নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asrafulalam

ব্যোমকেশ বাবু

ব্যোমকেশ বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাদা-কালোর ধর্ম

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৪



আচ্ছা কোনো কালো রঙের বা বাজে চেহারার মানুষকে পীর বা সুফী হতে দেখেছেন ? হিন্দু ধর্মের কোনো দেব দেবীকে কালো বা বাজে চেহারার হতে দেখেছেন ?খ্রিষ্টানদের কালো যীশু দেখেছেন ? চিন্তা করে দেখুন, দেখবেন দেখেন নাই ।যদি কালো পীর , পয়গম্বর বা অন্য ধর্মের কালো বা বাজে চেহারার দেব-দেবী আপনি কল্পনা করতে না পারেন, তাহলে একবার ভাবুন, আফ্রিকার কালোরা কিভাবে আপনার দেব দেবী বা পীর অথবা সাদা রঙের যীশুকে মেনে নিচ্ছে ? আপনি চাইনিস কোনো হুজুর দেখলে কিছুক্ষন হা করে তাকিয়ে থাকবেন ।তাই বলে চাইনিস হুজুর কি থাকবে না ?

নিউইয়র্কের কালোরা তাদের যীশুকে কালো রঙের বানিয়েছে । এখানে কালোদের আলাদা চার্চ, এরা সাধারণত সাদাদের চার্চে খুব একটা যায় না । আর কালোদের চার্চে যীশুর গায়ের রং কালো । অদ্ভুত এই বেপারটা খুবই সহজ ভাবে মেনে নিয়েছে এদেশের সাদা কালো সবাই । কারণ আপনি যেমনটি আপনার যীশুকে কালো রঙের দেখতে চান না , ঠিক তেমনি, কালোরা তাদের যীশুকে সাদা রঙের দেখতে চায় না ।

একবার ভাবুন, আফ্রিকার হিন্দু ধর্মালম্বীরা তাদের দূর্গার গায়ের রং কি করবে , সাদা না কালো ? অবস্যই তাদের দিক থেকে কালো করা উচিত । তাহলে দুর্গার আরেক রূপ , কালির রং কি হবে ? বেপারটা কি ভাববার বিষয় না ? ভাবুন , ভাবতে ভাবতে কুল কিনারা খুজুন ।আমি পাইনি, আপনি হয়তো পেয়েও যেতে পারেন ।

বর্ণের এই সংঘা ধর্মকেও হার মানায় । নুরানি চেহারা মানে, মুখ থেকে একটা আভা বের হতে হবে, দেখলেই যাতে ভালো লাগে । আমি কোনো কালো রঙের মানুষের মুখ থেকে আজো আভা বের হতে দেখিনি , তাহলে কি রং কালো হবার কারণে কেও নূরানী চেহারা পাবে না? যাক এতক্ষনে হয়তো আপনি বুজতে পারছেন, ধর্মের আগে বর্ণ ।এটুকু বুজলেই চলব ।

যদি ধর্মের আগে বর্ণ হয়, তাহলে সকল সাদা মানুষ একই মনের হবে আর সকল কালো বা আধা কালো মানুষগুলো একই রকম চিন্তা করবে , এমনটাই হওয়া উচিত । হয়তো এমনি ।আমরা সবাই ছোটবেলায় একবার হলেও হিন্দু ধর্মালম্বীদের দূর্গা পূজা বা অন্য কোনো পূজা মণ্ডপে ঘুরতে গেছি । একেবারে যায়নি এমন মানুষ খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে না ।আপনি বা আমি যতবার দূর্গা পূজা দেখতে গিয়েছি , ততবার হয়তো খ্রিষ্টানদের চার্চে যাওয়া হয়নি । হয়তো আপনার সারা জীবনে আপনি একবারও খ্রিষ্টানদের চার্চে যান নি ।কেন বলুন তো ? হয়তো বলবেন, আপনার কেন খ্রিষ্টান বন্ধু নেই বা এদেশে খ্রিষ্টানদের সংখ্যা কম এইসব । কিন্তু আমি বলবো, আপনি কখনো কোনো চার্চে যেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন নি , কারণ এদেশের খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীদের আপনার খুব একটা পছন্দ না ।যদিও পচ্ছিমের খ্রিস্ট ধর্মের অনেক কিছুই আপনার হয়তো ভালো লাগে । আপনার এই ভালো লাগার পেছনে ধর্ম নয়, বর্ণ কাজ করছে ।

