নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asrafulalam

ব্যোমকেশ বাবু

ব্যোমকেশ বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ফ্লাট আর্থ থিওরি" -জঙ্গিবাদ এর তত্ত্ব

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫১



শিক্ষিত ছেলে গুলো একের পর এক জঙ্গি হয়ে যাচ্ছে, বেপারটা মেনে নেয়া কষ্টের। আর কেনই বা হচ্ছে ? কে বা কারা কিভাবে এদের ব্রেন ওয়াশ করছে , এই সব বেপক চিন্তার বিষয়। গত কয়েক মাস এ বাংলাদেশ এর জঙ্গি হামলা এবং এর সাথে জড়িত দেড় দেখে অবাক প্রায়। কিছুতেই একটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলাম না , কিভাবে এই সব তথাকথিত উচ্চ শিক্ষিত মানুষ গুলি এই পথ এ গেলো বা কি এমন আছে এই পথে যার জন্য তারা নিজের জীবন দিচ্ছে। দেশ এর প্রশাসন আর টিভি এর টক্ শো এর বদৌলতে জীবিত বা মৃত জঙ্গিদের বংশ থেকে ডি. এন. এ সবই প্রায় জানা । কিন্তু কি এমন মন্ত্রে তারা নিজের জীবন দিতে কার্পণ্য করছে না এটা নিয়ে কারো কোনো মাথা বেথা নেই , বা থাকলেও চিন্তার সীমাবদ্ধতার জন্য হয়তো আলোচনা করতে রাজি না কেউ।

ঈদ এর ছুটি তে একান্ত নিজের আগ্রহ এর জন্য কিছুটা ব্যোমকেশ বসু বাবুর মতো সত্যায়নেসি হবার চেষ্টা করলাম। ইউটউব আর গুগল ঘেটে যা পেলাম তাতে হাত পা শিওরে উঠলো । নিজের অজান্তেই বসে গেলাম এই লিখার জন্য । জানাতে হবে সবাইকে , সামনে যে বিপদ আরো ভয়াবহ ।

আসুন আমার সাথে কিছু সত্য উদ্ঘাটন এ , যে সত্য হয়তো আমরা সবাই জানবো আরো অনেক পরে । কিন্তু এই সত্য যদি এখুনি না জানি তাহলে সামনের আরো বিপদ থেকে কেও আমাদের রক্ষা করতে পারবে না । কিছুটা সময় আমার সাথে থাকুন , বুজতে পারবেন কি হচ্ছে , আপনার ধারণা পাল্টে যেতে বাধ্য ।

প্রথমেই আসুন , সহজ একটা প্রশ্ন, কি এমন তত্ত্বের ভিত্তিতে এই সকল উচ্চ শিক্ষিত, বাইরে পড়া শুনা করা মানুষ গুলো হটাৎ করে জিহাদ এর জন্য নেমে পড়ছে ?

আপনার উত্তর হয়তো, কেও এদের ভালো ভাবে বুজিয়ে ব্রেন ওয়াশ করে ফেলছে । এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন , আমেরিকা , কানাডা , ইংল্যান্ড এর পড়াশুনা করা এই তরুণদের মগজ ধোলাই করার মন্ত্র টা কি ? এরা নিশ্চই খুব সহজ এ মগজ ধোলাই হবার পাত্র না ।যাদের ধর্ম নিয়ে ভিন্ন মত থাকার কথা এরা কিভাবে বা কি থিওরি তে ধর্মের জন্য প্রাণ দিচ্ছে ?

সত্যিটা জানার জন্য আপনাকে মানতে হবে "পৃথিবী গোলাকার না" । বেশ অবাক হচ্ছেন ? অবাক হবারই কথা, আমিও অবাক ছিলাম অনেক্ষন , যখন বুজলাম, তাড়াতাড়ি লিখতে বসলাম । আসুন জানি কিভাবে পৃথিবী গোল না, আর এর সাথে জঙ্গি বাদ এর সম্পর্কই বা কি ?

