নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিজয় দও

Hallo,i am a bijoy

বিজয় দও › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনগনের বন্ধু

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৫

“জনগনের বন্ধু” এই এই সম্পরকের দাবীদার পুলিশ এর উচিত ছিলো জনগনের বন্ধু হওয়া । পুলিশ এর কাজ করমের প্রতি অনেক আগেই নজর দেয়ার প্রয়োজন ছিল প্রশাসনের । আমরা কেন দেই নি সেটা বোধগম্য নয়। রাষ্ট্রের যত খরচ আছে সব ই জনগন নানা ভাবে বহন করে । রাষ্ট্রের নিজস্ব বলে কিছু নাই । থাকে না । রাষ্ট্রের নিজস্বতা? মূল উপাদান ই বা কি ? জনগন ই রাষ্ট্রের মালিক। জনগনকে কেন্দ্র করেই নিরমিত হয়



জনগনের মঙ্গলের চিন্তা করেই রাষ্ট্র পরিচালিত হয় । জনগনের দবারা নিরবাচিত সরকার জনগনের মঙ্গলের জন্যই কাজকরম করে । এই সব কাজের একটি অংশ হলো পুলিশ। একটি রাষ্ট্রের বেশ কিছু বাহিনী রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সদা জাগ্রত থাকে । কিন্তু পুলিশের ক্ষেত্রে আমরা সব সময় বলতে – শুনতে অভ্যস্ত “পুলিশ জনগনের সেবক” । একথা অস্বীকার করতে চাই না যে পুলিশ যদি নিষ্ক্রিয় থাকতো তাহলে দেশের কি হতো ? কিন্তু একথাও না বলে পারছি না যে পুলিশ জনগনের সেবক । ক্ষেত্র বিশেষে পুলিশের আচরন বা ততপরতা ভিন্ন রুপ ও রং ধারন করে যা কাম্য নয় ।


পুলিশের কাছ থেকে আসলে জনগন কতটুকু সেবা পাচ্ছে সেটা দেখা সব সময় ই প্রয়োজন । কিভাবে পাচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া চলমান থাকা দরকার । সম্প্রতি পেশাগত দায়িত্ত পালনে মফস্বলে কাজ করতে গিয়ে আশংকিত ও আতংকিত হয়েছি এই বাহিনীর আচরন ও কাজকরমে । পুলিশ কে মানুষ এত ভয় পাবে কেন ? পুলিশের ভয়ে লোকজন ঘরের চেয়ে জেলেই থাকতে পছন্দ করবে কেন ? জামিন পেয়েও জেল থেকে বের হতে চাইবে না কেন ? সামান্য বিষয়ে মত পারথক্য হলেই পুলিশ কেন সাধারিন মানুষ কে জঙ্গী বানাবে ? মফস্বলে কেন মানুষ পুলিশের ভয়ে বাসায় থাকতে চায় না ।


“ পুলিশের চেয়ে বড় চাদা বাজ তারা আর কাউকে পাই নি” একথা মানুষ কখন বলে ? মফস্বলে অহরহ পুলিশ বাসায় – রাস্তা ঘাটে – আদালত প্রাঙ্গনে সাধারন মানুষের কাছে সরাসরি ঘুষ নিয়ে আইন লংঘন করেই যাচ্ছে । তাদের কে কিছুই বলার কেউ নাই । টাকা না পেলেই সাধারন মানুষ হিয়ে যাচ্ছে “ জঙ্গী” মামলায় আসামী । একটা বিভিষিকাময় ভীতকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে জনমনে । এমন কি এই সব ক্ষেত্রে লোকাল রাজনীতি বিদদের ও বিশেষ কোন ইতিবাচক ভূমিকা নাই যা জনগনের পক্ষে কাজ করছে । রাজনীতিতেও রয়েছে দলীয় কোন্দল আছে । নেত্রত্তের অদ্রশ্য লড়াই আছে । একে অপরকে টেনে নামাবার অপচেষ্টা আছে । কিন্তু সব ছাপিয়ে যা আছে সেটা হলো – পুলিশ ভীতি। মামলায় জড়িয়ে দেবার ভয় !

থানা সকলের জন্য অবারিত নয় । ততটুকুই খোলা যে যত টুকু পদ মরযাদা বহন করে । সেখানে পুলিশের এক অদ্ভুত চেহারা – আচরন । যেন তারা ছাড়া আর সকলেই ভিন গ্রহ থেকে এসেছে । রাস্তা ঘাটে এক থমথমে ভাব । সন্ধ্যার পর যা আরো বেড়ে যায় । বাসা বাড়ীতে আতংক । করমস্থলে । এভাবে চলতে পারে না । চলতে দেয়া ঠিক নয় । পুলিশ কে জনগনের বন্ধু না হোক শত্রু বানানো বন্দ করুন । সামনে অশনি সংকেত !



দিলরুবা শরমিন

প্রথমবার্তা (সম্পাদক )

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: পুলিশের ঘূষ খাওয়াটা খুবই বাজে জিনিস।

তবে, যেসব জনগণ আইন অমান্য করে দেশের ক্ষতি করছে, পুলিশকে একটু রিস্ক তো নিতেই হবে!

রিস্ক না নিলেই বরং দোষ।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আগে নিজের নিজেদের দোষটা দেখেন।
পুলিশ ঘুস খাচ্ছে আপনি দিচ্ছেন কেন?
২য় নম্বরি সুবিধা নেয়ার জন্যই তো দিচ্ছেন।


আর ঘুস আপনি কি কম খাচ্ছেন?
কোন সরকারি অফিস ঘুষ ছাড়া চলছে, বেসরকারি কি কম যায়। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতায় কোথায় নেই ঘুষ?
আগে নিজেরা ভাল হন। পুলিশ - প্রশাসনকে ঘুষ না দিয়ে সহয়গিতা করুন। জংলি দমনে পুলিশ সফল না হলেও অন্তত ব্লগারদের কল্লাকাটা আপাত বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: পুলিশ খুবই ভপ্যাবহ জিনিশ।
কিছুতেই তাদের বন্ধু বলা যাবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.