নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ইলুসন! কোন লেখা শেয়ার করলে দয়া করে আমার আইডি উল্লেখপূর্বক শেয়ার করবেন।

ইলুসন

Sometimes people dont want to hear the truth because they dont want their illusions destroyed. Friedrich Nietzsche

ইলুসন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নববর্ষের অনুষ্ঠানে নারী নির্যাতনের ঘটনার দায় শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতাশীল দলের ছাত্রনেতাদের, আর কারো না!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

আমার লেখার শিরোনাম খুব আক্রমণাত্মক মনে হলেও এটাই সত্য। নিজের অবস্থাটা একবার চিন্তা করে দেখুন। ধরুন আপনার সামনে টিএসসিতে কয়েকটা ছেলে মিলে কাউকে মারছে। আপনি কী করবেন? তাদের বাধা দিতে যাবেন নাকি চিন্তা করবেন এরা ক্ষমতাশীল দলের কেউ হতে পারে, বাধা দিতে গেলে আপনার সমস্যা হবে? অভিজিৎ হত্যার সময় কিন্তু অনেকেই ছিল সেখানে, কেউ ভয়ে এগিয়ে যায়নি। কেন যায়নি তার একটা সহজ উত্তর আছে। সবাই ভেবেছে ক্ষমতাশীল দলের ওরা মারামারি করছে, সাহায্য করতে গিয়ে নিজের ক্ষতি করার মানে হয় না। এমনকি আমি যখন প্রথম শুনেছিলাম বইমেলার সামনে মারামারি হয়েছে এবং একজনকে মেডিকেলের ইমার্জেন্সিতে আনা হয়েছে, আমি নিজেও ভেবেছিলাম ক্ষমতাশীল দলের দুই গ্রুপ মারামারি করেছে!





এই অবস্থা একদিনে তৈরি হয়নি। গত বছর আইবিএর সাবেক শিক্ষার্থী, বর্তমানে কানাডার নাগরিক, তার বোন আর মামাকে নিয়ে শহীদুল্লাহ হলের পুকুরের কাছে বেড়াতে গিয়েছিল। সেখানে তাদের উপর কিছু শিক্ষার্থী হামলা করে। মেয়েদের গায়ের জামা ছিঁড়ে ফেলে। এটার প্রতিবাদ করে ফেসবুকে কিছু লিখতে গেলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা সাফাই গাইতে আসত। বলত, হল থেকে তাদের জিনিষপত্র চুরি যায়, অনেকে অসামাজিক কাজ করে পুকুরের সামনে! কানাডা থেকে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরি করতে গেছে বা পুকুরপাড়ে অসামাজিক কাজ করতে গেছে সেটা বিশ্বাস করতে বলবেন না। এখানেই যদি শেষ হত তাহলে কথা ছিল না। বিশেষ করে প্রথম বর্ষের ছেলেরা এত বেশি উগ্র হয়ে গেছে যে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ঠিক করার নাম করে টিএসসিতে কাপলদের হেনস্থা করতে পারে যখন তখন। মাঝে মাঝেই এসব নিয়ে দুই গ্রুপে মারামারি লেগে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামটার সাথেই এক ধরণের ক্ষমতা জড়িয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ড্রাইভার পর্যন্ত উলটা পথে বাস ঘুরিয়ে টান দিতে পারে নির্ভয়ে। কারো কোন সমস্যা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের ডাক দিয়ে পিটাবে এমন ভয় দেখাতে পারে। অবস্থা দেখে মনে হতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন আর মেধাবীরা পড়ে না, পড়ে এক ঝাঁক সন্ত্রাসী!





আমার অনেক বন্ধু-বান্ধবী, ছোট বড় ভাই-বোন, স্টুডেন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। আমি নিজেও হয়ত সরকারি মেডিকেলে চান্স না পেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই পড়তাম। ব্যক্তিগত কোন ক্ষোভ থেকে কথাগুলো লিখিনি। কিছুটা হতাশ হয়ে লিখেছি। আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতে নিজেকে খুব নিরাপদ মনে হত। মনে হত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের মাঝেই আলাদা এক বাংলাদেশ। প্রগতিশীলদের মিলনমেলা- দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ। আজকে যদি এই ঘটনা দেশে অন্য কোথাও ঘটত তাহলে এত খারাপ লাগত না। কিন্তু ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, পুলিশ এবং সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে। দলীয় লেজুড়বৃত্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে খাদের কিনারে নিয়ে গেছে। তবে এত হতাশার মাঝে একটাই ভাল দিক দেখলাম। ছাত্র ইউনিয়নের এক নেতা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেয়েদের উদ্ধার করতে চেয়েছে। তারা প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছে। অথচ ক্ষমতাশীল দল ছাত্রলীগের কোন কর্মসূচি ছিল না। কর্মসূচি দিলে যদি সরকার বিপাকে পড়ে যায়! লেজুড়বৃত্তি করা এই দল সব সময় অপেক্ষা করে কখন সরকারের হাই কমান্ড থেকে অনুমতি আসবে, তখন তারা কিছু করবে। এমনকি সাধারণ ছাত্ররা কোন ন্যায্য আন্দোলন করতে গেলে দলীয় নির্দেশে নেতারা তাদের থামিয়ে দেয়। এভাবেই ধ্বংস হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নামের স্বপ্নের ক্যাম্পাস। এখনই যদি সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা এটার লাগাম টেনে না ধরে তাহলে ভবিষ্যতে এমন আরো অনেক ঘটনা দেখতে হবে।



