নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‘মানুষ তার স্বপ্নের চাইতেও বড়’ https://www.amazon.com/author/hossaink

কাছের-মানুষ

মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে বদলায়, অকারণেও বদলায় । তবে আমি মনে হয় আগের মতই আছি , কখনও বদলাবওনা মনে হয় ! ! https://www.amazon.com/author/hossaink

কাছের-মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিচার: আমাদের একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ (বিজ্ঞান পোষ্ট)

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৩


চাঁদ নিয়ে বাংলা সাহিত্যে যত ছড়া, কবিতা, গান, বিবরণ, তুলনা ও বাগধারা আছে সেটা অন্য কোন দেশের শিল্প সাহিত্যে আছে কিনা জানিনা। চাঁদ নিয়ে বিখ্যাত সেই গান যা আমরা সবাই জানি "চাদের সাথে আমি দেবনা তোমার তুলনা", অথবা সুকান্ত ভট্টাচার্যের চাঁদ নিয়ে সেই প্রতিবাধি কবিতা "ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী-গদ্যময়, পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি"। কেউ চাদের মাঝে নিজের প্রেয়সী দেখে কেউবা ঝলসানো রুটি, চাঁদ সত্যিই আকর্ষণীয়, বিচিত্র, এর সৌন্দর্যে মোহিত হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম প্রতিটি বাংলার শিশুই “আয় আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা, চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা” শুনে শুনে বড় হয়েছে এবং হচ্ছে। চাদের প্রসঙ্গ আসলেই শক্তিশালী লেখক হুমায়ূন আহমেদের কথা উল্লেখ্য না করলেই নয়। তার বিভিন্ন লেখায় চাঁদ এবং জ্যোৎস্না এসেছে বারবার, বলা যায় কয়েকটি প্রজন্মকে তিনি চাঁদ এবং জ্যোৎস্নাকে নতুন করে ভালবাসতে শিখিয়েছেন।

বিশ্ব সাহিত্যেও চাঁদ তার শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। কল্পকাহিনী লেখক এইচ জি ওয়েলসের চাঁদ নিয়ে লিখেছেন "ফার্স্ট ম্যান ইন মুন" নামের আস্ত এক উপন্যাস যেখানে তিনি দেখান চাঁদে বাস করে সেলেনাইট নামক অধিবাসী। সতের শতকের গোড়ার দিকে ফ্রান্সিস গড-উইন নামে একজন পাদ্রী লিখেছিলেন এক কল্পকাহিনী যেখানে নায়কের নাম ছিল ডোমিঙ্গো । ডমিঙ্গো চাঁদে গিয়েছিলো বুনোহাঁসের পিঠে চড়ে।

এই রহস্যময় বিশাল মহাবিশ্বে চাঁদই আমাদের সব থেকে কাছে। সহস্র বছর ধরে মানুষ চাঁদকে তার কল্পনায় এঁকেছে, তৈরি হয়েছে বিভিন্ন লোকগল্প, তবে এখন চাঁদ আর আমাদের কাছে দুরের কোন উপগ্রহ নয়। নাসা ১৯৬৯ সালে ‘স্যাটার্ন ৫’ রকেটে দিয়ে মনুষ্যবাহী ‘অ্যাপোলো ১১’ অভিযান পরিচালিত করেছিল। আমেরিকান নভোচারী নীল আর্মস্ট্রং একই বছরের ২০ জুলাই সর্বপ্রথম চাদের পৃষ্টে পা রেখে মানুষের সহস্র বছরের অধরা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন। এই লেখায় চাঁদকে ঘিরে সমস্ত তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।


চাঁদ থেকে সংগ্রহ করা পাথর খণ্ড।

যাইহোক প্রথমেই চাঁদ কিভাবে নাযিল হল সেই ব্যাপারে বলা যাক। চাঁদ কিভাবে নাযিল হল এই নিয়ে বিজ্ঞান মহলে বিভিন্ন তত্ত্ব আছে। ক্যাপচার (Capture) তত্ব বলে চাঁদ আমাদের সোলার সিস্টেমেরই কোন এক জায়গায় তৈরি হয়েছিল এবং পরে তা পৃথিবীর কাছাকাছি আসলে, পৃথিবী তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি দিয়ে নিজের দিকে আকর্ষণ করে নিজের কক্ষ পথে নিয়ে আসে। এক্রিশন (Accretion) তত্ত্ব মতে পৃথিবী এবং চাঁদ একই সময় তৈরি হয়েছিল স্বতন্তভাবে। আবার ফিসন (fission) তত্ত্ব মতে পৃথিবীর তীব্র ঘূর্ণনের ফলে পৃথিবী থেকে একটি অংশ ভেঙ্গে ছিটকে দূরে সরে যায় যা আমরা চাঁদ বলে ডাকি।

