকারকে মানবাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু অধিকার হিসেবে স্বীকৃত হলেও এখনো এ অধিকার থেকে বঞ্চিত ৭৬ কোটিরও বেশি মানুষ। তাই সুপেয় পানির অধিকার রক্ষা করা আজ জরুরি।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের ১৭ টি লক্ষ্যের মধ্যে ৬ নম্বরটি সুপেয় পানি। ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ নাগরিকের জন্য যা নিশ্চিত করতে হবে৷

পানি বাস্তবতাঃ
বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ মানুষের আওতার মধ্যে পানির কোনো-না-কোনো উৎস রয়েছে৷ কিন্তু এর সবটাই পানযোগ্য নয়৷
নিরাপদ বা সুপেয় পানি পাচ্ছে শতকরা ৫৬ ভাগ মানুষ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ এবং বাংলাদেশ সরকারের জয়েন্ট মনিটরিং প্রোগামের সর্বশেষ হিসেবে তা শতকরা ৮৭ ভাগ বলা হচ্ছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ফর রুর‌্যাল পুওর (ডরপ)-এর রিসার্চ, প্ল্যানিং অ্যান্ড মনিটরিং পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান৷ তিনি স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল-এর দক্ষিণ এশিয়ার স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য৷

এই হিসাব আমলে নিলেও এখনবো ১৩ ভাগ মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে না৷ তবে পানির দূষন হিসেব করলে ৪৪ ভাগ মানুষ নিরাপদ ও সুপেয় পানির আওতার বাইরে আছেন৷
২০১৫ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের গ্লোবাল রিস্ক রিপোর্টে বিশুদ্ধ পানি সংকটকে বৈশ্বিক হুমকির তালিকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, শরণার্থী সংকট ও সাইবার আক্রমনের উপরে স্থান দেয়া হচ্ছে। কানাডার ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক গ্রাহাম কোগলি বলেন, ‘‘ইন্দো-গাঙ্গেয় সমতলে, অর্থাৎ, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রায় ৬০ কোটি মানুষর বাস এবং তারা খুবই অনিয়ন্ত্রিত ও অতি ঝুঁকিপূর্ণ হারে মাটির নিচের পানি তুলে ফেলছে৷”অনেক গবেষণা অনুযায়ী এই বেসিনের ভূ-গর্ভস্থ পানির প্রায় অর্ধেক ব্যবহারের অযোগ্য৷ কারণ, এতে লবণাক্ততা ও আর্সেনিকের মাত্রা অনেক বেশি৷ তাই এগুলো পান করা বা কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য অনুপযোগী৷
বিশ্বের ভূ-গর্ভস্থ পানির প্রায় ৫০ ভাগ পান করা ও ৪০ ভাগ কৃষিতে ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হয়। আর বাংলাদশে কৃষি কাজে ব্যবহৃত মোট পানির ৭৮ ভাগ পানি হচ্ছে ভূগর্ভস্ত। যে হারে পানি উত্তোলিত হয় সেই হারে প্রাকৃতিকভাবে সেই পরিমাণ পানি মাটির নিচে সেসব ভূগর্ভস্থ অ্যাকুইফায়ারে যুক্ত হয় না। ইউনিসেফের গবেষণা অনুযায়ী, বছর জুড়ে বিশ্বের অন্তত ৭৬ কোটি মানুষ প্রচণ্ড পানি সংকটে ভোগে যার মধ্যে তিন জনের এক জনই ভারতে৷

ইউনিসেফ বলছে, নদীমাতৃক দেশ বলে খ্যাত বাংলাদেশে জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ মানুষ সুপেয় পানির জন্য হাহাকার করছে। শুধু তা-ই নয়, আর্সেনিক দূষণের ঝুঁকিতে আছে প্রায় ৩ কোটি মানুষ। সুপেয় পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।
ভূ-গর্ভস্তর থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে পানি ক্রমেই নিচে নেমে যাওয়ায় সারাদেশে ভূগর্ভস্তরের লবণ পানি সংমিশ্রণের আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। ভূগর্ভ দিয়েই দক্ষিণের লবণ পানি ধীরগতিতে দেশের মূল ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। বাপা’র এক গবেষণা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা শহরের পানির স্তর এখন সমুদ্রপৃষ্ঠের চেয়ে ১৭০ ফুট নিচে নেমে গেছে।

ছবি-২
রাজশাহীতেও পানির স্তর ১৮ থেকে ২৯ ফুট নিচে চলে গেছে। ফলে সাগরের লোনা পানি দক্ষিণাঞ্চল পার হয়ে এখন ঢাকা মহানগরীসহ দেশের মধ্যাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের দিকে আসছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মিঠা পানিভিত্তিক ইকোলজি পরিবর্তিত হয়ে লবণ পানি হয়ে যেতে পারে। ফলে বর্তমানের গাছপালা বিলীন হয়ে যাবে ও চিরচেনা শস্য বিন্যাস হারিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।

আমাদের ভাবনাঃ

উপরের তথ্য উপাত্ত এবং বাস্তবতায় আমরা দেখতে পাচ্ছি সুপেয় পানি প্রাপ্তি, ভবিষ্যতের পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় দুর্লভ বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ আফ্রিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অবশ্য এখনই সুপেয় পানির সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে৷

