নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে আমি খুঁজে ফিরি; হাড়িয়ে যাওয়া স্বপ্নের মেঠোপথে.।

চরিত্রহীন মোড়ল

https://www.facebook.com/baejid.active

চরিত্রহীন মোড়ল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ুন দ্বন্দ্ব!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

এই লিখাটা আমার মতামত। উনার যে লিখাটা আমি এখানে রেফারেন্স হিসেবে দিচ্ছি। যারা এই লিখাটা আসল পড়েছেন । ঐ লেখার নাম বা লিংটটা দিলে আমি কৃতার্থ থাকবো। আমি অনেক দিন আগে পড়েছিলাম । বইটার নাম কিছুইতেই মনে করতে পারছি না।ঐ বইয়ের কিছু কথা আমার মনে দাগ কেটে যায় ।আজ শ্যামল ছায়া সিনেমা দেখতে গিয়ে মনে পড়ে। তাই এই লিখাঃ
একটু আগে শ্যামল ছায়া সিনেমাটা দেখতে বসলাম। মিনিট পাচেক দেখিছি। পাচ মিনিট নিতে অনেক কষ্ট হয়ে গেছে।ভাবা যায় এই সিনেমা আমি আগে তিনবার দেখিছি। ১ বার নয় তিন তিনবার।
সিনেমার প্রসঙ্গ বাদ দেই।
হুমায়ুননামা নিয়ে দুই কথা বলি।
এক সময় আমি কতো হুমায়ুন ভক্ত ছিলেম এই কথা আমার সহচার্যে যারা ছিল তারা বলতে পারবে। অনেকের কাছেই হিমু নামে সমাদৃত হতাম
তার এক লেখায়।। তার প্রতি আমার মোহভঙ্গ হয়।
ঐ লেখা থেকে কৃয়দ অংশ আজ লিখবো
এখন আষাঢ় মাস।(১৯৭১ সাল) বাহিরে ঝিরঝির বৃষ্টি। আজ ক্লাস নেই। ( খেয়াল করবেন ক্লাসের কথা বলছে)
আমি মহসিন হলের দুতালায়। ( মহসিন হল ঢাকা বিশ্ব)
একদিন ক্লাস হয়। আবার আরেকদিন হয়না।
বৃষ্টি দেখে আজ মনে হচ্ছে খিচুড়ি খেলে মন্দ হয়না। একরুম মেট পাশের রুম থেকে ওমুক ভাইয়ের ভাংগাচোরা একটি স্টুভের ব্যবস্থা করেছে।
চাল, ডাল, নুন সাথে আলু দিয়ে আমরা স্টুভে খিচুড়ি চড়িয়েছি। কেরোসিনের স্টুভে।আমাদের সাথে পাশের রুম থেকে আরো জনাতিনেক যোগ দেয়। পাশের রুমের একজন ( আমার নাম মনে নেই) উনিও আসলেন।উনি আবার রাজনীতি করেন।উনাকে কমরেড বলে ডাকে সবাই।আমিও ডাকি কমরেড দা বলে।( এবার আপনারা একটু খেয়াল করেন। ১৯৭১ সালে দেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে।আর উনি ক্লাস করছেন ঢাবিতে।দেশে যুদ্ধ চললে ঢাবিতে ক্লাস চলে কিভাবে? উনার কথা মানলে দেশে কোনো যুদ্ধ হয়নি। যুদ্ধ হলে মানুষের খিচুরি খাওয়ার এইরকম ক্যাবিক শখ কি করে হয়?
উনার এই লিখায় মহান মুক্তিযুদ্ধ কে খাটো করা হয়।শুধু খাটো করা হয়নি চরমভাবে খাটো করা হয়েছে। অথবা উনি পাকিদের সুবিধাভোগী ছিলেন। উনাকে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়ছে তুমি আমাদের সহযোগিতা করো।
এবার আসি কেন আমি শ্যামল ছায়া ৫ মিনিটের বেশি দেখতি পারিনি।
শ্যামলছায়ার শুরুতেই দেখবেন বলবে।১৯৭১ সালে। আষাঢ় মাস।ঝিরঝির বৃষ্টি দেখাবে।দেশে যুদ্ধ চলছে।কোনো এক গ্রামে।ব্লা ব্লা।।।।
উপরের বাস্তব ঘটনা জানলে কার এই রকম কল্পনার সিনেমা দেখতে মন চাইবে?
এখন কোনটি বিশ্বাস করবো?
উনার বাস্তব নাকি উনার কল্পনা?
কোনটি?
নিজের কাছে নিজেই লজ্জিত।তাদের মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ের পণ্যের ভালো খরিদার ছিলেম বলে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের কখন; কোন মাসে শুরু হয়েছে? এমনও ত হতে পারে, হুমায়ূন আহমদ লেখাটিতে ৭১'রের শুরুর কোনএক দিনে বর্ণনা দিয়েছেন?

