নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের সব চাল পিঁপড়েরা গর্তে ভর্তি করে রাখলো । পিঁপড়ে গুলোর অদ্ভুত এক শক্তি । কেমনে যেন আগে থেকে সব দুর্যোগের গন্ধ পেয়ে যায় । বন্যা মহামারীর মতো জিনিস গুলো এই পিঁপড়ে জাতীয় ইতর প্রাণীটি বেশ আগে থেকেই টের পায় । আর আশ্চর্য্য ভাবে আমরা ডিজিটাল মানুষ গুলো ফেসবুক নিয়ে পরে থাকি । মানুষ হওয়ার এই এক সমস্যা । চাইলেই পিঁপড়ের মতো হয় যায় না । আগে ভাগে যদি প্রকৃতির এই অনিয়ম গুলো জানা যেত তাহলে খুব একটা খারাপ হতো না । কিন্তু তাহলে আমরা যে সবাই পিঁপড়ের মতো ইতর জাতীয় প্রাণীতে পরিণত হবো । ফেসবুক চালাবে কে ?
সে যাই হোক । পিঁপড়ের মতো না হলেও এই ইতর প্রাণীটিকে অন্নের ধ্বংস করতে দেয়া হবে না । গর্তে ঢুকে হলেও চাল বের করে আনতে হবে । পিঁপড়ের গর্তে ঢুকা বেশ জটিল একটা কাজ । এতো ছোট গর্তে মানুষের ঢোকা প্রায় অসম্ভব । গর্ত বাইরে থেকে ছোট হলেও ভিতরে বেশ ভালো পরিমানের চাল মজুদ রাখে পিঁপড়ে । এটা মোটেও পিঁপড়ের দোষ না । আপনি যদি সচেতন না হন তাহলে কি পিঁপড়েরও হওয়া বারণ ? মোটেই না । পিঁপড়ে পিঁপড়ের কাজ বেশ ভালো ভাবেই করছে ।
পিঁপড়ে গুলোর রুচিবোধের তারিফ করতে হয় । সব সেদ্ধ চাল নিমিষেই গর্তে ঢুকিয়ে ফেললো । কি যে আছে এই সেদ্ধ চালে কে জানে ? সুতরাং দেশের সেমী ইতর শ্রেণীর প্রাণীদের জন্য দেয়া হলো অধিক পুষ্টির আতপ চাল । কিন্তু এই সেমী ইতর প্রাণীরা কি বুজবে আতপ চালের মর্যাদা । পিঁপড়ের মতো এরাও সেদ্ধ চালের ভক্ত । না খেয়ে থাকবে কিন্তু আতপ চাল খাবে না । সরকারের এতে কোন দোষ নেই । নীতিনির্ধারকরা খাবার টেবিলে যা দেখে তাই নিয়েই তো নীতি বানায় । খুব সম্ভবত শেষ কবে উনারা সেদ্ধ চালের ভাত খেছেন মনে করতে পারবেন না ।
যাই হোক সম্যসা বেশ গুরুতর আকার ধারণ করতে শুরু করেছে । সরকার সাথে সাথে কয়েক হাজার মেট্রিকটন চালের অর্ডার দিয়ে দিলো মায়ানমার থেকে । যে দেশটিকে অবরোধের আওতায় আনার কথা ভাবছে ইউ এন কিভাবে যে এই ওই দেশ থেকে আনবে সরকার কারো জানা নেই । ধরলাম আনলোই । কিন্তু পেটে কিভাবে যাবে ? মনে হয় না সরকার ইতর বা সেমী ইতর জাতীয় প্রাণীর পছন্দ বোধ বা ইমোশন নিয়ে খুব একটা ভাবেন । কারণ আতপ চাল তো আর মায়ানমার থেকে আসবে না । আসবে সিদ্ধ্য চাল ।
পিঁপড়ে বা সরকার কিংবা আতপ বা সিদ্ধ্য চাল এই রকম সুক্ষ ব্যাপার নিয়ে ভাবার মতো জ্ঞান বা সময় আমাদের থাকলেও পিঁপড়ের নেই এটা আমি নির্ধিদায় বলতে পারি । ইতর জাতীয় প্রাণীর একটাই কাজ। কাজ আর সিদ্ধ্য চালের ভাত খাওয়া । তবে খাদ্য মন্ত্রনালয়ের লোকরা যে পিঁপড়ে না এটাও নির্ধিদায় বলা যায় । তা না হলে পিঁপড়ের আগেই উনারা সব চাল নিজেদের গুদামে ঢুকিয়ে ফেলতেন । উনাদের পিঁপড়ের মতো করে চিন্তা করার কথাও না । এত্ত এত্ত লেখা পড়া করে কেও এতো ক্ষুদ্র একটা প্রাণীর মতো করে ভাববে ? ভাবাই যায় না । তবে একটা কাজ করলে মন্দ হয় না । মন্ত্রণলায়ের সবার টেবিলের উপর একটা কাঁচ ঘেরা বাক্সে কিছু পিঁপড়ে ছেড়ে দেয়া যেতে পারে । যাতে এই পিঁপড়ে গুলুর আচরণ দেখে উনারা বুজতে পারেন কখন কোন চাল গুদামজাত করতে হবে । অনেকটা একোরিমারের মাছের মতো । ব্যাপারটা মন্দ হবে না ।
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!!!!!!!!
তবে একটা কাজ করলে মন্দ হয় না । মন্ত্রণলায়ের সবার টেবিলের উপর একটা কাঁচ ঘেরা বাক্সে কিছু পিঁপড়ে ছেড়ে দেয়া যেতে পারে । যাতে এই পিঁপড়ে গুলুর আচরণ দেখে উনারা বুজতে পারেন কখন কোন চাল গুদামজাত করতে হবে । অনেকটা একোরিমারের মাছের মতো । ব্যাপারটা মন্দ হবে না ।
++++++++++++
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০৯
আমি পোলাপাইণ বলেছেন:
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: পিঁপড়া বিদ্যা মন্দ নয়।
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন। যাদের এই সব বোঝার দরকার তারাই বোঝে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪৭
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো লাগল আপনার লেখাটা ।