এইবার ইউরোপের খরা এবং নদীর শুকিয়ে যাওয়া আমাদের ইংগিত দিচ্ছে কঠিন ভবিষ্যতের। অথচ আমরা একেবারেই উদাসীন এই বিষয়ে। আমাদের প্রাত্যাহিক জীবন যাপনে জলের ব্যবহারে আমরা স্রেফ উদাসীনতায় যে কত সুপেয় জলের যে অপচয় করি তার ইয়ত্তা নেই।
শুধু ফ্লাশ ওয়াটার নিয়েই দেখুন চিত্রটা কেমন?
প্রতিবার টয়লেট ফ্লাশ করতে গেলে নূন্যতম তিন গ্যালন পানি খরচ হয়। তবে আধুনিক টয়েলেটে এই খরচের পরিমাণ এক গ্যালন। বিশ্বের প্রত্যেক মানুষ গড়ে প্রতিদিন ৩০ গ্যালন পানি অপচয় করে, যেখানে বিশ্বে বর্তমানে ৩৬০ কোটি মানুষ পানি সংকটে রয়েছে।

এই চরম বাস্তবতায় আমরা ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য পৃথিবীতে সুপেয় পানির সুরক্ষায়, নিজেদের ভবিষ্যতে সুপেয় জলের কষ্ট থেকে বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছি - আমাদের পরিকল্পনার মাধ্যমে:
ইউজেস অব রিসাইকেলড ওয়াটার ইন ডমেস্টিক ফ্লাশ ইউজেস (Uses of recycled water in Domestic Flash use) এর মাধ্যমে পানির অপচয় রোধ করে, রিসাইকল ইউজ করে সুপেয় পানির রক্ষা তথা বিশ্ব ও প্রকৃতি সুরক্ষার সবুজ আন্দোলনে সক্রিয় থাকার আবেদন নিয়ে।

প্রথমেই চলুন দেখে নিই পানির অপচয়ের পরিমান কত? (কমবেশি):
একটি পরিবারে যদি পাঁচজন মানুষ থাকে এবং তিন বেলায় চারবার করেও ফ্লাশ করে, তবে পানির ব্যবহারের পরিমান
প্রতিদিন/প্রতি ফ্লাটে (গড়ে)
জনপ্রতি ফ্লাশ ছোট ২ বার বড় ২ বার+-১ = ৫ বার
মোট ৫ বার প্রতি বারে ব্যবহার ১০ লিটার
৫*৫*১০ লিটার= ২৫০ লিটার /(এক ইউনিট)
৫*৫*১০*২= ৫০০ লিটার /ফ্লোর (২ ইউনিট)

৫ তলা হিসেবে পুরো বাড়ীর ১ দিনে গড় ব্যবহার
৫০০ লিটার * ৫ ফ্লোর = ২৫০০ লিটার /দিন

মাসে ব্যবহার (গড়ে)
২৫০০ লিটার/দিন* ৩০ দিন = ৭৫,০০০ লিটার/৭৫ইউনিট
বাৎসরিক ব্যবহার (গড়ে)
৭৫,০০০ লিটার * ১২ মাস = ৯০০,০০০ লিটার/৯০০ ইউনিট

ব্যবহৃত ফ্রেশ ওয়াটারের আর্থিক মূল্যায়নঃ

আবাসিকে ঢাকা ওয়াসার সরবরাহকৃত প্রতি ইউনিট (এক হাজার লিটার) পানির দাম ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা ১৮ পয়সা করা হয়েছে। আর বাণিজ্যিক সংযোগে প্রতি ইউনিট পানির দাম ৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪২ টাকা করা হয়েছে।

ওয়াসারা পানির রেট অনুপাতে বাৎসরিক হিসেবে তার আর্থিক মূল্য প্রায়
(৭৫*১৫.১৮) (১-৭-২০২১ ওয়াসার মূল্য চার্ট অনুযায়ী)
= ১১৩৮.৫০ টাকা প্রায়
বছরে যার আর্থিক মূল্য মান = ১৩৬৬২/=

আপাতত খুবই কম মনে হলেও সারা শহরে তার পরিমান দেখে নিশ্চয়ই চমকে উঠবেন।
শুধু ঢাকা শহরের ক্ষেত্রে

ছবি-৩

চিত্রে শুধু ঢাকা শহরের (আঁধা পাকা- পাকা) ফ্লাট এবং আবাসিক ভবন/ফ্লাট সংখ্যা ২৫ লাখ ধরলে শুধু ফ্লাশে ব্যায়িত পানির আর্থিক পরিমাণ দাড়ায়, (বাৎসরিক হিসেব)
অপচয়িত পানির পরিমান
৭৫*১২ = ৯০০ ইউনিট/৯০০০ লিটার

সামগ্রীক অপচয় =
৯০০০ লিটার * ২৫ লাখ
=২২৫০ কোটি লিটার পানযোগ্য জল।
যার আর্থিক মূল্য
২২৫০ কোটি লিটার বা ২কোটি ২৫ লাখ ইউনিট * ১৫.১৮ টাকা
৩৪,১৫,৫০,০০০ টাকা।

এই কোটি কোটি টাকার সুপেয় জলের অপচয় রোধ করা সম্ভব হলে, সাশ্রয় হওয়া সেই পান যোগ্য জল বা সুপেয় পানি দিয়ে কোটি কোটি মানুষের নূন্যতম সুপেয় জলের মৌলিক অধিকার পুরণ করা সম্ভব। ইউজেস অব রিসাইকেলড ওয়াটার ইন ডমেস্টিক ফ্লাশ' পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে যা রোধ করা সম্ভব।

সারাদিনের ব্যবহৃত জলের (গোসল, কাপড় কাঁচা, হাতমূখ ধোয়া, ওয়াসিং মেশিন সহ অন্যান্য)র জলকে 'রিসাইকলেড সিস্টেমে' ফ্লাশ ওয়াটার হিসেবে ব্যবহার করলে আমরা ঐ বিপুল অংকের অপচয়িত সুপেয় জল রক্ষা করতে সক্ষম হবো। যা আরো কোটি কোটি মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে ব্যবহার করা যাবে।

