নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‘মানুষ তার স্বপ্নের চাইতেও বড়’ https://www.amazon.com/author/hossaink

কাছের-মানুষ

মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে বদলায়, অকারণেও বদলায় । তবে আমি মনে হয় আগের মতই আছি , কখনও বদলাবওনা মনে হয় ! ! https://www.amazon.com/author/hossaink

কাছের-মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব ছয়)

০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৪


এগার অধ্যায়

আজ সকাল থেকেই নিউকের চোখদুটো কম্পিউটারে স্থির হয়ে আছে। তথ্য ভাণ্ডার ঘেঁটে মেডিকেল সায়েন্সের দৌড় কতদূর পৌঁছেছে সেটি যাচাই করতে চেষ্টা করছে সে। তথ্যভাণ্ডারে একটি ম্যাগাজিনের হেড লাইনে চোখ আটকে গেল তার, “বিজ্ঞান পরিষদের বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম বায়ো চোখ আবিষ্কার করেছে যেটা স্বল্প তরঙ্গে সংবেদনশীল, মানুষ প্রকৃতিকে নতুনভাবে আবিষ্কার করবে এই চোখের সাহায্যে, এতদিন মানুষের চোখ যেই জিনিসগুলো এড়িয়ে গেছে সেটি ধরা পরবে নতুন রূপে।” নিউক পরবর্তী সংবাদে চোখ রাখে “হৃদ রোগে আর মৃত্যুয় নয়, বিজ্ঞানীরা নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে হৃদ রোগে মৃত রোগীকে তিন ঘণ্টার মধ্যে হাঁসপাতালে নিয়ে আসলে পুনরায় বাঁচানো যাবে।” দুনিয়াটা সত্যিই অনেক দূর এগিয়ে গেছে ভাবে নিউক। আরেকটি চটকদার সংবাদে চোখে রাখে নিউক, সেখানে লেখা “জীবন নিয়ে আপনি কি হতাশায় ভুগছেন, বিষাদ লাগছে বেচে থাকতে তাহলে আর দেরি নয় চলে আসুন আমাদের কাছে, স্বল্প খরচে ব্রেন রিস্টার্ট দেই আমরা, আপনারা জীবনের সমস্ত স্মৃতি মুছে নতুন ভাবে শুরু করুন।” নিউকের বুকের ভিতর থেকে একটি দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে, জীবনটাকে যদি সত্যিই নতুনভাবে শুরু করা যেত মন্দ হত না।

“মহামান্য নিউক টেবিলে আপনার খাবার দেয়া হয়েছে খেয়ে নিন।” ধাতব গলায় বলে ন্যানি রোবট।

নিউক গভীর চিন্তায় মগ্ন। সকাল থেকে ছয় ঘণ্টা খরচ করেছে তথ্যভাণ্ডারের তথ্য ঘাটতে। নিউকের রক্ত কণিকায় এক ধরণের হরমোন অস্তিত্বে এসেছে যেটা তার রক্ত কণিকার কার্যকারিতা কমিয়ে আনছে ধীরে ধীরে। নিউকের সময়ের ডাক্তারের বলেছিল হাতে বেশী সময় নেই, বিরল রোগটির গতি প্রকৃতি তারা কিছুই বুঝতে পারছে না তবে এটুকুন নিশ্চিন্ত হাতে বড়জোর মাস তিনেক আছে। ভবিষ্যতে হয়ত এ রোগের চিকিৎসা হবে এই আশাতেই নিউক ক্রোয়োনিক এক্সপেরিমেন্টে অংশ নিয়েছিল। তথ্যভাণ্ডার ঘেঁটে যেই তথ্য পেয়েছে সেই হিসেবে জটিল অপারেশন করতে হবে তবে বেচে থাকার সম্ভাবনা শতকরা পঞ্চাশ শতাংশ অর্থাৎ ফিফটি ফিফটি চান্স। চোখ দুটি ঝাপসা হয়ে উঠে তার।

“সকালে আপনি কিছুই খান নি। আপনার খাবার দেয়া হয়েছে টেবিলে।” বেশ উঁচু গলায় বলে ন্যানি রোবট।

এবার নিউকের চিন্তায় ছেদ পরে।

“তোমাকে না বলেছি কোন ডিস্টার্ব করবে না।” কিছুটা হতাশ এবং বিষণ্ণতার চাপে তীক্ষ্ণ হয়ে উঠল নিউকের কণ্ঠ।

