নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনরাত সাদা-কালো জীবনের মধ্যে এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে হারিয়ে যাই অচেনা দুপুরের কোলে। বাকি থেকে যায় কিছু মরচে পড়া নিঃশ্বাস, কয়েকটা পোড়া স্বপ্ন আর কিছু ব্যক্তিগত উন্নাসিকতা। রাত আসে, শহর ঘুমিয়ে পড়ে... আর মন পড়ে থাকে কোনও একলা ছাদের অন্ধকারে। এভাবেই চলছে জীবন... এভাবেই মাঝে মাঝে ভিড় করে আসে রাত জাগানো শব্দেরা। ইচ্ছে, কবিতা, প্রেম, রাস্তা, অন্ধকার... আমি।
বেশ মিষ্টি লাগছে।
ফেসবুকে মেসেজটা পেয়ে ভালই লাগল সৃজার। নিশ্চয়ই কিছু ক্ষণ আগে পোস্ট করা সেলফির প্রশংসা।
লাল জুতোটা দারুণ মানিয়েছে।
এ বার শিরদাঁড়া দিয়ে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল।
জুতোর কোনও ছবি তো পোস্ট করেনি! মেসেজটা যে পাঠিয়েছে তার সঙ্গে দেখাও হয়নি! তা হলে? ফেসবুকের এই বন্ধু থেকে সাবধান।
কোন বন্ধু কি তাকে ফলো করছে? কিন্তু সৃজা কোথায় আছে, সে খবর জানছে কী করে?
সৃজার সন্দেহটা সত্যি প্রমাণ হতে সময় লাগল না। সত্যিই একজন পিছু নিয়েছিল। আর সৃজার হালহদিশ পাচ্ছিল ফেসবুকের লোকেশন থেকে।
‘‘সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে মেয়েদের স্টক করা বা পিছু নেওয়ার অনেক অভিযোগ আমরা পাই। সাইবার স্টকিং নিয়ে আলাদা কোনও আইন না থাকলেও, এমন ঘটনা কিন্তু আইপিসি ৩৫৪ডি ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে মেয়েদের প্রোফাইলে অযাচিত কমেন্ট করাও কিন্তু এই অ্যাক্টের আওতায় পড়ে। এমন কোনও ঘটনা ঘটলে স্থানীয় থানা বা সাইবার থানায় অভিযোগ করুন। আমরা সঙ্গে সঙ্গে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব,’’ লালবাজারের সাইবার পুলিশ স্টেশনে বসে বলছিলেন ওসি সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী।
অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রে স্টক করার সমস্যাটা আরও প্রবল। এমনিতেই তো অনেক চোখ তাঁদের দিকে। তার উপর সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি তো এখন তাঁদের কাজেরই একটা অঙ্গ।
‘‘আমার কাছে তো ফ্যানরাই সব। কিন্তু তাঁদেরও তো বুঝতে হবে সবার একটা স্পেসের দরকার। অনেকে সেটা মানে। অনেকে সেটা মানে না। তখন খুব খারাপ লাগে। ছবি মর্ফ করে বিভিন্ন সাইটে দেওয়ার মতো জঘন্য কাজ তো আছেই। ফেসবুক-ট্যুইটারে বাজে বাজে কমেন্ট। আর এই তো দু’দিন আগে রাত তিনটের সময় একজন পনেরো বার মিসড কল দিল। শেষে বিরক্ত হয়ে কল ব্যাক করাতে বলল, কেমন আছ? এটা খুব বিরক্তিকর। আমার তো মনে হয়, যারা এটা করে তারা মানসিক ভাবেই অসুস্থ,’’ বলছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
মানসিক ভাবে স্টকাররা যে সুস্থ নয়, সে কথা বলছিলেন মনস্তত্ত্ববিদ জয়রঞ্জন রাম। তাঁর কাছেও এমন অনেক পেশেন্ট আসে, যারা ভুগছে সেলিব্রিটি ইরোটোম্যানিয়ায়। বললেন, ‘‘ট্যুইটার-ফেসবুকের আগে তো সেলিব্রিটিদের এত কাছাকাছি যাওয়ার কোনও প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু এখন চাইলেই যে কেউ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কমিউনিকেট করতে পারেন। আর সেলিব্রিটিরাও তো ফ্যানবেসের সঙ্গে দিব্যি টুইটারে ইন্টার্যাক্ট করেন। এই পেশাদার কথাবার্তাকে অনেক ফ্যান বড় বেশি করে ভেবে ফেলেন। সমস্যা শুরু হয় সেখান থেকে। আমার কাছে এক পেশেন্ট এসেছিল, যে মনে করত তার সঙ্গে এক অভিনেতার কসমিক যোগ রয়েছে।
