নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে আমি খুঁজে ফিরি; হাড়িয়ে যাওয়া স্বপ্নের মেঠোপথে.।

চরিত্রহীন মোড়ল

https://www.facebook.com/baejid.active

চরিত্রহীন মোড়ল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটু উদ্যোগ নিলে গ্রামের মানুষগুলো খুশি হয়...।এবং ঈদের প্রস্তুতি হিসেবে আমাদের নগরের নাগরিকদের একটি উদ্যোগ..

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আপনাদের নিকট ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এটা আমাদের গ্রামের একটি উদ্যোগ যা এখানে পোস্ট দেওয়াটা একটি অপ্রাসংগিক...এখানে শেয়ার করার উদ্দ্যেশ্য হলো এই রকম উদ্যোগ যদি কেউ নেয় বা জেনে নিল তাহলে তো লাভই ...
///“সাহস করে বলে ফেলি আমি এই গ্রামের আলো হাওয়ায় বড় হয়েছি; গ্রামের প্রতি আমার কিছু ঋণ আছে!”///
বাংলাদেশের গ্রাম দেখতে ছবির মত সুন্দর। অনেক গ্রামের মধ্যে নাগাইশ গ্রামটি সবচেয়ে বেশি সুন্দর। বিশেষ করে বর্ষাকালে নাগাইশের সৌন্দর্য্য বহুগুনে বেড়ে যায়।বর্ষার থই থই জলের মৌসুমে দেখলে মনে হনে বিশেষ কোন পর্যটন এলাকায় এসেছি। আমার কাছে মনে হয় মালদ্বীপের কোন এক অঞ্চলে আমরা এসেছি। বর্ষার থই থই জলে মনে হয় একেকটা বাড়ি এক একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ থেকে উপদ্বীপ। বাহিরের থেকে কেউ আসলে এর সৌন্দর্য্য দেখে বিমোহিত হয়। আমাদের গ্রামটা হিমালয়ের মত বড়। এই এত বড় আর এত সুন্দর গ্রামের মানুষ গুলো এত বড় আর এত সুন্দর মনের হতে পারিনি। যুগে যুগে দুই একজন যুগশ্রেষ্ঠ হয়েছেন তাদের কে ভাংগিয়ে ভাংগিয়ে আমরা খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলি। আজ এই সময় এসে কিছু তরুন উপলব্ধি করে, “না” এভাবে আর না আমাদের গ্রাম আমাদের কে সাজাতে হবে! আমাদের সম্পর্ক আমাদেরকেই রক্ষা করতে হবে! আমাদের সৌহার্দ্য আমাদেরকেই দেখাতে হবে ! আমাদের প্রতিষ্ঠান আমাদেরকেই উন্নয়ন করতে হবে!
গত ঈদে আমরা একসাথে ঈদ্গাতে নামাজ আদায় করতে পারিনি । দেখা করতে পারিনি একে অপরের সাথে । কি এক শুন্যতা আমাদের গ্রাস করেছিলো? মনের ভিতর কি একটা হাহাকার ছিলো তা ভাষায় লিখে প্রকাশ করার মত না। তখন এই শুন্যতাকে পূরণ করার জন্য এগিয়ে আসে কিছু তরুণ; গা ঝাড়া দিয়ে বলে উঠে আগামী ঈদ থেকেই আর যত ঈদ আসবেই আমরা একসাথে এক ঈদ গায়ে নামাজ পড়বো , মিলিত হবো , কোলাকোলি করবো হেসে ঈদের আনন্দ শেয়ার করবো। উত্তরপাড়ার ছেলেরা দক্ষিণ পাড়ার ছেলেদের দাওয়াত দিবে, দক্ষিণ পাড়ার ছেলেরা উত্তর পাড়ার ছেলেদের দাওয়াত দিবে। এভাবে মিলিত হবে এক মাঠে এক ছাদে।