বর্তমানে বহুল জনপ্রিয় জায়ান্ট ( Giant-impact) তত্ত্ব মতে পৃথিবীর সাথে আরেকটি ছোট গ্রহের সাথে সংঘর্ষে জন্ম নেয় চাঁদ। বৈজ্ঞানিকভাবে জায়ান্ট তত্ত্বের সত্যতা পাওয়া যায়। এপোলো মিশনের সময় নবচারিরা পৃথিবীতে চাদের মাটি এবং পাথর নিয়ে এসেছিল। সেই পাথর এবং মাটির পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পৃথিবীর সাথে সামাঞ্জস্য পাওয়া যায়।


চাদের মাধ্যাকর্ষণ বলের সাথে জোয়ার-ভাটার সম্পর্ক নির্দেশক ছবি।

চাঁদ শুধু মাত্র সৌন্দর্য বর্ধনকারী একটি উপগ্রহই নয় বরং চাঁদ আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে পৃথিবীতে জোয়ার এবং ভাটা তৈরি হয়। জোয়ারের ফলে পৃথিবীর সমুদ্র পৃষ্টের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায় এবং ভাটার সময় পানির উচ্চতা কমে যায়। বৈজ্ঞানিক মতে পৃথিবীর পৃষ্ট যখন চন্দ্রের কাছে আসে তখন চন্দ্রের মাধ্যাকর্ষণের ফলে তৈরি হয় জোয়ার এবং যখন দূরে সরে যায় তখন ভাটা হয়। সাধারণত প্রতি বার ঘণ্টা পর পর চক্রাকারে জোয়ার এবং ভাটা হতে থাকে। আমাদের পৃথিবীর জলবায়ু, রূপ বৈচিত্র্য এবং মৌসুমের পরিবর্তন হয় এই চাদের আকর্ষণের ফলেই। সব চেয়ে বড় কথা চাদের আকর্ষণের ফলেই আমাদের এই পৃথিবীটা প্রাণী বসবাসের উপযোগী।


সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ এর সময়ে চাঁদ, সূর্য এবং পৃথিবীর অবস্থান।

চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে আমরা মোটামুটি সকলেই অবগত আছি। পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্যের অবস্থানগত পরিবর্তনের ফলেই মূলত এই চন্দ্রগ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণ হয়। সূর্য, চাঁদ এবং পৃথিবী যার যার কক্ষপথে ঘুরছে। যখন চাঁদ তার পরিপূর্ণ আকার ধারণ করে, এবং পৃথিবী যখন চাঁদ এবং সূর্যের মাঝে আসে তখন পৃথিবীর ছায়া চাদের উপর পড়ে আর এতে চাদের ত্বকে কিছুটা লালচে আভা দেখা যায় যাকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়। যখন চাঁদ আমাদের পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝখানে চলে আসে তখন সূর্য গ্রহণ হয়।

এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া যাক, পৃথিবী থেকে চাদের দুরুত্ব প্রায় ৩,৮৪,৪০০ কিলোমিটার। তবে এই দুরুত্ব প্রতি বছর পরিবর্তন হচ্ছে, কিভাবে সেটা ব্যাখ্যা করা যাক। চাদের মাধ্যাকর্ষণ বলের ফলেই পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতি কমে যাচ্ছে, যার ফলে প্রতি শতাব্দীতে আমাদের দিনের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক তিন মিলি সেকেন্ড বড় হচ্ছে। পৃথিবী তার শক্তি হারাচ্ছে যার ফলে চাঁদ পৃথিবী থেকে আড়াই ইঞ্চি করে প্রতি বছর দূরে সরে যাচ্ছে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে চাঁদ না থাকল কি হত আমাদের এই গ্রহের? এই ব্যাপারে কিছুটা আলোকপাত করা যাক। এখানে বলে নেয়া ভাল, চাদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবেই আমাদের এই পৃথিবী তার কক্ষপথে থেকে সুন্দর ভাবে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। চাঁদ আমাদের থেকে হারিয়ে গেলে পৃথিবী তার ঘূর্ণনের ভারসাম্য হারাবে। এখানে বলে রাখা যাক পৃথিবীর এই ঘূর্ণনের ফলেই আমরা বিভিন্ন মৌসুম যেমন শীত, বসন্ত, হেমন্ত ইত্যাদি দেখতে পাই। চাঁদ হারিয়ে গেলে আমাদের পৃথিবীর ঘূর্ণন একেবারে থেমে যেতে পারে (এতে এই গ্রহের মৌসুমের কোন পরিবর্তন হবে না!) অথবা অতিরিক্ত ঘূর্ণনের সৃষ্টি হতে পারে (এতে আবহাওয়া এবং জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে এমনকি আবার বরফ যুগ ফিরে আসতে পারে!)।

