নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিই পাজী রাব্বানি

কিছুনা লিচু খাই

বিভ্রান্ত নাবিক

আমি ভাল হবো , পচা না না না না

বিভ্রান্ত নাবিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীখেকো নেকড়ের জন্ম ,লালন পালন এবং বিস্তৃতির ভিতরে প্রবেশ

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

টিএসসিতে পহেলা বৈশাখে কি ঘটে গেলো , তা আপনি জানেন। কিন্ত আপনি এইটা নিয়ে চিন্তিত নন। এর বিচার নিয়েও ধরলাম আপনার মাথাব্যাথা নাই। আপনি ভাবতেছেন আমার মা, বোন, বৌ সবাই খুব ভাল এরা এইসব আজেবাজে অনুষ্ঠানে কোনোদিন যাবেনা আর এরা সবাই খুবি শালিন পোষাক পরে। আর আপনি হয়তো ভাবতেছেন, মেয়েদের সাথে এরকম করাটা খুব একটা খারাপো হয়ানাই। এইসব ভীড় ভাট্রার মধ্যে মেয়ে মানুষের যাওয়ার প্রয়োজনটাই বা কি?

হ্যা ভাই আপনাকে বলতেছি, ধরলাম বৈশাখে যারা গেছে তারা খারাপ , ধরলাম যা হইছে ঠিকই হইছে (এইসব নিয়া তর্কে যাইতে চাচ্ছিনা, আমার নজর আরেকদিকে) , কিন্ত সমস্যা হইলো আজকে যদি এই ঘটনার সঠিক বিচার না হয়, প্রত্যেকটা দোষী যদি শাস্তি না পায় তাহলে আপনার মা বোনরা একদিন না একদিন আক্রান্ত হবে। কেন হবে জানেন? কারন এইযে যারা এই ভীড়ের সুযোগ ব্যবহার করে এই বিকৃত মজাটা নিলো তারা এই মজাটা আবার নিতে চাবে যেহেতু কোনো বিচারই হয়নি। আর তখন শুধু ঐ কয়টা জানোয়ারি না, এতে সাহস পাবে আরো অনেক জানোয়ার যারা এতোদিন শুধু মনে মনেই ভাবছে ইস যদি ভীড়ে এরকম করতে পারতাম। তারা এখন ভাববে, যাহ শালা এতোদিন শুধু শুধুই করিনি একটু সাহস করে আগালে কতোটাই না মজা নেওয়া যায়। তখন রাস্তাঘাটে অলিতে গলিতে পশুরা ওতপেতে থাকবে। এরপর হয়তো আপনি আপনার আপনজনদের বাসায় থাকতে পরামর্শ দিবেন। কিন্ত এরপর কি হবে বুঝতে পারছেন? এরা কিন্ত থামবেনা। নরমাংসের স্বাদ পাওয়া বাঘকে খুন না করা পর্যন্ত কিন্ত এরা লোকালয়ে হামলা চালাতে থাকে।

এখন একটু দেখাতে চাই কিভাবে এইসব নরখেকো পশুর জন্ম হইলো এই বংগ সমাজে। কেননা আগে এতো ছিলোনা এখন কোথা থেকে এইসব নরপশুদের আবির্ভাব হইলো তা দেখা দরকার। নাহ আমি এইখানে নরপশুদের দোষ কমাতে আসিনাই। কিন্ত নরপশুদের জন্মের জন্য আমরা সবাই কি দ্বায় এড়াইতে পারি বা আমাদের সিনিয়ররা। নরপশুদের বাবা মারা কি পারবে দ্বায় এড়াতে?? তাদের গৃহেইতো জন্ম এই পশুর।

সব কিছুর আগেই বলা ভাল আঈন শৃংখলা ব্যবস্থা শক্ত থাকলে অনেক কমে যেতো এইসব ঘটনা। বইমেলাতে যে একটা ঘটনা ঘটলো এরপরেই ব্যবস্থা নিলে কি নববর্ষে এতোগুলা ঘটনা ঘটতো??

