নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জনতার পক্ষে থাকুন,জনতার পক্ষে লিখুন,জনতার পাশে থাকুন।কারণ জনতা আজ বিক্ষুব্ধ।\nগণতান্ত্রিক রাষ্টে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।\n

বিক্ষুব্ধ জনতা

আমি বাংলাদেশের অবহেলিত জনতার একজন প্রতিনিধি।

বিক্ষুব্ধ জনতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্নয়নের আড়ালে ধ্বংস হচ্ছে দেশ!!!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

অতান্ত সুকৌশলে দেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে এবং কথায় কথায় এই ধ্বংসলীলার পক্ষে উন্নয়নের অযুহাত দিচ্ছে ক্ষমতাশীন ব্যাক্তিবর্গ।

একদিন হয়ত দেখা যাবে আমাদের ঐতিহ্যবাহী এলাকাসমূহ ও স্থাপনাসমূহ ধ্বংসের পরে উক্ত ব্যাক্তিগণ জাতির কাছে শুধুমাত্র "সরি" শব্দটি বলেই পার পাওয়ার চেষ্টা করবেন!আর আমরাও "উদার" মনের জাতির হিসেবে সব কিছু মাফ করে দিবো!

রাপমাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামে যেভাবে সুন্দরবনকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে তাতে বিশ্বে "ওয়াল্ড হেরিটেজ" স্থান হিসেবে এই সুন্দরবন জায়গা হারাবে এতে কোন সন্দেহ নাই।
.
.
ভারতের বন্য প্রাণীবিষয়ক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া’ বাংলাদেশের বন বিভাগের সহায়তায় একটি জরিপের প্রতিবেদ প্রকাশ করেছে।তাতে স্পষ্ট উল্ল্যেখ করা হয়েছে,"সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে চলাচলকারী কয়লা, ছাই, সার ও তেলবাহী একেকটি জাহাজ বাঘের জন্য ‘ভ্রাম্যমাণ বোমা’ (মোবাইল বম্ব)! এগুলো চলাচলের কারণে বাঘের নদী পারাপার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে বাঘের প্রকরণ (জিনগত বৈশিষ্ট্য) কমে গিয়ে অস্তিত্বের লড়াইয়ে বাঘ দুর্বল হয়ে পড়ছে। ফলে পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণীয় প্রাণী বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব পরোক্ষভাবে হুমকির মুখে পড়ছে।"

কিন্তু বাংলাদেশের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন বলেছেন ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র যেহেতু নির্মাণ শুরু হয়ে গেছে, তাই এর কাজ আর বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে সুন্দরবন ও বাঘের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, এতে সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ওই এলাকায় যাতে আর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা না হয়, সে জন্য সম্মেলনে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। আমরা ওই পরামর্শ আমলে নিয়ে এগোচ্ছি।’

এর কথার পেক্ষিতে বাঘ বিশেষজ্ঞ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনিরুল এইচ বলেন, যত উন্নত প্রযুক্তিই ব্যবহার করা হোক না কেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে সুন্দরবন ও বাঘের ক্ষতি হবে। এখন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের আশপাশে আরও শিল্পকারখানা গড়ে উঠছে। এতে সুন্দরবনের আশপাশে মানুষের অভিবাসন বেড়ে যাবে। ফলে সুন্দরবনের ওপরে মানুষের নির্ভরশীলতা এবং ক্ষতি করার ক্ষমতাও বাড়বে। ফলে আমাদের এমন উন্নয়ন দরকার, যা সুন্দরবন ও বাঘ—দুটিকে রক্ষা করে তারপর হবে।

বুঝতে কি এখনো বাকি রয়েছে কারো???

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

বিজন রয় বলেছেন: দুঃসংবাদ।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

কামের কথা কন!! বলেছেন: কোন লাভ নাই ভাইজান এই ইন্ডিয়া মুখী সরকার কে টাইনা না নামালে সব যাইব গা তখন বইসা বইসা আঙুল চুসা ছাড়া আর কিছুই করার থাকব না। তাই আসুন সেই কাজী নজরুল ইসলাম এর কবিতা নিয়া আর একটা ৭১ এর দিকে যাই।

কারার ঐ লৌহকপাট,
ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট,
রক্ত-জমাট
শিকল পূজার পাষাণ-বেদী।
ওরে ও তরুণ ঈশান!
বাজা তোর প্রলয় বিষাণ!
ধ্বংস নিশান
উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি।








২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২০

বিক্ষুব্ধ জনতা বলেছেন: আরেকটি বিপ্লব প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.