সেই বিপুল অংকের/অর্থের পানি রক্ষা করেত ফ্লাশে রিসাইকেলড ওয়াটার ইউজের সিস্টেম সেটাপ করা সম্ভব স্বল্প খরচে। আমাদের পুরাতন ফ্লাট/বাড়ীর অবকাঠামোতে সামান্য পরিবর্তন এনে বা নতুন নির্মিত/নির্মানাধীন ফ্লাটে/বাড়ীতে নতুন নিয়ম আইন করে বাস্তবায়নের মাধ্যেম এই পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যেম এই বিশাল অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।


** এটা একটা ধারনা পত্র। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত একে সমৃদ্ধ করতে পারে। এবং যোগ্য জনের সুদষ্টিতে এটি বাস্তবায়নের পথও খুলে যেতে পারে। কোন অসংগতি বা ভুল চোখে পড়লে মন্তব্যে জানিয়ে কৃতার্থ করার অনুরোধ রইলো।

ছবি কৃতজ্ঞতা:
ছবি-১ -গুগল
ছবি-২ - সারাবাংলা.নেট
ছবি-৩ - বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন



মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

সুন্দর ভাবনা। এগিয়ে যান।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভায়া :)

আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা ও সহায়ক মতামত আমাকে এগুতে সাহায্য করবে।
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভূ-গর্ভস্তর থেকে অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের ফলে পানি ক্রমেই নিচে নেমে যাওয়ায় সারাদেশে ভূগর্ভস্তরের লবণ পানি সংমিশ্রণের আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠছে। এবং সত্যি ই এলারমিং , বেশ ক বছর থেকেই এই ভাবনা নিয়ে লেখালখি হচ্ছে। আপনার তথ্য ও উপাত্তগুলো তার বাস্তব প্রমাণ। প্রস্তাব গুলো ও যুক্তিযুক্ত, আশা করছি আমাদের সম্মিলিত চেষ্টা থাকবে এই ভাবনার বাস্তবায়নে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরাপু

সত্যি ভয়াবহ এলার্মিং। এবারের ইউরোপে খরার খবর এবং নদী শুকিয়ে যাওয়ার ছবি দেখে সত্যি আতংকিত হয়ে উঠি।

আপনার সুচিন্তিত মতামতে অনুপ্রাণীত হলাম। হুম। পানি বিশেষত সুপেয় পানি সুরক্ষায় আমাদের সবার সচেতন হওয়া এখন সময়ের দাবী। ছোটকালে মনে আছে কারবালার ঘটনা স্মরন করিয়ে দিয়ে পানি অপচয়ে মুরব্বীদের সতর্কতার কথা।
অথচ মাঝে মাঝে কিছু বাড়ী আর গাড়ী ওয়ালাদের পানি অপচয় দেখে আতকে উঠি!
ওভারহডে ট্যাংক ওভার ফ্লো হয়ে পানি পড়ছেতো পড়ছেই! আবার গাড়ী ওয়াশের সময় মনের সূখে কল খুলে পানি যাচ্ছে তো যাচ্ছেই!

আমাদের সকলের মাঝে সচেতনতা আসুক। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য যেন একটা বাসযোগ্য পৃথিবী রেখে যেতে পারি।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:




ভৃগু

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমমম ....

:)

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,




তথ্যসমৃদ্ধ পরিশ্রমী পোস্ট।
হ্যা, গৃহস্থালীর কাজে পানির ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব শুধু মানসিকতা তৈরী করতে হবে। যেমন, সকালে মুখ ধোয়া বা ব্রাশ করার সময় আমরা প্রায় সবাই-ই বেসিনের পানির ট্যাপটি খুলে কাজটি সারি, পানি পড়ে যাচ্ছে অথচ আমরা ব্রাশ করেই যাচ্ছি, সেভ করছি ইত্যাদি।
এভাবে খুলে না রেখে্ও কাজটি সারা যায়। তাতে কয়েক মিনিট পানির অপচয় রোধ হয়। একজনের ক্ষেত্রে তিন/চার বা তারও বেশী লিটার পানি এভাবে বাঁচানো যায়। এখন আপনার হিসেব মতো সারাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখলে এভাবে কয়েক লাখ লিটার পানির সাশ্রয় সম্ভব। এভাবে রান্নাঘরের ধোয়া-পাল্লার সময় কলটি অযথা খুলে রাখা, গোসলের সময় কল খুলে গায়ে সাবান মাখা ইত্যাদি কাজে আরও লক্ষ লক্ষ লিটার পানির অপচয় হয়ে যায় আমাদেরই অজান্তে- অসচেতনতায়।

এসব রোধ করা যায় কোন প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়াই ।
আর আপনার বলা প্রযুক্তিটিতো আছেই।

সচেতনতার লেখা।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভায়া

হুম, স্রেফ সচেতনতাই পারে লাখ লাখ লিটার পানি অপচয় থেকে রক্ষা করতে।
মাঝে মাঝে মনে হয়- আমাদের মিডিয়া কবে জীবন মূখি হবে?
প্রতিদিন টিভিতে যদি পানি বিষয়ক বিশ্বব্যাপি যে সংকট, পানির জন্য হাহাকার করা আফ্রিকা বা ভারতের মরু এলাকার জীবন চিত্র যদি ট্রেলর আকারে দেখাতো, মানুষ চমকে উঠতো, সতর্ক হতো।

কালই মনে হয় বিবিসির একটা প্রতিবেদন দেখলাম- পানির জন্য যৌনতায় বাধ্য করছে সেখানে! চিন্তা করুন! কি কঠিন অবস্থা।
আর ধর্মীয় ভাবেও মুসলিম হিসেবেও কিন্তু সকলের ভীষন দায় রয়েছে প্রাণ, প্রকৃতি আর তার সুরক্ষার।
সেদিন একজনকে বল্লাম বৃক্ষ নিয়ে একটা হাদীসের কথা: যদি দেখো কিয়ামত সংঘটিত হচ্ছে, এবং তোমার হাতে একটি গাছের চারা আছে, তবে আগে চারাটি রোপন করো! সে চমকে উঠে অবিশ্বাসীর মতো তাকালো। রেফারেন্স চাইলো। গুগল করে দেখিয়ে দিতেই বিস্মিত হয়ে রইলো। ভাই, ৩৫ পার করে দিলাম- এই কথা আজ জানলাম!!!!!