আমি প্রথমেই মনে করি সঠিক সময়ে সেক্স করতে না পারাটা একটা বড় কারন। এর ফলে যৌন চাহিদা বাড়তে বাড়তে বিকৃতির দিকে যায়। বিকৃতি থেকেই এইসব জন্ম নেয় যে ভীড়ের মধ্যে এইসব করেই এরা যৌনসুখ পায়। সমাজ ব্যবস্থা এরকম হয়ে গেছে যে, যখন যৌন চাহিদা মিটানোর শ্রেষ্ঠ সময় তারো অনেক পরে বৈধ উপায়ে সংগম করার সুযোগ পাচ্ছে, ফলে মাঝের সময়টা অবৈধ পন্থা খুজে কেউ পায় কেউ পায়না। না পাওয়ারা পার্ভাট হতে থাকে দিন দিন। এরা যেহেতু বিছানায় সংগম, নারী স্পর্শ সবকিছু থেকেই বঞ্চিত তখন রাস্তাঘাটে যতোটুক যা পাওয়া যায় তার আশায় থাকে। এরপরেও অনেকেই নিজের উপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করে মানুষের যেমনটা হওয়া উচিত। কিন্ত সুশিক্ষার অভাবে অনেকেই পারেনা। আমি প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রির কথা বলতেছিনা, সুশিক্ষার কথা বলছি। যা অনেক নিরক্ষর লোকেরো থাকতে পারে।

দ্বিতীয় কারন হিসেবে আমি আংগুল তুলতে চাই পর্নের দিকে। এইটা নিয়া অনেকে দ্বিমত করতে পারেন, কিন্ত আপনি কি রেগুলার আপডেটেড আছেন যে এখন বাজারে কি ধরনের পর্নের চাহিদা বেশি বা কোন ধরনের পর্নের ভিউ বেশি বা দর্শক বেশি? আপনি হয়তো আপডেটেড না। পর্নের কথা বলায় অনেকেই হেসে উড়ায় দিতে পারেন যে, কই আমিতো কত্ত বছর ধরে কত্ত পর্ন দেখি কই আমিতো কাউকে আক্রমন করিনি। কিন্ত কাহিনী হইলো প্রথমে যারা পর্ন দেখে তারা নরমাল পর্ন দেখে, কিন্ত ধীরে ধীরে নরমাল পর্নে আর পোষায় না। এরপর এক্সট্রিম থেকে হার্ডকোর হয়, এরপর ব্রুটাল হয়। এরপর ইলিগাল রিলেশন নিয়ে দেখানো হয়, এরপর রেইপ পর্ন, ইদানিং পাবলিক এব্যুস পর্ন কিন্ত খুবই পপুলার। আগে কিন্ত ইন্টারনেট এতো সহজলভ্য ছিলোনা, হাতে হাতে মোবাইল ছিলোনা। নেটের এতো স্পিড ছিলোনা। এখন লোয়ার ক্লাস আপার ক্লাস সবার হাতে স্মার্ট ফোন থ্রিজি সাপোর্টেড। আগে নীলক্ষেত বা সিডি ডিভিডীর দোকান থেকে পর্ন কিনলেও ,পর্নের জেনার চুস করে কিনার কিন্ত অপশন ছিলোনা। কভার দেখেই বা না দেখেই কিনা হতো। এখন সবাই ফাষ্ট ইন্টারনেট নিয়ে তার পছন্দ মত জেনারের পর্নে ঢুকে যেতে পারতেছে। তো পাবলিক এব্যুস পর্নগুলার মধ্যে দেখানো হয় একটা গ্রুপ মিলে বাসে, ট্রেনে একটা মেয়েকে টার্গেট করে। এরপর ধীরে ধীরে তারে টাচ করে, সে আলতো বাধা দেয় বা ভালভাবেই বাধা দেয়। এরপর পোলাপান আরো আগায় , সে বাধা দিতে থাকে কিন্ত একপর্যায়ে যেয়ে ভালভাবেই রেসপোন্স করতে থাকে এবং তার চোখে মুখে তৃপ্তি ফুটে উঠায়। এখন এই পর্নগুলা এমনভাবে রিপ্রেসেন্ট করা হয় যেনো ঘটনা সত্যি। যাদের অনলাইন বা দুনিয়া সম্পর্কে এতো ধারনা নাই তারা কেউ দেখে ভাবতেই পারে সত্যি ঘটনা। রেসলিংকে যেমন টিনএজে আমিও সত্য ভাবতাম মনে প্রানে। তো এইটাইপের পর্নগুলা যারা এমনিতেই জানোয়ার তাদের জানোয়ার স্বত্ত্বাকে আরো অবশ্যই শানিত করে। এইখানেই ঘটনা থেমে থাকেনা, রেপ পর্ন , এরপর সেক্স স্লেভ, ক্রায়িং নানা সেগমেন্টে ভাগ হইতেছে। যেখানে পর্নের নারী চরিত্রকে যতোটা সম্ভব ডমিনেট করাটাই পর্নের মূল থিম। স্বামীর সামনে স্ত্রীকে , ছেলের সামনে মাকে এইসবো দেখা যাচ্ছে। এইখানে স্বামী বা ঐ ছেলের চোখেমুখের অসহায়ত্বকে ফুটিয়ে তোলা হয় এবং এতে দেখা যায় অপরাধী আরো আনন্দ পায়। নারী কাদতেছে এবং তার আপনজন অসহায় এবং একজন পশুর মতো যৌনসুখ নিচ্ছে এই হইলো পর্নের থিম, এই পর্নের যারা দর্শক তারা নিশ্চয় স্বাভাবিক মানুষের সংগম দেখে উত্তেজিত হবেনা। সংগমের সাথি উপভোগ না, তার কষ্টের আকুতি দেখেই এরা যৌনতৃপ্তি পায়। মানে এদের যৌনাকাংক্ষাকে আপনি শুধুমাত্র যৌনক্ষুদা দিয়ে সংজ্ঞায়িত করতে পারবেন না। এইখানে চরম রকমের বিকৃত রুচির প্রবেশ ঘটছে। এবং এইসব দেখে দেখেই যে কোনো পশু উতসাহিত হতে পারে এবং হচ্ছে। এরা ভীড়ে অসহায় নারীর উপর আক্রমনেই বা অসহায় নারীর আর্তনাদেই আনন্দ পাবে। এই ধরনের পর্নগুলা অবশ্যই একটা প্রভাবক, এইটা আপনাকে মানতেই হবে।

