নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ইলুসন! কোন লেখা শেয়ার করলে দয়া করে আমার আইডি উল্লেখপূর্বক শেয়ার করবেন।

ইলুসন

Sometimes people dont want to hear the truth because they dont want their illusions destroyed. Friedrich Nietzsche

ইলুসন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এপ্রিল-ফুল নিয়ে মুসলমানদের মাঝে প্রচলিত গল্প সম্পূর্ণ মিথ্যা!

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

প্রতি বছর এপ্রিলের এক তারিখ আসলে আমরা একটা কাহিনী ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়তে দেখি যে মুসলমানদের এপ্রিলের এক তারিখ বোকা বানিয়ে মসজিদের ঢুকিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। ছোটবেলায় আমিও এসব গালগল্প বিশ্বাস করতাম। পরে জানতে পারলাম এই কাহিনী ভূয়া। এসব নিয়ে লিখব ভাবছিলাম কিন্তু তার আগেই ফেসবুকে পেয়ে গেলাম চমৎকার যুক্তিপূর্ণ একটা নোট। এটা পড়লে আশাকরি সব ঘটনা পরিস্কার হয়ে যাবে।



Abdullah Ibn Mahmud এর নোট।



১ এপ্রিল পালিত এপ্রিল ফুল ডে নিয়ে অনেক রকমের কাহিনী প্রচার করা হয়ে থাকে। তবে, সব কাহিনীর মধ্যে একটি Anti-Muslim কাহিনী আমাদের মুসলিমপ্রধান সমাজে ব্যাপক পরিমাণে জনপ্রিয়। কিন্তু, সেটা প্রমাণিত না। একজনের অনুরোধে এপ্রিল ফুল নিয়ে বিস্তারিত লিখলাম এ নোটে। :)







বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, এপ্রিল ফুল নিয়ে যত থিওরি/কাহিনী আছে, এর মধ্যে এই ব্যাপক প্রচলিত ইসলামবিরোধী কাহিনীটা আসলে তেমন গুরুত্ববাহীই না। এটা ছাড়াও আরো কাহিনী আছে।



আসুন আমরা সবগুলো থিয়োরিগুলো জানি...



থিওরি ১- ক্যালেন্ডার থিওরি

এটাই সবচেয়ে বেশি প্রচলিত কাহিনী।

১৫৬৪ সালে ফ্রান্স তাদের ক্যালেন্ডার চেঞ্জ করে। এর আগে বছর শুরু হত মার্চের শেষে। কিন্তু এটা এগিয়ে নিয়ে আসা হয় আর বছর শুরু করা হয় ১ জানুয়ারি থেকে। কিন্তু নতুন এই চেঞ্জ অনেকেই মানতে পারলেন না। তারা এই সিদ্ধান্তে অটল থাকলেন যে, ২৫ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত তারা আগের মতই নববর্ষ পালন করবে। কিন্তু যারা পরিবর্তন গ্রহণ করেছিল তারা ওদের সাথে মজা লুটতে চাইল। যারাই তখন নববর্ষ করতে চেয়েছে তাদের পিঠে পেপার ফিশ (Paper Fish) লাগিয়ে দিয়েছে। সেই তখন থেকে ভিক্টিমদের বলা হত Poisson d'Avril বা এপ্রিল ফিশ। এমনকি এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এ নামেই তাদের ডাকা হয় যারা এই দিনে বোকা বনে যায়...



চাইলে এই যে, এপ্রিল ফিশ ফ্রেঞ্চ পোস্ট কার্ড দেখতে পারেন ;)







আপাত দৃষ্টিতে এই কাহিনী গ্রহণযোগ্য মনে হলেও ক্যালেন্ডার পরিবর্তনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এই কাহিনীর ত্রুটি ধরা পড়ে। সেই ডিটেইলসে আর গেলাম না... :P



থিওরি ২- রোমান মিথ

রোমান মৃত্যু দেবতা প্লুটো যখন তাঁর "স্ত্রী" পারসিফন-কে অপহরণ করে আনলেন, তখন পারসিফনের মা সেরিস মেয়েকে অনেক খুঁজতে চেষ্টা করেন। কিন্তু, বোকার মত অনেক খুঁজেও পেলেন না মেয়েকে। কারণ, মেয়ে তখন আন্ডারওয়ার্ল্ডে। মাটির উপরে না। সেরিসের বোকামি স্মরণ করে ১ এপ্রিল বোকামি দিবস পালন করা হত বলে অনেকে মনে করেন।



থিওরি ৩- বাইবেলিকাল মিথ

নূহ (আ) এর কাহিনী থেকে এই থিওরি এসেছে। নূহ (আ) যখন দেখলেন পানি কমছে না, তখন তিনি একটি কবুতর পাঠান দেখার জন্য কবুতর ফিরে আসে কিনা, ফিরে আসলে সেটা হবে ডাঙ্গা খোঁজার একটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা। ডাঙ্গা পেলে কবুতর ফিরবে না।কিন্তু, কবুতর ফিরে এল। নূহ (আ) "বোকা" বনে গেলেন। এটা স্মরণ করে এপ্রিল ফুল পালন করা হত বলে কেউ কেউ বলেছেন।



থিওরি ৪- ব্রিটিশ গথাম থিওরি

ব্রিটিশ লোককথা বলে, ব্রিটেনের নটিংহ্যামশায়ারের "গথাম" শহর ছিল বোকাদের শহর। এখানে খালি বোকারা বাস করত। ১৩শ শতকের দিকে নিয়ম ছিল, ব্রিটেনের রাজা যেখানে যেখানে পা রাখবেন তা হয়ে যাবে রাষ্ট্রের সম্পত্তি। যখন গথামের বাসীরা শুনল রাজা জন আসছেন এ শহরে, তারা বলল, তাঁকে ঢুকতে দিবে তারা না, তারা কিছুতেই গথামকে হারাবে না। রাজা ক্ষেপে গেলেন, সৈন্য পাঠালেন।

যখন সৈন্য এল শহরে, মেইন গেইট থেকে তারা দেখল সারা শহরে হুলস্থূল কাণ্ড। সব বাসিন্দা বোকার মত কাজ করছে। কী কী বোকামি সেগুলো লিস্ট না করি। কিন্তু তারা ফিরে গিয়ে এমন রিপোর্ট দিল, যে, রাজা বললেন, এমন বোকাদের শাস্তি দেয়া যায় না। তাই, তিনি মাফ করে দিলেন। গথাম স্বাধীন থাকল।

গথামবাসীদের "ট্রিক" স্মরণ করা হয় এপ্রিলের ১ তারিখ।



থিওরি ৫- জার্মান থিওরি

১৫৩০ সালের ১ এপ্রিল, জার্মানির অগসবারগ শহরে একটা আইন বিষয়ক মিটিং হবার কথা ছিল। এই মিটিং এর ফলাফল নিয়ে অনেক মানুষ অনেক টাকা বাজিকরের কাছে জমা রাখে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ঐদিন মিটিং হয়নি। বাজিকর টাকা ফেরৎ দেয়নি। সব টাকা গচ্চা যায়। এই বোকামি একটা উৎস হতে পারে এপ্রিল ফুলের।



থিওরি ৬- হল্যান্ডের থিওরি

১৫৭২ সালের ১ এপ্রিল। এদিন, হল্যান্ডের ডেন ব্রিএল শহরটাকে লর্ড আল্ভার স্প্যানিশ শাসন থেকে মুক্ত করে ডাচ বিদ্রোহীরা। এইদিন তারা লর্ড আল্ভাকে পুরো বোকা বানিয়ে ছাড়ে। পহেলা এপ্রিলে আল্ভার বোকামি স্মরণ করে এপ্রিল ফুল পালন করা হয়।

মূলত, এই ঘটনার পর অনেক জায়গায় বিদ্রোহ সোচ্চার হয় আর স্পেইনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পায় হল্যান্ড। পহেলা এপ্রিলের সেই ঐতিহাসিক যুদ্ধ স্মরণে একটি পোস্টকার্ড-







থিওরি ৭ - AntiMuslim Theory

উপরের ৬টা থিওরি বিশ্বব্যাপী প্রচলিত। কিন্তু এই ৭ নাম্বার থিওরি কেবল মূলত মুসলিম বিশ্বে প্রচলিত। স্প্যানিশ খ্রিস্টানরা মুসলিমদের সাথে কী জঘন্য কাজ "করেছিল" সেটা বুঝানো হয়েছে এই থিওরিতে। বিশাল এক কাহিনী আছে এটাতে। আত তাহ্রিক পত্রিকা থেকে পেস্ট করছি কেবল "কাহিনী" অংশটুকু ইতালিক ফন্টে-



৭১১ খ্রীষ্টাব্দের অক্টোবরে মুসলমানরা কর্ডোভা জয় করেন। মুসলমানরা স্পেন জয় করার পর প্রথমে সেভিল (Seville) কে রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করে। কিন্তু সোলাইমান ইবনু আব্দিল মালিকের যুগে স্পেনের গভর্ণর সামাহ বিন মালেক খাওলানী রাজধানী সেভিল থেকে কর্ডোভায় স্থানান্তরিত করেন। এরপর এই কর্ডোভা শতাব্দীর পর শতাব্দী স্পেনের রাজধানী হিসাবে থেকে যায়। এভাবে পযার্য়ক্রমে বৃহত্তর স্পেন মুসলমানদের নেতৃত্বে চলে আসে। ইসলামী শাসনের শাশ্বত সৌন্দর্য ও ন্যায় বিচারে মুগ্ধ হয়ে হাযার হাযার মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে। সাথে সাথে জ্ঞান-বিজ্ঞান, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও শিল্প-সভ্যতার ক্ষেত্রে বিস্ময়কর উন্নতি সাধিত হ’তে থাকে।

