নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asrafulalam

ব্যোমকেশ বাবু

ব্যোমকেশ বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়নের PHILIP KOTLER

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৭



আপনি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যান সফল হবার জন্য । সেটা চাকরি ক্ষেত্রে হোক বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে । কিন্তু একবার কি ভেবে দেখেছেন, সফল হবার পর আপনার প্ল্যান কি ? মানে আপনি যা হতে চাচ্ছেন , তা হয়ে গেলে, এর পর কি করবেন ? খুব সম্ভবত এই অংশটুকু নিয়ে আপনি এখন ভাবছেন না । কারণ সফল হওয়াটা আগে দরকার , তারপর ভাবা যাবে , সফল মানুষ হিসাবে আপনি কি করবেন । ঠিক এমনটিই হয়তো ভেবেছিলেন, জন্যপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ন আহমেদ । উনার সফলতা এতো তাড়াতাড়ি আসে , উনি সফল হবার পর কিভাবে কি করবেন তার প্ল্যান করে উঠতে পারেন নি । আর স্যার এর এই প্ল্যান টুকু করে বসে অন্য একজন ।

এই একজন হয়তো হতে পারতেন উনার প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন আহমেদ অথবা উনার কোনো মেয়ে । কিন্তু সফলতার গতি এতো দ্রুত ছিল উনার , কেও বুজে উঠতে পারেনি যথা সময়ে । আর সময়ের এই সুযোগে প্ল্যান করে বসে অন্য একজন ।এই অন্য একজন, শাওন,আক্ষরিক অর্থে তার সব কিছু দিয়ে স্যার এর মন জয় করে নিয়েছেন । যেহেতু স্যার এর কোনো প্ল্যান ছিল না , একটা শূন্যতা তৈরী হয়েছিল সফলতার এই সময়। কাউকে না কাউকে শূন্যতা পুরুন করতে হয় , আর শাওন এই শূন্যতা পুরুন করছে ।

প্রত্যেক সফল মানুষের ক্ষেত্রে এই শূন্যতা তৈরী হয় সফলতার এই মুহূর্তে । ধরুন বেবসা বাণিজ্যে যারা সফল , তাদেরও এই একই শূন্যতা হয় , তবে পার্থক্য এই যে , বেবসা বা চাকরি বাকরিতে থাকা মানুষ গুলো, kotler এর বই পরে বড়ো হয়া মানুষ ।এই শূন্যতা কিভাবে পূরণ করতে হয় তা তাদের জানা । কবি সাহিত্যিকদের জীবনে তো আর kotler নেই আর উনাদের মনও অনেক কোমল । তাই খুব সহজে , উনাদের মনের ভিতর শূন্যস্থানে অন্য কেয় ঢুকে যেতে পারে । মন নরম হবে এটা খুবই স্বাভাবিক । আপনি নিশ্চই হিটলারের কাছে কাব্য আশা করেন না ।

ভাবুন একবার, যে কবি নিজের মন উজাড় করে লিখে আপনার জন্য, তারই মনে শূন্যতা আর এই শূন্যতা পূরণে কবির কোন প্ল্যান নেই । উনি অবাধে সবাইকে ঢুকতে দেয় উনার শূন্যতায় । আপনার কি মনে হয় , এমনটি হয়া উচিত ? কবি সাহিত্যিকদের Kotler এর বই পড়া যাবে না এমন কথা কি কোথাও লিখা আছে ? বা নরম মনের কবিদের কি "How to deal with women " এই জাতীয় বই পড়া নিষেধ ?খুব সম্ভব না । আমি প্রকারান্তে, কবি সাহিত্যিকদের ভালোবাসার দোষ দেই না । ভালোবাসার অধিকার সবার আছে । কিন্তু যে ভালোবাসা আপনি হযবরল করে ফেলেন , আর যেই ভালোবাসার জন্য আপনার হৃদয়ের রোগ হয়, সেই ভালোবাসা কি ভালো ?

যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সাথে অনেক ভালোবাসা হজম করতে পারে আর সফলও হতে পারে, তাহলে কবি সাহিত্যিকদের তো আরো ভালো ভাবে ভালোবাসা মানিয়ে নিতে পারার কথা । চিত্রশিল্পী ভ্যান গঘ এর মতো নিজের কান কেটে ভালোবাসার প্রকাশ করে নিজের মনের দুর্বলতা প্রকাশ করুক, এমন শিল্পমনা আজকের দিনে কি খুব একটা মনে দাগ কাটতে পারবে ?