চটি রাজ্যেও একই অবস্থা। তবে পর্নগুলা বিদেশি হয়ে থাকে, কিন্ত দেশীয় ভাষায় যখন দেশের স্থান কাল বুঝিয়ে চটিতে বিকৃত যৌনাচারের বর্ননা থাকে তখন এইটার প্রভাব পর্নের চেয়ে বেশিই পরে। পর্নের চেয়ে চটির মধ্যে বিকৃতি আরো অনেক বেশি। বাংলা চটি রাজ্যে আপনি বৈধ কোনো সম্পর্কের মিলনের কাহিনী পাবেননা, স্বামী স্ত্রীর মিলনের বর্ননা পাবেননা। প্রেমিক প্রেমিকার মিলনের কাহিনীও পাবেননা। যদিও ভাগ্যগুনে পান, তাও অন্যান্য অবৈধ সম্পর্কের সাথে ভিউ সংখ্যা মিলালেই বুঝবেন ঘটনা কি। সম্পর্ক যতোটা অবৈধ , পাঠক সংখ্যা ততো বেশি। বিভিন্ন চটি সাইটে রিকোয়েষ্ট সেগমেন্টে যাইয়া দেখবেন সেখানে আমাদের ভাইয়েরা কি ধরনের চটি চায়। পাবলিক বাসে, ভীড়ের মধ্যে, এমনকি গাউসিয়া নিউমার্কেটের কথা উল্লেখ করেই অনেক চটি আছে। এইসব পড়তে থাকলে মনে হবে, দেশের সমস্ত মেয়েরা স্পেশালি গৃহবধুরা সেক্সলাইফ নিয়ে হতাশ। শরীরে পরপুরুষের ছোয়া পেলেই এরা বিছানায় যেতে এক পায়ে খাড়া। এইখানে ড্রেসের বর্ননা দেওয়া হয় এবং বলা হয় এইরকম ড্রেস মানেই এই মহিলা নিশ্চিত পরপুরুষের সংগ লাভের আশাতেই এইখানে আসছে। ধর্ষনের চটির ইণ্ডিংটা এমন হয় যে প্রথমে অনেক আপত্তি থাকলেও লাষ্টে নারী ক্যারেকটার খুবই তৃপ্ত হয় এবং ধন্যবাদ আবার আসবেন টাইপ ডায়লোগ দেয়। এইসব পড়তে পড়তে যে কিশোর যৌবনে আসে আর ঐ চটির কথা সত্য ভেবে বসে থাকে তার কাছ থেকে কি আশা করা যায়? আর সত্যি কথা বলতে কি বাংলা ব্লগের মতো চটি ব্লগেও কিছু মারাত্নক লেখক আছে , এরা যদি ভাল গল্প লিখতো তাহলেও ভালই নাম কামাতো। প্রতিভার বিপুল অপচয়। কাহিনীটা যে সত্যি এইটা বুঝানোর জন্য তারা অনেক চটি শুরুর আগে ভালই তেল মালিশ করে নেন যাতে পাঠক বিশ্বাস করে। এই চটি লেখকরা কি জানে আদৌ যে তারা কি পরিমান ক্ষতি করতেছে???
(চটি পর্নের বিষদ বর্ননা দেখে ভাবার দরকার নাই যে আমি শুধুই গবেষনা করতেই গেছিলাম। আমি পুরান পাপি, নিয়মিত পাঠক এবং দর্শক ছিলাম। তবে সত্য মিথ্যা আর অভিনয় ধরার ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত। আমি এই ব্যাপারগুলা ফিল করছি তাই ভাবলাম শেয়ার করি)


