নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে আমি খুঁজে ফিরি; হাড়িয়ে যাওয়া স্বপ্নের মেঠোপথে.।

চরিত্রহীন মোড়ল

https://www.facebook.com/baejid.active

চরিত্রহীন মোড়ল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজন ও রাকিবে ত্যাগে আমরা চাই নতুন বাংলাদেশ, মানুষের একটি জনপদ

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

আজ যদি বলি বাংলাদেশ একধাপ এগিয়েছে। তা বললে ভুল হবে না। স্বাধীনতার পর মনে হয়ে এই প্রথম বাংলাদেশ দেখলো; আইনের বিচার বা আইনের প্রায়োগিক ব্যবহার। এই প্রথম দেখাতে পেরেছে বলে মনে হয়!রাজন ও রাকিবের হত্যা বিচার পাবে বাংলাদেশের অনেক আশাবাদীর মতো আমিও প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু এই বিচার বা বিচারের রায় এতো দ্রুত হবে তা আমার প্রত্যাশার বাহিরে ছিলো । মানুষ এই নিরাপত্তাটুকু চায় ।শুধু চায় বিচারের বানী যেন নিভৃতে না কাদে। চুরি,ডাকাতি,হুমকী, হত্যা ,গুম, হয়রানী ও ধর্ষণ হয়তো একেবারে নির্মূল করা সম্ভবপর নয় । কিন্তু এটা কমে যাবে যখন এই সব অপরাধের বিচারের আওতায় এনে দূর্বিত্তদের দ্রুত শাস্তির আওতা এনে সাজা প্রদান করতে পারবে। আমার বড় কুটুম আমারিকা থেকে প্রায়ই ফোন করে আমাকে লোভ দেখায় আমেরিকার রাস্তা ঘাটে রাত বিরাতে মানুষ ঘুড়ে বেড়ায় এক সেকেন্ডের জন্য লোড শেঢিং নেই, হয়রানী ও কোন ধরণের বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি নেই কিন্তু অপরাধী আছে । আমরাও চাই অপরাধী থাকুক কিন্তু অপরাধ সংঘঠিত হবে না আর করলেও বুক ফুলিয়ে চলাচল করবে না। আমাদের দেশে বিচার না হওয়ার যে সংষ্কৃতি আমরা দিনে দিনে লালণ পালন করে এক দানবাকৃতি দৈত্য বানিয়েছি; তাকে বিনাশ করতে হয়তো অনেক যুগ লেগে যেতে পারে কিন্তু বিনাশের শুরু হয়েছে এটাই তো এক আশা জাগানিয়া যুগের শুরু। রাজন বা রাকিব তাদের উপর যে নিষ্ঠুর অত্যাচার হয়েছে তা এক কথায় নৃশংস ও অমানবিক। মানুষ হাসতে হাসতে মানুষকে মেরে ফেলতে পারে তা আমার ধারণাই ছিলো না। আজ নতুন ভোর দেখে আমরা আমরা আশাবাদী হই। বড় কটুমেরা আমাদেরকে আর এই অপবাদ দিয়ে আমেরিকার লোভ দেখাবে না। আমরাই নতুন এক বাংলাদেশ গড়বো। রাজনের পরেই আসবে হয়ত সকল অপরাধের বিচার। আমেরিকাতে নারী পুরুষের অবাধ চলাচল। মানুষকে হয়রানীর শিকার হতে হয়না। এমন পরিবেশ বাংলাদেশে হবে তা আশা করিনা কিন্তু আইনের শাসন বা পুলিশি নিরাপত্তা তাদের কাছা কাছি আমরা যেতেই পারি । এই আশা করা তো বোকামী নয় বা বোকার স্বর্গে বাস করার মতো নয়। অনেকেই খুশি হোন কোন মেয়ে ধর্ষিত হলে । কারণ মেয়ের দোষ খুজেতে বিজ্ঞানী হয়ে গবেষনায় মেতে উঠেন। মেয়ে ঘর থেকে বের হলেই কি তার উপর হামলে পড়তে হয় ? পশু হতে হবে কেন? মানুষ হলে কি অপরাধ? মেয়েদের অশালীন পোশাক নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে তাই বলে ধর্ষণ করে সেই আপত্তি জানান দিতে চেস্টা করতে হবে? এই কথা শত ভাগ সত্য সকল ইভটিজিং , ধর্ষণ বা ফতোয়া বাজীর শিকার যত নারী তার এক ভাগও হয়েনি কোন হুজুর বা ইসলামী শিক্ষিত মাওলানাদের দিয়ে তারপরেও কিছু টিনের চশমা পড়া জ্ঞান পাপী আর মিডিয়া গরুর রচনার মত বিদ্যালয়ের রচনা লিখতে গিয়ে হুজুরদের জড়ানোর চেস্টা করেন। যারা ক্ষমতাবান তাদের স্বার্থের প্রয়োজনে এই ধর্মের নাম দিয়ে এই সব অপকর্ম করে ধর্মের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। আর নিরিহ আর নিরাপরাধ হুজুরদের পিঠের উপর দিয়ে এই সব ঝর ঝাপটা গেছে। যার ফলে এই প্রযন্ম হুজুরদেরকে ডাইনি ও কুখ্যাতদের চেয়ে বেশি ঘৃণা করি। কিন্তু বাংলার বুকে বিশাল এক হিতোপকারি সৎ জনগোষ্ঠী আমাদের অপহেলায় আর ঘৃণা নিয়ে থাকতে হয়ে। কিছু কিছু হয়ত ব্যতিক্রম আছে তাদের বিপোরীত। তারা তো আর উদাহরণ হতে পারেনা। কারণ তারাতো আর বাংলাদেশের বাহিরের কেউ নন। প্রসংগ পরিবর্তন করে লেখা আমার উদ্দেশ্য নয়। তাকানো মানে দেখা নয় । আর দেখা মানে সব বুঝা নয়। দেখার মধ্যেই অনেক পার্থক্য আছে। তাই তো কাশেম স্যারের মতো বলতে হয় পক্ষ বিপক্ষ সবার মাঝে যদি শুভ বুদ্ধির শুভাগন না ঘটে এই ক্রান্তি কাল কিছুতেই কাটবে না। আধারের রাত কেটে ভোর আসুক সবাই চাই । এই চাওয়ার মধ্যেই থাকতে হয় কিছু ত্যাগের মানসিকতা। রাজন আর রাকিবদের ত্যাগ মানুষের মধ্যে মনুষত্ব্য জন্ম দিক আর দিনে দিনে মানুষ “মানুষ” হয়ে উঠুক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.