নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ইলুসন! কোন লেখা শেয়ার করলে দয়া করে আমার আইডি উল্লেখপূর্বক শেয়ার করবেন।

ইলুসন

Sometimes people dont want to hear the truth because they dont want their illusions destroyed. Friedrich Nietzsche

ইলুসন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তির আনন্দ!

১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮







আপনারা কেউ কখনও রাতে উদ্দেশ্যবিহীন হাঁটাহাঁটি করেছেন? রাত বলতে আমি বোঝাচ্ছি রাত ১২টার পর। এই সময়টাতে চারিদিক নিরব থাকে, ঘুড়ে বেড়াতে খুব ভাল লাগে। আমি রাতে হাঁটাহাঁটি করি। এই বাতিক আমার শুরু হয়েছে যখন আমি কলেজে পড়ি। সারারাত কেন জানি ঘুম আসত না, ঘুমাতাম একদম সকালের দিকে, একটু ঘুমিয়ে উঠেই দৌড় ক্লাসের জন্য। অনেক চেষ্টা করেছি এই অভ্যাস দূর করতে কিন্তু পারিনি। প্রথম দিকে খুব চেষ্টা করতাম ঘুমাতে, আগে আগে ঘুমিয়ে পড়তাম, বিছানায় গড়াগড়ি দিতাম, ঘুম আসত না। ঘুম তার নিজের সময় ঠিক করে নিয়েছিল ফজরের আযানের সময়, আযানের শব্দ শুনলেই দু চোখ জুড়ে ঘুম নেমে আসত। মাঝে মাঝে মনে হত আযানের শব্দটা মোবাইলে সেভ করে রেখে দিয়ে শুনি হয়ত ঘুম আসবে। হা হা হা, অদ্ভুত লাগছে শুনতে তাই না? আসলেই আমি এটা চেষ্টা করেছি কিন্তু এটাতেও কাজ হয় নি। এইসব করার পর আমি চেষ্টা ছেড়ে দেই। আমার জন্মই হয়েছে নিশাচর হবার জন্য, চেষ্টা করে আর লাভ নেই। নিশাচর যখন হয়েছি দিনের রুটিনে পরিবর্তন করে এর সাথে মানিয়ে নেয়াই ভাল। পড়াশুনা শুরু করলাম রাত জেগে। আগে পড়ার বই পড়তাম বোরিং লাগত তাই গল্পের বই পড়া শুরু করলাম। একজন মানুষের দিনে ৬ ঘন্টা ঘুমাতে হয়, টানা ঘুমাতে যখন পারতাম না ঠিক করে নিলাম ৩ ঘন্টা করে ঘুমাব, কলেজে যাবার আগে ৩ ঘন্টা আর কলেজ থেকে এসে ৩ঘন্টা। কিন্তু সমস্যাটা রয়েই গেল, রাতে আর কত গল্পের বই পড়া যায়, বোরিং লাগত খুব। আমি নতুন কোন বিনোদনের মাধ্যম খুজে বের করতে চাইলাম। বন্ধুরা মিলে একদিন ঠিক করল যে রাতে হাটতে বের হবে। আমি নিশাচর প্রাণি এতদিনে নিজের আসল কাজ খুজে পেলাম। বন্ধুদের সাথে ওইদিন রাতে ঘুরার পর থেকে আমি প্রতিদিন রাতে হাঁটতে বের হতাম।