আপনি যতটা না সিরিয়া বা আফগানিস্তানের মুসলিমদের নিয়ে চিন্তিত, ঠিক ততটা অবজ্ঞা করেন আফ্রিকান মুসলিমদের । যদিও আফ্রিকায় মুসলিমরা অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে কষ্টে আছে / এরপরও ওরা আল্লাহ কে ডাকে, আর কখনোই প্রশ্ন করে না কেন কালো মুখে নূরানী আভা দেয় না ।

সকল ধর্মের সহ অবস্থান পৃথিবীর কোথাও আমি দেখিনি । লন্ডন, নিউ ইয়র্কের মতো জায়গায়, ইহুদিদের আলাদা জায়গা ,আলাদা কমিউনিটি , মুসলিমদের আলাদা কমিউনিটি , আর এরা কমিউনিটির বাইরে কিছুই করে না , এক সাথে বসবাস করা তো দূরের কথা । সবাই নিজের সম্প্রদায়ের মাঝে থাকে আর অন্য সম্প্রদায়ের মাঝে খুব একটা যাওয়া আসা এদের কারো মাঝেই নেই ।কিন্তু একটা জায়গায় সবাই এক । যখন আপনি পথ চলবেন, দেখবেন বর্ণের ভিত্তিতে আপনার বন্ধুত্ব হচ্ছে ধর্মের ভিত্তিতে নয় ।

সম্প্রতি দেশে ভিন্নধর্মের উপর সাম্প্রদায়িক হামলার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, বেপারটা ধর্মের বলে মনে হলো না , মনে হলো বর্ণের ।কোনো এক অজানা ঘৃণার প্রকাশ ।আমি গুগল করে প্রায় সব কটা ছবি দেখলাম এই হামলার ।আমি বুজলাম এই হামলা ধর্মের নয় , বর্ণের উপর । আপনার বিস্বাস না হলে আপনি নিজে দেখুন ।দেব দেবীর প্রতিমা থেকে শুরু করে সব কিছুই যেন অন্য এক বর্ণের ।আর এই বর্ণকে আঘাত করেছে উঁচু আর এক জাতের বর্ণ । দোষটা হলো ধর্মের । ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২৪

সিলেক্টিভলি সোশ্যাল বলেছেন: লিখাটা পড়লাম। কোনোটার সাথেই সহমত পোষণ করতে পারলাম না। ব্যাপারটা বর্ণের নয়, ধর্মীয় গোড়ামির। আর ধর্মীয় গোড়ামি ধর্মের দোষ নয়, অধমের মানসিকতার দোষ।
পুনশ্চঃ কালো মানুষের চেহারা থেকেও নূরানী আভা বের হয়। সেটা দেখার চোখ লাগে। এটা মুখের কথা নয়। আমি বহু কালো মানুষ দেখেছি যাদের দিকে তাকালে চোখ ফেরাতে অনেকটা সময় লেগে যায়। আবার অনেক সাদা চেহারা দেখেছি যেগুলো থেকে আপনার নূরানী আভা বের হয়না কখনো।
পুনশ্চঃ আমি কালো নই :)

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১১

মেহেদী রবিন বলেছেন: এগুলো যদি আপনার ভাবনা হয় তাহলে বলবো আপনি বেশ উল্টা পাল্টা ভাবেন। সাদাদের যিশু আর কালোদের যিশু আবার কী ! ওনাকে মানুষ বানায় নি, উনি জন্মেছিলেন আর ওনার গায়ের রঙ ছিল প্রাকৃতিক ভাবেই সাদা। এমন না যে উনি কালো ছিলেন তারপর মানুষ তাকে সাদা বানিয়ে পুজা করে।

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১৬

ভ্রান্ত_পথিক বলেছেন: মোটামুটি সকল প্রধান ধর্মেরই উৎপত্তি মধ্যপ্রাচ্যে - সে এলাকার মানুষের গায়ের রং ফর্সা। কাজেই যীশু সহ সকল নবী রাসুলের গায়ের রং ফর্সা হবে এটাই তো স্বাভবিক। হিন্দু ধর্মে কি সব দেব দেবীই গৌর বর্ণ? শ্রী কৃষ্ণের গায়ের রং কি? মনসা দেবী কি রং? তার আকি পূজিত হচ্ছেনা?

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: সূচনাটা ভালো ছিলো, তবে শেষটা চাপিয়ে দেয়া মনে হলো। একটু ব্যাখ্যা করবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.