নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে আমি খুঁজে ফিরি; হাড়িয়ে যাওয়া স্বপ্নের মেঠোপথে.।

চরিত্রহীন মোড়ল

https://www.facebook.com/baejid.active

চরিত্রহীন মোড়ল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ফালতু চারপাশে আমরা ক\'জন নর্দমার কীট নামক পাশবিক মানুষ...।একটি বাস্তব ঘটনার ইতিবৃত্ত

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

হঠাৎ করে ২০১১ সালে একটি মেয়ের প্রেমে পরে যাই। সে এক লাইলী মজনু হারমানার কাহিনী। তো কোন এক রাত্রে নিজের সাথে বোঝাপড়া শেষ করে প্রেমের ডাকে সারা দিয়ে দেই। তখন আমি গভীর প্রেমে আচ্ছণ্ণ মোবাইলে রাত জেগে কথা বলার নেশা পেয়ে বসল। অবশ্য সে প্রেম বেশি দিন টিকেনি। কোন মেয়ের পক্ষ্যেই সম্ভব নয় কোন কাঠ কয়লা আর আবেগহীন মানুষের সাথে সম্পর্ক কন্টিনিউ করা। যথারীতি সম্পর্ক কয়েকদিন পরই ব্যাক টু দ্যা প্যাভিলিয়নে। যদিও আমি নিজেকে যথেষ্ট রোমান্টিক দাবি করতাম । এই প্রেমে না পড়লে বুঝতামই না, এই দাবী ছিল কত অসাড় আর মূল্যহীন । শরতের কোন এক রাত্রে ব্রীজের উপরে বসে কথা বলছি, রাত তখন ঘড়ির কাটা ১ টা পেড়িয়ে ২ এর দিকে দ্রুত দৌড়াচ্ছে। রাস্তায় মানুষ জন নেই । দূরে কোথাও ব্যাঙ্গের ডাক ভেসে আসছে। ঝি ঝি পোকারা ডেকে ক্লান্ত হয়ে আছে। আমার চারপাশে পিনপতন নিরবতা। বাড়ির পাশের লাইটের আলোতে কত গুলো কীটপতংগ লাফাচ্ছে। এই অন্ধকার রাতে ভয়ে গা গা জম জম অবস্থা । আমি একা ব্রীজের রেলিং এর উপরে শুয়ে শুয়ে কথা বলছি। হঠাৎ পাশ ফিড়ে দেখি একটা ছায়া মুর্তি। আমার শরীর তখন অসার, মেরুদন্ড বরাবর চিকন ঘাম বেয়ে পড়ছে । সজারুর মত কাটা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে গায়ের লোমগুলো। আমি কি করবো? কিংকর্তব্যবিমূর হয়ে তাকিয়ে বুঝার চেস্টা করছি ঘটনটা কি ? ফোনের অপাশ থেকে হেলো শব্দ শুনে আমি বাস্তবে ফিড়ে আসি। ছায়া মুর্তি তখন আমার পা স্পর্শ করবে এমন সময় আমি বল উঠলাম কে? ছায়া মুর্তি হু হা হা করে হেসে উঠে বলল আমাকে চানাচুর খাওয়াবি আমি তোরে চু...তে দিবো। আমি ভালো করে তাকিয়ে দেখি একটা মহিলা । যাকে আমরা পাগলী বলে জানি। আমি বললাম ঠিক আছে। এই বলে দিলাম এক দৌর। এক দৌরে দূরের লাইটের আলোর নিচে গিয়ে দাড়াই । তখন সে বলে দৌরাস কা ? ডড়াইছস? আমি কোন কথা না বাড়িয়ে ঘরে চলে যাই। এটা ভেবে সারা রাত আর ঘুমাতে পারেনি। সকাল বেলা বন্ধুবর টিটুর সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করলাম । সে শুনে অনেকক্ষণ চুপ করে ভেবে বলল তুই ভাবছস এই আর আমি ভাবছি অন্য কথা। তখন আমি বললাম কি ? তখন সে বলল তাকে কেউ রাতের বেলা হলে এই সব লোভ দেখিয়ে নিজের লালসা মিটায়। যার কারণে এই লোভে চানাচুর খোজে । তার কাছে