এক সময় কলেজ পাশ করে ভারসিটিতে ঢুকলাম, শেষ বর্ষে এসে আমার সাথে আরেক নিশাচরের দেখা! এখন, গত ৩ বছর ধরে সে আমার বউ। এই ছটফটে মেয়েটাকে দেখেই কেন যেন আমার ভাল লেগে যায়। মেয়েটার সাথে আমার সম্পর্ক ট্রাজেডি বিহীন প্রেমের গল্পের মত। মানুষ ঠিক যেভাবে চায় সেভাবে পায় না, কিন্তু আমি ঠিক যেভাবে চাইলাম ঠিক সেভাবেই সব কিছু হল, কোন বাধা বিপত্তি ছাড়া। মাঝে মাঝে তো অর্পিতা হেসে হেসে বলে, আমাদেরটা লাভ ম্যারেজ বলা যায় না, কোন চার্ম ছিল না, দুইজনই চাইলাম আর পেয়ে গেলাম অবস্থা। আমার আর ওর বাবা মাও কোন আপত্তি করেনি আমাদের মেনে নিতে, পাশ করার পরপরই বিয়ে করে ফেললাম দু'জনে। ও হ্যা, বলা হয়নি আপনাদের, আমার নাম অর্পণ আর তার নাম অর্পিতা। দুইজনের নামে কিছুটা মিল আছে, এটা নিয়েই প্রথম আমাদের কথা বলা শুরু। "অর্পণ জানো আমারো না রাতে ঘুম আসে না, আমিও তোমার মত নিশাচর তবে মেয়ে তো তাই বের হতে পারি না। তোমার কত মজা তুমি সারারাত একা হাঁটতে পার।" আমি কী বলব ভেবে পেলাম না, আসলে সত্য, এ দেশে মেয়েরা দিনেই নিরাপদ না, রাতে কিভাবে নিরাপদ থাকবে? মুখে বললাম, আচ্ছা দেখি কী করা যায়।







ও একদিন জানাল যে তার ফ্লাইওভার দেখতে ইচ্ছে করে। আমি বললাম, রাতে দেখতে অনেক ভাল লাগে, চল রাতেই বের হই। সেই প্রথম রাতে তাকে নিয়ে হাটা, এরপরে প্রায় প্রতিদিন তাকে নিয়ে হাটতাম। হলের গেইট বন্ধ হয়ে যাবে এই ভয়ে তাকে আগে আগে পৌঁছে দিয়ে আমি বাকি রাতটুকু একা হাটতাম। বিয়ের পরে বাসা ভাড়া নিয়ে ঢাকাতেই থাকা শুরু করলাম দুজন। আমার অল্প আয়ে হত না, তাই বাড়ি থেকেও বাবা টাকা পাঠাত প্রথম দিকে, অর্পিতা পাশ করে চাকরি নেয়ার পরে সেই সমস্যা আর থাকল না। চুটিয়ে একজন আরেকজনের ভালবাসা উপভোগ করতে থাকলাম। আমি অর্পিতার বন্ধু, বয়ফ্রেন্ড, স্বামী সব কিছু। আমাদের জীবনে অন্য কারো দরকার ছিল না। দুইজন সম্পূর্ণ সোসিওপ্যাথ মানুষ এক হয়ে গেলে যা হয় আর কী!







অর্পিতা তার সমস্ত ডায়েরি পুড়াচ্ছে আর আমি খাটে বসে আগুন দেখছি। যদিও ব্যাপারটা নিয়ে আমি তেমন বিচলিত না তারপরেও আমি জিগেস করলাম এগুলো পুড়াচ্ছ কেন? "যে জিনিষ নিয়ে আমার স্বামীর সাথে আমার এতদিনের সম্পর্কে ফাটল ধরছে সে জিনিষ আমার দরকার নেই।" আমি শুধু বললাম, ও!







