নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি গান শুনতে, লিখতে, পড়তে, তৈরী করতে আরো অনেক কিছু। সরলতাই আমাকে দিয়েছে মুগ্ধতা। সরল জীবনযাপনই সফলতার সোপান বলে আমি মনে করি

প্রশ্নের কারখানা

আগামীকালের ভ্রমে সবাই বন্দী। কিন্তু আগামীকাল নিয়ে না ভেবে আজটাকে সম্বল করেই এগিয়ে যাওয়া উত্তম

প্রশ্নের কারখানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেক্স… এক আতংকের নাম!!!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৬

নাদিম ইন্টারনেট ব্রাউজ করছে হঠাৎ একটি ওয়েব পেজের পাশে ছোট্ট একটি এ্যাড দেখতে পেল। কিছুটা এমন “Arabian Women wants to date with you” অথবা “Women seeking for men”। কিশোর নাদিম কৌতুহলবশতই লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলল। নাদিম পা ফেলল এক অন্ধকার জগতে। যার নাম পর্ণোগ্রাফি। ধীরে ধীরে নাদিম পর্ণোগ্রাফি দেখতে আসক্ত হয়ে পড়ে। স্কুলে না গিয়ে বাসার এক কোণে নিজের মোবাইলটা নিয়ে সারাদিন ব্যাস্ত থাকে। নাদিমের মা কিছুদিন লক্ষ্য করলেও ভাবে এতটুকু ছেলে আর কিইবা করবে। ধীরে ধীরে নাদিম নতুন একটি অধ্যায়ের সঙ্গে পরিচিত হয়। অধ্যায়টি মানবজীবনে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি অন্ধকারময়। নাদিম জানতে শুরু করে সেক্স সম্বন্ধে। বয়সের আগেই কিছু ব্যাপার জেনে ফেলা হয়ত ঠিক নয়। এরপর একদিন…………..

নাদিম সেক্স বিষয়ে জানার পর এক অজানা কৌতুহল মনের ভিতরে বাসা বাঁধে। সেক্সের মজা পেতে সে উৎসুক হয়ে উঠে। এরই প্রেক্ষিতে নাদিম অসৎ সঙ্গে মিশতে শুরু করে। যারা সকলেই যৌন হয়রানিতে মত্ত। যাকে আমরা ইভটিজিং বলে থাকি। একদিন রাতে নাদিম ও তার ২ জন বন্ধু রাস্তায় এক মেয়েকে একলা যেতে দেখে। তাদের সকলের মনেই এক আকাঙ্ক্ষার জন্ম নেয়। নাদিম ও তার বন্ধুরা মেয়েটিকে ধরে নিয়ে একটি নিস্তব্ধ কক্ষে প্রবেশ করে। যেখানে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত কারো সাড়াশব্দ নেই। একে একে মেয়েটির অনিচ্ছায় শুরু হয় ধর্ষন। মেয়েটি নিরীহ প্রাণীর মত সহ্য করলেও কিছুদিন পর আত্মহত্যা করে।

হ্যাঁ। আপনিও এই ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারেন। হতে পারে আপনার আদরের সন্তানটিও। যে বিনা শব্দে এগিয়ে চলছে এই ব্যাধিটির ভয়াবহ দিকে। কিন্তু তা আপনি পিতা-মাতা হয়ে নিজেই জানেন না। আমিও একজন কিশোর। এ বয়সের কৌতুহল সম্বন্ধে আমি কিছুটা জানি। আর পিতা-মাতা হয়ে আপনারা আরো ভাল জানেন কেননা এই বয়স আপনারাও পার করেছেন। এখনই সময় মনিটরিং করার আপনার সন্তান কি করছে। আপনার সন্তান কাদের সঙ্গে মেলামেশা করছে। যদি আপনি এই কাজ না করতে পারেন তবে আজ হোক বা কাল আপনার সন্তানের ধ্বংস হবেই। সাথে সাথে ধ্বসে যেতে পারে এক নারীর জীবন অথবা একটি পরিবার। আসুন না আজ হতেই একটু মনিটরিং করি সেই সন্তানের উপর যার উপর আপনাদের ভবিষ্যত তথা দেশ ও জাতির ভবিষ্যত। তবে এর জন্য এগিয়ে আসতে হবে তাদের যাদের জন্য এর কর্মশালা।উভয়ের প্রচেষ্টাই পারে এক সুন্দর সমাজ, দেশ, জাতি উপহার দিতে। কেননা এই সেক্স কৌতুহলের মাধ্যমেই ধ্বসে পড়ছে আমাদের কিশোররা সাথে সাথে যুবকরাও।

আবার বন্ধু-বান্ধবের ইচ্ছার মাধ্যেমেও সংগঠিত সেক্স হয়ে যেতে পারে জীবনের কালকর্ম। যেমনটা ঘটেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের এক Lover এর ক্ষেত্রে। তাদের সম্মতিতে হওয়া যৌনসংগমের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর এর ধ্বংসাত্মক দিকটা চেনা যায়।

কিছু কিছু কর্মকান্ডের মাধ্যমে আমরা আমাদের সন্তান্দের কাজগুলোকে মনিটরিং করতে পারি। যেমনঃ

প্রতিদিন আপনার সন্তানের মোবাইল চেক করা।
আপনার সন্তানের ইন্টারনেট হিস্টোরি চেক করা।
ইন্টারনেট ব্রাউজারে পর্ণোগ্রাফি জন্য ফিল্টার ব্যবহার করা।
আপনার সন্তানের ফেসবুকের মেসেজ চেক করা।
সন্তান কার সঙ্গে মেলামেশা করছে এই দিকে লক্ষ্য রাখা।
সন্তানের সঙ্গে পিতা-মাতার কিছু সময় ব্যয় করা।
সন্তানকে বাহিরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া।
সর্বোপরি সন্তানকে এই বিষয়ের সম্বন্ধে সম্মক জ্ঞান দেওয়া। অর্থাৎ সময়েরটা সময়ে জানার জ্ঞান দেওয়া।
একটু সচেতেনতাই পারে আমাদের এই দেশকে আরো সুন্দর করে তুলতে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

ডাঃ নাসির বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। আমার মনে হয় বাচ্চাদের আচরণগত দিকে বেশী নজর দেয়া উচিৎ। কারণ বাচ্চারা যখন এ পথে পা দেয় তখন তাদের আচরণের পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন সময় মত খাবার খায় না, খেলাধূলা ভাল লাগে না, অল্পতেই রেগে যায় ইত্যাদি।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ডাঃ নাসির।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.