ফ্লাট আর্থ থিওরি হচ্ছে বছর তিন এক আগে গড়ে উঠা এক কনস্পিরেসি থিওরি যা ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে । এই তত্ত্ব মতে আমাদের পরিচিত গোলাকার পৃথিবী আসলে সমতল আর এই পৃথিবী একটা ডোম এর মধ্যে অবস্থিত যার উপর চন্দ্র আর সূর্য ঘুরছে আর পৃথিবী ঠায় দাঁড়িয়ে আছে । হয়তো এখুনি আপনি পড়া বন্ধ করে, ভাববেন পাগল এর প্রলাপ । একটু সাথে থাকুন, কিছু সময় এর জন্য আপনিও আমার সাথে ব্যোমকেশ বাবু হয়ে যান, আর হাত এর কাছে রাখুন গুগল আর ইউটউব । বুজতে পারবেন সত্য কিভাবে চোখের সামনে ঘুরপাক খাচ্ছিলো ।

ফ্লাট আর্থ তত্ত্ব মতে, পৃথিবী যদি গোলাকার হয়ে থাকে, তাহলে হরাইজন বা দিগন্ত বক্রাকার হবার কথা, কিন্তু আসলে দিগন্ত সমান রেখা । আপনি যখন সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে দিগন্ত দেখছেন একটু খেয়াল করে দেখেন দিগন্ত রেখা সমান, কিন্তু হিসেবে মতে বক্রাকার হবার কথা । এখন আপনি বলবেন, আশ্চর্য , তাহলে কি এতো দিন যা জেনেছি সবই ভুল, চন্দ্র সূর্য গ্রহ এদের এতো ছবি , এসব কি সবই ভুল ? আমি আগেই বলেছি , প্রচন্ড বুদ্ধিমান কিছু মানুষ হটাৎ করে জঙ্গি হয়ে যাচ্ছে, এটাই তো আমাদের বের করতে হবে, কিভাবে ? এরা নিশ্চই আমার আপনার মতো করে ভাবেনি বা এমন কিছু এরা বিশ্বাস করেছে যা ওদের মনকে এতো শক্ত করে দিয়েছে ।

আসুন আবার ফেরত যাই সমতল পৃথিবী তত্ত্বে । যারা এই তত্ত্বে বিশ্বাস করে, এরা আরো অনেক কিছুই বিশ্বাস করে যা আমাদের জানা পৃথিবীর জন্য অচেনা । এদের মতে মানুষ কখনোই চাদ এ বা পৃথিবীর বাইরে যায় নি, কখনো কোনো রকেট এ প্রথিবীর বাইরে যেতে পারে নি কারণ এরা ভাবে পৃথিবীর চার্ পাশে একটা দেয়াল আছে আর এই দেয়াল ভেদ করা এখনো কারো পক্ষে সম্ভব হয় নি । আমি জানি এতক্ষনে আপনার ধৈর্যে ফাটল দেখা দিয়েছে । প্রলাপ ভাবছেন । এইবার আপনি গুগল এ সার্চ দিন ফ্লাট আর্থ তত্ত্বের এবং একটু নিজে নিজে রিসার্চ করুন । যতটা পাগলাটে ভাবছেন ততটা না । একটা জিনিস বুজতে হবে, যে বা যারা জঙ্গি হচ্ছে এদের মাথা বেশ উর্বর এবং এই উর্বর মাথা তে নিশ্চয় সরল সমীকরণ হবে না । কিছু একটা অবশ্যই আছে যা এরা এতো ভালোভাবে বিশ্বাস করে যার ফলে উগ্রবাদ এর জন্ম নেয় মনে । আমি শুধু ফ্লাট আর্থ তত্ত্বের কিছু উল্লেখযোগ্য উপাত্ত দিচ্ছি আপনাকে, এর পর আপনি বুজতে পারবেন আমি কিসের সাথে কি মিলাবার চেষ্টা করছি ।

এই তত্ত্ব মতে গোলাকার পৃথিবীর ধারণা আমাদেরকে ছোটবেলা থেকে দেয়া হয়, যার কোনও ভিত্তি নেই । আমাদের চেনা পৃথিবীর যে কয়েকটা ছবি নাসা, (আমেরিকার স্পেস এজেন্সী) থেকে পাওয়া, তার সব কটি ফটোশপ এডিট করা এবং এর প্রমানও আছে । তাহলে কি মানুষ পৃথিবীর বাইরে যায়ই নি কখনো ?