এদিকে ইউরোপীয় খ্রীষ্টান রাজাদের চক্ষুশূলের কারণ হয় মুসলমানদের এই অগ্রগতি। ফলে ইউরোপীয় মাটি থেকে মুসলিম শাসনের উচ্ছেদ চিন্তায় তারা ব্যাকুল হয়ে উঠে। অতঃপর আরগুনের ফার্ডিন্যান্ড এবং কাস্তালিয়ার পর্তুগীজ রাণী ইসাবেলা এই দু’জনই চরম মুসলিম বিদ্বেষী খ্রীষ্টান নেতা পরস্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাঁরা সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করে মুসলমানদের উপর আঘাত হানবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। তারা মুসলমানদের দুর্বলতার সুযোগ খুঁজতে থাকে। এমন এক মুহূর্তে ১৪৮৩ সালে আবুল হাসানের পুত্র আবু আব্দিল্লাহ বোয়াবদিল খ্রীষ্টান শহর লুসানা আক্রমণ করে পরাজিত ও বন্দী হন। এবার ফার্ডিন্যান্ড বন্দী বোয়াবদিলকে গ্রানাডা ধ্বংসের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে। একদল সৈন্য দিয়ে বোয়াবদিলকে প্রেরণ করে তাঁরই পিতৃব্য আল-জাগালের বিরুদ্ধে। বিশ্বাসঘাতক বোয়াবদিল ফার্ডিন্যান্ডের ধূর্তামি বুঝতে পারেননি এবং নিজেদের পতন নিজেদের দ্বারাই সংঘটিত হবে এ কথা তখন তার মনে জাগেনি। খ্রীষ্টানরাও উপযুক্ত মওকা পেয়ে তাদের লক্ষ্যবস্ত্তর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে পরিকল্পনা কার্যকর করতে থাকে। বোয়াবদিল গ্রানাডা আক্রমণ করলে আজ-জাগাল উপায়ন্তর না দেখে মুসলিম শক্তিকে টিকিয়ে রাখার মানসেই বোয়াবদিলকে প্রস্তাব দেন যে, গ্রানাডা তারা যুক্তভাবে শাসন করবেন এবং সাধারণ শত্রুদের মোকাবেলার জন্য লড়াই করতে থাকবেন। কিন্তু আজ-জাগালের দেয়া এ প্রস্তাব অযোগ্য ও হতভাগ্য বোয়াবদিল প্রত্যাখ্যান করেন। শুরু হয় উভয়ের মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

ফার্ডিন্যান্ড ও রাণী ইসাবেলা মুসলমানদের এই আত্মঘাতী গৃহযুদ্ধের সুযোগ গ্রহণ করে গ্রাম-গঞ্জের নিরীহ মুসলিম নারী-পুরুষকে হত্যা করে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিতে দিতে ছুটে আসে শহরের দিকে। অতঃপর রাজধানী গ্রানাডা অবরোধ করে। এতক্ষণে টনক নড়ে মুসলিম সেনাবাহিনীর। তারা গা ঝাড়া দিয়ে উঠে। তাতে ভড়কে যায় সম্মিলিত কাপুরুষ খ্রীষ্টান বাহিনী। সম্মুখ যুদ্ধে নির্ঘাত পরাজয় বুঝতে পেরে তারা ভিন্ন পথ অবলম্বন করে। তারা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় শহরের বাইরের সকল শস্য খামার এবং বিশেষ করে শহরের খাদ্য সরবরাহের প্রধান উৎস ‘ভেগা’ উপত্যকা। ফলে অচিরেই দুর্ভিক্ষ নেমে আসে শহরে। খাদ্যাভাবে সেখানে হাহাকার দেখা দেয়। এই সুযোগে প্রতারক খ্রীষ্টান রাজা ফার্ডিন্যান্ড ঘোষণা করে, ‘মুসলমানেরা যদি শহরের প্রধান ফটক খুলে দেয় এবং নিরস্ত্র অবস্থায় মসজিদে আশ্রয় নেয়, তাহ’লে তাদেরকে বিনা রক্তপাতে মুক্তি দেয়া হবে। আর যারা খ্রীষ্টান জাহাজগুলোতে আশ্রয় নিবে, তাদেরকে অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেয়া হবে। অন্যথা আমার হাতে তোমাদেরকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হবে’।

দুর্ভিক্ষতাড়িত অসহায় নারী-পুরুষ ও মাছুম বাচ্চাদের কচি মুখের দিকে তাকিয়ে মুসলিম নেতৃবৃন্দ সেদিন খ্রীষ্টান নেতাদের আশ্বাসে বিশ্বাস করে শহরের প্রধান ফটক খুলে দেন ও সবাইকে নিয়ে আল্লাহ্র ঘর মসজিদে আশ্রয় নেন। কেউবা জাহাজগুলোতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। কিন্তু শহরে ঢুকে খ্রীষ্টান বাহিনী নিরস্ত্র মুসলমানদেরকে মসজিদে আটকিয়ে বাহির থেকে প্রতিটি মসজিদে তালা লাগিয়ে দেয়। অতঃপর একযোগে সকল মসজিদে আগুন লাগিয়ে বর্বর উল্লাসে ফেটে পড়ে নরপশুরা। আর জাহাজগুলোকে মাঝ দরিয়ায় ডুবিয়ে দেয়া হয়। কেউ উইপোকার মত আগুনে পুড়ে ভস্ম হয়ে গেল, কারো হ’ল সলিল সমাধি। প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখায় দগ্ধীভূত ৭ লক্ষাধিক অসহায় মুসলিম নারী-পুরুষ ও শিশুদের আর্তচিৎকারে গ্রানাডার আকাশ-বাতাস যখন ভারী ও শোকাতুর হয়ে উঠেছিল, তখন হিংস্রতার নগ্নমূর্তি ফার্ডিন্যান্ড আনন্দের আতিশয্যে স্ত্রী ইসাবেলাকে জড়িয়ে ধরে ক্রূর হাসি হেসে বলতে থাকে, "Oh! Muslim! How fool you are!"

যেদিন এই হৃদয় বিদারক, মর্মান্তিক ও লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছিল, সে দিনটি ছিল ১৪৯২ খ্রীষ্টাব্দের ১লা এপ্রিল। সেদিন থেকেই খ্রীষ্টান জগৎ প্রতি বছর ১লা এপ্রিল সাড়ম্বরে পালন করে আসছে April fools Day তথা ‘এপ্রিলের বোকা দিবস’ হিসাবে। মুসলমানদের বোকা বানানোর এই নিষ্ঠুর ধোঁকাবাজিকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে সমগ্র ইউরোপে প্রতিবছর ১লা এপ্রিল ‘এপ্রিল ফুল’ দিবস হিসাবে পালিত হয়।



এ থিওরি কি আসলেই নিশ্ছিদ্র নিখুঁত??? আমরা একটু পরে পর্যালোচনা করব।



থিওরি ৮ - Anti-Islam Theory

এ থিওরি মতে, স্প্যানিশরা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিল না, কেন মুসলিমরা পরাজিত হচ্ছে না। পরে, তারা বুঝল তাদের আল্লাহ ভীতি অনেক, তাই তারা সবসময় জয়ী। তাই তারা ট্রিক করল, তারা সিগারেট আর অ্যালকোহল পানীয় প্রেরণ করল। সেগুলো পেয়ে আল্লাহ ভীতি ভুলে গেল মুসলিমরা। তাই ১ এপ্রিল তাদের পতন হল।

এটা আমার কাছে খুব বেশি হাস্যকর লেগেছে। একটা কথা, "মুসলিমরা পরাজিত হচ্ছে না" এটা ভুল। কারণ, তারা পরাজিত নিপীড়িত ছিল। কোন মতে টিকে থাকা যাকে বলে আর কি।

আর, সিগারেট?? -_- কিছু বলার নাই।



যাই হোক, এবার আসা যাক, আগের থিওরির ইতিহাস বিশ্লেষণে। "১৪৯২ খ্রীষ্টাব্দের ১লা এপ্রিল " এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হয় এ কাহিনীতে। সমস্যা হল, এ অসাধারণ হৃদয়বিদারক "ঐতিহাসিক" কাহিনীর কোনই উল্লেখ নেই ইতিহাসের পাতায়, এটাই সন্দেহ জাগায়। বরং, অন্য তথ্য আছে।



১ এপ্রিলের কোন কাহিনী নেই ইতিহাসে। ইসাবেলা কি ১ এপ্রিল গ্রানাডা দখল করেন মসজিদ পুড়িয়ে? ৭ লাখ মুসলিম মেরে?

