নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে আমি খুঁজে ফিরি; হাড়িয়ে যাওয়া স্বপ্নের মেঠোপথে.।

চরিত্রহীন মোড়ল

https://www.facebook.com/baejid.active

চরিত্রহীন মোড়ল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি দায় ও ঋণ শোধের চেস্টা ......

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫


সময়টা মার্চের শুরু, শীত বিদায় নিয়েছে,। #নাসির অন্য দিনের মতো আজো স্কুলে এসেছে। ২য় ব্যাঞ্চের এক কোনায় প্রতিদিনের মতো আজকেও দেয়াল ঘেষে বসে আছে। এই মাত্র স্যার ক্লাসে প্রবেশ করেছেন। সে দেখে, না দেখার ভান করে মাথা নীচু করে বসে আছে । তার মন ভীষণ খারাপ । যতটা না, চেয়ে না পাওয়ার তার চেয়ে বেশি আত্ন সম্মান আর অসহায়ত্বের। গত বৃস্পতিবার স্যার সবার সামনে ২০ মিনিট দাড় করিয়ে রেখেছিলেন ,স্কুল ড্রেস না পড়ে আসার জন্যে এবং বলেছিলেন শনিবারে অবস্যই ড্রেস পড়ে আসবি এই বলে স্যার ছেড়ে দিয়েছিলো। আজ শনিবার ক্লাসের সবাই ড্রেস পড়ে এসেছে কিন্তু সে এসেছে তার খালাত ভাই থেকে পাওয়া একটি পুরাতন শার্টে। সে ড্রেস পড়েনি। সে ড্রেস পড়বে কিভাবে? তার তো স্কুল ড্রেসই নেই। তার বাবাকে বলেছিলো। বলছে দিবে সেটা কবে দিবে কিছু বলেনি। তার বাবা যে দিতে পারবে না সে ভালো করেই জানে। এই বাজার সেই বাজার ঘুড়ে ঘুড়ে ঝাল মুড়ি বিক্রী করে তাদের তিন ভাই এক বোনের সংসার চালায়। তার কাছে যে ড্রেস বানানোর টাকা আর চাদের যাওয়ার টাকার চেয়ে বেশি। সে ভালো করেই জানে। সে সহ তার তিন ভাই স্কুলে পড়ে। মাথা নীচু করে বসে ভাবছে স্যারকে কি বলবে ? এইটা সেটা কত কিছু ভাবছে আর যে দোয়া দুরুদ জানে সেই গুলো বারে বারে পড়ে যাচ্ছে। হে আল্লাহ স্যার যেন আমাকে না দেখে,স্যার যেন আমাকে না ডাকে......।
এই সব ভাবছে আর ভাবছে।সারা শরীর যেন শ্রীষ্মের তাপে গরম হয়ে ঘেমে চুপ চুপ করছে। এই বসন্তে তার কাছে মনে হচ্ছে এই রকম গরম আর পরেনি।মেরুদন্ড বরারর ঘামের শিতল পানি গরিয়ে পড়ছে সে কিছুই টের পারছেনা।।এই দিকে তার খেয়াল নেই।।তার তার এক দিকেই নজর স্যার যেন তাকে ডাকে।।এই সব ভাবতে ভাবতে কখন ক্লাসের এই একঘন্টা কেটে গেলো টের পায়নি। অন্য সব কাজের ভীরের স্যার নাসিরের কথা ভুলে গেছেন...
এই নাসিরের যখন অন্য ছাত্রদের মতো বই নিয়ে পড়ার কথা, স্যার কে এইটা ঐইটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে নিজেকে তৈরী করার কথা ।।তখন এই নাসিরদের চিন্ত করতে হয় কিভাবে স্যারের নজর এড়িয়ে থাকতে হয়
? কিভাবে স্যার থেকে দূরে থাকতে হয়...যখন তার পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত হওয়ার কথা তখন সে নিজের ড্রেস নিয়ে ব্যস্ত হতে হয়...যখন এগিয়ে থাকার কথা শুধু একটি ড্রেসের জন্যে পিছিয়ে রাখতে হয়...।
এই নাসিরের চিত্রই হল আবহমান বাংলার গ্রামের স্কুলগুলোর চিত্র আমরা দেখেনি অথবা দেখার চেস্টাও করিনি। দেখলেও না দেখার চেস্টা করেছি...
#"ক'জন" এবার উদ্যোগ নিয়েছে এই নাসিরদের স্বপ্ন পুরুণ করার জন্যে। বছরের শুরুতে এই নাসিররা ড্রেস পড়ে স্কুলে যাবে যাবে ...এই নাসিররা এগিয়ে যাবে উদম্য গতিতে...এই নাসিরের মন থেকে দূর হবে হিনমন্নতা । গরিব বলে এখন আর কেউ তাকে ক্লাসে সবার সামনে দাড় করিয়ে রাখবে না...
আমরা এই নাসিরদের আত্ম প্রত্যয়ী দেখতে চাই। তাদের সম্মান নিয়ে স্কুলে যাওয়া দেখতে চাই।।তাই এই উদ্যোগ...
আপনি যদি মনে করেন তাদের জন্যে আপনার পকেটের টাকার কিছু অংশ খরচ হলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হবে।।তাহলে আমাদের এই উদ্যোগের সাথে অংশগ্রহণ করতে পারেন।।সবার অংশগ্রহণে ভালো কিছু করাই ক'জনের উদ্দেশ্য...। এবার আমরা ২০ জনের লিস্ট করেছি ।। যদি আপনাদের অংশগ্রহণ ২০ জনকে ছাপিয়ে যায় তাহলে আমরা আরো এই নাসিরদেরকে উপকার করতে পারবো।।
ক'জন বিশ্বাস করে এইটা কোনো দান বা অনুদান নয়।।নাসিরের প্রাপ্য দিয়ে ঋণ পরিশধের চেস্টা।।আসুন আরেক বার আমাদের সামাজিক ও তাদের প্রতি দ্বায়িত্য পালন করে ঋণ মুক্ত হই............
তুমি তার কাছে ঋণি যেমনি পূর্ব পুরুষেরা ছিলো তোমার কাছে । শোন, ক্ষুধার্ত ভিক্ষুকের হাতে আর তুলে দিওনা এক পয়সা বা আধ পায়সা। ওদের হাতে তুলে দাও সম্মান আর মর্যাদার পথের মানচিত্র
[নিশ্চয় এই পোস্টদাতা কারোর আর্থিক সাহায্য চেয়ে পোস্ট দেয়নি।একটি ভালো কাজের শেয়ার করেছে মাত্র]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.