না। এদের মতে NASA বা অন্য সংস্থা গুলো বিশাল এই কন্সপিরেসি করছে নিজেদের স্বার্থে । খুব অকাট্ট প্রমান হিসাবে তারা যা দেখিয়েছে তাহলো, পৃথিবীতে দক্ষিণ মেরুর কোনও অস্তিত্ব নেই । কারণ গুগল ম্যাপ বা GPS এর কোনোটাতেই দক্ষিণ মেরুর কোনও ছবি বা ম্যাপ নেই । আরো একটি মজার বেপার, আপনি যখন প্লেন এ চড়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে আফ্রিকা যাবেন, দেখবেন প্লেন টি প্রথম এ দুবাই বা এর আসে পাশে যাবে এর পর আফ্রিকা যাবে । কিন্তু বক্রাকার পৃথিবীতে অস্ট্রেলিয়া থেকে আফ্রিকা অনেক কম সময় এ পোঁছানো যায় / ধরলাম যাত্রী দেড় ট্রানসিট এর জন্য এ রকম করে এয়ারলাইন্স গুলো । কিন্তু এই পর্যন্ত কোনো এয়ারলাইন্স এর কোনো প্লেন এর রুট দক্ষিণ মেরুর উপর দিয়ে যায় নি । হাত এর কাছে পৃথিবীর কোনো ম্যাপ থাকলে নিন বা গ্লোব থাকলে আরো ভালো । এই বার গুগল এ এয়ারলাইন্স রুট সার্চ দিন । অবাক হচ্ছেন , অবাক হবার কিছু নেই সামনে আরো আছে । গুগল এ দক্ষিণ মেরুর কোনো ম্যাপ নেই আর এয়ারলাইন্স গুলো কেন দক্ষিণ মেরু দিয়ে না গিয়ে ঘুরে অন্য রুট দিয়ে যায় ? আরো যে মজার বিষয়, তা হচ্ছে যখন কোনো উড়োজাহাজ অস্ট্রেলিয়া থেকে আকাশ এ উঠে কিছু সময় এর জন্য GPS এর বাইরে থাকে, এর মানে নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত এই বিমান এর আক্ষরিক অর্থে কোনো TRACE থাকে না ।

এখন এই ধরণ এর মাথা মোটা কন্সপিরিসি তত্ত্বের বিচার কেন করছি আমি ? কারণ আমি জঙ্গিদের মাথার ভেতর এর অবস্থা তা বুজতে চাচ্ছি । আসুন আপনি হয়তো এতক্ষনে ভুরু কুঁচকে ফেলেছেন । এবার আসল কথা, এদের মতে, যেহেতু পৃথিবী সমতল তাই দক্ষিণ মেরুর আসল এ কোনো অস্তিত্ব নেই ।

দ্বিতীয় প্রমান হিসাবে এরা বলে চন্দ্র আর সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে এবং সূর্য আর চন্দ্র আমাদের পৃথিবীর উপর এই আছে খুব বেশি দূর এ নয় । এই বেপারটিও বেশ ইন্টারেষ্টিং । সূর্য বাঁকা ভাবে উদয় হয় আর বাঁকা ভাবে অস্ত যায় কারণ সূর্য একটা বক্রাকার পথে পৃথিৱীকে প্রদক্ষিণ করছে । যদি সূর্য মিলিয়ন মাইল দূরে থাকতো তাহলে অবস্যই পৃথিবীর কোনো নাহ কোনো জায়গায় সূর্য সমান ভাবে উদিত হতো । আর এদের মতে, অন্য গ্রহ গুলো পৃথিবীর বাইরে কয়েক টি লেয়ার এ অবস্থিত । হয়তো এবার আপনার মাথায় কিছু খেলছে । দেখা যাক এই বেপার এ NASA থেকে বিভিন্ন গ্রহের দেয়া ছবি কি বলে ? প্রত্যেকটি ছবি এই ফটোশপ করা । তাহলে কেনই বা NASA ফটোশপ খেলা খেলবে ? প্রশ্ন সেখানে নাহ , প্রশ্ন হচ্ছে এই প্রলাপ এর বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়ে । NASA বা অন্য কোনো সংস্থা এর সোমাধান দিতে পারছে না বা দিচ্ছে না ।

সব শেষ এবং ভয়াবহ তত্ত্ব হচ্ছে সমতল পৃথিবীর শেষ কোথায় ? এদের মতে এন্টার্টিক হচ্ছে পৃথিবীর প্রাচীর । সমতল এই পৃথিবীর চার্ দিকে এন্টার্টিক এর বরফ প্রাচীর দেয়া এবং আশ্চর্য বেপার হচ্ছে ১৯৫২ সালে পৃথিবীর প্রায় সব কটি বড়ো দেশ যারা কনস্পিরেসি তত্ত্বের জনক , সবাই মিলে একটা চুক্তি করে যার ফলে এন্টার্টিকাকে একটি সার্বজনীন স্থান হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং যেখানে সাধারণ এর প্রবেশ অবাঞ্চিত করা হয়েছে ।