না।

থিওরি ৭ এর কাহিনীর ৫৮ দিন আগেই ইসাবেলা গ্রানাডার দখল পেয়ে যান!! ২ জানুয়ারি। মোটেও সেটা, ১ এপ্রিল না।



A history of Medieval Spain বই থেকে কোট করলে, "১৪৯২ সালের ২ জানুয়ারি ইসাবেলা আর ফারদিনান্ড গ্রানাডায় প্রবেশ করেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সেদিন গ্রানাডার শাসক দ্বাদশ মুহাম্মাদের কাছ থেকে গ্রানাডার চাবি নেন।"



কোন মসজিদ পুরানোর ঘটনা আর স্পেসিফিক সেই গণহত্যার কাহিনী নেই। কোন ১ এপ্রিল নেই।



একটা প্রশ্ন জাগতেই পারে, নিষ্ঠুরতা ইতিহাসে স্থান পায় ভাল মতই। যেমন, ক্রুসেডাররা জেরুজালেম দখল করে মুসলিমদের যেভাবে গণহত্যা করেছিল সেটা সুন্দর করে সংরক্ষিত আছে। আবার এটাও আছে, মুসলিম হয়ে সালাদিন (সুলতান সালাহউদ্দিন) কত অসাধারণ মহত্ত্ব দেখিয়েছিলেন। তাহলে স্পেইনের এত বড় একটা ঘটনা কেন উল্লেখ থাকবে না??



সত্য বলতে, স্পেইনে মুসলিমদের উপর অমানসিক অবর্ণনীয় অত্যাচার চালানো হয়েছিল... এবং সেসব ঘটনা ভালমতই আছে হিস্টোরিতে। নতুন ঘটনা ইনভেন্ট করার আসলে কী দরকার ছিল??



It's Better that, আমরা এই কাহিনী প্রচার না করি। কেবল, জানা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাক এই থিওরি। কারণ, আমরা জানি না, এটা কতটুকু সত্য বা মিথ্যা। Allah knows best.



[যারা ইতিহাসের ভাষ্য পড়তে চান, তাদের জন্য-

স্পেনের শেষ মুসলিম শাসক আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ XII (স্প্যানিশ নাম 'বোয়াব্দিল') রাণী ইসাবেলা-ফার্ডিনান্ডের কাছে আত্মসমর্পন করেন ১৪৯২ সালের ২ জানুয়ারি। আত্মসমর্পন পর্ব শান্তিপূর্ণ ছিল, রাণীর সহযোগী ভুবন বিখ্যাত ক্রিস্টোফার কলম্বাস এ অনুষ্ঠানে উপস্থত ছিলেন।

এবং মোহাম্মদ XII এর সাথে রাণীর চুক্তি হয়েছিল স্পেনে বসবাসরত মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দানের, সে চুক্তি রক্ষিত হয়নি, আত্মসমর্পন পরবর্তী সময় থেকেই বিবিধ জুলুম প্রক্রিয়া শুরু হয়। কাটাকুটি মূলত শুরু হয় ১৫০৮ সালে যখন 'ইঙ্কুইজিশন' ঘোষণা করা হলো, মানে ইহুদী এবং মুসলমানদের হয় ক্যাথলিক হতে হবে নয়তো স্পেন ছাড়তে হবে।...........জার্মানীর হিটলার আর স্পেনের ইসাবেলার পর-জাতিবিদ্বেষের মধ্যে পার্থক্য কতটুকু? মানবতাবাদী হিসেবে ম্যারানোস, মরিস্কোস শব্দগুলো ভুলে গেলে তো আর চলবে না।

১৪৯৬ সালে ইসাবেলার সম্মতিতে আর্চবিশপ তালাভ্যারা আলহামরা ডিক্রি জারি করে। এই ডিক্রি অনুসারে স্পেনের ইহুদী ও মুসলিমদের হয় ক্যাথলিক ক্রিশ্চান ধর্মগ্রহণ নয়তো দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। ১৫০২ সালে ইসাবেলা ইহুদী-মুসলিম ও অন্যান্য ক্রিশ্চানদের বাধ্যতামূলক ক্যাথলিক ক্রিশ্চান ধর্মে ধর্মান্তরিত হবার অথবা, দেশত্যাগের আদেশ দিয়ে সরকারী ফরমান জারি করে।

গ্রানাডার পতনের পর প্রায় এক লক্ষ মুসলমান মারা যায়, চার লক্ষ মুসলমান দেশত্যাগে বাধ্য হয় ও তিন লক্ষ মুসলমান ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়। ইহুদীদের ইতিহাস তো আরো করুণ। দুই লক্ষ মারা যায়, এক লক্ষ ইহুদী ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়, এক লক্ষ ইহুদী দেশত্যাগ করে।



(সূত্র: Spain 1469 - 1714; A Society of Conflict, লেখক: Henry Kamen) ]



পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে, যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়া কোন ঘটনা বিশ্বাস আর প্রচার করা ইসলাম কি সমর্থন করে? ইসলামকে মহিমান্বিত করার জন্য কি মিথ্যার আশ্রয় নিতে হবে? একটা চক্র তো আছেই যারা "মিথ্যা" "ভুয়া" কথা ছড়িয়ে ইসলামকে "গ্রেট" প্রমানে ব্যস্ত। তারা আসলে নন-মুসলিমদের কাছে আমাদের হাসির পাত্র করা ছাড়া আর কিছুই করছে না। ধিক।



চিন্তা করে দেখুন তো, আমরা এরকম কাহিনী দিয়ে নিজেরাই Fooled হচ্ছি না তো? এপ্রিল ফুল! :P



আপনি এরকম কাহিনী বর্ণনা করলেন আর এরপর আপনার কাছে যদি তথ্যপ্রমাণ সহ এসে তাদের কেউ বলে যে, এই যে, এতক্ষণ যা বললেন সব ভুয়া; তাহলে আপনার কেমন লাগবে? এটা কি ইসলাম প্রচার চলছিল? নীল আর্মস্ট্রংকে মুসলিম প্রমাণ করে কী লাভ হয়েছিল? ফেইক মিরাকল ছড়িয়ে কী হয়?



যাই হোক, এই কাহিনী সত্য হলে সত্য... কিন্তু, মিথ্যা হলে, প্রচারকরা মিথ্যাবাদী হিসেবে পরিগণিত হবে, তাই নয় কি??



"যদি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনিত হয়, তবে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও।" (কুরআন, ৪৯:৬)





Keep that in mind... :)



"Happy April Fool's Day"?????

এটা কি মুসলিমদের জন্য জায়েজ? এই প্রশ্ন আসবেই। এপ্রিল ফুলে মজা নেয়ার জন্য মিথ্যা বলা হয়, Prank; এটা কি ইসলাম অনুমোদন করে?

মিথ্যা বর্জনীয়। সুতরাং, ইতিহাসে আদৌ এই দিবসে কী হয়েছিল না হয়েছিল সেটা গোণায় না আনলেও, এটা বুঝতে সমস্যা হবার কথা না যে, এপ্রিল ফুলের কাজ কারবার ইসলাম অনুমোদন দেয় না।



"তাদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ যারা মিথ্যাবাদী।" (কুরআন, ৩:৬১)



এ আয়াত কি যথেষ্ট না?



আল্লাহ আমাদেরকে ভুল ভ্রান্তি আর অপপ্রচার থেকে দূরে রাখুন। আমিন।

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভাল্লাগছে। ++

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০১

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

বীর মুজাহিদ বলেছেন: এপ্রিল ফুল : আপনার চোখের সামনে আপনার আপনজনকে পুড়িয়ে মারলে আপনি কি খুশি হবেন?

আমরা মুসলমান। আর মুসলমান কখনো পহেলা এপ্রিল বা ‘এপ্রিল ফুল’ পালন করতে পারে না। কারণ ১৪৯২ সালের পহেলা এপ্রিলে যালিম খ্রিস্টানরা নিরাপত্তার নামে স্পেনীয় মুসলমানগণকে পবিত্র মসজিদে ঢুকিয়ে তালাবদ্ধ করে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে নির্মমভাবে শহীদ করে। আর বাহির থেকে বর্বর প্রতারক, যালিম খ্রিস্টানরা উল্লাস করে, কৌতূক করে সমস্বরে ফুল! ফুল!! (বোকা! বোকা!!) বলে অট্টহাসি, আনন্দ উল্লাস আর চিৎকারে মেতে উঠে। অদ্যাবধি এটাই সেই এপ্রিল ফুল। নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ! নাঊযুবিল্লাহ!
এখন প্রশ্ন হলো- মুসলমান হয়ে যারা এপ্রিল ফুল পালন করে, আনন্দ উল্লাস করছে, তাদের চোখের সামনে যদি তাদের আপনজনকে (অর্থাৎ তাদের পিতা-মাতা, ভাই-বোন, সন্তানদেরকে) পুড়িয়ে নির্মমভাবে শহীদ করা হতো, তাহলে সেই দিনটি কি তারা আনন্দ উৎসবের দিন মনে করতো?