এরপর মিডীয়ার দিখে আংগুল তুলবো খুব ভালমতো। কারিনা যখন আইটেম সং এ বলে যে সে চিকেন তান্দুরি তাকে চেখে দেখতে আহবান জানায়, এরপর নায়িকা যখন বলে, ফিগার আমার চাচাছোলা আমি হবো তোর কোকাকোলা । এরপর যখন পহেলা বৈশাখে শুনি মেয়েদের গায়ে কামড়ের দাগ, তখন চিকেন তান্দুরি গানের কথা মনে পরে যায়। মেয়েদের প্রতিটা অংগকে মিডীয়া আকর্ষনীয় করার পিছে লাগছে, রূপচর্চার অনুষ্ঠানগুলা দেখবেন শুধু। ম্যানিকিউর প্যাডিকিউর কতো কি, মানে তাদের হাত পা সব আকর্ষনীয় করতে হবে। ফিগার নিয়ে প্রচন্ড কনসার্ন হতে হবে, কোথায় কতোটুকু মাংস থাকতে হবে । কোনো মেয়ে মোটা হলে তারে নিয়ে হাসাহাসি হবে, কালো হলে অবজ্ঞা হবে। এইসব ঘটনা অপ্রাসংগিক লাগতে পারে , এইভাবে কিন্ত মেয়েরা যে মানুষ না এবং তাদের শরীরটা এক্সেপনাল কিছু এইরকম একটা ধারনার জন্ম দেয়। কাহিনী হইলো মেয়েদের যতোগুলা অংগকে মেয়েরা হট হওয়ার জন্য গুরুত্ব দিবে ততোই কোম্পানিগুলা প্রডাক্ট বাজারে ছাড়তে সুবিধা হবে এবং বিজনেস বাড়বে। এইতো খুব রিসেন্ট একটা বিজ্ঞাপন মেয়ের মুখে পিম্পল না জামাল গোটা উঠছে তা নিয়ে সে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর চেয়েও বেশি চিন্তিত। মোটকথা মিডীয়া মেয়ে মানুষের শরীরটাকে ভোগের বস্ত হিসেবে ফুটাইয়া তুলছে এখন মানুষরূপি পশুরা এইটা দেখে তাদের শিশ্নে ধার দিয়ে বসে থাকে যে কবে চেখে দেখার সুযোগ পাবো।

ড্রেসআপের ব্যাপারটা অনেকেই আনে যে , ড্রেস খারাপ থাকলে ছেলেরা ঝাপাইয়া পরবেই কিন্ত কেস ষ্টাডী করলেই কিন্ত বোঝা যায় বাজে ড্রেস পরার কারনে ভিক্টিম হইছে এমন মেয়ের কথা একদমি শোনা যায়না। বরং যাদের উপর হামলা করা সহজ, হতদরিদ্র কৃষকের মেয়ে, গার্মেন্টস ফেরত কর্মী এদের উপরেই আমাদের দেশে বেশি হামলা হইছে। তবে খুব প্রচ্ছন্ন হলেও ড্রেসের একটা প্রভাব আছে যেইটাকে একদমি উড়াইয়া দেওয়া যায়না। ভাল ড্রেস পরলেই যে সব ঠিক হইয়া যাবে তাও কিন্ত না। একটা ব্যাপার কি লক্ষ করছেন, গুলশান বনানীর দিকে যেসব মহিলা ভীনদেশিদের দেখি তাদের ড্রেসে অনেক বাংগালিদের চেয়েও বেশি শালিনতা দেখা যায়। তারা এসে আগে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করে কোন ড্রেসটা কিভাবে পরলে কেউ আমার দিকে কামুক দৃষ্টিতে তাকায় থাকেনা। আমি যেখান দিয়ে চলাচল করি সেখানকার লোকদের অবস্থা কি তা বুঝেই আমার ড্রেস পরতে হবে। চারদিকে হায়নাদের মাঝে ড্রেসের স্বাধীনতা চাওয়াটা আমাদের দেশের জন্য হাস্যকর। যেখানে জীবনেরই নিরাপত্তা নাই। কাহিনী হইলো , বৈশাখে যে ঘটনা ঘটলো এইখানেতো যারে পাইছে তাকেই ধরছে শালীন অশালিন ড্রেস দেখেতো করেনাই তাহলে ড্রেস আসতেছে কেন? এই ঘটনার পরেই যারা ড্রেস ইস্যুটা তুলছে তারা নিঃসন্দেহে অপরাধীদের দোষটাকেই লঘু করার চেষ্টা করছে, বুঝে হোক আর না বুঝেই হোক ।

