নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জনতার পক্ষে থাকুন,জনতার পক্ষে লিখুন,জনতার পাশে থাকুন।কারণ জনতা আজ বিক্ষুব্ধ।\nগণতান্ত্রিক রাষ্টে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।\n

বিক্ষুব্ধ জনতা

আমি বাংলাদেশের অবহেলিত জনতার একজন প্রতিনিধি।

বিক্ষুব্ধ জনতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্নয়নের গ্যাস্টিক!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

ছোটবেলা থেকেই চানাচুর আমার ভীষণ প্রিয়।বিশেষ করে আমাদের এলাকায় “আছাদ চানাচুর” নামে যেটা পাওয়া যায়।সে সময় মনে হতো আমাকে যদি এই চানাচুর দিয়ে বলে সারাদিন কিছু খেতে পাবি না,তাতেও কোন আপত্তি থাকত না।

কিন্তু এখন বুঝতে পারি সেদিনের সে সুখ ছিলো অস্থায়ী!ছোটবেলার সে সুখের কারণে গ্যাস্টিকের সমস্যা হতে কিশোর বয়স পর্যন্ত সময়ের বেশী লাগে নি!এখনও মাঝে মাঝে একটু-আধটু ভাজাপোড়া খেলেই গ্যাস্টিকের প্রকপ টের পাই!

কি ভাবছেন?উন্নয়নের কথা বলতে এসে চানাচুরের অপকারিতা নিয়ে বলছি কেন?
তবে আসুন,এবার মূল কথায় আসি।

সাদা চোখে দেখতে গেলে বর্তমানে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে।মনে হচ্ছে এই সরকার যতই অগণতান্ত্রিক ভাবে ক্ষমতায় থাকুন না কেন কিংবা বিরোধী মতকে যতই পুলিশের বন্দুকে মাধ্যমে বন্ধ করুক না কেন, দেশে তো প্রচুর উন্নয়ন হচ্ছে!
পল্লীএলাকা পর্যন্ত রাস্তাঘাট পাকা হচ্ছে,ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ যাচ্ছে,তৃণমূল পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছানো হচ্ছে,বিভিন্ন শহরের সৌন্দর্য্য বর্ধণের কাজ হচ্ছে।এমন সব উন্নয়নের পোস্টারে দেশের আঁনাচে-কাঁনাচে ভরে উঠেছে।

কিন্তু খেয়াল করেছেন কি?এগুলোর আড়ালে দেশে কি হচ্ছে?
সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সকল চাকরির ক্ষেত্রে দূর্নীতি কাঁঠালের আঁঠার মত লেগে পড়ছে।দূর্নীতি চর্চা এমন জায়াগায় পৌঁছেছে যে মানুষ এটাকে স্বাভাবিক ভাবে নেওয়া শুরু করেছে।যেটা ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ।যার ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের সন্তানদের চাকরির নিশ্চয়তা শূন্যের কোটায় চলে যাচ্ছে।

মাদকের বিস্তার এখন গ্রামের ১০-১২ বছরের শিশুদের হাতের লাগালে চলে গিয়েছে।গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চারা এখন হাত বাড়ালেই “ইয়াবা”র মত মারাত্নক মাদকের ছোঁয়া পাচ্ছে,অন্যগুলো তো বাড়ি বাড়ি সার্ভিসের মত অবস্থা!

দলীয়করণ বর্তমানে সমাজের একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে।এলাকায় ব্যবসা করবেন,মাঠে কাজ করবেন কিংবা একসাথে চা পান করবেন এসবকিছুও এখন দলীয় বিবেচনার হচ্ছে।যা আরো প্রকট আকার ধারণ করলো সম্প্রতি স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়ায়।দলীয়করণের চিপায় পড়ে গ্রামের মসজিদ কমিটিতেও সরকারি দলীয়করণ শুরু হয়েছে।এমন কি স্কুল কলেজের উপবৃত্তির টাকা নেওয়ার জন্যেও বর্তমানে দলীয় পরিচয় অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

সাময়িক উন্নয়নের প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য সুন্দরবন ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে,দেশ থেকে বিরোধী মত তুলে দেওয়া হচ্ছে,স্কুলের বাচ্চাদের অপরাজনীতি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।আর ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য একটি দেশের সাথে সম্পর্ক রাখায় বহিঃবিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক খারাপ করছে,দেশের জঙ্গী “আছে নাকি নাই” নিয়ে খেলা শুরু করেছে,ন্যায্য পানির হিসাব নেওয়ার বদলে আরো কিছু দখলের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

পরিশেষে দেশের মানুষ আমার সেই ছোটবেলার মত মনে করছে “চানাচুরের মত ভালো জিনিস আর নাই!” সো চানাচুর যে খেতে দিচ্ছে সেই আমার বন্ধু!

তবে আশা করি দেশের মানুষের আমার মত কয়েকবছর পরে যেন এই উন্নয়নের গ্যাস্টিক না হয়।যেটা স্থায়ী ভাবে ভালো করার উপায় পাওয়া মুশকিল হবে।

ভালো থাকবেন।
০৭-০১-২০১৬

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.