আমরা সবাই সচেতন হই। নিজের জন্য, নিজেদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এবং বিশ্বের অন্য সকল মানুষের জন্য যারা পানির অভাবে কষ্টকর জীবন যাপন করছে, তাদের জন্য।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১১

মিরোরডডল বলেছেন:




অনেকদিন পর দেখলামতো, তাই একটু ডাকলাম :)
পোষ্ট পড়ে এখন আমি তৃষ্ণার্ত !



০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা
প্রীত হলাম
এই ডাকের জন্যই যে সামু ছেড়ে যাওয়ার উপায় নেই :) হা হা হা

তৃষ্ণা নিবারনে পিচ্চুটার মতো কলের জলে মূখ লাগাও

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৫

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব পরিশ্রমী পোস্ট! আমি মনে করি, পানির সুসম ব্যবহার করলে পানির সমস্যা হতে পারে না। পানির অপচয় পানি সমস্যার অন্যতম কারণ। ঢাকা শহরে সব ভাড়াটিয়া বাড়ি ভাড়ার মধ্যে পানির বিল ইনক্লুড থাকায় বেশীরভাগ ভাড়াটিয়া পানির অপচয় করে বাড়িওয়ালাদের শাস্তি দেয়। কোনো ভাড়াটিয়া রান্না ঘরের এবং বাথরুমের পানির কল বন্ধ করে না। আমাদের ১২ ফ্ল্যাটের বিল্ডিংয়ে মাসে পানির বিল আসে এভারেজ ৫৫ হাজার টাকা! ভাড়াটিয়া ছয় ফ্ল্যাট বাসিন্দারা দুই ঈদের সময় গ্রামে চলে যায় তখন পানির বিলাসে ওয়ান ফোর্থ!

** রান্নাঘরের ব্যবহৃত পানি সংরক্ষণ আপনি আপনার বাগানে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ব্যবহৃত পানি ফিল্টার করে গাড়ী ধোয়া অথবা জানালার কাঁচ পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করতে পারেন।

**বাগানে হোসপাইপ দিয়ে পানি দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় ১০০০ লিটার পর্যন্ত পানি খরচ হতে পারে। যদি বাগানে পর্যাপ্ত পরিমাণ জৈব সার দেয়া যায় এবং খুব সকালে এবং বিকেল বেলা পানি সেচ দেয়া যায় তাহলে পানি বাষ্পীভবন অনেকটাই কমে যায়। ফলে পানির প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই কমে যায়।রান্নাঘরের ব্যবহৃত পানি সংরক্ষণ আপনি আপনার বাগানে ব্যবহার করতে পারেন।

একটা ভালো লেখার জন্য ধন্যবাদ। +

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভায়া

হুম। এটা একটা আজব সাইকোলজি! অথচ নিজের অজান্তে নিজেরই পায়ে কুড়াল মারছে। নিজের পরবর্তী প্রজন্মের পায়ে আঘাত করছে। সেই ক্ষেত্রে বাড়ী ওয়ালা দারুন একটা কাজ করতে পারে। প্রতি ফ্লাটে সাব-মিটার লাগিয়ে দিতে পারে ;)
এইবার খরচ করো বাপু! যত খুশি :)

আপনার মতামতও দারুন। রিসাইকেল ইউজের মধ্যে এগুলোও ব্যাপক ভাবেই গণ্য।

এখন সমস্যা হলো তাসকিন সাহেবতো ব্যাস্ত নিজের চেয়ার আর লুটিং মানি নিয়ে! অথচ এক ওয়াসা যদি উদ্যোগ নেয়, পানি সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হয়। পানি বঞ্চিত লাখো লাখো মানুষ সুপেয় জল পেতে পারে। দুষিত জলের মাধ্যমে পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারে।
হা ইশ্বর! কে দেবে কার ঘরে ধোঁয়া!!!!!!!!

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা অফুরান

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ বাঁধলে তা হবে পানি নিয়ে।
ধন্যবাদ ভৃগু দাদা তথ্য সমৃদ্ধ লেখাটির জন্য।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই

হুম । তেমনইতো মনে হচ্ছে....
শুভেচ্ছা অফুরান

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধন্যবাদ ভৃগু দাদা পানি নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টের জন্য।
তেল বা গ্যাস নয়; আগানীতে বিশ্বযুদ্ধ হবে পানি নিয়ে

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ লিংক শেয়ার করায়। সময় নিয়ে পড়ে জানাচ্ছি :)

ধন্যবাদ আরেকবার :)

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
সুপেয় পানি জোগাড়ের জন্য আমাদের তেমন একটা কষ্ট করতে হয়না বলেই আমরা এর মূল্য দেই না।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেটাই ভায়া।

কিন্তু এক ফারাক্কা আমাদের দেখিয়েছে পদ্মার করুন পরিণতি!
আর ক্রমাগত ৫৪টি নদীতে বাঁধের ফলে আমরাও ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছ কস্টের দিনের দিকে।
তাই সময় থাকতেই সাবধান হতে হবে। অভ্যাস পাল্টাতে হবে। অপচয় রোধ করতে হবে। যাতে সার্ভাইভ করতে পারি নিজেরা এবং করতে পারে ভবিষ্যত প্রজন্ম।