যাইহোক আশার কথা হল চাঁদ পৃথিবী থেকে কখনই চলে যাবে না একেবারে! একটি তত্ত্ব মতে ৫০ বিলিয়ন বছরের মধ্যে চাঁদ পৃথিবী থেকে সরতে সরতে এমন একটি সুষম কক্ষ পথে গিয়ে থামবে যেখানে চাঁদ আর সরবে না। বর্তমানে চাঁদ পৃথিবীকে ২৭ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে, তবে সুষম কক্ষপথে গেলে ৪৭ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করবে। যাইহোক ৫ বিলিয়ন বছরের মধ্যেই সূর্য তার সব হাইড্রোজেন পুড়িয়ে ফেলবে তখন এর মৃত্যু ঘটবে, সাধারনত নক্ষত্রের পতনের পর সুপারনোভা বা ব্লাক হোলে পরিনিত হয় তবে সূর্যের সেই সম্ভাবনা নেই কারন সুপারনোভা বা ব্ল্যাক হোলের জন্য যেই পরিমাণ ভরের দরকার সূর্য্যের তা নেই। তবে তার আগেই মানুষ জাতী পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে সেটা খুব সহজেই বলা যায়!


চাঁদ নিয়ে লোককথা, প্রতিকি ছবি।

চাঁদ নিয়ে আমাদের সমাজে প্রচলিত বেশ কিছু কথা আছে যেমন চাদেরও কলঙ্ক আছে। আসলে চাদের কলঙ্ক বলে কিছু নেই। চাদের ভিতর আমরা যেই কালো দাগ এবং ছায়া দেখতে পাই তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। এখানে বলে রাখা যাক, আলো কোন বস্তুতে প্রতিফলিত হয়ে যখন আমাদের চোখে ফিরে আসে তখন আমরা সেই বস্তু দেখতে পাই। চাদের পৃষ্টে অনেক উঁচু নিচু পাহার পর্বত এবং গর্ত আছে। সূর্যের আলো চাদের সেই স্থানগুলোতে গিয়ে যখন ফিরে আসতে না পারে তখন আমরা সেখানে অন্ধকার দেখি। আর এটাই হল চাদের কলঙ্কের শানে নযুল।


ধর্মীয় উৎসবে চাদের প্রভাব, প্রতিকি ছবি।

চাঁদ শুধু মাত্র আমাদের জলবায়ুর পরিবর্তন, চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ ইত্যাদিতেই ভূমিকা পালন করে না বরং প্রায় ধর্মেই চাঁদের প্রতীকী ব্যবহার লক্ষ করা যায়। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা, মায়া সভ্যতা, গ্রিক সভ্যতা, রোমান সভ্যতা, আব্রাহামিক ধর্মেও চাঁদের অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে। ইসলাম ধর্মে পবিত্র রমজান ও ঈদ উদযাপিত হয় চাদের হিসেবেই। মেক্সিকান অধিবাসীদের ‘মুন ড্যান্স’উদযাপন করে আরোগ্যের জন্য। হিন্দু ধর্মেও চাদের প্রভাব বেশ স্পষ্ট রয়েছে এমনকি চন্দ্র দেবতা রয়েছে বলে বিশ্বাস করে সনাতনীরা যে কিনা চন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করে।

যাইহোক এবার উপহাংস টানা যাক, চাঁদ আমাদের জীব-বৈচিত্র্য, জলবায়ু এবং বসবাস যোগ্য এই পৃথিবীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাধান। আমাদের শিল্প সাহিত্যে এবং ধর্ম কৃষ্টি কালকারে এর প্রভাব অপরিসীম। চাঁদের সৌন্দর্যে আমরা বিমোহিত হই, আবেগ তাড়িত হই, চাঁদ যেমন লেখকদের জন্য কল্পকাহিনী লেখার উপাধান, তেমনই বিজ্ঞানীদের কাছেও গবেষণার উৎস। চাঁদ আছে বলেই আমাদের পৃথিবী এত সুন্দর, বৈচিত্র্য এবং রহস্যময়। তাই এটা বললে ভুল হবে না চাঁদ আছে বলেই আমরা এখনও এই গ্রহে টিকে আছি।

ছবি সূত্র: অন্তজাল

লেখা সূত্র:
How did the Moon form?
Moon facts: Fun information about the Earth's moon
What would happen if the Moon disappeared?
A Rocky Relationship: Is the Moon Leaving the Earth?
Moon in Motion
চাঁদ নিয়ে যত কল্পকাহিনী
The Moon Landing
Saturn V: The mighty U.S. moon rocket

এই ফিচারটি ব্লগ দিবস উপলক্ষে 'বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি' বিভাগের জন্য দেয়া হল।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


চমৎকার লেখা।

চাঁদের অপর পৃষ্ঠে কি আছে সেটা নিয়ে আমার বেশ কৌতুহল।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

চাঁদ নিয়ে আমারো আগ্রহ অনেক, তাই এটা নয়ে লেখলাম। নাসা সম্প্রতি দেখলাম রকেট পাঠাচ্ছে চাদে!

