নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/asrafulalam

ব্যোমকেশ বাবু

ব্যোমকেশ বাবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপরিনত বাংলাদেশ ?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:১৩


কয়েকদিন আগে আমার এক আত্মীয়ের ফেসবুক পোস্টে দেখলাম উনি লিখেছেন এক সময় নাকি উনি বড়দের ভয়ে পেতেন এখন ভয় পান ছোটদের। আসলে এটাই স্বাভাবিক ।উনার মতো অনেকেই এখন ঠিক কি করে উঠবেন বুজতে পারছেন না। মন্ত্রী সভায় প্রায় সবাই বয়সে কাঁচা। বই মেলায় লেখকদের বেশির ভাগ এখনো ইউনিভার্সিটি শেষ করেনি। যেদিকে তাকানো যায় সে দিকেই তরুনের জয় জয়কার । ভয় পাবারই কথা। এতো তরুণ আসে পাশে পরিণত মানুষ জনরা একটু ভয় পাবেই। কিন্তু সমস্যা হলো তাদের এই ভয় জাতীয় ডিপ্রেশন দূর করার জন্য কোন মোটভাটিনাল স্পিকার নেই দেশে। অথবা তারা আসলে কি করবেন সেটাও বলে দেবার কেউ নেই।

দেশের নামকরা মোটিভেশনাল স্পীকারের ফলোয়াররা ডিপ্রেশনের রোগী । দেশের নামী অনলাইন শিক্ষক নিজে অপ্রাপ্ত বয়স্ক। যে বয়সে তার হেসে খেলে বেড়াবার কথা সেই বয়সে পাঞ্জাবি পড়ে দাড়ি রেখে পরিণত সেজে আছে । আর যারা পরিণত তারা সমানে ফেসবুক একাউন্ট খুলছে আর অপরিণত পোস্ট দিয়ে যাচ্ছে । গেলো সপ্তাহে জুকারবার্গ তরুণদের ফেসবুক মুখী করার কথা বললেন । মানে হলো ফেসবুকে এখন তরুণদের চেয়ে পরিণত মানুষের সংখ্যা বেশ উদ্দ্যেগ জনক ।

তরুণরা দেশ এগিয়ে নিয়ে যাবে এতে কোন দ্বিধা নেই। কিন্তু যে বয়সে হিমালয় জয় করার কথা সেই বয়সে দেশের মতো ভারী একটা জিনিস মাথায় নিয়ে এই কিশোর তরুণরা কিইবা করতে পারে। ধরলাম কিছু একটা করেই ফেললো। তাহলে এভারেস্ট জয় করবে কে ? ষাটোর্ধ পরিণত কেউ ?

পশ্চিমের দেশগুলোতে মানুষজন নিজেদের বয়স অনুযায়ী কাজ কর্ম করে। যেমন ইউনিভার্সিটি লেভেলের একজনের স্বপ্ন থাকে বিশ্ব ভ্রমণের বা নিজের একটা স্টার্টআপ তৈরী করার। বয়স্ক মানুষ জনের ইচ্ছে গুলো টিভি দেখা চার্চে যাওয়া এই সব। মাঝে মধ্যে নিজের আত্ত্বজীবনী লেখা।আমাদের দেশে জীবন ঠিকভাবে শুরু করার আগেই আত্ত্বজীবনী লেখা এখন সময়ের ব্যাপার। বই মেলার দিকে তাকালেই দেখা যায়। যার জীবন এখনো মাঝপথে সেও নিজের জীবন কথা নিয়ে ব্যস্ত। আর জাফর ইকবাল স্যারের মতো লোকজন মুখ লুকিয়ে চলে এদিক সেদিক । স্বাভাবিক । উনাদের চেনা বইমেলা আর এখনকার বই মেলায় বেশ পার্থ্যক্য।