বইটি পড়া হয়নি। পুরুটা পড়লে হয়তো আপনার মতো বিপক্ষে বা পক্ষে অবস্থান নিতে পারতাম।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩

চরিত্রহীন মোড়ল বলেছেন: আষাঢ় মাস মানে আগস্টের কাছাকাছি

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১১

বলেছেন: আপনি কিভাবে নিশ্চিন্ত হলেন ঐ লেখাটা ৭১ সালের? ঝিরিঝিরি বৃষ্টি মানে জুন জুলাই মাসের ঘটনা - তখন তো তুমুল যুদ্ধ চলে, অবশ্য সেই সময়ে হানাদার বাহিনীর সামনে মুক্তিবাহিনী ব্যাকফুটে ছিল।

হুমায়ূন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কখনোই কোন ব্যবসা করেননি। তাঁর লেখায় মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত অবস্থা ফুটে ওঠে, যা তাঁর প্রতি মনে শ্রদ্ধা জাগিয়ে তোলে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

চরিত্রহীন মোড়ল বলেছেন: ভাউ ঊনার লিখাটা খোজ নিয়ে পড়ে এরপর আবার কমেন্টস করবেন্‌আষাঢ় মাস ।।ঊনি উনার অনেক লিখায় বলছেন যুদ্ধের সময় উনি ঢাবিতে ক্লাস করেছেন

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ৭১রের আষাঢ় মাস জুনের মাঝামাঝি শুরু হয়ে জুলাইতে শেষ হয়েছে। তখন তো প্রতিরোধ মাত্র শুরু হয়েছে।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

বনসাই বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ কেন মুক্তিযুদ্ধে যান নি সেটার ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারতেন; হয়তো কোথাও দিয়েছেনও। আমার জানা নেই। আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অন্য দিকে। আপনার বয়স কত হতে পারে, আপনার পরিবার যুদ্ধের সময় কোথায় ছিল, পরিবারের গুরুজনেরা বলতে পারবেন সে সময়ের পরিস্থিতি।
আমরা বড় হয়েছি এটা শুনে, ১৯৭১ গন্ডগোলের বছর। ১৯৯৬ সালে লীগ ক্ষমতায় আসার পূর্বে পাকিস্থানীদের বলা হতো হানাদার বাহিনী; এ যেন স্বামীর নাম উচ্চারণের সেই পাপের সামিল ছিল। মুক্তিযুদ্ধকে বলতো স্বাধীনতা যুদ্ধ। ১৪ ডিসেম্বর এতো এতো বুদ্ধিজীবিকে পাকবাহিনী হাতে পেলো কীভাবে? খবর নিয়েছেন কি? খবর নেন। ঢাকা শহর প্রায় স্বাভাবিক ছিল। সকলে কমবেশি নিয়মিত অফিস আদালত করেছে। ২৫ মার্চের পর ঢাকায় গণহত্যার কোনো ঘটনা কি আপনার জানা আছে? জানা নেই। যারা চিহ্নিত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, লীগ সমর্থক ও সনাতনধর্মী তারাই পালিয়ে বেড়িয়েছে। সিমিন হোসেন রিমি'র বাবা তাজউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে লেখা একটি বই-তে পাবেন কলিকাতায় মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রীকে পরিধানের কাপড় নিজেকেই পরিস্কার করতে হতো আর অন্যদেরও কিছু আয়েসের সংবাদও আছে সেখানে। হুমায়ূন আহমেদের পরিচয় তখন কেবল ছাত্র, কয়জন ছাত্র যুদ্ধে গিয়েছিল? সবাই? কবি শামসুর রাহমান কোথায় ছিলেন ১৯৭১ সালে? এখন দেশে বহু বহু মুক্তিযোদ্ধা পাবেন; ১৯৭১ সালের পর মানুষ কতজনকে পেয়েছিল?
আবেগ থাকা ভালো অতিআবেগ থাকা ভালো নয়।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৬

চরিত্রহীন মোড়ল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদঃ একবার বড়চাচা একটি মুক্তিযুদ্ধা সমাবেশে গিয়ে দেখেন অনেক মুক্তি যুদ্ধা। তখন উনি বলে উঠলেন শালারপুতেরা ৭১ সালে কই আছিল। যুদ্ধা করানোর জন্যে মানুষ পাইনি । আজ এতো মুক্তিযুদ্ধা কোথায় থেকে এলো?

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে অতি নিচু মেন্টালিটির, সংকীর্নমনা এক শ্রেনীর মানুষকে পাওয়া যায়, যারা কথায়-কথায় অন্যকে ছোট করার আপ্রান চেষ্টা করেন।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৭

চরিত্রহীন মোড়ল বলেছেন: এখানে কাউকে ছোট করিনি। ঊনার লিখা থেকেই ।।আমি উদ্ধৃতি দিয়েছি ।।আমার দুরভাগ্য আমি লিখাটা আজ খুজে পাচ্ছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.