অনেক অনেক ধন্যবাদ দস্যু'দা :)

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
তবে আশার কথা ভৃগু দাদাঃ
তৃতীয় বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচবে টয়লেটে ব্যবহৃত পানি

বিশ্বে বাড়ছে মানুষ; বাড়ছে নানাবিধ সমস্যা। সমস্যাগুলোর মধ্যে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা উল্লেখযোগ্য। তৃতীয় বিশ্বে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। ভবিষ্যতে এ বিশ্বের মানুষের অন্যতম সমস্যা হবে পানীয় জল। পানির জন্য হাহাকার পড়ে যাবে। এ নিয়ে বিজ্ঞানীদের ভাবনার শেষ নেই। তারা দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে তৃতীয় বিশ্বের তৃষ্ণার্ত মানুষের জন্য সুখবর বয়ে এনেছেন এক বিজ্ঞানী। তার দাবি, টয়লেটে ব্যবহৃত পানি বিশেষ প্রক্রিয়ায় শোধন করে পান করা যাবে। এ পানি পুরোপুরি নিরাপদ। এতে তৃতীয় বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচবে।
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের অর্থায়নে দীর্ঘদিন ধরে নিরাপদ পানীয় জল নিয়ে গবেষণা করছেন ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ড. সারাহ হেইগ।

ক্ষুদ্র প্রযুক্তিবিদ হেইগ একটি ডিভাইস আবিষ্কার করেছেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে 'স্ক্যাফোল্ড'। এটির মধ্যে বর্জ্যের মিশ্রণ এবং কিছু কণা রাখা হবে। পানির সঙ্গে বিক্রিয়া করে এ কণা হাইড্রোজেন আলাদা করতে সক্ষম হবে। অবশিষ্ট পানি বিশেষ প্রক্রিয়ায় ছেঁকে পরিষ্কার করতে হবে। এ পরিষ্কার পানি পান করার জন্য পুরোপুরি নিরাপদ। তবে তা বোতলজাত করা সম্ভব হবে না। এ প্রক্রিয়ায় বর্জ্য থেকে জৈব জ্বালানিও উৎপন্ন করা যাবে। পানির জন্য যে এলাকায় জীবন-মৃত্যু সমস্যা, সেখানকার জন্য এ প্রক্রিয়া খুবই ফলপ্রসূ হবে বলে দাবি করেন হেইগ।

সারাহ হেইগ বলেন, এ গবেষণা শুরুর পর অনেকে অনেক মন্তব্য করেছেন। অনেকে কৌতুক করেছেন। তবে তিনি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন এবং অবশেষে সফল হন। তিনি বলেন, জৈব জ্বালানি নিয়ে অনেক গবেষণা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মানুষের বর্জ্যে অনেক শক্তি রয়েছে। তার এ গবেষণা বলে, মানুষের বর্জ্যে অনেক হাইড্রোজেন আছে। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে এ হাইড্রোজেন আলাদা করে ব্যবহার করা। ড. হেইগ এখন ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন ও ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাজ করছেন। এ গবেষণার জন্য বিল ও মেলিনা গেটস ফাউন্ডেশন তাকে এক লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছে।
বিজ্ঞানীদের ব্যয়বহুল জৈব জ্বালানি ও নিরাপদ পানি উৎপন্নের এ ধারণার কাছে আরও দুই হাজার গবেষণা প্রস্তাব মার খেয়েছে বলে তারা দাবি করেন। এ গবেষণায় তারা পুরোপুরি সফল হলে আগামী বছর আরও ১০ লাখ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাবেন। আগামী বছর নাগাদ এ প্রযুক্তি বাজারে আসতে পারে।
হেইগ বলেন, প্রতিদিনই আমরা নানাভাবে অনেক কিছু অপচয় করে থাকি। আর সেই অপচয়ই এখানে বিনিয়োগ হচ্ছে। এ থেকে আমরা পেতে পারি ব্যবহারযোগ্য সম্পদ। এ প্রযুক্তি উন্নয়নশীল দেশের দুর্গম অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ থেকে কমবে দূষণ। বর্জ্য শোধনের খরচও কমবে।
খবর :Manchester Evening News
Turning toilet waste into drinking water: Bill Gates backs 'life-saving' research by Manchester academic Read more at: Click This Link

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওয়াও!
জটিল আবিস্কার হলেও ভাই...
আসেন আপাতত আমরা ফ্রেশ সুপেয় জল ফ্লাশে ব্যবহার না করে রিসাইকলড জল ব্যবহার করি তাতেই শান্তি! ;)

ঐটা মনে হইলেই তো পেটে মোচরানী মারে ;) হা হা হা

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভাই সময় জবাব দেবে তার!
পরিশুদ্ধ টয়লেটের পানি পান করুন, জীবন বাঁচান!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম...

১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৯

কামাল৮০ বলেছেন: আব হাওয়ার পরিবর্তনে পানি সংঙ্কটে পড়বে সারা বিশ্ব।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চলমান বাস্তবতা এবং লক্ষণ সেদিকেই ইশারা করছে।

কিন্তু সমস্যার গোড়াতো অন্যখানে। তারা ক্ষমতার লড়াইয়ের অন্ধ প্রতিযোগীতায় যে মারনাস্ত্র বানাচ্ছে আর পরীক্ষা করছে, তাতে প্রকৃতির যে তেরোটা বেজে যাচ্ছে, তাদের কে বোঝাবে?
একেকটা ব্লাস্টে প্রাণ প্রকৃতির কি পরিমান ক্ষতি হচ্ছে তার গবেষনা কে করবে? গ্রীন হাউজ ইফেক্টতো আছেই।
ভোগান্তির বেলায় কিন্তু সব্বাইকেই ভুগতে হবে।

ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য।

১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
অতংকিত হবার মতন অবস্থার দিকে যাচ্ছি আমরা। নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার খবরগুলো দেখছি। বিদেশে এসব নিয়ে যত আলোচনা হয় সাথে কার্যক্রমও শুরু হয়ে যায়। বাংলাদেশে তেমন হয় না।
জনগণকে সচেতন করে তোলা জরুরী।
সুপেয় নদীর দেশ যদি লবনাক্ত পানির দেশ হয়ে যায় ভাবতেই শিউরে উঠছি।
খুলনার দিকে চিংড়ি চাষের ফলে পরিবেশের যে পরিবর্তন হয়েছে চাষবাসের দূরবস্থা হয়েছে এটা একটা উদাহরণ হতে পারে, মানুষকে সচেতন করার জন্য।
অনিয়মে অপরিবেশ বান্ধব কার্যক্রমগুলো বন্ধ করার জন্য যথাযথ উদ্যোগ সরকারি ভাবেই নিতে হবে এবং মানুষকে সচেতন করতে হবে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় রোকসানা লেইস :)

সত্যি আতংকিত হবার মতোই সব খবর! আমাদের অন্ধ নেতৃত্ব স্রেফ ক্ষমতার লোভে মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাখতেই ব্যাস্ত!
প্রাণ, পরিবেশ, প্রতিবেশ, প্রকৃতি, ভবিষ্যত নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই।
লুট করো আর বিদেশে পাচার করো! হায়!!!

অনিয়মে অপরিবেশ বান্ধব কার্যক্রমগুলো বন্ধ করার জন্য যথাযথ উদ্যোগ সরকারি ভাবেই নিতে হবে এবং মানুষকে সচেতন করতে হবে আপনার এই কথায় পূর্ন সহমত।

১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইজান, আপনি বলেছেন, সেই ক্ষেত্রে বাড়ী ওয়ালা দারুন একটা কাজ করতে পারে। প্রতি ফ্লাটে সাব-মিটার লাগিয়ে দিতে পারে ;)
এইবার খরচ করো বাপু! যত খুশি :)


পানির সাব মিটার লাগানো ওয়াসা পার্মিট করেনা
কারণ, পানির সাব মিটার লাগানো মোটেই সহজসাধ্য নয়।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমম। তবেতো বেশ ঝামেলাই।

সেল্ফ মনিটরিং এর টেম্পোরারী কোন ব্যবস্থা নেই। স্রেফ কনজিউমড ওয়াটার ইউনিট মাপার যন্ত্র?

১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩০

অপ্‌সরা বলেছেন: কি সাংঘাতিক।

সুপেয় পানির আকাল হলে তবেই মনে হয় নাকাল হয়ে এই পানি নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের আক্কেল হবে। নয়ত আমাদের দেশে বিশেষ করে ঢাকায় তো মানুষ সুপেয় পানি শূন্য হয়ে লবনপানি খাবে?

কি সাংঘাতিক! :(

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তেমনেইতো মনে হচ্ছে!
চাই শুধ রাজ ক্ষমতা!ছলে বলে কৌশলে!!!

ঢাকার পানি চিত্র নিয়েই একটা বিশাল পোষ্ট সম্ভব। পরিস্থিতি সত্যি ভয়াবহ! পানির স্তরের নেমে যাবার সাথে সাথে অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাও ক্রমশ বাড়ছে। ভূমিকম্প তার অন্যতম!

সচেতনতায় তোমার বুদ্ধি একটু খাটাওতো দেখি! তোমার বাচ্চাগুলোর মাথায় বীজ ঢুকিয়ে দাও।
সচেতনতার, প্রাণ, প্রকৃতিকে ভালবাসার। তাদের সুরক্ষার ভাবনা।
হয়তো ভবিষ্যত প্রজন্মর একটা অংশ সচেতন হয়ে বেড়ে উঠবে :)

১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:৩৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,




তথ্যসমৃদ্ধ পরিশ্রমী পোস্ট।
হ্যা, গৃহস্থালীর কাজে পানির ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব শুধু মানসিকতা তৈরী করতে হবে। যেমন, সকালে মুখ ধোয়া বা ব্রাশ করার সময় আমরা প্রায় সবাই-ই বেসিনের পানির ট্যাপটি খুলে কাজটি সারি, পানি পড়ে যাচ্ছে অথচ আমরা ব্রাশ করেই যাচ্ছি, সেভ করছি ইত্যাদি।
এভাবে খুলে না রেখে্ও কাজটি সারা যায়। তাতে কয়েক মিনিট পানির অপচয় রোধ হয়। একজনের ক্ষেত্রে তিন/চার বা তারও বেশী লিটার পানি এভাবে বাঁচানো যায়। এখন আপনার হিসেব মতো সারাদেশের প্রেক্ষাপটে দেখলে এভাবে কয়েক লাখ লিটার পানির সাশ্রয় সম্ভব। এভাবে রান্নাঘরের ধোয়া-পাল্লার সময় কলটি অযথা খুলে রাখা, গোসলের সময় কল খুলে গায়ে সাবান মাখা ইত্যাদি কাজে আরও লক্ষ লক্ষ লিটার পানির অপচয় হয়ে যায় আমাদেরই অজান্তে- অসচেতনতায়।

এসব রোধ করা যায় কোন প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়াই ।
আর আপনার বলা প্রযুক্তিটিতো আছেই।

সচেতনতার লেখা।


অনেক দিন পর আপনার পোস্ট পেলাম। নিয়মিত পোস্ট চাই।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

হুম স্রেফ সচেতনতাও লাখ লাখ লিটার পানি অপচয় রোধ করতে পারে।
আমাদের মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারেন।

রাটক গুলো লুতুপুতু প্রেমের সাথে যদি সমাজ, প্রাণ প্রকৃতি সচেতনতার একটু একটু বীজ রুযে দিতো!
আহা! কতইনা ভালো হতো।

বিশ্বাস করবেন অবাক হয়ে ভাবি- সেই সাদাকালো যুগে সেই চার্লি চ্যাপলিন মুভিতেও তাদের সমাজ সচেতনতা কত প্রখর ছিল্ ফানের মধ্য দিয়েই গড়ে তুলেছে সমৃদ্ধ সমাজ, সচেতন নাগরিক।

আজ আমরা ২০২২ এ দলান্ধতার কূপমন্ডুকতায় মারামারিতে লিপ্ত! গোফরান ভাই বলুন কি বিচিত্র এ দেশ! নয়?

১৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫৭

সোহানী বলেছেন: খুব প্রয়োজনীয় ও বাস্তবিক ভাবনা।

আমাদের যেভাবে লোকসংখ্যা বাড়ছে সে বাড়তি সংখ্যাকে সামাল দিতে এ ধরনের বিকল্প চিন্তা ছাড়া গতি নেই।

তবে তোমার ভাবনাটা কিভাবে বাস্তবের সাথে যোগ করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করছি। এটা পশ্চিমা বিশ্বে হলে তোমাকে পারিশ্রমিক দিয়ে তোমার ভাবনা কিনে নিতো। যেহেতু বাংলাদেশ এ আছো তাই সেটার বাস্তবায়ন কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে বেশ সংকিত। কারন ভাবনার দাম এখানে কানাকড়িও নেই যদি না তুমি হোমড়া-চামড়া হও।

প্রথমে লোকাল এনজিও যারা পরেবেশ নিয়ে কাজ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারো। আর নিজে যদি একটা এনজিও রেজিস্ট্রেশান করো তাহলে প্রজেক্ট প্রপোজাল সাবমিট করতে পারো বিভিন্ন ডোনার এজেন্সির কাছে। কোনটা সহজ দেশে তা জানা নেই। বা আদৈা সম্ভব কিনা তাও জানা নেই। তারপরও কাউকে না কাউকে ভাবতে তো হবেই।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সোহানী

দারুন মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
হুম সত্যি দু:খজনক আমাদের বাস্তবতা। আইডিয়া চুরিতে ওস্তাদ। কিন্তু আইডিয়ার নূন্যতম সম্মাননা দিয়ে তাকে পেট্রোনাইজ করার ভাবনাই যেন তারা ভাবতে ভুলে গেছে।

পরামর্শের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। দেখি কোনটা সহজ হয়।

ভাবনার পাশে থাকায় অনুপ্রানীত। শুভকামনা অফুরান।

১৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: প্রতিবার ফ্লাশ করতেগিয়ে আমার বুকের মধ্যে খচ খচ করে। গোসল করার পানি, হাতধোঁয়ার পানি, ওয়াশিং মেশিনের ব্যাবহার করা পানির পুনর্ব্যাবহারের কথা সবসময় ভাবি :(

দারুন সময়োপযোগী একটা নিবন্ধ! অনেক খাটুনী গেছে ভাই আপনার। অনেকদিন বাদে ফিরে আসার জন্য ভালবাসা।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভায়া

আসলেই তাই- খচখচ করে বুকে।
আফ্রিকার পানির নিউজ বা ভিডিও যখন দেখি, বা ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, আমাদের দেশেও খোদ নগরেই বিশুদ্ধ ‍সুপেয় পানির বিশাল লাইন... কষ্ট হয়।
মৌলিক মানবাধিকারের মিনিমাম টুকুও স্বাধীনতার ৫০ বছর পরো নিশ্চিত করতে পারে নাই দেশের হত্তা-কত্তারা!

ভাবনা অনুভবে আর পাশে থাকায়, ভালবাসায় কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা অন্তহীন।

১৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট।
ইউজেস অব রিসাইকেলড ওয়াটার ইন ডমেস্টিক ফ্লাশ এর মাধ্যমে পানির অপচয় রোধ করে ।
"ইউজেস অব রিসাইকেলড ওয়াটার ইন ডমেস্টিক ফ্লাশ" এটা কিভাবে কাজ করে, খরচ কেমন, কোথা হতে এই সার্ভিস পেতে পরি, উক্ত সিস্টেম কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়? ইত্যাদি বিষয়ে যদি একটু ধারণা দিতেন তাহলে পোস্টটি পরিপূর্ণতা পেতো বলে আমি মনে করি । পরবর্তী পোস্টে এ বিষয়ে ধারণা পাবো বলে আশা রাখি।

একটি বিষয় আমার মাথায় ধরে না, তা হচ্ছে- দিন দিন যেহেতু সুমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ছে, তাহলে ভূগর্ভের পানির স্থর নিম্নমুখী কেন হচ্ছে? আর ভূগর্ভস্থ যে পানি আমরা উত্তোলোন করি তার বেশির ভাগ পানিই তো আবার মাটির নিচেই যাচ্ছে, তাহলে পনির স্থর নিচে কেন নামছে?