“আপনি কি কোন কারণে বিরক্তি বা মনটা কি খারাপ মহামান্য নিউক? আমার ভিতরে বিনোদন মূলক ফিচার আছে। আপনি চাইলে নেচে গেয়ে আপনার মন ভাল করার চেষ্টা করতে পারি।” বলেই অনুমতির অপেক্ষা না করেই অদ্ভুত ভঙ্গিতে নাচতে লাগল ন্যানি রোবট।

“দূর হও চোখের সামনে থেকে। তোমার নাচ দেখার কোন ইচ্ছে আমার নেই।” চোয়াল শক্ত করে বলে নিউক।

“আপনি রেগে যাচ্ছেন মহামান্য নিউক! আমার সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক চোখ দিয়ে আপনাকে স্ক্যান করেছি, আমার ভিতরের মেডিক্যাল প্রোগ্রাম বলছে আপনার ব্লাড প্রেশার বিপদ সীমার উপর আছে, ১৮৫/১১৫, হার্ট-বিট ১১২, আপনার মস্তিষ্ক থেকে এক ধরনের হরমোন বের হচ্ছে যা আপনাকে ক্রমশ ক্রোধান্বিত করছে। ধাতব গলায় বলল ন্যানি রোবট। ন্যানি রোবটের কথা বলার সাথে সাথে ঘরের মাঝখানে একটি ত্রি-মাত্রিক গ্রাফ ভেসে উঠল যেখানে ন্যানি রোবট যেগুলো বলল তা গ্রাফ আকারে দেখাচ্ছে।”

নিউক চোখ বন্ধ করে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এটা কেবল একটি তুচ্ছ যন্ত্র, যন্ত্রের সাথে রাগ করে লাভ নেই বিড়বিড় করে বলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করল নিউক।

“মহামান্য নিউক আপনি কোন কারণে চিন্তিত থাকলে আমার সাথে শেয়ার করতে পারেন। আমার ভিতরে কেয়ারিং প্রোগ্রামও আছে, আমার সাথে যে কোন কিছু শেয়ার করতে পারেন। আপনার সুখে আমি একসাথে হাসব আবার আপনার কষ্টে কাঁধতেও পারি বলেই ন্যানি রোবট হুহু করে কেঁদে দেখালো।” মাত্রাতিরিক্ত পানি ন্যানি রোবটের ইলেক্ট্রনিক চোখ থেকে বেরিয়ে এলো।

“আহা তোমাকে আমার দুঃখে কান্না কাটি করতে হবে না।” বিরক্তি নিয়ে বলে নিউক।

“মহামান্য নিউক আমি যন্ত্র বলে আপনি কি আমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছে না? আমাকে যতটা বোকা ভাবছেন ততটা বোকা নই।” আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল ন্যানি রোবট।

ন্যানি রোবটকে যথেষ্ট বিরক্তি লাগছে নিউকের। তাকে কাজে ব্যস্ত রাখার জন্য কিচেনের দিকে আঙ্গুল তুলে বলল “তুমি প্লেট রেডি কর টেবিলে, আমি আসছি খেতে।”

কাজের অর্ডার পেয়ে ন্যানি রোবট খুশী হয়ে উঠল। কিচেনের দিকে হাটা দিল।

নিউক একটু চুপ থেমে পিছন থেকে ফের ডাক দিল ন্যানি রোবটকে। ন্যানি রোবট তার চকচকে মাথাটা নিউকের দিকে ঘুরালো, নিউক তরল দৃষ্টিতে ন্যানি রোবটের দিকে তাকিয়ে বলল “আচ্ছা ন্যানি রোবট বলতো জীবনে সুখি হওয়া জরুরী নাকি বেচে থকাটা বেশী জরুরী?”

ন্যানি রোবট মূর্তির মত দাঁড়িয়ে আছে, তার ইলেক্ট্রনিকের চোখের রেটিনা অনবরত ডানে বামে নড়ছে। তৃতীয় প্রজন্মের কম বুদ্ধি সম্পূর্ণ রোবট একাধিক অর্ডার পেয়ে তার ভিতরের কম্পিউটার কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। ন্যানি রোবট একটি নিদিষ্ট ছন্দে কাঁপছে, বিপ বিপ শব্দ করে অজানা একটি গলায় বলে উঠল “সিস্টেম রিস্টার্টেড, দয়া করে অপেক্ষা করুন, একটু পরেই ফিরে আসছি।” পনের বিশ সেকেন্ড পর ন্যানি রোবট পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলো।