ধরেন একজন দুইতিনদিন না খাওয়া লোকের সামনে আপনি কলা পাউরুটি খাচ্ছেন বা নিয়ে যাচ্ছেন, সে কিভাবে তাকাবে। এরপর চিন্তা করেন ভীড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করে নান্দুসের চিকেন নিয়ে যাচ্ছেন। যারা পশু তারা কিন্ত মেয়েদের খাদ্য হিসেবেই দেখে। প্রত্যেকটা মেয়েই বুঝে কোন ড্রেসটা আমাদের দেশের রেসপেক্টে শালিন আর কোনটা অশালিন। কোন ড্রেস যমুনা ফিউচার পার্কে পরা যায় আর কোনটা ঢাকা কলেজের সামনে পরে হেটে যাওয়া যায়। এখন ঢাকায় এমন জঘাখিচুড়ি অবস্থা, নানান ক্লাস নানান চিন্তাভাবনার মানুষ মিলেমিশে একাকার। মফস্বল থেকে আসা ছেলে যে রাস্তায় বোরখা পরা মেয়ে মানুষ দেখে অভ্যস্ত। সে ওড়না ছাড়া কোনো মেয়ে দেখলেই হা করে তাকিয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কন্সট্রাকশন লেবার, বাসের হেল্পার, ফুটপাথের দোকানদার এরা রাস্তায় মেয়ে মানুষ দেখলে কিভাবে তাকায় থাকে একবার দেখবেন ? অবশ্য ভদ্রতার লেবাস পরা লোকরাও হা করে তাকিয়ে থাকার দৃশ্যও খুবই কমন। এখন কথা হলো, হিজাব বা বোরখাই কি সল্যুশন? আমার মনে হয় না , কারন বোরখা হিজাবো অশালিন ভাবে পরা যায় । যারা অশালিন পরবে তারা বোরখা হিজাবেও অশালিনতা ফুটাইতে পারে।সালোয়ার কামিজই কিন্ত নানা ভাবে পরা যায়, এর উদাহরন দেওয়ারো আসলে কিছুই নাই। মোটকথা যেহেতু আমাদের শহরে হাজার শ্রেনির মানুষ এদের একেকজনের মানসিক অবস্থা একেকরকম, এদের কাছ থেকে সুস্থ স্বাভাবিক ব্যবহার আশাও করা যায়না। চারিদিকে অস্থিরতা, যার টাকা আছে তার প্রচুর টাকা আর যার নাই তার কিছুই নাই। এইখানে বেকার হতদরিদ্র যুবকদের মধ্যে একধরনের হতাশা জন্মায়, জন্মায় সুযোগ সুবিধাপ্রাপ্ত ধনী শ্রেনির প্রতি বিদ্বেষ। ধনী শ্রেনির মেয়েদের চালচলন এদের সবকিছুই তখন আর সহ্য হয়না, এদের মধ্যে সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার সব রাগ পরে ধনী বা একটু বেটার চাল চলনের মেয়েদের উপর । আমাদের গালি গুলার দিকে তাকালেই দেখবেন যতো রাগ ঐ নারীর উপর যাইয়া পরে। এই ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম না।