যাক কন্সপেরিসি তত্ত্বের একটা ধারণা দেয়া গেলো । কিন্তু এর মধ্যে দিয়ে যদি আপনি যান, অনেক ক্ষেত্রেই আপনার জানা ধারণাগুলো প্রশ্নের সম্মুখীন হবে । এবার আসুন কেন আমি এই তত্ত্ব নিয়ে এতো উদগ্রীব ? আমি উদগ্রীব , কারণ এই প্রলাপ আমি বা আপনি বিশ্বাস করি বা না করি, কেও না কেও বিশ্বাস করছে । এখন আসুন দুই এ দুই এ চার মিলাই । আপনি এতক্ষন যেটা প্রলাপ বলছেন, একটু ধর্মের দিক থেকে দেখুন, দেখবেন আপনার ধর্ম গ্রন্থ গুলোতেও এমনটি বলছে । সাত আসমান এ সাথ বেহেস্ত আর কার্পেট এর মতো বিছানো পৃথিবী । চন্দ্র আর সূর্যকে তৈরী করা হয়েছে পৃথিবী কে আলো দেবার জন্য । গ্রহ নক্ষত্র তৈরী হয়েছে পৃথিবীর জন্য । কিছুটা কি অবাক লাগছে ? হয়তো লাগতে পারে , কিন্তু থামবেন না...

আমি ফ্লাট আর্থ সোসাইটি এর ফেইসবুক পেজে এ ঢুকলাম । আমার বদ্ধ ধারণা ছিল , আমি যা খুঁজছি তা পাবো । বেশি কষ্ট করতে হয় নি । একটু ঘাটা ঘাটি করতেই পেয়ে গেলাম / খুজছিলাম এই সোসাইটি এর মুসলিম মেম্বারদের । আমার ধারণা ঠিক প্রমান হলো ।প্রচন্ড উগ্রপন্থী উচ্চ শিক্ষিত দেশ এর বাইরের সনামধন্য ভার্সিটির শিক্ষক থেকে শুরু করে অনেকে এই মতবাদ এ বিশ্বাস করে । গুগল এ সার্চ দিয়ে দেখলাম ফ্লাট আর্থ এর মুসলিম মেম্বার দের কে উগ্রবাদী হিসাবে বর্ননা করছে । আমি আমেরিকায় বসবাস রত, এক বাংলাদেশী প্রফেসর এর ফেইসবুক পেজ দিলাম, রেফেরেন্স এর জন্য । খুঁজলে আরো অনেক পাবেন ।

এখন হয়তো আপনি কিছুটা বুজতে পারছেন কিভাবে দুই আর দুই এ চার হলো । জঙ্গিদের এই বিশ্বাস এর সাথে যোগ হয়েছে মহান আল্লাহ এর সান্নিদ্ধ যা কিনা সপ্তম আকাশ এর এর উপর । নিতান্তই এই সকল জঙ্গি আকাশ এর দিকে তাকিয়ে নিজের পরকাল উপভোগ করতেই পারে । আগেই বলেছি, যে সব জঙ্গি ধরা পড়েছে , এদের মনস্তাত্ত্বিক দিক সরকার অবশ্যই বিবেচনা করছে । কিন্তু এদের যে বিশ্বাস, তার উপর দিয়ে আপনাকে যদি যেতে হয়, তাহলে আগে আপনাকে এদের বিশ্বাস টাকে জানতে হবে । কিছু অকাট্ট সাইন্স এর যুক্তি যা আপনার, আমার পরিচিত ধর্ম প্রচারকদের কথার সাথে হুবহু মিলছে আর এটাকে আপনি চাইলে আরো শক্ত ভাবে বিশ্বাস করতেই পারেন । আমি বলছি না যে এটাই শুধু একমাত্র কারণ বা তত্ত্ব যার ফলে মেধাবী বা যাদের গুগল আর ইউটউব চালানোর সামর্থ আছে তারাই উগ্রপন্থী হচ্ছে । হয়তো আরো অনেক কারণ থাকতে পারে । কিনতু, এখনো আমার দেশ এর যে পরিমান শিক্ষিত মানুষ এই ধারণায় বিশ্বাস করে এদের ঠেকাবে কে ?