“মহামান্য নিউক টেবিলে আপনার খাবার দেয়া হয়েছে খেয়ে নিন।” ধাতব গলায় বলে ন্যানি রোবট।

নিউক হতাশ গলায় বলল “তুমি কিছুক্ষণ আগে একই কথা বলেছিলে।”

“আমি দুঃখিত মহামান্য নিউক। যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য আমার ইলেকট্রনিক ব্রেন শেষের আধা ঘণ্টার স্মৃতি মুছে গেছে। আপনি কি আমাকে মনে করিয়ে দিবেন আমরা কি নিয়ে কথা বলছিলাম?”

নিউক জিব দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে বলল “আমরা কোন কিছু নিয়ে কথা বলছিলাম না। আমার খাবারের ব্যবস্থা কর।”

ন্যানি রোবট চলে গেল খাবারের আয়োজন করতে। তার কিছুক্ষণ পরেই পুনরায় ফিরে এসে বলল “মহামান্য নিউক আপনার জন্য একটি গিফট আছে। সকালে যখন কাজ করছিলেন তখন আপনার নামে একটি প্যাকেট এসেছিল।” বলেই প্যাকেটটি নিউকের সামনে এগিয়ে দিল ন্যানি রোবট।

“আগে বলনি কেন?” বলে নিউক।

“আপনি ব্যস্ত ছিলেন, আপনাকে কয়েকবার ডেকে ছিলাম কিন্তু আপনি কোন সাড়া দেননি।”

নিউক প্যাকেটটি হাতে নিয়ে অবাক হয়ে ভাবছে এটা কে পাঠাল। তাকে এরকম একটি প্যাকেট পাঠাবার মত কেউ কি থাকতে পারে! প্যাকেটটি খোলা কি ঠিক হবে কি না ভাবছে নিউক। আপাতত তার মনের ভিতর অনেকগুলো প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। নিউক প্যাকেটটি দেখে বুঝতে পারে এটি প্লেরা পাঠিয়েছে। সে সাবধানে প্যাকেটটি খুলে দেখে ভিতরে একটি টিকিট এবং কিছু ইউনিট আছে। একটি অজানা মেয়ে তার খেয়াল রাখে বেশ, মেয়েটার কথা ভাবতেই তার হৃদয়টা আদ্র হয়ে উঠে।

টিকিটটি সেই কৃত্রিম গ্রহের। নিউক টিকিটটির দিকে তাকিয়ে একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে, কালকে ফ্লাইট, বুকটা ভারী হয়ে আসে বেশ। এই জার্নিটা হবে একমুখী, আর পৃথিবী নামক এই গ্রহে ফিরে আসতে পারবে না সে। হয়ত সেখানে গেলে নিজের চিকিৎসা করতে পারবে, হয়তবা বেচে যাবে আবার নাও বাচতে পারে। বেচে থাকলে হয়ত সেখানে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন গবেষণায় সাহায্য করতে পারবে। আর যদি না যায় তাহলে সারা পৃথিবীর সাথে যুদ্ধ করতে হবে, চিকিৎসা হয়ত জুটবে না। প্লেরা নামক মেয়েটাকে কিছুতেই সে তার মাথার ভিতর থেকে তাড়িয়ে দিতে পারছে না। কোন মেয়ের জন্য তার মনের ভিতর এতটা প্রবল টান সুপ্ত অবস্থায় ছিল সেটা সে কল্পনাও করতে পারেনি। নিউক দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে, যে করেই হোক সব মায়া উপেক্ষা করে তাকে যে যেতেই হবে, তাকে বাচতে হবে। বাচার জন্যই নিজের চেনাজানা জগৎ ছেড়ে এখানে এসেছে সে ভাবে মনে মনে।

বারো অধ্যায়

প্লেরা দাঁড়িয়ে আছে সাগরের পাড়ে। সাগরের প্রবল ঢেউ আছড়ে পরছে পারে। থেমে থেমে মেঘের গর্জন, আকাশে বিদ্যুৎ ঝলকানি সব মিলিয়ে বুকের ভিতর কাঁপন ধরিয়ে দেয়। প্লেরার মন খারাপ হলে এখানে ছুটে আসে। একটি দীর্ঘশ্বাস মনের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে প্লেরার। আজ হয়ত নিউক চলে গেছে কৃত্রিম গ্রহে ভাবে প্লেরা। বুকের ভিতরটা কেমন জানি খালি খালি লাগছে, অল্প দিনের পরিচয় অথচ অনুভূতি কতটা গাঢ়। পিছন থেকে একটি হাতের স্পর্শে পিছনে তাকিয়ে দেখে নিউক, চমকে উঠে প্লেরা।