২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
সময় নিয়ে পড়লাম। আবার পড়বো।
শুভেচ্ছা জানবেন।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল। আবার আসবেন জেনে ভাল লাগল।

৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার ফিচার ভাই কাছের মানুষ।
তবে একটা ব্যাপার মনে হয় একটু ঘাটতি পড়ে গেছে সেটা হল হুমায়ূন আহমেদ চাঁদ নিয়ে যে পাগলামি করেছেন সারা জীবন - তার মতো জোৎস্না পাগল এবং কবি সাহিত্যিক সারা পৃথিবীতে আর একটাও আছে কিনা আমি সন্দিহান।
তাকে নিয়ে একটুখানি কয়েক ছত্র থাকার প্রয়োজন ছিল বলে আমি মনে করি। যে লেখক বারবার তার লেখায় চাঁদনী রাতে তার মৃত্যু কামনা করেছেন তাকে নিয়ে বাংলা ভাষায় চাঁদ বিষয়ক যেকোনো নিবন্ধে একটুখানি আলোচনা করা উচিত।
আমার মতবাদ জানালাম আপনার লেখা চমৎকার হয়েছে- এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই ভালো থাকবেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৪২

কাছের-মানুষ বলেছেন: লেখাটায় হুমায়ূন আহম্মেদের কথাও উল্লেখ্য করলাম। চিন্তা করে দেখলাম আসলে চাদের প্রসঙ্গ আসলে তার নাম উল্লেখ্য করাটা উচিৎ, তিনি কয়েকটি প্রজন্মকে নতুন করে চাঁদ এবং জ্যোৎস্না ভালবাসতে শিখিয়েছেন।

৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: খুবই সুন্দর একটা লেখা। সবচেয়ে বড় কথা লিখেছেন সহজ সরল করে। লেখায় কোনো ভান বা ভনিতা নেই।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমি চেস্টা করি আমার লেখা যাতে সহজবোধ্য হয় এবং সবাই বুঝতে পারে! আপনার ভাল লাগায় আনন্দিত হলাম।

৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:



"জলবায়ু পরিবর্তনে চাঁদের ভুমিকা", এই অংহটুকু আবার দেখেন তো!

জলবায়ু পরিবর্তনের মুল কারণ হচ্ছে, পৃথিবী তার কক্ষ পথে প্রদক্ষিণের সময় দুরত্ব বাড়ে কমে; কারণ, কক্ষপথ প্যারাবোলিক; সেই কারণে ও কক্ষের সাথে পৃথিবীর অক্ষ ২৩.৫ ডিগ্রি কোণ করায় সুর্যের আলোক এক সময় এক এলাকায় সোজাসুজিভাবে পড়ে, অন্য অংশে তীর্যকভাবে পড়ে; ইহাই মুল কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনে চাঁদের সরাসরি ভুমিকা খুব একটা থাকার কথা নয়।

ফিচার ভলো হয়েছে।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: অবশ্যই আপনি সঠিক তবে চাদের পরোক্ষ এবং শক্তিশালি ভুমিকা আছে জলবায়ু পরিবর্রতনে। পরোক্ষভাবে কিভাবে সংক্ষেপে বলছি, চাদ পৃথিবীকে তার কক্ষে ভারসাম্যভাবে চলতে সাহায্য করে, এক গবেষণায় দেখা যায় চাঁদ না থাকলে পৃথিবী ভারসাম্যহীন ভাবে ঘুরত, এতে হয়ত ঘূর্ণন থেমে যেত বা ঘূর্ণনের হার অসাভাবিকভাবে বাড়ত, এতে হয়ত সীজনের কোন পরিবর্তন হতনা অথবা আবার বরফ যুগে প্রবেশ করত পৃথিবী। আমি যেহেতু চাদের ভুমিকা লেখতে চেয়েছি তাই চাদের পরোক্ষ এবং প্রতোক্ষ সব ভুমিকাই এখানে এনেছি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

(আপনার একই মন্তব্য দুবার এসেছে, একটি মুছে দিচ্ছি)

৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৩

ইসিয়াক বলেছেন: চন্দ্রকথা ভালো লাগলো।
ছোট্ট বেলায় আমি চাঁদ দেখে মুগ্ধ হতাম। কত কিছু যে কল্পনা করতাম।চাঁদে একজন বুড়ি থাকে সেটাও বিশ্বাস করতাম। চাঁদ আর জোছনা আমাকে সব সময় মুগ্ধ করে।
ছোটবেলায় চাঁদ দেখলে একটা ছড়া কাটতাম
"আয় আয় চাঁদ মামা
টিপ দিয়ে যা।
চাঁদের কপালে চাঁদ
টিপ দিয়ে যা....
চাঁদ উঠেছে ফুল ফুটেছে
কদম তলায় কে?
হাতি নাচছে ঘোড়া নাচছে
সোনা মনির বে।

হা হা হা
আরও কত ছড়া।রূপকথার গল্প যে আছে।চাঁদ মানেই আমার কাছে অসীম রহস্যময় কিছু।
আর চাঁদ নিয়ে গান সেতো এখনও শুনি রোজ। এন্ড্রু কিশোর আর রুনা লায়লার গাওয়া আপনার উল্লেখিত আর্শীবাদ ছবির গানটি সত্যি চমৎকার। বাংলাদেশ বেতারে একসময় বহুবার শুনেছি। আরও যা কিছু গান এখন শুনি অবসরে..
১। ও চাঁদ সামলে রাখো জোছনাকে- মান্না দে
২। চাদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে - রবীন্দ্র সংগীত
৩। চাঁদের এত আলো তবু সে তোমারে ডাকে - তালাত মাহমুদ
৪।চাঁদের আশায় নিভায়ে ছিলাম যে দ্বীপ আপনও হাতে - মান্না দে
৫।এই রাত তোমার আমার ওই চাঁদ তোমার আমার- হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
৬।তোমারে লেগেছে এত যে ভালো চাঁদ বুঝি তা জানে- তালাত মাহমুদ আরও আছে।

শুভকামনা রইলো।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৩৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করেছেন।

চাদের বুড়ি সম্পর্কে যা বলেছেন আমরা ছোট বড় সবাই ছোট বেলায় এই গল্প কোন না কোন সময় শুনেছি, এই গল্পগুলো আমাদের কল্পনার অন্য এক রাজ্যে নিয়ে যেত।

চাঁদ নিয়ে ছড়া এবং চমৎকার কিছু গান শেয়ার করেছেন, প্রতিটি গানই বেশ জনপ্রিয়।

চাঁদ রহস্যময়, সুন্দর, বিচিত্র অনেকটা একই অঙ্গে অনেক রুপ টাইপের!

৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শীতের রাত যত গভীর হয়, চাঁদ ততো নীচে নেমে আসে। গ্রামে গেলে গভীর রাতে মনে চাঁদ যেনো লম্বা নারিকেল গাছের উপরে এসে বসেছে। চমৎকার লিখেছেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:৩৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: চাঁদ আছে বলেই রাতের পৃথিবীটা সুন্দর, নয়ত পৃথিবীটা আরো ঘন অন্ধকার থাকত, বিশেষ করে গ্রাম বাংলা রাতের আকাশ এত ভাল দেখা যেত না।

ধন্যবাদ গোফরান সাহেব মন্তব্যের জন্য।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১৯

করুণাধারা বলেছেন: আয় আয় চাঁদ মামা দিয়ে অতি শৈশবে চাঁদকে চেনা শুরু, তারপর অসংখ্য গান গল্প কবিতায় চাঁদকে চেনা আর চাঁদে অভিযানের বর্ণনা শোনা। এর বাইরে চাঁদ নিয়ে তেমন জানা ছিল না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে চাঁদের আদ্যোপান্ত জানা গেল। ফিচার প্রতিযোগিতায় আপনার ফিচারের বিষয় সিলেকশন এবং বর্ণনা দুটোই ভালো হয়েছে। শুভকামনা রইল প্রতিযোগিতায় সাফল্যের জন্য।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫০

কাছের-মানুষ বলেছেন: "আয় আয় চাঁদ মামা" শুনে নাই এমন বাঙ্গালী মনে হয় এই গ্রহে নেই! গল্প, কবিতা, শিল্প সাহিত্যে চাঁদ সত্যিই এক বড় জায়গা দখল করে রেখেছে। আমি চেষ্টা করেছি আমাদের একমাত্র এই উপগ্রহ নিয়ে লেখাটায় গুরুত্বপূর্ন্য সব তথ্যগুলোর সন্নিবেশ ঘটাতে। বিজ্ঞান নিয়ে কিছু লেখতে মন চাইল তাই ভাবলাম চাঁদ নিয়েই লেখি।

লেখাটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।

৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৩

বিটপি বলেছেন: চাঁদ হচ্ছে রাতের আকাশে সবচেয়ে চিত্তাকর্ষক মহাজাগতিক বস্তু। পৃথিবীর মানুষের জন্য সময় ও দিক নির্দেশক। চাঁদ যদি পৃথিবীকে কেন্দ্র করে না ঘুরত, তাহলে পৃথিবীতে প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশই সৃষ্টি হতনা। ধারণা করা হয়, বুধ গ্রহ আগে শুক্র গ্রহের উপগ্রহ ছিল এবং তখন শুক্র প্রাণ ধারণের উপযোগী গ্রহ ছিল। পরবর্তীতে সূর্যের প্রবল আকর্ষণে বুধ শুক্রের কক্ষপথ থেকে বিচ্যুত হওয়ায় শুক্রের স্বাভাবিক আহ্নিক গতি ব্যহত হয় এবং বর্তমান হেল প্লানেটের মত পরিবেশ তৈরি হয়।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫১

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ন্য তথ্যের জন্য। আপনি সঠিক বলেছেন চাঁদ না থাকলে আমাদের এই গ্রহ বসবাস উপযোগী হত না তাছাড়া সময়, দিক, জলবায়ু, আমাদের সংস্কৃতিতে চাদের অবধান অনেক।

১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: “কেউ চাদের মাঝে নিজের প্রেয়সী দেখে কেউবা ঝলসানো রুটি”
অনেক বাঙ্গালী চাঁদের মাঝে অন্য কারো চেহারা মুবারকও দেখে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫১

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন, এই বাক্যে আমি আপনার সাথে একমত।

১১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- চমৎকার পোস্টটিতে প্রথমেই প্লাস রইলো। খুবই চমৎকার লেখা হয়েছে।

যাইহোক ৫ বিলিয়ন বছরের মধ্যেই সূর্য তার জ্বালানি হারিয়ে সুপার নোভা বা ব্ল্যাক হোলে পরিণত হবে! তবে তার আগেই মানুষ জাতী পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে সেটা খুব সহজেই বলা যায়!

সূর্য সম্ভবতো সুপার নোভা বা ব্ল্যাক হোলে পরিণত হওয়ার কথা নয়।এই তথ্যটুকু একটু চেক করে নিবেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫২

কাছের-মানুষ বলেছেন: মন্তব্য এবং পোষ্টে প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

সূর্য্য যখন তার সব হাইড্রোজেন পুড়িয়ে ফেলবে তখন এর মূত্যু ঘটবে তবে আপনি সঠিক ব্ল্যাক হোল বা সুপারনোভা আকারে বিস্ফোরিত হবে না কারন এর জন্য সূর্য্যের পর্যাপ্ত পরিমাণ ভর নেই, আমি এই বাক্য পরিবর্তন করে দিয়েছি লেখায়।

১২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরে বাবা একদম চন্দ্রপ্রভাময় পোস্ট !! সেই চরকাকাটা চাঁদের বুড়িটার চেহারা ও দেখে নিলাম। আমার কাছে ও চাঁদ একটু রোমান্টিক ভাবনাময়ই। এর আদ্যপান্ত নিয়ে তেমন ভাবি নাই কখনো। ভালোলাগা পোস্টে।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫২

কাছের-মানুষ বলেছেন: হুম চাঁদ আর চাদের বুড়ী ওতপ্রোতভাবে জড়িত, এই গল্প শুনে নাই এমন কেউ নেই মনে হয়! চাঁদ না থাকলে আমাদের রাতের পৃথিবীটা এতটা সুন্দর হত না।

ধন্যবাদ আপনাকে। পোষ্ট ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।

১৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

আরইউ বলেছেন:




"আমাদের একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ"।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
যেহেতু চাঁদ নামটি সরাসরি উল্লেখ্য করা হয়েছে টাইটেলে সেহেতু এখানে প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম এই দুইয়ের সাথে গুলিয়ে ফেলার কোন সম্ভাবনা নেই!

১৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০১

আরইউ বলেছেন:



মিলিয়ে ফেলার প্রশ্নই আসেনা, কাছের মানুষ। আমিও ঠিকঠাক বুঝতে পেরেছি। আপনার লেখাতো আর সায়েন্টিফিক জার্নালের জন্য নয় সুতরাং টেকনিকালিটি বাদ দেয়াই যায়।

তবে পাংটেলিয়াস স্বভাবের কেউ পোস্ট পড়লে বলবে আমাদেরতো আরো উপগ্রহ/স্যাটেলাইট আছে -- বাংলাদেশইতো কিছুদিন আগে একটা পাঠালো মাহাকাশে।

