নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি গান শুনতে, লিখতে, পড়তে, তৈরী করতে আরো অনেক কিছু। সরলতাই আমাকে দিয়েছে মুগ্ধতা। সরল জীবনযাপনই সফলতার সোপান বলে আমি মনে করি

প্রশ্নের কারখানা

আগামীকালের ভ্রমে সবাই বন্দী। কিন্তু আগামীকাল নিয়ে না ভেবে আজটাকে সম্বল করেই এগিয়ে যাওয়া উত্তম

প্রশ্নের কারখানা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা বিশ্বে দ্বিতীয়!!! সম্ভাবনা নাকি শুধুই ভাবনা?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

গতকাল রাত থেকেই প্রকৃতির শীতলতা একটু বেশিই ছিল। শীতল এক পরিবেশে ঘুমিয়ে পড়া। ঢাকায় সকালের আবহাওয়াটা ছিল অন্যরকম। সূর্যের স্নিগ্ধ আলোয় সকালে ঘুম থেকে ওঠা। সূর্যের উষ্ণতা যেন গায়ে লেগেও লাগছে না। কিছুক্ষণ পর পত্রিকায় চোখ বুলোতেও চোখে পড়ল, প্রথম আলোর এক শিরোনাম ফেসবুক ব্যবহারে ঢাকা বিশ্বে দ্বিতীয়।



সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ঢাকা হল বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়। আর প্রথম হল থাইল্যান্ডের ব্যাংকক। ঢাকার পরে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। আশার বাণী হল এই যে, বাংলাদেশের শুধুমাত্র ঢাকাতেই নাকি ২ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ সক্রিয়ভাবে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। যেমন আশা বিপরীতভাবেও করতে পারে নিরাশ।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড়সড় অংশই ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা প্রায় ৬,৭২,৪৫,০০০ জনের বেশি (বিটিআরসি, ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রিপোর্ট)। এখানে মজার ব্যাপার হল এই যে, বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যাটি পুরো ইংল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার চাইতে বেশি। কিন্তু ব্যপারটি একটু অন্যভাবে বিবেচনায় আনলে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় ৯০% এরও বেশি লোক শুধুমাত্র ফেসবুক চালায়। তবুও এত বিশাল এক জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করতে পারলে আমাদের উন্নয়ন আরো ত্বরান্বিত হবে নিশ্চয়ই।

দুই মিনিটের জন্য একটু অন্য আলোচনায় আসি। আমাদের বাংলাদেশের মোট শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ২,৩৯,০০,০০০। এমন হবে কিছুটা। আর অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা হল মোটামুটি ২,৪৩,০০,০০০ (প্রায়)। সংখ্যাটা প্রায় একই। এখন প্রশ্ন হল, আমরা, শিক্ষার্থীরা কি করছি? যদিও এই তুলনাটা নিছক অনুপ্রাণিত করার জন্য। তবুও পরিসংখ্যানগুলো দেখলে মনে হয়, আমরাই আমাদের বোঝা

Bangladesh is a Land of Opportunity

আমাদের দেশের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে এমন জনগণদের ইন্টারনেটের বিশালরুপ সম্বন্ধে কিছুটা ধারণা দেওয়া উচিত। ফেসবুকে শুধু লাইক, কমেন্টস, আর শেয়ারিং-এর মধ্যে যে ইন্টারনেট লুকিয়ে নেই, এইটা বোঝাতে পারলেই সেদিনটি খুব দ্রুত চলে আসবে যে দিনটির জন্য কিছু নিন্দুকেরা অপেক্ষা করছে।

হ্যাঁ, ফেসবুক, ইউটিউব-ও ব্যবহার করে আপনি অনেক বড় কিছু করে ফেলতে পারেন। যা অনেকের কল্পনার অতীত। তবে এগুলো হচ্ছে Tool. এগুলোর যত সদ্ব্যবহার করবেন তত দ্রুতই আপনার উন্নতি হবে। এখন তো এমন অনেক ঘটনাই ফেসবুকের মাধ্যমে, ইউটিউবের মাধ্যমে সকলের নজর টানে।

আমাদের যদি একান্তই স্বদিচ্ছা থাকে, তবে আজ থেকেই শুরু করে দিন নতুনের পথ চলা। যদিও এ পথে অনেকেই বহু আগেই চলতে শুরু করেছেন। তাতে কি? আপনি এখন শুরু করে দিন কিছুদিন পরে আপনার পথে অন্যরা চলবে। আর যারা বলবে কিছুই হবে আপনার দ্বারা। ছেড়ে দিন তাদের। কেননা কিছু দিন পর তারাই আপনাকে খুঁজতে থাকবে।

Our country is a Land of Opportunity.

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

আহা রুবন বলেছেন: সময় অপচয়ের দিক দিয়ে বিশ্বে ঢাকা দ্বিতীয়। :((

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: কিছু যদি মনে না করেন। আমরাই তো কিছু করতে পারি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে। যেহেতু মাথাটা যার ব্যথাটাও তার।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

ওমেরা বলেছেন: আপনি কি এমন কিছু করেছেন ?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২২

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখের হলেও সত্যি যে এখনো কিছুই করতে পারি নি। তবে পারব না যে এমন কোন কথাও নেই। চেষ্টা করতে ক্ষতি কি?

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:০০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কোথাও আসি আর না আসি রোজ ফেসবুকে আসি।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: ফেসবুকে আসতে তো আর মানা নেই। আসবেন না কেন? তবে পরিমিত। আর আমরা চেষ্টা করব যতক্ষণ থাকি না কেন সদ্ব্যবহার করতে

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:১১

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ফেসবুক একটা ভাইরাস!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২০

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: দুঃখিত। একটু অন্য দিক বিবেচনা করলে বোধহয় ফেসবুককে ব্যক্টেরিয়ার মত কাজের মনে হবে।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: ফেসবুকের কারনে অনেকের সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে, ঘর সংসার নষ্ট হয়েছে, ঠিক অনেক উপোকার আছে কিন্তু ক্ষতি সাধন বেশি হচ্ছে।
স্মার্টফোনের যুগ ছেলেমেয়েরা ফেবুর মধ্যে ডুবে থাকে। আর যত ভোগাস খবর বেশির ভাগ এই ফেবুতেই ছড়ায় খুব দ্রুত।
বলতে গেলে ফেবু হলো অলসের আড্ডা খানা। মাঝে মাঝে বা অবসরে ফেসবুকিং করা যায়! কিন্তু এতে এডিক্ট হলে তা কিন্তু ভালো নয়।

লিবিয়ায় যে বিধ্বংসী ঘটনা ঘটলো, শেষে গাদ্দাফিকে মেরেই ফেললো, এখন অবশ্য হাহুতাশ করছে,
এই পুরো ঘটনার জন্য দায়ী ফেসবুকে কয়েকটা পোষ্ট, আপনি জানেন নিশ্চয় এই খবর।

আমি আপনার অনুভূতিতে আঘাত আনতে চাচ্ছিনা, বা বলিনি আপনি ভুল ব্যাখ্যা করছেন ।
আপনি আপনার অনুভূতি বলেছেন আমি আমার টা, তবে ভাববেন।

শুভ কামনা রইলো।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.