“তুমি যাওনি?” বলে প্লেরা। বিশ্বাস এবং অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সে।

“না। তোমাদের ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করল না।” সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে বুক ভরে একটি নিশ্বাস ছেড়ে বলে নিউক।

প্লেরার বুকের মাঝে ভাল লাগা কাজ করলেও সেটা চেপে যায়। তাকিয়ে থাকে সমুদ্রের বিশালতার দিকে। দুজনের কিছুক্ষণ নীরব থাকে।

নিউক দু-হাত প্রসারিত করে সমুদ্রের বাতাস শরীরে মাখে তারপর নীরবতা ভেঙে বলে “কি বিশাল সমুদ্র। তাই না? আমার সমুদ্র সব সময়ই ভাল লাগে।”

প্লেরা হেসে বলে “এটা সত্যিকারে সমুদ্র নয়। সত্যকারের সমুদ্র ক্ষতিকর তেজস্কিয়া এবং দূষণের ফলে মানুষ যাওয়া নিষিদ্ধ। তুমি যেই সমুদ্র দেখছ এখানে এটা কৃত্রিম সমুদ্র, আসলে এটা ছোট একটি পুকুরের সমান, বিজ্ঞানীরা ত্রি মাত্রিক প্রজেকশন ব্যাবহার করে বিশাল বড় এই কৃত্রিম সমুদ্র এবং আকাশ তৈরি করেছে। আকাশের বজ্রপাত, সাগরের ঢেউ এগুলো সবই কৃত্রিম। এই যে বিশাল ঢেউ দেখছ এগুলো মেশিন দিয়ে তৈরি করা, ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড সিস্টেমের ফলে বজ্রপাতের শব্দ, পাখির ঢাক, সাগরের গর্জন সব শুনতে পারছ।”

থেমে বলে “আমি এখানে জানলে কি করে?”

“এটা বের করা কঠিন নয় প্লেরা।” মহামান্য নিকোলাই বলেছে।

একটু চুপ থেকে কৃত্রিম এই সমুদ্রের পারে হাটতে থাকে দুজন। নিউক আলতো করে প্লেরার হাত ধরে। প্লেরা নিজের হাত দুর্বল ভাবে ছাড়িয়ে নেবার ভান করে, নিউক আরো জোরে চেপে ধরে হাত। অপরিচিত এই অনুভূতির আঘাতে প্লেরার বুকের ভিতর সব কিছু কেমন জানি ভেঙে চুরে যাচ্ছে। নিউকের মনের ভিতর এক ভাল লাগা কাজ করছে। তার রুক্ষ জীবনে প্লেরার আগমন যেন মরুভূমির বুকে এক পশলা বৃষ্টির মতন। এই পৃথিবীতে তার জীবনটা হয়ত দীর্ঘায়ত হবে না তবে সেটি নিয়ে ভাবছে না সে। আপতত এই মেয়েটার পাশে থাকতে চায়, সেটা অল্প দিনের জন্য হলেও ক্ষতি নেই। নিউক নিজের অসুখের কথা প্লেরার কাছে গোপন করে কারণ সে চায় না তার কারণে প্লেরা কষ্ট পাক।

“তুমি না নাকি মেয়ে মানুষের হাত ধর না!” বলে প্লেরা। মুখ টিপে হাসছে সে।

নিউক চুপ থাকে কিছু বলে না।

নীরবতা ভেঙে প্লেরা বলে “সিটিসিকে যেই বিজ্ঞানী তৈরি করেছে তার ঠিকানা জোগাড় করেছি আমরা। কালকে যাব সেই বিজ্ঞানীর সাথে দেখা করতে।”

নিউক হাটতে হাটতে বলে “আমিও তোমাদের সাথে যাব প্লেরা।”

“আমাদের বিজয় হবেই নিউক। আমরা নিশ্চয়ই বিজ্ঞান পরিষদকে পরাস্থ করার একটি উপায় খুঁজে পাব। আমাদের বিজয় হবেই, একটি স্বাভাবিক এবং সুন্দর জীবন পাব আমরা।” বলে প্লেরা। আবেগে তার গলায় কাঁপন ধরে যায়।