পো্স্টের জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "ইউজেস অব রিসাইকেলড ওয়াটার ইন ডমেস্টিক ফ্লাশ" এটা কিভাবে কাজ করে, খরচ কেমন, কোথা হতে এই সার্ভিস পেতে পরি, উক্ত সিস্টেম কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়? ইত্যাদি বিষয়ে যদি একটু ধারণা দিতেন তাহলে পোস্টটি পরিপূর্ণতা পেতো - আপনার এই কথায় পূর্ণ সহমত।
কিন্তু কিছু ট্যাকনিক্যাল কারণেই ওটা উহ্য রেখেছি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টি না হওয়া ও অপরিকল্পিত সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন ভূগর্ভস্থ পানির স্তরকে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে। সাধারণত পানির স্তর ২৬ ফুটের নিচে নামলে হস্তচালিত নলকূপ থেকে পানি ওঠে না। আর যদি তা ৩০ ফুটের নিচে নেমে যায়, তাহলে বাসাবাড়িতে মোটর দিয়ে পানি তোলাও অসম্ভব হয়ে পড়ে।
গত বছর এপ্রিল-মে মাসে পানির স্তর (স্থিতি অবস্থা) ছিল ২৮-৩১ ফুটের মধ্যে ■ চলতি বছরের মে মাসে কোথাও কোথাও তা সর্বোচ্চ ৩৫-৩৭ ফুটে নেমেছে।

গভীর নলকূপ দিয়ে মাটির নিচ থেকে দিনরাত অবিরাম পানি তোলা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা দুই দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ, যার ফলে আমরা গুরুতর সংকটে পড়ে যেতে পারি। প্রথমত, ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যায়, এতে প্রাকৃতিক পরিবেশে বা ইকোসিস্টেমে ভারসাম্য ক্ষুণ্ন হয়।

আবার প্রকৃতির স্বাভাবিক ধারাকে আমরা বিনষ্ট করছি। যেমন ফারাক্কা! এর প্রভাবে নদীতে স্বাভাবিক যে পানির চাপ থাকতো তাতে ইকো রিজার্ভারের ব্যালেন্স যুগ যুগ ঠিক চলে আসছিল। কিন্তু এখন তা কমে যাওয়ায় প্রকৃতির চেইন ভেঙ্গে যাচ্ছে।
আর আমাদের প্রয়োজনে অতিরিক্ত পানি উত্তোলন তাতে ঝুকির মাত্রা কেবলই বাড়াচ্ছে।

সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়লেও তা মিঠা পানির বৃদ্ধিতে কোন কাজে আসবে না। বরং মিঠা পানির স্তর নেমে যাওয়ার ফলে নোনা পানি ভু-গর্ভের ভেতরে চলে আসলে তা আরও মারাত্বক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াবে। দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ যে সমস্যার নিয়ত ভুক্তভূগি।

আপনাকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। উত্তর দিতে দেরী হওয়ায় দু:খিত।


২০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৯

মীর ভাই বলেছেন: খুবই সময়োপযোগী ও আধুনিক পোস্ট । ধন্যবাদ লেখক কে ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মীর ভাই

শুভেচ্ছা রইলো।

২১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ষুল্যবান এ লেখাটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
হাতে সময় নিয়ে ভাল করে পাঠ করব ।
শুভেচ্ছা রইল

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় ডঃ এম এ আলী :)

সম্মানীত বোধ করছি।
পাঠোত্তর মূল্যায়নের অপেক্ষায় রইলাম :)
অন্তহীন শুভকামনা

২২| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: নদী যেখানে, মানুষ বসতি গড়েছে সেখানেই। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে আজও পর্যন্ত এ নিয়মই চলে আসছে। মেসোপটেমিয়ান সভ্যতা, মিশরীয় সভ্যতা, হরপ্পা ও মোহেঞ্জাদারো সভ্যতা, হোয়াং হো তীরবর্তী চৈনিক সভ্যতা, ইত্যাদির দৃষ্টান্ত আপনি সঠিকভাবেই উল্লেখ করেছেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে সুপেয় পানির সরবরাহ থাকার কারণেই এসব সভ্যতা যথাক্রমে ইউফ্রেটিস-টাইগ্রিস, নীল নদ, সিন্ধু নদ, ইরাবতী নদী এবং হোয়াং হো নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল যুগের পর যুগ ধরে।

পানি নিয়ে ভয়াবহ একটি ক্রাইসিসের সম্মুখীন আজ আমরা। এমন একটা বিপজ্জনক পরিস্থিতি নিয়ে সময়োপযোগী আলোচনার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

০৫ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সিনিয়র

আহা যেন কত যুগ পর লগিন করলাম সামুতে।
মাঝে কত অফুরান মিস তার ইয়ত্তা নেই.।
ঢুকেই আপনার মন্তব্যে পুলকিত হলাম্

আসলেই এক ভয়াবহ বিপদ সামনে। সুরক্ষা চাই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। আর উদ্যোগ।
এবং গণমানুষের ব্যাপক সক্রিয় অংশগ্রহণ।

শুভেচ্ছা রইলো।

২৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আজ বেশ কিছুদিন ধরে ওয়াসার পানির সাথে অনেক কাদা-বালু আসছে। রিজার্ভ ট্যাঙ্ক এবং ছাদের ট্যাঙ্কের তলায়ও কাদা-বালুর আস্তরণ পড়ছে। বেশ শঙ্কিত হচ্ছি এ বিষয়টি নিয়ে।

আহমেদ জী এস এর মন্তব্যে উল্লেখিত বদ অভ্যাসগুলো প্রায় সব বাড়ির বাসিন্দাদের মাঝেই দেখা যায়। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম এ ব্যাপারে একেবারেই নির্বিকার। আর তাদের উপর বুয়া বাহিনী তো রয়েছেই। মনের সুখে কল ছেড়ে ধোয়া মাজা করতেই থাকে, বললেও শুনে না।

"ঢাকা শহরে সব ভাড়াটিয়া বাড়ি ভাড়ার মধ্যে পানির বিল ইনক্লুড থাকায় বেশীরভাগ ভাড়াটিয়া পানির অপচয় করে বাড়িওয়ালাদের শাস্তি দেয়" (জুল ভার্ন এর মন্তব্য) - সাধারণভাবে এ কথা যে কতটা সত্য, তা কেবলমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানে।

১০ নং মন্তব্যটির জন্য মরহুম নূর মোহাম্মদ নূরু কে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.