আরো ভয়াবহ হবে যাদের আটকে রেখেছে জঙ্গি হিসাবে, যেমন নর্থ সাউথ এর শিক্ষক , এরা কি এই তত্ত্ব প্রচার করছে না ? জেল এর ভিতরে বা বাইরে ? এটা এমন একটা বেপার যা আপনি এখন থেকে যদি সতর্ক না হন , তাহলে এর ভবিষ্যৎ অনেক খারাপ হতে পারে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উনি অবাক হচ্ছেন, কিভাবে কিসের নেশায় এই টগবগ এ ছেলেরা এই পথ এ যাচ্ছে । আমাদের জ্ঞান এবং আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস এই দুই মিলে তরুণদের কাছে কিছু অবাক করা তত্ত্ব দিচ্ছে যা তারা মনে প্রাণ এ বিশ্বাস করছে আর পরেরটা তো সবার জানা ।

আমি শুধু একটা সম্ভাব্য পথের কথা বললাম , কিছু সমীকরণ তুলে ধরলাম । সত্য, মিথ্যা বা বিচার কোনোটাই আমার বা আপনার জন্য অতটা সহজ হবে নাহ । সরকার যেভাবে আর্মি স্টাইল এ জঙ্গি দমন করছে, তাতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সেই তথাকথিত শিক্ষক এর তো এতো দিন বেঁচে থাকার কথা না । আমি কেন ভয় পাচ্ছি আপনি হয়তো বুজতে পারছেন । কারণ তত্ত্ব উপাত্ত ছড়ানোর জন্য মুখই যথেষ্ট । যেটা পাকিস্তান এ হচ্ছে হর হামেশা । জঙ্গিদের ধরা হয় , জেল এ রাখা হয় এর পর দেখা যায় , ওই জেল এর রক্ষকরা জঙ্গি তে পরিণত হচ্ছে । যেহেতু পুরো বেপারটা মনস্তাত্ত্বিক এবং যথেষ্ট যুক্তি উপাত্তের ভিত্তিতে হচ্ছে , সরকার বা আমার, আপনার এখুনি এই পথ গুলো চেনা উচিত ।

খুব ভালো করে চিন্তা করুন এতক্ষন যে তত্ত্ব নিয়ে আমি আলোচনা করলাম , আমার বিশ্বাস আপনি নিজে সব কিছু গুগল বা ইউটউব এ দেখার পর, এ নিয়ে কারো সাথে কথা বলবেন না , কারণ এটা হাস্যকর এবং আপনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে পারে ।
যে সব জঙ্গি ধরা পড়ছে তাদের মাথায় কি আছে তা যারা জানছে, ওদের মাথায় না আবার একই জিনিস নিয়ে নেয় । এটাই ভয় এবং এটাই হবার সম্ভবনা বেশি ।

যারা লেখাটি পড়েছেন তাদের কাছে অনুরোধ , খুব বেশি এনালাইসিস করবেন না । এখনো অনেক প্রশ্নের উত্তর বাকি । আপনার ইন্টারনেট আপনাকে কখনোই আপনার বিশ্বাস এর কাছে পোঁছাতে পারবে না । শুধু মনে রাখুন , যাতে সামনের দিন গুলিতে এই পরিচিত তত্ত্ব টি আপনার সামনে আসলে , আপনি সামলে নিতে পারেন ।

পৃথিবী গোলাকার বা সমতল , যাই হোক না কেন , সবারই এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার আছে । ।

1. Click This Link
2. Click This Link
3. Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৫৪

আসিফ৩১ বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যা করার প্রক্রিয়াটি ভাল লাগল । খুব ভাল এবং বর্তমান নির্ভর একটি উদাহরণ দিয়েছেন জঙ্গীরা কিভাবে মোটিভেটেড হয় সেটা বুঝানোর জন্য। ভাল লাগল।
একটি প্রশ্ন ছিল সেটা হল, আপনি এখানে ফ্লাট আর্থ থিওরি কে বানানো একটি থিওরি বলেছেন নাকি যুক্তিযুক্ত একটি ধারণা বলেছেন এই বিষয়টি আমি ক্লিয়ার বুঝতে পারি নি।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.