সারা ইদগা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিবো। রোদ বৃষ্টি যাই থাকুক ,আগামি ঈদ আমরা একসাথে থাকছি এটাই শেষ কথা। সত্যিই এক সাহসেরই কথা! এই রকম সাহসী ছেলেদের পাশে কি আমরা এগিয়ে আসবো না ? নাগাইশ গ্রামে এখন টাকা কোন সমস্যা না। সমস্যা যা ছিলো সৎসাহস আর উদ্যোগের। এই রকম এক উদ্যোগের পাশে থেকে আমরা যদি তাদের উদ্দমকে এগিয়ে যেতে সাহায্য না করি, তাহলে আগামীতে এই উদ্যোগ নেওয়ার লোক খুজতে হলে আমাদেরকে গুগলে খোজতে হবে। আর এই উদ্যোগ ব্যর্থ হলে লজ্জা কি আমরা পাবো না ? মানুষ বলবে এই তরুণেরা ভুল জায়গায় জন্ম নিছে? বড় অসময়ে তাদের জন্ম হলো...আজ আমরা যদি তাদের পাশে না আসি আমাদের বিবেক কি আমাদেরকে ছেড়ে দিবে? একদিন ভাল খাওয়ার জন্য কিংবা একটি নতুন কাপড় কিনার জন্য আমরা আমাদের স্বপ্ন কে পায়ে ডলে মেড়ে ফেলেছি?আমরা অসভ্য শিক্ষা দীক্ষাহীন নর বানরের মত আচরণ করে ফেলেছি! চিৎকার করে বলি না আমরা অসভ্য আর নর বানর নই।আমরা এই স্বপ্ন গুলোকে বাচাতে পারি,আমরা এই স্বপ্নগুলোকে লালন করতে পারি।
না আমরা নির্বাক হয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকবো না, আমরা এগিয়ে আসবো , আমাদের সামনে স্বপ্নের মৃত্যু হতে দিতে পারিনা ।আমরা এই প্রজন্ম ইতিহাস করতে চাই। হিমালয়ের মত বড় আর ছবির মত সুন্দর হতে চাই।আমরা কি পারি না এই এক ইতিহাসের সংগী হয়ে এক নতুন ইতিহাস রচনা করতে? ইতিহাসে নাম লিখাতে? মাত্র ৬০০০০ ষাট হাজার টাকা হলেই নতুন এক ইতিহাসে নাম উঠবে নাগাইশ। মাত্র এক হাজার (১০০০) টাকা করে ৬০ জন ব্যাক্তি দিলেই হয়ে যাবে নতুন এক ইতিহাস। মাত্র ৬০ জন...। ৬০ লোক কি খুজে পাবো না ? আমি তো মনে করে আমাদের এক বাড়িতেই এই রকম ৬০ জন অনেক ব্যক্তি আছে? এই শিক্ষা আর সমৃদ্ধির যুগে আমরা কি ৬০ জন ছেলেকে পাবো না, নতুন ইতিহাস তৈরি করতে...। মাত্র ৬০ জন ব্যক্তির জন্য কি আমাদের হাহাকার করে বেড়াতে হবে? ধরনা দিতে হবে পাশের গ্রামের মানুষের কাছে? হাত পাত হবে অন্য মানুষদের নিকট? আমরা কি এতই দ্বীনহিন আর অসহায় অবস্থা পড়ে গেছি ? হাজার না হোক শত শত ছেলে আজ প্রবাস থেকে শুরু করে ভালো ভালো জায়গায় চাকুরি করছে। ভাই যারা এই লেখাটি পড়েছেন একটু ভাবুন আপনি কি পারেননা মাত্র একটা হাজার টাকা দিয়ে নতুন ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকতে...আমি এক হলাম বাকী থাকে ৫৯ জন ...যারা যারা ৫৯ জনের এক জন হতে চান তারা এই গ্রুপের এডমিনের সাথে যোগাযোগ (০১০০০০০০০) করুন...ইতিহাস এখানেই শুরু তবে শেষ নয়.........।
আমাকে চিনতে চাইলে আমি যেখানে

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

বললেন টাকা সমস্যা নয়; এখন মনে হচ্ছে, টাকা সমস্যা

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১২

চরিত্রহীন মোড়ল বলেছেন: টাকা সমস্যা নয় ; সমস্যা হল ইচ্ছের।।আর আমরা সেই দিকেই মানুষদের আহবান জানাচ্ছি...এখানেই কারোর টাকা আমরা চাইনি।।যা চাচ্ছি এই রকম উদ্যোগ হতে পারে আরো যে কেউ চাইলে তার গ্রামে বা মহল্লায়। মন্ত্যবের জন্য ধন্যবাদ

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

কিছু একটা করছেন, করেন; তবে, বিরাট কিছু বলে মনে হচ্ছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.