এদেশে জন্মানো কবি সাহিত্যিকদের মধ্যে স্যার হুমায়ুন আহমেদ সর্বকালের সেরা , তাতে কারো আপত্তি থাকার কথা না । উনার মদ্ধবিত্ত পরিবারে বড় হয়ে উঠা , অসাধারণ মেধা , আমেরিকা তে লেখাপড়া , সব কিছু অন্য রকম একটা ব্লেন্ড তৈরী করছে উনার মাজে ।আপনি যখন শার্লক হোমসকে , বঙ্কেশ বাবুর সাথে মিশিয়ে ফেলবেন , আশ্চর্য ভাবে আপনি মিসির আলীকে দেখবেন চোখের সামনে । অসাধারণ এই সব ব্লেন্ডিং স্যারের পক্ষে সম্ভব হয়েছে কারণ উনি নিচের দিক থেকে উপরে উঠেছেন । কিন্তু উপরের জগতের সাথে কেন জানি উনি নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন নি । এর কারন হয়তো উনি উপরের পর আর উপর খুঁজে পান নি ।

একজন নিন্ম মদ্ধবিত্ত কবির কাছে উপরের সংঘা এক রকম আর এর পর কিছু ভাবা তার পক্ষে সম্ভব নয় । কিন্তু তার আসে পাশে শাওন এর মতো অনেকের উপর আর অনেক উপরে , আর যারা স্যারের মনে অন্য এক উপরের স্বপ্ন দেয় । স্যার আমার হারিয়ে যায় সেই উপরে । এটা মোটেও দোষের কিছু না ।তবে স্যার এর প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন আহমেদ যদি এই উপরের স্বপ্ন গুলো স্যারকে দেখাতে পারতেন তবে গুগল এ স্যার এর নাম ঘটলে নোংরা কিছু হয়তো আজকে বের হতো না । সময়, হয়তো গুগলের এই search ক্যাটাগরি বদলে দেবে ।

অবাক হয়ে একবার ভাবুন , যে সঙ্গিনী আপনার কষ্টের সময় আপনার সাথে ছিল আর যার সার্বক্ষণিক তদারকিতে আপনি উপরের সিঁড়ি বেয়ে উঠলেন , সে সঙ্গিনী এক সময় আপনার শূন্যতার কথা বেমালুম ভুলে যায় । অদ্ভুত আচরণ আমাদের ।মিসির আলীর সাথে Kotler এর মিশ্রণ খুবই জরুরি ।কবি সাহিত্যিকদের বেবসা জ্ঞান থাকবে না এটা মেনে নেয়া যায় না । জীবনের জন্য যেমন কাব্য প্রয়োজন , কাব্যের সংরক্ষনের জন্য Kotler এর প্রয়োজন ।

আর তা যদি করতে না পারেন তবে , আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে বলুন আপনাকে লক্ষ্য রাখতে । কারণ একদিন আপনি যখন অনেক উপরে উঠে যাবেন, আরো উপরের স্বপ্ন যেন আপনার কাছের মানুষটাই দেখায় আপনাকে । । ।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

কয়েস সামী বলেছেন: ভাল একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

কানিজ রিনা বলেছেন: গুলতেকীন এক ধর্যশীল নারীর নাম। হুমায়ন
আহম্মেদের চারটি সন্তানের জননি।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: জীবনের জন্য যেমন কাব্য প্রয়োজন , কাব্যের সংরক্ষনের জন্য Kotler এর প্রয়োজন ।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

সফলতাই সব কিছু নয়। সফল অনেককেই দেখেছি শূন্যময় প্রাণ !! তবে লেখক হুমায়ুন আহমেদ প্রাণবন্ত ছিলেন! সাহিত্য তাকে সেই উপহারটি দিয়েছিল বলে আমার বিশ্বাস!

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

"যেহেতু স্যার এর কোনো প্ল্যান ছিল না , একটা শূন্যতা তৈরী হয়েছিল সফলতার এই সময়। কাউকে না কাউকে শূন্যতা পুরুন করতে হয় , আর শাওন এই শূন্যতা পুরুন করছে । "

-গরুর রচনা হয়ে যাচ্ছে মনে হয়, প্ল্যান প্লুনের উপর জোর বেশী দিয়ে; আপনি হয়তো ম্যানেজমেন্টের মানুষ, সবকিছুতে প্ল্যান ম্লেন লাগায়ে দিচ্ছেন; অবশেষে হুমায়ুন আহমদের ভালোবাসাকেও আপনার পরীক্ষাপত্রের নম্বরের মাঝে আনছেন?

গুলতেকিনের সাথে হুমায়ুন আহমেদের জীবন সহজ ছিলো না; বড় সাক্ষী জাফর ইকবাল সাহেব। কারো কোন প্ল্যান মেনের দরকার হয়নি, বয়স্ক লোকেরা কিশোরীদের বেশী ভালোবসে ফেলে, এটা প্রকৃতির প্ল্যান।

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হুমমম। মুসা বিন শমসের-এর বউ এখনো হাত দিয়ে ভাত খাইয়ে দেয় মুসাকে...

৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আজাইরা লেখা। সফল হবার সংজ্ঞা কী? হুমায়ূন আহমেদ ঠিক কোন সময়টায় 'সফল' হয়েছিলেন? তিনি তো শুধু বই বের করেন নি। সিনেমায় নেমেছেন, গান লিখেছেন, ছবিও এঁকেছেন। বেঁচে থাকলে আরো অনেক কিছুই করতেন। কোটলারের বইকে আপনি ধর্মগ্রন্থের মত সম্মান করেন বোঝা গেলো। সবাই যে তা করবে এমন না। কোটলারের কোটলার কে ছিলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.