অনেক রাত হয়েছে একটু পরে ফজরের আযান দিবে। অর্পিতাকে নিয়ে আমি অতি পরিচিত এক রাস্তা ধরে হাঁটছি। এ রাস্তা দিয়ে বিগত দুই বছর ধরে আমরা হাঁটি, তাও অর্পিতা ভয়ে কুঁকড়ে থাকে এদিকে আসলে। আমি বুঝি না, মানুষ এত ভয় কিভাবে পায়? মানুষের হতে হয় ভয়হীন, নিশাচরদের তো অবশ্যই ভয়হীন হতে হবে। নাহ, অর্পিতাকে নিয়ে আর পারি না। দুনিয়ার কোন কিছুতে তার ভয় নেই শুধু এই রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় তার যত ভয়! আমরা আমাদের গন্তব্যে চলে এসেছি। অর্পিতাকে তার কবরে নামিয়ে দেয়ার পর সে আমার হাত ধরে বলল, "প্লিজ, বল কালকেও আমাকে নিতে আসবে।' আমি বললাম, "হ্যাঁ আসব, কেন আসব না?" অর্পিতা বলল, "আমার কেন যেন মনে হচ্ছে তুমি আর আসবে না। দেখো আমি অপরাধ করেছি তোমার কাছে এসব গোপন করে, স্বীকার করছি, কিন্তু আমাকে এত বড় শাস্তি দিও না। প্লিজ প্লিজ, বল তুমি আসবে। আমি এখানে একা থাকতে পারব না, আমার কষ্ট হবে।" আমি বললাম, "তুমি আমাকে ভুল ভাবছ, আমি অবশ্যই আসব।" ফজরের আযান দিচ্ছে, অর্পিতার চোখে ঘুম, সে ঘুম ঘুম চোখে আমাকে বলল, "আই লাভ ইউ।" আমি উত্তর দিবার আগেই সে শান্ত হয়ে ঘুমিয়ে গেল।







বাইরে বেরিয়ে আম্মাকে ফোন করলাম, আম্মা গত দুই বছর ধরে জ্বালাচ্ছে আবার কেন বিয়ে করছি না, ফোন রিসিভ করতেই বললাম, "আম্মা তোমরা মেয়ে দেখ, আমি বিয়ে করব।" আম্মা ফজরের নামায শেষ করেছে মাত্র, কিছুটা অবাক আর কিছুটা আনন্দ নিয়ে বলল, "আচ্ছা!"



আমি আর কথা না বলে ফোন কেটে দিলাম, আমার একটু বিশ্রাম দরকার। গত দুই বছর ধরে নিষ্ঠার সাথে অর্পিতাকে সন্ধ্যার পর কবর থেকে নিয়ে আসা, আবার ফজরের আগে সেখানে দিয়ে আসার দায়িত্ব থেকে আজ আমি মুক্ত! আমি অনেক ক্লান্ত।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:


ঘোরের মধ্যে আছি :(

১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)

২| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

ভিটামিন সি বলেছেন: জ্বী আমি ও হাটছি মমিশিং শহরে। পুরবী, অলকা, অজন্তায় সিনেমা দেখে হেটে হেটে চড়পাড়া পেরিয়ে মাসকান্দায় মেসে এসেছি। মাঝে মাঝে রাত ১২ টা থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত গার্লফ্রেন্ডের সাথে তার বাসায়, জানলায়, ছাদে প্রেম করে তারপর রিফাতে রুটি খেতে গিয়েছি রাত দুইটার পরে। পরিত্যাক্ত শ্বশানে কতো রাত টয়লেট করেছি তার কোন ইয়ত্তা নেই।

১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

ইলুসন বলেছেন: হা হা, কষ্ট করে পড়বার জন্য ধন্যবাদ। :)

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

মিত্রাক্ষর বলেছেন: গল্পের নায়কের মতো গভীর রাতে হাঁটাহাঁটি আমার কাছে সবসময়ই অসাধারণ লাগে।
সঙ্গী না পেলে পকেটে আইডি কার্ড আর কিছু টাকা নিয়ে ভাদাইম্মার মতো রাস্তায় বেড়িয়ে পরি।
পোস্টে এত্ত গুলো ++++++++

১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ মিত্রাক্ষর। :)

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২০

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: বেশ একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম শেষের দিকে। ভালো লাগলো খুব। :)

১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। :)

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

ময়ূখ বলেছেন: চরম লাগলো ভাই...সবার হুমায়ূন আহমেদ (আমার ফেভারিট যদিও) স্টাইলের লেখা পড়তে পড়তে মেজাজ বিলা হয়ে যাইতেসিলো...লেখার স্টাইল টা বেশ ভালো লাগসে...

ধন্যবাদ...