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০০

ইলুসন বলেছেন: ভাই আপনি পুরা লেখাটা পড়ে তারপর মন্তব্য করেন।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০১

বীর মুজাহিদ বলেছেন: পেট্রোলবোমার শুরু হয়েছে ১৪৯২ সালের ১লা এপ্রিলে।
এপ্রিল ফুলের ঘটনা থেকে মুসলমানগণ কী শিক্ষা নিবেন না?
বিশ্বায়ন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার সনদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা ইত্যাদির নামে এপ্রিল ফুলের মতোই অব্যাহত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে কুচক্রী বিধর্মীরা।

সব প্রশংসা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত পবিত্র দুরূদ শরীফ ও পবিত্র সালাম মুবারক।
আজ ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পহেলা এপ্রিল। মুসলিম উম্মাহর জন্য যা ঐতিহাসিকভাবে অন্যতম শোকাবহ দিন।
প্রসঙ্গত, পেট্রোলবোমার ব্যবহার ও বীভৎসতা সম্পর্কে এদেশবাসী এ বছরই সম্যক অবগত হয়েছে। কিন্তু এ পেট্রোলের মাধ্যমে মুসলমানগণ উনাদেরকে পুড়ানোর প্রবর্তন করেছিল খ্রিস্টানরা ১৪৯২ সালের এদিনে, পাঁচশ তেইশ বছর আগে। এদিনে প্রতারক যালিম খ্রিস্টান রাজা ফার্ডিন্যান্ড বিশ্ব ইতিহাসের ঘৃণ্যতম প্রতারণার মাধ্যমে স্পেনের রাজধানীতে ৩০ লাখ মুসলমান নারী-পুরুষকে পেট্রোলের মাধ্যমে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছিল। নাঊযুবিল্লাহ!
ইতিহাস পাঠে জানা যায়, বিশ্বসভ্যতার তদানীন্তন কেন্দ্রস্থল মুসলিম শাসিত স্পেনকে পুনরায় নিজেদের দখলে নেয়ার অপপ্রয়াসে সন্ত্রাসবাদী যালিম খ্রিস্টানরা অত্যন্ত সন্তর্পণে রিকনকয়েস্টা অর্থাৎ পুনর্জয় বা পুনর্দখল আন্দোলন চালাতে থাকে। ক্রমান্বয়ে তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে, এমনকি তারা শাহী মহলেও বিরোধিতার ও বিদ্রোহের আগুন প্রজ্বলিত করতে সমর্থ হয়।
১৪৬৯ সালে এরাগন রাজা ফার্ডিন্যান্ড সে পর্তুগীজ রানী ইসাবেলাকে বিবাহ করে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল যৌথ খ্রিস্টান শক্তির মাধ্যমে স্পেন দখল করে মুসলমানগণ উনাদের নিকট থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়া। তাই বিয়ের পর থেকেই উভয় রাজা-রানী যৌথ সৈন্যবাহিনী গঠন করে, মুসলমানগণ উনাদের নিকট থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকে। অবশেষে তারা মুসলমানগণ উনাদের অসতর্কতার সুযোগে স্পেনের রাজধানী গ্রানাডায় অতর্কিত হামলা চালায় এবং শহীদ করতে থাকে নিরীহ মুসলমানগণ উনাদেরকে। সন্ত্রাসবাদী যালিম খ্রিস্টান সৈন্যরা অবরোধ করে রাখে মুসলিম জনপথগুলো। কিংকর্তব্যবিমূঢ় মুসলমানগণ উনারা চতুর্দিকে ছুটাছুটি করতে থাকে। বাঁচার মরণপণ চেষ্টা চালায়। মুসলমানগণ উনাদের মহাবিপর্যয় পর্যবেক্ষণ করে ধূর্ত যালিম প্রতারক রাজা ফার্ডিন্যান্ড। সে মুসলমানগণ উনাদের উদ্দেশ্যে প্রতারণামূলক ঘোষণা দেয় যে- যেসব মুসলমান অস্ত্র সমর্পণপূর্বক গ্রানাডার মসজিদসমূহে আশ্রয় নিবেন উনাদেরকে পূর্ণ নিরাপত্তা দেয়া হবে এবং যাঁরা সমুদ্রের জাহাজসমূহে আশ্রয় নিবেন উনাদেরকে অন্যান্য মুসলিম দেশে পৌঁছে দেয়া হবে। অসহায় নিরস্ত্র মুসলমানগণ উনারা সরলমনে প্রতারক খ্রিস্টানদের কথা বিশ্বাস করে আশ্রয় নেন বিভিন্ন মসজিদ ও জাহাজসমূহে। ফলে হিংস্র নরপিশাচ ফার্ডিন্যান্ডের উদ্দেশ্য সফল হলো। সন্ত্রাসবাদী যালিম খ্রিস্টান সৈন্যরা মসজিদসমূহ তালাবদ্ধ করে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় ও মুসলমানগণ উনাদের আশ্রিত জাহাজগুলো গভীর সমুদ্রে ডুবিয়ে মুসলমানগণ উনাদেরকে করুণভাবে শহীদ করে। নাঊযুবিল্লাহ! এ বর্বর ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ মুসলমান শাহাদাতবরণ করেন। মুসলমানগণ উনাদেরকে করুণভাবে প্রতারিত হতে দেখে মহাপ্রতারক রাজা ফার্ডিন্যান্ড উল্লাসচিত্তে স্বীয় স্ত্রী ইসাবেলাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে- “হায় মুসলিম! তোমরা এত বোকা।” সে মুসলমানগণ উনাদেরকে প্রতারণার মাধ্যমে শহীদ করার ঘটনা ঘটিয়ে এর নাম দিলো: ‘এপ্রিল ফুল’; অর্থ- ‘এপ্রিলের বোকা’। নাঊযুবিল্লাহ!
কিন্তু গভীর পরিতাপের বিষয়, এক শ্রেণীর অজ্ঞ মুসলমান নিজস্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে অন্ধভাবে পালন করে যাচ্ছে ‘এপ্রিল ফুল’ (তথা এপ্রিলের বোকা দিবস)। নাঊযুবিল্লাহ!
বলার অপেক্ষা রাখে না, খ্রিস্টানসহ সব বিধর্মীই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিস্তারে মুসলমানগণ উনাদের প্রতি জন্মলগ্ন এবং স্বভাবগতভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ।
এটা যেমন অতীতে ছিল, তেমনি আজকেও বিদ্যমান। এটা যেমন স্পেনের ক্ষেত্রে, তেমনি আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া সবার ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে গণতন্ত্র, মানবতাবাদ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদ, ধর্মনিরপেক্ষতা সবই মহাভুয়া, মহাধোঁকা।
‘বিশ্বসভ্যতার সহযাত্রী’ অথবা ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক’ সবই এখানে মিথ্যা, ছলনা, প্রতারণা, প্রবঞ্চনা ও শঠতার সবকিছু। বরং এরও ঊর্ধ্বে। বরং আজকের বিশ্বায়ন, বিশ্বপল্লী, বৈশ্বিক চেতনা- এসবই এপ্রিল ফুলের আদলে একইভাবে মুসলিম চেতনা দূরীভূত করার মহা-ছলনা। নাঊযুবিল্লাহ!
বিশেষভাবে স্মর্তব্য যে, ১৪৯২ ঈসায়ী সনের পহেলা এপ্রিলে সন্ত্রাসবাদী যালিম খ্রিস্টানরা যে ঘৃণ্য, বর্বর ঘটনা ঘটিয়েছিল; সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি তারা বারবার ঘটাতে চায়। তাই তো ১৯৯৩ ঈসায়ী সালের পহেলা এপ্রিলে ‘গ্রানাডা ট্রাজেডী’র ৫০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্পেনে এক বিশাল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘হলি মেরি ফান্ড’ গঠন করেছে সন্ত্রাসবাদী মহাযালিম প্রতারক খ্রিস্টানরা। লেখাবাহুল্য, সন্ত্রাসবাদী মহাযালিম প্রতারক খ্রিস্টানরা আবারো বিশ্বের যেসব দেশে মুসলিমগণ উনাদের আধিপত্য আছে, সেসব দেশকে করায়ত্ত করতে চায়। নাঊযুবিল্লাহ! এবং যেসব দেশে অপেক্ষাকৃত কম মুসলমান আছেন তাদেরকে এখনো অব্যাহত কঠিন নির্যাতন করছে এবং শহীদ করছে। নাঊযুবিল্লাহ! মহাযালিম খ্রিস্টানদের মিশনের সে ধারাবাহিকতায় খ্রিস্টানরা ও ইহুদীরা এক হয়ে ঠুনকো অজুহাতে আফগানিস্তান, ইরাক, ফিলিস্তিন, মিশর, লিবিয়া, সিরিয়া, পাকিস্তানসহ অনেকগুলো মুসলিম দেশকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে, দিচ্ছে এবং মুসলমানগণ উনাদেরকে তাদের তাঁবেদারীর গোলামে পরিণত করতে চাইছে। নাঊযুবিল্লাহ!
সঙ্গতকারণেই মহাযালিম খ্রিস্টানদের সব ষড়যন্ত্রের বিপরীতে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ এবং রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের উচিত- অবিলম্বে গোটা বিশ্বে খ্রিস্টানসহ সব যালিম বিধর্মীদের কুটষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সক্রিয় হওয়া ও শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তাদেরকে মহাশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা এবং প্রতিহত ও পর্যুদস্ত করার কঠিন প্রয়াস নেয়া। ইনশাআল্লাহ!
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। এই অনুভূতি ও প্রজ্ঞা আসে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন উনার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারকেই কেবলমাত্র সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। আর ইতিহাসে তিনিই সর্বপ্রথম দিচ্ছেন অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মহামহিম নিয়ামত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