চানাচুর খাওয়াটা একটা নেশার মত হয়েছে। তার বিশ্বাস চানাচুর দিয়ে পুরুষমানুষ এই কাজ করে। আমি তার ব্যাখা শুনে অবাক হয়ে গেলাম । আমি নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারেনি এমন একটি সমাজে আমরা বেড়ে উঠছি যে সমাজে পাগল আর অসহায় মায়েরা নিরাপদ নয়। কার এত কাম যে এই রকম একটা ঘৃণ্ণ জগন্য কাজটা করতে পেরেছে? তার রুচি কোন ধাতুতে গড়া এই সমস্থ বিকৃত মানসিকতা কিভাবে আসে? আমি বুঝতে পারিনি? মানুষ এত এত অসুস্থ্য হয়ে কি করে? তার এতো রুচির বিকৃত হয় কিভাবে?নামতে নামতে কত নীচে নামতে পারে? নর্দমার কিট আর শিয়াল কুকুর হায়েনার মত তার ব্যবহার হলে লজ্জা কি পশুরা পাবে না?
অনেক দিন আগে একটা সিনেমা দেখেছিলাম সিনেমার নাম ছিলো “ফালতু”। গ্রামের সবাই ফালতু নামে নায়ককে নিজের সন্তানের মত আদর করে। সবাই তাকে খুব ভালোওবাসে। ফালতু ছিলো জারজ সন্তান ।গ্রামের পাগল বুড়ির ছেলে। এসব দেখলে মনে হবে গ্রামের মানুষগুলো কত দয়ালু আর ভালো মানুষ! একটা জারজ ছেলেকে এভাবে নিজের সন্তানের মত লালন পালন আর আদর সোহাগ দিয়ে মানুষ করছে। ছেলে হিসেবে ফালতুও খুব ভালো। বিপত্তিটা আসে ফালতুর বিয়ের সময়। কেউ আর নিজের মেয়েকে বিয়ে দিতে চাচ্ছে না? অপর দিকে ফালতু একটা মেয়েকে ভালোবেসে ফেলে। গ্রামের সবাই বলল ঠিক আছে তাহলে তার সাথেই ফালতুর বিয়ে হবে, অন্য মেয়ের বাবারা হাফ ছেড়ে বাচে। গ্রামের মাস্টার মশাইসহ আরো অনেকে যখন মেয়ের বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ,তখন মেয়ের বাবা কিছুতেই রাজি হয়না। একপর্যায়ে গ্রামের মানুষেরা চাপাচপি শুরু করে আর বলে কেন বিয়ে দিতে চাচ্ছেনা না? তখন তিনি আর চেপে রাখতে পারেনি। তখন সবাইকে অবাক করে বলে, ভাই বোনে বিয়ে হতে পারেনা । ফালতু আমার সন্তান। এই কথা শুনে মেয়েওটি পড়ে আত্নহত্যা করে বাবাকে নিষ্কৃতি দিয়ে যায়। মেয়েটির বাবা সহ গ্রামের সকলেই সুযোগ বুঝে বটতলার পাগলি বুড়ির কাছে যেত। এই হলো সমাজ যেখানে একজন ফালতুর জন্ম হয় কিছু মানুষের পাপাচার আর পাশবিক মানসিকতায়। ভাব বিশ্বাস মানবিক মানসিকতা ও চেতনায় মানুষ হতে পারলে; এই সমাজ একদিন সুস্থ হবে, যেদিন আমরা মানুষ হতে পারবো...জন্ম গ্রহণে নয়…

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


নতুন পয়গম্বর

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

চরিত্রহীন মোড়ল বলেছেন: আমি জানি আপনি অনেক জ্ঞানী গুনি সভ্য ।।তয় আপনার এই সব সস্তা লেখা ভালো নাই লাগতে পারে,এটাতো স্বাভাবিক ।।আমিতো আপনাকে জোর করছিনা।।আপনার এতো ফাটে ক্যান।।কোন জায়গায় আপনার চুলকানি আছে।।থাকলে মনো কবিরাজের কাছ থেকে মলম লাগিয়ে চুলকানো সারীয়ে নিন ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.