১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ময়ূখ। :)

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

অহন_৮০ বলেছেন: ভালো লিখেছেন

১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ অহন। :)

৭| ১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বেশ একটা ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম শেষের দিকে।

১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)

৮| ১৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২১

দুরন্ত-পথিক বলেছেন: রাতের আনন্দ শুধু ছেলেদর জন্য,মেয়েরা এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত এই অনিরাপদ শহরে

১৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

ইলুসন বলেছেন: ঠিক।

ধন্যবাদ ভাই।

৯| ১৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: নিশাচরের দিনলিপিতে রাতের আঁধার অগ্নিসম্ভবা হয়ে দাবানল ছড়িয়ে দেয়।

চমৎকার লাগলো লেখাটা।

১৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার ভাল লাগা মানে গল্পটা আসলেই ভাল হইছে, যদিও নির্বাচিত হয় নাই।

১০| ১৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১

নাছির84 বলেছেন: অর্পিতা তার সমস্ত ডায়েরি পুড়াচ্ছে আর আমি খাটে বসে আগুন দেখছি। যদিও ব্যাপারটা নিয়ে আমি তেমন বিচলিত না তারপরেও আমি জিগেস করলাম এগুলো পুড়াচ্ছ কেন? "যে জিনিষ নিয়ে আমার স্বামীর সাথে আমার এতদিনের সম্পর্কে ফাটল ধরছে সে জিনিষ আমার দরকার নেই।" আমি শুধু বললাম, ও।..............................ঘোর কাটেনি।


পিলাচ দেব না। এক ঝুড়ি দোয়া পাঠালাম।........আবার আসবো।

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৮

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার মন্তব্য পড়ে মন ভাল হয়ে গেল। দোয়া করবেন বেশি বেশি করে।

১১| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪১

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: ঘোরলাগা অনুভূতির সৃষ্টি হল যেন! লেখাগুলো মনে হচ্ছিল যেন কারো ডায়েরি থেকে তুলে আনা!

অনেক দিন পর আপনার পোস্ট পেলাম। ভাল আছেন নিশ্চয়ই? খুব ব্যাস্ত নাকি?

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৪

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। হুম ব্যাস্ত আছি। আমি তো মূলত গল্পকার না, সখের বসে দুই একটা গল্প লিখি। ব্যাস্ত থাকলেও সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে আলোচনা করার মত পোস্ট দেয়া যায়, আগে তেমন পোস্ট দিতাম কিন্তু এখন ইচ্ছা করে না, মন্তব্য আসে না, আর যাদের মতের বিরুদ্ধে যাবে তারা দেখি গালিগালাজ করে পোস্টে! টিকফা চুক্তি নিয়ে লিখার ইচ্ছা ছিল পরে বাদ দিছি, দেখা যাবে এত কষ্ট করে লেখা পোস্টে ২টা মন্তব্য! :P

আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আপনিও ভাল থাকবেন।

১২| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪১

আরমিন বলেছেন: শেষের অংশ বুঝেছি, কিন্তু প্রথম অংশ বুঝিনি!

অর্পিতা যদি মৃত হয়, তাহলে ডায়েরী পুড়ালো কেন? নাকি আগে জীবিত ছিলো? বুঝলাম না! /:)

১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

ইলুসন বলেছেন: ওদের বিয়ে হয়, তারপরে তারা এক বছর সংসার করে। তারপরে কোন কারণে অর্পিতা মারা যায়। অর্পণ তার বউকে এত ভালবাসত যে সে মৃত্যুর পরেও অর্পিতার সাথে সংসার করত। কিন্তু অর্পিতার ডায়েরি পড়ে অর্পিতার ব্যাপারে একটা অজানা জগত তার কাছে উন্মুক্ত হয়, যেটা সে সহ্য করতে পারছিল না, তাই সে অর্পিতাকে ত্যাগ করে। এটা আসলে একটা ধোয়াটে অবস্থা। আপনি যদি অতিপ্রাকৃত ব্যাপারে বিশ্বাসী হন তাহলে ধরে নিবেন অর্পিতার আত্মার সাথে অর্পণ রাতে হাঁটাহাঁটি করত আর অর্পিতার আত্মাই ডায়েরিগুলো পুড়িয়েছে। আর আপনি যদি বাস্তববাদী হন তাহলে ধরে নিন, পুরোটাই অর্পণের কল্পনা। অত্যধিক ভালবাসার কারণে সে অর্পিতার মৃত্যুর পরেও তাকে নিজের চিন্তায় বাঁচিয়ে রেখেছিল, সে ক্ষেত্রে আপনাকে ধরে নিতে হবে অর্পণ নিজেই ডায়েরিগুলো পুড়িয়েছে কিন্তু মনে করেছে যে সেগুলো অর্পিতা পুড়াচ্ছে!