বীর মুজাহিদ বলেছেন:
‘এপ্রিল ফুল’ হচ্ছে ঐ দিবস, যে দিবসে লক্ষ লক্ষ মুসলমান উনাদেরকে ধোঁকা দিয়ে নির্মমভাবে শহীদ করা হয়েছে। আর এই ‘এপ্রিল ফুল’ পালন করা মুসলমান উনাদের জন্য হারাম ও কুফরী। কেননা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মত নয়।”
মুসলমান উনারা আজ ইলম চর্চা হতে অনেক দূরে। মুসলমান উনারা নিজেদের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে বড়ই বেখবর। আজ মুসলমানরা নিজেদের স্বর্ণযুগ, সারা বিশ্বব্যাপী তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানে অভূতপূর্ব উন্নতি ইত্যাদি সম্পর্কে কিছুই জানে না। নাউযুবিল্লাহ! আবার অপরদিকে ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে কাফির-বিধর্মীরা যে মুসলমান উনাদের উপর কত মর্মান্তিক যুলুম করেছে, উনাদেরকে কত নির্মমভাবে শহীদ করেছে সে খবরও মুসলমান রাখে না। নাউযুবিল্লাহ!
পহেলা এপ্রিলে এমনি এক নির্মম কাহিনী রয়েছে, যাতে লাখ-লাখ মুসলমান উনাদের নির্মমভাবে শাহাদাতবরণের ঘটনা ঘটেছে।
ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি, স্পেনে মুসলিম শাসনের অবসানের পর প্রতারক রাজা ফার্ডিনান্ড মসজিদগুলোকে নিরাপদ ঘোষণা করে। সে আরো ঘোষণা দেয় যে, যারা মসজিদে থাকবে, তাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। তখন অসংখ্য স্পেনীয় মুসলমান সরল বিশ্বাসে মসজিদগুলোতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। ঠিক সেই সময় যালিম খ্রিস্টানরা মসজিদগুলোকে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে মুসলমান উনাদেরকে পুড়িয়ে ভস্ম করে দেয়। আর বাইরে থেকে উল্লাসভরে কৌতুক করে সমস্বরে Fool! Fool!! (বোকা! বোকা!!) বলে অট্টহাসি আর চিৎকারে মেতে উঠে। (নাঊযুবিল্লাহ!)
দিনটি ছিলো ০১ এপ্রিল, ১৪৯২ ঈসায়ী সন। অদ্যাবধি প্রতারক খ্রিস্টানরা দিনটিকে তাদের সেই শঠতার স্মরণে ধোঁকা বা প্রতারণার দিবস ‘এপ্রিল ফুল’ হিসেবে পালন করে আসছে। এটিই হচ্ছে পহেলা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুলের হৃদয়বিদারক ইতিহাস।
এ দিনটি যালিম খ্রিস্টানদের জন্য পালনীয় হলেও মুসলমান উনাদের জন্য তা ভাষাহীন বেদনাদায়ক। কেননা, বর্বর, অসভ্য, যালিম খ্রিস্টানদের প্রতারণার ফলে মুসলমান উনাদেরই হাতে গড়ে উঠা একটি সভ্যতা লাখ-লাখ মুসলমান উনাদেরই তাজা খুনের স্রোতে ভেসে যায়। কাজেই প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলার দায়িত্ব-কর্তব্য হলো, এ দিনের ইতিহাস থেকে কাফিরদের ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব সম্পর্কে শিক্ষা নেয়া।
কেননা, ইহুদী-নাছারা-মুশরিক এরা হচ্ছে মুসলমান উনাদের চরম শত্রু। আর এ কারণেই তারা সবসময়, সর্বাবস্থায় মুসলমান উনাদের জান-মাল এবং ঈমান উনার ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করে। সুতরাং মুসলমান উনাদের জন্য করণীয় হচ্ছে, সমস্ত কাফিরদের থেকে দূরে থাকা এবং তাদেরকে অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকা। আর যদি তা করা না হয়, তাহলে মুসলমান কখনোই উম্মত হিসেবে থাকতে পারবে না।
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন সমস্ত মুসলমান উনাদেরকে মহান মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উসীলায় হিফাযত করেন। আমীন!

৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: ধন্যবাদ সত্য জানানোর জন্য।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

এনামুল রেজা বলেছেন: লেখকের নোট পড়লাম। তিনি কোথাও দাবি করেননি তার কথাটাই সত্য। এমন কোন রেফারেন্সও তার লেখায় পেলাম না, সেটায় বোঝা যায় ঘটনাটা মিথ্যা। উনি জাস্ট বলে গেছেন। এর ফলে বিভ্রান্তি বাড়ে, কমে কিভাবে?

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি লেখার সেই অংশটুকু কোট করছি।

"যাই হোক, এবার আসা যাক, আগের থিওরির ইতিহাস বিশ্লেষণে। "১৪৯২ খ্রীষ্টাব্দের ১লা এপ্রিল " এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হয় এ কাহিনীতে। সমস্যা হল, এ অসাধারণ হৃদয়বিদারক "ঐতিহাসিক" কাহিনীর কোনই উল্লেখ নেই ইতিহাসের পাতায়, এটাই সন্দেহ জাগায়। বরং, অন্য তথ্য আছে।

১ এপ্রিলের কোন কাহিনী নেই ইতিহাসে। ইসাবেলা কি ১ এপ্রিল গ্রানাডা দখল করেন মসজিদ পুড়িয়ে? ৭ লাখ মুসলিম মেরে?
না।
থিওরি ৭ এর কাহিনীর ৫৮ দিন আগেই ইসাবেলা গ্রানাডার দখল পেয়ে যান!! ২ জানুয়ারি। মোটেও সেটা, ১ এপ্রিল না।

A history of Medieval Spain বই থেকে কোট করলে, "১৪৯২ সালের ২ জানুয়ারি ইসাবেলা আর ফারদিনান্ড গ্রানাডায় প্রবেশ করেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সেদিন গ্রানাডার শাসক দ্বাদশ মুহাম্মাদের কাছ থেকে গ্রানাডার চাবি নেন।"

কোন মসজিদ পুরানোর ঘটনা আর স্পেসিফিক সেই গণহত্যার কাহিনী নেই। কোন ১ এপ্রিল নেই।"


ঐ ৮টা থিওরির যেটাই সত্য হোক কিছু আসে যায় না। মুসলমান হিসেবে কাউকে ধোঁকা দেয়া, মিথ্যা বলা ঠিক না (মজা করে হলেও না)। তাই আমরা এপ্রিল ফুল পালন করব না। কিন্তু এটাকে রঙ মাখিয়ে প্রচারের কোন সুযোগ নেই।

৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: কিন্তু আসলে কী হয়েছিলো সেটা মনে হয় এখনও অমিমাংসিত, তাই না?

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি লেখার সেই অংশটুকু কোট করছি।

"যাই হোক, এবার আসা যাক, আগের থিওরির ইতিহাস বিশ্লেষণে। "১৪৯২ খ্রীষ্টাব্দের ১লা এপ্রিল " এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হয় এ কাহিনীতে। সমস্যা হল, এ অসাধারণ হৃদয়বিদারক "ঐতিহাসিক" কাহিনীর কোনই উল্লেখ নেই ইতিহাসের পাতায়, এটাই সন্দেহ জাগায়। বরং, অন্য তথ্য আছে।

১ এপ্রিলের কোন কাহিনী নেই ইতিহাসে। ইসাবেলা কি ১ এপ্রিল গ্রানাডা দখল করেন মসজিদ পুড়িয়ে? ৭ লাখ মুসলিম মেরে?
না।
থিওরি ৭ এর কাহিনীর ৫৮ দিন আগেই ইসাবেলা গ্রানাডার দখল পেয়ে যান!! ২ জানুয়ারি। মোটেও সেটা, ১ এপ্রিল না।

A history of Medieval Spain বই থেকে কোট করলে, "১৪৯২ সালের ২ জানুয়ারি ইসাবেলা আর ফারদিনান্ড গ্রানাডায় প্রবেশ করেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সেদিন গ্রানাডার শাসক দ্বাদশ মুহাম্মাদের কাছ থেকে গ্রানাডার চাবি নেন।"

কোন মসজিদ পুরানোর ঘটনা আর স্পেসিফিক সেই গণহত্যার কাহিনী নেই। কোন ১ এপ্রিল নেই।"


ঐ ৮টা থিওরির যেটাই সত্য হোক কিছু আসে যায় না। মুসলমান হিসেবে কাউকে ধোঁকা দেয়া, মিথ্যা বলা ঠিক না (মজা করে হলেও না)। তাই আমরা এপ্রিল ফুল পালন করব না। কিন্তু এটাকে রঙ মাখিয়ে প্রচারের কোন সুযোগ নেই।

৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

আবু জাকারিয়া বলেছেন: আপনার থিওরীগুলো সবগুলোই পড়লাম। সবগুলো থিওরীই নড়বড়ে, ৭ নাম্বার থিওরীটা তুলনামূলকভাবে বেশি সত্য মনে হয়। আমরা জানিনা আসলে কি ঘটেছিল। কারন আমরা নিজের চোঁখে দেখিনি। জানার ভিত্তি ইতিহাস। ইতিহাস সব সময় সত্য হয় না। তবে এত প্রমানের দিকে ঝুকলে অনেক ভাল ভাল ঘটনাকে সন্দেহের চোঁখে দেখতে হবে। তখন আর কোন ঘটনাকে বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে না। যেমন নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে গিয়েছিল যতটা সত্য প্রমান করা যায়, তার চেয়ে বেশি মিথ্যা প্রমান করা যায়। সুতারাং আমরা এখনও নিশ্চিত নই যে নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে গিয়েছিল কিনা।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৬

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

সবগুলো নড়বড়ে তেমনি ৭ নম্বরটাও নড়বড়ে। স্পেনে মুসলমানদের উপর অনেক অত্যাচার হয়েছিল কিন্তু ঐ ঘটনাটা সত্য এমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। কারণ স্পেন বিজয় হয়েছিল জানুয়ারির ২ তারিখে, এপ্রিলের ১ তারিখে না। আসল কথা হচ্ছে ৮টা থিওরির যেটাই সত্য হোক কিছু আসে যায় না। মুসলমান হিসেবে কাউকে ধোঁকা দেয়া, মিথ্যা বলা ঠিক না (মজা করে হলেও না)। তাই আমরা এপ্রিল ফুল পালন করব না। কিন্তু এটাকে রঙ মাখিয়ে প্রচারের কোন সুযোগ নেই।

৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

মুসান্না জাহাঙ্গীর বলেছেন: ১৯৭১ সাল খুব বেশী দূরে নয়, তারপরও কেউ যখন নতুন কোন বই লেখে বলা হয় ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। আসলে সত্য ঘটনাই তুলে ধরা হয়েছিল, যা ইতিহাসে ছিলনা। সুতরাং আপনি যেখান থেকে যুক্তি দিচ্ছেন, মুসলমানদের হত্যা করার ঘটনা ইতিহাসের কোথাও খুজে পাওয়া যায়না। সেটা ইচ্ছে করেই হয়তো লেখা হয়নি। আর ঘটনা যা রটে তার কিছুটা হলেও ঘটে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১১

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

"আর ঘটনা যা রটে তার কিছুটা হলেও ঘটে।"

অবশ্যই তখন মুসলমানদের উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। ১৪৯৬ সালে ইসাবেলার সম্মতিতে আর্চবিশপ তালাভ্যারা আলহামরা ডিক্রি জারি করে। এই ডিক্রি অনুসারে স্পেনের ইহুদী ও মুসলিমদের হয় ক্যাথলিক ক্রিশ্চান ধর্মগ্রহণ নয়তো দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। ১৫০২ সালে ইসাবেলা ইহুদী-মুসলিম ও অন্যান্য ক্রিশ্চানদের বাধ্যতামূলক ক্যাথলিক ক্রিশ্চান ধর্মে ধর্মান্তরিত হবার অথবা, দেশত্যাগের আদেশ দিয়ে সরকারী ফরমান জারি করে।
গ্রানাডার পতনের পর প্রায় এক লক্ষ মুসলমান মারা যায়, চার লক্ষ মুসলমান দেশত্যাগে বাধ্য হয় ও তিন লক্ষ মুসলমান ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়। ইহুদীদের ইতিহাস তো আরো করুণ। দুই লক্ষ মারা যায়, এক লক্ষ ইহুদী ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়, এক লক্ষ ইহুদী দেশত্যাগ করে।


আসল কথা হচ্ছে ৮টা থিওরির যেটাই সত্য হোক কিছু আসে যায় না। মুসলমান হিসেবে কাউকে ধোঁকা দেয়া, মিথ্যা বলা ঠিক না (মজা করে হলেও না)। তাই আমরা এপ্রিল ফুল পালন করব না। কিন্তু এটাকে রঙ মাখিয়ে প্রচারের কোন সুযোগ নেই।

১০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৭

রামন বলেছেন:

স্পেনে সর্বপ্রথম নৃশংস গণহত্যা বর্বর নেতা তারেক বিন জায়েদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল, যা কখনই ইসলামের ইতিহাসে ঠাই পায় নাই। ৭১১ সালে স্পেন বিজয়ী তারেক একের পর এক শহর দখল করার পর সারাগোসা শহরে এসে ভিসিগথ রাজার দুর্বল সেনাবাহিনী দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হন। এক প্রকার বিনাযুদ্ধে জয়লাভ করার পর সারাগোসায় বাধা পেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং শহরের এক অংশ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেন৷ বসবাসকারীরা আত্মসমর্পণ না করায় শিশু ও মেয়েদেরকে নির্বিচারে হত্যা করেন। পুরুষদের ক্রুশ বিদ্ধ করা হয় এবং মেয়েদের সেবা দাসী বানানো হয়। সে সময় যারা মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হবার অঙ্গীকার করেছিল কেবল তারাই প্রাণ ভিক্ষা পেয়েছিল।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৩

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আসলে যুদ্ধ সব সময়ই ভয়ঙ্কর। সাধারণ মানুষ যুদ্ধ চায় না কিন্তু যুদ্ধে ক্ষতি তাদেরই বেশি হয়।

১১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

এ.আর দিপু হাসান বলেছেন: ৯০ % এ মিথ্যা তথ্য

১২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

এ.আর দিপু হাসান বলেছেন: ইনি হচ্ছেন খ্রিস্টানদের দালাল

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

ইলুসন বলেছেন: আপনি তাকে চিনেন? যদি সে খাঁটি মুসলমান হয়ে থাকে আর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে থাকে, তাহলে তাকে গালমন্দ করার জন্য আপনাকে কি স্রষ্টার কাছে জবাব দিতে হবে না? নাকি আপনি ভাবেন আপনি একাই বেহেশতে যাবেন, বাকি সবাই দোজগে যাবে! যাইহোক, ভদ্রতা শিখুন আর সহনশীলভাবে যুক্তি দিয়ে কথা বলুন। এগুলো অনেক বড় গুণ। সাধারণত মানুষ পরিবার থেকেই এসব শিখে আসে।

যা বলছিলাম, এই লেখায় উনি কোথায় এই কথা বলেননি যে মুসলমানদের উপর অত্যাচার করা হয়নি, আর আপনি তাকে খ্রিস্টানদের দালাল উপাধি দিয়ে দিলেন।

"১৪৯৬ সালে ইসাবেলার সম্মতিতে আর্চবিশপ তালাভ্যারা আলহামরা ডিক্রি জারি করে। এই ডিক্রি অনুসারে স্পেনের ইহুদী ও মুসলিমদের হয় ক্যাথলিক ক্রিশ্চান ধর্মগ্রহণ নয়তো দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। ১৫০২ সালে ইসাবেলা ইহুদী-মুসলিম ও অন্যান্য ক্রিশ্চানদের বাধ্যতামূলক ক্যাথলিক ক্রিশ্চান ধর্মে ধর্মান্তরিত হবার অথবা, দেশত্যাগের আদেশ দিয়ে সরকারী ফরমান জারি করে।
গ্রানাডার পতনের পর প্রায় এক লক্ষ মুসলমান মারা যায়, চার লক্ষ মুসলমান দেশত্যাগে বাধ্য হয় ও তিন লক্ষ মুসলমান ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়। ইহুদীদের ইতিহাস তো আরো করুণ। দুই লক্ষ মারা যায়, এক লক্ষ ইহুদী ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়, এক লক্ষ ইহুদী দেশত্যাগ করে।"

১৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০০

মুসলিম মাহমুদ বলেছেন: ইতিহাস তো এক কলমে এক ভাষায় রচিত হয়নি
তারেক বিন যিয়াদ যা করেছিল সে ইতিহাসের পাতায় এখন বিদ্যমান
তাকে নিয়ে নতুন করে বানিয়ে কিছু না বলায় ভাল।
১৪ ই এপ্রিল তারিখে যে নির্যাতন মুসলিম দের চালানো হয়েছিল
প্রায় ৮০ হাজার মুসলমান কে নিরাপত্তার কথা বলে মসজিদে একত্র করে আগুনে পুড়ে মারা হয়ে ছিল।
সেই তারিখ হচ্ছে ১৪ ই এপ্রিল
এখানে আলাদা রং মাখানোর প্রশ্নই উঠেনা

০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩০

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার কথামত সেই তারিখ যদি এপ্রিলের ১৪ তারিখ হয়ে থাকে তাহলে এপ্রিলের ১ তারিখ এপ্রিল ফুল পালনের সাথে এটার কোন সম্পর্ক নেই। এই লেখায় কোথাও বলা হয়নি যে মুসলমানদের উপর অত্যাচার করা হয় নি। নিচের লেখাগুলো পড়লে আশা করি বুঝতে পারবেন।

"১৪৯৬ সালে ইসাবেলার সম্মতিতে আর্চবিশপ তালাভ্যারা আলহামরা ডিক্রি জারি করে। এই ডিক্রি অনুসারে স্পেনের ইহুদী ও মুসলিমদের হয় ক্যাথলিক ক্রিশ্চান ধর্মগ্রহণ নয়তো দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। ১৫০২ সালে ইসাবেলা ইহুদী-মুসলিম ও অন্যান্য ক্রিশ্চানদের বাধ্যতামূলক ক্যাথলিক ক্রিশ্চান ধর্মে ধর্মান্তরিত হবার অথবা, দেশত্যাগের আদেশ দিয়ে সরকারী ফরমান জারি করে।
গ্রানাডার পতনের পর প্রায় এক লক্ষ মুসলমান মারা যায়, চার লক্ষ মুসলমান দেশত্যাগে বাধ্য হয় ও তিন লক্ষ মুসলমান ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়। ইহুদীদের ইতিহাস তো আরো করুণ। দুই লক্ষ মারা যায়, এক লক্ষ ইহুদী ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য হয়, এক লক্ষ ইহুদী দেশত্যাগ করে।"

১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫২

এ.আর দিপু হাসান বলেছেন: ফেতনাবাজ দের নামাজ আল্লাহ কবুল করেন না

১৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৩

নতুন বলেছেন: আরেকটা কথা ....

april fools এই শব্দগুলি ইংরেজী...