নিউক হাটা থামিয়ে প্লেরার দিকে তাকায়। গভীর মমতায় তার মাথায় হাত রাখে। মনে মনে বলে নিশ্চয়ই তোমার জয় হবে প্লেরা। আমি জানিনা আমি কোন ভাবে তোমাদের সাহায্য করতে পারব কি না, তাছাড়া এই যুদ্ধ আমার কিছু যায় আসে না। তবে তোমার জন্য হলেও আমি আমার সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দিব।

আগের পর্ব:
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব এক )
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব দুই)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব তিন)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব চার)
ধারাবাহিক সায়েন্স ফিকশান উপন্যাস: নিউক (পর্ব পাঁচ)

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩১

কল্পদ্রুম বলেছেন: আজকের পর্ব বেশ রোমান্টিক।

০৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: সবসময় মার মার কাট কাট ভাল লাগে না! আমি বেরসিক মানুষ! তারপরও চেষ্টা করলাম কিছুটা রোমান্টিকতা আনতে! :)

২| ০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভাল লাগছে।
সব একসাথে পেলে মন্দ হত না। :)

০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

কাছের-মানুষ বলেছেন: সব একসাথে দিলে পোষ্ট অনেক বড় হয়ে যাবে। সম্ভবনা আছে ব্লগাররা আমাকে ব্লগ থেকে দৌড়ানি দিতে পারে তখন!!!

পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

৩| ০৬ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভাল লাগছে।

০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০২

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
পাঠ ও প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

৪| ০৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: প্লেরা চমৎকার একটী চরিত্র। নিউক এবং প্লেরার ভালোবাসা সহজ সরল সুন্দর।

ন্যানো রোবটাকে আমার ভালো লাগছে না। দুষ্টলোক বলে মনে হয়।

০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০২

কাছের-মানুষ বলেছেন: মানুষের সব যুগের সত্যিকারের ভালবাসাই আমার মনে হয় এরকম সহজ সরল হবে।

ন্যানি রোবট একটু বিরক্তিকর এটা সত্য, কম বুদ্ধি সম্পূর্ণ রোবট এজন্য হবে হয়ত, কে জানে আবার সত্যিই দেখা গেল সে
দুষ্ট!

৫| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিউকের সিদ্ধান্তে ভাললাগা প্লেরার মতো পাঠকের হৃদয়েও আনন্দের ছোঁয়া দিল বৈকি :)

ভালবাসার রসায়ন জমতে শুরু করেছে।
জমুক। ভালবাসা জয় করুক প্রাণহীন যান্ত্রিকতাকে।

++++++++

আগেই ক্ষমা চেয়ে দুটো টাইপো উল্লেখ করছি্ -
(বিদ্র. আমার লেখায় এরচে বেশী টাইপো থাকে;) বিন্তু আপনারা গুনিজন
আর দারুন একটা সিরিজ তাই নজরে আনা )
১২ অধ্যায়ের আগের শেষের লাইনে- সব মায়া উপেক্ষা (অপেক্ষা আছে!) করে . . .

আর ১২ এর শুরুর লাইনে
সাগরের প্রবল ঢেউ আছড়ে (আঁচড়ে আছে) পড়ছে . . .

০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: ভালবাসার জয় হোক। পৃথিবীটা ভালবাসাময় হোক।
যাক আপনার ভাল লেগেছে জেনে সার্থক মনে হচ্ছে।

বিদ্র. আমার লেখায় এরচে বেশী টাইপো থাকে;) বিন্তু আপনারা গুনিজন আর দারুন একটা সিরিজ তাই নজরে আনা

আপনি একজন গুনি ব্লগার। এভাবে আমাকে গুণীজন বলে দিলেনতো আমার দাম বাড়িয়ে, এখন অহংকারেতো আমার পা আর মাটিতে পরবে না দেখছি! :)

প্রতিটা ব্লগারকেই আমার ভাল লাগে কারণ ব্লগাররা অনেক সৃজনশীল। তারপরও ব্লগে আমার কয়েকজন লেখকের লেখা বেশী টানে তারমধ্যে আপনি অন্যতম। বিশেষ করে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আপনার কবিতা আমাকে মুগ্ধ করে।

বানান দুটি ধরিয়ে দেবার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা রইল। আমি আপডেট করেছি।




৬| ০৭ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২২

কাছের-মানুষ বলেছেন: পরের পর্ব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.