ফুটনোটঃ পোস্ট পড়ে অনেকের মনে হতে পারে আমি এই পোস্ট দিয়ে বুঝাতে চেয়েছি যে ছাত্রলীগই নারীদের লাঞ্ছিত করেছে। আসলে আমি এটা বুঝাইনি। কাজগুলো কারা করেছে আমি তা জানি না। আমি বুঝাতে চেয়েছি যে, সরকার দলীয় ছাত্ররা ক্যাম্পাসে সবার সামনে অনেক অন্যায় করে কিন্তু তাদের বাধা দেয়া যায় না। তাই ক্যাম্পাসে অন্য কেউ অন্যায় করলেও সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা সেটার বিরুদ্ধে কিছু করতে ভয় পায়। ধন্যবাদ। (এডিটেড)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

তপ্ত সীসা বলেছেন:
কথা অনেকটাই সইত্য।

লীগ দায় এড়াইতে পারেনা। যদিও এইদেশে এখন এইটাই কালচার। যে যেইটা করবে ওইডা কইবোনা। স্বীকার যাইবোনা।

বিম্পি জামাত পেট্রল মারবো, কইবো, আমরা মারিনাই। সবাই জানে, রাস্তার নেড়ী কুত্তাও জানে ওরাই মারছে।

বিশ্বজিতের খুনীরা লীগের হইলেও লীগ ত্যনা প্যাচাইবো, কইবো এরা আমাগো দলের না। এরা অনুপ্রবেশকারী। কিন্তু কোন দলের সবাই জানে।

ভার্সিটি এরিয়ার হলগুলার সামনে অন্ধকারে একটু খেয়াল করলেই বুঝা যায় পোলাপাইন কি কাম করতেছে। ওইটা বাঙ্গালী কালচারের খেলাপ হয়না, ওইটা হয় ব্যক্তিস্বাধীনতা। আমার দেহ আমি যারে খুশী দিমু, তুমার কি?

বৈশাখে তো কেউ চুম্মাচাটি করতে যায়নাই। ওইখানে শাড়ি ধইরা টানস ক্যান? এগরে আগে ধইরা পুরুষাঙ্গ ঘ্যাচাং করা হউক। এরপরে দল বিচার করা যাইবে।

আগে যে বা যারা করছে ওগো ধইরা গদাম দ্যান, এরপর দল নিয়া ত্যানা প্যাচান। দেশের লোক ঠিক হইলে দল ঠিক না হইয়া যাইবো কই?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এগুলার পুরুষাঙ্গ কাটাই মনে হয় সঠিক সমাধান!

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ক্রমাগত কলংকিত ইতিহাসে ভারী হয়ে উঠছে ঢাবির আমলনামা!!!!

আজ টকেটিভ মন্ত্রীরা চুপ কেন?

পান থেকে চুন খসলে যারা মিডিয়ার মাউক্রোফোন থুথুতে গোসল করায়- তারা সব স্পকটি নট!

কারণ নিজের গায় যায় বলে? এভাবে আর কত?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। মন্ত্রীরা সরকারের উচ্চ মহলের ইশারার অপেক্ষায় আছে। ন্যায় অন্যায় তারা নির্ধারণ করে দিবে, তারপর কথা বলবে। নিজ দলের অন্যায় হলে তো অবশ্যই ত্যান প্যাচানো লাগবে।

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮

নতুন বলেছেন: নারী প্রধানমন্ত্রী/বিরোধীদলের নেত্রী/স্পিকার....

তারপরেও সরকারের নেতাদের চামচারা এই সব করার সাহাস পায়... :(

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এটাই তো দুঃখ যে নারী প্রধানমন্ত্রী, নারী বিরোধীদলের নেত্রী, নারী স্পিকার, তাও এসব হচ্ছে। তাদের কোন বিবৃতিও দেখলাম না।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

রঙতুলি বলেছেন: পুরা দায় তাদের, পুলিশ কেন ধরে ছেড়ে দিল?
ক্যাম্পাস কাদের দখলে?

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

ইলুসন বলেছেন: সেটাই! পুলিশ ধরে ছেড়ে দিল কেন?

ধন্যবাদ ভাই।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: @তপ্ত সীসাঃ এগরে আগে ধইরা পুরুষাঙ্গ ঘ্যাচাং করা হউক। সহমত!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

ইলুসন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.