নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনরাত সাদা-কালো জীবনের মধ্যে এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে হারিয়ে যাই অচেনা দুপুরের কোলে। বাকি থেকে যায় কিছু মরচে পড়া নিঃশ্বাস, কয়েকটা পোড়া স্বপ্ন আর কিছু ব্যক্তিগত উন্নাসিকতা। রাত আসে, শহর ঘুমিয়ে পড়ে... আর মন পড়ে থাকে কোনও একলা ছাদের অন্ধকারে। এভাবেই চলছে জীবন... এভাবেই মাঝে মাঝে ভিড় করে আসে রাত জাগানো শব্দেরা। ইচ্ছে, কবিতা, প্রেম, রাস্তা, অন্ধকার... আমি।
জীবনের কিছু কিছু মুহূর্তে হয়ত সবকিছু থমকে যায়। ট্রেনের জানলা দিয়ে দূরের বাড়ির ছাদ দেখতে দেখতে মনটা হটাৎ এই খেয়ালেই থমকে গেলো- আচ্ছা ঐ ছাদের তলায় কেমন গোছানো একটা
সংসার আছে? কেমন ভাবে তারা কোনও এক শীতের রাতে গল্প করে একসঙ্গে লেপ মুড়ি দিয়ে? তাদের কোনও ফাঁকা জানলা দিয়ে কি হু হু করে ঢোকে ঠাণ্ডা হাওয়া এবং তাতে করে জুড়িয়ে যায় তাদের
গরম চা? গরম চপগুলি?
কোনও কোনও রাতে বৃষ্টি হলে চুপচাপ আলো নিভিয়ে শুনতে ইচ্ছে করে তাদের অবারিত পতন। হয়ত নতুন কোনও ভাষা রপ্ত করে ফেলেছে তারা ইতিমধ্যে। মাঝে মাঝে
আমার সাধের বারান্দা থেকে যখন দূরে চলে যাওয়া কোনও রেলগাড়ির অস্ফুট ডাক শুনি কেন জানিনা খুব কস্ট হয়। খুব।
আজও মনে পড়ে স্কুলের টিফিনের সময় সকলে যখন খেলাধুলা করত আমি একমনে বসে থাকতাম গাছতলায়।মন খারাপ। কেন? কেউ জানতো না।কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় খুব জেদ ছিল কিছুতেই
কলকাতার কলেজে পড়ব না। কাছাকাছির মধ্যে যা হোক একটা ...কিন্তু সেই আশাও পূরণ হয়নি। পূরণ হয়নি।কিচ্ছু পূরণ হয়নি।
মফঃস্বল সেজেছে শহুরে সাজে আর প্রানের বন্ধুরা একে একে পাড়ি
দিয়েছে দেশে বিদেশে। তাদের তো স্বপ্নপুরন করতে হবে,।আরো বড়ো হতে হবে, বাড়াতে হবে নাম, খ্যাতি, সাম্রাজ্য।
আমি থমকে গেছি, থমকে গেছি এক অচেনা আর্তনাদে। আমার সেই ছোটবেলার
স্টেশন কেমন যেন পর করে দিয়েছে আমায়।একে একে যে মানুষ নামে রেলগাড়ি থেকে তাদের কাউকেই ঠিক চিনে উঠতে পারি না।
রাত বাড়ে ক্রমাগত বেড়েই চলে। আমার ঘুম আসেনি কোনদিন।
আজকাল ঘুমনোর অভিনয়টাও ছেড়ে দিয়েছি। আলো নেভালেই দুটো চোখ কেবলই ভয় দেখায় আর ক্রমাগত মৃত্যুর ভয় পাই আমি। ক্রমাগত জাগরণকে যখন আশ্বস্ত করে ভোরের পাখিরা তখন
আর জাগতে পারিনা।ঘুম আসে।জীবনের কিছু মুহূর্ত হয়ত সব থমকে দেয়। নিরন্তর বিবাদের মাঝে তখন চুপ করে দেখে যেতে ইচ্ছে করে প্রেমিকার ক্লান্ত খুব সুন্দর মুখটা, কোনও তীব্র গ্রীষ্মে এক
টুকরো ছায়াতলকে ইচ্ছে করে বুকের অনেক গভীরে জড়িয়ে নিতে। কিছু ইচ্ছে রোদ হয়ে আলো করে দেয় সদ্য ঝাট দেওয়া উঠোন আর রাত্রির গল্পেরা ফিরে পেতে চায় সেই কালি পড়া শুঁকনো
হ্যারিকেনের গন্ধ।
কিছু বিশ্বাস কোনদিন মরে না। আমার নাম না জানা দীঘির জলে পা ডুবিয়ে একদিন হয়ত আবার পড়তে পারব স্কুলের ইউনিফর্ম। হয়ত বা কাঁচপোকা হয়ে ভেসে বেড়াব পক্ষীরাজের বাচ্চা ঘোড়ার
সাথে।
কেউ কোনদিন বোঝেনি এই শহরের বুকেই আমার শান্তি। কোন টানে আমি বারবার রেলগাড়ি ফাঁকি দিয়ে ফিরে এসেছি বাড়িতে? কেন কেন কেন এই শহর সাজা মফঃস্বল আর আধুনিকতা
সাজা অশান্তিগুলি কুরে করে খাচ্ছে আমায়। কেন কোনদিন বড়ো হওয়া হলনা আমার, কেন কোনদিন বড়ো হতে পারব না।
কেন এসব লিখতে পারি মা তা নিশ্চয়ই তুমিই জানো। তুমিই জানো আমি কখনই আলাদা ছিলাম না সকলের থেকে, শুধু আমি তোমায় ছেড়ে কোথাও যেতে পারি না। আমার ভয় হয় মা, আমার ভয়
হয়। সব হারানোর ভয়।
এবার নুতন বছরে তাই আমার কোনও উপহার চাই না, চাই না হন্যে হয়ে ঘুরে সাধের সেলফি তুলতে, এবছর একটু তোমায় চাই মা। একটু তোমার কোলে শুতে চাই।
আচ্ছা তোমার সেই ঘুম পাড়ানোর গানটা মনে আছে?
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭
ফেলুদার তোপসে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।।
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: ২০১৬ সকলের জন্য বয়ে নিয়ে আসুক সফলতার বার্তা।
নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১
ফেলুদার তোপসে বলেছেন: নুতন বছর আপনার অনেক অনেক ভালো কাটুক
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৪
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: সুন্দর লিখনি।ভালো লাগল।গভীর বোধ উপলব্ধির প্রকাশ
+++
নতুন বছরের শুভেচ্ছা