আমাদের এই দেশে তাই নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করলে লাভ হবেনা, লাভ হবেনা পোষাকের স্বাধীনতার জন্য চিল্লাচিল্লি করে। নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ করে দেখেন , সবাই খুশি হবে। নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ পশ্চিমা কালচার, আমাদের দেশে এই প্রতিবাদ ধর্ষক শ্রেনি আঈন প্রনেতা সবার কাছেই আশীর্বাদের মতোই লাগবে। আর শালিনতাও আমাদের দেশেরি কালচার। বৈশাখের ঐ ভিক্টিমদের অপরাধ জায়েজ করতে যারা ড্রেসের কথা তুলে তারা অপরাধী, কিন্ত এর রিপ্লাই হিসেবে ড্রেসের স্বাধীনতা বা আমি যা খুশি তাই পরবো এই পক্ষেও আসলে যাওয়া যাচ্ছেনা, কারন বাস্তবতা ভিন্ন।

এখন এইখানে একঝাক লোক আইসা কমেন্ট করবে ধর্মকে টেনে, কিন্ত ধর্মের ব্যাপারে সবাই জানে। সবাই জানে অশালিন ড্রেস পরা খারাপ, ধর্মমতে বেগানা নারীর দিকে তাকানোতো দুরের কথা কথা বলাও পাপ। এইসব সবাই জানে , কিন্ত কাজতো হচ্ছেনা। তাই ধর্ষকদের শাস্তি দিয়ে হয়তো থামানো যাবে, কিন্ত ধর্ষক মনের কিভাবে জন্ম হচ্ছে তাও ক্ষতিয়ে দেখার জন্যেই আমার এই পোষ্টের অবতারনা, যাতে ভবিষ্যতে জন্ম নিতে যাওয়া আরো অনেক ধর্ষকের ধর্ষকামি মনকে এবোরশন করে দেওয়া যায়। আমি জানিনা কিভাবে এবোরশন হবে কিন্ত আমি জানি কিভাবে এদের জন্ম হয়, তাই এইবার সল্যুশনের কথা ভাবেন। নাহলে ভয়াবহ দিনের জন্য অপেক্ষা করেন। খোদা হাফেজ

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩৮

সাদরিল বলেছেন: সাহসী লেখা যদিও শেষের দিকে মেয়েদের ড্রেসের অংশ নিয়ে যা বলা হয়েছে সেগুলোর সাথে একমত নই তবে সবমিলিয়ে নতুন কিছু চিন্তার উদ্রেক করে লেখাতি

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩১

বিভ্রান্ত নাবিক বলেছেন: ড্রেসের ব্যাপারে আপনার বক্তব্য জানালেও খুশি হতাম, আমার ভুল হলো কিনা বুঝতে পারতাম। ধন্যবাদ

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আগাগোড়া চমৎকার বিশ্লেষণ এবং যা যা বলেছেন তা-ই বাস্তবতা।
কঠিনভাবে সহমত!++++

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

বিভ্রান্ত নাবিক বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ধর্ষক মনের কিভাবে জন্ম হচ্ছে তা ক্ষতিয়ে দেখার দরকার কি?
মানুষ অনেক কারেণেই অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠে। আর এই অপরাধবোধ প্রশমনের জন্য হাজার বছরের চিরন্তন কালচার, সঙ্গিত, সাহিত্য,কলা চর্চার আবিভাব হয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।
কিন্তু আমাদের দেশে এর চর্চার অভাব থাকার জন্য যে শুন্যতা তৈরী হয়েছে। তারই ফল হচ্ছে এটা। এজন্য এতে বাধা দেবার প্রেয়োজন আছে বলে মানে হয় না। এরা তো এ দেশেরই .................।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

বিভ্রান্ত নাবিক বলেছেন: কেন এদের জন্ম তা ক্ষতিয়ে দেখলে হয়তো থামানোর রাস্তাও পাওয়া যাবে। আপনার কথার একমত যে সাহিত্য কলা সংগিত চর্চাতে এইসব অপরাধপ্রবনতা কমতে পারে। কিন্ত এই বোধটা মানুষের সামনে তুলে ধরতে, এই যে অসুস্থ সংস্কৃতি চালু হইছে তা বুঝানো দরকার। তাতে যদি সবার সুস্থ বিনোদনের প্রয়োজনিয়তা কতোটা এইটা বুঝে আসে

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:০১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: দারুন বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট ---
পোস্টে দারু ভাললাগা
নারী উপযুক্ত পরিবেশে বেড়ে উঠুক, নারীর গতিশীলতা বাড়ুক

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


এট ছোট দেশে এত মানুষ যদি শৃংখলাহীনভাবে বাস করে, এসব সমস্যা হবেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.