সাইবার স্টকিং যদি একটা দিক হয়, তবে আর একটা দিক হল সাইবার বুলিং বা সাইবার জগতে কারওকে হয়রানি করা।
তসলিমা নাসরিন বাস্তব জীবনে যেমন হয়রানির শিকার হয়েছেন নানা সময়ে, তেমনই তাঁকে সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনলাইন হয়রানিরও। ‘‘আমি আর এগুলো নিয়ে তেমন ভাবি না, জানেন। বাস্তবেও তো এমন অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি। ডেথ থ্রেট পেয়েছি। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তো আর সমাজের বাইরে না। সেখানেই বা পাব না কেন! এই তো ক’দিন আগে আইএস থেকে থ্রেট পেলাম। আমি এখন ঠিক করেছি অচেনা ব্যক্তিদের আর ফেসবুকের লিস্টে রাখব না। নেগেটিভ জিনিসগুলো জীবন থেকে বাদ দিলেই আসলে সমস্যার অর্ধেক সমাধান হয়ে যায়, ফোনে বলছিলেন লেখিকা।
পুলিশও কিন্তু সেটাই বলছে। আইন যতই থাক, নিজের সাবধানতাই সবার আগে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ রকম ঘটনা ঘটে সচেতনতার অভাবে। একটা কথা মনে রাখা দরকার, ভার্চুয়াল জগতের কারওকে বিশ্বাস করা উচিত নয়। আপনি তো শুধু তার ছবি দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু সেই প্রোফাইল পিকচারের আড়ালে আসলে যে কে আছে, জানছেন কী করে? সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে কখনওই নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। নিজের প্রধান মেল আইডি, ফোন নম্বর না দিতে পারলেই ভাল হয়। আর পরিচিত ব্যক্তি ছাড়া ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করবেন না,’’ জানান পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) দেবাশিস বড়াল।
মহীনের ঘোড়াগুলির গান ছিল না, হাত বাড়ালে বন্ধু পাওয়া যায় না/ বাড়ালে হাত বন্ধু সবাই হয় না।
গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের কথাটা কিন্তু ভার্চুয়াল জগতের ক্ষেত্রেও সত্যি। সাবধান। ফ্রেন্ডলিস্টে ফের একবার চোখ বুলিয়ে নেবেন নাকি!
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩
ফেলুদার তোপসে বলেছেন: হুম্, সাধু সাবধান.
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সাবধান হলুম
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪
ফেলুদার তোপসে বলেছেন: সাবধানের মার নেই।।
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বেশ গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
সাইবার ক্রাইম বেড়েই চলেছে দিনকে দিন। সাবধান থেকেও অনেক সময় অসুস্থ মানসিকতার লোকজনদের থেকে দূরে থাকা যায় না।
তবুও সাবধান হওয়াই ভাল
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১০
ফেলুদার তোপসে বলেছেন: একদম সত্যি কথা বলেছেন।
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪
ঋজুক বলেছেন: হাত বাড়ালে বন্ধু পাওয়া যায় না/ বাড়ালে হাত বন্ধু সবাই হয় না .।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১২
ফেলুদার তোপসে বলেছেন: একদম, বাড়ালে হাত সবাই বন্ধু হয় না।।
৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০০
আরজু পনি বলেছেন:
আরো সাবধান হতে হবে... বুঝলাম ।
ধন্যবাদ ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১
ফেলুদার তোপসে বলেছেন: হুম্মম :-)
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০৪
তানজির খান বলেছেন: সাধু সাবধান !!!