নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে আমি খুঁজে ফিরি; হাড়িয়ে যাওয়া স্বপ্নের মেঠোপথে.।

চরিত্রহীন মোড়ল

https://www.facebook.com/baejid.active

চরিত্রহীন মোড়ল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি শিরোনামহীন ভাবনা...কি হতে পারে হেডলাইন !কাচা মাথায় আসলো না ...পড়ে নাম দিন

১৪ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

গতকাল সন্ধার পরে একটু মার্কেটে গেলাম এটা ঐটা দেখতে দেখেতে অনেকক্ষণ কেটে গেলো ..কিছুক্ষণ পর একটা দোকানে প্রবেশ করলাম এমন সময়ই পাশের কয়েকটি দোকানের হঠাৎ সাটার লাগানোর আওয়াজ কানে আসলো ।।তাকিয়ে দেখি তাড়াহুড়ো করে দোকানিরা তাদের দোকান বন্ধ করছে।।আমি ব্যাপারটা দেখে বেশ হচকচিয়ে গেলাম। ভাবলাম কোথাও কোন মারামারি হচ্ছে বা আগুন লেগেছে। আমার দোকানিও দেখি তাড়াহুড়া করে আমাদের খেদিয়ে বের করে দোকান বন্ধ করে দিয়ে বললো ভাই আজকে আর বেচুম না । আমি বললাম কেন? ক্যন আপনি জানেন না ।।হিন্দু নাকি ? আমি আবার বললাম কি হল ।।তার প্রতি উত্তরে সে বললো ভাই নামাজ পড়তে হবে !(আমার মনে খুশি ধরে না দেশে নামাজের সময়ে এই সুন্দুর একটা নিয়ম চালু হওয়া তে.) তয়ে আমার খুশি বেশিক্ষন টিকলো না ..আমি আমার তাকে জিগাইলাম কি ভাই ইশার নামাজ পড়বেন? উনি বললেন না ভাই আজ শবে বরাতের নামাজ ।।ও তাহলে এই কথা ।।?অনেকে হয়ত অনেক দলিল নিয়ে বসে আছেন শবে বরাতের পক্ষে বা বিপক্ষের ! আমি সেদিকে যাচ্ছি না গত কালকের মানুষদের আচরণ দেখে আমি বলতে পারি ।যেখানে পাচ ওয়াক্তের নামাজের বা জুমার সালাত কোন দিক দিয়ে চলে যায় তা মানুষ এমন অচেতন হয়েছে টেরই পায় না আর এই নফল নামাজের জন্য যা হরোহুড়ি ।।ফজর নামাজের সময়ে অনেক মসজিদে নামাজের এক কাতার মসুলী পেতে আশে পাশের কাউ কে মৃত হতে হয় বা অনেক বেগ পেতে হয়। অনেক সময় অনেক মসজিদে একজন নাজাম পড়ানোর মত ইমাম ও পায় না । হাজার বছর বা হাজার রজনী নফল সালাত আদায় করে কি ফজরের ২ রাকাতের নামাজের সমমান বা সমতুল্য হবে ? গত বছর বিটিভি তে রাত ১১ টায় দেখলাম আমাদের র‌্যান্ড ইমাম সালেহ উদ্দিন সাহেব শবে বরাতের গুরুত্ব আলোচনা করতে গিয়ে বলেন আমাদের সমাজে এ্মনিতেই মানুষ নামাজ পড়ে না এই দিন উপলক্ষ্যে কিছু মানুষতো নামাজ পড়ে । বাহ কথাটা অনেক সুন্দর! কি সুন্দর যুক্তি! এই সব যুক্তি দিয়ে তিনি বা অনেকেই আমাদের সামনে এই জগণ্য বিদাত কে প্রতিষ্ঠা করছেন। বলেন নামাজ পড়লে ক্ষতি কি ? আমি বলি সকল রুকু সেজদা তো আমরা আল্লাহর জন্য দেই তাহলে মাগরিবের সালালতে ৩টি রুকু ৬ টি সেজদাহ না দিয়ে ৪ রুকু আর ৮ টি সেজদা দিলে কি ক্ষতি ? এক রাকায়াত আল্লাহর জন্যই তো বেশি পড়া হবে ! পারবে পড়তে? না পারবে না কারন আমাদের শিক্ষক মুহাম্মদ সঃ এভাবেই বলে গেছেন । এর বাহিরে যাওয়া যাবে না ! বেটা ক্ষতি বা লাভ আল্লাহ আর আল্লাহর রাসুলের চেয়ে কি তোমরা বেশি বুঝ? নামাজ পড়লে ক্ষতি কি যুক্তি দিয়ে আমাদের এই সব গিলাচ্ছো? সকল বিদাত জান্নামের আগুন সেটা আখিরাতে, আর দুনিয়াতে? সুন্নাহ কে অস্বীকার করা বা সুন্নাহর উপরে মাতব্বরী করা ? নাস্তিকেরা তাদের বিশ্বাসের বলে আমাদের নবী সঃ কে তারা অপমান করে , আমাদের কাছে তারা অপরাধী তাহলে এই দুনিয়াবী আলেমরা আমাদের নাবী সঃ দেখানো পথে না গিয়ে নিজেদের মনমত শরিয়ত তৈড়ি করে মাতব্বরীর আপরাধে কেন শনাক্ত হবে না .?..আমাদের বেশি সালাত লাগবে না দৈনিক ১৭ রাকাত পাচ বারে আদায় করল্লেই চলবে আর তার সাথে ১০ বা ১২ রাকায়াত নফল বা সুন্নাত তাহক্লেই তাতাই ঢের ।যে যেখানে যে অবস্থায় থাকবে তাকে সেই অবস্থায় সেখানেই সালাত আদায় করতেই হবে।।কারন রাসুল সঃ বলেন মুমিন আর কাফেরের পার্থক্য হল সালাত- মুসলিম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.