স্প‌েনের ভাষা স্প‌্যানিস.... তারা কেন একটা ঘটনা ইংরেজীতে পালন করবে??

স্প‌্যানিস ভাষা april fools এই শব্দগুলি নেই... তাহলে কিভাবে তারা এই দিবশ পালন করে???

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

ওরা অন্য নামে ডাকে, যেটা পরে বিবর্তিত হয়ে ইংরেজিতে April Fish/ April Fool হয়ে গেছে। স্প্যানিসরা নিজেরাই এপ্রিলের ১ তারিখ এপ্রিল ফুল পালন করে না। গুগলে সার্চ দেন অনেক তথ্য পাবেন।

১৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: ফুল (Fool) একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ বোকা। ইংরেজি এপ্রিল ফুলের অর্থ এপ্রিলের বোকা। স্পেনের তৎকালীন খ্রিস্টানরা মুসলিমদের বোকা বানিয়েছে বলেই নামটি এ রকম। এপ্রিল ফুল সম্পর্কে কয়েকটি বর্ণনা পাওয়া যায়। পক্ষে-বিপক্ষে নানা কথার প্রচলন থাকলেও সত্যকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না।

মুসলিমপিডিয়া, জুইস এনসাইক্লোপিডিয়া ও অন্যান্য এনসাইক্লোপিডিয়া ও ইতিহাস গ্রন্থের বরাতে ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া সম্পাদিত ‘পহেলা এপ্রিল’ প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, স্পেনের অত্যাচারিত মানুষদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুসলিম বাহিনী ৯২ হিজরি মুতাবেক ৭১১ খ্রি. স্পেনে প্রবেশ করে। মুসলিমগণই ইউরোপের মানুষদের জ্ঞানবিজ্ঞান শিক্ষা দেন। মুসলিম স্পেনের গ্রানাডা, কর্ডোভা ও অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসত। ৭১১-১৪৯২ খ্রি. পর্যন্ত প্রায় আটশ বছর স্পেন, ফ্রান্স ও পর্তুগাল মুসলমানরা শাসন করেছিল। এটি ছিল মুসলমানদের জন্য স্বর্ণযুগ। শেষ দিকে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছড়িয়ে পড়ে। মুসলিমরা কুরআন-সুন্নাহ ভুলে গিয়ে দুনিয়ার মায়ায় মত্ত হয়ে নেতার নির্দেশ অমান্য করায় পারস্পরিক শত্রুতা বেড়ে গেল। তখনই তারা স্পেন ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। ফলে খ্রিস্টানরা ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন অঞ্চল মুসলিমদের থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়।

আজ থেকে ৫২২ বছর আগে মুসলিম অধ্যুষিত ৮৯৮ হিজরি মোতাবেক ১৪৯৩ খ্রি. রাজা ফার্দিনান্ড ও রানী ঈসাবেলার যৌথ উদ্যোগে মুসলিমদের শেষ রাজধানী গ্রানাডা দখল করতে সক্ষম হয়। জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য, চিকিৎসা, রাজনীতি, স্থাপত্য, শিল্প ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দেখে মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য রাজা ফার্দিনান্ড এক ভয়ঙ্কর ফন্দি আঁটলো। মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু হলো। মুসলমানরা রাজা-রানীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন। এমতাবস্থায় ফার্দিনান্ড ঘোষণা করেছিল, যারা মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেবে তাদের নিরাপদে আশ্রয় দেওয়া হবে। তার ঘোষণায় চল্লিশ হাজার মুসলমান আত্মবিশ্বাসী হয়ে গ্রানাডার বিভিন্ন মসজিদে আশ্রয় নিলেও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। মসজিদের দরজাগুলো বাহির থেকে বন্ধ করে দিয়ে মসজিদের মেঝেতে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে মুসলিমদের হত্যা করেছিল রাজা ফার্দিনান্ড। ঐতিহাসিক এক বর্ণনা মতে তিন দিন পর্যন্ত হত্যাকা-ের উৎসব চলেছিল। মসজিদের বাহিরেও অসংখ্য মুসলিমকে আগুনে পুড়িয়ে, পাহাড় থেকে ফেলে, সমুদ্রের মধ্যে জাহাজ ডুবিয়ে ও গণজবাই করে হত্যা করা হয়। অনেককে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়। অথচ মুসলমানরা এ রকম একটি অবস্থার জন্য প্রস্তুত না থাকায় তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেদিন খ্রিস্টানগুরুর আদেশে জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল সূত্র লক্ষ লক্ষ আরবি পুস্তক পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। শুধু মুসলিমগণ নয়, ইয়াহুদীদের উপরও খ্রিস্টানগণ একই রূপ অত্যাচার করে। এ সময়ে রাজা ফার্দিনান্ড উপহাস করে বলেছিল, হায় মুসলমান! তোমরা হলে এপ্রিলের বোকা। মুসলিমদের মিথ্যা আশ্বাসের মাধ্যমে বোকা বানানোর সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে এপ্রিল ফুল পালন করা হয়। অবশেষে খ্রিস্টানরা কর্ডোভার সেই ঐতিহাসিক মসজিদটিকে গীর্জায় পরিণত করেছে। মসজিদের ভেতরে দরজা ও জানালার ফাঁকে ফাঁকে মূর্তি স্থাপন করেছে। এভাবেই মুসলিম ঐতিহ্যকে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ঘটনা ছাড়া আরো দুটি ঘটনার কথা উইকিপিডিয়াতে উল্লেখ থাকলেও বর্ণিত ঘটনাটিই সবচেয়ে বেশি প্রসিদ্ধ বলে ঐতিহাসিকরা মত প্রকাশ করেছেন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

মুসলমানদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে, অনেক নিরীহ শিশু, মহীলাসহ লক্ষাধিক মুসলমান হত্যা করা হয়েছে, এটা কেউই অস্বীকার করছে না। সেটার সাথে এপ্রিল-ফুলের কী সম্পর্ক? কথা হচ্ছে এপ্রিল-ফুল তারও অনেক আগে থেকে পালন করা হয় বিভিন্ন দেশে। তারা কেন পালন করত? তারা কি এত আগে থেকেই জানত যে মুসলমানদের হত্যা করা হবে ওইদিন? মজার ব্যাপার হচ্ছে স্পেনে এপ্রিলের ১ তারিখ কোন এপ্রিল ফুল ডে পালন করা হয় না। তারা ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ এপ্রিল-ফুলের মত একটি দিন পালন করে, সেটার নাম del inocente। আর স্পেনের শেষ মুসলিম শাসক আবু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ XII (স্প্যানিশ নাম 'বোয়াব্দিল') রাণী ইসাবেলা-ফার্ডিনান্ডের কাছে আত্মসমর্পন করেন ১৪৯২ সালের ২ জানুয়ারি। সেটা ১ এপ্রিল ছিল না।

১৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮

জনাব মাহাবুব বলেছেন: যাক মুসলিম গণহত্যা দিবসকে বিতর্কিত করে সবার দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরানোর প্রয়াসে আপনি কিছুটা সফল হয়েছেন। |-)

দুর্বল যুক্তি দিয়ে কি সেই কালো দিবসটিকে সাদা করতে পারবেন?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৩২

ইলুসন বলেছেন: প্রথমত, এই লেখা আমার না। ঠিকমত পড়লে সেটা আপনার নজরে আসত। দ্বিতীয়ত, এই লেখায় কোথাও বলা হয়নি যে মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালানো হয়নি। মুসলমানদের উপর গণহত্যা চালানো হয়েছে সেটা এই লেখায় ভাল ভাবেই উপস্থিত। এখানে বলা হয়েছে স্পেনে যে মুসলিম গণহত্যা চালানো হয়েছিল সেটার সাথে এপ্রিল ফুলের কোন সম্পর্ক নেই। আর সর্বশেষে, এই লেখায় কেউ এপ্রিল-ফুল নামক দিবসকে সাদা করতে চায়নি। বরং শেষে বলাই আছে একজন মুসলমান হিসেবে এপ্রিল-ফুল আমাদের পালন করা উচিত নয়। |-)

