নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে আমি খুঁজে ফিরি; হাড়িয়ে যাওয়া স্বপ্নের মেঠোপথে.।

চরিত্রহীন মোড়ল

https://www.facebook.com/baejid.active

চরিত্রহীন মোড়ল › বিস্তারিত পোস্টঃ

//ইতিহাসের পাতায় অবহেলিত এক বীরের নাম মেজর গনি// রি-পোস্ট

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

//ইতিহাসের পাতায় অবহেলিত এক বীরের নাম মেজর গনি// এই নামেই আমি আমার লেখাটি দিয়েছিলাম কিন্তু কোন অভিযোগে কোন কারণে লেখাটি মুছে ফেলে তা আমি জানিনা। এই কথাতো অস্বীকার করার অবকাশ নেই বেঙ্গল রেজিমেন্ট না হলে এই দেশ স্বাধীন হওয়াটাকি এতো সহজ ছিলো। এর এই বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর প্রতীষ্ঠাকে নিয়ে পোস্ট দেওয়া কি অন্যায়? সত্যিই কি আমরা এই বীর কে যথাযথ ভাবে মুলয়্যান করতে পেরেছি?যারা মেজর গনি সম্পর্কে জানেনা দয়া করে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ইতিহাস টুকু পড়ে নিন । এক ভুলে যাওয়া বীর আমাদের ছিলো যাকে এই বাংলার জনগণ মনে রাখেনি। দয়া করে গূগলে একটু সার্চ দিন মেজর গনি লেখে জীবন থেকে ২ ১ মিনিট নস্ট করে হলেও একটু সত্য ইতিহাসকে জানুন।


ছোট ছেলেটি চাচার সংসারের জন্য নাড়া বা খড় তুলতে যায় ধান ক্ষেতে।বাশেঁর কঞ্চি বা ফালিতে পায়ে আর চোখে আঘাত পায়।চোখ আর পা ফুলে যায়। মা মরা ছেলে। তার ব্যাথ্যা আর কে বুঝবে? পাশেই ছিল মামার বাড়ি তারা খবর পেয়ে তাকে নিয়ে আসে। এখানেই থেকে যায় এবং এখান থেকেই পড়ালেখা শুরু করে। এই খড় টুকানো ছেলেটি হয়ে উঠে বঙ্গ শার্দুল। ঐ দিন থেকে ঐদিনের সেই ছোট ছেলেটি পিছনে পড়ে থাকেনি আর খড় টুকাতে মাঠেও যায় নি। কিশোর বয়েসেই গঠণ করে “সবুজ কোর্তা বাহিনি” নামে একটি ক্লাব। বণ্যা ও দূর্যোগে ঐ ক্লাবের অবদান গরীব মানুষেরা ভূলে যায়নি। সেই ১৯২৫-৩০ সালের দিকে গ্রামের একটি ছেলে এই ধরণের কাজ করতে পারে সেটা এই যুগে কল্পনা আর আষাঢ়ের গল্পের মতো ঠেকতে পারে। অনেকের চোখ কপালে ঊঠে যাবে। সত্যিই চোখ কপালে ঊঠে যাওয়ার মতই। এই ছোট্ট ছেলেটি একদিন এই বাংলার স্বাধীনতার বীজ বপন করে দেয় মানুষের মনে। রাজনীতিবিদরা স্বাধীনতার কথা বলেছেন আর এই সেই দিনের ছেলেটি স্বাধীনতার জন্য কি প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করছিলেন। পাকিস্থান সেনা বাহিনীতে তিনিই প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা (কোম্পানী নং ১২৫৬ও ১৪০৭) করেন। যা পরবর্তীতে এই বাহিনীর সৈনিকেরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের বিজয় ছিনিয়ে আনে। সময়টা ১৯৪৮ সালে সেনা ছাউনিতে যখন আইয়ুব খান বললেন আমাদের ভাষা হবে উর্দু। এই ছেলেটিই প্রথম প্রতিবাদ করে বলেন আমাদের অঞ্চলের ভাষা বাংলা। আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা। পাকিস্তাহ্ন সেনা নায়ক হুংকার ছেড়ে বলেন চুপ বেয়াদব।সেই সাহসী ছেলেটির হাত দিয়ে মাতৃভাষা আন্দোলনের প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় ।এখণ অনেকেই ভাবছেন কে এই ছেলে? কার নামে এই আষাঢ়ে গল্প ফেদে বসেছি। আমি আগেই বলেছি ইতিহাসের বাকে হাড়িয়ে যাওয়া এক নায়ক। যাকে এই বাংলার সেনাবাহিনীতে বঙ্গ শার্দূল নামেই চিনে ও জানে এবং তার বীরত্ব আলোচনা করে। সেনা বাহিনীর ছাউনি থেকে এই নায়ক আমাদের কাছে আসতে পারেনি। চাটুকার আর মিথ্যা ইতিহাসে ভরপুর জাতি যখন দিশেহারা। বিকৃত ইতিহাস হয়েছে আমাদের পাঠ্য এই চাটুকারিতার ভীরেই হাড়িয়ে হেছে যুগ শ্রেষ্ঠ মহা নায়কেরা। আজ ১১ নভেম্বর এই দিনে ১৯৫৭ সালে জার্মানির বার্লিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মহা প্রয়াণ লাভ করেন। আজ এই দিনে ভুলে যাওয়া ইতিহাস ফিরে আসুক আমাদের এই প্রযন্মের কাছে। আমাদের আফসোস হয় যখন দেশের সব কটি জাতীয় পত্রিকা তাকে নিয়ে রিপোর্ট করতে এতো কৃপনতা দেখায় । ভিতরের পাতায় কোন এক কোনায় তাকে স্থান দেয়, যা আমাদের জাতিকে এক লজ্জায় ফেলে। এই জাতী এই দৈন্যতায় থেকে মুক্ত হয়ে আমাদের যুগ শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান দিয়ে আমাদের কাছে পুনর জন্ম দিক।
প্রথম আলো
একটি সরল ইতিহাস পাঠ

১৯৫৭ এর আগে কিন্তু বিএনপি আর আওয়ামী লীগ আজকের মতন ছিলো না... আজকের বিদ্ধেষ কেন ১৯৫৭ এর আগে আক্রান্ত হবে?]
সরাসরি প্রশ্ন থাকলে উত্তর দেওয়ার হিম্মত রাখি। মিথ্যা আষাঢ়ে গল্প বলতে আসেনি।আপোস কিরিনি আমি এই হলো ইতিহাস

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.