ছোটগল্প তো তাই এই ধরণের কৌতূহল রেখে দিলাম। যাতে পাঠক গল্পটা পড়ে নিজের মত করে ভেবে নেয়। সবকিছু লিখে দিলে পাঠক চিন্তা করার খোরাক পাবে না।

পড়বার জন্য ধন্যবাদ। আশাকরি এখন বুঝতে পেরেছেন। :)

১৩| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে লেখা পোস্টে মন্তব্য কম আসলে আসলেই একটু খারাপ লাগে। এই ধরনের একটা পোস্ট দিতে যথেষ্ট চিন্তা ভাবনা করতে হয়। পাঠকরা পড়ে যদি মতামত শেয়ার না করে তবে লেখকের কষ্টটাই বৃথা। নিয়মিত লিখতে পরিচিতি বাড়বে সাথে বাড়বে পাঠক সংখ্যাও।

তবে গল্প লিখে যেতে পারেন। আপনার লেখনী খুবই ভাল। এই গল্পের কথাই ধরি- অতিপ্রাকৃত চিন্তা ভাবনা এত চমৎকার ভাবে এসেছে, মনোযোগ দিয়ে পড়লে পাঠকের ঘোর লেগে যেতে বাধ্য। আমি তো একবার ভাবছিলাম অর্পিতা মৃত আবার ভাবছিলাম জীবিতই, কল্পনা আর বাস্তব মিলে ইলুসন সৃষ্টি হয়েছিল একটা, শেষটা লাগল ধাক্কার মত।

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৬

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১৪| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৫৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: পুরাটাই নেশালাগা, ঘোর লাগা এক অদ্ভূত রকমের গল্প।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
একগুচ্ছ প্লাস।

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৭

ইলুসন বলেছেন: একগুচ্ছ প্লাসের জন্য একগুচ্ছ ধন্যবাদ। :)

১৫| ২২ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২২

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ইলুশন নামকরনের সার্থকতা খুজে পেলাম । :)
গল্প টা অনেক ভাল লাগল । স্টাইল টা নজর কেড়েছে ।
আর ভাই আপনি সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে পোস্ট দেন , সমস্যা নাই ।
কেউ না পড়ুক অন্তত আমি পড়তে আসব । এমন বিষয়ে লিখা আসার প্রয়োজনীয়তা আছে । ভাল থাকবেন ।

২২ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, চেষ্টা করব। :)

১৬| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৩

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: আপনার নামের সাথে গল্পের থিম মিলে গেল চমৎকার ভাবে।

কি অদ্ভুত এক ইলুশন! নায়িকা বেঁচে আছে কি মরে গেছে সেটা কেউ জানে না, কেউ ভাবছে আছে কেউ ভাবছে নেই। নায়িকা কেন মারা গেল কেন নায়ক দু বছর পর হঠাৎ করেই নায়িকার সাথে তার কল্পনাবিলাস হতে মুক্তি নিয়ে আবার বিয়ে করতে রাজি হল, সব মিলিয়ে ব্যাপক ইলুশন। আসলেই খুব সুন্দর।

আপনি কোন ব্যাচ আজও জানা হল না।

২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।


তোমার ব্লগে লিখে আসছি আমি কোন ব্যাচ। :)

১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

নীল-দর্পণ বলেছেন: কি হইলো!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৪

ইলুসন বলেছেন: কিছু না, ছেঁকা খাইছি! :((

১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন!!!!


++++++++

অনুসরনেও নিলাম।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৫

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)

১৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৫

অনিক্স বলেছেন: বাহ! :)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.