১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১৬

বিবেক বিবাগী বলেছেন: আমার মামা স্পেনে থাকেন। ওনাকে জিজ্ঞাসা করছিলাম, স্পেনিশরা কি জানে? মামা বললেন, তারাও এই মুসলিম হত্যার বিষয়টা জানে, ১ এপ্রিলে মুসলিমদের বোকা বানানোর বিষয়টা স্পেনিশ জনসমাজেও প্রচলিত। কে জানে, হয়তো মিথ্যে ইতিহাস ছড়িয়ে গেছে, তবে ব্যাপারটা একেবারে বেইজলেস নাও হতে পারে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০০

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক্ষণ পর কাউকে পাওয়া গেল যে যুক্তি দিয়ে সত্য মিথ্যা যাচাই করতে চায়।

এই থিওরিতে সবচেয়ে সন্দেহজনক ব্যাপারটা হচ্ছে তারা বলে একদিনে ৭ লক্ষ মুসলমানকে মসজিদে ঢুকিয়ে আগুন দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৭ লক্ষ কিন্তু অনেক বড় একটা সংখ্যা। সেই সময় স্পেনে কয়টা মসজিদ ছিল যে ৭ লক্ষ মানুষ জায়গা হয়ে গেল আর তাদের একদিনে একসাথে হত্যা করা গেল! উদাহরণ হিসেবে বলতে চাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমা নাগাসাকিতে পারমানবিক বোমা হামলাতে তাৎক্ষনিক ৮০,০০০ এর মত মানুষ মারা যায়। আর সর্বোমোট প্রায় দেঢ় লক্ষ মানুষ মারা যায়। সারাজীবনের মত পঙ্গু হয় অনেকে।

যাইহোক, স্পেনে কি এপ্রিলের ১ তারিখ এপ্রিল-ফুল পালন করে মুসলমান হত্যা উদযাপন করতে? এটা একটু মামাকে জিজ্ঞেস করবেন। কারণ এপ্রিল-ফুল অনেক আগে থেকে পালন করা হয়। স্পেনের বাইরেই এটার বেশি প্রচলন। এমনও হতে পারে আগে থেকেই প্র্যাকটিক্যাল প্র্যাঙ্ক/ এপ্রিল-ফুলের মত কিছু প্রচলিত ছিল। মুসলমানদের বোকা বানিয়ে খ্রিস্টানরা তখন সেটার বাস্তব প্রয়োগ দেখিয়েছে। যুগে যুগে ধর্মান্ধদের হানাহানি তো নতুন কিছু নয়। কিন্তু যেহেতু এটা শিওর না তাই এটা প্রচার করার আগে আমাদের ভাবতে হবে। কারণ, মিথ্যা কথা প্রচার করার অনুমোদন ইসলাম দেয় না।

আসল কথা হচ্ছে একজন মুসলমান হিসেবে যেহেতু আমাদের মিথ্যা বলা নিষেধ, তাই আমরা এপ্রিল-ফুল পালন করব না। সেই সাথে কোন কিছু নিশ্চিত না হয়ে প্রচার করব না।

১৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

রামন বলেছেন:
লেখক এখানে যা লিখেছেন সেটা তার নিজের উদ্ভাবিত কোন তথ্য নয় বা বিতর্ক সৃষ্টি করার জন্য অতিরঞ্জিত কিছুই লেখেননি৷ ইতিহাসের পাতায় যা লেখা আছে তারই অংশ বিশেষ তিনি উল্লেখ করেছেন।

এখানে বিতর্কের অবকাশ নেই যে, শর্ত ও চুক্তি মোতাবেক ১৪৯২ সালের ২ জানুয়ারী গ্রানাডা শহরের চাবি হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে রাজা ফেরনান্দ ও রানী ইসাবেলার খ্রিস্টান সেনাবাহিনী গ্রানাডা শহরে প্রবেশ করে৷ সেই চুক্তিপত্রে রাজা এবং রানী এই মর্মে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ ছিলেন যে, গ্রানাডার মসজিদ সহ মুসলিমদের সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংরক্ষণ করা হবে৷মরিস্করা ( মুর ) স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করতে পারবে এবং নিজস্ব ভাষা চর্চা , আচার ও সংস্কৃতি পালনে কোন বাধার সমুক্ষিন হবে না৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় চুক্তির ৭ বছর পর উগ্র ও কট্টরপন্থী ক্রিস্টান ধর্মযাজকের ষড়যন্ত্রের কারণে একের পর এক চুক্তি ভঙ্গ হতে শুরু করে। সে সময় কার্দেনালের এক প্রতিনিধির হত্যার দায়ভার অন্যায় ভাবে মুসলিমদের উপর চাপানো হয় এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত নমনীয় ও মধ্যপন্থী আর্চ বিশপ হেরনান্দ দে টালাভেরাকে ( ১৪২৮-১৫০৭) সরিয়ে উগ্রবাদী ও কট্টর পন্থী নেতা কার্দেনাল সিসনের ( ১৪৩৬-১৫১৮) তার পদে স্থলাভিষিক্ত হন। সিসনের পদে অসীন হয়েই কার্দেনালের প্রতিনিধির হত্যার অজুহাত তুলে মুসলিম এবং ইহুদিদের একযোগে বিতাড়িত করা শুরু করেন। বহিস্কার অভিযানের প্রাক্কালে হাজার হাজার মুসলিম নিহত হয়৷ তার আদেশে মসজিদকে গির্জায় পরিনত করা হয়৷ এরপর তিনি মুরদের সৃষ্টি মুসলিম সাহিত্য ও কবিতার বই, চিকিসা শাস্ত্র ও গণিতের বই সহ ধারণার অতীত মূল্যের ৫ হাজার পাঠ্যবই ও মুরদের অলংকার পুড়িয়ে দেন৷ অন্দালুশিয়ায় ১৫০২ সাল অবধি এই বহিস্কার অভিযান পরিচালিত হয় এবং পরবর্তিতে ভালেন্সিয়া , আরাগন এবং কাতালুনিয়ায় এই অভিযান শুরু হয় এবং ১৫২৬ সালে এই অভিযানের পরিসমাপ্তি ঘটে৷

অ.ট: বিবাগির মামা কখনই বলতে পারবে না যে, স্পেনে এপ্রিল ফুল নামে কোন উত্সব হয়৷ যা হয় না তা সে কিভাবে বলবে? আমি এই জন্য বলছি কারন আমি একজন স্পেনিশ নাগরিক এবং যা লিখেছি ইতিহাস পড়েই লিখেছি। ধন্যবাদ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

বেশিরভাগ মানুষের স্বভাব হচ্ছে তারা গায়ের জোরে তর্কে জিততে চায়। এই লেখায় কোথাও বলা হয় নি যে মুসলমানদের উপর অত্যাচার করা হয়নি বা গণহত্যা হয়নি বা সেই গণহত্যাকে সমর্থনও করা হয়নি। এই লেখায় শুধু এটাই বলা হয়েছে যে মুসলমানদের উপর চালানো অত্যাচার এবং গণহত্যার সাথে এপ্রিল-ফুলের সম্পর্ক নেই। তাতেই কয়েকজনের যে মারমুখি আচরণ দেখলাম তা অবাক করার মত।

২০| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

বিবেক বিবাগী বলেছেন: না, মামা বলছিলেন যে সবাইকে মসজিদগুলোতে আশ্রয় নিতে বলে, তারপর অবরূদ্ধ শহরে ঢুকে মসজিদগুলো জ্বালিয়ে দেয়, প্রায় পঞ্চাশ হাজারের মত লোক মারা যায়। তবে ১ এপ্রিল তারিখে এপ্রিল ফুল হয়তো আগে থেকেই পালন হয়ে আসতো, তারা যুদ্ধের সময় ওই ব্যাপারটা এপ্লিকেশন ঘটায়। আর ১ এপ্রিলকে ওভাবে মুসলিম নিধন দিবস স্পেনিশরা বলে না, বা এপ্রিল ফুল নামক উৎসবও ওভাবে পালন করা হয় না। হয়তো মামা মুসলিম কমিউনিটিতে থাকেন, সেখানে এই এপ্রিল ফুলের ব্যাপারটা বিভিন্ন ভাবে ছড়িয়ে গেছে।

কিন্তু মূল কথা একই, মিথ্যে বলে প্রতারণা করে "এপ্রিল ফুল" পালন করার কোন মানে হয় না, মুসলিমদের ওই দিনে মারুক বা নাই মারুক।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২১

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:০৬

আনাস মাহমুদ বলেছেন: !

২২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০১

আরজু পনি বলেছেন:

অনেকগুলো ঘটনা এসেছে।
সত্য মিথ্যার কাছে না যাই...তবে আমার কাছে যেহেতু প্রমান নেই তাই আপনার লেখার শেষের দিকের কথাগুলোই আমার পছন্দ হয়েছে বেশি।

আমি অন্তত এপ্রিল ফুল করে মিথ্যার চর্চা করবো না এবং আমার কাছের মানুষদেরকেও নিরুৎসাহিত করবো।

শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।


..........
দুইতিনদিন আগে আপনার পুরোনো একটা পোস্ট পড়ছিলাম, যাতে বিভিন্ন পোস্ট গিয়ে মন্তব্য করতে উৎসাহিত করে পোস্ট দিয়েছিলেন।

আর সেই পোস্ট থেকেই আরেকটা ভুল ভেঙ্গেছে যে আপনি ইলুশন না বরং ইলুসন।

শুভকামনা রইল।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৭

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.