ভারতের রাজনীতিতে রাহুল গান্ধী পাপ্পু নাম পরিচিত। গত দশ বছর ধরে পাঞ্জাবি পড়ে দাড়ি রেখে এখনো সংবাদ সম্মেলনে গেলো সবাই পাপ্পু নামেই ডাকে। কেন যেন কোন ভাবেই রাহুল গান্ধীকে পরিণত করা যাচ্ছে না। এই কারণেই বিজেপির মোদী এখনো বেশ শক্ত অবস্থানে। তাহলে রাহুল গান্ধী কি কখনোই পরিণত হবার নয় ? আসলে যার ডাক নাম পাপ্পু তাকে পরিণত করা বেশ দুস্কর। অপরিণত বয়সে পরিনিত আচরণের ফল।

দেশে এই মুহূর্তে তরুণদের যেমন ফেসবুক ছাড়া আর কোন ধরণের একটিভিটি নেই তেমনি পরিণত মানুষদেরও কিছু করার নেই । তাই সবাই মিলেমিশে সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় ধারণ করে চলছে । কয়েকদিন পর মেট্রো ট্রেন আসবে। মানুষের সময় বাঁচবে। আর সবাই মিলে মিশে বেঁচে যাওয়া সময়টুকু ফেসবুকে কাটিয়ে দিবে।

তরুণদের ঠিক কি করা উচিত বা উচিত নয় তা ঠিক করছে তরুণরা নিজে। রাষ্ট্র যেখানে সবাইকে মোটিভেশন দিতে পারে সেখানে তরুণদের থেকে শিখছে রাষ্ট্র । এটাই কি হবার ছিল নাকি আমরা সবাই অপরিণত রাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছি । তবে আমার দেখা মতে পৃথিবীর কোন দেশে অপরিণত কেউ রাষ্ট্রকে পরিণত রূপ দিতে পারেনি । আমরা যদি পারি তবে এটাই হবে প্রথম।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


শেখ হাসিনা তরুণদের ভেঁড়ার বাচ্চা হিসেবে নিয়েছেন, এরা বাতাসে কয়েক লাফ দিয়ে সব সময় মাটিতেই পড়বে।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: যারা বিশ্বজিতকে দিনের বেলায় মেরেছিল তারা তরুন।
প্রধানমন্ত্রী কোথাও গেলে তরুনরা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে হাত নাড়ে।

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের দেশে সুশাষন কোনকালেই ছিল না, কিন্তু তারপরেও সমাজে একটা প্রকৃত বুদ্ধিজীবি সুশীল শ্রেনী ছিল। নামকরা অর্থনীতিবিদ,অধ্যাপক, কবি, সাহিত্যিক লেখক, ভাস্কর, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিল্পীরা ছিল এই সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্ত । এরাই মুলত তরুনদের রোল মডেল ছিল। এরাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা , ভাষা ও সংস্কৃতির মান বজায় রাখতে এতকাল কাজ করে এসেছে। সরকারে যেই থাকুক না কেন এই শ্রেনীটিকে কেউই ঘাটাতো না।দুঃখজনকভাবে গত দশ বছরে এই শ্রেনীটির বিলুপ্তি ঘটেছে। এই শ্রেনীটির দখল নিয়েছে এখন দলবাজ, লোভী ও চুরান্ত অনৈতিক মানুষেরা। এই কারনেই আজ সর্বত্র অনৈতিকতার জয় জয়কার। দিকভ্রান্ত তরুনদের সামনে কোন রোলমডেল নেই , কেই নেই যে তাকে সঠিক রাস্তা দেখাবে। আর তাইতো যে তরুনের আজ লেখাপড়ায় মন দেবার কথা, পাহাড় জয় করতে যাওয়ার কথা কিংবা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে কঠিন জীবন সংগ্রামে লিপ্ত হবার কথা, সে এখন বড় ব্যস্ত কবি সাহিত্যিকের খাতায় নাম লিখিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে।

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১১

আখ্যাত বলেছেন:
কয়েকদিন পর মেট্রো ট্রেন আসবে। মানুষের সময় বাঁচবে। আর সবাই মিলে মিশে বেঁচে যাওয়া সময়টুকু ফেসবুকে কাটিয়ে দিবে

৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪

মাকছুদুর রহমান বলেছেন: আমাদের তরুণদের কোয়ালিটি সম্পূর্ণ কোন গাইডলাইন নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.