শুভকামনা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪২

কাছের-মানুষ বলেছেন: মিলিয়ে ফেলার প্রশ্নই আসেনা, কাছের মানুষ। আমিও ঠিকঠাক বুঝতে পেরেছি। আপনার লেখাতো আর সায়েন্টিফিক জার্নালের জন্য নয় সুতরাং টেকনিকালিটি বাদ দেয়াই যায়।

আমি আসলে এখানে আপনাকে মিন করিনি, আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। আমার বিশ্বাস পাঠকও বুঝতে পারবে।

যদি টাইটেল শুধু মাত্র "আমাদের একমাত্র উপগ্রহ" এরকম হত তাহলে এখানে অবশ্যই প্রাকত্রিক বা কৃত্রিম স্পিসিফাই করার দরকার হত, যেহেতে উপগ্রহের নাম উল্লেখ্য আছে সরাসরি, আমার যুক্তিতে কৃত্রিম নাকি প্রাকতিক এই ব্যাপারটা অপশনাল এই ক্ষেত্রে। তারপরও কোন পাঠক যদি না বুঝতে চায় ব্যাপারটা দুঃখজনক হবে!

১৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৩

রানার ব্লগ বলেছেন: ভাবুন একদিন সকালে উঠে আকাশে তাকিয়ে দেখলেন চাঁদ আর তার জায়গায় নাই । কেমন হবে ব্যাপারটা ? বিজ্ঞান কিন্তু এটাই বলে একদিন চাঁদ তার কক্ষপথ ত্যাগ করে অজানার উদ্দ্যেশে পাড়ি দেবে ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমি এই ব্যাপারে উপরে লেখেছি। চাঁদ না থাকলে কি হবে আমাদের এই গ্রহের উপরে বিস্তারিত আছে, এবং প্রতি বছর চাঁদ আমাদের থেকে আড়াই ইঞ্চি করে দূরে সরে যাচ্ছে, এর পরিনতি কি হবে সেটাও আছে লেখায়।

আপনাকে ধন্যবাদ।

১৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৫

নতুন বলেছেন: চাদ আমাদের খুবই কাছের জিনিস।

ছোট বেলায় আয় আয় চাদ মামা দিয়ে শুরু, হুমায়ুন আহমেদের চাদনী পশর রাইতের গান, কবিতা, সাহিত্যের প্রভাবে শিদ্ধাথের মতন গৃহত্যাগী হবার বাসনা আমাদের প্রজন্মের অনেক মনেই জেগেছিলো। :D

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন, চাঁদ নিয়ে সেই আধিকাল থেকেই মানুষের কৌতুল, ভাবনা ছিল, এবং একে ঘিরে উঠেছে বিভিন্ন লোকগল্প গড়ে উঠেছে তাই মানুষ প্রযুক্তিতে উন্নত হবার সাথে সাথে প্রথমেই চাদকে জয় করেছে! হুমায়ূন আহমেদতো ব্যাপারটা অন্য পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। চাদনী পশর গানটি আমার প্রিয় এর তালিকায় আছে।

পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

১৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৬

ঈশ্বরকণা বলেছেন: "যাইহোক প্রথমেই চাঁদ কিভাবে নাযিল হল সেই ব্যাপারে বলা যাক। চাঁদ কিভাবে নাযিল হল এই নিয়ে বিজ্ঞান মহলে বিভিন্ন তত্ত্ব আছে।" এই সেন্টেন্স দুটো লেখার চমৎকারিত্বটাকে অনেকাংশেই ম্লান করে দিয়েছে বলে আমার মনে হলো । 'চাঁদ কিভাবে নাযিল হল ' বলে আপনি অবশ্যই কোনো শরিয়া আইন ভঙ্গ করেননি ।আপনার ইহলৌকিক বা পারলৌকিক কোনো শাস্তির আশংকাও নেই এই কথাটা ব্যবহারের জন্য । তবুও মনে হলো বিজ্ঞান সম্পর্কিত লেখা হিসেবে এই সেন্টেন্স দুটোর কারণে ফিচারের গাম্ভীর্য নষ্ট হয়েছে । কারণ 'নাজিল' এই আরবি কথাটা আমরা খুব স্পেসিফিক অর্থে ব্যবহার করি বাংলায় তাই সেটা এই লেখায় ব্যবহার করাটা স্বাভাবিক লাগছে না ।

যাহোক, বিজ্ঞান সম্পর্কিত লেখা হিসেবে চাঁদ সৃষ্টির বর্তমানের অন্যতম লিডিং থিওরি -Giant-impact থিওরিটা আরেকটু বিস্তারিত হতে পারতো । নভোচারীদের চাঁদের বিভিন্ন প্রপার্টিজের (যেমন রক স্যাম্পল) আইসোটোপিক সিগনেচার যে পৃথিবীর শিলাখণ্ডের সাথে খুবই সাদৃশ্যপূর্ণ, আর পৃথিবীর শিলাখন্ডের থেকে মঙ্গলের শিলাখণ্ডের আইসোটোপিক সিগনেচার যে ভিন্ন যার ভিত্তিতে Giant-impact থিওরিটা খুবই বিশ্বাসযোগ্য সে বিষয়গুলো আসতে পারতো লেখায় সংক্ষিপ্ত করে হলেও । তাতে লেখাটা আলো কম্প্রিহেন্সিভ হতো । সংক্ষপে অবশ্য লেখা খুব সুন্দর হয়েছে অন্যদের মতো আমিও সেটা বলছি ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য। আপনি মনোযোগি পাঠক।

নাজিল শব্দ নিয়ে আমার বেশী কিছু বলার নেই, তবে শরিয়া আইন এর সাথে এটার সম্পর্ক নেই আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। তবে আমি কেন ব্যাবহার করেছি এটা এখানে কোন রকম জাস্টিফাই করব না। আপনি পাঠক, শব্দচয়নের ব্যাপারে আপনার বলার অধিকার আছে।

মন্তব্যের দ্বিতিয় অংশ নিয়ে বলি, আসলে চাঁদ নিয়ে এই পোষ্টে আমি চেষ্টা করেছি চাদের ৩৬০ ডিগ্রি মানে বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে বর্ননা করতে, অতিরিক্ত তথ্যের ভারে যাতে ভারি না হয় এবং খুব কম তথ্যও যাতে না থাকে। তাই শুধু -Giant-impact থিওরিই নয়, চাদে মানুষ পাঠানো নিয়েও বিশাল পোষ্ট লেখা যায়, চাঁদ আমাদের মানব অসভ্যতা, ধর্ম, কালচারকে কিভাবে প্রভাবিত করছে এগুলো প্রত্যেকটাই আলাদা বিশাল আকারে লেখা যায়। তবে প্রতিটি লেখায় আমি একটি উদ্দেশ্য নিয়ে লেখি যাতে একেবারে পত্রিকার পতিবেদনের মত না হয়ে যায়, সাহিত্যরস বা সাহিত্যগুন বজায় থাকে, আমার দৃষ্টিকোন থেকে যৌক্তিক একটি পর্যায়ে এবং যতটুকু পাঠকের জানানো উচিৎ ততটুকু মনে করি সেটুকু লেখার চেষ্টা করি। তবে কতটুকু জানাব এই সীমারেখে পাঠক বেদে ভিন্ন হতে পারে, এটা আমার জাজমেন্ট, আমার মতের সাথে সবার মত নাও মিলতে পারে।

১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: এখন পর্যন্ত যেকটা ফিচার পড়লাম, আপনার টাই সবচেয়ে ভালো লেগেছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: চাদের সাথে আমাদের জীবিন এবং কালচারের সরাসরি মিলবন্ধন আছে, তাই এই লেখাটা আপনাকে হয়ত ছুয়ে গেছে।

তবে আপনার মন্তব্য পড়ে অহংকারে আর মাটিতে আর পা রাখতে ইচ্ছে করছে না!

১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ভীষন ভালো লাগলো!

চাঁদ কেমনে জন্মালো তার মতবাদ আর না থাকলে কি হত জেনে আমি অবাক।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫০

কাছের-মানুষ বলেছেন: মানুষ তার দৃষ্টিকোন থেকে সব কিছুর একটা ব্যাখ্যা দার করানোর চেষ্টা করে, এটা হিউম্যান নেচার, যখন ব্যাখ্যা করতে নাও পারে তখন অতিপ্রাকৃতিক কোন বিষয়বস্তু এনেও ব্যাখ্যা দাড় করানোর চেষ্টা করে! প্রাচীনকালে যখন মানুষের জ্ঞান সীমিত ছিল তখনও চাঁদ নিয়ে নিজস্ব ব্যাখ্যা ছিল সেটা হয়ত অতিপ্রাকৃতিক!

ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



চাঁদের তারিখ ও চাঁদ নিয়ে অতীতের মানুষের ভাবনা ও চাঁদের সাথে আমাদের গ্রাম বাংলার সম্পর্ক নিয়ে সময় ও সুযোগ করে আমি লিখবো। আপনার লেখাটি প্রিয়তে রাখছি বেশ কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত আপনার লেখায় পাওয়া গিয়েছে।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৩৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: চাদের সাথে সমস্ত মানবজাতির সম্পর্ক ঘনিষ্ট, চাঁদ পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে আমাদের গ্রহ এবং জীবনকে প্রভাবিত করে।

আপনি লেখুন, পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.